Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Mamata Banerjee: জিট্টি ভাইয়ের সঙ্গে রয়েছে মমতার ভাতৃবধূ কাজরীর যৌথ সম্পত্তি! মিলল হদিশ

    Mamata Banerjee: জিট্টি ভাইয়ের সঙ্গে রয়েছে মমতার ভাতৃবধূ কাজরীর যৌথ সম্পত্তি! মিলল হদিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার কয়লাপাচার দুর্নীতির সঙ্গে আরও জোরদারভাবে জড়িয়ে পড়ল মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) পরিবারের নাম। কয়লাপাচার কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত মনজিৎ সিং গ্রেওয়াল ওরফে জিট্টি ভাইয়ের সঙ্গে হরিশ মুখার্জি রোডেই মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের যৌথ সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। এই জিট্টি ভাইই ‘অতি প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তি’র হয়ে টাকা পার্কিংয়ের কাজ করতেন। 

    এই সম্পত্তি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বাসভবন ‘শান্তিনিকেতন’ থেকে মাত্র আটটি প্লট দূরে। তদন্তকারী সংস্থার হাতে এসেছে সেই নথি। ইতিমধ্যেই কয়লা পাচারকাণ্ডে নাম জড়িয়েছে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বেশ কয়েকবার তাঁকে দিল্লিতে ইডি দফতরের চক্করও কাটতে হয়েছে। সর্বশেষ গত বছরের সেপ্টেম্বরে ইডির ম্যারাথন জেরার মুখে পড়েছিলেন তৃণমূলের সেকন্ড ইন কম্যান্ড। একাধিকবার ইডি জেরার মুখে পড়েছেন অভিষেক-জায়া রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেকের শ্যালিকা মেনকা গম্ভীর, তাঁর স্বামী ও শ্বশুরও।  এবার সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে নাম জড়াল পরিবারের আরও কিছু সদস্যের। মিলল যৌথ সম্পত্তির হদিশ।

    আরও পড়ুন: জটে জমি আটকে রেল-৩: প্রায় ৪০ বছরেও সম্পূর্ণ হল না উত্তর দিনাজপুর জেলার ৩ প্রকল্প   

    কী জানা গেল? 

    ২০৪, হরিশ মুখার্জি রোড, কলকাতা-৭০০০২৬, কালীঘাট থানার ভেতরে কলকাতা কর্পোরেশনের ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং ভাইপো সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঠিকানায় ৩ কাঠা ৩ ছটাক ১৪ বর্গফুটের নির্মাণ সহ জমি। গ্রাউন্ড ফ্লোরের স্ট্রাকচার ১৭১০ বর্গফুট। প্রথম তলা ১৫০০ বর্গফুটের, দ্বিতীয় তলা ১৫০০ বর্গফুটের, তৃতীয় তলা ৫৬৬ বর্গফুটের এবং ৬৮৩ বর্গফুটের ছাদ। সম্পত্তিটি কোনও এক সেন পরিবারের ছিল। এই গোটা সম্পত্তি যৌথভাবে কেনেন দুজন। তাও জলের দরে। একজন ক্রেতা, মনজিৎ সিং ওরফে জিট্টি ভাই। দ্বিতীয় জনের নাম কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের যৌথ সম্পত্তি হিসাবেই রয়েছে নথি। কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায় বর্তমানে ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল  কাউন্সিলর। কাজরী, মুখ্যমন্ত্রীর ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী।

     

    সৌজন্য - গণশক্তি
    সৌজন্য – গণশক্তি

       

    কয়লা পাচারকাণ্ডে আর্থিক তছরুপের অভিযোগে আগামী সপ্তাহেই দিল্লিতে ইডি দফতরে তলব করা হয়েছে চক্রবেড়িয়া লেনের বাসিন্দা, তৃণমূলের হিন্দি সেলের পদাধিকারী মনজিৎ সিং গ্রেওয়াল ওরফে জিট্টি ভাইকে। বুধবার ইডির তরফে রীতিমতো বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছিল যে, এক অতি প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তি তাঁর ঘনিষ্ঠ মনজিৎ সিং গ্রেওয়াল ওরফে জিট্টি ভাইয়ের মাধ্যমে কয়লা পাচারের টাকা নয়ছয় করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আর এত বড় দুর্নীতির অভিযোগ যার বিরুদ্ধে, তাঁর সঙ্গেই যৌথ সম্পত্তির হদিশ মিলল মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) ভাইয়ের স্ত্রীর। তাও আবার হরিশ মুখার্জি রোডেই। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে। 

    জানা গিয়েছে, সেন পরিবারের কাছ থেকে এই সম্পত্তি মাত্র ২৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকায় কিনে নিয়েছিলেন জিট্টি ভাই ও কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ছয় দফায় পে-অর্ডারের মাধ্যমে টাকা দেওয়া হয়েছিল। যদিও সেই সম্পত্তির দলিলেই উল্লেখ রয়েছে সম্পত্তির সেই সময়ে বাজার মূল্য ছিল ১ কোটি ১৮ লক্ষ ৯৫ হাজার ৪৮১টাকা। সম্পত্তি কেনার সময় স্ট্যাম্প ডিউটি দিতে হয়েছে ৮লক্ষ ৩২হাজার টাকা। অথচ এত টাকার সম্পত্তি মাত্র ২৪ লক্ষ টাকায় দখলে নিয়েছিলেন জিট্টি ও কাজরী। এখন সেখানে একটি থ্রি স্টার হোটেল তৈরি হয়েছে। 

