Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Malda: জালনোটের ‘কিংপিন’ থেকে খুন! দিল্লি থেকে গ্রেফতার ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ মালদার তৃণমূল নেতা

    Malda: জালনোটের ‘কিংপিন’ থেকে খুন! দিল্লি থেকে গ্রেফতার ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ মালদার তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে গ্রেফতার করা হল রাজ্যের প্রভাবশালী তৃণমূল (TMC) নেতা আসাদুল্লাহ বিশ্বাসকে। আন্তঃরাজ্য জালনোট পাচার চক্রের ‘কিংপিন’ ছিলেন তিনি। গতমাসেই মালদার (Malda) কালিয়াচকের একটি খুনের মূল অভিযুক্ত হিসেবে নাম উঠে আসে রাজ্যের মালদা জেলার ‘কালিয়াচকের ত্রাস’ বলে পরিচিত তৃণমূল নেতা আসাদুল্লাহ বিশ্বাসের। 

    দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে যে, ডেপুটি কমিশনার (সেন্ট্রাল) এম. হর্ষবর্ধনের নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল বৃহস্পতিবার আসাদুল্লাহকে গ্রেফতার করে। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে দিল্লির পাহাড়গঞ্জের একটি পানশালায় বসে বসে বেশ জমিয়ে মদ খাচ্ছিলেন ওই তৃণমূল নেতা। তখনই গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে মালদার রাজনৈতিক মহলে। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড ক্রিমিনাল’ হিসেবে পুলিশের খাতায় নাম রয়েছে আসাদুল্লাহর। তারপরেও তিনি কালিয়াচক তৃণমূলের শেষ কথা বলে পরিচিত।

    খুনের পরই দিল্লিতে আত্মগোপন করেন আসাদুল্লাহ

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে যে, মালদার (Malda) খুনের ঘটনার মূল অভিযুক্ত আসাদুল্লাহ বিশ্বাস নিজের গ্রেফতারি এড়াতে দিল্লিতে গিয়ে আত্মগোপন করেছিলেন। কালিয়াচক থানা ইতিমধ্যে আসাদুল্লাহর ছেলে সরফরাজ বিশ্বাস সহ মোট আটজনকে গ্রেফতার করেছে এই খুনের ঘটনায়। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে তৃণমূলের (TMC) প্রধান মহম্মদ সারিউলও। গত ১৮ অগাস্ট অহেদুল শেখ নামে এক যুবককে খুন করার অভিযোগ ওঠে আসাদুল্লাহর বিরুদ্ধে। এর আগেও কালিয়াচক থানা পোড়ানোর মামলায় গ্রেফতার হয়ে তিন বছর জেল খেটেছিলেন আসাদুল্লাহ। কিন্তু পরে জামিনে মুক্ত হয়ে এলাকায় ফিরে আসেন তিনি। এবার ঝাড়খণ্ড হয়ে দিল্লিতে জালনোট পাচার করতে গিয়ে সেই রাজ্যের পুলিশের জালে ধরা পড়লেন  আসাদুল্লাহ।

    একাধিক অভিযোগ (Malda) 

    ২০১৭ সালেও এনআইএ আসাদুল্লাহকে গ্রেফতার করে বলে জানা যায়। তার আগে, ২০১৬ সালে এই তৃণমূল নেতাকে বিধানসভা ভোটে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে গৃহবন্দি করে রাখা হয়। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ, নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি), ইডি’র খাতায় আশাদুল্লাহ বিশ্বাসের নামে অন্তত ৫০টি মামলা নথিভুক্ত রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মালদার জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব বলেন, ‘‘অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। দিল্লি পুলিশ গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্তকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে মালদায় (Malda) নিয়ে আসা হবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: আরজি করে ফের গেল সিবিআই, নজরে এবার প্ল্যাটিনাম জুবিলি ভবন

    CBI: আরজি করে ফের গেল সিবিআই, নজরে এবার প্ল্যাটিনাম জুবিলি ভবন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর-কাণ্ডে (RG Kar) বিচারের দাবিতে পথে নেমেছেন সাধারণ মানুষেরা। লাগাতার আন্দোলন চালাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তারেরাও। বিভিন্ন পেশার মানুষ এক যোগে সরব। সুপ্রিম কোর্টও স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে এই মামলার শুনানি করছে। এই আবহের মধ্যে শুক্রবার ফের আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে গেল সিবিআইয়ের (CBI) একটি দল। এর আগেও একাধিক বার তদন্তের স্বার্থে হাসপাতালে যায় সিবিআই। ঘটনাস্থল থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখে তারা। কথা বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। শুক্রবার তদন্তকারীরা হাসপাতালের অধ্যক্ষ যে বিল্ডিংয়ে বসেন, সেই প্ল্যাটিনাম জুবিলি বিল্ডিংয়ে গিয়েছেন। তার পাশাপাশি, অন্যান্য জায়গাও ঘুরে দেখছেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা।

    কেন বারবর প্ল্যাটিনাম বিল্ডিংয়ে যাচ্ছে সিবিআই? (CBI)

