Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Kolkata Metro: কবি সুভাষ থেকে রুবি, নতুন লাইনে মেট্রো চলবে চলতি মাসেই! জুড়ে যাবে দুটি ভিন্ন লাইন

    Kolkata Metro: কবি সুভাষ থেকে রুবি, নতুন লাইনে মেট্রো চলবে চলতি মাসেই! জুড়ে যাবে দুটি ভিন্ন লাইন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতাবাসীর জন্য ফের এক সুখবর! চলতি মাসেই কলকাতায় যাতায়াতের পথ আরও মসৃণ হতে চলেছে। ফেব্রুয়ারিতেই শুরু হচ্ছে রুবি-নিউ গড়িয়া মেট্রো পরিষেবা। চলতি মাসেই পরিষেবা শুরুর জন্য মঙ্গলবার রেলের সবুজ সঙ্কেত মিলেছে। কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির তরফ থেকে মঙ্গলবারই অনুমতি মিলেছে। তার পরই ওই শাখায় মেট্রো পরিষেবা চালুর তোড়জোড় শুরু হয়ে গেল। শীঘ্রই উদ্বোধনের দিনক্ষণ ঠিক করা হবে বলে কলকাতা মেট্রো রেল সূত্রে খবর।

    রুবি-কবি সুভাষ মেট্রো

    গত মাসের ৩০ তারিখ কলকাতা মেট্রোর লাইন ৬ (অরেঞ্জ লাইন) এর প্রথম দফার অর্থাৎ কবি সুভাষ থেকে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় বা রুবি পর্যন্ত সেকশনের ইন্সপেকশন করেছিলেন কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি। নর্থ ইস্ট ফ্রন্টিয়ার সার্কেলের কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি, শ্রী শুভময় মিত্রের নেতৃত্বে এই ইন্সপেকশন সংঘটিত হয়েছিল। কবি সুভাষ থেকে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় (রুবি মোড়) মেট্রো স্টেশনের মধ্যে মোট ৫ টি স্টেশনকে চালু করা হতে চলেছে। প্রাথমিক দফায় আপাতত এই প্রথম সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার রেলপথে কোনো সিগনালিং ব্যবস্থা না থাকার জন্য জোকা তারাতলা লাইনের মতই “ওয়ান রেক সার্ভিস” চলবে। একটি রেকই যাতায়াত করবে রুবি থেকে কবি সুভাষের মধ্যে। একবার কবি সুভাষ থেকে ছেড়ে রুবি পৌঁছে ফের রুবি থেকে কবি সুভাষ ফিরবে ওই রেকটি।

    রুবি-নিউ গড়িয়ার মধ্যে ৫টি স্টেশন থাকবে। সত্যজিৎ রায় (হাইল্যান্ড পার্ক), জ্যোতিরিন্দ্র নন্দী (মুকুন্দপুর) ও কবি সুকান্ত (কালিকাপুর)। আপাতত প্রান্তিক স্টেশনদুটি হল কবি সুভাষ (নিউ গড়িয়া) ও হেমন্ত মুখোপাধ্যায় (রুবি)। এই শাখায় এখনও ভাড়া ঠিক করা হয়নি।

    নিউ গড়িয়া – রুবি মেট্রো ও দক্ষিণেশ্বর – নিউ গড়িয়া মেট্রোয় সংযুক্ত টোকেন পরিষেবা চালু করা হবে। অর্থাৎ কেউ রুবি থেকে দক্ষিণেশ্বর যেতে চাইলে তাঁকে নিউ গড়িয়ায় নেমে আর টোকেন সংগ্রহ করতে হবে না। রুবি থেকেই পাওয়া যাবে দক্ষিণেশ্বরের টোকেন। একই প্ল্যাটফর্মে ২ দিকে আসবে ২টি ট্রেন।

    রুবি – নিউ গড়িয়া মেট্রো পরিষেবার হাত ধরে এই প্রথম কলকাতা মেট্রোয় ‘ইন্টিগ্রেটড টিকেটিং সিস্টেম’ চালু করা হচ্ছে। এই প্রথম শহরের দু’টি আলাদা মেট্রোপথ একটি স্টেশনের মাধ্যমে কাছাকাছি আসবে। কলকাতার উত্তর-দক্ষিণ (নিউ গড়িয়া-দক্ষিণেশ্বর, যাকে ব্লু লাইন বলা হয়) মেট্রো এবং নিউ গড়িয়া-রুবি মেট্রো (অরেঞ্জ লাইন) জুড়ে যাবে নিউ গড়িয়া অর্থাৎ কবি সুভাষ স্টেশনের মাধ্যমে। ফলে এতে শহরবাসীর সময় বাঁচবে ও কোনও সমস্যাও হবে না। কলকাতার দক্ষিণের বাসিন্দারা এর ফলে বিশেষ উপকৃত হবেন বলেই মনে করা হচ্ছে।

  • SSC Scam: গোপাল হন আরমান! এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির হাতে নয়া তথ্য