    মজার বিষয় হল, খোদ মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) ফেসবুক পেজ থেকেই ২০২১ সালের ৪ অক্টোবর একটি লাইভ করা হয়েছিল। তাতে দেখা যাচ্ছে হরিশ মুখার্জি রোডের একটি গুরুদ্বারে মুখ্যমন্ত্রীর পাশেই দাঁড়িয়ে রয়েছেন এই জিট্টি ভাই। এরপরেও কি ‘আমরা  চিনি না’ বলে পার পেয়ে যাবেন এই পিসি- ভাইপো? 

    তৃণমূলের ভোটের সময়ও সক্রিয় ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল এই জিট্টি ভাইকে। ভোটের খরচেরও অনেক দায়িত্ব ছিল তাঁর কাঁধে। শুধু ৭৩ নম্বর অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রীর নিজের ওয়ার্ডে এই জিট্টি ভাইয়ের তিনটি হোটেল রয়েছে, পাশের ৭০ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছে দুটি হোটেল। শরৎ বসু রোডে ‘জয় হিন্দ ধাবা’ তাঁর প্রথম হোটেল। ভিনরাজ্যেও একাধিক সম্পত্তি মিলেছে জিট্টি ভাইয়ের। ৩নম্বর রানি শঙ্করী লেনে কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঠিকানাতেও রয়েছে তাঁর হোটেল। ভারতী সিনেমা হলের পাশে ‘জয় হিন্দ ব্যাঙ্কোয়েট হল’ও জিট্টি ভাইয়ের।  
     
    প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই ইডি খবর পেয়েছিল শরৎ বোস রোডে চক্রবেড়িয়ায় ‘সালাসার গেস্ট হাউস’ নামে একটি সম্পত্তি কিনেছেন মনজিৎ সিং ওরফে জিট্টি ভাই। বুধবারই সেই সম্পত্তির রেজিস্ট্রি হয় আলিপুরে সাব রেজিস্ট্রারের অফিসে। ঐ গেস্ট হাউসের বাজার দর এখন ১২কোটি টাকা। ৯ কোটি টাকা নগদ দিয়ে সেই সম্পত্তি কেনা হয়। যদিও খাতায়-কলমে দলিলে সম্পত্তির মূল্য মাত্র ৩ কোটি টাকা দেখানো হয়। আর সেই নগদ টাকা লেনদেনের খবর মিলতেই ইডি হানা দিয়েছিল ৫এ, আর্ল স্ট্রিট ঠিকানায় গজরাজ গ্রুপ সংস্থার অফিসে যেখান থেকে উদ্ধার হয় নগদ ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     
     
  • TET Result: অপেক্ষার অবসান, ২ মাস পরে প্রকাশিত হল প্রাথমিক টেটের ফল

    TET Result: অপেক্ষার অবসান, ২ মাস পরে প্রকাশিত হল প্রাথমিক টেটের ফল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে ২ মাস পরে প্রকাশিত হল বহ প্রতীক্ষিত প্রাথমিক টেটের ফল (TET Result)। এই বছর টেটে উত্তীর্ণ হয়েছেন মোট ১ লক্ষ ৫০ হাজার ৪৯১ জন, যা মোট পরীক্ষার্থীর ২৪.৩১ শতাংশ। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় উত্তাল রাজ্য। এর মাঝেই এল খুশির খবর। এক থেকে দশম স্থানের মধ্যে রয়েছেন ১৭৭ পরীক্ষার্থী।

    কারা কত নম্বর পেলেন? 

    প্রথম স্থান অধিকার করেছেন পূর্ব বর্ধমানের ইনা সিং (TET Result)। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ১৩৩। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন চার জন। তাঁরা হলেন হুগলির মৌনিশা কুণ্ডু, পশ্চিম মেদিনীপুরের মেঘনা চক্রবর্তী ও দীপিকা রায় এবং পূর্ব বর্ধমানের অদিতি মজুমদার। প্রাপ্ত নম্বর ১৩২। পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন ৪ জন। তৃতীয় স্থানেও রয়েছেন ৪ জন। তাঁরা হলেন উত্তর ২৪ পরগনার মেহদি হাসান, পূর্ব মেদিনীপুরের বিকাশ ভক্ত, পশ্চিম মেদিনীপুরের মনামী অধিকারী এবং বাঁকুড়ার প্রহ্লাদ মণ্ডল। তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর ১৩১।

    উল্লেখ্য গত বছরের ১১ ডিসেম্বর টেট পরীক্ষা নেয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (TET Result)। এই বছর নাম নথিভুক্ত করান মোট ৬ লক্ষ ৯০ হাজার ৯৩২ জন পরীক্ষার্থী। তার মধ্যে পরীক্ষা দেন ৬ লক্ষ ১৯ হাজার ২০২ জন। পরীক্ষা নেওয়ার ২ মাস পর প্রাকাশিত হয়েছে ফল। পাশ করেছেন মোট ১ লক্ষ ৫০ হাজার ৪৯১ জন। মোট পরীক্ষার্থীর ২৪.৩১ শতাংশ। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৮১ হাজার ৭৭ জন পুরুষ এবং ৬৯ হাজার ৪০৮ জন মহিলা।

    আরও পড়ুন: বই লিখবেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়? দুর্নীতি প্রসঙ্গ কতটা থাকবে তাতে?

