Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Recruitment scam: চাকরি বিক্রির ডিল হত কফি শপে বসে! তিনটি হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ চাইল ইডি

    Recruitment scam: চাকরি বিক্রির ডিল হত কফি শপে বসে! তিনটি হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ চাইল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে (Recruitment scam) আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। জানা গিয়েছে, চাকরির ডিল করা হত কফি শপে বসে। ফলে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে এবার কলকাতা ও লাগোয়া এলাকার তিনটি অভিজাত হোটেলের কফি শপের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চাইল ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি সূত্রে খবর, ওই হোটেলের ক্যাফেটেরিয়ায় কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে নিয়োগ দুর্নীতির ব্লুপ্রিন্ট, টাকা লেনদেন সংক্রান্ত বৈঠক হয়েছিল।

    ইডি আর কী কী জানাল?

    নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment scam) গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষ ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। ইডি সূত্রে খবর, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই তাঁরা জানতে পেরেছেন শহর কলকাতার তিনটি অভিজাত হোটেলের কফিশপে শান্তনু, কুন্তল, তাপস মণ্ডলরা বিভিন্ন সময় বৈঠক করেছেন। শান্তনুর বয়ানের উপর ভিত্তি করে এই তিনটি হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ চেয়ে পাঠানো হয়েছে। ইডি গোয়েন্দারা যাচাই করে দেখতে চাইছেন শান্তনুর বয়ানের সত্যতা কতটা। এমনকী এও দেখা হচ্ছে, শান্তনু, কুন্তল ছাড়া আর কারা উপস্থিত থাকতেন ওই বৈঠকে।

    আরও পড়ুন: দিল্লিতে পরবর্তী এসসিও-র বৈঠকের জন্য পাকিস্তানকে আমন্ত্রণ মোদির, কী করবে ইসলামাবাদ?

    সূত্রের খবর, ২০১৭ সালের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে এইসব অভিজাত হোটেলগুলির কফি শপে শান্তনু, কুন্তলদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছিল বলে খবর। জানা গিয়েছে, এই তালিকায় রয়েছে আলিপুরের একটি নামী হোটেলও। ওই কফি শপগুলিতে হয়েছে একাধিক বৈঠক। কোন কোন চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে কত টাকা নেওয়া হবে। তা সমস্ত কিছুই ঠিক করা হত এই বৈঠকে। শান্তনু ও কুন্তল ঘোষ ছাড়া বৈঠকে কারা থাকতেন, তা জানতেই শহরের তিন অভিজাত হোটেলের কফি শপের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ চাওয়া হয়েছে বলে ইডি সূত্রে জানা গেছে।

    সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে নিয়োগ দুর্নীতিতে কুন্তল এবং শান্তনুর যোগাযোগ সম্পর্কে আরও তথ্য ইডির হাতে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কফি শপে গিয়ে তাঁদের মধ্যে কোনও টাকার লেনদেন হয়েছে কি না, তা-ও ফুটেজ দেখে বোঝার চেষ্টা করবেন তদন্তকারীরা। এর ফলে তদন্তে সুবিধা হতে পারে। তবে কোন তিন কফি শপে কুন্তল আর শান্তনু দেখা করতেন, তদন্তের স্বার্থে আপাতত তা গোপন রাখতে চাইছে ইডি। তবে এখন এটাই দেখার যে, ফুটেজে কী পায় ইডি। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • STF: ছাগল ব্যবসার আড়ালে মাদকের কারবার! শহরে উদ্ধার কোটি কোটি টাকার মাদক, গ্রেফতার দম্পতি

    STF: ছাগল ব্যবসার আড়ালে মাদকের কারবার! শহরে উদ্ধার কোটি কোটি টাকার মাদক, গ্রেফতার দম্পতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের শহরে উদ্ধার টাকা ও প্রায় ৫ কোটি টাকার মাদক। জানা গিয়েছে, ছাগলের ব্যবসার আড়ালে চলছিল মাদকের কারবার। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে সল্টলেকের সুকান্তনগরের নওভাঙা এলাকার একটি পাঁচ তলার ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে ৫ কেজি ব্রাউন সুগার ও লক্ষাধিক টাকা। এরপর এক মহিলা-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (STF)।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    সূত্রের খবর, ওই ফ্ল্যাটের বাসিন্দা মোমিন খান। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী। তিনি ও তাঁর স্ত্রী এই মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। পুলিশের দাবি, মাদক চক্রের পাণ্ডা মহম্মদ মোমিন খান ও তাঁর স্ত্রী মেহতাব। বিশেষ করে মোমিনের স্ত্রী মেহতাবই এই মাদকচক্রের কিংপিন। এর আগেও মাদককাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছিলেন মেহতাব। ওই দম্পতিকে আটক করেছে পুলিশ(STF)।

    গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গতকাল সন্ধ্যায় সুকান্তনগরে মোমিনের ৫ তলার ফ্ল্যাটে হানা দেয় এসটিএফ। ফ্ল্যাটের বিভিন্ন জায়গা থেকে লুকনো মাদক ও টাকা উদ্ধার করে। এই মাদক কোথা থেকে আনা হয়েছিল, কোথায় পাচারের পরিকল্পনা ছিল, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    সূত্রের খবর, ১৫ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ফ্ল্যাটটিতে তল্লাশি চালাচ্ছিলেন গোয়েন্দারা। এসটিএফ সূত্রে খবর, প্রায় সাড়ে ৩ কিলোগ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে মিলেছে হেরোইন এবং ব্রাউন সুগারের মত মাদক তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় প্রায় দেড় কিলোগ্রাম রাসায়নিক। এছাড়াও প্রায় নগদ ৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। টাকাগুলিকে গোয়েন্দারা ট্রাঙ্কে করে নিয়ে গিয়েছেন। বাজেয়াপ্ত হয়েছে বেশ কিছু নথি (STF)।

    কীভাবে খোঁজ পেল এসটিএফ?

    এসটিএফ সূ্ত্রে খবর, এই ঘটনার আগে পার্কসার্কাস এলাকার একটি বাড়িতে প্রথমে হানা দেয় গোয়েন্দারা। সেই জায়গা থেকেই প্রথমে বেনিয়াপুকুর থানা এবং তারপরে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ-এর (STF) নার্কোটিক শাখার কাছে বিধাননগর দক্ষিণ থানা এলাকার, সল্টলেক সেক্টর চারের, ৫বি, নওভাঙার এই বাড়ির দিকে নজর পরে। এরপরে জিজ্ঞাসাবাদ করতে করতে এই বিষয়ে ক্রমশ এসটিএফ নিশ্চিত হয় যে, এই ফ্ল্যাটে এমন কিছু লোকের যাতায়াত আছে যাদের গতিবিধি অত্যন্ত সন্দেহজনক। তখনই জানতে পারে, ছাগলের ব্যবসার আড়ালেই মাদকের ব্যবসা চালাত ওই ব্যক্তি। ধৃতদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃতদের রবিবার আদালতে তোলা হবে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manish Kothari: গরু পাচারের টাকা-পয়সা কোথায়, সব জানেন মণীশ! দাবি ইডির

    Manish Kothari: গরু পাচারের টাকা-পয়সা কোথায়, সব জানেন মণীশ! দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরুপাচার মামলায় আবার অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর হিসাব রক্ষক মণীশ কোঠারিকে (Manish Kothari) মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে পারে ইডি। মণীশকে আরও ৫ দিন ইডির হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। ফলে আগামী সোমবার পর্যন্ত এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর হেফাজতেই থাকবেন মণীশ। 

    সব জানেন মণীশ

    ইডি সূত্রে খবর, অনুব্রত মণ্ডল জানিয়েছেন গরু পাচারকাণ্ডের টাকা-পয়সার যাবতীয় তথ্য জানেন তাঁর হিসাব রক্ষক মণীশ কোঠারি (Manish Kothari)। রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে এমনটাই দাবি করেছেন ED-র আইনজীবী। মঙ্গলবারই গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের হিসাব রক্ষক মণীশ কোঠারিকে গ্রেফতার করে ইডি।  তাঁকে জেরা করে গরু পাচারকাণ্ডের টাকা কোথায় যায়, সেই সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।

    কে এই মণীশ

    জানা গিয়েছে, মণীশ(Manish Kothari) বোলপুরের এক ব্যবসায়ী পরিবারের সন্তান। ব্যবসা সম্পর্কিত বিষয়ে তাঁর ছোট থেকেই আগ্রহ ছিল। কিন্তু, মণীশ ব্যবসায়ী হতে চাননি। হিসাব রক্ষক হিসেবে তাঁর কেরিয়ার তৈরি করেন মণীশ। বীরভূমের ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের কথায় ২০১১ সালে অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবের কাজে হাত লাগান মণীশ। ধীরে ধীরে বীরভূমের এই নেতার অন্যতম বিশ্বাসভাজন হয়ে উঠেছিলেন তিনি। শুধু অনুব্রত নয়, তাঁর মেয়ের একাধিক সংস্থার হিসাব দেখার দায়িত্ব ছিল মণীশের উপরেই।

    আরও পড়ুন: সুকন্যাকে ফের হাজিরার নির্দেশ! কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ আরও তিনজনকে দিল্লিতে তলব ইডির