    SSC Scam: গোপাল হন আরমান! এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির হাতে নয়া তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাম ভাঁড়িয়ে ‘আরমান গঙ্গোপাধ‌্যায়’ হন গোপাল দলপতি। চিটফান্ড মামলায় নাম জড়িয়ে যাওয়ার পরই এই পরিচয় নেন তিনি। ইডির জেরায় গোপাল জানিয়েছে, আরমান গঙ্গোপাধ্যায় নাম বদলে তিনি নথিপত্র বানিয়েছিলেন। সেবি যখন সব বন্ধ করে দিয়েছিল তখন আমি নাম বদলাতে বাধ্য হয়েছিলাম। দাবি গোপালের। 

    আদালতে গিয়ে নাম বদল

    ইডি সূত্রে খবর,  ‘আরমান’ নামেই গোপাল তৈরি করেন যাবতীয় পরিচয়পত্র। সেই আধার কার্ড, প‌্যান কার্ড-সহ যাবতীয় পরিচয়পত্র এসেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED) হাতে। ইডি জানিয়েছে, হুগলির (Hooghly) ধৃত যুবনেতা কুন্তল ঘোষের মুখে তাপস মণ্ডলের সঙ্গে সঙ্গে উঠে এসেছিল গোপাল দলপতির নামও। কুন্তলের দাবি ছিল, তিনি গোপালকে বিপুল পরিমাণ টাকা দিয়েছেন। যদিও গোপাল ইডির কাছে তা অস্বীকার করেন। জেরার সময় ইডি আধিকারিকরা তাঁর পরিচয়পত্র দেখতে চান। সেখান থেকেই তাঁর আরমান পরিচয় সামনে আসে। সেবি (SEBI)তাঁর যাবতীয় অ‌্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিলে  আদালতে গিয়ে এফিডেফিট করে ‘আরমান গঙ্গোপাধ‌্যায়’ নাম নেন। 

    আরও পড়ুুন: ফের বাংলাদেশে আক্রান্ত সংখ্যালঘু হিন্দুরা, ১৪টি মন্দিরে ভাঙচুর, কী বলছে প্রশাসন?

    নাম ভাঁড়িয়ে কালো টাকা সাদা!

    ইডি আধিকারিকদের মতে, নাম ভাঁড়িয়ে একাধিক সংস্থা খুলে নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করতে সাহায‌্য করেন তিনি। গোপাল দলপতি বলেন, “পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত যোগাযোগ নেই। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী হিসাবে চিনতাম। কোনও টাকা আমি পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দিইনি। কুন্তল প্রসঙ্গে বলেন, আমার সঙ্গে তার বন্ধুত্ব হয়েছিল। যখন অভাব পড়েছে কখনও ৭০ হাজার, কখনও ৩০ হাজার কখনও ১ লাখ টাকা দিয়েছে। অ্য়াকাউন্টে ট্রান্সফার করেছিল…হাত খরচার জন্য…সেই সময় তাপসদার কাজ দেখভাল করতাম। বলত প্রেসার দাও, ফান্ড যাতে তাড়াতাড়ি দেয়, সেকারণেই হয়তো টাকা দিত।” ইডির কাছে গোপালের দাবি, তাঁর সামনেই ৯৪ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছিল। আবার কুন্তলও তাঁকে টাকা দেওয়ার জন‌্য চাপ দিতেন। গোপাল বলেন, “আমি কুন্তলের কাছে কয়েকবার বলতে শুনেছি কাকু কাকু। কাকুর কাছে পেমেন্ট দিতে হবে। কাকু কে জানতাম না। কালীঘাটের কাকুর কাছে যেতে হবে বলত। কাকু আদৌ কে, তা জানি না।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Nabanna: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ, জবকার্ডে আধার সংযোগ হয়নি, কেন্দ্রের বরাদ্দ আটকানোর ভয়ে নবান্ন?

    Nabanna: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ, জবকার্ডে আধার সংযোগ হয়নি, কেন্দ্রের বরাদ্দ আটকানোর ভয়ে নবান্ন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা বার বার নয়ছয় করার অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের বিরুদ্ধে। ১০০ দিনের কাজের ক্ষেত্রেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ১০০ দিনের কাজে গোটা দেশের মধ্যে সবথেকে পিছিয়ে রয়েছে বাংলা। এখনও বহু প্রাপকের জব কার্ডের সঙ্গে আধার লিঙ্ক করা হয়নি। আর এতেই ভয়ে কাঁপছে নবান্ন (Nabanna)। যেকোনও মুহূর্তে আটকে যেতে পারে কেন্দ্রীয় বরাদ্দের টাকা, এই আশঙ্কায়।

    কেন এই ততপরতা? 

