Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Mid-Day Meal: মিড ডে মিলের হিসেব খতিয়ে দেখতে রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় অডিট দল, ট্যুইট শুভেন্দুর

    Mid-Day Meal: মিড ডে মিলের হিসেব খতিয়ে দেখতে রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় অডিট দল, ট্যুইট শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিড ডে মিলের (Mid-Day Meal) পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সম্প্রতি রাজ্যে এসেছিল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। আর এবার মিড ডে মিলের খরচ সংক্রান্ত হিসেব খতিয়ে দেখতে আজ রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় অডিট দল। আজ থেকেই শুরু হবে অনুসন্ধান। রাজ্যে বিশেষ অডিট দল আসার জন্যে ট্যুইটে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) জানিয়েছেন, তিনি ‘কেন্দ্রীয় অডিট ও অ্যাকাউন্টস’ বিভাগের বিশেষ অডিট দলকে স্বাগত জানাচ্ছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, রাজ্যের মোট ৫ টি জেলায় প্রধানমন্ত্রী পোষণ তহবিলের (মিড ডে মিলের) হিসেব খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হবে আজ থেকেই। প্রথমে উত্তর ২৪ পরগনার স্কুল দিয়েই শুরু হবে। তবে কোন স্কুলে কেন্দ্রীয় দল পৌঁছে যাবে তা ঠিক করা নেই। তবে তাঁরা রাজ্যের যে কোনও স্কুলেই পৌঁছে যেতে পারেন।

    শুভেন্দু আরও জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর হিঙ্গলগঞ্জ সফরের জন্য মিড-ডে মিলের তহবিল থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার অবৈধ অপসারণেরও তদন্ত করা উচিত অডিট টিমকে। আবার গত নভেম্বরে উত্তর ২৪ পরগনায় কম্বল বিতরণের জন্য যে অর্থ খরচ করা হয়েছে, সেই টাকাও মিড-ডে মিলের তহবিলের থেকে সরানো হয়েছে কিনা, এ নিয়েও খতিয়ে দেখা উচিত। রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করে তিনি লিখেছেন, বাংলার সরকার দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে৷ আপৎকালীন তহবিল ও মুখ্যমন্ত্রীর রিলিফ ফান্ডে কোনও অর্থ নেই৷ তার পরও অর্থ-কম্বল প্রদান চলছে৷ এগুলো ফটোর জন্য করছেন। এমনকী বগটুই কাণ্ডে নিহতের পরিবারদের অর্থ মিড ডে মিলের তহবিল থেকেই দেওয়া হয়েছে৷ 

    মিড ডে মিলের (Mid-Day Meal) হিসেব দেখতে রাজ্যে কেন্দ্রীয় অডিট দল

    সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রের মিড ডে মিল বা প্রধানমন্ত্রী পোষণ তহবিলের সংগঠিত তছরুপ ও অপব্যবহারের অভিযোগ তোলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বগটুই হত্যাকাণ্ডে নিহতদের পরিবারকে মিড-ডে মিলের (Mid-Day Meal) ফান্ড থেকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ তোলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাই নিয়ে কেন্দ্রের কাছে নালিশ ঠোকেন শুভেন্দু অধিকারী। তার পরই ক্যাগকে নিয়ে রাজ্যের মিড ডে মিলের বরাদ্দ অর্থের বিশেষ অডিট করানোর জন্য আর্জি জানায় কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক। কেন্দ্রের দেওয়া টাকা ঠিক মত ব্যবহার করা হয়েছে কিনা বা কোথায় মিড ডে মিলের টাকা ব্যবহার করা হয়েছে তা জানতেই এই অডিটের নির্দেশ দেওয়া হয়। তারই প্রেক্ষিতে এই অডিট টিম আসছে বলে মনে করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: কুন্তলের থেকে নেওয়া টাকা ফেরত দিলেন বনি! ইডির নজরে আর কোন টলি-তারকা?

    খাবারের গুণমান দেখতে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা

    এর আগে, মিড ডে মিলের (Mid-Day Meal) গুণমান নিয়ে বিস্তর অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ ওঠে, কোথাও মিড ডে মিলের মধ্যে মিলেছে সাপ। কোথাও ড্রামে পাওয়া গেছে মরা ইঁদুর। কোথাও আবার খিচুড়ির মধ্যে টিকটিকি মেলার অভিযোগ ওঠে। সেই সব অভিযোগের প্রেক্ষিতে মিড ডে মিল প্রকল্পের হাল হকিকত খতিয়ে দেখতে ৩০ জানুয়ারি রাজ্যে আসে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। ৮ দিনে ৮ জেলার ৩০টি স্কুলে রাজ্য সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে ঘুরে দেখেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। সঙ্গে ছিলেন রাজ্য সরকারের আধিকারিকরা। তারা খতিয়ে দেখেন মিড মিলের সুবিধা কারা পাচ্ছে? রাজ্য সরকার স্কুলগুলিকে কীভাবে টাকা পাঠাচ্ছে? যে টাকা স্কুলগুলিতে বরাদ্দ হচ্ছে, তা কতটা কার্যকরী হচ্ছে? মিড ডে মিলের পরিকাঠামো কেমন? রান্নাঘরের কী অবস্থা? ছাত্র-ছাত্রীরা পর্যাপ্ত পুষ্টি পাচ্ছে কি না? খাবার পরীক্ষা হয় কিনা? পরিদর্শনের পর ফের বিকাশ ভবনে বৈঠক করেন জয়েন্ট রিভিউ মিশনের প্রতিনিধিরা। দিল্লি ফিরে গিয়ে ওই দল যে রিপোর্ট পেশ করে। আর এবার খরচের হাল-হকিকত খতিয়ে দেখতে আসছে কেন্দ্রীয় দল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: বনির পর কুন্তলের থেকে নেওয়া টাকা ফেরালেন সোমাও ! ইডির নজরে আর কোন টলি-তারকা?

