Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Sukanta Majumdar: তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডকেও জেলে যেতে হবে! সংসদে বিস্ফোরক সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডকেও জেলে যেতে হবে! সংসদে বিস্ফোরক সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে রাজ্যের তৃণমূল সরকারের তুলোধনা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। সংসদের অধিবেশনে নাম না করে কটাক্ষ করলেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও।

    সুকান্ত যা বললেন

    লোকসভায় বাজেট অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, “বাংলার শিক্ষকরা একসময় গোটা বিশ্বে শিক্ষা প্রদান করতেন। আজ বাংলায় শিক্ষকের চাকরি বিক্রি করা হচ্ছে।” সেই সঙ্গে তিনি বলেন, “শিক্ষামন্ত্রী জেলে, উপাচার্য জেলে, আরও অনেককে যেতে হবে।” সুকান্তর দাবি,”তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডকেও জেলে যেতে হবে। মোদি সরকারের আমলে দুর্নীতি করলে শাস্তি হবেই।” লোকসভায় হুঁশিয়ারির সুরে বলেন বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। মঙ্গলবার থেকেই সংসদে মহুয়া মৈত্রর  অসংসদীয় মন্তব্য নিয়ে তোলপাড় সংসদ। মহুয়া ক্ষমা চান, চাইছেন বিজেপি নেতারা। এই পরিস্থিতিতে মহুয়ার মন্তব্য নিয়ে আক্রমণ শানান সাংসদ সুকান্ত মজুমদারও।

    উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন

    সুকান্তর অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষাব্যবস্থার করুণ অবস্থা। তিনি বলেন, “আজ রাজ্যপালের উপরে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, রাজ্যের সরকারের বিরোধিতা করছেন রাজ্যপাল। কেন বিরোধিতা করা হবে না?” সুকান্ত জানান, বিশ্ববিদ্যালয় রাজ্যের হলেও তাঁর আচার্য রাজ্যপাল। অথচ, তাঁকে না জানিয়েই ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করা হয়েছে। এমনকি, উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে ইউজিসি-র নিয়ম মানা হয়নি বলেও দাবি করেন বিজেপি সাংসদ।

    আরও পড়ুন: ওএমআর শিটে ‘গুপ্ত সঙ্কেত’-এর মাধ্যমে চলত দুর্নীতি! মানিক-কুন্তলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ইডি

    নিয়ম অনুযায়ী, কোনও অধ্যাপক ১০ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করলে, তবেই তিনি উপাচার্য হওয়ার যোগ্যতা লাভ করেন। পাশাপাশি, উপাচার্য হতে হলে তাঁর একাধিক গবেষণাপত্র থাকাও বাধ্যতামূলক। অথচ, সুকান্তর অভিযোগ, কলেজের প্রিন্সিপালকেই উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করে দেওয়া হচ্ছে। মানা হচ্ছে না কোনও নিয়ম নীতি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Recruitment Scam: ‘দুর্নীতি খুনের সমান’, মানিকের জামিনের বিরোধীতায় ইডি টানল ‘ম্যাকবেথ’- এর তুলনা

    Recruitment Scam: ‘দুর্নীতি খুনের সমান’, মানিকের জামিনের বিরোধীতায় ইডি টানল ‘ম্যাকবেথ’- এর তুলনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের জামিনের বিরোধিতায় শেক্সপিয়রের (Recruitment Scam) ম্যাকবেথ নাটকের তুলনা টানল ইডি। বুধবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি বলেন, মানিক ভট্টাচার্য ও কুন্তল ঘোষের অপরাধ খুনের সমান। এই সময়ই ম্যাকবেথের নাটকের একটা বিষয়ের উত্থাপন করেন। ইডি-র আইনজীবী বলেন, একটা সময়ে বাংলার শিক্ষাব্যবস্থা ছিল সেরা। কিন্তু বর্তমানে যা পরিস্থিতি, তাতে দুর্নীতি যেভাবে ঘিরে ধরেছে, এখানকার পড়ুয়ারা ভীত। তাঁরা বাইরে পড়াশোনার জন্য চলে যাচ্ছে। বৃহত্তর সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে কুন্তল-মানিকের ষড়যন্ত্র খুনের সমতুল্য বলে সওয়াল করে, মানিকের জামিনের বিরোধীতা করেন ইডির আইনজীবী। 

    প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার মানিক ভট্টাচার্যকে আদালতে পেশ করা (Recruitment Scam) হয়েছিল। তাঁর জামিনের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন আইনজীবী সঞ্জয় দাশগুপ্ত। ইডির আইনজীবী গতকাল সওয়াল করেননি। বুধবার বেলা ১১টার সময়ে ব্যাঙ্কশালের বিশেষ ইডি আদালতে ফিরোজ এডুলজি মানিকের জামিনের বিরোধিতা করে সওয়াল করেন।

