Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Calcutta High Court: ‘‘কীভাবে তদন্ত এগোবে রোজ বলে দিতে হবে কেন?’’ সিবিআইকে ফের ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ‘‘কীভাবে তদন্ত এগোবে রোজ বলে দিতে হবে কেন?’’ সিবিআইকে ফের ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে (Calcutta High Court) ফের মুখ পুড়ল সিবিআই- এর। সিবিআই আধিকারিকদের অপদার্থতায় ক্ষোভ উগরে দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। বিচারপতির প্রশ্নবানের মুখে কার্যত বোবা হয়ে যান সিবিআইয়ের আইনজীবী।

    কী বললেন বিচারপতি? 

    সিবিআইয়ের অপদার্থতায় বিরক্তি প্রকাশ করে গত শুক্রবার তদন্তকারী আধিকারিকদের সম্পত্তির হিসাব পেশের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Calcutta High Court) । শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সিবিআইয়ের অপদার্থতায় বিরক্তি প্রকাশ করে গত শুক্রবার তদন্তকারী আধিকারিকদের সম্পত্তির হিসাব পেশের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শুক্রবার যেই অবস্থায় আদালতের কাজকর্ম বন্ধ হয়েছিল সোমবার সেখান থেকেই শুরু হল। বদলাল শুধু এজলাস। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর এবার সিবিআই- এর কাজে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বিচারপতি বসু।

    আরও পড়ুন: জোরালো ভূমিকম্পে পর পর দু’ বার কেঁপে উঠল তুরস্ক! মৃত অন্তত ৩৬০

    এদিন নবম – দশম নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি বসু সিবিআইয়ের আইনজীবীকে (Calcutta High Court) প্রশ্ন করেন, “চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? যারা টাকা দেওয়া-নেওয়া করেছেন তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? আদালত কেন বার বার একে ওকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি বলে প্রশ্ন তুলছে?” বিচারপতির একের পর এক প্রশ্নে কার্যত  বাকরুদ্ধ হয়ে যান সিবিআইয়ের আইনজীবী।   
     
    এএরপর বিচারপতি আরও প্রশ্ন করেন, “যারা ওএমআর শিট বিকৃত করেছেন তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? সিবিআই কী ভাবে তদন্ত করবে সেটা কেন বার বার আদালতকে বলে দিতে হবে? সিবিআই কী ভাবে কাজ করবে সেটা আদালতকে বারবার বলে দিতে হচ্ছে? এটা ভালো দেখায় না। কেন দুর্নীতিতে যুক্তদের প্রতি এত সদয় সিবিআই?”

    প্রসঙ্গত, রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের দায়িত্বে সিবিআই (Calcutta High Court)। সাম্প্রতিককালে বার বার আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইতিমধ্যে ২ বার তদন্তকারী আধিকারিক বদলের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। কিন্তু তাতেও সিবিআই- এর ভূমিকায় অখুশি সিবিআই।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     
     

          
     
      

     

  • Pradhan Mantri Awas Yojana: আবাস যোজনা নিয়ে ঘাটালে পঞ্চায়েত কর্মীদের ধমক কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের

    Pradhan Mantri Awas Yojana: আবাস যোজনা নিয়ে ঘাটালে পঞ্চায়েত কর্মীদের ধমক কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবাস যোজনা নিয়ে এবারে পঞ্চায়েত কর্মীদের ধমক দিল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। রবিবার কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ঘাটালের মনোহরপুর পরিদর্শনে আসেন। আবাস যোজনা থেকে ১০০ দিনের কাজ, কেন্দ্রের প্রকল্পগুলির অবস্থা সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে জেলায় জেলায় ঘুরছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। ফলে গতকাল তাঁরা পৌঁছে গিয়েছিলেন ঘাটালে। সেখানে অভিযোগ উঠেছে যে, মানা হচ্ছে না কোনও সঠিক নিয়ম, উপযুক্ত প্রাপকদের দেওয়া হচ্ছে না বাড়ি, এমনকি আবাস যোজনার প্রকল্পের বাড়ি নিয়ে করা হয়েছে বাথরুম ও রান্নাঘর। ফলে একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় পঞ্চায়েত কর্মীদের।

    কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের ধমক

    আবাস যোজনার বাড়ি নিয়ে চরম গাফিলতি ধরা পড়ল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল ব্লকের মনোহরপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রতাপপুর এলাকায়। সঠিক নিয়ম না মেনে আবাস যোজনায় ঘর বণ্টন করা হয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় দলের প্রতিনিধিদের। সঠিক নিয়ম না মানায়, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের ধমক খেতে হল গ্রাম পঞ্চায়েত কর্মীদেরও। স্থানীয় বিজেপি নেতা দেবাশিষ সামন্ত বলেন, “কেন্দ্রীয় আবাস যোজনায় এই অঞ্চলে অনেকেই বাড়ি পাননি। কোনও জায়গায় শৌচালয়ের ভেতরে ঘর করা হয়েছে। সেটা থাকার যোগ্য নয়। এরকম একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সেই কারণে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের গাড়ি দাঁড় করিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে।”

    স্থানীয় গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ

    রবিবার, ঘাটালে কেন্দ্রীয় দল পৌঁছলে মনসুকা গ্রামে ১০০ দিনের কাজের টাকার দাবিতে একাধিক অভিযোগ এনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বাসিন্দাদের একাংশ। কেন্দ্রীয় দলের আসার খবর পেয়েই একাধিক অভিযোগ নিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে এসে হাজির হন গ্রামের মানুষ। ওই এলাকার বাসিন্দা ঝর্না রুইদাস বলেন, “১০০ দিনের কাজের টাকা পাচ্ছি না। অনেকেই যোগ্য আবাস যোজনায় বাড়ি পাচ্ছে না।” আবার বাগদাতেও বিক্ষোভ করেন সেখানকার বাসিন্দারা। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের কাছে ১০০দিনের কাজের টাকার বন্দোবস্ত করে দেওয়ার কথা বলেছেন বাসিন্দারা। বাগদার সিন্দ্রাণী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় চরমণ্ডলে রাস্তার দাবিতে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনে ক্ষোভ উগরে দেন বাসিন্দারা।

  • Suvendu Adhikari: “নোটার থেকেও কম ভোট পাবে তৃণমূল”, পিংলা সভা থেকে তৃণমূলকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “নোটার থেকেও কম ভোট পাবে তৃণমূল”, পিংলা সভা থেকে তৃণমূলকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে সভা করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেখানে কটাক্ষ করেছেন বিজেপিকে। তারই কড়া জবাব দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আবার সভা শেষে ফের হামলারও শিকার হয় বিজেপি সমর্থক। গতকাল পিংলায় শুভেন্দু অধিকারীর সভা থেকে ফেরার পথে হামলার মুখে পড়ে বিজেপি কর্মী, সমর্থকদের বাস। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা ছড়ায় ঘাটাল দাসপুর রাজ্য সড়কের  নিমতলা এলাকায়। বাসের উপর ইটবৃষ্টি করা হয়। দুষ্কৃতীদের ছোড়া ইটের আঘাতে আহত হয় বাসের চালক। অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা তাঁদের যাত্রাপথে আক্রমণ ঘটিয়েছে। তৃণমূলের লোকজন এই হামলা চালিয়েছে। বিরোধী দলনেতার সভায় মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখে তটস্থ তারা। পঞ্চায়েত ভোটের আগে কাঁপন ধরছে শাসকশিবিরে। তাই এভাবে হামলা করা হচ্ছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    রবিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলায় সভা করেন শুভেন্দু অধিকারী। স্থানীয় সূত্রে খবর, বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাটের নেতৃত্বে ঘাটাল থেকে বেশ কিছু কর্মী সমর্থক বাসে করে শুভেন্দু অধিকারীর সভায় যোগ দিতে যায়। সভা থেকে বাড়ি ফেরার পথে দাসপুরের নিমতলার কাছে হঠাৎই ইট দিয়ে কিছু দুষ্কৃতী হামলা চালায় বিজেপি সমর্থকদের বাসে। আক্রমণের প্রতিবাদে বাস থেকে নেমে বেশ কিছুক্ষণ পথ অবরোধ করে বিজেপি কর্মীরা। এই ঘটনায় কেউ গুরুতর জখম না হলেও ইটের আঘাতে একজন বাসচালক চোট পান। এরপর ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। কোনওক্রমে বিজেপি কর্মীদের বুঝিয়ে এলাকা থেকে সরিয়ে দেয় তারা। কারা হামলা চালাল তা খতিয়ে দেখছে ঘাটাল ও দাসপুর থানার পুলিশ।

    মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    রবিবার পিংলায় সভা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ নাম না-করে শুভেন্দু এদিন বলেন, “মাননীয়া হলেন কোম্পানির মালিক ও মাননীয় কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর৷” মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের মানুষকে টুপি পরিয়ে এখন অন্যের টুপি নিয়ে টানাটানি করছেন বলেও এদিন মন্তব্য করেন শুভেন্দু। এছাড়াও রাজ্যের দুর্নীতি ও গণতন্ত্রহীনতা নিয়ে সরব হন শুভেন্দু অধিকারী৷ তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প এবং প্রকল্পের টাকা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পাঠিয়েছেন৷ কিন্তু এখানকার শাসকদলের মাননীয়া এবং তার ম্যানেজিং ডিরেক্টর সেই টাকা ঝেড়ে দিয়েছে। যার জন্য এখানকার জনগণকে জিজ্ঞেস করলে তাঁরা উত্তরে বলবে যে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা তাঁরা পাচ্ছেন না।”

