Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • South 24 Parganas: রায় পছন্দ নয়! অভিষেক-গড়ে বিচারকদের আবাসনে দুষ্কৃতী হামলা

    South 24 Parganas: রায় পছন্দ নয়! অভিষেক-গড়ে বিচারকদের আবাসনে দুষ্কৃতী হামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন খোদ বিচারক! রায় পছন্দ না হওয়ায় বিচারকদের আবাসনে দুষ্কৃতী হামলা! পকসো মামলার রায় পছন্দ না হওয়ায় হামলা বলে সন্দেহ বিচারকদের। এক পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে দুষ্কৃতীদের মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে! চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ডায়মন্ড হারবার আদালতের বিচারকদের আবাসনে। তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের খাসতালুকে এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    ঠিক কী ঘটেছে? (South 24 Parganas)

    আরজি করকাণ্ড নিয়ে রাজ্যজুড়ে তোলপাড় চলছে। গত ২৭ অগাস্ট নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। সেদিন নবান্ন অভিযানে যাওয়া তিনজন মহিলা নেত্রীকে পকসো কেস দিয়ে গ্রেফতার করে ডায়মন্ড হারবার (South 24 Parganas) পুলিশ। আদালত সূত্রের খবর, ধৃতদের ১৪ দিনের পুলিশ রিমান্ড চাওয়া হয়। আইন না মানায় বিচারক পুলিশ রিমান্ড দেননি। এরপরই গত ৮ সেপ্টেম্বর রাতে দুজন দুষ্কৃতীকে সঙ্গে নিয়ে ডায়মন্ড হারবারের পুলিশ অফিসার কুমারেশ দাস বিচারকদের আবাসনে হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী ডায়মন্ড হারবার শিবালয়ে মহকুমা আদালতের বিচারকদের আবাসনে গিয়ে হামলা চালায়। বিদ্যুতের লাইন কাটতে আবাসনে জোর করে ঢোকার চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। বাধা দেওয়ায় প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। বিচারকের আবাসনে হামলার ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে নিরাপত্তা নিয়ে। আবাসনে নিরাপত্তায় নিযুক্ত নিরাপত্তা রক্ষীদের নিরাপত্তা বেষ্টনী কতটা নড়বড়ে সেই কঙ্কালসার চেহারা ফুটে উঠেছে।

    আরও পড়ুন: ‘ইলিশ দেব না’ হুঁশিয়ারি দেওয়া বাংলাদেশ ভারতের কাছে হাত পেতে নিল ডিম!

     চিঠিতে আতঙ্কের কথা জানান বিচারকরা

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) জেলা জজকে চিঠি লিখে অভিযোগ জানান ডায়মন্ড হারবার আদালতের (Diamond Harbour Court) তিন বিচারক। পরিবার নিয়ে নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন তাঁরা। দুষ্কৃতীদের কাছে প্রাণঘাতী অস্ত্রও থাকতে পারে বলে আশঙ্কা তাঁদেরর। সেই চিঠি কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারকে পাঠিয়েছেন জেলা জজ। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। চিঠিতে বিচারক ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার সাব-ইন্সপেক্টর কুমারেশ দাসের নাম উল্লেখ করেছেন। দুষ্কৃতীদের সঙ্গে যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। যদিও কুমারেশ দাস বলেন, ‘‘কেন আমার নাম নেওয়া হল জানি না। আমি পৈলানে ট্রাফিক ডিউটি করি।’’

    বার অ্যাসোসিয়েশনের কী বক্তব্য?

    বিচারকের আবাসনের হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ডায়মন্ড হারবার মহকুমার ক্রিমিনাল আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন সম্পাদক দেবাংশু পান্ডা। তিনি জানান, বিচারকরা নিরাপদ নন, তাহলে সাধারণ মানুষদের নিরাপত্তা কোথায়? পুলিশ সঠিক তদন্ত শুরু করুক। বিচারকের আবাসনে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সকল কর্মীদের পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করুক। ডায়মন্ড হারবার মহকুমার আদালতের আইনজীবীরা বিচারকের আবাসনে হামলার ঘটনায় একটি প্রতিবাদ মিছিল বের করে। এই ঘটনা কার্যত আতঙ্কিত এলাকাবাসীরা।

    সরব সুকান্তও

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গোটা ঘটনার বিবরণ দিয়ে একটি পোস্ট করেন। সুকান্ত মজুমদার আরও জানান, রাজ্যে বিচারকরাই (South 24 Parganas)  নিরাপদ নন। পুলিশ বিচারকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ, সাধারণ মানুষদের নিরাপত্তা কীভাবে দেবে?