    মঙ্গলবার আদালতে ঢোকার সময় সাংবাদিকদের দেখে মেজাজ হারান মানিক। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই নিয়োগ মামলার শুনানিতে মানিকের লন্ডনে বাড়ি আছে বলে দাবি করেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি সেদিন সিবিআই-কেই জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘‘কত বার লন্ডনে গিয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য? তাঁর বাড়ির ঠিকানা জানেন? আমি বলতে পারি। শুনবেন? লন্ডনে তাঁর বাড়ির পাশে কার বাড়ি জানেন?” সেই প্রসঙ্গের প্রেক্ষিতে মানিকের আইনজীবী মঙ্গলবার বলেন, “আমার মক্কেলের নদিয়ায় বাড়ি আছে। ওটা যদি লন্ডন টেকওভার করে, তবে তাঁর লন্ডনে বাড়ি আছে।”

    পার্থ মানিক দ্বৈরথ 

    এদিকে, এদিন আদালতে ভট্টাচার্যর জামিনের বিরোধিতায় বিস্ফোরক দাবি করে ইডি (Recruitment Scam)। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, বেসরকারি বিএড কলেজ, ডিএলএড কলেজ ও শিক্ষক প্রশিক্ষণ সংস্থাকে অনুমোদন ও এনওসি পাইয়ে দিতে লক্ষ লক্ষ টাকা নিতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও মানিক ভট্টাচার্য। তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীর ক্ষেত্রে টাকার অঙ্কটা ছিল ৬-৮ লক্ষ টাকা। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য ২-৫ লক্ষ টাকা নিতেন।

    আরও পড়ুন: প্রেম থেকে পরিণয়, রাজস্থানে শাহি আয়োজনে বিয়ে সারলেন সিদ্ধার্থ-কিয়ারা

    ইডি-র দাবি, পার্থর কোনও চেনা লোকের হাতে তুলে দেওয়া হত তাঁর টাকা। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, মানিকের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া (Recruitment Scam) একটি সিডি-র একটিমাত্র ফোল্ডারে প্রায় ৪ হাজার চাকরিপ্রার্থীর নাম মিলেছে। এদের মধ্যে আড়াই হাজারেরও বেশি চাকরি পেয়েছেন। অথচ জেরায় মানিক দাবি করেন, তিনি এসবের কিছুই জানেন না। 

    ইডি তদন্তে জানতে পেরেছে, বাতিল ও ফেল করা চাকরিপ্রার্থীদের পাশ করাতে ১ লক্ষ ও নিয়োগ পাইয়ে দিতে ৫ লক্ষ টাকা নিতেন মানিক। এই সমস্ত অভিযোগ জানিয়েই আজ আদালতে মানিকের জামিনের বিরোধিতা করবে ইডি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • BJP: রাজ্যপালের বক্তৃতার মাঝেই ‘চোর ধরো’ স্লোগান, উত্তপ্ত বিধানসভা, ওয়াকআউট বিজেপির

    BJP: রাজ্যপালের বক্তৃতার মাঝেই ‘চোর ধরো’ স্লোগান, উত্তপ্ত বিধানসভা, ওয়াকআউট বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যপালের ভাষণে দুর্নীতিকে আড়াল করা হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে বুধবার বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করলেন বিজেপি (BJP) বিধায়করা। তার আগে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিধানসভা কক্ষেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন পদ্ম-বিধায়করা। বুধবার বিধানসভায় শুরু হয় বাজেট অধিবেশন (Budget Session)। এদিন ভাষণ দিচ্ছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। তিন বছর পর এবার সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছিল রাজ্যপালের ভাষণ।

    রাজ্যপাল…

    রাজ্যপালের বক্তৃতায় দুর্নীতিকে আড়াল করা হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে বিধানসভার ভিতরেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। তাঁরা স্লোগান দিতে থাকেন, পিসি চোর, ভাইপো চোর, তৃণমূলের সবাই চোর, চোর ধরো, জেল ভরো স্লোগান দিতে দিতে ওয়াক আউট করেন গেরুয়া শিবিরের বিধায়করা। তার আগে রাজ্যপালের সামনেই কাগজ ছুড়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। পরে ছিঁড়ে ফেলা হয় রাজ্যপালের ভাষণের প্রতিলিপিও। এহেন উত্তপ্ত পরিস্থিতিতেও থামেননি রাজ্যপাল। পুরো বক্তব্যই পেশ করেন তিনি। এক সময় তুমুল বিক্ষোভ ও স্লোগান দেওয়ার জেরে বক্তব্য শোনা না গেলেও, থামেননি রাজ্যপাল। লিখিত বক্তব্য পাঠ করে বিধানসভা চত্বর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময়ও বিজেপি (BJP) বিধায়করা রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন।  