    এই বিল্ডিংটি মূলত এটি অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ভবন। এখানে ডিন এবং অধ্যক্ষের অফিস রয়েছে। এই বিল্ডিংয়েই পরপর বেশ কয়েকদিন এসেছেন গোয়েন্দারা। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে এখানকার বিল্ডিং প্ল্যান থেকে শুরু করে চিকিৎসকদের রেজিস্ট্রার সহ সকল অফিশিয়াল ডকুমেন্ট খতিয়ে দেখছেন তারা। এর পাশাপাশি অধ্যক্ষের যে কম্পিউটার রয়েছে সেগুলি খতিয়ে দেখছে তারা (CBI)। এখান থেকে উদ্ধার হওয়া তথ্য আদৌ নির্যাতিতার ঘটনার সঙ্গে কোনও যোগ আছে কি না তা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা। তদন্তের সূত্রে এর আগে বেশ কয়েক বার আরজি করে গিয়েছে সিবিআই। ঘটনাস্থলে থ্রিডি ম্যাপিংও করা হয়েছে। ধৃত-সহ সাত জনের পলিগ্রাফ টেস্ট করেছে সিবিআই। এ বার ধৃতের নার্কো টেস্ট করানোর আর্জি জানানো হয়েছে শিয়ালদা আদালতে। সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত তদন্তে যা উঠে এসেছে, তার সত্যতা যাচাই করতেই সিবিআই ধৃতের নার্কো টেস্ট করাতে চাইছে।

    আরও পড়ুন: সমাধানসূত্র অধরা! “সরাসরি সম্প্রচারে রাজ্য সরকারের কীসের ভয়?’’ প্রশ্ন জুনিয়র ডাক্তারদের

    দুর্নীতির তদন্তে আগেও গিয়েছে সিবিআই

    চিকিৎসক খুনের ঘটনার আবহেই এই আরজি কর মেডিক্যালে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে। অভিযোগ ওঠে, তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে আরজি কর হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতি চলেছে। সে বিষয়ে তদন্তের জন্য গত ১৬ অগাস্ট রাজ্য সরকারের তরফে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করা হয়। এক দিন পরেই উচ্চ আদালতের নির্দেশে রাজ্য পুলিশের পরিবর্তে মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় সিবিআইয়ের (CBI) হাতে। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে একাধিক বেনিয়মের তত্ত্ব উঠে এসেছে। মর্গ থেকে দেহ উধাও হওয়া থেকে শুরু করে রয়েছে হাসপাতালের জৈব বর্জ্য নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগও! এ বিষয়ে পুলিশের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। সেই মামলার তদন্তের সূত্র ধরেও আরজি করে এর আগেও গিয়েছে সিবিআইয়ের দল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Enforcement Directorate: রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে সক্রিয় ইডি, কলকাতা ও জেলায় বালু-ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে তল্লাশি!

    Enforcement Directorate: রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে সক্রিয় ইডি, কলকাতা ও জেলায় বালু-ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে তল্লাশি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে রেশন দুর্নীতি (Enforcement Directorate) মামলায় ফের তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে ইডি। আরজি কর হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, হাসপাতালে আর্থিক বেনিয়মের একাধিক মামলার তদন্ত শুরু করেছে। ইতিমধ্যে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঠিক এই আবহের মধ্যেই কলকাতা সহ একাধিক জেলায় ফের রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে ময়দানে নেমে পড়েছে ইডি। উল্লেখ্য, রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ বাকিবুর রহমানকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। এখন যাঁদের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে, তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ওরফে বালু-ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তাই এই অভিযানে শোরগোল পড়েছে।

    বাকিবুর ঘনিষ্ঠের বাড়িতে হানা (Enforcement Directorate)

    জানা গিয়েছে, কলকাতা, কল্যাণী, জয়নগর, মেদিনীপুর সহ মোট ৭ জায়গায় ইডি শুক্রবার তল্লাশি চালিয়েছে। কলকাতার এক চাল ব্যবসায়ীর বাড়িতে অভিযান চালায় তদন্তকারী সংস্থা। একই ভাবে ভবানীপুর থানা এলাকার চক্রবেড়িয়া সাউথ এলাকার বাসিন্দা লোহা সাউ নামে এক রেশন ডিলারের বাড়ি ঘিরে তল্লাশি চালানো হয়। এদিকে নদিয়ার কল্যাণী-এ ব্লকে এক ফুড ইন্সপেক্টরের বাড়িতে হানা দেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি বাকিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।

    আরও পড়ুনঃ আরজি কর-কাণ্ডে রাজ্যের নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদ, ‘শিক্ষারত্ন’ সম্মান ফেরাচ্ছেন মুর্শিদাবাদের শিক্ষক