    জেলা পুলিস-প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    বুধবার দুপুরে ডায়মন্ড হারবার মহকুমার আদালতের এসিজিএমের বিচারকদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন জেলার পুলিশ সুপার রাহুল গোস্বামী। এছাড়াও ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিতুন কুমার দে ছিলেন। এ বিষয়ে পুলিশ সুপার রাহুল গোস্বামী  বলেন, আমরা তদন্ত শুরু করেছি, খুব দ্রুতই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে। বিচারকের আবাসনের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bankura: অরণ্যের শিহরণ ও নির্জনতার সঙ্গে ল্যাটেরাইট পাথরের মন্দির, ঘুরে আসুন জয়পুর

    Bankura: অরণ্যের শিহরণ ও নির্জনতার সঙ্গে ল্যাটেরাইট পাথরের মন্দির, ঘুরে আসুন জয়পুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঁকুড়া জেলার জয়পুর অরণ্য পর্যটকদের বেশিরভাগের কাছেই পরিচিত আরণ্যক পর্যটন কেন্দ্র (Bankura) হিসেবে। কিন্তু এর বাইরেও এই অরণ্যে আরও এমন কিছু দ্রষ্টব্য আছে, তার খবর আমরা অনেকেই রাখি না। এই প্রতিবেদনে আমরা সেরকমই কয়েকটি দ্রষ্টব্যের ব্যাপারে আলোচনা করব, একাধারে সেগুলি যেমন দর্শনীয়, তেমনি তাদের ঐতিহাসিক গুরুত্বও অপরিসীম।

    গোকুলচাঁদ মন্দির (Bankura)

    এই যেমন গোকুলচাঁদ মন্দির। ল্যাটেরাইট পাথর দিয়ে তৈরি ৪৫ ফুট দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ বিশিষ্ট মন্দিরটির উচ্চতাও প্রায় ৪৫ ফুট। মন্দিরটির প্রতিষ্ঠাতা কে, সেই সম্পর্কে দুটি ভিন্ন মত শোনা যায়। একটি মতে, ১৬৪৩ খ্রিস্টাব্দে বা ৯৪৯ মল্লাব্দ নাগাদ প্রথম রঘুনাথ সিংহের রাজত্বকালে এই মন্দির নির্মাণ করা হয়। আবার অন্য একটি মতে, রাজা বীর হাম্বিরের পূর্ববর্তী মল্লরাজ চন্দ্রমল্ল দ্বারা এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠিত হয়। মন্দিরের অঙ্গনের এক প্রান্তে ভোগগৃহ বা অতিথি নিবাসটির ছাদ বর্তমানে অধিকাংশটাই ভেঙে পড়েছে। কিন্তু পুরু পাথরের দেওয়াল আজও দৃশ্যমান। এটি দৈর্ঘ্যে ৫৯ ফুট এবং প্রস্থে ৪১ ফুট। ৩টি ৭ ফুট ৭ ইঞ্চি ফুলকাটা খিলান রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব ও সংগ্রহালয় অধিকার, তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ দ্বারা প্রকাশিত ‘বাঁকুড়া জেলার পুরাকীর্তি’ বইটিতে এই গোকুলচাঁদ মন্দির সম্পর্কে এইসব তথ্য বিশদে বর্ণনা করা হয়েছে।

    সমুদ্র বাঁধ

    এই মন্দির থেকে সামান্য দূরত্বে সমুদ্র বাঁধ। কাজেই শুধু অরণ্যের শিহরণ নয়, এই অপরূপ শিল্পশৈলীতে নির্মিত সুপ্রাচীন মন্দিরটির ঐতিহাসিক গুরুত্বের আকর্ষণেও একবার ঘুরে আসা যেতেই পারে এই জয়পুর (Bankura)। ইচ্ছে হলে আর হাতে সময় থাকলে এখান থেকেই ঘুরে নেওয়া যায় মাত্র ১০-১২ কিমি দূরের মন্দির নগরী বিষ্ণুপুরও।

    কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন? (Bankura)

    যাতায়াত-কলকাতা থেকে বিষ্ণুপুর, বাঁকুড়াগামী যে কোনও ট্রেন ধরে নামতে হবে বিষ্ণুপুর স্টেশনে। সেখান থেকে বাস বা গাড়িতে ২০-২৫ মিনিটের পথ জয়পুর। আর কলকাতার ধর্মতলা থেকে বাঁকুড়া, মুকুটমণিপুরগামী সব বাসই যাচ্ছে জয়পুরের ওপর দিয়ে। কলকাতা থেকে দূরত্ব প্রায় ১২৭ কিমি।
    থাকা খাওয়া-যাঁরা হাইওয়ের পাশে থাকতে চান, তাঁরা থাকতে পারেন বনলতা রিসর্টে। ফোন-৯৭৩২১১১৭০৬। আর যাঁরা অরণ্যের শিহরণ, অরণ্যের নির্জনতা (Temples with Jungle) উপভোগ করতে চান, তাঁরা থাকতে পারেন তুলনামূলক ভাবে গোকুলচাঁদ মন্দির ও সমুদ্র বাঁধের নিকটবর্তী আরণ্যক রিসর্টে। এখানে শিশুদের খেলার জায়গা, খাওয়ায় ব্যবস্থা ও ট্রাভেল ডেস্ক আছে। ফোন-৮২৪০০৮৫২৪৩।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: সূর্যাস্তের পর ময়নাতদন্ত! আপত্তিতে আমল দেয়নি পুলিশ-হাসপাতাল, প্রকাশ্যে সেই চিঠি

    RG Kar: সূর্যাস্তের পর ময়নাতদন্ত! আপত্তিতে আমল দেয়নি পুলিশ-হাসপাতাল, প্রকাশ্যে সেই চিঠি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সূর্যাস্তের পরে ময়নাতদন্ত করা যায় না। কিন্তু, আরজি করের (RG Kar) তরুণী চিকিৎসকের ক্ষেত্রে তাই করা হয়েছিল। ২০২১-র ২৩ ডিসেম্বর স্বাস্থ্যভবনের নির্দেশিকার চার নম্বর পয়েন্টে স্পষ্ট বলা রয়েছে, ধর্ষণ করে খুনের ক্ষেত্রে সূর্যাস্তের পর ময়নাতদন্ত করা যাবে না। যদি না আইনশৃঙ্খলা জনিত সমস্যা হয়। সেই নির্দেশিকার প্রতিলিপি পাঠানো হয়, জেলা পুলিশ সুপার, হাসপাতালের প্রিন্সিপ্যাল, সুপারকে। দেখা যাচ্ছে, সাব ইন্সপেক্টর ফরেন্সিক বিভাগের প্রধানকে চিঠি লিখছেন। ময়নাতদন্তের অনুমতি চেয়েছেন। আর ফরেন্সিক বিভাগের প্রধানই হলেন মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্য। তিনি সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ বলেও অভিযোগ ওঠে। অভয়ার ক্ষেত্রে তা মানাই হয়নি। তাতে আপত্তি জানিয়ে নোট দিয়েছিলেন ময়না তদন্তের বোর্ডে থাকা এক সদস্য। কিন্তু তাতে আমল না দিয়েই পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করেছিলেন বলেই অভিযোগ।

    ঠিক কী অভিযোগ? (RG Kar)

    মঙ্গলবার ওই নোট এবং আরজি করের ফরেন্সিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান চিকিৎসককে টালা থানার তরফে দেওয়া চিঠি প্রকাশ্যে এসেছে। আর তা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। ৯ অগাস্ট তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পর ওই দিনই ময়নাতদন্ত সেরে ফেলতে চেয়েছিল প্রশাসন। সেই মতো আরজি করের (RG Kar) সুপার একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করেন। তাতে ওই মেডিক্যাল কলেজের ফরেন্সিক মেডিসিনের প্রফেসর অপূর্ব বিশ্বাস, অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর রিনা দাস এবং নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজের (Kolkata) অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর মলি বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাখা হয়। বোর্ড গঠনের নির্দেশিকায় এক সদস্য নোট দিয়ে জানান, বিকেল ৪টের পরে ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া শুরু করতে হলে পুলিশের নির্দিষ্ট নির্দেশিকা লাগবে। সেই বিষয়ে ২০২১ সালে স্বাস্থ্য দফতরের একটি নির্দেশিকার মেমো নম্বরও তিনি উল্লেখ করেন। তাতে বলা হয়, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের ওই এসওপি-তে বলা ছিল, আইনশৃঙ্খলাজনিত সমস্যা ছাড়া খুন, আত্মহত্যা, ধর্ষণ, উদ্ধার হওয়া পচাগলা দেহ এবং রহস্যজনক মৃত্যুর ক্ষেত্রে রাতে ময়নাতদন্ত করা যাবে না।

