Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • DA: ধর্মঘটীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি নবান্নর, ‘‘সাহস নেই’’! পাল্টা চ্যালেঞ্জ

    DA: ধর্মঘটীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি নবান্নর, ‘‘সাহস নেই’’! পাল্টা চ্যালেঞ্জ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বকেয়া ডিএ-র (DA) দাবিতে আজ, শুক্রবার ধর্মঘটে অনড় ৩৬টি সরকারি কর্মচারি সংগঠনের যৌথ মঞ্চ। আর ধর্মীঘটীদের আন্দোলন রুখতে কড়া নির্দেশিকা জারি করেছে নবান্ন (Nabanna)। বৃহস্পতিবার অর্থ দফতরের তরফে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নির্দিষ্ট কারণ না দেখিয়ে শুক্রবার কোনও সরকারি কর্মী ছুটি নিতে পারবেন না। স্কুল-কলেজ সহ যাবতীয় সরকারি ও সরকার পোষিত প্রতিষ্ঠান ওই দিন পূর্ণ সময় খোলা থাকবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    ডিএ-র (DA) দাবিতে আন্দোলন…

    নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে অবশ্য কর্মীদের ছাড় দেওয়া হয়েছে। কোনও সরকারি কর্মী যদি হাসপাতালে ভর্তি থাকেন বা কোনও সরকারি কর্মী যদি আগাম ছুটি নিয়ে থাকেন, তবে তাঁর ছুটি মঞ্জুর হবে। ধর্মঘটের দিন বিনা অনুমতিতে কেউ কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিত থাকলে, তাঁর বেতন কাটার পাশাপাশি কর্মজীবনের মেয়াদও একদিন কমবে। প্রতিটি দফতরের বিভাগীয় প্রধানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কোনও কর্মী এর পরেও গরহাজির থাকলে তাঁকে শোকজের চিঠি ধরাতে হবে। শোকজের উপযুক্ত উত্তর মিললে তবেই মঞ্জুর হবে ছুটি।

    বকেয়া ডিএ-র (DA) দাবিতে ফেব্রুয়ারি মাসে দু’দিনের কর্মবিরতি পালন করেছেন আন্দোলনকারী সরকারি কর্মচারিরা। তার পরেও সমস্যার সমাধান হয়নি। তার জেরে ১০ মার্চ রাজ্য জুড়ে ধর্মঘট পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৩৬টি সরকারি কর্মচারি সংগঠনের যৌথ মঞ্চ। রাজ্য সরকারের কড়া নির্দেশিকা উপেক্ষা করে ধর্মঘটে অনড় রয়েছেন আন্দোলনকারীরা। রাজ্য সরকারি কর্মীদের অন্যতম বৃহৎ সংগঠন কো-অর্ডিনেশন কমিটি জানিয়েছে, রাজ্য সরকার যতই কড়া পদক্ষেপ করার হুঁশিয়ারি দিক, ধর্মঘট হবেই। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই ধর্মঘটকে সমর্থন করেছেন। তবে জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে সরকারি কর্মীদের ছাড় দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

    ভয় পাবেন না…

    যদিও রাজ্যের হুঁশিয়ারিতে সরকারি কর্মীদের ভয় না পওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বিভিন্ন রাজ্য সরকারি কর্মী সংগঠন। ওই সংগঠনের নেতাদের দাবি, রাজ্য যে নির্দেশিকা জারি করেছে, তা পুরোপুরি বেআইনি। ধর্মঘটে শামিল হলেও, রাজ্য সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।

    আরও পড়ুুন: বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আজ ধর্মঘটে সরকারি কর্মীরা, ফের নির্দেশিকা জারি রাজ্যের

    এদিকে, বিভিন্ন সরকারি দফতরে উপস্থিতির হার কত, তার রিপোর্ট সকাল ১১টার মধ্যেই পাঠাতে হবে নবান্নে (DA)। বৃহস্পতিবারই এই মর্মে নির্দেশ পৌঁছে গিয়েছে বিভিন্ন দফতরের সচিবদের কাছে। নবান্ন সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং এই উপস্থিতির হার দেখতে চান। উপস্থিতির হার পাঠানোর জন্য ইতিমধ্যেই একটি নির্দিষ্ট ফরম্যাট পাঠানো হয়েছে বিভিন্ন দফতরে। প্রশাসনিক মহলের ধারণা, সকাল সাড়ে ১১টার মধ্যেই বিভিন্ন সরকারি দফতরে ধর্মঘটকে উপেক্ষা করে উপস্থিতির হার কত, সে সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • SSC Scam: ইভেন্টে আলাপ, কুন্তলের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই! দাবি অভিনেত্রী কৌশানীর