    দেগঙ্গাতে একটি সমবায় সমিতিতে হানা

    আবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের বহড়ুবাজারে একটি চালের গোডাউনে হানা দেয় ইডি (Enforcement Directorate)। বাইরে থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী বাড়ি ঘিরে রাখে, এরপর ভিতরে চলে তল্লাশি। একই ভাবে দেগঙ্গাতে একটি সমবায় সমিতিতে হানা দেয় ইডি। রেশন দুর্নীতি মামলায় প্রথমে গ্রেফতার করা হয় বাকিবুরকে। এরপর তাঁকে জেরা করায় উঠে আসে প্রাক্তন মন্ত্রী বালুর নাম। একই ভাবে রেশনের গম, চাল, আটা পাচার করে প্রচুর পরিমাণে কালো টাকা সাদা করার গুরুতর অভিযোগ সামনে এনেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই সঙ্গে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের নাম উঠে এসেছে। এরপর সন্দেশখালিতে তল্লাশি করতে গেলে তদন্তকারী অফিসারদের উপর আক্রমণ করে দুষ্কৃতীরা। একে একে বিরাট কুকীর্তি ফাঁস হওয়ায় চরম চাপের মুখে তৃণমূল।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Protest: আরজি কর-কাণ্ডে রাজ্যের নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদ, ‘শিক্ষারত্ন’ সম্মান ফেরাচ্ছেন মুর্শিদাবাদের শিক্ষক

    RG Kar Protest: আরজি কর-কাণ্ডে রাজ্যের নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদ, ‘শিক্ষারত্ন’ সম্মান ফেরাচ্ছেন মুর্শিদাবাদের শিক্ষক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর-কাণ্ডের (RG Kar Protest) বিচার চেয়ে দিকে দিকে চলছে প্রতিবাদ। কোথাও কোনও শিল্পী সরকারি কমিটির পদ ছেড়েছেন, কোথাও শিক্ষক ফিরিয়েছেন পুরস্কার। আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে এবার রাজ্য সরকার প্রদত্ত শিক্ষারত্ন সম্মান ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিলেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) এক স্কুলশিক্ষক। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে জেলাশাসক এবং স্কুল শিক্ষা দফতরে ইমেল করেছেন বলে জানিয়েছেন হরিহরপাড়া হাজি আলমবক্স সিনিয়র মাদ্রাসার প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তাফা সরকার।

     রাজ্য সরকারের নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদ (RG Kar Protest)

    ২০১৬ সালে শিক্ষারত্ন পুরস্কার পেয়েছিলেন গোলাম সাহেব। স্মারকের সঙ্গে ২৫ হাজার টাকা আর্থিক পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছিলেন তিনি। এখন সাম্মানিক অর্থমূল্য এবং স্মারক, দুটোই সরকারকে ফিরিয়ে দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন তিনি। ওই শিক্ষক জানিয়েছেন, আরজি করের (RG Kar Protest) ঘটনায় প্রেক্ষিতে সরকারের ভূমিকায় তিনি সন্তুষ্ট নন। তিনি বলেন, “আরও বৃহত্তর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জায়গা ছিল। রাজ্য সরকারের নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদে এই পুরস্কার ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। গোটা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানিয়ে দিয়েছি।” তাঁর সংযোজন, “আমি হালকা হতে চাইছি। আমাদের মেয়ের মতো ওই মহিলা ডাক্তার। ওঁকে ধর্ষণ, খুন করার প্রতিবাদে আমার এই পদক্ষেপ।” তাঁর আরও অভিযোগ, ‘প্রশাসনিক ভাবে প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা ভয়ানক ব্যাপার। এর প্রতিবাদে ২৫ হাজার টাকা এবং পুরস্কার ফেরত দিতে চাই আমি।’

    আরও পড়ুন: সমাধানসূত্র অধরা! “সরাসরি সম্প্রচারে রাজ্য সরকারের কীসের ভয়?’’ প্রশ্ন জুনিয়র ডাক্তারদের

    ফেরতের তালিকায় রয়েছেন আরও অনেকে

    আরজি কর-কাণ্ডের (RG Kar Protest) প্রতিবাদে এর আগে বঙ্গরত্ন ফেরানোর কথা ঘোষণা করেছেন সাহিত্যিক তথা শিক্ষক পরিমল দে। শিক্ষারত্ন ফিরিয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার রামশঙ্করপুর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক দীপক মজুমদার। সংশ্লিষ্ট পুরস্কার ফেরানোর কথা ঘোষণা করেছেন পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি হাই স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক অরূপকুমার দাস। বর্তমানে তিনি কাঁথি দক্ষিণ কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক। ওই তালিকায় নয়া সংযোজন গোলাম মোস্তাফা সরকার। এছাড়াও বিদ্যাসাগর পুরস্কার ফিরিয়েছিলেন কৃত্যপ্রিয় ঘোষ ও আশিস লাহিড়ি। সনাতন দিন্দা-সহ একাধিক শিল্পী পদ ছেড়েছেন, পুরস্কারও ফিরিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: দাড়িভিটকাণ্ড এবং ভোটে নিহতদের তিন পরিবারকে চাকরি দিলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: দাড়িভিটকাণ্ড এবং ভোটে নিহতদের তিন পরিবারকে চাকরি দিলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দাড়িভিটকাণ্ড, পঞ্চায়েত এবং লোকসভার ভোটের সময় নিহতদের তিন পরিবারকে চাকরি (Job) দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। প্রতিবছর বিধানসভায় নিজের দফতরে তিনজনকে চাকরি দিতে পারেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এবছর সেই চাকরি দিলেন নন্দীগ্রামের এই বিজেপি বিধায়ক। বিজেপির দাবি, ২০১৮ সালে উত্তর দিনাজপুরে দুই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছিল পুলিশের গুলিতে। একই ভাবে গত পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং লোকসভার নির্বাচনে তৃণমূল দুষ্কৃতীদের আক্রমণে বিজেপি কর্মীদের মৃত্যু হলে এদিন চাকরির কথা ঘোষণা করেন তিনি।