    চিঠিতে কী বলা হয়েছিল?

    সূর্যাস্তের পর অভয়ার ময়নাতদন্ত করতে চেয়ে আরজি করের ফরেন্সিক বিভাগকে (RG Kar) সরাসরি চিঠি দেন টালা থানার এক সাব ইন্সপেক্টর। চিঠিতে লেখা ছিল, জরুরি বিষয়, ‘স্পেশ্যাল ইস্যু’। কিন্তু কী সেই স্পেশ্যাল ইস্যু, তা স্পষ্ট করেনি পুলিশ। আইনের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা অমান্য করেছে পুলিশ। নিয়ম অনুযায়ী, বিকাল চারটের পর ময়নাতদন্ত করতে হলে এসপি পদমর্যাদার পুলিশকে অনুরোধ করতে হবে। হাসপাতালের সুপার কিংবা প্রিন্সিপ্যালকে সেই অনুরোধে শীলমোহর দিতে হবে। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কেন সাব ইন্সপেক্টর চিঠি লিখলেন? প্রিন্সিপ্যাল কিংবা সুপারকে এড়িয়ে কেন সরাসরি ফরেন্সিক বিভাগকে চিঠি? সাব ইন্সপেক্টরের চিঠি পেয়ে কেন ময়নাতদন্তে রাজি হল ফরেন্সিক বিভাগ? প্রসঙ্গত, এই খামতির অভিযোগই সোমবার সুপ্রিম কোর্টে উত্থাপিত করেছেন আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ময়নাতদন্তের চালান দেখতে চান। কিন্তু তা দেখাতে পারেনি রাজ্য। তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল। এখন নতুন করে এই চিঠি সামনে আসায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘ইলিশ দেব না’ হুঁশিয়ারি দেওয়া বাংলাদেশ ভারতের কাছে হাত পেতে নিল ডিম!

     চিকিৎসককে কী ভাবে বোর্ডে রাখা হল?

    আরজি করের (RG Kar) ঘটনায় ওই মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ কীভাবে বোর্ড গঠন করে নির্দেশিকা জারি করলেন? এই সমস্ত প্রশ্নের প্রেক্ষিতে অভিযোগ ওঠে, ‘উত্তরবঙ্গ লবি’র ঘনিষ্ঠ দুই চিকিৎসককে ‘ইচ্ছাকৃত ভাবে’ বোর্ডে রাখা হয়েছিল। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানির সময়েও ময়নাতদন্তের বোর্ডে ‘উত্তরবঙ্গ লবি’র ঘনিষ্ঠদের থাকার বিষয়টি উত্থাপিত হয়। সিনিয়র চিকিৎসকদের দাবি, তরুণী চিকিৎসকের বাবা-মা অভিযোগ করেছেন যে, তাঁরা দেহ রাখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, পুলিশ তা করতে দেয়নি। এই নোট এবং চিঠি সামনে আসায় সেই অভিযোগ জোরদার হল বলে মনে করা হচ্ছে।

    অভয়ার বন্ধু কী বলেছেন?

    ময়নাতদন্তের ক্ষেত্রে নিয়ম যে মানা হয়নি, সে প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন অভয়ার বিশেষ বন্ধু, যিনি নিজেও একজন চিকিৎসক। তিনি বলেন, “আমার যতটুকু জ্ঞান তাতে, অন্ধকার হয়ে গেলে কালার চেঞ্জগুলো বোঝা যায় না। শরীরে বিষ থাকলে, যদি শরীরের বিশেষ অংশের রঙ পরিবর্তন হয়ে যায়, তাহলে তা ধরা যায় না। তাই সূর্যাস্তের পর ময়নাতদন্ত (RG Kar) করা হয় না।” সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী শুনানির আগে এই বিষয়টি মামলাকারীর আইনজীবীর হাতে যথেষ্ট সাক্ষ্য, বলছেন আইন বিশেষজ্ঞরাই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: আরজি করে ক্রাইম সিনে থাকার অভিযোগ, অপসারিত মালদার আইএমএ সভাপতি