    বরাদ্দ আটকে যাওয়ার এই আশঙ্কায় প্রশাসনিক স্বচ্ছতা রাখতে জেলাগুলিকে সমস্ত কেন্দ্রীয় প্রকল্পে উপভোক্তাদের (Nabanna) নামের সঙ্গে দ্রুত আধার সংযোগ করার নির্দেশ দিল নবান্ন। এ ব্যাপারে কড়াকড়ি এতটাই যে, জাতীয় সামাজিক প্রকল্পের মাধ্যমে দেওয়া বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা ও প্রতিবন্ধী ভাতার প্রাপকদের ছাড় দিতেও চাইছে না সরকার। 

    প্রকল্পগুলিতে স্বচ্ছতা বজায় রাখতেই উপভোক্তাদের নামের সঙ্গে আধার সংযোগ ও আধার বেস পেমেন্ট সিস্টেম চালু করেছে কেন্দ্র (Nabanna)। সেই পথেই এখন বাধ্য হয়ে হাঁটতে হচ্ছে এই রাজ্যকে। সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যসচিব জেলা প্রশাসনগুলির সঙ্গে বৈঠকে বারবার এ ব্যাপারে সচেতন করে দিয়েছেন। পাশাপাশি রাজ্য পঞ্চায়েত দফতরের তরফ থেকেও এনিয়ে জেলাগুলিকে বার্তা পাঠানো হয়েছে। কারণ, বেশিরভাগ সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের কাজ রূপায়ণের ক্ষেত্রে পঞ্চায়েত দফতরেরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। কিন্তু এখনও গুরুত্ব দিচ্ছে না জেলাগুলি।

    আরও পড়ুন: শিয়রে পঞ্চায়েত ভোট, তার আগে বার বার বিস্ফোরণে কাঁপছে রাজ্য, কী অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা? 

    এই মুহূর্তে রাজ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের জাতীয় সামাজিক প্রকল্পে ১৪ লক্ষ ৪১ হাজার ৪৬০ জন তিন ধরনের ভাতা পেয়ে থাকেন (Nabanna)। এগুলি হল বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা। এর মধ্যে মাত্র ৯ লক্ষ ৭৯ হাজার ৬০০ ভাতা প্রাপক অর্থাৎ ৬৮ শতাংশ তাদের আধার সংযোগ করা হয়েছে। গত এক মাসে চাপে পড়ে জেলাগুলি বেশিরভাগ কাজটা করেছে। মহারাষ্ট্রে যেখানে ৯১.১ শতাংশ প্রাপকের আধার সংযোগ রয়েছে।

    নবান্ন সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত জব কার্ড হোল্ডারদের সঙ্গে আধার কার্ড সংযুক্তিকরণ হয়েছে ৭৮.৬%। যা অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় অনেকটাই কম। এখনও পর্যন্ত এই প্রকল্পের অধীনে নজির স্থাপন করেছে মিজোরাম (Nabanna)। এই রাজ্যে ৯৭.৮% জব কার্ড হোল্ডারই আধার সংযোগ রয়েছে। পাশাপাশি তামিলনাড়ু-সহ একাধিক রাজ্য আধার কার্ড সংযোগের ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে। তুলনামূলকভাবে এ রাজ্যে আধার কার্ড সংযোগের সঙ্গে জব কার্ড হোল্ডারদের সংযুক্তিকরণ না হওয়ায় জেলাগুলিকে বিশেষ নির্দেশ দিল নবান্ন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

     

  • TET Scam: অ্যাপটিটিউড টেস্ট ছাড়া নিয়োগ কীভাবে? প্রশ্ন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    TET Scam: অ্যাপটিটিউড টেস্ট ছাড়া নিয়োগ কীভাবে? প্রশ্ন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অ্যাপটিটিউড টেস্ট (Aptitude Test) হয়নি বলে অভিযোগ। তার পরেও দিব্যি হয়েছে নিয়োগ (TET Scam)। এ সংক্রান্ত একটি মামলায়্ সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, অ্যাপটিটিউড টেস্ট ছাড়া নিয়োগ কীভাবে?  ২০১৬ সালে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া অ্যাপটিটিউড টেস্ট ছাড়াই হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এনিয়ে জানুয়ারি মাসে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কয়েকজন পরীক্ষার্থী। এদিন ছিল ওই মামলার শুনানি। এর আগে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় পর্ষদের কাছে হলফনামা তলব করেন।

    হলফনামা…

    এদিন সেই হলফনামা জমা দেয় পর্ষদ। তার পরেই বিচারপতির প্রশ্ন, অ্যাপটিটিউড টেস্ট ছাড়া কীভাবে নিয়োগ?  দেড়-দু মিনিট সময়ের মধ্যে কীভাবে এক সঙ্গে ইন্টারভিউ ও অ্যাপটিটিউড টেস্ট হয়?  বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, পর্ষদের হলফনামায়ও অ্যাপটিটিউড টেস্টের সংজ্ঞা অনুযায়ী, ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও ইন্টারভিউ (TET Scam) নেওয়াই হয়নি। এদিন পর্ষদের তরফে ওই বছর প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ইন্টারভিউ নেওয়া শিক্ষকদের নামের তালিকা পেশ করা হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: কেলেঙ্কারির পর্দা ফাঁস! নবম-দশমে শিক্ষক নিয়োগের জন্য নেওয়া হয়েছে ২০ লক্ষ টাকা!