    কেঁদে ফেলেন মণীশ

    এদিন এই মামলা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে কেঁদে ফেলেন মণীশ (Manish Kothari)। তিনি বলেন, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হয়ে কাজ করাটাই তাঁর ভুল! এদিন ইডির আইনজীবী মণীশ কোঠারিকে হেফাজতে চেয়ে বলেন, তিনি অনুব্রত মণ্ডলের হিসাব রক্ষক। অনুব্রতর হয়ে তিনি এই অপরাধকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন! অনুব্রতর হয়ে একাধিক শেল কোম্পানি তৈরির পাশাপাশি কর্মীও নিয়োগ করতেন তিনি। মণীশ সব জানেন। শুধু অনুব্রতই নন, সায়গল হোসেনের হয়েও তিনি আর্থিক দুর্নীতি করেছেন! এরপর মণীশের (Manish Kothari) আইনজীবী বলেন, তিনি কোনও অপরাধী নন। তিনি চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন মাত্র। তাঁকে ইডি যখনই ডেকেছে, হাজিরা দিয়েছেন। পরবর্তীকালেও সহযোগিতা করবেন। তিনি অসুস্থ। গ্রেফতার করার প্রয়োজন ছিল না। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rajasekhar Mantha: বিচারপতি মান্থার বাড়ির সামনে পোস্টার কাণ্ডে অভিযুক্ত ৬ জনকে তলব আদালতের

    Rajasekhar Mantha: বিচারপতি মান্থার বাড়ির সামনে পোস্টার কাণ্ডে অভিযুক্ত ৬ জনকে তলব আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Justice Rajasekhar Mantha) এজলাসে বিক্ষোভ, বাড়ির সামনে পোস্টার মামলায় পুলিশ কমিশনারের রিপোর্টে নাম থাকা ৬ ব্যক্তিকে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এর পাশাপাশি সিসি ফুটেজ দেখে এজলাসের বাইরে বিক্ষোভে যুক্ত থাকা আইনজীবীদের শনাক্ত করে, তাঁদের নাম মুখবন্ধ খামে আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল বার অ্যাসোসিয়েশনকে। আবার হাইকোর্ট তীব্র ভর্ৎসনাও করেছে পুলিশকে। আদালতের তরফে বলা হয়েছে, বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বাড়ির সামনে পোস্টার লাগানোর ঘটনায় পুলিশ মোটেও ঠিকমত তদন্ত করছে না। এমনই অভিযোগে রীতিমত বিরক্তি প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট।

    আদালতের তরফে কী বলা হল?

    গত ৯ জানুয়ারি বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার (Justice Rajasekhar Mantha) বেঞ্চ বয়কট ও এজলাসে ঢোকার দরজা আটকে বিক্ষোভের ঘটনায় আইনজীবীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল৷ সেই ঘটনায় গতকাল অভিযুক্ত আইনজীবীদের নাম গোপন খামে হাইকোর্টের তিন সদস্যের বিশেষ বেঞ্চে জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ আবার পোস্টার লাগানোর ঘটনায় ৬ জনকে আগামী শুনানির দিন আদালতে হাজির করতে নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি টিএস শিবাগননম, বিচারপতি আইপি মুখোপাধ্যায় এবং বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাসের বিশেষ বেঞ্চ।

    আরও পড়ুন: নোবেল শান্তি পুরস্কার পাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি? কমিটির সদস্যের মন্তব্যে জল্পনা!

    বিচারপতি আরও নির্দেশ দেন, ৯ জানুয়ারি বিচারপতি মান্থার এজলাসের বাইরে বিক্ষোভে যুক্ত থাকা আইনজীবীদের, ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজের মাধ্যমে শনাক্ত করতে হবে।

    পুলিশকে ভর্ৎসনা করলেন বিচারপতি টিএস শিবাগননম

    বুধবার শুনানি চলাকালীন আদালত বলে, “তদন্তের নামে আদালতের সঙ্গে লুকোচুরি খেলবেন না। তদন্ত শামুকের গতিতে হচ্ছে না ঘোড়ার গতিতে, সেটা আমরা দেখব। পুলিশকে সঠিক নাম দিন। একজনের পরিবর্তে আর একজনের নাম দেওয়া ঠিক হবে না।” আবার পুলিশকে ভর্ৎসনা করেছেন বৃহত্তর বেঞ্চের বিচারপতি টি এস শিবাগননম। শুধু তাই নয়, পুলিশ কমিশনারের তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্টও খুলে দেখলেন না বিচারপতি। ২৭ মার্চ, বিচারপতি টিএস শিবাগননম, বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় এবং বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাসের বৃহত্তর বেঞ্চে হবে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: আলিপুরে কারা দফতরের জমি বিক্রিতেও দুর্নীতি! রাজ্যপালকে চিঠি দিলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: আলিপুরে কারা দফতরের জমি বিক্রিতেও দুর্নীতি! রাজ্যপালকে চিঠি দিলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি, গরু পাচার কাণ্ডে নাজেহাল অবস্থা রাজ্যের। এই আবহেই আরও এক দুর্নীতির কথা প্রকাশ্যে আনলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আলিপুরে কারা দফতরের জমি বিক্রি নিয়ে বড়সড় দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই অভিযোগের তদন্ত চেয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে চিঠি দিলেন তিনি। রাজ্যপাল যাতে বিষয়টি অনুসন্ধান করে দেখেন, সেই অনুরোধ জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। বুধবার পাঁচ পাতার চিঠিটি রাজভবনে পাঠিয়ে একটি ট্যুইট করেছেন নন্দীগ্রাম বিধায়ক।