    পর্ষদের ওয়েবসাইটে গিয়ে রেজাল্ট দেখতে পাবেন চাকরিপ্রার্থীরা। বেলা ৩টে থেকে ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে রেজাল্ট (TET Result)। ওএমআর বারকোড নম্বর-সহ ফল প্রকাশিত হয়েছে। এই প্রসঙ্গে  পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বলেন, “নিজের কপির সঙ্গে তুলনা করে দেখুন কোনও অসঙ্গতি আছে কি না।” পরীক্ষার্থীদের নিজেদের নম্বর নিয়ে কোনও সন্দেহ থাকলে তাঁরা পোস্ট পাবলিকেশন স্ক্রুটিনি ও ভেরিফিকেশনেরও সুযোগ পাবেন। দু’টি ওয়েবসাইটে জানা যাচ্ছে রেজাল্ট। ওয়েবসাইটে ওএমআর শিটও দেখতে পাবেন পরীক্ষার্থীরা। প্রশ্নে ‘টেকনিক্যাল গ্লিচ’ বা প্রযুক্তিগত কোনও ত্রুটি থাকলে সকলে ৪ নম্বর করে পাবেন। রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও জন্মের তারিখ দিয়ে ওয়েবসাইটেই দেখতে হবে রেজাল্ট। একইসঙ্গে এদিনও পর্ষদ সভাপতি ঘোষণা করেন, এই বছরও হবে টেট।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

                

  • Justice Abhijit Ganguly: বই লিখবেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়? দুর্নীতি প্রসঙ্গ কতটা থাকবে তাতে?

    Justice Abhijit Ganguly: বই লিখবেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়? দুর্নীতি প্রসঙ্গ কতটা থাকবে তাতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিগত কিছুমাস ধরে আলোচনায় রয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। চাকরিপ্রার্থীদের জন্যে তিনি হয়ে উঠেছেন ‘মাসিহা’। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দিয়েছেন  একের পর এক যুগান্তকারী রায়। দুর্নীতিকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনিই। এখনও পর্যন্ত নিয়োগ দুর্নীতির যতগুলো মামলা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে এসেছে, সেগুলোতে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ এবং নির্দেশে তোলপাড় রাজ্য।           

    এবার এক নয়া সংবাদ দিলেন এই তারকা বিচারপতি। নিজেই জানালেন যে, বই লিখতে চান তিনি। আর তাতে থাকবে রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতির উল্লেখও। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বইমেলায় এসে হাল্কা মেজাজে এমনটা জানায় তিনি। এদিন সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিট নাগাদ নিরাপত্তারক্ষী সহ বইমেলায় পৌঁছান বিচারপতি (Justice Abhijit Ganguly)। তাকে দেখা মাত্রই বাড়তে থাকে ভিড়।  

    বিচারপতির দেখা পেতেই তাঁকে ঘিরে ধরেন জনতা। সাধারণ মানুষের উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো। অনেকে তাঁর হাতে ফুলও তুলে দেন। কেউ কেউ প্রণাম করতেও যান। সকলের সাথে কথা বলেন বিচারপতি (Justice Abhijit Ganguly)। সেখানে একজন তাঁকে ভগবান বলে সম্মোধন করলে তার প্রেক্ষিতে বিচারপতি বলেন, “ভগবান আমি নই। ভগবান কেউ নন। ভগবান হল সংবিধান।’’ 

    কী বলেন বিচারপতি? 

    এরপরেই সংবাদমাধ্যম তাঁকে প্রশ্ন করেন “বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ও (Justice Abhijit Ganguly) কি বই লিখবেন?” উত্তরে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “নিশ্চয়ই লিখব। আত্মজীবনী লেখার ইচ্ছা রয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতির কথা অবশ্যই থাকবে। ওই নিয়ে একাধিক মামলা রয়েছে আমার। সেগুলোর কথা থাকবে।’’ এদিন বিভিন্ন স্টলে ঘুরে কেনেন একাধিক বই।

    আরও পড়ুন: কুয়েটের সঙ্গে জেইই এবং নীট সংযুক্তিকরণের পথে ইউজিসি? জানুন বিস্তারিত 

    বইমেলায় ছাত্রজীবনের স্মৃতিচারণও করেন বিচারপতি (Justice Abhijit Ganguly)। উঠে আসে কলেজের প্রসঙ্গও। বলেন, ‘‘কলেজের বন্ধুদের সঙ্গে আসতাম। অন্য রকম হত।’’ উপন্যাস পড়তে বেশি পছন্দ করেন  বলে জানিয়েছেন বিচারপতি। কিনেছেন বেশ কিছু উপন্যাস। শুধু বই নয় এদিন লেখার কালিও কেনেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • TET Scam: পর্ষদের ওয়েবসাইটে নাম দেখিয়ে চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিতেন কুন্তল!