    জানা গিয়েছে, ৫ হাজার ২১৬ প্রশিক্ষণহীনের চাকরি বেআইনিভাবে হয়েছে বলে অভিযোগ মামলাকারীদের। অ্যাকাডেমিক স্কোর কম, অথচ ইন্টারভিউ ও অ্যাপটিটিউড টেস্টে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি নম্বর দিয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এদিকে, এদিন পর্ষদের তরফে ইন্টারভিউ (TET Scam) নেওয়া যে শিক্ষকদের নামের তালিকা হাইকোর্টে পেশ করা হয়েছে, সেই তালিকা থেকে প্রথম পর্যায়ে হাওড়া, হুগলি, উত্তর দিনাজপুর, কোচবিহার ও মুর্শিদাবাদের শিক্ষকদের তলব করলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ২১ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টোয় তাঁদের আদালতের হাজিরা দিতে হবে।

    সূত্রের খবর, ইন্টারভিউ ও অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়া শিক্ষকদের কাছ থেকে নানা তথ্য জানতে চায় আদালত। শুধু তাই নয়, গোটা প্রশ্নোত্তর পর্বই হবে রুদ্ধদ্বার শুনানিতে। ধাপে ধাপে তলব করা হবে মামলাকারী চাকরিপ্রার্থীদেরও। দূরের জেলার ওই শিক্ষকদের রাহা খরচ বাবদ পর্ষদকে দিতে হবে দু হাজার করে টাকা। আর কাছের জেলার শিক্ষকদের দিতে হবে ৫০০ টাকা করে। এদিন পর্ষদকে এই নির্দেশও দিয়েছে হাইকোর্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Recruitment Scam: কুন্তলের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল এসএসসি-র আধিকারিকদের! তুলেছিলেন ১৯ কোটি টাকা?

    Recruitment Scam: কুন্তলের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল এসএসসি-র আধিকারিকদের! তুলেছিলেন ১৯ কোটি টাকা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি তৃণমূলের (TMC) যুব নেতা। অথচ কুন্তল ঘোষ নামের ওই নেতার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) একাধিক আধিকারিক। এর আগে হুগলির ওই যুবনেতার হুগলি ও কলকাতার নিউটাউনের বাড়িতে তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। তখনই বাজেয়াপ্ত হয় বেশ কিছু কাগজ এবং পেন ড্রাইভ। ইডি সূত্রে খবর, সেই সব নথি থেকেই এসএসসির (Recruitment Scam) বেশ কয়েকজন আধিকারিকের নাম ও পরিচয় পাওয়া গিয়েছে।

    ইডি…

    ইডির আধিকারিকদের অনুমান, কুন্তল চাকরি প্রার্থীদের ভুয়ো ইন্টারভিউয়ের ব্যবস্থা করেছিলেন। তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল জাল জয়নিং লেটারও। অভিযোগ, নকল ইন্টারভিউয়ের ব্যবস্থা করা থেকে শুরু করেন ভুয়ো জয়েনিং লেটার তৈরি করতে কুন্তলকে সাহায্য করেছিলেন ওই আধিকারিকরা। তল্লাশি চালানোর সময় কুন্তলের বাড়ি থেকে বেশ কয়েকটি ওএমআর শিট উদ্ধার করেছিলেন তদন্তকারীরা। সেই সময় কুন্তল জানিয়েছিলেন, তথ্য জানার অধিকার আইনে ওই ওএমআর শিটগুলি পেয়েছিলেন তিনি। কুন্তলের এই দাবি অবশ্য বিশ্বাস করেননি তদন্তকারীরা। তাঁদের ধারণা, তদন্তের অভিমুখ ঘুরিয়ে দিতেই মিথ্যে তথ্য দিয়েছিলেন কুন্তল। ইডির আধিকারিকদের অনুমান, এসএসসির আধিকারিকদের সাহায্যেই ওএমআর শিটের মতো গুরুত্বপূর্ণ নথি পেয়েছিলেন তিনি। সেই কারণেই তাঁদেরও জেরা করা হবে।

    আরও পড়ুুন: ফের বাংলাদেশে আক্রান্ত সংখ্যালঘু হিন্দুরা, ১৪টি মন্দিরে ভাঙচুর, কী বলছে প্রশাসন?

    প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারির (Recruitment Scam) ঘটনায় ইডির পাশাপাশি তদন্ত করছে সিবিআইও। সেই সময় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের মুখ থেকে প্রথম শোনা যায় কুন্তলের নাম। তার পরেই কুন্তলকে নিজাম প্যালেসে ডেকে পাঠায় সিবিআই। পরে বেআইনি আর্থিক লেনদেনের ঘটনার তদন্তে নেমে কুন্তলকে গ্রেফতার করে ইডি। এদিকে, দুটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের দুটি অ্যাকাউন্টে নগদ সাড়ে ৬ কোটি টাকা জমা পড়েছিল। পরে দ্রুত সেই টাকা সরিয়ে দেওয়া হয় বিভিন্ন ব্যাঙ্কের অনেকগুলি অ্যাকাউন্টে। নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় ধৃত কুন্তলকে জেরা করে এবং বিভিন্ন নথি খতিয়ে দেখে এমনটাই জেনেছেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। আগাম পরিকল্পনা করেই দুর্নীতির টাকা বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার (Recruitment Scam) করা হয়েছে বলে ধারণা তাঁদের। ইডি সূত্রে খবর, স্কুলে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রায় ১৯ কোটি টাকা নেওয়ার কথা জেরায় স্বীকার করেছেন কুন্তল। নিজের শেয়ারটুকু রেখে সেই টাকা তিনি পাঠাতেন প্রভাবশালীদের কাছে। যেসব বাড়ি, ফ্ল্যাট কিংবা অফিস খুলে চাকরি প্রার্থী ও এজেন্টদের সঙ্গে বৈঠক করতেন কুন্তল, সেগুলির দিকেও নজর রয়েছে ইডির।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Panchayat Election: শিয়রে পঞ্চায়েত ভোট, তার আগে বার বার বিস্ফোরণে কাঁপছে রাজ্য, কী অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা?