    কী দাবি শুভেন্দুর?

    শুভেন্দু লিখেছেন, “আমি মাননীয় রাজ্যপালকে একটি বড় কেলেঙ্কারির তদন্ত করার জন্য অনুরোধ করেছি যেখানে আলিপুরের সংশোধনাগারের ৫.৬ একর জমি ‘আলিপুর গ্রিন সিটি ডেভেলপমেন্ট’ প্রকল্পের অধীনে অত্যধিক কম দামে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে ৮৭৬ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে।” চিঠিতে শুভেন্দু আরও দাবি করেছেন, আলিপুরের জমিটি মুম্বইয়ের একটি সংস্থাকে নূন্যতম দামে ৯৯ বছরের জন্য লিজ দিয়েছে। ৮৭৬ কোটি টাকার জমি মাত্র ৪১৪ কোটি টাকা বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।

    শুভেন্দুর দাবি, আলিপুরে ৫.৬ একর জমি যেখানে ১০ লাখ স্কোয়ার ফুট বিক্রয়যোগ্য জায়গা রয়েছে, তা এক সংস্থাকে ৪১৪ কোটি টাকায় দিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেখানে মোট বিক্রয়যোগ্য জমির দাম ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকারও বেশি। আলট্রা প্রিমিয়াম ওই অ্যাপার্টমেন্টগুলির দাম আনুমানিক সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা স্কোয়ার ফুট হতে পারে। সেক্ষেত্রে ওই আলিপুরের ওই জমি জলের দরে দিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ শুভেন্দুর। এই দুর্নীতিতে রাজ্যের এক মন্ত্রীর পাশাপাশি কয়েকজন আমলার নামে এই গোটা প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকার অভিযোগ এনেছেন তিনি। এমন সব অভিযোগ এনে জমি বিক্রি ও ওই আবাসন প্রকল্প নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ এনে রাজ্যপালের কাছে তদন্তের দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা।

    উল্লেখ্য, আলিপুর সংশোধনাগার বারুইপুরে স্থানান্তরিত হয়ে যাওয়ার পরেই ওই জমিটির একাংশে স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে একটি মিউজিয়াম তৈরি করা হয়েছে। জমির বাকি অংশটি আবাসন প্রকল্পের জন্য দেওয়া হয়েছে। সেই আবাসন প্রকল্পটি তৈরি করছে একটি বেসরকারি সংস্থা। আর এটি নিয়েই অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু। 

    কারামন্ত্রীর কী বক্তব্য?

    অন্যদিকে, শুভেন্দু অধিকারীর এই অভিযোগের বিষয়ে রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরিকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলছেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের সব নিয়ম মেনেই ওখানে আবাসন প্রকল্প তৈরি হচ্ছে। কোথাও কোনও দুর্নীতি নেই। অভিযোগের কোনও সারবত্তা নেই বলে মনে করি। তবে যে কেউ অভিযোগ করতেই পারেন।” এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দুর লেখা চিঠিতে কী পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, তারই অপেক্ষায় রাজ্যবাসী।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: সুকন্যাকে ফের হাজিরার নির্দেশ! কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ আরও তিনজনকে দিল্লিতে তলব ইডির

    Anubrata Mondal: সুকন্যাকে ফের হাজিরার নির্দেশ! কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ আরও তিনজনকে দিল্লিতে তলব ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ঘনিষ্ঠ তিন মহারথীকে তলব করল ইডি। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, কৃপাময় ঘোষ, মলয় পীঠ ও রাজীব ভট্টাচার্যকে দিল্লিতে তলব করা হয়েছে। রবিবারের মধ্যে এদের দিল্লিতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইডি। 