    আরও পড়ুুন: ‘দোষী হলে টাকাও যাবে, জেলও হবে’, গ্রুপ-ডির ‘ভুয়ো’ চাকরিপ্রাপকদের উদ্দেশে বিচারপতি বসু

    এদিন প্রথা মেনে প্রথমে শোক প্রস্তাব পেশ করা হয়। তার পরেই শুরু হয়ে যায় হট্টগোল। আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে জেলবন্দি করে রাখা হয়েছে কেন, সরকার পক্ষের কাছে সে ব্যাপারে কৈফিয়ত চেয়ে স্লোগান দিতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। রাজ্যপাল বক্তব্য পেশ করতে শুরু করতেই স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। তাঁরা বলতে থাকেন, চাকরি চোর সরকার, আর নেই দরকার। রাজ্যপাল ন নম্বর অনুচ্ছেদ পড়তেই স্লোগান দেওয়ার মাত্রা আরও বেড়ে যায়। প্রসঙ্গত, ওই অনুচ্ছেদে লেখা ছিল, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্যে শান্তির আবহ বজায় রয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পরিবেশ অক্ষুণ্ণ রয়েছে। বিজেপির (BJP) অভিযোগ, রাজ্যের পর্বত সমান দুর্নীতিকে আড়াল করে রাজ্যের গুণগান গাইছেন রাজ্যপাল। এর পরেই রাজ্যপালের মিথ্যা ভাষণ মানছি না, মানব না, স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। বলতে থাকেন, পিসি চোর, ভাইপো চোর, তৃণমূলের সবাই চোর। এসব বলতে বলতেই ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়করা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Recruitment Scam: ‘দোষী হলে জেলও হবে’, গ্রুপ-ডির ‘ভুয়ো’ চাকরিপ্রাপকদের উদ্দেশে বিচারপতি বসু

    Recruitment Scam: ‘দোষী হলে জেলও হবে’, গ্রুপ-ডির ‘ভুয়ো’ চাকরিপ্রাপকদের উদ্দেশে বিচারপতি বসু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রুপ ডি নিয়োগ মামলায় ফের কলকাতা হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় সিবিআইকে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের পরেও যে অযোগ্য প্রার্থীরা ইস্তফা দেননি তাঁদের বিরুদ্ধে কেনও এখনও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন করেছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ না করতে পারলে টাকা তো ফেরত দিতেই হবে, পাশাপাশি জেলেও যেতে হবে, এদিন গ্ৰুপ-ডি নিয়োগ মামলায় অযোগ্য চাকরি প্রাপরদের উদ্দেশে এমনটাই বললেন বিচারপতি বসু।

    নিয়োগ মামলায় বিচারপতির মন্তব্য

    এদিন গ্ৰুপ-ডি নিয়োগ মামলায় ওএমআর শিট কারচুপিতে নাম থাকা ১৬৯৮ চাকরিপ্রাপককে কড়া বার্তা দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। একই সঙ্গে ওই চাকরিপ্রার্থীদের এই মামলায় যুক্ত করার কথাও সিবিআইকে তিনি বলেন। বিচারপতি বসুর মন্তব্য, এই ১৬৯৮ জনের বক্তব্য শুনতে অবিলম্বে নোটিশ জারি করা প্রয়োজন। এদের তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। এই প্রসঙ্গে সিবিআই আদালতে জানায়, কয়েক জন সহযোগিতা করলেও সকলে সাহায্য করছেন না। পাল্টা বিচারপতি বসুর বক্তব্য, “সিবিআইয়ের উচিত এই ১৬৯৮ জনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা। নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ না করতে পারলে টাকাও যাবে, জেলেও যেতে হবে জানিয়ে রাখলাম।”

    বুধবার মামলার শুনানি চলাকালীন সিবিআইয়ের উদ্দেশে বিচারপতি বসুর মন্তব্য, “যাঁরা ওএমআর শিট বিকৃত করেছেন এবং এর ফলে যাঁরা উপকৃত হয়েছেন দু’জনেই সমান ভাবে এই দুর্নীতির জন্য দায়ী।”

    আরও পড়ুন: ওএমআর শিটে ‘গুপ্ত সঙ্কেত’-এর মাধ্যমে চলত দুর্নীতি! মানিক-কুন্তলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ইডি