    অভিষেককে জবাব বিরোধী দলনেতার

    আবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শনিবার কেশপুরের সভা থেকে বলেছিলেন, “বিরোধীরা আদৌ সব আসনে দিতে পারবে তো?” মন্তব্যের কড়া জবাব দিয়ে শুভেন্দু বলেছেন “তুমি কে হরিদাস পাল? আমাদের প্রার্থী ঠিক করে দেবে। আমরা পঞ্চায়েত নির্বাচনের লড়ে নেব।” কটাক্ষের সুরে শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, “ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে ‘নোটা’র থেকেও কম ভোট পাবে তৃণমূল। আমরা তৃণমূলকে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবেই মানছি না, সেই কারণেই ত্রিপুরায় দলীয় প্রচারে আমি কিংবা আমাদের কোনও নেতাই তৃণমূল শব্দটাই উচ্চারণ করেনি। আমার কথা মিলিয়ে নেবেন, ভোটের ফলাফলে তৃণমূল ‘নোটা’ র থেকেও কম ভোট পাবে।” উল্লেখ্য, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে গতকাল মঞ্চে উপস্থিত হয়েছিলেন খড়্গপুরের বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়-সহ বিজেপির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ৷

  • Birbhum Blast: বোমা বিস্ফোরণের জের! ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বদলি বীরভূমের এসপি নগেন্দ্র ত্রিপাঠীর

    Birbhum Blast: বোমা বিস্ফোরণের জের! ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বদলি বীরভূমের এসপি নগেন্দ্র ত্রিপাঠীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাড়গ্রাম বিস্ফোরণে (Birbhum Blast) তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের ভাইসহ ২ জনের মৃত্যুর ঘটনায় উত্তপ্ত বীরভূম। আর এই ঘটনার জেরে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বদলির চিঠি পেলেন বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠীর কাছে। রবিবার ছুটির দিনেও তাঁর বদলির নির্দেশ জারি করেছে নবান্ন। তাঁকে কম গুরুত্বপূর্ণ পদ, অফিসার অন স্পেশ্যাল ডিউটিতে পাঠানো হয়েছে।   

    তাঁকে ডিজি পদমর্যাদার ওএসডি পদে পাঠানো হয়েছে। যা পুলিশ সুপারের পদ থেকে অনেক কম গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর জায়গায় বদলি হয়ে আসছেন সুন্দরবনের পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়। সুন্দরবনের পুলিশ সুপার (Birbhum Blast) হয়েছেন কোটেশ্বর রাও।  
     
    প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিন নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে দাঁড়িয়ে নগেন্দ্র ত্রিপাঠীর ‘ম্যাডাম উর্দিতে দাগ লাগতে দেব না’ ডায়লগ বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ায় বাধা দিতে শাসকদল পরিকল্পনা করে শিবঠাকুর মণ্ডলকে দিয়ে অভিযোগ করিয়েছিল বলে সংবাদমাধ্যমের সামনে স্বীকার করেছিলেন বীরভূম তৃণমূলের সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়। এই ষড়যন্ত্রের মধ্যে নগেন্দ্রবাবুর জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। অবশেষে মাড়গ্রাম বিস্ফোরণ দিয়ে শেষ হল তাঁর বীরভূম অধ্যায়।

    আরও পড়ুন: সোমবার এশিয়ার বৃহত্তম হেলিকপ্টার তৈরির কারখানা উদ্বোধন করবেন মোদি

    মৃত্যু লাল্টু শেখেরও 

    উল্লেখ্য, এদিনের বিস্ফোরণের (Birbhum Blast) ঘটনায় আগেই মারা যান পঞ্চায়েত প্রধানের ভাইয়ের বন্ধু নিউটন শেখ। চিকিৎসার জন্য মাড়গ্রাম থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে আনা হয়েছিল প্রধানের ভাই লাল্টু শেখকে। সেখানেই মারা যায় লাল্টু। হাসপাতাল সূত্রের খবর, চিকিৎসা চলাকালীন অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হচ্ছিল লাল্টু শেখের। চিকিৎসার সময়েই তিনবার হার্ট অ্যাটাক হয় লাল্টুর। এদিনই ময়নাতদন্ত হতে পারে বলে সূত্রের খবর। প্রাথমিক সূত্রের খবর, তৃণমূলের প্রধানের ভাই লাল্টু শেখের শরীরে একাধিক আঘাত ছিল। পরিবারের অভিযোগ ছিল, বোমার আঘাতে আহত হওয়ার পরে কয়েকজন মিলে তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে ওই অবস্থায় বেধড়ক মারধর করা হয়। চিকিৎসা চলাকালীন শেষপর্যন্ত মারা যান লাল্টু শেখ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     
     