    RG Kar Incident: আরজি করে ক্রাইম সিনে থাকার অভিযোগ, অপসারিত মালদার আইএমএ সভাপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর জি কর-কাণ্ডের (RG Kar Incident) পর পরই একাধিক সরকারি মেডিক্যাল কলেজ থেকে সামনে এসেছে থ্রেট কালচারের অভিযোগ। ভাইরাল হয়েছে বেশ কয়েকটি অডিও ক্লিপ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া চলছে। এই আবহের মধ্যে এবার আরজি কর কাণ্ডের সঙ্গে যোগসূত্রের অভিযোগ তুলে আইএমএ মালদার (Malda) সভাপতিকে অপসারণ করা হল। আইএমএ মালদার সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল চিকিৎসক তাপস চক্রবর্তীকে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (RG Kar Incident)

    আইএমএ-র রাজ্য শাখার তরফে জানানো হয়, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সুশান্ত রায়, অভীক দে, তাপস চক্রবর্তী, দীপাঞ্জন হালদার ও বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে সাসপেন্ড করুক রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট সুদীপ্ত রায়কে চিঠি পাঠিয়ে পদত্যাগ করতে অনুরোধ করে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য শাখা। আর এবার সরিয়ে দেওয়া হল আইএমএ-র মালদা শাখার সভাপতি তাপস চক্রবর্তীকে। গত ৯ অগাস্ট আরজি কর (RG Kar Incident) সেমিনার রুমে তিনিও ছিলেন। এই ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার সঙ্গে তিনিও জড়িত থাকতেও পারেন বলে অভিযোগ বহু চিকিৎসকের। আইএমএ-র মালদা শাখার সহ সভাপতির দাবি, ৯ অগাস্ট আরজি কর মেডিক্যালের ক্রাইম সিনে কেন ছিলেন তাপস চক্রবর্তী? এই প্রশ্নের উপযুক্ত ব্যাখ্যা না দেওয়া পর্যন্ত আইএমএ-র মালদা শাখার সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘ইলিশ দেব না’ হুঁশিয়ারি দেওয়া বাংলাদেশ ভারতের কাছে হাত পেতে নিল ডিম!

    আইএমএ-র মালদা শাখার প্রাক্তন সভাপতির কী বক্তব্য?

    আইএমএ-র মালদা শাখার সভাপতি পদ থেকে সরানোর পর তাপস চক্রবর্তীর দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে আনা এই রেজোলিউশন অবৈধ। আগামী ১৪ তারিখ বৈঠক রয়েছে। তাতে সুরাহা না হলে, তিনি দিল্লি আইএমএ-র দ্বারস্থ হবেন। তবে, তিনি স্বীকার করেছেন, ৯ অগাস্ট তিনি আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার রুমে ছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের বৈঠকে যোগ দিতে কলকাতায় গিয়েছিলাম। ৯ অগাস্ট বৈঠকের মাঝে হঠাৎই আরজি কর মেডিক্যালে মর্মান্তিক ঘটনার খবর আসে। রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আরজি কর (RG Kar Incident) মেডিক্যালে গিয়েছিলাম। রাত সাড়ে চারটে থেকে ৬টা-সোয়া ৬টা পর্যন্ত ছিলাম। আর এটা ঠিক, আমিও আরজি কর সেমিনার রুমে ছিলেন। দেহ তখনও ছিল ঘরের মধ্যেই। বহু মানুষই উপস্থিত ছিলেন সেখানে। ছিল বহু ফটোগ্রাফারও।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: রাত পেরিয়ে ভোর! স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অনড় আন্দোলন জুনিয়র চিকিৎসকদের