    SSC Scam: ইভেন্টে আলাপ, কুন্তলের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই! দাবি অভিনেত্রী কৌশানীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে টলিউড যোগ নতুন নয়। এবার নাম জড়িয়েছে অভিনেতা বনি সেনগুপ্তের। সঙ্গে তাঁর বান্ধবী কৌশানী মুখোপাধ্যায় (Kaushani Mukherjee)। অর্পিতা, হৈমন্তীর পর এবার কৌশানী? প্রশ্ন অনেকের মনেই। তবে সেই প্রশ্নের উত্তরে কৌশানী এদিন বলেন, ‘কুন্তল ঘোষের সঙ্গে আমার কোনও ব্যক্তিগত সম্পর্ক নেই। একটা ইভেন্ট করেছিলাম, টাকা পেয়েছি, গল্প শেষ।’ একুশের ভোটে কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্রে কৌশানী তৃণমূলের টিকিটে লড়েছিলেন। 

    কুন্তল-বনি যোগ

    সম্প্রতি কুন্তল ঘোষের সঙ্গে অভিনেতা বনি সেনগুপ্তের যোগাযোগ খুঁজে পেয়েছে ইডি। শুক্রবার সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে তলবও করা হয় অভিনেতাকে। হাজিরাও দেন বনি। তিনি জানান, কুন্তল তাঁকে একটি ল্যান্ড রোভার ডিসকভারি গাড়ি দিয়েছিলেন। সেই সূত্রেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ইডি। সেই সঙ্গে বনি এও বলেন, কুন্তলের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্কের ভিত্তিতেই ওই গাড়ি দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। বদলে কিছু ইভেন্টে তিনি কাজ করে দিয়েছিলেন। বনির বান্ধবী কৌশানীকে নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। কুন্তলের সঙ্গে অভিনেত্রীর যোগাযোগ নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়।

    কৌশানীর দাবি

    প্রসঙ্গ না এড়িয়ে কৌশানী বলেন, “আমি কুন্তলকে বনির মাধ্যমে চিনেছি। একটা ইভেন্ট করেছি। ব্যস। ফিনিশ। আমি কুন্তলের সঙ্গে কোনও ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে নেই যে ওঁর সম্বন্ধে জানতে যাব।” কৌশানী এও বলেন, বনির পেশাদার জীবনের যাবতীয় কিছু দেখাশোনা করেন ওঁর মা। তাই তিনি এসবের কিচ্ছু জানেন না। অভিনেত্রীর কথায়, ‘বনির প্রফেশনাল দিকটা ওঁর মা দেখেন। বাবা, মা আর বনি মিলে সবটা সামলান। আমি ওঁর অভিভাবক নই যে এটা কোরো না, ওটা কোরো না নির্দেশ দেব।’বনির সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্ক থাকলেও তা হাটের মাঝে তিনি কখনও নামিয়ে আনেন না বলে জানিয়েছেন কৌশানী। তাঁর কথায়, ‘বনির সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক চার দেওয়ালের মধ্যে। সেটাকে আমি কখনও বাইরে আনি না।’

    আরও পড়ুন: বনি আমার সঙ্গে পাঁচ বছর কাজ করেছে! অভিনেতা সম্পর্কে বিস্ফোরক কুন্তল ঘোষ

    বনিকে গাড়ি নিয়ে কখনও জিজ্ঞেস করেননি তিনি? এই প্রশ্নের উত্তরে কৌশানীর দাবি, ‘বনি এত সফল একজন অভিনেতা। তিনি একটা গাড়ি কিনতে পারেন না? এটা নিয়ে কি সন্দেহ হওয়ার কথা?’ তবে কৌশানী বিষয়টিকে যতই সহজ করে দেখানোর চেষ্টা করুন না কেন ইডির প্রশ্ন বন্ধু এত দামি গাড়ি কিনলেন, তার বিষয়ে কিছুই জানতে চাইলেন না কৌশানী? সেটা বিশ্বাস করতে একটু হলেও খটকা লাগছে তদন্তকারীদের।  সঙ্গে আরও একটি তথ্য। বনির ‘বিশেষ বন্ধু’ কৌশানীও কুন্তল-ঘনিষ্ঠ সোমা চক্রবর্তীর নখ সাজানোর পার্লারের বিজ্ঞাপনে মুখ দেখিয়েছেন। স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠে তবে কি নিয়োগ মামলায় অভিযুক্ত কুন্তলের সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিল কৌশানীরও। নিয়োগ মামলার তদন্তে নেমে ইডি জানতে পেরেছে এই সোমার অ্যাকাউন্টে লক্ষ লক্ষ টাকা ঢুকেছে কুন্তলের অ্যাকাউন্ট থেকে। সল্টলেকে সোমার একটি নেল পার্লার আছে। তবে সোমার ব্যাপারে কৌশানীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেছেন, ‘‘আমি সোমা চক্রবর্তী নামটাই শুনছি এই প্রথম। ওঁর পার্লারের হয়ে মডেলিং করার কথা তো মনেই পড়ছে না।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Bonny Sengupta: ‘পারিশ্রমিক’ হিসেবে গাড়ি নিয়েছিলেন বনি, কিন্তু কুন্তলের উল্টো বক্তব্য! কী বললেন তিনি?