        

         

  • Chit Fund: বীরভূমে চিটফান্ডের হদিশ, আত্মসাত ৩০ কোটি, যুবক গ্রেফতার

    Chit Fund: বীরভূমে চিটফান্ডের হদিশ, আত্মসাত ৩০ কোটি, যুবক গ্রেফতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের খবরের শিরোনামে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) জেলা বীরভূম। এবার পর্দা ফাঁস চিটফান্ডকাণ্ডের (Chit Fund)। ৩০ কোটিরও বেশি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ। জেলার প্রায় দেড়শো যুবকের কাছে সুদ সহ টাকা ফেরতের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই পরিমাণ টাকা তোলা হয়েছে। পরে সংস্থাকে দেউলিয়া ঘোষণা করে গা ঢাকা দেন সংস্থার কর্ণধার শুভ্রায়ন শীল নামে এক যুবক। রবিবার তাঁকে আটক করেছে বোলপুর থানার পুলিশ। বীরভূমে গোরুপাচার মামলার তদন্তে নেমে একাধিক দুর্নীতির হদিশ পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। ওই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। বর্তমানে তিনি বন্দি জেলের অন্ধকার কুঠুরিতে। সিবিআইয়ের দাবি, লটারির টিকিটের মাধ্যমে গোরু পাচারের কোটি কোটি কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। এহেন আবহে জেলায় চিটফান্ডের হদিশ মেলায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

    কারবার…

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এসএস কনসালটেন্সি নামের একটি সংস্থা (Chit Fund) শেয়ার বাজারে লগ্নির নামে বাজার থেকে তুলেছে কোটি কোটি টাকা। চড়া সুদ সহ টাকা ফেরত দেওয়ার নাম করে ব্যক্তি বিশেষে দু লাখ থেকে শুরু করে দু কোটি টাকা পর্যন্ত তুলেছে এই সংস্থা। এভাবে তারা বাজার থেকে তুলেছে ৩০ কোটি টাকারও বেশি। পরবর্তীকালে নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করে গা ঢাকা দেন সংস্থার কর্তাব্যক্তিরা। মাস তিনেক পরে সংস্থার কর্ণধার শুভ্রায়নকে খুঁজে পান লগ্নিকারীরা। তাঁর বিরুদ্ধে প্রলোভন দেখিয়ে ১৫০ জনেরও বেশি যুবকের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

    আরও পড়ুুন: বাজেটে রেকর্ড বরাদ্দ, অথচ জমি জটে আটকে রেল প্রকল্প, খরচ কীভাবে?

    শুভ্রায়নকে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করেছে বোলপুর থানার পুলিশ। তিনি শহরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। শুভ্রায়নের গ্রেফতারির খবর পেয়ে তাঁর বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান লগ্নিকারীরা। তিনি বলেন, আমি একটা কোম্পানি খুলেছিলাম। তাতে আমার অনেক টাকা লোকসান হয়েছে। টাকা ফিরিয়ে দেব বলে আমি ওঁদের কাছে সময় চেয়েছিলাম।

    কয়েকজন লগ্নিকারী বলেন, সুদ সহ টাকা ফেরত দেবে বলে আমাদের কাছে টাকা তুলেছিল (Chit Fund)। বোলপুরের শতাধিক ছেলে লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়েছে। সেই টাকা না ফিরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। ৩০ কোটির বেশি টাকা লুঠ করেছে। আমরা চাই পুলিশ আমাদের টাকা আদায় করে দিক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Indian Railway: বিপুল বরাদ্দ রেলের, নতুনভাবে সাজবে বাংলার ৯৪টি স্টেশন! কোনগুলো জানেন?