    SSC Scam: বনির পর কুন্তলের থেকে নেওয়া টাকা ফেরালেন সোমাও ! ইডির নজরে আর কোন টলি-তারকা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুন্তল ঘোষের থেকে নেওয়া নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) টাকা ফেরত দিলেন টলি অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত। শুধু বনি নন, বনির পর সোমা চক্রবর্তীও ইডির কাছে ৫৫ লক্ষ টাকা ফেরত দিলেন। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-র হাতে মোট ৪০ লক্ষ টাকা তুলে দিয়েছেন বনি। সূত্রের খবর, এদিনই ৫৫ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকা ফিরিয়েছেন নেল পার্লারের মালিক কুন্তল ঘনিষ্ঠ সোমাও। ইডি সূত্রে খবর,  ওই অর্থ সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমাও করা হয়েছে। 

    টাকা ফেরত দিলেন সোমা

    কুন্তল ঘোষের থেকে নেওয়া টাকা ফেরালেন তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত সোমা চক্রবর্তী। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) সূত্রে জানা গিয়েছে, ৫৫ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকা ফিরিয়েছেন তিনি। ওই টাকা কুন্তলের থেকে ঋণ হিসাবে নিয়েছিলেন তিনি। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূলের প্রাক্তন যুবনেতা কুন্তলের অ্যাকাউন্ট থেকে যে টাকা লেনদেন হয়েছিল, তার মধ্যে এক কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। বনি সেনগুপ্ত ইতিমধ্যেই ৪০ লক্ষ টাকা ফেরত দিয়েছেন। এ বার টাকা ফেরত দিলেন সোমাও। 

    কুন্তলের টাকা ফেরত দিলেন বনি

    বনি ইডিকে আগেই জানিয়েছিলেন, কুন্তলের দেওয়া ৪০ লক্ষ টাকায় তিনি গাড়ি কিনেছিলেন। ইডি সূত্রের খবর, বনি দাবি করেছিলেন, ২০১৭ সালে কুন্তলের দেওয়া নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) সেই টাকা তিনি সরাসরি নেননি। পরিবর্তে সেই টাকা পাঠানো হয়েছিল গাড়ির শো-রুমে। এ-ও দাবি করেন, তিনি গাড়ি কেনার জন্য টাকা নিলেও পরে কুন্তল আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে এবং তার জন্য কোনও পারিশ্রমিক না নিয়ে তিনি ওই টাকা ধৃত যুবনেতাকে শোধ করে দিয়েছিলেন।

    কুন্তলের টলিউড যোগ

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, টলিউডের (Tollywood) সঙ্গে নিবিড় যোগ ছিল কুন্তলের। বনি নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) টাকা ফেরত দিলেও তিনি একা নন, টলিউডের আরও বেশ ক’জন অভিনেতা-অভিনেত্রীর সঙ্গে আর্থিক লেনদেন হয়েছিল কুন্তলের। ইডি সূত্রে খবর, ছবি বানাতে গোটা একটা প্রোডাকশন হাউসও খুলে ফেলেছিলেন কুন্তল ঘোষ। সেই সূত্র ধরেই তদন্তকারীদের নজরে এবার কুন্তলের প্রোডাকশন হাউস। ইডির দাবি দুর্নীতির (SSC Scam)কালো টাকাই এই প্রোডাকশন হাউসে বিনিয়োগ করা হয়েছিল। ধৃত কুন্তলের প্রোডাকশন হাউসে কাজ করা অভিনেতাদের পারিশ্রমিক সম্পর্কে তথ্য চায় ইডি। কুন্তল ঘোষের প্রোডাকশন হাউসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছে বনি সেনগুপ্তর মা পিয়া সেনগুপ্ত, প্রিয়াঙ্কা সরকার, সৌরভ দাস, এনা সাহার মতো তারকাদের। নিয়োগ দুর্নীতির টাকা খাটিয়েই এই শর্ট ফিল্ম, মিউজিক ভিডিও বানানো হত কিনা তা জানতে এবার তারকাদের তলব করতে চলেছে ইডি। 

    আরও পড়ুন: দুর্নীতির তদন্ত করতে ফের রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় দল, কোথায় যাবে জানেন?

    ইডির নজরে কারা? 