    TET Scam: পর্ষদের ওয়েবসাইটে নাম দেখিয়ে চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিতেন কুন্তল!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির (TET Scam) অভিযোগে ইডির হাতে ধৃত কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) বিরুদ্ধে এবার বিস্ফোরক অভিযোগ আর এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের। কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের দাবি, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ওয়েবসাইটে নাম দেখিয়ে চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিতেন কুন্তল। সিবিআইয়ের দাবি, যাঁর কাছ থেকে টাকা নেওয়া হত, তাঁকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ওয়েবসাইটে নাম দেখানো হত। টাকা নিয়ে পর্ষদের ওয়েবসাইটে উত্তীর্ণ দেখানোর পরে উধাও হয়ে যেত সেই চাকরি প্রার্থীর নাম।

    সিবিআই…

    সিবিআই সূত্রে দাবি, ২০১৪ সালের টেটের (TET Scam) রেজাল্ট দেখিয়ে টাকা তুলেছেন কুন্তল। এই টেটে যাঁরা ফেল করেছিলেন, ওয়েবসাইটে দেওয়া রেজাল্টে তাঁদের পাশ বলে দেখানো হয়েছিল। সেই রেজাল্টের প্রিন্ট আউটও দেওয়া হয়েছিল। দু এক দিন পর সেই চাকরি প্রার্থী যখন পর্ষদের ওয়েবসাইটে গিয়ে নিজের রোল নম্বর দিয়ে রেজাল্ট দেখতেন, সেখানে দেখতেন, তিনি ফেল করেছেন। যদিও তার আগে ভুয়ো রেজাল্ট দেখিয়ে টাকা তুলে নিয়েছিলেন কুন্তল।

    আরও পড়ুুন: বীরভূমে জাল স্লিপ দিয়ে তোলা হচ্ছে কোটি কোটি টাকা, সিবিআই তদন্তের দাবি

    কীভাবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ওয়েবসাইটে ফেল করা চাকরি প্রার্থীদের নাম আপলোড করা হত? তবে কি ভুয়ো ওয়েবসাইট খুলে চাকরিপ্রার্থীদের নাম আপলোড করে প্রতারণা করতেন কুন্তল? নাকি এটা পর্ষদের একাংশের গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ? এসব প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা। নিয়োগ দুর্নীতি (TET Scam) নিয়ে কুন্তলের বিরুদ্ধে আগেও একাধিক অভিযোগ উঠেছে। এমন অভিযোগও উঠেছে, চাকরি দেওয়ার নামে কুন্তল যে টাকা তুলেছে, সেটাই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে রাখা হত। সেই টাকাই পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছিল ইডি। 

    নিয়োগ দুর্নীতিতে মানিক ও কুন্তলের ভূমিকা বোঝাতে গিয়ে শেক্সপিয়রের ম্যাকবেথ নাটকের প্রসঙ্গ টেনেছিলেন ইডির আইনজীবী। তিনি বলেন, নিয়োগ দুর্নীতিতে মানিক ভট্টাচার্য ম্যাকবেথ আর কুন্তলের ভূমিকা ব্যাঙ্কোর মতো। যেভাবে মিলেমিশে তাঁরা এসব করেছেন, তাতে এটাই স্পষ্ট। নিয়োগ দুর্নীতির (TET Scam) শিকড় যে অনেক গভীরে, তা একাধিকবার দাবি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি। কুন্তলের ‘পর্ষদ’ যোগের প্রাথমিক ‘প্রমাণ’ পাওয়ায় কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির সেই দাবিই মান্যতা পেল বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Teachers Transfer: সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের রাজ্যের যে কোনও জায়গায় বদলি করা যেতে পারে! আসছে নয়া গাইড লাইন

    Teachers Transfer: সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের রাজ্যের যে কোনও জায়গায় বদলি করা যেতে পারে! আসছে নয়া গাইড লাইন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতের পরামর্শ মেনে শিক্ষক বদলির ক্ষেত্রে আজ, শুক্রবারই নতুন গাইডলাইন জারি করতে পারে রাজ্য। কলকাতা হাইকোর্টে এমনটাই জানালেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে তিনি এদিন এই কথা জানান।

    নয়া নির্দেশিকা

    এরপরেই শিক্ষা দফতরের আইনজীবীকে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু পরামর্শ দেন, “নতুন নির্দেশিকা আসলেই জেলা স্কুল পরিদর্শকদের দ্রুত সেই নীতি বাস্তবায়নের জন্য তৈরি থাকতে বলুন।” রাজ্যের সরকারি স্কুলে শিক্ষক বদলি নীতি নিয়ে বারবার উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। যেখানে ছাত্র নেই কিন্তু প্রয়োজনের অতিরিক্ত শিক্ষক আছে সেখান থেকে শিক্ষক অন্যত্র বদলি করার পক্ষে মতামত প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি।  অপেক্ষাকৃত কম ছাত্র থাকা স্কুলগুলি থেকে অন্য স্কুল যেখানে শিক্ষকদের প্রয়োজনিয়তা রয়েছে সেখানে বদলি করা হলে কেউ বিরোধিতা করলে তাঁকে বরখাস্ত করার পক্ষেও  মত ছিল তাঁর। বিচারপতি রাজ্যকে বলেছিলেন, “যেখানে ছাত্র নেই কিন্তু প্রয়োজনের অতিরিক্ত শিক্ষক আছে সেখান থেকে শিক্ষক অন্যত্র বদলি করুন।” বদলি চেয়ে শিক্ষকদের আবেদনের হিড়িক দেখে বিচারপতি বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন, “সবাই বাড়ির পাশের স্কুলে বদলি চাইলে স্কুল চলবে কী করে ?”