    RG Kar Incident: রাত পেরিয়ে ভোর! স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অনড় আন্দোলন জুনিয়র চিকিৎসকদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাতভর স্বাস্থ্য ভবনের সামনে বসে থাকলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors Protest)। চোখে-মুখে ক্লান্তি থাকলেও নিজেদের বিশ্বাসে অনড় তাঁরা। বৃষ্টিও তাঁদের টলাতে পারেনি। রাত পেরিয়ে ভোরবেলাতেও স্বাস্থ্য ভবনের বাইরেই বসে থাকতে দেখা যায় তাঁদের। আন্দোলনকারীদের (RG Kar Incident) স্পষ্ট কথা, যতক্ষণ পর্যন্ত তাঁদের দাবি পূরণ না করা হবে, অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান বিক্ষোভ চলতে থাকবে।

    দুয়ারে ডাক্তার এলো রে

    বুধবার, ভোর হতেই চিকিৎসকরা স্লোগান দিতে থাকেন, “ভোর হল, দোর খোল, দুয়ারে ডাক্তার এলো রে!” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুয়ারে সরকার প্রকল্পকে ব্যঙ্গ করে স্লোগান ওঠে। মঙ্গলবার করুণাময়ী থেকে স্বাস্থ্য ভবন পর্যন্ত জুনিয়র ডাক্তাররা অভিযান করেন। বিকেল গড়িয়ে রাত হলেও স্বাস্থ্য ভবনের সামনে থেকে সরেননি তাঁরা। রাতেই জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে প্রায় মধ্যরাতে স্বাস্থ্য ভবনে পৌঁছে যান ‘তিলোত্তমা’র (RG Kar Incident) বাবা-মা। 

    পাশে নির্যাতিতার পরিবার

    জুনিয়র চিকিৎসকদের (Junior Doctors Protest) আন্দোলনে যোগ দিয়ে নির্যাতিতার (RG Kar Incident) বাবা বললেন, “একটা মেয়ে হারিয়ে আমি আজ অনেক ছেলে-মেয়ে পেয়েছি। সবাই যেভাবে আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন, বিচারের দাবিতে লড়ছেন তাতে আশা করছি বিচার আমরা পাবই। প্রশাসনের সুবুদ্ধি হোক।” নির্যাতিতার মা বলেন, “আজ এই মধ্যরাতে আমার ছেলেমেয়েগুলো রাস্তায় বসে রয়েছে। তাই ঘরে থাকতে পারলাম না। চলে এলাম তোমাদের মঞ্চে। আসার সময় দেখলাম, তোমরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে রুটি খাচ্ছো। প্রশাসন তোমাদের কোথায় নামিয়েছে। ডাক্তারদের মানুষ ভগবান মনে করে। তাঁদেরকে রাস্তায় দিন রাত কাটাতে হচ্ছে। এটা তো খুব লজ্জার।” যেভাবে নির্যাতিতার বাবা-মা মধ্যরাতে তাঁদের মঞ্চে এসে পৌঁছেছেন তাতে তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আরও মানসিক শক্তি পেলেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরত চিকিৎসকরা।

    আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য সচিবের পাঠানো ইমেল ‘অপমানজনক’, কড়া বার্তা জুনিয়র ডাক্তারদের

    চিকিৎসকদের দাবি

    সোমবার সুপ্রিম কোর্ট আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctors Protest) মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে কাজে যোগ দিতে বলেছিল। কিন্তু, জুনিয়র চিকিৎসকরা স্পষ্ট করে দেন, তাঁদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। এদিন স্বাস্থ্য সচিব আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের ইমেল পাঠিয়ে নবান্নে বৈঠকে আসার আহ্বান জানান। মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বলে জানানো হয়। আলোচনার পথ খোলা রাখলেও এদিন নবান্নে যাননি জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের দাবি, দ্রুত চিহ্নিত করতে হবে আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Incident) জড়িতদের। এর পাশাপাশি, হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে ইস্তফা দিতে হবে। ইস্তফা দিতে হবে স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য শিক্ষা সচিব ও মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সচিবকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG kar: স্বাস্থ্য সচিবের পাঠানো ইমেল ‘অপমানজনক’, কড়া বার্তা জুনিয়র ডাক্তারদের