    উল্লেখ্য, সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বনির মা পিয়া সেনগুপ্ত স্বীকার করে নিয়েছেন যে অগ্রিম নেওয়ার সময়ে ছেলের সঙ্গে কোনও লিখিত চুক্তি হয়নি কুন্তলের। আরও যে অভিনেতা-অভিনেত্রী কুন্তলের থেকে নানা ইভেন্টের জন্য টাকা নিয়েছিলেন, তাঁদের ক্ষেত্রে লিখিত চুক্তি হয়েছিল কি না, সেটা খতিয়ে দেখছে ইডি। যাঁরা কোনও চুক্তি ছাড়াই কুন্তলের থেকে নগদ বা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা নিয়েছেন কিংবা দামি উপহার ‘পারিশ্রমিক’ পেয়েছেন, তাঁদের তালিকা তৈরি করছেন তদন্তকারীরা। এঁদের বয়ান ধাপে ধাপে রেকর্ড করবে ইডি। কুন্তল কেন লিখিত চুক্তি ছাড়া টাকা দিলেন, কেনই বা ওই অভিনেতা-অভিনেত্রীরা চুক্তি ছাড়া টাকা নিলেন, মৌখিক কথাবার্তায় এই লেনদেনের পিছনে নির্দিষ্ট কোনও পরিকল্পনা ছিল কি না, সে সব জানতে চাইছে ইডি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: সংসদ চত্বরে পোস্টার হাতে রাজ্যের নিয়োগ-দুর্নীতি নিয়ে বিক্ষোভ সুকান্ত-দিলীপদের

    BJP: সংসদ চত্বরে পোস্টার হাতে রাজ্যের নিয়োগ-দুর্নীতি নিয়ে বিক্ষোভ সুকান্ত-দিলীপদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে নাজেহাল অবস্থা রাজ্যের। এই আবহেই এবারে সংসদে বৃহস্পতিবার ‘চাকরি চোর তৃণমূল’-এর বিরুদ্ধে সংসদে বিক্ষোভ দেখাল বঙ্গ বিজেপি (BJP)। কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে ১১ জন বিজেপি সাংসদ এদিন পোস্টার, প্ল্যাকার্ড হাতে এসএসসি গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গান্ধি মূর্তির পাদদেশে ধর্না দেন। বৃহস্পতিবার বঙ্গ বিজেপির ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে এই সংক্রান্ত একটি পোস্ট করা হয়। সংসদ ভবনের ভিতরেও তৃণমূল সাংসদদের দেখে ‘চোর চোর’ স্লোগান তোলেন তাঁরা।

    বঙ্গ বিজেপির বিক্ষোভ

    বঙ্গ বিজেপির ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে বিক্ষোভের যেসব ছবি পোষ্ট করা হয়েছে, সেখানে দেখা গিয়েছে, সংসদ চত্বরে গান্ধি মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বাংলার বিজেপি জনপ্রতিনিধিরা৷ সেই দলে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার থেকে শুরু করে সৌমিত্র খাঁ, লকেট চট্টোপাধ্যায়, দিলীপ ঘোষরা রয়েছেন৷ তাঁদের হাতে ধরা রয়েছে বাংলা, হিন্দি ও ইংরেজিতে লেখা প্ল্যাকার্ড৷ কোনও প্ল্যাকার্ডে দাবি করা হয়েছে, রাজ্যজুড়ে চাকরি চুরির কারবার ফেঁদে বসেছে বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস! আবার কোথাও ‘বাংলার মেয়ে’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘বাংলার লজ্জা মমতা’ বলে কটাক্ষ করা হয়েছে! বিক্ষোভের ছবির সঙ্গে একটি ক্যাপশনও রয়েছে ট্যুইটে৷ তাতে লেখা হয়েছে, “চাকরি চোর তৃণমূল – শিক্ষা থেকে চাকরি, সর্বস্থানে তৃণমূল নেতাদের পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতিতে অতিষ্ঠ রাজ্যবাসী৷ আজ তারই প্রতিবাদে দিল্লিতে গান্ধি মূর্তির পাদদেশে বিজেপি সাংসদের বিক্ষোভ৷”

    সুকান্ত মজুমদার বলেন, “এখনও পর্যন্ত তদন্তে জানা গিয়েছে, কয়েকশো কোটি টাকার নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছে। সরকার ও শাসক দলের শীর্ষ নেতৃত্বের মঞ্জুরি ছাড়া এত বড় মাপের কেলেঙ্কারি হওয়া সম্ভব নয়। তারই প্রতিবাদে সংসদে ও রাজ্যে শিয়ালদহ স্টেশনের সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয়। আগামী দিনে গোটা রাজ্য জুড়ে ওই বিক্ষোভ অবস্থান হবে।”

    সংসদে অভিষেকের অনুপস্থিতিতে কটাক্ষ বিজেপির

    সংসদে ধারাবাহিক ভাবে অনুপস্থিত রয়েছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ওই দীর্ঘ অনুপস্থিতিকে কটাক্ষ করে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের প্রশ্ন, গ্রেফতারির ভয়েই কি রাজ্য ছেড়ে দিল্লিতে পা দিতে ভয় পাচ্ছেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ? অভিষেককে আক্রমণ শানানোর সঙ্গেই গতকাল রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতি ও তাতে শাসক দলের ভূমিকা নিয়ে সংসদ চত্বরে সরব হন রাজ্যের বিজেপি সাংসদেরা। গতকাল মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফার দাবিতেও সরব হন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর নাকের ডগায় ওই দুর্নীতি হয়েছে। যার দায় কোনও ভাবেই এড়াতে পারেন না তিনি।

  • Kalbaisakhi In Kolkata: মরশুমের প্রথম কালবৈশাখী বঙ্গে, কতদিন চলবে ঝড়-বৃষ্টি?