    Indian Railway: বিপুল বরাদ্দ রেলের, নতুনভাবে সাজবে বাংলার ৯৪টি স্টেশন! কোনগুলো জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবছরের বাজেটে বাংলার জন্য রেলের বরাদ্দ অনেকটাই বাড়িয়েছে কেন্দ্র। জানা গিয়েছে ,ইউপিএ আমলে যত বরাদ্দ ছিল, তার থেকে তিন গুন বাড়ানো হয়েছে বরাদ্দ। রেল (Indian Railway) থেকে মেট্রো সব ক্ষেত্রে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে এবারের বাজেটে। সামনে এসেছে স্টেশন পুনর্গঠন তালিকা। কেন্দ্রের ‘অমৃত ভারত স্টেশন স্কিম’এ সারা ভারত জুড়ে অসংখ্য স্টেশনকে আধুনিক এবং উন্নত মানের বানানো হবে বলে জানা গিয়েছে।  মোট ১২৭৫ টি রেল স্টেশনের তালিকা প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। পশ্চিমবঙ্গের ৯৪টি রেল স্টেশন রয়েছে এই তালিকায়।

    বাংলার কোন কোন স্টেশন অমৃত ভারত স্টেশন স্কিমের আওতায় পড়বে 

    বর্ধমান, রামপুরহাট, বোলপুর, নবদ্বীপ ধাম, খাগড়াঘাট, কাটোয়া, তারকেশ্বর, শেওড়াফুলি, বালি, আজিমগঞ্জ, ডানকুনি, সাঁইথিয়া, চন্দননগর, অম্বিকা কালনা, শিয়ালদহ, কৃষ্ণনগর, কল্যাণী, শান্তিপুর, ক্যানিং, চাঁদপাড়া, সোনারপুর, বহরমপুর কোর্ট, বেথুয়াডহরি, বনগাঁ, কল্যাণী ঘোষপাড়া, নৈহাটি, ব্যারাকপুর, দমদম জংশন, গেদে, অন্ডাল, সীতারামপুর, পাণ্ডবেশ্বর, সিউড়ি, পানাগড়, মালদা টাউন, নিউ ফারাক্কা, ধূলিয়ান গঙ্গা, জঙ্গিপুর রোড, নিউ আলিপুরদুয়ার, ডালগাঁও, হাসিমারা, দিনহাটা, নিউ মাল জংশন, জলপাইগুড়ি রোড, ধূপগুড়ি, ফালাকাটা, কামাক্ষ্যাগুড়ি, বান্নাগুড়ি, মালদা কোর্ট, কালিয়াগঞ্জ, হলদিবাড়ি, ভালুকারোড, আলুয়াবাড়ি, জলপাইগুড়ি, ডালখোলা, হরিশচন্দ্রপুর, সামসি, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, আদ্রা, বিষ্ণুপুর, বরাভূম, বার্নপুর, চন্দ্রকোণা রোড, গড়বেতা, আনাড়া, জয়চাঁদি পাহাড়, শালবনি, মধুকুণ্ডা, আন্দুল, বেলদা, দিঘা, হলদিয়া, হিজলি, ঝাড়গ্রাম, খড়গপুর, মেচেদা, মেদিনীপুর, পাঁশকুড়া, তমলুক, ঝালিদা, সুইসা, তুলিন, বাগনান, উলুবেড়িয়া, গোসিগাঁও হাট, শালিমার, হাওড়া, আলিপুরদুয়ার জংশন, নিউ কোচবিহার, নিউ জলপাইগুড়ি, আসানসোল, ব্যান্ডেল, হাওড়া, কলকাতা টার্মিনাল।

    কী এই ‘অমৃত ভারত স্টেশন স্কিম’

    জানা যাচ্ছে, স্টেশনগুলিতে যা যা পরিষেবা দেওয়া হত, তার থেকে বেশি পরিষেবা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে এই স্কিমে। যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের কথা ভেবে রুফ প্লাজার কথারও উল্লেখ রয়েছে কেন্দ্রের এই স্কিমে। স্টেশনের প্রবেশ পথে যাতে যথেষ্ট জায়গা থাকে, সেই ব্যবস্থাও রাখা হবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘শুধু আমলার স্ত্রীই নন, ভিক্টোরিয়ায় যেন অনুষ্ঠানের সুযোগ পান অন্য শিল্পীরাও’, রাজ্যপালকে আবেদন শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘শুধু আমলার স্ত্রীই নন, ভিক্টোরিয়ায় যেন অনুষ্ঠানের সুযোগ পান অন্য শিল্পীরাও’, রাজ্যপালকে আবেদন শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভিক্টোরিয়া মেমরিয়ালে গানের অনুষ্ঠান করেছেন রাজ্যের আমলা মণীশ জৈনের স্ত্রী রুচিরা জৈন। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। যেহেতু এই স্মৃতি সৌধের ট্রাস্টির চেয়ারপার্সন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose), তাই তাঁর কাছেই আর্জি জানিয়েছেন শুভেন্দু। তাঁর আর্জি, শুধু আমলার স্ত্রীই নন, ভিক্টোরিয়ায় যেন অনুষ্ঠানের সুযোগ পান অন্য শিল্পীরাও। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, শুভেন্দুর এই আবেদন আদতে রাজ্যপালের ওপর চাপ জারি রাখার কৌশল।