    Bonny Sengupta: ‘পারিশ্রমিক’ হিসেবে গাড়ি নিয়েছিলেন বনি, কিন্তু কুন্তলের উল্টো বক্তব্য! কী বললেন তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে প্রায় ১১ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দফতর থেকে বেরোন টলি অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত (Bonny Sengupta)। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত হুগলির বলাগড়ের যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের সূত্রে টলিপাড়ার বনিকে শুক্রবার তলব করেছিল ইডি। তবে তার এক দিন আগে বৃহস্পতিবার সকালেই সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে যান বনি। এর পরই প্রকাশ্যে আসে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ইডি জেরার মাঝেই বিরতির সময়ে বনি সংবাদমাধ্যমে বলেন যে, কীভাবে তাঁর সঙ্গে কুন্তলের সম্পর্ক ও  গাড়ি কেনার জন্য তাঁকে ৩৫ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। এই প্রথম নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে কোনও টলি অভিনেতাকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেন তদন্তকারীরা।

    কুন্তল ও বনির আর্থিক লেনদেন নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    প্রথমত, নিয়োগ দুর্নীতিতে বনির নাম জড়ানোর ফলে প্রশ্ন ওঠে যে, তবে কি টালিগঞ্জেও নিয়োগ দুর্নীতির ছায়া? দ্বিতীয়ত, অভিনেতা বলেন, “অনেক সময়ে হয় না, আমাদের পরিচিতরা কিছু দিতে চান, তেমনই হয়েছিল এক্ষেত্রে।” আর কোনও লেনদেন? তখন বনি জানিয়েছেন, আর কোনও লেনদেন তাঁর সঙ্গে কুন্তলের হয়নি। তবে কি ব্যক্তিগত সম্পর্কের জন্যই কুন্তল বনিকে টাকা দিয়েছিলেন? যদিও বনি এই গাড়ি নেওয়ার ব্যাপারে বলেন, “কিছু ইভেন্ট করে দেওয়ার কথা ছিল। আমি তখন গাড়ির প্রয়োজনীয়তার কথা বলি।” ফলে বনি জানান যে, গাড়ির বিষয়টি আসলে বিনিময় প্রথার কাজ করেছিল। তিনি কাজ করে দিয়েছিলেন, তার বদলে গাড়ি নিয়েছিলেন। বনি সেনগুপ্তের দাবি, কুন্তলের সঙ্গে লেনদেনের বিষয়ে তাঁর কোনও লিখিত চুক্তি হয়নি। সূত্রের দাবি, এখানেই ইডির তদন্তকারীদের প্রশ্ন, চুক্তি ছাড়া এত টাকা কিসের জন্য নিলেন বনি সেনগুপ্ত? তাঁর দাবির পক্ষে কি কোনও প্রমাণ আছে?

    আরও পড়ুন: ধর্মঘট রুখতে কড়া অবস্থান রাজ্যের, উপস্থিতির হার কত, নজর রাখবেন মমতা

    কুন্তলের উল্টো বক্তব্য

    কুন্তলের থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়টি বনি (Bonny Sengupta) ‘পারিশ্রমিক’ বলে উল্লেখ করলেও অন্যদিকে কুন্তল উল্টো কথাই বলেন। তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, “আমার ইভেন্টের টাকা নিয়ে উনি কী করেছেন আমি কী করে বলব?”

    অন্যদিকে বনির (Bonny Sengupta) ঘনিষ্ঠ বান্ধবী কৌশানি জানিয়েছেন, ধৃত যুব তৃণমূল নেতার সঙ্গে বনির আর্থিক সম্পর্ক নিয়ে তাঁর কিছু জানা নেই। তিনি বলেন, “এগুলো অনেক আগের, বনি জানে, বনিই বলতে পারবে। বনির সঙ্গে কৌশানির ব্যক্তিগত সম্পর্ক, আমি বাড়ির চার দেওয়ার মধ্যে রাখি। বাড়ির বাইরে যায় না।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • DA: প্রভাব পড়বে জেলায় জেলায়! বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আজ ধর্মঘটে সরকারি কর্মীরা

    DA: প্রভাব পড়বে জেলায় জেলায়! বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আজ ধর্মঘটে সরকারি কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বকেয়া ডিএ-র (DA) দাবিতে আজ, শুক্রবার ধর্মঘট পালন করবেন সরকারি কর্মীরা। যার জেরে এদিন স্কুল-কলেজ-অফিস-কাছারিতে কাজকর্ম না হওয়ারই সম্ভাবনা। যদিও ধর্মঘট রুখতে ফের একপ্রস্ত কড়া নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য সরকার (State Government)। স্বাভাবিকভাবেই ডিএ ইস্যুতে রাজ্য এবং সরকারি কর্মীদের সংঘাত আরও তীব্র হতে চলেছে বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    ডিএ-র (DA) দাবিতে ধর্মঘট রুখতে কড়া রাজ্য…