    Panchayat Election: শিয়রে পঞ্চায়েত ভোট, তার আগে বার বার বিস্ফোরণে কাঁপছে রাজ্য, কী অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election)। তার আগে বার বার বিস্ফোরণে কেঁপে উঠছে রাজ্য। মনে করিয়ে দিচ্ছে ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটের ভয়ঙ্করতার কথা। এক সপ্তাহের মধ্যেই ২৪ পরগনার বাসন্তী এবং বীরভূমের মাড়গ্রাম বিস্ফোরণের ঘটনায় উত্তাল হয়েছে রাজ্য। শনিবারের মাড়গ্রামের বিস্ফোরণের মৃত্যু হয়েছে নিউটন শেখ এবং লাল্টু শেখের। এই দুই বিস্ফোরণের নেপথ্যেই রয়েছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।

    আরও পড়ুন: অ্যাপটিটিউড টেস্ট ছাড়া নিয়োগ কীভাবে? প্রশ্ন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের 

    কিন্তু এখানেই কী ইতি ভয়ঙ্করতার? শেষ দুমাসের ঘটনাপ্রবাহ থেকে এটা স্পষ্ট যে, তলানিতে এসে ঠেকেছে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা। গত দুমাসে রাজ্যে ভয়ঙ্করভাবে বেড়ে গিয়েছে দুষ্কৃতিদের সক্রিয়তা। রইল শেষ কয়েকদিনে রাজ্যে ঘটা সেরকম কিছু ঘটনার তালিকা। যেখান থেকে এটা পরিষ্কার বোঝা যায় যে মারাত্মকভাবে বিপন্ন রাজ্যের ল অ্যান্ড অর্ডার।    

    সাম্প্রতিককালে রাজ্যে ঘটে যাওয়া বোমা হামলা ও বিস্ফোরণের ঘটনাপ্রবাহ: 

    • ২৬ জানুয়ারি- মালদায় বল ভেবে খেলতে গিয়ে বোমা ফেটে রক্তাক্ত ছয় বছরের শিশু। 
    • ২২ জানুয়ারি- উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলায় বোমার আঘাতে জখম ৩ শিশু, ইসলামপুরে গুলি, বোমাবাজি। 
    • প্রায় একই সময়ে ভাটপাড়া পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নয়াবাজারে মাঠের পাশে বোমা উদ্ধার। ভাঙরে ব্যাগ ভর্তি বোমা উদ্ধার।
    • ২০ জানুয়ারি- বীরভূমের মেলায় বোমাবাজি, সংঘাত থামাতে গিয়ে আহত দুই পুলিশ কর্মী।
    • ৫-৭ জানুয়ারি- নিউটাউনের সশস্ত্র আগ্নেয়াস্ত্রসহ আটক ব্যক্তি। 
    • বাঁকুড়ায় ড্রেন থেকে উদ্ধার বন্দুক।
    • বীরভূমে বোমা বিস্ফোরণে চোখ হারাতে বসেছে এক শিশু। 
    • ২৯ ডিসেম্বর- ভাঙ্গরে ৬ ব্যাগ তাজা বোমা উদ্ধার। 
    • টিটাগরের স্কুলে বোমা থেকে বাঁচার প্রশিক্ষণ দেন স্কুলের শিক্ষকরা। 
    • ৬ ডিসেম্বর-  আসানসোল মুর্শিদাবাদ এবং কুলতলী থেকে একাধিক বন্দুক বোমা ও কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। 
    • ৩ ডিসেম্বর- পাঁশকুড়া থানার বাইরে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। 
    • পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর ২ ব্লকের ভূপতিনগরে টিএমসি বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্না সহ ২ জন তার বাড়িতে অবৈধ ভাবে বোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণ ঘটে, তাতে ৩ জন নিহত এবং ২ জন গুরুতর আহত হয়।
    • নভেম্বর- মিনাখাঁয় মজুত করা বোমা ফেটে প্রাণ গেল ৯ বছরের বাচ্চার। মামা স্থানীয় তৃণমূল নেতা।
    • অক্টোবর- ভাটপাড়ায় বল ভেবে বোমাকে লাথি মেরে প্রাণ যায় ৬ বছরের শিশুর।

    এভাবে একের পর এক বিস্ফোরণে প্রশ্নের মুখে রাজ্যবাসীদের নিরাপত্তা। বিরোধীরা বার বার মমতা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। নিরাপত্তার বেহাল দশায় গোটা দেশের সামনে বার বার মুখ পুড়ছে রাজ্যের। কিন্তু এখনও একইভাবে নিষ্ক্রিয় রাজ্য পুলিশ। শুধুই কী পদার্থতা? নাকি পঞ্চায়েত ভোটের আগে ভয়ের পরিবেশ তৈরির ঠাণ্ডা মাথার পরিকল্পনা? পুরোটাই ধোঁয়াশা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 
     