    গ্রুপ-ডি পদে চাকরি দিলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    স্কুলে উর্দু নয়, বাংলা শিক্ষকের দাবি করায়, ২০১৮ সালে প্রকাশ্যে স্কুলচত্বরে বন্দুকের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন রাজেশ সরকার এবং তাপস বর্মণ। সেই খুনের বিচারের মামলা এখনও হাইকোর্টে চলছে। দোষীরা তৃণমূল ঘনিষ্ঠ বলে দাবি উভয় পরিবারের। ঘটনায় সেই সময় রাজ্য রাজনীতি ব্যাপক উত্তাল হয়ে উঠেছিল। এবার এই মৃত ছাত্র রাজেশের ভাই সুজিত সরকারকে চাকরি দিয়েছেন শুভেন্দু। অপর দিকে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ডায়মন্ড হারবারে নিহত ভোলানাথ মণ্ডলের স্ত্রী রূপালি মণ্ডল এবং গত লোকসভা নির্বাচনের সময়ে নন্দীগ্রামে হিংসায় নিহত বিজেপি কর্মী রথিবালা আড়ির নাতি অভিজিৎ আড়িকে চাকরি দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। প্রত্যেককে গ্রুপ-ডি পদে নিযুক্ত করা হয়েছে। রাজ্য সরকার তিন জনকে বেতন দেবে। 

    আরও পড়ুনঃ ‘‘বিচারাধীন বিষয়ে আলোচনা হলে লাইভে আপত্তি কেন?’’ প্রশ্ন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির

    কী বলেলন শুভেন্দু?

    ক্রমাগত খুন-হত্যার রাজনীতির বিরুদ্ধে সরব হয়ে রাজ্যের শাসক দলকে তীব্র আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা। বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এদিন বলেন, “দাড়িভিটের ঘটনা যে সময়ে ঘটেছিল, তখন আমি তৃণমূলে ছিলাম। সৌভাগ্যবশত, ওই পরিবারের সদস্যকে চাকরি (Job) দেওয়ার সুযোগ আমিই পেলাম।’’ রাজ্যের মমতা সরকারের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বার বার প্রশ্ন তোলেন তিনি। সামনেই ২০ সেপ্টেম্বর। এই দিনে উত্তাল হয়ে উঠেছিল উত্তর দিনাজপুরের দাড়িভিট হাইস্কুল। স্কুলের বোমাবাজি করে ছাত্র-ছাত্রীদের উপর ব্যাপক নির্যাতন করেছিল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। সেই সময় মমতা ছিলেন প্যারিস সফরে। তিনি ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের গ্রেফতারের কথা না বলে, আরএসএস এবং বিজেপির ষড়যন্ত্র বলে মন্তব্য করেছিলেন। এই নিয়ে গোটা উত্তরবঙ্গে ব্যাপক ভাবে ছাত্র আন্দোলন হয়েছিল। মামলা পরবর্তী সময়ে কলকাতা হাইকোর্টে গেলে এনআইএ-তদন্ত সংস্থাকে ভার দেওয়া হয়। একই ভাবে ভোট-পরবর্তী হিংসা, বিজেপি কর্মীদের রাজনৈতিক অধিকার সুরক্ষা এবং আইনের শাসন নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র তোপ দাগেন শুভেন্দু অধিকারী।

     

      দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: ঘনাচ্ছে নিম্নচাপ, উত্তাল সমুদ্র, ভারী বৃষ্টি! পুজোর আগেই কি বাংলায় বন্যা পরিস্থিতি?

    Weather Update: ঘনাচ্ছে নিম্নচাপ, উত্তাল সমুদ্র, ভারী বৃষ্টি! পুজোর আগেই কি বাংলায় বন্যা পরিস্থিতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবার তৈরি হচ্ছে গভীর নিম্নচাপ। ফের ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা বাড়ছে দক্ষিণবঙ্গে। শুক্রবার ও শনিবার ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া (Weather Update) দফতর। জানা গিয়েছে, শনিবারের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের উপকূল এবং সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের ওপর তৈরি হতে চলেছে সেই নিম্নচাপ। যার জেরে কলকাতা-সহ দক্ষিণের বেশ কিছু জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। সঙ্গে বইতে পারে দমকা হাওয়া। বাকি জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। প্রশ্ন জাগছে, পুজোর আগে কি বন্যা পরিস্থিতি হবে বাংলায় (West Bengal)? 

    রবিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে দুর্যোগ! (Weather Update)

    হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়ায় লাল সতর্কতা জারি হয়েছে। এই দুই জেলায় একদিনে ২০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নদী-খাল-বিল ভরা থাকায় বানভাসি হওয়ার আশঙ্কাও থাকছে। নিম্নচাপের প্রভাবে ঝাড়খণ্ডেও প্রবল বৃষ্টির সতর্কতা। ফলে, ডিভিসি জল ছাড়লে আরও বাড়তে পারে বিপদ। পাশাপাশি, পূর্ব এবং পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বীরভূমে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির জন্য কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। রবিবার ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূমে ভারী বৃষ্টির (৭০-১১০ মিলিমিটার) পূর্বাভাস রয়েছে। সেখানে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া (Weather Update) দফতর জানিয়েছে, রবিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

    কলকাতার আবহাওয়া কেমন থাকবে?

    অন্যদিকে, শনিবার কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিতে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। দমকা হাওয়ার গতি ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, বাংলাদেশ সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে ৩৫ থেকে ৪৫ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। দমকা হাওয়ার গতি ঘণ্টায় ৫৫ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। রবিবার পর্যন্ত সমুদ্র থাকবে অশান্ত। সে কারণে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে। নিম্নচাপের কারণেই শুক্র থেকে রবিবার দক্ষিণবঙ্গে এই দুর্যোগের সম্ভাবনা রয়েছে বলে আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর।

    আরও পড়ুন: সমাধানসূত্র অধরা! “সরাসরি সম্প্রচারে রাজ্য সরকারের কীসের ভয়?’’ প্রশ্ন জুনিয়র ডাক্তারদের

    ভাসবে উত্তরবঙ্গও

    আলিপুর আবহাওয়া (Weather Update) দফতর জানিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশে বৃহস্পতিবার সকালে তৈরি হয়েছিল ঘূর্ণাবর্ত। তার প্রভাবে রাতে তৈরি হয় নিম্নচাপ। সেই নিম্নচাপ বৃহস্পতিবার রাতে তৈরি হওয়ার পর থেকে ক্রমে পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়েছে। এখন উত্তর এবং উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের ওপর রয়েছে সেই নিম্নচাপ। তার সঙ্গে দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশের ওপর রয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। নিম্নচাপ অঞ্চলটি আরও পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোতে এগোতে শনিবার সকালে পশ্চিমবঙ্গ এবং সংলগ্ন সাগরের ওপর নিম্নচাপে পরিণত হবে। তার প্রভাবেই এই ভারী বৃষ্টি। রবিবার পর্যন্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও। শনিবার উত্তরের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। রবিবার জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, উত্তর দিনাজপুরে বজ্রবিদ্যুৎ- সহ বৃষ্টির জন্য হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: ‘‘বিচারাধীন বিষয়ে আলোচনা হলে লাইভে আপত্তি কেন?’’ প্রশ্ন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির

    RG Kar Incident: ‘‘বিচারাধীন বিষয়ে আলোচনা হলে লাইভে আপত্তি কেন?’’ প্রশ্ন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Incident) মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন বলে জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctors Protest) সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্য সরকারের আলোচনার লাইভ স্ট্রিমিং করা যাচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই যুক্তির কোনও আইনি সারবত্তা নেই বলে দাবি করলেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায়। এদিকে, গত ৯ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ ১০ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টার মধ্যে জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে যোগ দেওয়ার কথা বলেছিল। কিন্তু তাঁদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনে অনড় জুনিয়র ডাক্তাররা। রাজ্য সরকারের সঙ্গে বারবার তাঁদের বৈঠক ভেস্তে গিয়েছে। রাজ্যের সদিচ্ছা নেই বলে আগেই অভিযোগ করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবার একই সুর শোনা গেল সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির গলায়।

    কী বললেন অশোক 

    বৈঠকের লাইভ স্ট্রিমিং ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিচারাধীন বিষয়ের কথা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে লাইভ স্ট্রিমিংয়ে রাজি হননি, তা একেবারেই ওঁর মস্তিষ্কপ্রসূত যুক্তি। বিচারাধীন বিষয় নিয়ে যদি আলোচনা হতে পারে, তা যদি রেকর্ড করা হতে পারে, তা হলে লাইভ স্ট্রিমিংয়ে আপত্তি থাকবে কেন? আইনে এ রকম কিছু নেই৷’’ অশোকের ব্যাখ্যা, সুপ্রিম কোর্ট পর্যবেক্ষণে বলেছিল সরকার এবং চিকিৎসকদের মধ্যে আলোচনাসাপেক্ষে জট কাটুক। পরোক্ষে সুপ্রিম কোর্টই আলোচনার প্রসঙ্গের অবতারণা করেছিল। তাঁর কথায়, ‘‘সেই আলোচনা কী ভাবে হবে বা হবে না, সে বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট কিছু বলেছে বলে আমার অন্তত জানা নেই৷’’