    বিচারপতির প্রশ্নের মুখে সিবিআই

    বিচারপতি এদিন সিবিআইয়ের আইনজীবীর উদ্দেশে প্রশ্ন করেন, “কেন এফআইআর দায়ের হয়নি? ১৬৯৮ জনের ওএমআর শিট বিকৃত করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে কী ধরনের অভিযোগ আনা হয়েছে? মূল চক্রী কে? একটা ডকুমেন্ট পাওয়া গেছে। একজন তৈরি করেছে। আরএক দল সুবিধা পেয়েছে। দু’পক্ষই কি সমান দোষী নয়? আপনারা এদের প্রত্যেককে কেন ক্রিমিনাল কেস দিচ্ছেন না? তদন্তে গতি আনুন, আনতে হবে।”

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় অযোগ্য চাকরিপ্রাপকদের ইস্তফা দিয়ে তদন্তে সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তার পরও যারা ইস্তফা দেননি তারাও এই ষড়যন্ত্রে শামিল বলে ধরে নেবে আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Recruitment Scam: ওএমআর শিটে ‘গুপ্ত সঙ্কেত’-এর মাধ্যমে চলত দুর্নীতি! মানিক-কুন্তলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ইডি

    Recruitment Scam: ওএমআর শিটে ‘গুপ্ত সঙ্কেত’-এর মাধ্যমে চলত দুর্নীতি! মানিক-কুন্তলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের নজরদারিতেই নিয়োগ পরীক্ষার উত্তরপত্র বা ওএমআর শিটে ‘গুপ্ত সঙ্কেত’ ব্যবহার করে চলত দুর্নীতি। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিক ভট্টাচার্যের জামিনের বিরোধিতা করতে গিয়ে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে নগর দায়রা আদালতে বিস্ফোরক অভিযোগ করল ইডি।  বুধবার, ব্যাঙ্কশাল কোর্টে ইডি-র বিশেষ আদালতে তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী দাবি করেন, এই কাজে মানিককে পুরো সাহায্য করতেন হুগলির তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষ।

    OMR শিটে সাঙ্কেতিক প্রশ্ন

    ইডির দাবি অনুযায়ী, দুর্নীতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, OMR শিটেও সাঙ্কেতিক প্রশ্ন ব্যবহার করা হয়েছিল। অর্থাৎ যারা টাকা দিয়েছে, তা বোঝা যেত উত্তরপত্র দেখেই। বিষয়টি কীরকম ? কোন দুটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে, তা নাকি আগেই জানিয়ে দেওয়া হত চাকরিপ্রার্থীদের। বাকি প্রশ্নের উত্তর দিতে নিষেধ করা হয়েছিল। এই দুটি নির্দিষ্ট প্রশ্নের উত্তর দেওয়া ও বাকি প্রশ্নের উত্তর না দেওয়া দেখেই বোঝা যেত, কোন কোন পরীক্ষার্থী টাকা দিয়েছেন।  নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার যুব তৃণমূল নেতা  কুন্তল ঘোষকে জেরা করে এই তথ্য মিলেছে বলে আদালতে দাবি করেছে ইডি। আদালতে ইডি-র আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি বলেন, একসময় গোটা দুনিয়া থেকে বাংলায় ছাত্রছাত্রীরা পড়তে আসত। এখন অযোগ্যদের হাতে এই প্রজন্মের শিক্ষার ভার তুলে দেওয়া হয়েছে।সেই কারণেই অন্যত্র পড়তে যাচ্ছে বাংলার পড়ুয়ারা।

    আরও পড়ুন: ১৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে সিবিএসই পরীক্ষা, কবে পাওয়া যাবে অ্যাডমিট?

    টাকার পাহাড়

    কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, বেসরকারি বিএড কলেজ, ডিএলএড কলেজ ও শিক্ষক প্রশিক্ষণ সংস্থাকে অনুমোদন ও NOC পাইয়ে দিতে লক্ষ লক্ষ টাকা নিতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও মানিক ভট্টাচার্য। তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে টাকার অঙ্কটা ছিল ৬-৮ লক্ষ টাকা। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য ২-৫ লক্ষ টাকা নিতেন। ইডি-র দাবি, পার্থর ক্ষেত্রে তাঁর ঠিক করা কোনও লোকের হাতে নগদ টাকা তুলে দেওয়া হত। কেন্দ্রীয় এজেন্সির আরও দাবি, মানিকের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া একটি সিডি-র একটিমাত্র ফোল্ডারে প্রায় ৪ হাজার চাকরিপ্রার্থীর নাম মিলেছে। এদের মধ্যে আড়াই হাজারেরও বেশি চাকরি পেয়েছেন। অথচ জেরায় মানিক দাবি করেন, তিনি এসবের কিছুই জানেন না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Weather Update: বিদায়ের পথে শীত! সকালে শহরে কুয়াশার দাপট