     

  • Jhalda: তপন কান্দু হত্যাকাণ্ডে সিবিআইয়ের তলব ঝালদা পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়কে

    Jhalda: তপন কান্দু হত্যাকাণ্ডে সিবিআইয়ের তলব ঝালদা পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়কে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তপন কান্দু হত্যাকাণ্ডে এল নয়া মোড়। এবারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের আধিকারিকরা তলব করলেন পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভার নির্দল কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়কে। শনিবার বিকেলে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে যান শীলা। তাঁকে কিছুক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই আধিকারিকরা। সম্প্রতি বেশ কিছুদিন ধরেই ঝালদা পুরসভাকে নিয়ে টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে তপন কান্দু খুনের মামলায় শীলা চট্টোপাধ্যায়কে তলব বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

    সিবিআই ক্যাম্পে হাজিরা শীলার

    শনিবার বিকেল ৪টে নাগাদ ঝালদায় সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে পৌঁছন শীলা। ঘণ্টা দু’য়েক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। এই নিয়ে শীলা বলেন, “আমার কাছ থেকে ওনারা কিছু বিষয় জানতে চেয়েছিলেন। যা ওনারা জানতে চেয়েছেন তা আমি জানিয়ে দিয়েছি।” তাঁর মতে, সিবিআই ভাল কাজ করছে। তপন হত্যা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর্ব থমকে গিয়েছিল। মাস তিনেক বাদে তা আবার নতুন করে শুরু হল ঝালদার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলরকে তলব করায়।

    প্রসঙ্গত, দীর্ঘ টানাপোড়েন, আইনি লড়াই পড়ে ঝালদা পুরসভায় বোর্ড দখল করেছিল কংগ্রেস। চেয়ারপার্সন হন শীলা চট্টোপাধ্যায়। ৭-০ ভোটে জিতে বোর্ড দখল করে কংগ্রেস। শীলা চট্টোপাধ্যায় নির্দল কাউন্সিলর হিসাবে থাকলেও তিনি কংগ্রেসকে সমর্থন করেন। তবে আপাতত শীলা চট্টোপাধ্যায় আর চেয়ারপার্সনের পদে নেই। দলত্যাগ বিরোধী আইনে তাঁকে পদচ্যুত করেন মহকুমা শাসক। জানানো হয় পুরনির্বাচনের ৬ মাসের মধ্যে পর পর দল বদল করা যায় না। তারপরেই তৃণমূল কংগ্রেসের সন্দীপ সর্দারকে চেয়ারম্যান করে দেওয়া হয়।

    এদিকে কাউন্সিলর পদ খারিজের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শীলা চট্টোপাধ্যায়। সেই মামলায় হাইকোর্ট তাঁর কাউন্সিলর পদ খারিজের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দেয়। এবং ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান পদে পূর্নিমা কান্দুকে বসানোর নির্দেশ দেয়। এই পূর্ণিমা কান্দু ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রী। পুরভোটের কয়েকদিনের মধ্যেই খুন হয়েছিলেন তপন কান্দু। আদালতের নির্দেশে সেই মামলার তদন্ত করছে সিবিআই।

    প্রসঙ্গত, গত বছর ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় ঝালদায় খুন হন কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন। তাঁকে কাছ থেকে গুলি করে হত্যাকারীরা। প্রাথমিক ভাবে ওই কাণ্ডের তদন্তে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (সিট) তৈরি করে জেলা পুলিশ। অবশ্য পরে কলকাতা হাইকোর্ট ওই মামলায় তদন্তভার তুলে দেয় সিবিআইকে।

  • Recruitment Scam: কেলেঙ্কারির পর্দা ফাঁস! নবম-দশমে শিক্ষক নিয়োগের জন্য নেওয়া হয়েছে ২০ লক্ষ টাকা!

    Recruitment Scam: কেলেঙ্কারির পর্দা ফাঁস! নবম-দশমে শিক্ষক নিয়োগের জন্য নেওয়া হয়েছে ২০ লক্ষ টাকা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে (Recruitment Scam) ইডির (ED) হাতে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের জন্য চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে ২০ লক্ষ করে টাকা। একাদশ দ্বাদশ শ্রেণি কিংবা শিক্ষা দফতরের গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি পদে চাকরিপ্রার্থীদের জন্য ছিল আলাদা রেট। রেট চার্ট তৈরি করত নিয়োগ দুর্নীতি চক্রের চাঁইরা। নিয়োগ দুর্নীতির জন্য চক্রের মাথাদের তৈরি এহেন রেট চার্ট জেনে হতবাক ইডির আধিকারিকরাও। কেবল এঁদের থেকেই নয়, টাকা নেওয়া হয়েছে টেট পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকেও। তাঁদের কাছ থেকে পাঁচ-সাত লক্ষ করে টাকা নেওয়া হত বলেও জানা গিয়েছে। এই টাকা কখনও নগদে, কখনও আবার অনলাইনে পৌঁছাত এজেন্টদের কাছে। আপার প্রাইমারি চাকরি প্রার্থীদের জন্য নেওয়া হত ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা। যাঁরা এক সঙ্গে টাকা দিতে পারতেন না, তাঁরা টাকা পাঠাতেন দফায় দফায়।