    বকেয়া ডিএ-র (DA) দাবিতে ফেব্রুয়ারি মাসে দু দিনের কর্মবিরতি পালন করেছেন আন্দোলনকারী সরকারি কর্মচারিরা। তার পরেও সমস্যার সমাধান হয়নি। তার জেরে ১০ মার্চ রাজ্য জুড়ে ধর্মঘট পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৩৬টি সরকারি কর্মচারি সংগঠনের যৌথ মঞ্চ। রাজ্য সরকারের কড়া নির্দেশিকা উপেক্ষা করে ধর্মঘটে অনড় রয়েছেন আন্দোলনকারীরা। বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত মুখ্যসচিবের তরফে জারি করা আরও এক দফা নির্দেশিকায় স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, শুক্রবার কোনওভাবেই পূর্ণ বা অর্ধ দিবস ছুটি নেওয়া যাবে না। ধর্মঘটে শামিল হলে কর্মজীবন থেকে বাদ যাবে একদিন। সেই সঙ্গে করা হবে শোকজ।  

    এদিকে, শুক্রবারের ধর্মঘট যাতে সফল হয়, সেজন্য বৃহস্পতিবারই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় পথসভা করেছেন আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার প্রস্তাবিত ধর্মঘটের দিন সকাল সাড়ে ন’টা থেকে সব সরকারি কার্যালয়ের সামনে পিকেটিং করবেন তাঁরা। যাঁরা অফিস-কাছারিতে আসবেন, তাঁদের ধর্মঘটে শামিল হওয়ার অনুরোধও জানানো হবে। তবে যাঁরা কাজ করতে আগ্রহী, তাঁদের আটকানো হবে না বলেই জানান রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক স্তর থেকে আমরা বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন হয়েছি। শুক্রবার যাঁরা কাজে যোগ দেবেন না, তাঁদের সোমবার কার্যালয়ে ঢুকতে দেওয়া হবে না, এমন হুমকিও দেওয়া হয়েছে কোথাও কোথাও। তবে আমাদের সদস্যরা ধর্মঘট সফল করতে বদ্ধপরিকর।  

    আরও পড়ুুন: কুন্তলের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে গাড়ি কিনেছিলেন বনি! কী বললেন টলি অভিনেতা?

    এবিটিএ-র জেলা সম্পাদক আশিস বিশ্বাস বলেন, তৃণমূলের ছত্রছায়ায় থাকা কিছু শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী ছাড়া সকলেই এই ধর্মঘটে (DA) অংশগ্রহণ করবেন। তবে ছাত্রছাত্রীদের কোনও ক্ষতি হোক, এমনটা আমরা চাই না। তাই শুক্রবারে যে পড়ার ক্ষতি হবে, সেটা কোনও একটি ছুটির দিনে আমরা পড়িয়ে দেব। তিনি বলেন, সরকার নির্দেশিকা জারি করলেও, কখনও মাইনে কাটার বা কর্মদিবস কমিয়ে সমস্যা সৃষ্টি করার সাহস দেখাতে পারেনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • Bogtui: ‘শহিদ দিবস’ পালনের প্রস্তুতি, বিজেপিকে স্বাগত বগটুইবাসীর

    Bogtui: ‘শহিদ দিবস’ পালনের প্রস্তুতি, বিজেপিকে স্বাগত বগটুইবাসীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২১ মার্চ বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুইয়ে (Bogtui) শহিদ দিসব পালন করবে বিজেপি (BJP)। সেই কারণে জোর কদমে চলছে প্রস্তুতি। স্বজনহারা মিহিলাল শেখের বাড়ির পাশে রাস্তার ধারে তৈরি হচ্ছে শহিদ বেদি। দিন কয়েক আগে শহিদ বেদির কাজ কতদূর এগোল তা জানতে বগটুই গ্রামে যান বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা সহ বিজেপির নেতৃবৃন্দ। বিজেপি সূত্রে খবর, এদিন সকালে শহিদ বেদিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা অর্পণ করবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সহ বঙ্গ বিজেপির একাধিক নেতা।

    বগটুইয়ে (Bogtui) সভা করার কথা শুভেন্দুর…

    বগটুই গ্রামের পূর্বপাড়ার খেলার মাঠে প্রকাশ্য সভা করার কথাও রয়েছে শুভেন্দুর। গত বছর ডিসেম্বর মাসে নলহাটির জনসভা থেকে ২১ মার্চ বগটুইয়ে আসার কথা ঘোষণা করেছিলেন শুভেন্দু। দিনটিকে শহিদ দিবস হিসেবে পালন করার কথাও বলেছিলেন। সেই কারণে বিজেপির তরফে শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বলেন, বগটুই (Bogtui) গ্রামে হতদরিদ্র নিরাপরাধ মানুষগুলি প্রায় এক বছর হতে চলল মারা গিয়েছেন। গণতন্ত্র বিরোধী সেই ঘটনাকে স্মরণে রাখতে স্মৃতি স্মারক তৈরি হচ্ছে। বিরোধী দলনেতা এসে তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবেন। ওই কর্মসূচি যাতে ঠিকঠাক হয় তার জন্য জেলা এবং স্থানীয় নেতৃত্ব পরিদর্শনে এসেছিলেন। এলাকার মানুষ যাতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে কর্মসূচিতে যোগ দেন, সেই জন্যও কথা বললাম।   