    Kalbaisakhi In Kolkata: মরশুমের প্রথম কালবৈশাখী বঙ্গে, কতদিন চলবে ঝড়-বৃষ্টি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মরশুমের প্রথম কালবৈশাখী পেল কলকাতা (Kalbaisakhi In Kolkata)। ভ্যাপসা গরম থেকে স্বস্তি শহরবাসীর। গতকাল রাতের বেলা বৃষ্টিতে ভিজল শহর কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা। প্রথমে রাতের দিকেই শুরু হয় দমকা হাওয়া ও বৃষ্টি। কোনও কোনও জেলায় হয়েছে শিলাবৃষ্টিও। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শহরের আকাশ আংশিক মেঘলা ছিল। দিনের বেলায় ছিল গুমোট ভাব। এরপর রাতে শুরু হল বৃষ্টি। এই প্রথম কালবৈশাখীর হাত ধরে পারদ নামল রাজ্যে। জানা গিয়েছে, আজও বৃষ্টি হবে দক্ষিণবঙ্গে।

    মরশুমের প্রথম কালবৈশাখী

    মরশুমের প্রথম কালবৈশাখী শুরু হয় বৃহস্পতিবার থেকে (Kalbaisakhi In Kolkata)। আবহাওয়া দফতর অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ৫২ মিনিট নাগাদ দমদমের উপর দিয়ে ৬৪ কিমি বেগে পশ্চিমমুখী ঝড় বয়ে গিয়েছে। অন্য দিকে, রাত ১০টা ৩৭ মিনিট নাগাদ আলিপুরের উপর দিয়ে ৪৮ কিমি বেগে উত্তর-পশ্চিমমুখী একটি ঝড় বয়ে গিয়েছে। এই ঝড়ের ফলে এখনও পর্যন্ত কোথাও কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি হয়েছে। নদিয়া, পূর্ব বর্ধমানের কালনায় শিলাবৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি হয়েছে পুরুলিয়া, বর্ধমান, মেদিনীপুর, হুগলিতেও।

    আরও পড়ুন: মোদি জমানায় ভারতীয়দের মাথা পিছু আয় বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে, বলছে রিপোর্ট

    এছাড়াও কালবৈশাখীর তাণ্ডব দেখা গিয়েছে নদিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর সহ একাধিক জেলায়। তবে দক্ষিণবঙ্গের যে সকল জেলায় কালবৈশাখী হয়নি সেখানে শুক্রবার দুপুরের পর যে কোনও সময় কালবৈশাখীর সম্ভাবনা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে দেড় থেকে দু’ঘণ্টা আগে সতর্কতা জারি করবে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

    উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া

    দক্ষিণবঙ্গের আগে বুধবার উত্তরবঙ্গে বিভিন্ন জেলায় ঝড়বৃষ্টি হয়েছে। কিছু জেলায় শিলাবৃষ্টিও হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, উত্তরবঙ্গেও বজ্রবিদ্যুৎ সহ কালবৈশাখীর দাপট দেখা যাবে। উত্তরবঙ্গের কোনও কোনও জায়গায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় ফের শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, দুই দিনাজপুর এবং মালদায়।

    ঝড়-বৃষ্টি কতদিন পর্যন্ত চলবে?

    হাওয়া অফিস সূত্রের খবর, আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত এরকমই আবহাওয়া থাকবে। কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, দুই মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, ঝাড়গ্রাম, দুই বর্ধমানে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির সঙ্গে বইতে পারে দমকা হাওয়া। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে কোথাও কোথাও ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। এই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে প্রস্তুতি নিতে শুরু করছে রাজ্য সরকার। কোথাও যাতে বিদ্যুৎ বিভ্রাটে সমস্যা না হয় সেটা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই। খোলা হচ্ছে কন্ট্রোল রুমও।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • DA: ডিএ আন্দোলনকারীদের একী বললেন ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদ?

    DA: ডিএ আন্দোলনকারীদের একী বললেন ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ ডিএ (DA) নিয়ে কলকাতায় আন্দোলন করছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। মুখ্যমন্ত্রী কর্মীদের চাহিদা মতো ডিএ দিতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। মূলত এই ঘটনা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি যখন সরগরম, তখন ডিএ আন্দোলনকারীদের পঞ্চায়েত ভোটের সময় কার্যত দেখে নেওয়ার হুমকি দিলেন ভাঙরের তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদ। ভাঙড় ১ নম্বর ব্লকে বড়ালিতে একটি দলীয় সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে দাঁড়িয়ে বিরোধীদের আক্রমণ না করে তাঁর যত ক্ষোভ ডিএ (DA)  আন্দোলনকারীদের উপর গিয়ে পড়ে। তিনি তাঁদের অনশন আন্দোলনকে কটাক্ষ করে  বলেন, যত খায়, পোষায় আর না। এটা কিন্তু দিদির কথা। ওরাই আবার ভোট করাতে আসবে। আমাদের জায়গার লোক অন্য জায়গায় যাবে, আর অন্য জায়গার লোক এখানে আসবে। যারা সব প্রিসাইডিং অফিসার হয়। ওরা সব ওই লোক, যারা ভাতা (DA)  দাও বলে আন্দোলন করছে, ভোট করতে যাব না বলে আন্দোলন করছে। ওরা যখন বুথে আসবে, নিজেদের লোক বলে চাটাচাটি করো না। সব ডিস্টার্ব। ওরা যে ভোট দিয়ে আসবে, সেখানে ডিস্টার্ব। আবার বুথে এসেও ওরা ডিস্টার্ব করবে। এরপরই দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে তাঁর নিদান, ওদের ডিস্টার্ব সারিয়ে দিতে হবে।