    আরও পড়ুুন: চাকরি বাতিল ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর, ফেরত দিতে হবে বেতনও

    এই পরিস্থিতিতে রাজ্যকে শিক্ষক বদলি নিয়ে একটি নির্দিষ্ট গাইডলাইন আনার কথা বলেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। কোন স্কুলে কত ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে, তার উপর ভিত্তি করে বদলি হোক, এমনটাই পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। এদিন রাজ্যের তরফে জানান হয়, আজই এই সংক্রান্ত গাইডলাইন প্রকাশ করা হতে পারে। নতুন গাইডলাইন আনা হলে এবার থেকে প্রয়োজনে সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের রাজ্যের যে কোনও জায়গায় বদলি করা যেতে পারে। এর ফলে গ্রামাঞ্চলের স্কুলগুলির পরিস্থিতি উন্নত হতে পারে বলে অনুমান শিক্ষা মহলের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Jhalda: আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী আগামী জুন অবধি ঝালদা পুরসভার দায়িত্বে শীলা, অস্বস্তিতে তৃণমূল

    Jhalda: আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী আগামী জুন অবধি ঝালদা পুরসভার দায়িত্বে শীলা, অস্বস্তিতে তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝালদা পুরসভা (Jhalda) মামলায় নয়া মোড়। শীলা চট্টোপাধ্যায় এবং পূর্ণিমা কান্দুর নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশের সময়সীমা বাড়ালেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। বিচারপতির নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত নিজ নিজ পদে বহাল থাকবেন তাঁরা। আর সেদিনই হবে এই মামলার পরবর্তী শুনানি। তার আগে দুই পক্ষকে হলফনামা পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে সিঙ্গল বেঞ্চ।    

    ঝালদা পুরসভার (Jhalda) চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকে অসাংবিধনিকভাবে সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শীলা চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে সঙ্গ মৃত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু। মামলাটি ওঠে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার সিঙ্গল বেঞ্চে। সেই বেঞ্চ যা রায় দিয়েছিল তার বিরোধিতায় আবার ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। কিন্তু বৃহস্পতিবার ওই মামলার শুনানিতে ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়ই বহাল রাখল। ডিভিশন বেঞ্চের স্পষ্ট নির্দেশ, আপাতত দায়িত্ব সামলাবেন শীলা চট্টোপাধ্যায়ই।

    আরও পড়ুন: বীরভূমে জাল স্লিপ দিয়ে তোলা হচ্ছে কোটি কোটি টাকা, সিবিআই তদন্তের দাবি          

    কী ঘটেছে? 

    ঝালদা পুরসভার (Jhalda) নির্বাচনে কংগ্রেস জেতার পরে শীলা চট্টোপাধ্যায়কে চেয়ারপার্সন করলে, তৃণমূল তা নিয়ে আপত্তি তোলে। সেই আপত্তির ভিত্তিতে পুরুলিয়ার মহকুমাশাসক রীতম ঝাঁ নির্দেশিকা জারি করে তৃণমূল কাউন্সিলর সুদীপ কর্মকারকে চেয়ারম্যান নিয়োগ করেছিলেন। কিন্তু সেই নির্দেশকে যে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন শীলা চট্টোপাধ্যায়। তাতে আদালত তৃণমূলের সুদীপকে চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছে। সেইসঙ্গে পরবর্তী চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল কংগ্রেস কাউন্সিলর তথা নিহত কংগ্রেস নেতা তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দুকে।   

    এরপর কাউন্সিলর পদ (Jhalda) থেকে তাঁকে অপসারণের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শীলা চট্টোপাধ্যায়। সেই মামলা গ্রহণ করে দ্রুত শুনানির ব্যবস্থা করে আদালত। মামলার শুনানিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দেন, ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পূর্ণিমা কান্দু ঝালদা পুরসভার চেয়ারপার্সনের পদ সামলাবেন। সঙ্গে শীলা চট্টোপাধ্যায়ের কাউন্সিলর পদ খারিজের নির্দেশেও স্থগিতাদেশ দেয় আদালত। এবার শীলার চেয়ারপার্সন পদের সময়সীমা বাড়ানো হল জুন অবধি।

    আরও পড়ুন: বীরভূমে জাল স্লিপ দিয়ে তোলা হচ্ছে কোটি কোটি টাকা, সিবিআই তদন্তের দাবি          