    আরও পড়ুন: সমাধানসূত্র অধরা! “সরাসরি সম্প্রচারে রাজ্য সরকারের কীসের ভয়?’’ প্রশ্ন জুনিয়র ডাক্তারদের

    কর্মবিরতিতে আদালত অবমাননা! আইনজীবীদের যুক্তি

    সুপ্রিম কোর্ট কাজে যোগ দানের অনুরোধ করলেও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা, (RG Kar Incident) এক্ষেত্রে শাসকদলের অনেকেই বলছেন তাঁরা নাকি আদালত অবমননা করেছেন। তবে একথা একেবারেই মানছেন না আইন বিশেষজ্ঞরা। আইনজীবী তথা সিপিএম সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের বক্তব্য, “যাঁরা বলছেন আদালত আবমাননা হচ্ছে, তাঁরা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ না জেনেই বলছেন। সুপ্রিম কোর্ট কোথাও বলেনি, ১০ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টার মধ্যে কাজে যোগ দিতেই হবে জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctors Protest)। আদালত বলেছিল, জুনিয়র ডাক্তাররা ১০ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টার মধ্যে কাজে যোগ না দিলে রাজ্য সরকার তাঁদের বিরুদ্ধে চাইলে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।” এক্ষেত্রে একমত শাসকদল তৃণমূলের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কল্যাণের কথায়, “এটাকে আদালত অবমাননা বলা যায় না। তবে নিশ্চিত ভাবেই বিচার ব্যবস্থার যে কাঠামো রয়েছে, তাতে সুপ্রিম কোর্টকে অসম্মান বা অপমান করা হয়েছে।” জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে সরকারের বৈঠকের লাইভ স্ট্রিমিং প্রসঙ্গে বিকাশ বলেন, ‘‘চিত্রনাট্য অনুযায়ী বৈঠক হবে না বুঝেই মুখ্যমন্ত্রী লাইভ স্ট্রিমিংয়ে রাজি হননি। অন্য সময় তো প্রশাসনিক বৈঠক লাইভ হয়। এখন কেন করলেন না?’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Junior Doctor: ‘স্বাস্থ্য-দুর্নীতিতে পদক্ষেপ নেয়নি রাজ্য’, রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা

    Junior Doctor: ‘স্বাস্থ্য-দুর্নীতিতে পদক্ষেপ নেয়নি রাজ্য’, রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাস্থ্যভবনের সামনে জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctor) অবস্থান-বিক্ষোভ অব্যাহত। তাঁদের লাইভ স্ট্রিমিং-এর দাবি নবান্ন মেনে না নেওয়ার কারণে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁদের আলোচনা হয়নি। বলা যেতে পারে, রাজ্য সরকারের সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠক ভেস্তে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সাহায্য চেয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনে ইমেল করলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। জুনিয়র ডাক্তারদের সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।

    কী রয়েছে চিঠিতে? (Junior Doctor)

    বৃহস্পতিবার বিকেলে নবান্ন ও জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctor) স্নায়ুর লড়াই দেখেছে রাজ্য। নবান্নর বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার জন্য প্রশাসনিক ব্যর্থতাকেই দায়ী করেন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা। আর সেই ব্যর্থতাকে সামনে রেখেই নাকি অচলাবস্থা কাটাতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি দিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু যে চিঠির কপি সামনে এসেছে, তা ভেস্তে যাওয়া নবান্ন-বৈঠকের পর পাঠানো হয়নি। ডাক্তাররা খোলসা করে বলেছেন, ‘‘ওই চিঠি ৯ তারিখে সুপ্রিম কোর্টের শুনানির পর পাঠানো হয়েছিল। ভেবেছিলাম আরজি করের যাবতীয় ঘটনা উল্লেখ করে সব প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে বলব। সেই মর্মেই ১২ সেপ্টেম্বর আমরা রাষ্ট্রপতিকে (President Of India) চিঠি পাঠাই।’’ কী কী উল্লেখ করা হয়েছে ওই চিঠিতে? রাজ্যের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে একের পর এক দুর্নীতির পরও এতদিন কোনও পদক্ষেপ করেনি স্বাস্থ্যভবন। সেই নিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিকর্তা এবং স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তার ইস্তফার কথা বলে তাঁদের পাঁচ দফা দাবির কথা সেখানে বলা হয়।

    আরও পড়ুন:সমাধানসূত্র অধরা! “সরাসরি সম্প্রচারে রাজ্য সরকারের কীসের ভয়?’’ প্রশ্ন জুনিয়র ডাক্তারদের

    কী বললেন জুনিয়র ডাক্তাররা?

    মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctor) বৈঠক না হওয়ার পর ডাক্তাররা বলেছিলেন, ‘‘আমরা নবান্নর দুয়ারে পৌঁছে গিয়েছিলাম। কী চেয়েছিলাম? আমাদের বোনের সঙ্গে যে জঘন্য ঘটনা ঘটে গিয়েছে তার বিচার। ভবিষ্যেতে যাতে এমন ঘটনা না ঘটে তার নিশ্চয়তা। তা নিশ্চিত করার জন্য যাঁরা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, যাঁরা ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে চেয়েছিলেন তাঁদের শাস্তি চেয়েছিলাম। মখ্যমন্ত্রীর চেয়ারের ওপর ভরসা রেখেই আমরা গিয়েছিলাম। গত ৩৩ দিন ধরে আমরা রাস্তায়। দরকারে আরও ৩৩ দিন আমরা রাস্তায় পড়ে থাকব। কিন্তু বিচার আমাদের চাই। আমরা চেয়ার চাই না।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: আরজি করকাণ্ডে অভিযুক্ত সঞ্জয়ের নার্কো পরীক্ষা করাতে চায় সিবিআই

    RG Kar Incident: আরজি করকাণ্ডে অভিযুক্ত সঞ্জয়ের নার্কো পরীক্ষা করাতে চায় সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Incident) হাসপাতালে পড়ুয়া চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের তদন্তে অগ্রগতির জন্য অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের নার্কো পরীক্ষা করানোর সিদ্ধান্ত নিল সিবিআই (CBI)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় অনুমতি চেয়ে নিম্ন আদালতের কাছে আর্জি জানানো হয়েছে। অনুমতি মিললেই অভিযুক্তের নার্কো পরীক্ষা করানো হবে। তবে নার্কো পরীক্ষা করতে গেলে প্রয়োজন হয় অভিযুক্ত ও চিকিৎসকের অনুমতিও।

    কেন নার্কো পরীক্ষা

    এর আগে সিবিআই (CBI) ধৃত সিভিকের পলিগ্রাফ পরীক্ষা করায়। সিবিআই সূত্র মারফত জানা যায়, পলিগ্রাফ পরীক্ষায় ১০টি প্রশ্ন করা হয়েছিল অভিযুক্তকে। প্রতি ক্ষেত্রেই তিনি দাবি করেন, ওই অপরাধের সঙ্গে তিনি জড়িত নন। প্রেসিডেন্সি জেলেই হয় এই পরীক্ষা। যদিও এর আগে কলকাতা পুলিশের হেফাজতে থাকার সময় সঞ্জয় অপরাধ কবুল করেছে বলে দাবি করেছিলেন তদন্তকারীরা। কিন্তু সিবিআই হেফাজতে যেতেই খুন ও ধর্ষণে যুক্ত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে সে। সিবিআইকে সে জানায়, সে সেমিনার রুমে গিয়েছিল। কিন্তু আগে থেকেই ঘটনাস্থলে (RG Kar Incident) পড়ে ছিল দেহ। জিজ্ঞাসাবাদের সময় অভিযুক্ত মিথ্যা বলছেন কি না, তা দেখার জন্যই নার্কো পরীক্ষা করতে চাইছে সিবিআই।

    আরও পড়ুন: সমাধানসূত্র অধরা! “সরাসরি সম্প্রচারে রাজ্য সরকারের কীসের ভয়?’’ প্রশ্ন জুনিয়র ডাক্তারদের

    কীভাবে হয় নার্কো অ্যানালিসিস?

    এই পরীক্ষায় ব্যক্তির ওজন ও অন্যান্য শারীরিক মাপকাঠি অনুসারে তার দেহে নির্দিষ্ট পরিমাণে মাদক প্রবেশ করানো হয়। মাদকের পরিমাণ নির্দিষ্ট করা ও তা প্রয়োগ করার জন্য থাকেন একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। মাদকের প্রভাবে ব্যক্তি মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যায়। তখন সে মিথ্যে কথা বলতে পারে না। অর্থাৎ, যাকে নার্কো করা হচ্ছে, সেই ব্যক্তি সম্পূর্ণ সজ্ঞানে নয়, আধা-তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় থাকে। সেই অবস্থায় তার থেকে উত্তর আদায় করা হয়।

    নার্কো পরীক্ষার জন্য নানা অনুমতি

    সম্প্রতি অভিযুক্তের (RG Kar Incident) লালারস এবং কামড়ের নমুনা বা ‘টিথ ইমপ্রেশন’-ও সংগ্রহ করেছে সিবিআই। সূত্র মারফত আরও জানা গিয়েছে, নিহত চিকিৎসকের শরীরে যে ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গিয়েছিল, সেগুলির সঙ্গে ওই কামড়ের নমুনা এবং লালারস মিলিয়ে দেখা হবে। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক ল্যাবের সাহায্য নিচ্ছে তারা। এ ক্ষেত্রেও নিম্ন আদালতের অনুমতি নিয়েছিল সিবিআই (CBI)। আদালত সম্মতি দেওয়ায় প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। এবার সঞ্জয়ের নার্কো পরীক্ষা করাতে চায় সিবিআই। নিয়ম অনুসারে নার্কে অ্যানালিসিস পরীক্ষা করতে আদালতের অনুমতি প্রয়োজন হয়। যার পরীক্ষা হবে তাঁর অনুমতি লাগে। এছাড়া যার নার্কো করা হবে, তার শারীরিক পরীক্ষা করে দেখে ছাড়পত্র দেবেন একজন চিকিৎসক। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নার্কো অ্যানালিসিস পরীক্ষার যোগ্য কি না সেই মর্মে লিখিত দেন ওই চিকিৎসক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: ‘‘এক মঞ্চে থাকব না’’, মুখ্যমন্ত্রীকে সামাজিকভাবে বয়কটের ঘোষণা রাজ্যপালের