    RG kar: স্বাস্থ্য সচিবের পাঠানো ইমেল ‘অপমানজনক’, কড়া বার্তা জুনিয়র ডাক্তারদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থানে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইমেল করে ১০ আন্দোলনকারীকে নবান্নে যাওয়ার বার্তা দেন স্বাস্থ্য সচিব। ঘটনাক্রমে এই স্বাস্থ্য সচিবের পদত্যাগ চেয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা (RG kar)। শেষে তাঁকে দিয়েই ইমেল পাঠানো হল! ফলত, ওই ইমেলকে ‘অপমানজনক’ বলেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। নিজেদের অবস্থানে এখনও অনড় হয়ে রয়েছেন তাঁরা। 

    স্যার ও ম্যাডাম লেখার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা (RG kar)

    মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিট নাগাদ আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের কাছে এই ইমেল পাঠানো হয়।ইমেলের মাধ্যমে এদিন বৈঠকের কথা বলা হলেও আন্দোলনকারীরা সেই বৈঠকে যোগ দিতে নবান্নে যাননি। উল্টে তাঁদের বক্তব্য, স্বাস্থ্য সচিবের (RG kar) কাছ থেকে ইমেল আসা অপমানজনক। ইমেলের শুরুতে শুধু ‘স্যার’ লেখা নিয়েও আপত্তি রয়েছে আন্দোলনকারীদের। সেখানে স্যার ও ম্যাডাম লেখার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে যোগ দেওয়ার কথা বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে আগেই জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছিলেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্য়ন্ত কর্মবিরতি চলবে। এপ্রসঙ্গে জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাতো জানিয়েছিলেন, তাঁরা (জুনিয়র ডাক্তার) শিক্ষানবিশ, গোটা স্বাস্থ্য ব্যবস্থা যদি জুনিয়র ডাক্তারদের ওপর নির্ভর করে তাহলে রাজ্য সরকার মানুষকে পরিষেবা কীভাবে দেবে? মঙ্গলবার কাজে যোগ না দিয়ে স্বাস্থ্য ভবন অভিযান করেন তাঁরা। একাধিক দাবিও জানান। পাঁচটার পরই স্বাস্থ্য সচিবের কাছ থেকে ইমেল পান আন্দোলনকারীরা। নবান্নে বৈঠকের জন্য বার্তা পাঠানো হয়।

    কী বলছেন আন্দোলনকারীরা (RG kar)

    আন্দোলনকারীরা বলেন, ‘‘এদিন আমরা স্বাস্থ্য ভবন অভিযানে এসেছিলাম। স্বাস্থ্য সচিবের পদত্যাগ চেয়েছিলাম। সেই স্বাস্থ্য সচিবের কাছ থেকে ইমেল আসা আমরা সদর্থক হিসেবে দেখছি না। স্বাস্থ্য সচিবের (RG kar) তরফে আসা ইমেল আমাদের কাছে অপমানজনক।’’ তবে রাজ্য সরকারের সঙ্গে তাঁরা আলোচনার পথ খোলা রাখতে চান বলেই জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, নবান্নের শীর্ষ স্তর থেকে বার্তা এলে তাঁরা ভেবে দেখবেন। মাত্র দশ জনকে বৈঠকে ডাকায় ব্যাপক অসন্তুষ্ট হয়েছেন আন্দোলনকারীরা (RG kar)। তাঁরা বলেন, ‘‘দশ জনকে ডাকা অসম্মানজনক বলে মনে করছি।’’ প্রতিনিধি দলে কতজন থাকবেন, তা আলোচনা সাপেক্ষে ঠিক হবে বলে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, নবান্নে রাজ্য সরকারের সাংবাদিক বৈঠক শেষ হওয়ার আগেই সল্টলেকে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে থেকে পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক শুরু করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সেখানেই তাঁরা ওই ইমেলকে ‘অপমানজনক’ বলে অভিহিত করেন। জুনিয়র ডাক্তারদের যুক্তি, তাঁদের দাবিগুলির মধ্যে অন্যতম স্বাস্থ্যসচিবের অপসারণ। কিন্তু বৈঠকের জন্য যে মেলটি পাঠানো হয়েছে, তা এসেছে স্বাস্থ্যসচিবের ইমেল থেকেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।
     