    গত ১৬ জানুয়ারি ১২টি আসন বিশিষ্ট ঝালদা (Jhalda) পুরসভার নির্বাচন হয়। ৬ জন কংগ্রেস কাউন্সিলর এবং ১ জন নির্দল কাউন্সিলের ভোট আসে কংগ্রেসের ঝুলিতে। ৫ তৃণমূল কাউন্সিলর ভোটদান থেকে বিরত থাকেন। শীলা চট্টোপাধ্যায় নির্দল কাউন্সিলর হিসাবে কংগ্রেসকে সমর্থন করেন। ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায় চেয়ারপার্সন হিসেবে নির্বাচিত হন। তার পরদিনই এক নির্দেশিকায় মহকুমাশাসক শীলাদেবীর কাউন্সিলর পদ খারিজ করেন। প্রশাসনের যুক্তি, নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে জয়যুক্ত হলেও পরে নিজেকে নির্দল ঘোষণা করেছেন তিনি। যা দলত্যাগবিরোধী আইন বিরোধী। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

         

  • Birbhum: বীরভূমে জাল স্লিপ দিয়ে তোলা হচ্ছে কোটি কোটি টাকা, সিবিআই তদন্তের দাবি

    Birbhum: বীরভূমে জাল স্লিপ দিয়ে তোলা হচ্ছে কোটি কোটি টাকা, সিবিআই তদন্তের দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কার্বন স্লিপের মাধ্যমে পাথর বোঝাই লরির চালকদের কাছ থেকে ফি দিন আদায় হয় কাঁচা টাকা। সম্পূর্ণ ক্যাশে আদায় হয় অর্থ। সরকারিভাবে স্লিপ দেওয়া হলেও, আদায় করা অর্থ জমা পড়ে না সরকারের ঘরে। কারণ স্লিপটি নকল। বীরভূমে (Birbhum) প্রতিদিন এভাবে প্রায় ৩ কোটি টাকা তোলাবাজি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন রামপুরহাট পুরসভার কাউন্সিলর, সঞ্জীব মল্লিক।

    ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সরকার…

    ওই মামলায় আদালত মনে করছে, এতে একদিকে যেমন আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সরকার, তেমনি অযথা দাম বেড়ে যাচ্ছে পাথরের। বৃহস্পতিবার সরকারের তরফে কোনও প্রতিনিধি শুনানিতে উপস্থিত না থাকায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, অবিলম্বে এই বিষয়ে আবেদনকারীকে রাজ্যের এডভোকেট জেনারেলকে নোটিশ দিয়ে জানাতে হবে। রাজ্য সরকারকে মামলায় যুক্ত করতে হবে। রাজ্যের লিগ্যাল রিমাম্ব্রান্সরকেও যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে সোমবার।

    ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের (Birbhum) কাউন্সিলরের আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, মুরারই, রামপুরহাট, মহম্মদবাজার, নলহাটি সহ বীরভূম জেলার ছটি জায়গা থেকে কার্বন স্লিপের মাধ্যমে পাথর বোঝাই লরির ড্রাইভারদের কাছ থেকে কাঁচা টাকা আদায় করা হয়। সরকারিভাবে ওই স্লিপ দেওয়া হলেও, আদায় করা টাকা জমা পড়ে না সরকারের ঘরে। কারণ স্লিপটি জাল। জাল ওই স্লিপটিও এদিন আদালতে পেশ করেন মামলাকারীর আইনজীবী।

    আরও পড়ুুন: চাকরি বাতিল ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর, ফেরত দিতে হবে বেতনও

    বীরভূমে এই অর্থ আদায় নিয়ে একাধিকবার সংঘর্ষ হয়েছে দুই গোষ্ঠীর। অন্তত আবেদনকারীর দাবি এমনই। তাঁর মতে, বগটুইয়ে ভাদু শেখের খুনের নেপথ্যেও রয়েছে এই পাথর খাদানের তোলা বাঁটোয়ারার বিষয়টি। বগটুইকাণ্ডের পর কিছু দিন বন্ধ থাকলেও, ফের সেই তোলাবাজি শুরু হয়েছে। আবেদনকারীর অভিযোগ, প্রতিদিন প্রায় তিন কোটি টাকা নগদে আদায় হলেও, রাজ্যের কোষাগারে জমা পড়ছে না। চলছে বেআইনি লেনদেন। তৃণমূলের বীরভূম (Birbhum) জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের লোকজনই একাজ করছে বলে অভিযোগ। বিচারপতি মান্থা বলেন, এ বিষয়ে রাজ্য সরকারের বক্তব্য শোনা বিশেষ জরুরি। তাই ফের সব পক্ষকে নোটিশ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় আবেদনকারীকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • SSC Scam: আদালতের নির্দেশ মেনে ১৯১১ গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি বাতিল করল এসএসসি, জারি বিজ্ঞপ্তি