    ২০২২ সালের ২১ মার্চ রাতে বরশাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুন হন। অভিযোগ, ঘটনার পর মিনিট কুড়ি কাটতে না কাটতেই ভাদু শেখের অনুগামীরা বগটুই গ্রামের ভাদু বিরোধীদের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। পরের দিন পূর্ব পাড়ার বাসিন্দা সোনা শেখের বাড়ি থেকে সাতটি অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ও দমকল বাহিনী। পরবর্তীকালে হাসপাতালে মৃত্যু হয় আরও তিনজনের। ঘটনার পরে পরে এলাকায় আসেন ফিরহাদ হাকিম ও স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুুন: রাজ্যে অ্যাডিনো সংক্রমণ নিয়ে বিবৃতি দাবি শুভেন্দুর, বিধানসভায় বিক্ষোভ

    স্বজনহারা পরিবারগুলির হাতে ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। মৃতদের পরিবারকে দেন চাকরিও। ২০২২ সালের ২৭ ডিসেম্বর নলহাটিতে বিজেপির জনসভায় শুভেন্দুর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন বগটুইকাণ্ডে (Bogtui) মৃত নাজিমা বিবির স্বামী ফটিক শেখ। তিনি বলেন, আমাদের যা ক্ষতি হওয়ার তা তৃণমূলের নেতা ভাদু শেখের অনুগামীরা করেছেন। সেই রাতে তৃণমূলের ব্লক নেতা থেকে সর্বোচ্চ নেতাদের জানানো হলেও, তাঁরা আমাদের পাশে দাঁড়াননি।মৃতদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে বিজেপি যা করছে, তা ঠিকই করছে। স্বজনহারা মিহিলাল শেখ বলেন, মৃতদের স্মরণে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আমরা স্বাগত জানাব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Bonny Sengupta: কুন্তলের টাকায় দামী গাড়ি কিনেছিলেন! ইডিকে কী বললেন টলি অভিনেতা বনি?

    Bonny Sengupta: কুন্তলের টাকায় দামী গাড়ি কিনেছিলেন! ইডিকে কী বললেন টলি অভিনেতা বনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এবারে যুক্ত হয়েছে টলিউডের অভিনেতা বনি সেনগুপ্তর (Bonny Sengupta) নাম। তবে এখানেই শেষ নয়, এর পরই এক চাঞ্চল্যকর তথ্য এল প্রকাশ্যে। অভিযোগ, বনিকে নাকি লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন কুন্তল। তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেই হয়েছিল সেই লেনদেন। আজ ইডি দফতরে জেরার মাঝে বিরতির সময়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে খোদ বনি স্বীকার করে বলেন, “উনি (কুন্তল) আমাকে একবারই (টাকা) দিয়েছিলেন। পাঁচ বছর আগে একটি গাড়ি কিনেছিলাম আমি। উনি আমাকে টাকা দিয়ে সাহায্য করেছিলেন।” কত টাকা দিয়েছিলেন কুন্তল? প্রশ্ন করা হলে ও তাঁকে ৩৫- ৪০ লক্ষ টাকা বলাতে তিনি বলেন, “ওই রকমই।”

    কুন্তল ও বনির মধ্যে টাকার লেনদেন!

    নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে বনি সেনগুপ্তকে (Bonny Sengupta) শুক্রবার তলব করেছিল ইডি। কিন্তু একদিন আগেই ইডি দফতরে পৌঁছে যান তিনি। এর পর দীর্ঘ ৪ ঘণ্টা জেরার পর দুপুরে মধ্যাহ্নভোজের বিরতি চলাকালীন তিনি বাইরে বেরোন। সেখানেই উপস্থিত সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে কুন্তলের সঙ্গে তাঁর পাঁচ বছরের সম্পর্কের কথা স্বীকার করে বলেন, “২০১৭ সালে আমার কুন্তল ঘোষের সঙ্গে আলাপ হয়। কিছু ইভেন্ট এবং অনুষ্ঠানের জন্য অর্গানাইজার মারফত পরিচয় হয় তাঁর সঙ্গে। আমি ওনার জন্য ২২ থেকে ২৫টি ইভেন্ট করেছিলাম। সেই বাবদ পারিশ্রমিক হিসেবে ৩৫ থেকে ৪০ লাখ টাকা নিই।” তিনি বলে দেন, “যে টাকা নিয়েছি, তার সমস্ত কাগজপত্র আমার কাছে আছে। আমি দিয়ে দিয়েছি। তাছাড়া যে অর্থ নিয়েছি, তার বদলে কাজও করেছি। তাই ওই টাকাকে আমার পারিশ্রমিকই বলা যেতে পারে।” এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন কুন্তলের থেকে সেই টাকা ব্যাঙ্কেই নিয়েছিলেন ও যেই গাড়িটি কিনেছিলেন ওই টাকায়, সেটি বিক্রিও করে দিয়েছেন বনি।

    বনি (Bonny Sengupta) আরও জানান, কুন্তল পরে টলিউডে সিনেমা প্রযোজনা করবেন বলে জানালে, তাতে অভিনয় করবেন বলে প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন বনি। যদিও তিনি জানিয়েছেন, পরে সেই ছবি প্রযোজনার পরিকল্পনা বাতিল করে দেন কুন্তল।