    অনুব্রত-মণীশ-সুকন্যাকে মুখোমুখি জেরা

    ইতিমধ্যেই গরুপাচার মামলায় দিল্লিতে গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রতর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি (ED arrests Manish Kothari)। হাজিরা দিতে বলা হয়েছে অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে (Anubrata Mondal daughter Sukanya Mondal। অনুব্রত, মণীশের সঙ্গে সুকন্যাকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান ইডির অফিসাররা। উল্লেখ্য, গরু পাচার মামলার গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বিপুল সম্পত্তির উৎস খোঁজার চেষ্টা করছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। গরু পাচারের সঙ্গে যুক্ত টাকা আরও কোনও প্রভাবশালীর কাছে গিয়েছে কি না, সেই সব তথ্যও খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এমন অবস্থায় কেষ্ট, মণীশ ও সুকন্যাকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে, তাঁদের আগের বয়ানের সঙ্গে এখনকার বয়ান মিলিয়ে দেখতে পারবেন তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। এদিকে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, ইডির ডাক পাওয়ার পর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার থেকে আরও কিছুটা সময় চেয়েছেন সুকন্যা। তাঁকে ২০ মার্চের মধ্যে ইডি অফিসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

    আজই দিল্লিতে তলব কৃপাময়কে

    এই সময়ে ইডি অনুব্রত ঘনিষ্ঠ এই তিনজনকে ডেকে পাঠানোয় নিঃসন্দেহে চাপে পড়লেন কেষ্ট। সম্প্রতি আসানসোল থেকে যাওয়ার পথে বর্ধমানের শক্তিগড়ের একটি হোটেলে দাঁড়ায় অনুব্রত মণ্ডলের গাড়ি। সূত্রের খবর, প্রাতঃরাশ করার জন্য অনুব্রত নেমেছিলেন সেখানে। কিন্তু সেখানে পুলিশি প্রহরায় তৃণমূল ছাত্রপরিষদ নেতা কৃপাময় ঘোষ, সুকন্যা মণ্ডলের গাড়ি চালক তুফান মৃধা ও আরও এক অজানা বক্তির সঙ্গে আলোচনা করতে দেখা যায় অনুব্রতকে। এরইমধ্যে কৃপাময়দের তলব করায় নতুন করে জল্পনা ছড়িয়েছে। 

    আরও পড়ুন: চার ঘণ্টা ধরে জেরা কুন্তলের স্ত্রী জয়শ্রীকে! নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কী কী জানতে চাইল ইডি?

    তদন্তকারী সংস্থার একটি সূত্রের দাবি, বৃহস্পতিবারই কৃপাময়কে দিল্লিতে তলব করা হয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, কৃপাময় বোলপুরের নিচু বাঁধগোড়ার বাসিন্দা। পেশায় মৎস্য বিভাগের কর্মীও। বোলপুরের তৃণমূলের পার্টি অফিস দেখাশোনার দায়িত্বেও ছিলেন তিনি। তদন্তকারীদের সূত্রেরও আরও দাবি, কৃপাময় অনুব্রতের নানান সম্পত্তির দেখাভালও করতেন। অন্য দিকে, মাসখানেক আগেই তুফানকে তলব করেছিল সিবিআই। সূত্রের দাবি, কিছু দিন আগে তাঁর নামে বিপুল সম্পত্তির হদিসও মিলেছে। অনুব্রতর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এই তিনজনই অনেক কিছু জানেন বলে মনে করছেন ইডি আধিকারিকরা।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘বাংলার লজ্জা’! প্রাথমিকে পড়াবেন সিভিক ভলান্টিয়াররা? ‘সরকারি শিক্ষা বন্ধের চক্রান্ত’, তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘বাংলার লজ্জা’! প্রাথমিকে পড়াবেন সিভিক ভলান্টিয়াররা? ‘সরকারি শিক্ষা বন্ধের চক্রান্ত’, তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে যখন উত্তাল রাজ্য, সেই আবহেই বাঁকুড়ায় বিতর্কিত পদক্ষেপ নিল পুলিশ। সেখানে সিভিক ভলান্টিয়ারদের প্রাথমিক শিক্ষায় যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। বাঁকুড়া পুলিশের তরফে ‘অঙ্কুর’ প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়েছে। তার আওতায় প্রাথমিক স্কুলগুলিতে ক্লাস নেবেন সিভিক ভলান্টিয়াররা। আর এই সিদ্ধান্ত ঘিরেই শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। এরপরেই এই সিদ্ধান্ত নিয়ে তীব্র কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি অভিযোগ করেছেন, মুখ্যমন্ত্রী স্কুল শিক্ষাকে বেসরকারি করার জন্য ফন্দি এঁটেছেন। আর এ নিয়ে ট্যুইটও করেছেন শুভেন্দু।