    SSC Scam: আদালতের নির্দেশ মেনে ১৯১১ গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি বাতিল করল এসএসসি, জারি বিজ্ঞপ্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে (SSC Scam) এক নয়া মোড়। ১৯১১ জন অবৈধভাবে চাকরি প্রাপকের চাকরি বাতিল করল স্কুল সার্ভিস কমিশন। আদালতের নির্দেশের আধ ঘণ্টার মধ্যেই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে তারা। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী গ্রুপ ডি পদে কর্মরত ১৯১১ জনের চাকরি বাতিল করা হয়েছে। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি প্রত্যাহার করার নির্দেশ দেন। এই চাকরি প্রাপকদের যে বৈধ পদ্ধতিতে চাকরি হয়নি তার প্রমাণ পেয়েছে আদালত। আর তারপরই এই নির্দেশ। আদালতের তরফে এই নির্দেশ আসার পরেই ওই গ্রুপ ডি কর্মীদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ জারি করে এসএসসি৷

    আজ মামলার শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআইকে স্পষ্ট নির্দেশ দেন, এই যে ১৯১১ জনের চাকরি বাতিল (SSC Scam) করা হল, এদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে সিবিআইকে। এদের আজ থেকেই স্কুলে ঢোকা বন্ধ। এদের বেতন বন্ধ করার নির্দেশও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় দিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: শিক্ষানবিশ পদে কর্মী নিয়োগ করবে কলকাতা মেট্রো, জানুন বিস্তারিত 

    উল্লেখ্য, গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) তদন্ত নেমে সিবিআই গাজিয়াবাদ থেকে বেশ কিছু ওএমআর শিট বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই। সেখানে দেখা যায়, স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে যে সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছে, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে যে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে সেখানেও একাধিক অসঙ্গতি রয়েছে। ৪ হাজার ৪৮৭ জন ইতিমধ্যে গ্রুপ ডিতে নিয়োগপত্র পেয়েছেন, ২৮২০টি ওএমআর শিট বিকৃত করা হয়েছে। সিবিআই সেই বিস্তারিত তথ্য স্কুল সার্ভিস কমিশনকে দিয়েছিল।

    নিয়োগ দুর্নীতিতে জর্জরিত বাংলা

    এই মুহূর্তে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Scam) উত্তাল বাংলা৷ প্রাথমিক থেকে এসএসসি, শিক্ষক থেকে গ্রুপ ডি কর্মী, সব নিয়োগের ক্ষেত্রেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে৷ বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে যোগ্য  চাকরিপ্রার্থীরা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন৷ আদালতের নির্দেশে দুর্নীতি মামলার তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে সিবিআই৷ আর যেহেতু পুরো প্রক্রিয়ার মধ্যে বেআইনি আর্থিক লেনদেন হয়েছে বলে অভিযোগ, তাই তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট৷ ইতিমধ্যে এই দুই কেন্দ্রীয় এজেন্সি পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, কুন্তল ঘোষের মতো হেভিওয়েটদের গ্রেফতার করেছে৷

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • SSC Scam: পিএইচডি, স্নাতকোত্তর ডিগ্রি ব্যবহার করতে পারবেন না সুবীরেশ, নির্দেশ আদালতের

    SSC Scam: পিএইচডি, স্নাতকোত্তর ডিগ্রি ব্যবহার করতে পারবেন না সুবীরেশ, নির্দেশ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রুপ ডি (Group D) নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যুক্ত করা হল এসএসসির (SSC) তৎকালীন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে। ওই মামলায় (SSC Scam) শুক্রবার তাঁকে শোনানো হল কঠোর ‘সাজা’। সাজার কথা শোনালেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, যতদিন না এই মামলার নিষ্পত্তি হচ্ছে, ততদিন নিজের ডক্টরেট উপাধি ব্যবহার করতে পারবেন না সুবীরেশ। ব্যবহার করতে পারবেন না স্নাতকোত্তর ডিগ্রিও।

    কারচুপি…

    শুক্রবার ওএমআর শিটে কারচুপি করে চাকরি পাওয়া ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর সুপারিশপত্র প্রত্যাহারের জন্য এসএসসিকে নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এই মামলার সূত্রেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানতে চান, কার নির্দেশে এতজনকে বেআইনিভাবে নিযুক্ত করা হয়েছে? তাঁদের নাম প্রকাশ্যে আনার জন্য কমিশনের তদানীন্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এর পরেই আদালত নির্দেশ দেয়, যতক্ষণ না সুবীরেশ ভট্টাচার্য নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করছেন, ততদিন তিনি তাঁর পিএইচডি, স্নাতকোত্তর ডিগ্রি ব্যবহার করতে পারবেন না। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আরও বলেছেন, নাম না বললে ধরে নেব, সুবীরেশ ভট্টাচার্যই দুর্নীতির (SSC Scam) মাথায়। প্রয়োজনে তাঁকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়া হবে বলেও জানান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যযের প্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে বলে মনে করে আদালত।

    আরও পড়ুুন: চাকরি বাতিল ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর, ফেরত দিতে হবে বেতনও