    আরও পড়ুন: বনি আমার সঙ্গে পাঁচ বছর কাজ করেছে! অভিনেতা সম্পর্কে বিস্ফোরক কুন্তল ঘোষ

    প্রশ্নের মুখে বনি-কৌশানির প্রোডাকশন হাউজ

    প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই নতুন প্রোডাকশন হাউস বিকে এন্টারটেইনমেন্ট খুলেছেন অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত (Bonny Sengupta) এবং তাঁর বান্ধবী কৌশানি মুখোপাধ্যায়। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে বনির কাছে ইডি-র তলব আসার পর থেকেই সেই প্রোডাকশন সংস্থা নিয়ে টলিউডের অন্দরে উঠতে শুরু করেছে একাধিক প্রশ্ন। এদিন এবিষয়ে বনিকে জিজ্ঞাসা করা হলে, সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে বনি জানিয়েছেন, ২০১৯ সালেই শেষ বার তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছিল কুন্তলের। তার পরে আর কোনও যোগাযোগ হয়নি। এছাড়াও প্রশ্ন উঠেই যাচ্ছে যে, নিয়ো দুর্নীতির টাকা কি টলিউডেও ব্যবহার করা হয়েছে?

    এদিন বনি (Bonny Sengupta) বিরতির সময়ে সংবাদমাধ্যমে কথা বলেন। ফলে বিরতি শেষ হলে আবার সিজিও কমপ্লেক্সেই ফিরে যান ও ইডির মুখোমুখি হন। তবে আজকের জেরা শেষে পরে তাঁকে আবার আসতে বলা হবে কি না, সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছুই জানা যায়নি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bonny Sengupta: বনি আমার সঙ্গে পাঁচ বছর কাজ করেছে! অভিনেতা সম্পর্কে বিস্ফোরক কুন্তল ঘোষ

    Bonny Sengupta: বনি আমার সঙ্গে পাঁচ বছর কাজ করেছে! অভিনেতা সম্পর্কে বিস্ফোরক কুন্তল ঘোষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও বিপাকে পড়লেন টলিউড অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত (Bonny Sengupta)। সংবাদমাধ্যমকে তাঁর বিষয়ে বিস্ফোরক তথ্য দিলেন নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল ঘোষ। বৃহস্পতিবার আদালত থেকে বেরোনোর পথে হুগলির যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ বলেন, “বনি পাঁচ বছর কাজ করেছে আমার ইভেন্টে। তারই পারিশ্রমিক।” সেই কাজ কী? অভিনয় না কি অন্য কিছু, তা স্পষ্ট করেননি কুন্তল। তবে কুন্তলের দাবি, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে বনির কাছে যে টাকা গিয়েছে তা নিছকই ‘পারিশ্রমিক’। অর্থাৎ, কাজের বিনিময়ে সেই টাকা পেয়েছেন টলিউড অভিনেতা।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের শান্তনুকে তলব করল ইডি 

    বৃহস্পতিবার আদালতে নিয়োগ দুর্নীতি মামলা্র শুনানি ছিল। শুনানি শেষ হওয়ার পর আদালত চত্বর থেকে বেরিয়ে পুলিশের গাড়িতে ওঠার আগে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন কুন্তল। বনিকে নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দেন। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বনি সেনগুপ্তকে (Bonny Sengupta) তলব করেছে ইডি। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার ডাকে সাড়া দিয়ে নির্ধারিত দিনের একদিন আগেই, আজ ইডির মুখোমুখি হয়েছেন বনি। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বনির নাম সামনে আসতেই উত্তাল হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। 

    প্রায় একই সময়ে কুন্তল আদালতে এবং বনি (Bonny Sengupta) সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন। কুন্তলের অ্যাকাউন্ট থেকে তাঁর অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হয়েছে কেন, সেই প্রশ্নের জবাব পেতেই বনিকে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। 

    ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগে বনি (Bonny Sengupta) বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। বিজেপির হয়ে প্রচারও করেছিলেন। কিন্তু এক বছর কাটতে না কাটতেই বিজেপির সদস্যপদ ছেড়ে দেন।  কুন্তলের দাবি অনুযায়ী, বিজেপিতে যোগ দিলেও তৃণমূলের নেতার সঙ্গে ‘কাজের’ সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন বনি। উল্লেখ্য বনি বিজেপিতে যোগ দিলেও তাঁর প্রেমিকা টলিউড অভিনেত্রী কৌশানি বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূলে যোগ দেন।

    এদিকে একই মামলায় ইডি স্ক্যানারে রয়েছেন টলিউডের চার অভিনেত্রী। তাঁদের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে এখনই তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না বলে জানা গিয়েছে। এখন তাঁদের ডেকেও পাঠানো হবে না। খোঁজখবর নিয়ে ডেকে পাঠিয়ে প্রশ্ন করার প্রয়োজন হলে, তা হলে তাঁদেরও বনি সেনগুপ্তের মতোই নোটিস পাঠানো হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     
      