    ট্যুইটে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেছেন, রাজ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ইতিমধ্যেই চার লক্ষ কমেছে। রাজ্যের ৮,২০৭টি সরকার পরিচালিত স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা ৩০-এর কম। প্রাথমিকস্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য পরিপূরক ক্লাস করানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ারদের। যার অর্থ, রাজ্য সরকার সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত শিক্ষা একেবারে বন্ধ করার পরিকল্পনা করে ফেলেছে। এর পাশাপাশি ট্যুইটে একটি চিঠিও শেয়ার করেছেন। দেখা গিয়েছে, এই সরকারি চিঠিটি বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার জেলাশাসককে লিখেছেন। যাতে বলা হয়েছে, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সিভিক পুলিশরা ‘অঙ্কুর’ নামে এক প্রকল্পের আওতায় বাঁকুড়ার ৪৬টি স্কুল বা কমিউনিটি সেন্টারে শিশু পড়ুয়াদের পরিপূরক ক্লাস করাবে। জেলাশাসককে এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিতে অনুরোধ করেছেন পুলিশ সুপার।

    পুলিশের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বাঁকুড়ার সাংসদ তথা কেন্দ্রের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী চিকিৎসক সুভাষ সরকার বলেন, “সিভিক ভলান্টিয়াররা শিশুদের ইংরাজি আর অঙ্ক শেখাবে এটা একবিংশ শতকে পশ্চিমবাংলার লজ্জা। এখানে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি, শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে না। সরকার শিক্ষাব্যবস্থা চালাতে না পারলে দায়িত্ব নিয়ে পদত্যাগ করুক।”

    শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর প্রতিক্রিয়া

    রাতে বিষয়টি জানতে পেরে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “বিষয়টি নিয়ে বাঁকুড়ার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমাদের মতামত নেওয়া হয়নি। সেই কারণে আমাদের কাছে মতামত চাওয়ার জন্য ওঁদের বলা হয়েছে। তার পর দেখা যাবে এটা চালু হবে কি না। এখন চালু করা যাবে না।”

  • SSC Scam: চার ঘণ্টা ধরে জেরা কুন্তলের স্ত্রী জয়শ্রীকে! নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কী কী জানতে চাইল ইডি?

    SSC Scam: চার ঘণ্টা ধরে জেরা কুন্তলের স্ত্রী জয়শ্রীকে! নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কী কী জানতে চাইল ইডি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Scam) ধৃত, তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) স্ত্রী জয়শ্রী ঘোষকে (Jayashree Ghosh) জিজ্ঞাসাবাদ করলেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। বুধবার সিজিও কমপ্লেক্সে প্রায় চার ঘণ্টা ধরে চলল প্রশ্নোত্তর পর্ব। জয়শ্রীর নামে বেশ কিছু সম্পত্তিরও হদিশ মিলেছে বলে ইডি সূত্রে খবর। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদে জয়শ্রী মুখে কুলুপ এঁটেই ছিলেন বলে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে।

    জয়শ্রীকে জেরা

    ইডি বা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অভিযোগ,দেশের পূর্ব প্রান্ত থেকে পশ্চিম প্রান্ত পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যবসায় বঙ্গের চাকরি বিক্রির (SSC Scam) দেদার টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। তৃণমূল থেকে সদ্য বহিষ্কৃত যুব নেতা কুন্তল ঘোষ শিক্ষা ক্ষেত্রে বাঁকা পথে নিয়োগের ব্যবস্থা করে দু’হাতে যে-টাকা পকেটে ভরেছিলেন, তা বিনিয়োগ করেছিলেন পূর্বে ত্রিপুরার চা-বাগানে এবং পশ্চিমে গোয়ার হোটেল ব্যবসায়। এমনকি নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) কালো টাকা কুন্তলের মাধ্যমে বাংলাদেশের কয়েকটি সম্পত্তিতেও বিনিয়োগ করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জেনেছে ইডি।  ট্রাস্টের অধীনে থাকা কুন্তলের একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের বোর্ডের সদস্য ছিলেন তাঁর স্ত্রী জয়শ্রী। কুন্তলের স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা ঢুকেছে কিনা, সেই স্কুলের অ্যাকাউন্ট, জয়শ্রীর নামে থাকা সম্পত্তি এবং ব্য়াঙ্কের লেনদেন সংক্রান্ত নথি নিয়ে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল ইডি। 

    আরও পড়ুুন: অযোগ্যদের চাকরির পক্ষে সওয়াল, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ

    তদন্তে অসহযোগিতা জয়শ্রীর

    তদন্তকারীদের দাবি, জয়শ্রীর বয়ানে নানান অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। জয়শ্রীর নামে থাকা সম্পত্তি এবং তাঁর আয়করের নথিপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে। ফের তাঁকে তলব করবে ইডি।  ২০১৭ সালের পরে কুন্তলের দু’টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে জয়শ্রীর অ্যাকাউন্টে দফায় দফায় মোটা অঙ্কের টাকা জমা পড়েছিল। ২০১৭ সালের পর থেকে জয়শ্রীর নামে একাধিক সম্পত্তিও কেনা হয়েছে। বেসরকারি বিএড ও ডিএলএড কলেজ ছাড়াও কয়েকটি বেসরকারি স্কুল আছে কুন্তলের। ট্রাস্ট গঠন করে বেসরকারি কলেজ ও স্কুল কেনা হয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি, জয়শ্রী ওই ট্রাস্টের অন্যতম সদস্যা। ট্রাস্টের মাধ্যমে বেসরকারি স্কুল ও সম্পত্তিতে বিনিয়োগ করে নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) কালো টাকা সাদা করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রের অভিযোগ। রাজারহাট-নিউটাউনের যে ফ্ল্যাট থেকে কুন্তলকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, সেখানে মাঝে মাঝেই বৈঠকে বসতেন কুন্তল ও তাঁর সহযোগীরা। সেখানে উপস্থিত থাকতেন কারা কারা? কোনও প্রভাবশালীর উপস্থিতি থাকত কি না-তাও জানতে চাওয়া হয় জয়শ্রী ঘোষের কাছে। তদন্তকারীদের দাবি, সব প্রশ্নই এড়িয়ে গিয়েছেন জয়শ্রী।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Actor Dev: ‘শাহরুখ ব্যস্ত, সময় দিতে পারছেন না’! বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হচ্ছেন ‘প্রজাপতি’ দেব

    Actor Dev: ‘শাহরুখ ব্যস্ত, সময় দিতে পারছেন না’! বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হচ্ছেন ‘প্রজাপতি’ দেব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর (Brand Ambassador) হচ্ছেন অভিনেতা দেব (Actor Dev)। এতদিন বলিউডের বাদশা শাহরুখ খান ছিলেন রাজ্যের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর। তিনি থাকছেন। তবে তিনি বিশেষ সময় দিতে না পারায় দেবও হচ্ছেন বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর। বুধবার নবান্নের সভাঘরে ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রমোশন বোর্ডের বৈঠক ছিল। উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ছিলেন অন্য মন্ত্রীরাও। আর ছিলেন শিল্পপতিরা। এখানেই মমতা জানান, আগামিদিনে ৪১ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে। বৈঠক শেষে তিনি জানান নয়া ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডরের কথা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শাহরুখ ব্যস্ত। বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর দেব। তিনি বলেন, দেব, তুমি বেঙ্গল ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে কাজ করো তো। শাহরুখ তো আছে। ও খুব ব্যস্ত। তাই সময় পায় না। তাই দেব তুমি এটা করো। মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রস্তাব পেয়ে রাজি হয়ে যান তৃণমূল সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে দেব।

    ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে দেবের (Actor Dev) নাম ঘোষণা…

    বর্তমানে বাংলার পর্যটন বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন দলবদলু বাবুল সুপ্রিয়। তাঁর সামনেই দেবকে (Actor Dev) ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করার কথা বলেন মমতা। তিনি বলেন, এই দেবকে বাংলার পর্যটন দফতরের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করো তো তোমরা। আগে একটা ভাল করে পর্যটন নিয়ে ভিডিও বানিয়ে নাও। তার পর দেবরা মিলে করুক। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শাহরুখ ব্যস্ত হলেও, আমাদের একটি বিজ্ঞাপন শ্যুট করে দিয়েছিল। এর পরেই দেবের নাম ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এ ব্যাপারে বিজ্ঞাপন বানানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রী দায়িত্ব দেন চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষকে।  

    আরও পড়ুুন: ‘‘আসল চোর কালীঘাটে বসে হাসছে’’! নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিস্ফোরক সুকান্ত

    গত অক্টোবরে বিসিসিআই সভাপতি পদ থেকে বাদ পড়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করতে জোরালো সওয়াল করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছিলেন, সৌরভকে রাজনীতির বাইরে রাখা হোক। শাহরুখ খানকে সরিয়ে সৌরভকে বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করা উচিত। তিনি বলেন, ওঁর পাশে থাকতে এই পদক্ষেপ নেওয়া উচিত মমতা সরকারের। তবে বিরোধী দলনেতার প্রস্তাবে কান দেননি মুখ্যমন্ত্রী। এদিন সৌরভ নন, দেবকেই (Actor Dev) করলেন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর। রাজনৈতিক মহলের মতে, অরাজনৈতিক সৌরভকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর না করে স্ব-দলের নেতা দেবের ওপরই যে মুখ্যমন্ত্রী বেশি ভরসা করছেন, এদিনের ঘোষণাই তার প্রমাণ।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Meeting: পুরসভার বোর্ড মিটিং ওয়াকআউট ভাইস চেয়ারম্যানসহ পাঁচজন সিআইসি সদস্যের, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে, কোথায় জানেন?