    ভোটের সময় ভাঙড়ে তৃণমূল কর্মীরা কী করে জানেন? DA

    ভোটের সময় তৃণমূল কর্মীরা কী করেন সেটাও এদিন দাপুটে তৃণমূল নেতা প্রকাশ্য সভায় বলেছেন। তিনি বলেন, ভাঙড়ের মানুষের কালচার হল আতিথেয়তা। খাবার-ফ্যান-আলোর ব্যবস্থা করে দেয় আমাদের কর্মীরা। আমাদের কর্মীরা আবার রান্নাবান্না করে খাবার নিয়ে যায়। আমি এবার বলে দিয়েছি, অতো বেশি আপ্পায়ন করার দরকার নেই। ওদের ওই মুরগির মাংস খাওয়ানোর চিন্তাভাবনা করিস না। চাপে রাখবি। তাঁর এই বক্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। ডিএ (DA) আন্দোলনকারীরা ভোটের সময় বুথে গিয়ে আক্রান্ত হতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন। আইএসএফ বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী বলেন, ওরা সবসময়ই প্রভাবিত করার চেষ্টা করে এসেছে তা ওদের বক্তব্যে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। তবে, এটা ২০১৮ সাল নয়। এক চেটিয়া ভোট করিয়ে  ওরা বেরিয়ে যাবে, তা হবে না। অন্যদিকে, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে ভোট কর্মীদের নিরাপত্তার দাবি জানানো হয়েছে। রাজভবনে ডেপুটেশন দেওয়ার পাশাপাশি রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনেও এই দাবি তাঁরা জানিয়েছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • MGNREGA: দুর্নীতির তদন্ত করতে ফের রাজ্যে আসছে  কেন্দ্রীয় দল, কোথায় যাবে জানেন?

    MGNREGA: দুর্নীতির তদন্ত করতে ফের রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় দল, কোথায় যাবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি দুর্নীতি (Scam)  নিয়ে রাজ্য জুড়ে তোলপাড় চলছে। যা নিয়ে শাসক দলের নাস্তানাবুদ অবস্থা। এরইমধ্যে পঞ্চায়েতে ১০০ দিনের প্রকল্পে বড়সড় আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা-২ ব্লকে। ১০০ দিনের প্রকল্পে বড় রকম আর্থিক দুর্নীতির বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দপ্তরে অভিযোগ জমা পড়ে। সেই অভিযোগের তদন্ত করতেই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল শুক্রবারই রাজ্যে আসছে।  সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। নতুন কে প্রার্থী হবে তা নিয়ে শাসক দলের মধ্যে এখন জল্পনা চলছে। এরইমধ্যে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা-২ ব্লকে ১০০ দিনের প্রকল্পের বিষয়টি সামনে আসতেই শাসক দলের পঞ্চায়েত স্তরের জনপ্রতিনিধিরা রীতিমতো বিড়ম্বনায় পড়বেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। কারণ, এই ব্লকের সব পঞ্চায়েতই তৃণমূলের দখলে রয়েছে। তাই, ১০০ দিনের প্রকল্পে দুর্নীতি হলে শাসক দলের উপর দায় চাপবে। তবে, ১০০ দিনের প্রকল্পের দুর্নীতির (Scam) অভিযোগে রাজ্যের একাধিক জেলার বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে রয়েছে। কাজ না করেই মাস্টার রোলে নাম তুলে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে বহু পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। এর আগেও কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল রাজ্যের একাধিক জেলায় পরিদর্শনে গিয়েছেন। প্রকৃত পক্ষে এই প্রকল্পে এলাকার মানুষ আদৌ সুবিধা পেয়েছেন কি না তা তাঁরা খতিয়ে দেখেছেন। তবে, এই দুর্নীতি নিয়ে যারা অভিযোগ করেছেন কেন্দ্রীয় টিম তদন্ত করতে আসায় তারাও খুশি।

    কেন্দ্রীয় টিমে কারা রয়েছেন? Scam

     প্রতিনিধি দলে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের অধিকর্তা মিনাক্ষী হুদা এবং তাঁর সঙ্গে দপ্তরের আরও একজন আধিকারিক রয়েছেন। শুক্রবার তাঁরা সকালেই কলকাতা পৌঁছবেন। সেখান থেকে তাঁরা মুর্শিদাবাদের উদ্দেশে রওনা দেবেন। ২২ মার্চ পর্যন্ত তাঁরা ১০০ দিনের প্রকল্পের দুর্নীতির তদন্ত করতে মুর্শিদাবাদ জেলায় থাকবেন বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। বেলডাঙা-২ ব্লক এই প্রকল্পের দুর্নীতির (Scam)  তালিকায় রয়েছে। জেলা শাসকের মাধ্যমে বিডিওকে এই তদন্তের কাজে সবরকমভাবে সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে। ফলে, এই ব্লকের যে সব পঞ্চায়েতে এই প্রকল্পে দুর্নীতি (Scam)  হয়েছে, সেই সব জায়গায় তাঁরা পরিদর্শনে যেতে পারেন। প্রয়োজনে তাঁরা এলাকার মানুষের সঙ্গে কথাও বলতে পারেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Anubrata Mondal: গরু পাচারের টাকা সাদা করতে তৃণমূলের কেষ্ট বিনিয়োগ করেছিলেন আইপিএলে?