  • Suvendu Adhikari: রাজ্যে অ্যাডিনো সংক্রমণ নিয়ে বিবৃতি দাবি শুভেন্দুর, বিধানসভায় বিক্ষোভ

    Suvendu Adhikari: রাজ্যে অ্যাডিনো সংক্রমণ নিয়ে বিবৃতি দাবি শুভেন্দুর, বিধানসভায় বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ক্রমেই বাড়ছে অ্যাডিনো ভাইরাসে (Adeno Virus) শিশু বলির সংখ্যা। তার পরেও তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ। এমতাবস্থায় রাজ্যে অ্যাডিনো ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে সরকার পক্ষের বিবৃতি দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রাজ্য সরকারের তরফে উপযুক্ত জবাব না পেয়ে অধিবেশন চলাকালীনই বিধানসভায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা।

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সহ পদ্ম শিবিরের অভিযোগ…

    পদ্ম শিবিরের অভিযোগ, রাজ্যের স্বাস্থ্য কাঠামো ভেঙে পড়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বিবৃতি দেওয়ার পরেও অ্যাডিনো ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে একের পর এক শিশুর মৃত্যু হচ্ছে কীভাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন গেরুয়া বিধায়করা। অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যাওয়ার পরেও বিধানসভার বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে একের পর এক শিশুমৃত্যু নিয়ে বিবৃতি দিতে হবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে। পরে বিষয়টি নিয়ে তোপ দাগেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    বিজেপির (Suvendu Adhikari) আরও দাবি, অ্যাডিনো ভাইরাসে শিশু মৃত্যুর বিষয়টি কেবল উদ্বেগজনক নয়, এটি সারা রাজ্যের মানুষকে আতঙ্কিত করেছে। তাই এরকম সময় এটি নিয়ে আলোচনা করা অত্যন্ত প্রয়োজন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় যে বিবৃতি দিয়েছিলেন, তাতে সব কিছুই আড়াল করা হয়েছে। ভাইরাসে শিশু মৃত্যুর বিষয়টিকে তিনি কো-মর্বিডিটি বলে আড়াল করেছেন। এর পরেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী বা স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীকে বিবৃতি দিতে বলেন বিজেপি বিধায়করা। এই সময় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়ে দেন, বিষয়টি নিয়ে আগেই বিবৃতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই আর নতুন করে বিবৃতি দেওয়ার প্রয়োজন নেই।

    আরও পড়ুুন: অ্যাডিনো আতঙ্কের মধ্যেই ফের ৩ শিশুর মৃত্যু, বিসি রায় হাসপাতালের বিরুদ্ধে উঠছে অভিযোগ

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেদিন বিধানসভায় বিবৃতি দেন, সেদিন বিধানসভায় ছিলেন না বিজেপি বিধায়করা (Suvendu Adhikari)। এ প্রসঙ্গে পদ্ম শিবিরের তরফে বলা হয়, তুঘলকি আচরণ করবেন বিধানসভায়, স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে আমাদের বিক্ষোভ দেখাতে বাধ্য করা হয়েছে। আর অর্থবিল আর অ্যাপ্রোপ্রিয়েশন বিলে কীভাবে শিশুমৃত্যু নিয়ে বিবৃতি দেওয়া সম্ভব, তা একমাত্র মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীই বলতে পারেন। প্রসঙ্গত, বেসরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত দু মাসে রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ১২৯ জন শিশুর। সকলের শরীরে অবশ্য অ্যাডিনো ভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Suvendu Adhikari: “২ মাস ছিলেন বিজেপিতে, এখন আর নেই”, বনি প্রসঙ্গে বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “২ মাস ছিলেন বিজেপিতে, এখন আর নেই”, বনি প্রসঙ্গে বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে নাম জড়াল টলি অভিনেতা বনি সেনগুপ্তর (Bonny Sengupta)। চলতি সপ্তাহেই তাঁকে তলব করেছিল ইডি। তবে তলবের একদিন আগেই হাজিরা দিলেন তিনি। তলব করা হয়েছিল শুক্রবার। তার একদিন আগেই ইডির দফতরে হাজির হলেন বাংলা সিনেমার অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত। তলবে সাড়া দিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরেই তিনি পৌঁছলেন সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে। আর বনির প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সাফ জানালেন, ভোটের সময় বিজেপিতে এসেছিলেন বনি সেনগুপ্ত। গত দুবছর পার্টির সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই তাঁর। তিনি যদি টাকা নিয়ে থাকেন, তাহলে তাঁকেই এটা দেখতে হবে। এরসঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই।

    কী সম্পর্ক রয়েছে বিজেপির সঙ্গে বনির?