    ইডি…

    এদিকে, ইডির হাতে ধৃত হুগলির যুব নেতা কুন্তল ঘোষের দুটি অ্যাকাউন্ট থেকে উদ্ধার হওয়া সাড়ে ছ কোটি টাকা কতজনকে দেওয়া হয়েছে, তার তালিকাও হাতে এসেছে ইডির। কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ওই তালিকায় কয়েকজন প্রভাবশালীর নামও রয়েছে।  ইডি সূত্রে খবর, টেট দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) নাম জড়িয়েছে কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডলদের। কিন্তু তার সঙ্গে প্রায় ৫০ কোটি টাকার যে লেনদেনের হিসেব মিলেছে, সেই বিপুল পরিমাণ টাকা তোলা হয়েছে আপার প্রাইমারি, নবম দশম, একাদশ দ্বাদশ ও স্কুলের গ্রুপ সি এবং ডি-র চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘কীভাবে তদন্ত এগোবে রোজ বলে দিতে হবে কেন?’’ সিবিআইকে ফের ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    ইডির দাবি, যাঁরা টাকা দিয়েছেন, তাঁদের বেশিরভাগকেই চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। একজনের কাছ থেকে বিষয়টি শুনে অন্য চাকরি প্রার্থীরাও উৎসাহ নিয়ে এগিয়ে আসেন। ফলে এজেন্টদের মাধ্যমে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্য ও পার্থর ধৃত সঙ্গীদের কাছে পৌঁছে যেত সেই বিপুল পরিমাণ টাকা। চাঁইদের করা রেট চার্ট (Recruitment Scam) জানিয়ে দেওয়া হত চাকরি প্রার্থীদের। সেই মতো টাকা দিতেন চাকরি প্রার্থীরা। ওই টাকা কতজন প্রভাবশালীর কাছে পৌঁছেছিল, তা জানতে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে ইডি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Kanthi: স্বস্তি নেই নাবালিকা ধর্ষণে অভিযুক্ত কাঁথির তৃণমূল ছাত্রনেতার, সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ই বহাল ডিভিশন বেঞ্চে

    Kanthi: স্বস্তি নেই নাবালিকা ধর্ষণে অভিযুক্ত কাঁথির তৃণমূল ছাত্রনেতার, সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ই বহাল ডিভিশন বেঞ্চে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিঙ্গল বেঞ্চের পর এবারে ডিভিশন বেঞ্চেও ধাক্কা খেল নাবালিকা ধর্ষণে অভিযুক্ত কাঁথির তৃণমূল ছাত্রনেতা শুভদীপ গিরি। নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ অভিযুক্তকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছিল। সিঙ্গল বেঞ্চের এই রায়ের উপর হস্তক্ষেপে নারাজ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। তবে অভিযুক্ত শুভদীপ গিরি চাইলে রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি নিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের দ্বারস্থ হতে পারেন, নির্দেশ দিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

    ডিভিশন বেঞ্চে ধাক্কা তৃণমূল ছাত্রনেতার

    সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের উপর হস্তক্ষেপ করল না প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের রায়, বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ অভিযুক্তকে আত্মসমর্পণের যে নির্দেশ দিয়েছিল, সেখানে তারা হস্তক্ষেপ করবে না। ফলে নাবালিকাকে ধর্ষণের মামলায় অস্বস্তিতে পড়লেন শুভদীপ গিরি।

    সিঙ্গল বেঞ্চে কী রায় দেওয়া হয়েছিল?

    জানুয়ারির শেষ দিকে হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দিয়েছিলেন, আত্মসমর্পণ করলেও জামিন দেওয়া যাবে না অভিযুক্ত শুভদীপ গিরিকে। সঙ্গে নির্দেশ, তাঁকে গ্রেফতারির সব রকম চেষ্টা করতে হবে পুলিশকে। অভিযুক্তকে অবিলম্বে গ্রেফতারের চেষ্টা করতে হবে। তিনি যেন নিম্ন আদালতে জামিন না পান, তার চেষ্টা করতে হবে পুলিশকে। আর সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্রনেতা। তার পরই আজ এই নির্দেশ দিল ডিভিশন বেঞ্চ।

    কী ঘটেছিল?