    Anubrata Mondal: গরু পাচারের টাকা সাদা করতে তৃণমূলের কেষ্ট বিনিয়োগ করেছিলেন আইপিএলে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রতকাণ্ডে (Anubrata Mondal) নয়া মোড়। গরু পাচারের কালো টাকা সাদা করতে বিনিয়োগ করা হয়েছিল আইপিএলে (IPL)। অন্তত ইডির (ED) দাবি এমনই। তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রতর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারির পরামর্শেই অনুব্রত এ কাজ করেছিলেন বলেও জানা গিয়েছে। মঙ্গল ও বুধবার টানা জেরা করা হয়েছে মণীশকে। অনুব্রতর মুখোমুখি বসিয়েও প্রশ্ন করা হয়েছে তাঁর হিসাব রক্ষককে। তখনই মিলেছে বিস্ফোরক তথ্য। গরু পাচারের কালো টাকা সাদা করতে লগ্নি করা হয়েছিল আইপিএলে।

    অনুব্রতকাণ্ডে (Anubrata Mondal) বিস্ফোরক দাবি…

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, গরু পাচারের টাকা ঠিক কোথায় বিনিয়োগ করলে সহজে ধরা পড়বে না, সে ফন্দি এঁটেছিলেন মণীশ। তিনিই বুদ্ধি দিতেন অনুব্রতকে (Anubrata Mondal)। কয়েকশো কোটি কালো টাকা কোন উপায়ে সাদা করা যাবে, সেই পথ বাতলে দিয়েছিলেন মণীশ। তিনিই এই বিষয়টি বুঝিয়েছিলেন যে, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ ভারতের একটি উঁচু দরের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। এতে টাকা বিনিয়োগ করলে কারচুপি সহজে ধরা পড়বে না। এভাবেই গরু পাচারের কোটি কোটি টাকা হাত ঘুরিয়ে সাদা করতেন অনুব্রত। তাঁর প্রধান মদতদাতা হিসেবে কাজ করতেন মণীশ কোঠারি, এমনই জানতে পেরেছে ইডি। শুধু আইপিএল-ই নয়, একের পর এক ভুয়ো কোম্পানি খুলে সেখানেও টাকা বিনিয়োগ করে কালো টাকা সাদা করানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন মণীশ।

    ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর ৬ দিনের হেফাজতে রয়েছেন মণীশ। এই ক’ দিন তাঁকে জেরা করবেন তদন্তকারীরা। আদালতের নির্দেশ মেনে জেরার সময় উপস্থিত থাকতে পারবেন মণীশের আইনজীবীরাও। প্রতিদিন তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আধ ঘণ্টা করে সময়ও বরাদ্দ করা হয়েছে। বুধবার আদালতে তোলা হয় মণীশকে। তখনই ভেঙে পড়েন অনুব্রতর হিসাব রক্ষক। কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমি একজন চাটার্ড অ্যাকাউন্টট্যান্ট। আর সেটাই আমার দোষ।

    আরও পড়ুুন: নোবেল শান্তি পুরস্কার পাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি? কমিটির সদস্যের মন্তব্যে জল্পনা!

    জানা গিয়েছে, ইডির জেরায় অনুব্রত বলেছেন, মণীশ আমাকে যেভাবে কালো টাকা সাদা করতে বলেছে, আমি করেছি। যদিও মণীশ বলেন, উনি কারও কথা শুনতেন না। নিজের যা মনে হত করতেন। প্রসঙ্গত, দুদিন আগেই অনুব্রত (Anubrata Mondal) বলেছিলেন তিনি কিছু জানেন না। সব জানেন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। এবার হিসাব রক্ষকের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে অনুব্রত পাচারকাণ্ডের কালি ধুয়ে ফেলতে চাইছেন বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Teacher: শিক্ষকের চাকরি করলে লোন দেবে না ব্যাঙ্ক! কোথায় জানেন?

    Teacher: শিক্ষকের চাকরি করলে লোন দেবে না ব্যাঙ্ক! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ শিক্ষকরাই (Teacher) সমাজের সম্মানীয় ব্যক্তি। তাঁদের কথা এলাকার আর পাঁচজন মান্যতা দেন। কিছুদিন আগেও শিক্ষকরা ব্যাঙ্কে গেলে কর্মীরাও অনেক খাতির করতেন। পাড়ায় কেউ শিক্ষক পদে চাকরি করেন শুনলে সকলেই সেই পরিবারকে সমীহ করে চলতেন। এমনকী বিয়ের বাজারে শিক্ষক (Teacher)  পাত্র পেলে মেয়ের বাবার তো কথাই নেই। প্রতিবেশীরা সেই পরিবারকে কিছুটা আড় চোখে দেখতেন। এতদিন এটাই ছিল চেনা চিত্র। কিন্তু, আদালতের নির্দেশে রাজ্যে শয়ে শয়ে বাতিল হয়েছে শিক্ষক (Teacher)  এবং অশিক্ষক কর্মীদের চাকরি। এখনও চলছে বাতিলের প্রক্রিয়া। প্রতিনিয়ত দুর্নীতি খুঁজে চলেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি। রাজ্যের ভুয়ো শিক্ষকদের (Teacher) চাকরি বাতিলের ঘটনায় বৈধ শিক্ষকরাও সামাজিক প্রশ্ন চিহ্নের মুখে। সামাজিক অমর্যাদার পাশাপাশি, সামাজিক হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে। সোশ্যাল মিডিয়াতে শিক্ষকদের নিয়ে ট্রোল হচ্ছে। এবার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ব্যাঙ্কে লোন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুরের সেন্ট্রাল কো অপারেটিভ ব্যাঙ্ক লোন না দেওয়ার  সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