    সি ভি আনন্দ বোস…

    সি ভি আনন্দ বোসের আগে রাজ্যপাল পদে ছিলেন জগদীপ ধনখড়। পরে উপরাষ্ট্রপতি হয়ে চলে যান তিনি। তাঁর জায়গায় রাজ্যপাল পদে আসেন সিভি আনন্দ বোস। তার পরেই রাজ্য সরকারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বঙ্গ বিজেপি। স্বপন দাশুগুপ্তের মতো নেতারা আগেই বলেছেন, জগদীপ ধনখড়ের বিকল্প খুঁজে পাওয়া ভার। তার পরেই সরস্বতী পুজোয় রাজ্যপালের বাংলা শেখার হাতে খড়ি অনুষ্ঠানে জয় বাংলা মন্তব্য নিয়ে শোলগোল পড়ে যায়। তৃণমূলেক বিঁধে রাজ্যপালের শব্দ চয়ন নিয়ে সতর্ক হওয়ারও পরামর্শ দিয়েছিলেন শুভেন্দু।

    আরও পড়ুুন: ‘ক্ষমা চান, না হলে নবান্ন অভিযান হবে’, মতুয়া বিতর্কে মুখ্যমন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি পরিষদের 

    রুচিরার সঙ্গীতানুষ্ঠান নিয়ে ট্যুইট-বার্তায় শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লেখেন, শ্রীমতি রুচিরা জৈন, শ্রী মণীশ জৈন (আইএএস) এর স্ত্রী, প্রধান সচিব, স্কুল শিক্ষা বিভাগ, পশ্চিমবঙ্গ সরকার আজ ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে অনুষ্ঠান করবেন। আমি মাননীয় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে অনুরোধ করব পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য গায়ক ও সঙ্গীতশিল্পীদের একই সুযোগ দেওয়ার জন্য।

    রাজ্যপালের প্রতি বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) আবেদন, ঐতিহ্যবাহী মেমরিয়ালের ট্রাস্টির চেয়ারপার্সন হিসেবে আশা করব এরপর ভিক্টোরিয়ায় পশ্চিমবঙ্গের প্রতিভাবান সঙ্গীতশিল্পীরাও অনুষ্ঠান করার সুযোগ পাবেন। গান গাইতে পারবেন, ভাওয়াইয়া, চটকা, ভাদু, টুসু, জাওয়া, ঝুমুর, আলকাপ, বোলান, পাঞ্চালুর মতো লোকশিল্পীরাও। ভিক্টোরিয়ার মতো জায়গায় এঁরা নিজেদের মেলে ধরার সুযোগ পেলে উপকৃত হবেন। শুভেন্দুর অভিযোগ, বিভিন্ন কাগজে রুচিরা জৈনের গানের অনুষ্ঠানের প্রচারের খরচ জুগিয়েছেন ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল কর্তৃপক্ষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • Suvendu Adhikari: ‘ক্ষমা চান, না হলে নবান্ন অভিযান হবে’, মতুয়া বিতর্কে মুখ্যমন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি পরিষদের

    Suvendu Adhikari: ‘ক্ষমা চান, না হলে নবান্ন অভিযান হবে’, মতুয়া বিতর্কে মুখ্যমন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি পরিষদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মতুয়া (Matua) সম্প্রদায়ের গুরুর নাম বিকৃত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেজন্য মালদহের গাজোলে গিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে। এবার এই দাবিতে সরব হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। এই দুই বিজেপি নেতার অভিযোগ, গাজোলের একটি সভা থেকে মতুয়া সম্প্রদায়ের আরাধ্য হরিচাঁদ ঠাকুর ও গুরুচাঁদ ঠাকুরের নাম ইচ্ছাকৃতভাবে বিকৃত করেছেন মমতা। শনিবার নদিয়ার একটি জনসভায় এনিয়ে ফের সরব হন শুভেন্দু। আগামী সাত দিনের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমা না চাইলে নবান্ন অভিযানের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শুভেন্দু-শান্তনু।

    মতুয়া…

    আন্তর্জাতিক মতুয়া পরিষদের আহ্বায়ক সুকেশ চৌধুরী। শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। সেই সময় মতুয়া পরিষদের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাত দিনের মধ্যে ক্ষমা চাওয়ার অনুরোধ জানানো হয়। এই সময়সীমার মধ্যে তিনি ক্ষমা না চাইলে নবান্ন অভিযানের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরাও।