    Weather Update: বিদায়ের পথে শীত! সকালে শহরে কুয়াশার দাপট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদায়ের পথে শীত। বসন্তের হালকা বাতাস বইতে শুরু করেছে শহর কলকাতায়। বুধবার শহরের তাপমাত্রা ছিল ২০ ডিগ্রির উপরে। তবে সকালের দিকে ঘন কুয়াশা ছিল। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাপমাত্রা ওঠানামা করবে। ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে শীতের আমেজও শেষ হবে। চিকিৎসকদের মতে, আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনায় সর্দি, কাশি, জ্বরজ্বর ভাব, নাক দিয়ে জল পড়া, মাথা যন্ত্রণা ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে পারে। ভাইরাল সংক্রমণেরও (Viral Infection) সম্ভাবনা থাকে এই ঋতু বদলের (Weather Change) সময়। 

    সকালে কুয়াশার দাপট

    বুধবার কুয়াশার দাপটে সকালের দিকে দৃশ্যমানতা কম ছিল। অসুবিধে হয় যান চলাচলে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে-সঙ্গে অল্প-অল্প করে রোদের মুখ দেখা গিয়েছে। দুপুরের দিকে গরম অনুভূত হচ্ছে। আলিপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে খবর,বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণেই এই ঘন কুয়াশার দাপট। আগামী কয়েকদিন রাজ্যজুড়ে ঘন কুয়াশার দাপট থাকবে। আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি বেশি। 

    আরও পড়ুন: ওএমআর শিটে ‘গুপ্ত সঙ্কেত’-এর মাধ্যমে চলত দুর্নীতি! মানিক-কুন্তলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ইডি

    বিদায়ের পথে শীত

     ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পারদ ওঠানামা করবে বাংলায়। বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা কিছুটা নামবে। শনি ও রবিবার ফের বাড়বে তাপমাত্রা। সোম, মঙ্গলবার ফের নিম্নমুখী হবে পারদ। মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি বেশ কিছুটা নীচে নামতে পারে পারদ।  তবে এই ঠান্ডার অনুভূতি দীর্ঘস্থায়ী হবে না,  ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শীত পুরোপুরি বিদায় নেবে বলেই পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের। তার আগে, ধীরে ধীরে সকাল এবং সন্ধ্যায় শীতের আমেজ কমবে। বাড়বে দিনের ও রাতের তাপমাত্রা। দার্জিলিং ও কালিম্পং-এ হালকা বৃষ্টি সম্ভাবনা। রাজ্যের আর কোথাও বৃষ্টির কোন সম্ভাবনা নেই আগামী কয়েক দিন। শুষ্ক আবহাওয়া রাজ্যজুড়ে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Vande Bharat: আরও তাড়াতাড়ি গন্তব্যে, শীঘ্রই গতি বাড়তে চলেছে হাওড়া-জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের

    Vande Bharat: আরও তাড়াতাড়ি গন্তব্যে, শীঘ্রই গতি বাড়তে চলেছে হাওড়া-জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার রেলযাত্রীদের জন্য সুখবর! খুব শীঘ্রই গতি বাড়তে চলেছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের। এই মুহূর্তে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার। গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় আরও ২০ থেকে ৩০ কিলোমিটার বাড়ানোর পরিকল্পনা চলছে। সেই কারণেই পরিকাঠামো ও রেলপথ সরেজমিনে পরিদর্শন করলেন পূর্ব রেলের অতিরিক্ত জেনারেল ম্যানেজার ড. জয়দীপ গুপ্তা। আগামী কিছুদিনের মধ্যেই হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৩০ থেকে ১৪০ কিলোমিটার বেগে ছুটতে চলেছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

    হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের গতি বৃদ্ধি

    মঙ্গলবার মালদহ টাউন স্টেশন পরিদর্শনে আসেন পূর্ব রেলের অতিরিক্ত জেনারেল ম্যানেজার জয়দীপ গুপ্তা। তিনি সাংবাদিকদের জানান, বন্দে ভারত এক্সপ্রেস বর্তমানে ঘন্টায় ১১০ কিলোমিটার গতিবেগে চলছে। এই গতি বাড়িয়ে অন্তত ১৩০ কিলোমিটার করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এজন্য রেলের মালদহ ডিভিশনে পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে মাস তিনেকের মধ্যেই আরও বেশি গতিতে ছুটবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ প্রায় শেষের দিকে। সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখার পাশাপাশি কন্ট্রোল রুমের বিভিন্ন বিভাগ, ট্র্যাক, সিগন্যালিং ব্যবস্থা ইত্যাদি নিজে পরিদর্শন করেও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন জয়দীপ গুপ্তা।