    ২০২১-এ রাজ্যের ‘হাই ভোল্টেজ’ বিধানসভা নির্বাচনের আগে টলিপাড়ার অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রীকে রাজনৈতিক দলের পতাকা হাতে নিয়ে দেখা গিয়েছিল। তাঁদের মধ্যে অন্যতম বনি সেনগুপ্ত (Bonny Sengupta)। মা পিয়া সেনগুপ্ত তৃণমূলের সদস্য হওয়া সত্ত্বেও বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন বনি। উল্লেখ্য, ২০২১-এ বিজেপিতে যোগ দেওয়া বনি, দলের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করার কথা তিনি নিজেই জানিয়েছিলেন ২০২২-সালেই। তাঁর বক্তব্য ছিল, প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হয়েছে বিজেপি, তাই এক বছরেই মোহভঙ্গ। এবারে বিজেপির সঙ্গে অভিনেতার আর কোনও সম্পর্ক নেই বলে জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari) ।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিপাকে অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত, তলবের একদিন আগেই ইডি দফতরে হাজিরা

    বিরোধী দলনেতা কী বললেন?

    এদিন যখন সকাল ১০ টা ১০ মিনিটে সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছেও গিয়েছেন বনি, অন্যদিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) সংবাদমাধ্যমে বনিকে নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, “বনি যদি টাকা নিয়ে থাকেন তাহলে তাকেই ব্যক্তিগতভাবে তার জবাব দিতে হবে। বিজেপি এইসব ‘অ্যালাউ’ করে না। ভোটের সময় ওরকম অনেক তারকারাই দলে যোগ দেন। ২ মাস ছিলেন বিজেপিতে, এখন আর নেই।”

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে অভিযুক্ত হুগলির তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষের দেওয়া নথিতে বনি সেনগুপ্তের নামও রয়েছে। সে বিষয় নিয়েই জিজ্ঞাসাবাদ করতে বনিকে ডেকে পাঠিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। বনির কয়েকজন এজেন্টকেও তলব করা হয়েছে বলে খবর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘অনুব্রত মণ্ডল সুশান্ত ঘোষদের ভাল ছাত্র’, কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘অনুব্রত মণ্ডল সুশান্ত ঘোষদের ভাল ছাত্র’, কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) হল সিপিআইএম (CPM) নেতা সুশান্ত ঘোষদের ভাল ছাত্র। বুধবার নদিয়ার মায়াপুরে ইস্কন মন্দির দর্শনে এসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। গরু পাচারকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। জিজ্ঞাসাবাদ করতে বিস্তর টানাপোড়েনের পর তাঁকে দিল্লি নিয়ে গিয়েছেন ইডি-র আধিকারিকরা। সেই প্রসঙ্গেই সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বিজেপির অধ্যাপক নেতা বলেন, অনুব্রত মণ্ডল হচ্ছে সিপিআইএম নেতা সুশান্ত ঘোষদের ভাল ছাত্র। সুশান্ত ঘোষরা এক সময় এরকম ফাঁকা আওয়াজ দিত। যেটা এখন অনুব্রত দেয়। সঙ্গে আছে চড়াম চড়াম গুড় বাতাসা।

    সিপিএমকে কটাক্ষ সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar)…

    তিনি বলেন, সিপিএম নেতাদের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়েই অনুব্রত বলতো বোম মারব, গুলি মারব। অনুব্রত সিপিআইএমের স্কুল থেকেই পড়া ও পাশ করা। সিপিআইএমের কাছ থেকেই এমন কথার সার্টিফিকেট প্রাপ্ত। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, অনুব্রত মণ্ডল মুখে কুলুপ এঁটে বসে রয়েছেন। যদি তিনি মুখ খোলেন তাহলে তৃণমূল কংগ্রেসে ভূমিকম্প হবে। ধপাস করে দলটাই পড়ে যাবে। এদিন বামেদেরও নিশানা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, অনুব্রতর তিহার যাত্রা নিয়ে সিপিএমের গর্ব হওয়া উচিত যে তারা দিল্লি পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেনি অথচ তাদের ছাত্র দিল্লি পৌঁছে গেছে। তিহার জেলে তিন ভাই এক সঙ্গে থাকবে। তাদের দেখা হবে। ভারত মেলাও হবে তাদের। বহু দিন তারা আলাদা ছিল, এখন গরু দিয়ে কলা দিয়ে একই সূত্রে বাঁধা হবে।

    আরও পড়ুুন: ‘ক্ষমতায় এলে সরকারি কর্মচারীদের ডিএ মিটিয়ে দেব আমরা’, নদিয়ায় আশ্বাস সুকান্তর

    কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে সরকারি কর্মচারীরা শহিদ মিনারের নীচে যে অনশন, অবস্থান বিক্ষোভ করছেন, সে প্রসঙ্গে এদিন সব চেয়ে বেশি সরব হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, আমরা ডিএ দিতে পারব বলছি তো। আমাদের পাঁচ-দশ বছর সময় দিলে আমরা কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেব। আমাদের সেই সুযোগ দেওয়া হোক। মুখ্যমন্ত্রীর পদে থেকে ডিএ দিতে পারব না বলে উনি অপদার্থতার নজির সৃষ্টি করেছন। সুকান্ত বলেন, সেই অপদার্থ মুখ্যমন্ত্রী থাকার চেয়ে না থাকাই ভালো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share