    এদিন নদিয়ার সভা শেষে শান্তনু বলেন, শুধুমাত্র একটা সম্প্রদায়ের মানুষকে খুশি করার জন্য, ভোটব্যাঙ্কের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মালদহের গাজোলে দাঁড়িয়ে হরিচাঁদ ও গুরুচাঁদ ঠাকুরের নাম বিকৃতি করে উচ্চারণ করেছেন। তাঁকে এই মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। এর পরেই শুভেন্দুও বলেন, গাজোলে গিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মতুয়া সম্প্রদায়ের পথেই হাঁটতে হবে গোটা রাজ্যের মানুষকে। এর আগেও ট্যুইট করে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তখনও তিনি জানিয়েছিলেন, গুরুচাঁদের নাম বিকৃত করে মতুয়া ও নমঃশুদ্র সমাজকে অপমান করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সারাজীবন মতুয়া সমাজকে ভোট ব্যাঙ্ক ভেবেছেন, মন থেকে সম্মান করেননি।

    আরও পড়ুুন: সবাই নাগরিক হলে ৭১- এর দলিল চায় কেন? সিএএ প্রসঙ্গে মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    প্রসঙ্গত, গাজোলের একটি জনসভায় মতুয়াদের ধর্মগুরুর নাম ভুল বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিষয়টি নিয়ে তখন থেকেই শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমা না চাইলে আন্দোলন হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে সর্বভারতীয় মতুয়া মহাসংঘ। বিষয়টি নিয়ে পথে নামবেন বলে ঘোষণা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতাও। শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটায় বিক্ষোভেও শামিল হন মতুয়া সম্প্রদায়ের লোকজন। তৃণমূল ভোট চাইতে এলে মতুয়াদের লাঠি নিয়ে তৈরি থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বনগাঁ দক্ষিণের বিধায়ক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Kuntal Ghosh: কুন্তলের থেকেও টাকা এসেছিল পার্থ-ঘনিষ্ঠ অর্পিতার ফ্ল্যাটে, নয়া তথ্য ইডির

    Kuntal Ghosh: কুন্তলের থেকেও টাকা এসেছিল পার্থ-ঘনিষ্ঠ অর্পিতার ফ্ল্যাটে, নয়া তথ্য ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতে এল এক নয়া তথ্য। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের-ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া টাকার সঙ্গে যোগ আছে কুন্তল ঘোষেরও (Kuntal Ghosh)। টাকা এসেছিল কুন্তলের থেকেও। 

    কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার না হলেও কেন দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করা হল তাঁকে? তৃণমূল যুবনেতার আইনজীবীর এই প্রশ্নের জবাবে আদালতে ইডি দাবি করে, পার্থ-অর্পিতার সঙ্গে কুন্তলের যোগ রয়েছে। 

    প্রসঙ্গত, কুন্তলের (Kuntal Ghosh) বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে চাকরি করিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মানিক ভট্টাচার্য-ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের বয়ানের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয় কুন্তলকে। ইডি হেফাজতে জেরা করে কুন্তলের থেকে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলেছে বলে খবর রয়েছে।

    কী দাবি ইডির? 

    ইডির তদন্তে উঠে এসেছে, চাকরি দেওয়ার নাম করে বাজার থেকে কুন্তল কোটি কোটি টাকা তুলেছে। কীভাবে টাকা তোলা হয়েছে? ইডি আদালতে দাবি করেছে, ১৩০ জনের থেকে ৮ লক্ষ টাকা নিয়েছেন কুন্তল। শুধু তাই নয়, ১২০০ জনের থেকে ২০ হাজার করে নেওয়া হয়েছে। এর আগে আদালতে ইডি জানিয়েছিল, কুন্তলের (Kuntal Ghosh) বাড়ি থেকে ৩০টি ওএমআর শিট উদ্ধার হয়েছে। আশ্চর্যের বিষয, সেই ওএমআর শিটগুলি ছিল গত ১১ ডিসেম্বর নেওয়া টেট পরীক্ষার। শুক্রবার আদালতে ইডি ফের দাবি করেছে, কুন্তলের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া ওএমআর শিটের সংখ্যা ৩০ নয়, ২৫০!