    Meeting: পুরসভার বোর্ড মিটিং ওয়াকআউট ভাইস চেয়ারম্যানসহ পাঁচজন সিআইসি সদস্যের, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে, কোথায় জানেন?

     মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ টিটাগড়ের পর এবার ভাটপাড়া পুরসভা। বোর্ড মিটিংয়ে (Meeting) ভাটপাড়ার পুরসভার চেয়ারপার্সন রেবা রাহার বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে পুরসভার বোর্ড মিটিং (Meeting)  ওয়াক আউট করলেন ভাইস চেয়ারম্যানসহ পাঁচজন সিআইসি সদস্য। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে। ৩ মার্চ টিটাগড় পুরসভার চেয়ারম্যান কমলেশ সাউয়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান মহম্মদ জলিলের নেতৃত্ব ১৩ জন কাউন্সিলর বোর্ড মিটিং (Meeting)  ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। দলীয় কোন্দলের বিষয়টি জানতে পেরে জেলা নেতৃত্ব হস্তক্ষেপ করে। চেয়ারম্যানের ডানা ছেঁটে ৯ জনের স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়। টিটাগড় পুরসভার মতো এবার বিদ্রোহ আছড়ে পড়ল ভাটপাড়ায়। কিছুদিন আগেই জিলিবি মাঠে ডাম্পিং গ্রাউন্ড থেকে জঞ্জাল সরানোকে কেন্দ্র করেই তৃণমূলের একাধিক কাউন্সিলর পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। এমনকী দাবি আদায়ে তাঁরা রাস্তা অবরোধ পর্যন্ত করেছিলেন। কিন্তু, এখনও সেই দাবি পূরণ হয়নি।  ফলে, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কাউন্সিলারদের একাংশ ক্ষোভে ফুঁসছিলেন। বুধবারের ঘটনা সব কিছুকে ছাপিয়ে গেল। প্রতি মাসের মতো এদিন পুরসভায় বোর্ড মিটিং (Meeting)  ডাকা হয়। সেখানে চেয়ারপার্সন রেবা রাহা, ভাইস চেয়ারম্যান দেবজ্যোতি ঘোষ এবং অমিত গুপ্তা, অরুণ ব্রহ্ম, নুরেজামাল, হিমাংশু সরকারসহ পাঁচজন সিআইসি সদস্য উপস্থিত ছিলেন। মিটিং (Meeting)  শুরু হওয়ার পর পরই পাঁচজন সিআইসি সদস্য এবং ভাইস চেয়ারম্যান বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান।

    বোর্ড মিটিংয়ে কী নিয়ে এত বিদ্রোহ? Meeting

    কিছুদিন আগেই আবাস যোজনা প্রকল্পে উপভোক্তাদের তালিকা নিয়ে পুরসভার এক ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে সিআইসি সদস্য অরুণ ব্রহ্মের বাগবিতন্ডা হয়। তাঁকে ওই ইঞ্জিনিয়র হেনস্থা করে বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে চেয়ারম্যানের কাছে তিনি দরবার করেন। অভিযুক্ত আধিকারিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার তিনি আর্জি জানান। কিন্তু, বেশ কিছুদিন হয়ে যাওয়ার পরও ওই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে, সিআইসি অরুণ ব্রহ্ম ক্ষোভে ফুঁসছিলেন। এদিন বোর্ড মিটিং (Meeting) শুরু হতেই পুরসভার সিআইসি সদস্য অরুণ ব্রহ্ম বলেন, পুরসভার এক আধিকারিক আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে। সেই বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না হলে আমি এই মিটিংয়ে (Meeting)  থাকব না। তিনি বক্তব্য রাখার সঙ্গে সঙ্গে অন্য সিআইসিরা তাঁকে সমর্থন করেন। এমনকী ভাইস চেয়ারম্যান দেবজ্যোতি ঘোষ তাঁকে সমর্থন জানিয়ে পাঁচজন সিআইসি সদস্যের সঙ্গে মিটিং ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। তৃণমূলের এক বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলর সত্যেন রায় বলেন, পুরসভায় চেয়ারপার্সন রেবা রাহার অনেক বয়স। তিনি পুরসভা ঠিকমতো করে চালাতে পারেন না। তাঁর ছেলে জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম ও তাঁর ভাই পুরসভা চালান। পুরসভায় আমাদের কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই। সিআইসি সদস্যদের কোনও মান সন্মান নেই। তাই, বোর্ড মিটিং (Meeting) থেকে সবাই বেরিয়ে যান। অন্যদিকে, জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, পুরসভার একজন কর্মীকে নিয়ে গন্ডগোল হয়েছিল। সামান্য বিষয়। সমস্ত বিষয়টি মিটে যাবে। দলের মধ্যে কোনও কোন্দল নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share