    গতকাল, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মালদায় ডিভিশনের পদস্থ ও সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন পূর্ব রেলের অতিরিক্ত জেনারেল ম্যানেজার। বৈঠক শেষে তিনি বলেন, “হাইস্পিড ট্রেন চলাচলের জন্য রেল ট্র্যাক একেবারেই নিরাপদ। আমরা মালদহে সেই পরিকাঠামোও দেখেছি। খুব শীঘ্রই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ১৩০ থেকে ১৪০ কিলোমিটার গতিবেগে চালানো হবে। বর্তমানে ১১০-এ চলছে। ধীরে ধীরে গতি বাড়িয়ে ১৬০ পর্যন্ত করা যাবে।”

    আরও পড়ুন: মালদায় উদ্ধার ‘সোনার দুর্গা’ ঘিরে চলছে পুজো-অর্চনা, মূর্তি প্রশাসনকে দিতে নারাজ গ্রামবাসীরা

    বন্দে ভারতের গতি বৃদ্ধি পেলে হাওড়া থেকে উত্তরবঙ্গ পৌঁছনোর সময় কমে যাবে। দ্রুত গতির এই ট্রেন হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি রুটে সঠিক সময়েই চলাচল করছে বলে জানিয়েছে রেল এবং তাতে খুশি রেলযাত্রীরাও। উল্লেখ্য, রেল সূত্রে খবর, বন্দে ভারত এক্সপ্রেস সর্বোচ্চ ১৬০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিবেগে ছুটতে পারে। তবে তার জন্য রেলের রেক, বৈদ্যুতিকরণ, সিগন্যাল, স্টেশনের পরিকাঠামো উন্নয়ন-সহ বেশকিছু অগ্রগতির প্রয়োজন রয়েছে। এজন্যই পরিকাঠামোগত উন্নয়নে জোর দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Malda: মালদায় উদ্ধার ‘সোনার দুর্গা’ ঘিরে চলছে পুজো-অর্চনা, মূর্তি প্রশাসনকে দিতে নারাজ গ্রামবাসীরা

    Malda: মালদায় উদ্ধার ‘সোনার দুর্গা’ ঘিরে চলছে পুজো-অর্চনা, মূর্তি প্রশাসনকে দিতে নারাজ গ্রামবাসীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে সোনার দুর্গা মূর্তি উদ্ধার হল মালদার মানিকচক থেকে। চাষের জমি থেকে পাওয়া ‘সোনার দুর্গা মূর্তি’ নিয়ে হুলস্থুল মালদহের মানিকচকের চৌকি মীরদাদপুরের রাজনগরের দামোদরপুর ঘোষপাড়া এলাকায়। কুড়িয়ে পাওয়া মূর্তি নিয়ে চলছে পুজো-অর্চনা। ওই মূর্তি দেখতে দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন অগণিত ভক্ত। বসে গিয়েছে মেলাও। এই মূর্তি উদ্ধারের খবর পুলিশে দেওয়া হলে জেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের হাতে মূর্তি তুলে দিতে সাফ না করে দিলেন গ্রামবাসীরা। ফলে খালি হাতেই ফিরতে হল তাঁদের।

    ঠিক কী ঘটেছিল মালদায়?

    সূত্রের খবর, মানিকচক ব্লকের অন্তর্গত কালিন্দ্রি ঘোষপাড়া এলাকার বাসিন্দা বিশু ঘোষ। তাঁর জমিতে পড়ে থাকা আবর্জনা পরিষ্কার করতে গিয়ে একটি মূর্তি খুঁজে পান তিনি। তাতে তিনি বেশ অবাক হয়ে যান। আর আশেপাশের লোকজনকে মূর্তির কথা বললে ভিড় জড়ো হয়। তাঁরা মূর্তিটিকে জল দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করেন। স্থানীয়রা অনেকেই এটাকে সোনার দুর্গা মূর্তি হিসাবে চিহ্নিত করেন। তবে প্রশাসনিকভাবে সেই বিষয়ে এখনও নিশ্চিত করে কিছু বলা হয়নি। ‘সোনার দুর্গা মূর্তি’ উদ্ধারের পর থেকেই গ্রামের মানুষ পূজো অর্চনায় মেতে উঠেছেন। ততক্ষণে মানিকচক থানার পুলিশ এসে যায় ঘটনাস্থলে। আর তদন্ত শুরু করে।

    আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদ, কলকাতায় পতাকা বিড়ির কারখানা, অফিসে আয়কর হানা, চলছে তল্লাশি

    ওই মূর্তি সোনার কি না তা পরীক্ষা করার জন্য প্রশাসনিক কর্তারা ঘটনাস্থলে যান। মূর্তিটিকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু জেলার মহকুমা শাসক লাডেন লেপচার নেতৃত্বে তিন সদস্যের দলের হাতে ওই মূর্তি তুলে দিতে অস্বীকার করেন স্থানীয়রা। মঙ্গলবার বেশ কিছু ক্ষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে ওই এলাকা ছাড়েন সরকারি আধিকারিকরা। গ্রামবাসীদের দাবি, মূর্তি নিয়ে যেতে হলে ফিরিয়ে দেওয়ার স্বীকারোক্তি দিতে হবে। এক গ্রামবাসী বলেন, “যদি মূর্তি নিয়েই যেতে হয়, তাহলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মূর্তি আমাদের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে, এই মর্মে লিখিত চাই আমাদের।”

    পুলিশের প্রাথমিক অনুমান

    কীভাবে এই মূর্তি উদ্ধার হল, তার কথা বলতে গিয়ে পুলিশ আধিকারিকরা অনুমান করেছেন যে, সোনার মূর্তি পাচার করতে গিয়েই এখানে পড়ে যায়। কোনও ব্যক্তি একাধিক মূর্তে নিয়ে এখান দিয়ে যাচ্ছিল পাচারের উদ্দেশে। তখন একটি সোনার মূর্তি কোনভাবে পড়ে গিয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এই বিষয়ে এখনই বিশদে মুখ খুলতে নারাজ পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মূর্তিটি কোথা থেকে এসেছে তা নিয়েও পুলিশ তদন্ত করছে। তবে এটি সোনার কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য মূর্তিটি নিয়ে যেতে এলেও খালি হাতেই ফিরতে হয় সরকারি আধিকারিকদের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Pataka Bidi: মুর্শিদাবাদ, কলকাতায় পতাকা বিড়ির কারখানা, অফিসে আয়কর হানা, চলছে তল্লাশি

    Pataka Bidi: মুর্শিদাবাদ, কলকাতায় পতাকা বিড়ির কারখানা, অফিসে আয়কর হানা, চলছে তল্লাশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আয়কর দফতর ফের হানা দিল মুর্শিদাবাদের আরও এক বিড়ির কারখানায়। কিছুদিন আগেই তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের শিব বিড়ি কারখানাতেও তল্লাশি চালানো হয়েছিল। এবার পতাকা বিড়ির (Pataka Bidi) কারখানায় হানা দিলেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। কলকাতার মির্জা গালিব স্ট্রিটের ওই বিড়ি কারখানার মূল অফিসেও হানা দিয়েছেন আধিকারিকরা।

    বুধবার সকালে মুর্শিদাবাদের সুতির অরঙ্গাবাদে পতাকা বিড়ি সংস্থার অফিসে  হানা দেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। বেশ কয়েকটি গাড়ি ঢোকে এই কারখানায়। প্রথমেই পতাকা বিড়ির অফিসে প্রবেশ করেন তাঁরা। তার আগে কেন্দ্রীয় বাহিনী পুরো অফিস ঘিরে ফেলে। এরপরেই শুরু হয় তল্লাশি। অফিসে তল্লাশি চালানোর পর তল্লাশি চালানো হয় কারখানাতেও। 

    প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই সুতিতে বিধায়ক জাকির হোসেনের বাড়ি ও বিড়ি কারখানায় হানা দিয়েছিল আয়কর দফতর। পাশাপাশি সামশেরগঞ্জের আনন্দ বিড়ি ও বিজলি বিড়ি কারখানাতেও তল্লাশি চালানো হয়েছিল ওই সময়। এবার অরঙ্গাবাদের পতাকা বিড়ি (Pataka Bidi) কারখানার পালা। সকাল সকাল এভাবে তল্লাশি শুরু হওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে  এলাকায়।

    জাকিরের কারখানা থেকে উদ্ধার কয়েক কোটি

    তল্লাশির পরে জাকির হোসেনের বিড়ি (Pataka Bidi) কারখানা থেকে নগদ প্রায় ৮ কোটি টাকা উদ্ধার করেছিল আয়কর দফতর। ওই সময় মুর্শিদাবাদের মোট চারটি বিড়ি কারখানা থেকে মোট ১১ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছিল। আয়কর দফতরের তরফে জানানো হয়েছিল, ওই টাকার প্রেক্ষিতে কোনও বৈধ নথি দেখাতে পারেননি বিধায়ক। সে কারণেই টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়।