    আরও পড়ুন: সবাই নাগরিক হলে ৭১- এর দলিল চায় কেন? সিএএ প্রসঙ্গে মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    এদিকে কুন্তলের (Kuntal Ghosh) একাধিক অফিসের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। ইডি সূত্রে দাবি, একাধিক অফিসের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে, যেখানে নিয়োগ দুর্নীতির বৈঠক হয়েছে সেই অফিসগুলিতেই। কারা আসতেন সেখানে? তদন্ত করতে গিয়ে ইডি জানতে পেরেছে কুন্তল ঘোষের বিভিন্ন এজেন্ট আসতেন সেখানে। তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতেন কুন্তল। খোঁজ নিতেন এজেন্টরা কি ভাবে কাজ করছেন। এমনকি যে প্রভাবশালী যোগ উঠে এসেছে, এই অফিসগুলিতেই হয়েছে একাধিক বৈঠক, যেখানে এসেছেন প্রভাবশালীরা, দাবি ইডির।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Suvendu Adhikari: সবাই নাগরিক হলে ৭১- এর দলিল চায় কেন? সিএএ প্রসঙ্গে মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: সবাই নাগরিক হলে ৭১- এর দলিল চায় কেন? সিএএ প্রসঙ্গে মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের এনআরসি-সিএএ নিয়ে তৃণমূল সরকারকে তুলোধনা করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শনিবার নবদ্বীপের সভা থেকে মতুয়াদের উদ্দেশে বার্তা দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাঁর বার্তা দ্রুত এই আইন কার্যকর হবে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দিকেও আক্রমণ শানান তিনি। বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, ভিন রাজ্যে মতুয়াদের পরিচয় নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। দেশের অন্যান্য নাগরিকদের সঙ্গে তা হয় না। কিন্তু তা সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রী কেন বাংলায় সিএএ লাগু হতে দিচ্ছে না, সে বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু।

    কী বলেন শুভেন্দু? 

    নবদ্বীপের সভার শুরুতেই শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “সিএএর দরকার কিসের? আমরা তো সকলেই নাগরিক। পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে আমাদের মতুয়া বন্ধুদের যখন পেটের টানে বাইরে চাকরির জন্য যেতে হয়, ভিসা, পাসপোর্ট করাতে যেতে হয়, বাংলাদেশে আত্মীয়দের বাড়িতে যেতে হয়, তখন ডিআইবি অফিস কেন ৭১ সালের দলিল চায়? অন্যদের থেকে তো চাওয়া হয় না! এই বিভেদ মুছতেই কেন্দ্র সরকার সিএএ চালু করতে চায়। আমরা আশাবাদী, আর বেশি দিন অপেক্ষা করতে হবে না। দ্রুতই সিএএ কার্যকর হবে।”

    মতুয়া ধর্মগুরুর নাম ভুল উচ্চারণ নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন জনসভা থেকে দাবি করেন, মতুয়া সম্প্রদায়ের বড় মায়ের চিকিৎসা করিয়েছেন তিনি। এদিন সেই দাবিকেও নস্যাৎ করেছেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, “চিকিৎসা হয়েছে সরকারি হাসপাতালে। সরকারি খরচে। মুখ্যমন্ত্রীর এই দাবি অত্যন্ত নিম্নরুচির পরিচয়।”    

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) কথায়, “প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ২০১৯ সালে ঠাকুরনগরে এসে যে কথা দিয়েছিলেন, তা মেনে লোকসভা ও রাজ্যসভায় সিএএ গৃহীত হয়েছে। আমরা সকলে প্রত্যাশায় রয়েছি, অপেক্ষায় রয়েছি, আইন তৈরির পর তা কার্যকরের প্রক্রিয়া কবে শুরু হবে! আমরা আশাবাদী, আর বেশি দিন অপেক্ষা করতে হবে না। তাই নবদ্বীপের এই সম্মেলন থেকে আওয়াজ তুলব, অবিলম্বে পশ্চিমবঙ্গে সিএএ চালু করা হোক।”

    আরও পড়ুন: বীরভূমে বোমা বিস্ফোরণে আহত তৃণমূল নেতার ভাই, মৃত ১

    তিনি (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী ১২ বছর পুলিশমন্ত্রী। আপনি তো চাকরি দিতে পারেননি। কর্মসংস্থান দিতে পারেননি। কোটি কোটি টাকায় চাকরি বেচেছেন।” তিনি আরও বলেন, “এই যে মাঝখানে একটা প্রাচীর তৈরি করে রেখেছে, এর বিরুদ্ধে ১৯৪৫ সাল থেকে ঠাকুরের লড়াই। এই লড়াই সফল হয়েছে নরেন্দ্র মোদিজি, অমিত শাহজির সৌজন্যে। ব্যবস্থাপক সুব্রত ঠাকুর, শান্তনু ঠাকুর। এদের বরাবরের জন্য সম্মান করব। এদের কাজকে মর্যাদা দেব।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share