    CV Ananda Bose: ‘‘এক মঞ্চে থাকব না’’, মুখ্যমন্ত্রীকে সামাজিকভাবে বয়কটের ঘোষণা রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ড নিয়ে লাগাতার আন্দোলন চলছে। চিকিৎসকরা পথে নেমে সরব হয়েছেন। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন সিনিয়র ডাক্তাররা। এই আবহের মধ্যে এবার মুখ্যমন্ত্রীকে (Mamata Banerjee) সামাজিকভাবে বয়কট করার কথা ঘোষণা করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। বৃহস্পতিবার রাজভবন থেকে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় একথা জানিয়েছেন তিনি। আরজি কর কাণ্ডের প্রেক্ষিতে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে দায়ী করে রাজ্যপাল জানান, সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন ছাড়া কোনও সরকারি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে হাজির থাকবেন না তিনি। ‘লেডি ম্যাকবেথ’-এর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর তুলনা টেনে রাজ্যপাল জানিয়ে দেন, হুগলি নদীর সব জল দিয়েও তিনি তাঁর নোংরা হাত দু’টো পরিষ্কার করতে পারবেন না।

    মুখ্যমন্ত্রীকে সামাজিকভাবে বয়কট ঘোষণা রাজ্যপালের (CV Ananda Bose)

    বৃহস্পতিবার এক্স হ্যান্ডেলে ৫ মিনিট ৫৯ সেকেন্ডের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন রাজ্যপাল। সেখানেই রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) বলেন, “সড়কে হিংসা, ঘরে হিংসা, ক্যাম্পাসে হিংসা, হাসপাতালে হিংসা, গ্রামে হিংসা, শহরে হিংসা। সব জায়গায় হিংসা। আর মানুষের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বহুমত গণতন্ত্রের অংশ। চুপ করাবেন না। এই নিঃস্তব্ধতাও হিংসা। লোকে বলছে, আজকে বাংলা কোন নৈরাজ্যের দেশে পরিণত হয়েছে? এর দায়িত্ব তো কাউকে নিতে হবে। যতদিন বাংলার মানুষ বিচার না পাচ্ছেন, দোষীদের গ্রেফতারির জন্য পদক্ষেপ নেওয়া না হচ্ছে, যতক্ষণ মানুষের মনে এই আস্থা না জন্মায় যে সুবিচার হয়েছে — আমি রাজ্যপাল হয়ে অপেক্ষা করতে পারি না। তাই আমি সংকল্প নিচ্ছি যে, আমি মুখ্যমন্ত্রীকে সামাজিকভাবে বয়কট করব। আমি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কোনও প্রকাশ্য মঞ্চে থাকব না। আমি এমন কোনও প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে থাকব না যেখানে মুখ্যমন্ত্রী হাজির রয়েছেন। রাজ্যপাল হিসেবে আমার ভূমিকা সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনেই সীমাবদ্ধ থাকবে। এর থেকে কমও না বেশিও না।” শুধু মুখ্যমন্ত্রী নন, রাজ্যপাল তাঁর ক্ষোভ উগরে দেন কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েলকে নিয়েও। তাঁর বক্তব্য, রাজভবনের তরফে কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে নিয়ে পদক্ষেপের কথা বলা হলেও, তা করা হয়নি। নিঃসন্দেহে রাজ্যপালের এই বক্তব্যের পর রাজ্য-রাজভবন তরজাই নয়, রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যেও একটা টানাপোড়েন চলে এল।

    লেডি ম্যাকবেথ বলে কটাক্ষ

    এদিনের ভিডিও বার্তায় রাজ্যপালের (CV Ananda Bose) মুখে শোনা গিয়েছে ‘লেডি ম্যাকবেথ’ প্রসঙ্গও। রাজ্যপাল বলেন, “আমাকে অনেকেই প্রশ্ন করেছেন উদ্ভূত সংকট মোকাবিলায় রাজ্যপাল কী পদক্ষেপ করবেন? আমি সংবিধান, জনতা ও মানুষের কাছে দায়বদ্ধ। সরকার বর্তমান সংকট মোকাবিলায় ব্যর্থ। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রবলভাবে ব্যর্থ হয়েছেন। সব থেকে বড় বিড়ম্বনা হল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীই, স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনিই আবার মুখ্যমন্ত্রী। মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়ার বদলে তাদের বিরোধিতা করছেন বাংলার লেডি ম্যাকবেথ। হুগলি নদীর সব জল দিয়েও বাংলার লেডি ম্যাকবেথ নিজের নোংরা হাত দু’টো পরিষ্কার করতে পারবেন না।”

    আরও পড়ুন: সমাধানসূত্র অধরা! “সরাসরি সম্প্রচারে রাজ্য সরকারের কীসের ভয়?’’ প্রশ্ন জুনিয়র ডাক্তারদের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share