    শিক্ষকদের কেন লোন দিতে আপত্তি ? Teacher

    এমনিতেই চাকরিজীবীদের ব্যাংক থেকে লোন নিতে খুব একটা সমস্যা হয় না। কিন্তু, শিক্ষকদের (Teacher) ক্ষেত্রে ব্যাংক গুলি সাধারণত বুঝে নিতে চাইছে, সেই শিক্ষকের চাকরি আইনত বৈধ আছে কিনা। শিক্ষকের  নিয়োগ কতদিন আগে হয়েছে, সে বিষয়ে খুঁটিনাটি তথ্য জানতে চাইছে ব্যাংক। ঠিক এইভাবেই বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে বৈধ নিয়োগের শিক্ষকদের‌ও। যা শিক্ষকদের (Teacher) কাছে অমর্যাদার প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুর সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাংকের সিইও তনুজ কুমার সরকার বলেন, ব্যাংক ব্যবসা করতে এসেছে। ফলে, লোন দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্ত কিছু দেখে নিতে হয়। যাতে তা পরিশোধ হতে পারে। আমাদের শাখা ব্যাঙ্ক থেকে এর আগে অনেক শিক্ষকদের লোন দিয়েছে। তাদের অনেকের চাকরি চলে গিয়েছে। লোনের টাকা এখন আদায় করতে সমস্যা হচ্ছে। তাই, বর্তমানে শিক্ষকদের নিয়োগ দুর্নীতির ক্ষেত্রে যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে কিছুটা সতর্ক থাকতে হচ্ছে। মূলত, যে সাল থেকে শিক্ষকদের নিয়ে এই সমস্যা তৈরি হয়েছে, সেই সময়ের শিক্ষকদের নিয়ে আমাদের মাথাব্যাথা।

    দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বাম শিক্ষক সংগঠনের নেতা শঙ্কর ঘোষ বলেন, শিক্ষকদের (Teacher) হয়রানি না করে যাতে ব্যাঙ্ক লোন পায় তার ব্যবস্থা করতে হবে। অপরদিকে, শিক্ষা দফতরের দুর্নীতিতে যারা চাকরি পেয়েছেন, তার দায়‌ও সরকারের। ফলে, সরকারকেই এই দায় নিতে হবে। এর আগে কয়েকটি ব্যাঙ্ক করেছিল। সংগঠনের পক্ষ থেকে বলে সমস্যা মিটে গিয়েছে। তৃণমূল শিক্ষা সেলের সদস্য বিপুল কান্তি ঘোষ বলেন, ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সাধারনত ঋণ দেওয়ার দেওয়ার ক্ষেত্রে সিকিউরিটি বা কাগজপত্র দেখে নেয়। ঋণের বিষয়টি ব্যাংকের ব্যাপার। ব্যাংক সবকিছু খতিয়ে দেখতেই পারে। অখিল ভারতীয় রাষ্ট্রীয় শিক্ষক মহা সঙ্ঘের সদস্য শুভেন্দু বক্সী বলেন, নিয়োগ দুর্নীতিতে যাদের নাম জড়িত, তাদের তো চাকরি যাচ্ছেই, কিন্তু যারা বৈধভাবে চাকরি পেয়েছেন, এই ঘটনায় তাদেরও প্রশ্ন চিহ্নের সামনে পড়তে হয়েছে। বৈধ শিক্ষকদের (Teacher)  বিভিন্নভাবে সামাজিক হয়রানি হতে হচ্ছে। এটা যাতে না হয় সেই বিষয়টি দেখা দরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় ফের একবার আদালতের প্রশ্নের মুখে সিবিআই

    SSC Scam: নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় ফের একবার আদালতের প্রশ্নের মুখে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারি (SSC Scam) মামলায় ফের একবার প্রশ্নের মুখে সিবিআই (CBI)। তদন্তের গতি নিয়ে প্রশ্ন আলিপুর বিশেষ আদালতের (Court)। বৃহস্পতিবার আদালতের ধমক খেলেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার প্রদীপ ত্রিপাঠী। সিবিআই আদৌ তদন্ত করতে জানে কি না, সে প্রশ্ন তোলে আদালত। সিবিআইয়ের আবেদনকে দেওয়া হল বেআইনি আখ্যাও। আবদুল খালেক নামে এক অবসরপ্রাপ্ত ক্লার্ক গ্রেফতার হওয়ার পর নতুন করে অভিযোগ ওঠে শান্তিপ্রসাদ সিনহার বিরুদ্ধে। তারপরেও ওই মামলায় শান্তিপ্রসাদকে হেফাজতে নেওয়া হয়নি, উল্টে শান্তিপ্রসাদের হাতের লেখার নমুনা সংগ্রহের আর্জি জানানো হয় আদালতে। তাতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন সিবিআই আদালতের বিচারক অর্পণ মুখোপাধ্যায়।

    বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হলে আপনাদের নথি টিকবে তো?…

    তিনি বলেন, আপনারা কি তদন্ত করতে জানেন না? যে আবেদন করেছেন, তা পুরোপুরি বেআইনি। আপনারা যা করছেন, তা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে জানাতে বাধ্য হব। না জানালে আমি বিপদে পড়ব। বিচারকের প্রশ্ন, বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হলে আপনাদের নথি টিকবে তো? আদালত সূত্রে খবর, এদিন শুনানি চলাকালীন তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়েন প্রদীপ। যাঁর নামে চার্জশিট জমা পড়ে গিয়েছে, তাঁকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না, কেন কেস স্টাডিতে তাঁর নামের উল্লেখ নেই, তা জানতে চান বিচারক। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে (SSC Scam) বৃহস্পতিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, শান্তিপ্রসাদ সিনহা, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় সহ ১৩জনকে আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হয়। ধৃত সুব্রত সামন্ত রায়ের আইনজীবী বলেন, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি তাঁর মক্কেলকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু ৩ মার্চ সিবিআই চার্জশিটে যে ১৫ জনের নাম রাখা হয়, তাতে সুব্রতর নাম ছিল না। এতেই বিরক্ত হন বিচারক।

    আরও পড়ুুন: নোবেল শান্তি পুরস্কার পাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি? কমিটির সদস্যের মন্তব্যে জল্পনা!

    এর আগেও খালেকের মামলায় আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়েছিল সিবিআই। তাদের অভিযোগ ছিল, অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা তুলে খালেক দিয়েছেন শান্তিপ্রসাদকে। দুজনের যোগাযোগও ছিল। তার পরেও কেন শান্তিপ্রসাদকে হেফাজতে নেয়নি সিবিআই, সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন বিচারক। তিনি বলেছিলেন, এসপি সিনহাকে টাকা দেওয়ার কথা (SSC Scam) বলছেন, কিন্তু তাঁকেই তো এই মামলায় আপনারা হেফাজতে নেননি। বিচারক বলেছিলেন, পনির বাটার মসালা বানাবেন ভাবছেন, পনিরই তো নেই আপনার কাছে…! এবার ফের খালেক মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে উষ্মা প্রকাশ করল আদালত।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Mamata Banerjee: কলকাতা হাইকোর্টে মিলল না মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অনুমতি  

    Mamata Banerjee: কলকাতা হাইকোর্টে মিলল না মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অনুমতি  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি খুইয়েছেন বহু অযোগ্য প্রার্থী। তাঁদের হয়ে সওয়াল করার অভিযোগ উঠেছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে। তার জেরে তাঁর বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে আদালত অবমাননার মামলা করার ব্যাপারে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু আদালত ওই অনুমতি দেয়নি। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিল, বিষয়টি তারা বিবেচনা করে দেখবে।

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে অভিযোগ…

    মঙ্গলবার আলিপুর আদালতের একটি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বক্তব্যের একটি অংশ নিয়ে অভিযোগ করেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তাঁর অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, প্রধান বিচারপতি এখানে নেই, আমি সুব্রতদাকে বলব, যিনি এখানে আছেন, এটা আমার ব্যক্তিগত মত, দয়া করে এত সহজে চাকরি কেড়ে নেবেন না। ওই অনুষ্ঠানে চাকরি বাতিল নিয়ে করা মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের একাধিক অংশেরও বিরোধিতা করেছেন বিকাশ।

    প্রসঙ্গত, গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, প্রাইমারি, নবম-দশম সব মামলা হাইকোর্টের বিচারপতি তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে বিচারাধীন। তার পরেও আলিপুর আদালতের ওই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জেনেশুনে কোনও অন্যায় করিনি। আমরা ক্ষমতায় আসার পর একটা সিপিএম ক্যাডারের চাকরি খাইনি। মুখ্যমন্ত্রীর আর্জি, যাঁরা অন্যায় করেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। রোজ কথায় কথায় চাকরি বাদ দিচ্ছে। কালও দুজন আত্মহত্যা করেছে। যদি কেউ ভুল করে তার দায় কেন সবাই নেবে। তিনি বলেন, একটু ভেবে দেখবেন। ছেলেমেয়েরা যেন অবিচারের শিকার না হয়, তাঁদের চাকরিটা আইন অনুযায়ী ফিরিয়ে দিন।

    আরও পড়ুুন: নোবেল শান্তি পুরস্কার পাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি? কমিটির সদস্যের মন্তব্যে জল্পনা!

    বিকাশের যুক্তি, আদালতের নির্দেশে যখন অযোগ্যদের চাকরি বাতিল হচ্ছে, তখন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) এমন মন্তব্য করলেন কেন? এই প্রশ্ন তুলে আদালত অবমাননার মামলার আবেদন জানানো হয় হাইকোর্টে। বুধবার স্বতঃপ্রণোদিত আদালত অবমাননার মামলা গ্রহণের আবেদন জানান আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য সহ কয়েকজন আইনজীবী। বৃহস্পতিবার সে ব্যাপারেই আদালত জানায়, বিষয়টি তারা বিবেচনা করে দেখবে। এদিন আদালতে হলফনামা জমা দেন বিকাশ। হলফনামার সারমর্ম হল, আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা রুজু করুক। তখনই প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ বিকাশের উদ্দেশে বলেন, আপনি কেন মামলা দায়ের করছেন না?  তখন বিকাশ বলেন, তাঁর হলফনামায় একাধিক মামলার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যাতে স্পষ্ট, মুখ্যমন্ত্রী আদালত অবমাননা করেছেন। তিনি বলেন, কারচুপি করে যাদের নিয়োগ করা হয়েছিল, তাদের চাকরি যাচ্ছে আদালতের নির্দেশে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর এ হেন বক্তব্য আদালত অবমাননা ও বিচার ব্যবস্থার ওপর চাপ তৈরির কৌশল।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share