    আরও পড়ুন: তদন্তের নামে কোনও মহিলার কুমারীত্ব পরীক্ষা অসাংবিধানিক, জানাল দিল্লি হাইকোর্ট  

    যদিও কেন্দ্রীয় বিভাগের এই অভিযানের পিছনে রাজনীতি রয়েছে বলে অভিযোগ করেন জাকির (Pataka Bidi)। তাঁর দাবি, কর্মীদের পারিশ্রমিক দেওয়ার জন্য ওই নগদ টাকা রাখা ছিল। বেআইনি কোনও টাকা নেই। এই ইস্যুতে জাকিরের পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপিকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তার মধ্যে বুধবার আবার আয়কর হানা হল মুর্শিদাবাদে। যদিও ওই বিড়ি কারখানার মালিকের সঙ্গে রাজনৈতিক কোনও যোগ আছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Calcutta High Court: ‘জোর করে নাবালিকার অন্তর্বাস খুলে দেওয়া ধর্ষণের সমতুল্য’, বলল কলকাতা হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: ‘জোর করে নাবালিকার অন্তর্বাস খুলে দেওয়া ধর্ষণের সমতুল্য’, বলল কলকাতা হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জোর করে এক নাবালিকার অন্তর্বাস খুলে (removing minor’s undergarment) তাকে শুয়ে থাকতে বাধ্য করা ধর্ষণের অপরাধের সমান। সম্প্রতি একটি মামলায় এমনই রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। মেডিক্যাল পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ না থাকলেও অন্যান্য সাক্ষ্য-প্রমাণ এবং অপরাধীর উদ্দেশ্য বিচার করেই এই রায় দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    কী ঘটেছিল

    মামলার বয়ান অনুযায়ী, ২০০৭ সালের মে মাসে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে এক নাবালিকা একটি খেলনার দোকানের কাছে দাঁড়িয়ে ছিল। তখন এক ব্যক্তি তার কাছে এসে তাকে আইসক্রিম দেয়। তারপর অভিযুক্ত আরও আইসক্রিমের প্রলোভন দিয়ে ওই নাবালিকাকে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে অভিযুক্ত নাবালিকাকে তার প্যান্ট খুলে ফেলতে বললে সে সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তারপর অভিযুক্ত নাবালিকার পিছু ধাওয়া করে এবং তাকে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে তার অন্তর্বাস খুলে দেয়। কিন্তু, মেয়েটি চিৎকার করতে শুরু করলে আশেপাশের লোকজন সেখানে চলে আসে এবং ওই ব্যক্তিকে ধরে ফেলে। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। যদিও ডাক্তারি পরীক্ষায় মেয়েটিকে নির্যাতনের কোনও প্রমাণ মেলেনি।

    আরও পড়ুুন: ফের বাংলাদেশে আক্রান্ত সংখ্যালঘু হিন্দুরা, ১৪টি মন্দিরে ভাঙচুর, কী বলছে প্রশাসন?

    নিম্ন আদালতের রায় বহাল

    সেই ঘটনায় অভিযুক্ত রবির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা রুজু হয়। ২০০৮ সালে বালুরঘাট জেলা ও দায়রা আদালত রবিকে দোষী সাব্যস্ত করে ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৩ হাজার টাকা জরিমানারও নিদেশ দেন। জেলা ও দায়রা আদালতের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে পাল্টা মামলা দায়ের করে রবি রায়। নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষায় ধর্ষণের কোনও প্রমাণ মেলেনি। তার দাবি, কোনও অসৎ উদ্দেশ্যে নয়, বরং কিশোরীকে আদর করার জন্যই এমন কাজ করেছিল সে। সেই মামলাতেই অভিযুক্তের দাবি নস্যাৎ করে দিয়ে এমন যুগান্তকারী রায় দিয়েছেন কলকাতা উচ্চ আদালতের সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিচারক জানিয়েছেন, অপরিচিত কোনও ব্যক্তি এমন কাজ করেছেন মানে তিনি নাবালিকাকে ধষর্ণের উদ্দেশ্যেই তা করেছিলেন, এ নিয়ে সন্দেহের কোনও অবকাশ নেই। বিচারপতি জানিয়েছেন, শারীরিক পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ না পাওয়া গেলেও এই ঘটনা ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারা অনুযায়ী ধর্ষণের সমতুল্য অপরাধ। ফলে এই মামালয় নিম্ন আদালতের রায়ই বহাল রেখেছেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share