    নির্যাতিতার বাবা-মায়ের অভিযোগ, শুভদীপ তাঁদের মেয়েকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করেন। মোবাইলে একান্ত মুহূর্তের বেশ কিছু ছবিও তুলে রাখেন। কিন্তু পরে তাঁদের মেয়েকে বিয়ে করতে রাজি হননি। মেয়েটি তাঁকে ওই সব একান্ত মুহূর্তের ছবি মোবাইল থেকে মুছে দিতে বলে। অভিযোগ, এর পর গত বছরের ১৪ অক্টোবর সেই ছবি মোছার অজুহাতে প্রাক্তন বান্ধবীকে দিঘার একটি হোটেলে ডাকেন তৃণমূল ছাত্রনেতা। নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, সেখানেই তাঁদের কন্যাকে ধর্ষণ করেন শুভদীপ। এই ঘটনার পর ১ নভেম্বর তাঁদের মেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।

    চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি কাঁথি থানায় তৃণমূল ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালেও কোনও পদক্ষেপ করেনি কাঁথি থানার পুলিশ। এরপর পুলিশি তদন্তে অসন্তুষ্ট ওই পরিবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। এর পর গত ১৯ জানুয়ারি মামলা দায়ের হয়। আদালত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেয়। কিন্তু তার পরও শুভদীপকে পুলিশ গ্রেফতার না করায় পুলিশের তদন্ত নিয়েই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন খোদ বিচারপতি মান্থা। এর আগে এক তদন্তকারী পুলিশ কর্তাকে তিনি বলেন, ‘‘আপনি সঠিক ভাবে তদন্ত করছেন না…। যত দ্রুত সম্ভব তাঁকে গ্রেফতার করুন।” এছাড়া, অভিযুক্তকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয় আদালত। তবে অভিযুক্তের আইনজীবী এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিলেন। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চ এই রায়ে হস্তক্ষেপ করতে নারাজ।

  • West Bengal DA: বকেয়া ডিএ-র দাবিতে এবার চিঠি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীকে, ডাক কর্মবিরতিরও

    West Bengal DA: বকেয়া ডিএ-র দাবিতে এবার চিঠি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীকে, ডাক কর্মবিরতিরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বকেয়া ডিএ-র (West Bengal DA) দাবিতে ১০ দিন ধরে ধর্মতলায় ধর্নায় বসেছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। তার পরেও সুরাহা না হওয়ায় এবার মঞ্চের তরফে চিঠি দেওয়া হল রাষ্ট্রপতি (President) ও প্রধানমন্ত্রীকে (Prime Minister)। শুধু তাই নয়, মঞ্চের তরফে চিঠি দেওয়া হয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্যের সমস্ত ট্রেউ ইউনিয়ন, কর্মী ইউনিয়নকেও। ওই চিঠিতে লেখা হয়েছে, হাইকোর্ট ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, এই ডিএ সরকারি কর্মীদের সাংবিধানিক অধিকার। তা যেন দিয়ে দেওয়া হয়। তার পরেও রাজ্য সরকার গড়িমসি করে চলেছে। নিয়োগে স্বচ্ছতার দাবিও তোলা হয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে।

    কর্মবিরতি…

    ইতিমধ্যেই মঞ্চের তরফে দু ঘণ্টার জন্য সমস্ত সরকারি দফতরে কর্মবিরতি পালন করা হয়েছে। ১৩ ফেব্রুয়ারি কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছে মঞ্চের তরফে। তবে জরুরি পরিষেবা সচল রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে। এর আগে ১ ফেব্রুয়ারি দু ঘণ্টার কর্মবিরতি পালিত হয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনে কাজ না করার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে মঞ্চের তরফে। এসবেও কাজ না হওয়ায় এবার রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করল মঞ্চ। প্রসঙ্গত, শহিদ মিনার ময়দানে ২৭ জানুয়ারি থেকে ধর্নায় বসেছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। সরকারি কর্মী, আধা সরকারি কর্মী, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, ডাক্তার, নার্স, পুরসভার কর্মী সহ আদালতের কর্মী, পঞ্চায়েত কর্মী বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিনিধিত্ব করছে এরকম ২৮টি সংগঠনকে নিয়ে তৈরি হয়েছে এই মঞ্চ। যদিও পরে আরও একাধিক সরকারি কর্মী সংগঠনও যুক্ত হয়েছে এই মঞ্চে।

    আরও পড়ুুন: কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর, ফের বাড়ছে ৪ শতাংশ ডিএ, কবে থেকে জানেন?

    এদিকে আন্দোলন আরও জোরালো করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মঞ্চ (West Bengal DA)। ৭ ফেব্রুয়ারি সরকারি কর্মীদের ওই ধরনা মঞ্চে ডাকা হবে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের। ৯ ফেব্রুয়ারি রাজ্যজুড়ে ‘দাবি ব্যাজ’ পরে ক্লাস নেবেন সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা। ১০ ফেব্রুয়ারি শহিদ মিনারে হবে নাগরিক কনভেনশন। উপস্থিত থাকবেন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। ১৩ ফেব্রুয়ারি পালিত হবে কর্মবিরতি। এদিকে, ডিএ (West Bengal DA) মামলায় সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে রাজ্য সরকার জানিয়েছে, হাইকোর্টের রায়ের বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। কর্মীদের বর্ধিত হারে ডিএ দিলে আর্থিক বিপর্যয় ঘটতে পারে। প্রসঙ্গত, তিন মাসের মধ্যে সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। সিঙ্গল বেঞ্চেরে সেই রায় বহাল রাখে ডিভিশন বেঞ্চও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

LinkedIn
Share