    এদিন আদালতে মামলার শুনানিতে পর্যবেক্ষণে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, এত বড় একটা দুর্নীতি, অথচ তাতে সুবীরেশ ভট্টাচার্যের কোনও যোগ থাকবে না, এটা হতে পারে না। তাই সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে এই মামলায় যুক্ত করতে হবে। কারণ তাঁর আমলেই এই সব নিয়োগ হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতিতে যে সুবীরেশ ভট্টাচার্যের ওপরেও কেউ রয়েছে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। এদিন আদালতের পর্যবেক্ষণে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, সেই মাথার নাম বলতে হবে সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে। না হলে তিনিই দোষী (SSC Scam) বলে মনে করা হবে। সুবীরেশ ভট্টাচার্য যদি নাম বলতে ভয় পান, তাহলে সিআরপিএফ দিয়ে তাঁকে নিরাপত্তা দিতে হবে। বিচারপতি বলেন, প্রয়োজনে সুবীরেশ ভট্টাচার্যের পরিবারকে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নিরাপত্তা দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, এদিনই গ্রুপ ডি মামলায় ১৯১১ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Recruitment: শিক্ষানবিশ পদে কর্মী নিয়োগ করবে কলকাতা মেট্রো, জানুন বিস্তারিত

    Recruitment: শিক্ষানবিশ পদে কর্মী নিয়োগ করবে কলকাতা মেট্রো, জানুন বিস্তারিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকরির জন্যে যারা অপেক্ষা করছেন তাদের জন্যে সুখবর। শিক্ষানবিশ পদে কর্মী নিয়োগ (Recruitment) করতে চলেছে কলকাতা মেট্রো রেল। মঙ্গলবার বিবৃতি জারি করে এমনটাই জানিয়েছে, মেট্রো রেল। ২০২৩-২৪ বর্ষের জন্য শিক্ষানবিশ নিয়োগ করা হবে। ১২৫টি শূন্যপদে নিয়োগ করা হবে কর্মী। মাধ্যমিক পাশ হলেই আবেদন করা যাবে।   

    ওয়েবসাইট থেকে আবেদনপত্র ডাউনলোড করে, ফিলআপ করে নির্দিষ্ট ঠিকানায় পাঠাতে হবে (Recruitment)। পশ্চিমবঙ্গের যে কোনও জেলার চাকরিপ্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। কাজের ক্ষেত্র হবে কলকাতা।

    এই বিষয়ে কিছি বিশেষ তথ্য জেনে নিন, 

    মোট শূন্যপদ: ১২৫

    ফিটার ৮১

    ইলেকট্রিশিয়ান ২৬

    মেশিনিস্ট ৯

    ওয়েল্ডার ৯

    শিক্ষাগত যোগ্যতা 

    কলকাতা মেট্রোর অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী প্রার্থীকে যে কোনও স্বীকৃত বোর্ড থেকে ন্যূনতম ৫০ শতাংশ নম্বর সহ মাধ্যমিক পাশ হতে হবে। এছাড়াও এনসিভিটি স্বীকৃত আইটিআই সার্টিফিকেট থাকতে হবে। মাধ্যমিকে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে অ্যাপ্রেন্টিসদের নিয়োগ করা হবে।

    আরও পড়ুন: মহাকাশ থেকে কেমন দেখায় তিলোত্তমাকে? কলকাতার নতুন ছবি প্রকাশ বিজ্ঞানীদের

    বয়স সীমা 

    বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, প্রার্থীর বয়স ন্যূনতম ১৫ বছর এবং সর্বোচ্চ ২৪ বছর হতে হবে। ওবিসি প্রার্থীরা বয়সে ৩ বছর, এসসি, এসটি প্রার্থীরা ৫ বছর, বিশেষভাবে সক্ষম (সাধারণ) প্রার্থীরা ১০ বছর, বিশেষভাবে সক্ষম ওবিসি প্রার্থীরা ১৩ বছর, বিশেষভাবে সক্ষম এসসি/এসটি প্রার্থীরা ১৫ বছর ছাড় পাবেন।  

    আবেদন ফি

    সাধারণ প্রার্থীদের: ১০০ টাকা

    সংরক্ষিত প্রার্থীদের ফি দিতে হবে না 

    কীভাবে ফি জমা দেবেন? 

    ডিমান্ড ড্রাফ্ট

    নির্বাচন প্রক্রিয়া

    ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন, ফিজিক্যাল ফিটনেস, ইন্টারভিউ

    স্টাইপেন্ড 

    প্রশিক্ষণ চলাকালীন প্রতি মাসে স্টাইপেন্ড দেওয়া হবে। 

    কীভাবে আবেদন করবেন?

    • প্রথমে apprenticeshipindia.org -এ নিজের নাম রেজিস্টার করতে হবে।
    • এবার ওই ওয়েবসাইট থেকে আবেদনপত্র ডাউনলোড করে ফিলআপ করতে হবে। 
    • আবেদনকারীকে ৬ মার্চের আগে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত ঠিকানায় নথি সহ আবেদনপত্র পাঠাতে হবে। 
    • সমস্ত তথ্য ভালো করে দেখে তবে পাঠাবেন।
    • এরপর বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া ফরম্যাটে আবেদনপত্র-সহ সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি পাঠাতে হবে মেট্রো রেলের ডেপুটি চিফ পার্সোনেল অফিসারের অফিসে। ঠিকানাটি হল- ৩৩/১, জওহরলাল নেহরু রোড, মেট্রো রেল ভবন, কলকাতা-৭০০০৭১ ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share