  • RG Kar Incident: ‘সুপ্রিম’ ডেডলাইন পার, পথে ঠায় বসে জুনিয়র ডাক্তাররা

    RG Kar Incident: ‘সুপ্রিম’ ডেডলাইন পার, পথে ঠায় বসে জুনিয়র ডাক্তাররা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল। তা সত্ত্বেও বিকেল ৫টা বাজলেও, কর্মবিরতি প্রত্যাহার করলেন না জুনয়র ডাক্তাররা। মঙ্গলবার স্বাস্থ্যভবন (Swasthya Bhawan) অভিযান করেন (RG Kar Incident) তাঁরা। বিকেল পাঁচটার পরেও তাঁরা ঠায় বসে রয়েছেন সেখানে। দাবি মানা না হলে তাঁরা যে সেখান থেকে নড়বেন না, তাও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। প্রসঙ্গত, সোমবারই সুপ্রিম কোর্ট আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে কাজে যোগ দিতে বলেছিল।

    বিচার না পাওয়া অবধি আন্দোলন (RG Kar Incident)

    এদিকে, ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্যভবনের সামনে চলে এসেছে ভ্রাম্যমাণ শৌচাগার। ছাত্রদের বক্তব্য, দাবি মানা না হলে লাগাতার অবস্থান চলবে। সোমবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “এক মাস তো হয়ে গেল। আমি অনুরোধ করব, পুজোয় ফিরে আসুন, উৎসবে ফিরে আসুন।” মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে জুনিয়র ডাক্তাররা সাফ জানিয়ে দিলেন, বিচার না পাওয়া অবধি তাঁরা কোনও উৎসবে শামিল হবেন না। মুখ্যমন্ত্রীর ওই মন্তব্যকে ‘অসংবেদনশীল’ বলেও আখ্যা দেন তাঁরা।

    আন্দোলনকারীদের দাবি

    আন্দোলনকারীরা পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত দোষীদের দ্রুত চিহ্নিত করা, অপরাধের উদ্দেশ্য সামনে আনা এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েলের ইস্তফাও দাবি করেন তাঁরা। রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজ, হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবিও জানান তাঁরা।

    আরও পড়ুন: বারবার রেল দুর্ঘটনা ঘটানোর চক্রান্ত! নেপথ্যে জঙ্গিদের হাত?

    দিন কয়েক আগে লালবাজার অভিযান করেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তখন তাঁদের হাতে ছিল প্রতীকী মেরুদণ্ড। এদিন দেখা গেল প্রতীকী মস্তিষ্ক হাতে স্বাস্থ্যভবন অভিযানে শামিল হয়েছেন তাঁরা। চিকিৎসকদের দাবি, তাঁদের আন্দোলন দমানোর নানা চেষ্টা হচ্ছে। প্রতিটাই বিফলে যাচ্ছে। এবার অন্তত ‘মাথা খাটিয়ে কাজ করুন’, এই বার্তা দিতেই প্রতীকী মস্তিষ্ক হাতে মিছিলে হেঁটেছেন তাঁরা। আন্দোলনকারীদের কয়েকজনের হাতে ঝাঁটাও ছিল। তাঁদের দাবি, স্বাস্থ্যভবন সাফাই অভিযান করছেন তাঁরা। তাঁরা স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম, স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা (Swasthya Bhawan), স্বাস্থ্য অধিকর্তা ও প্রিন্সিপাল সেক্রেটারির পদত্যাগও দাবি করেন (RG Kar Incident)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Protest: ‘বিচার পাবে অভয়া তবে হবে মহালয়া’, নয়া স্লোগান ডাক্তারদের

    RG Kar Protest: ‘বিচার পাবে অভয়া তবে হবে মহালয়া’, নয়া স্লোগান ডাক্তারদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Protest) নিয়ে রাজ্যজুড়ে আন্দোলন চলছে। প্রতিদিনই বিচার চেয়ে রাস্তায় নামছেন সাধারণ মানুষ। এই আবহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উৎসবে ফেরার কথা বলেছেন। যা নিয়ে আন্দোলনকারী থেকে নাগরকি মহল সর্বত্র চর্চা হয়েছে। আর মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।

    ‘বিচার পাবে অভয়া তবে হবে মহালয়া’ (RG Kar Protest)

    সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বলেছিলেন, “১ মাস তো হয়ে গেল। আজ ৯ তারিখ। এক মাস এক দিন। ৩১-এ মাস গিয়েছে। আমি অনুরোধ করব, পুজোতে ফিরে আসুন, উৎসবে ফিরে আসুন।” তা নিয়েই চলছে বিতর্ক। এদিন জুনিয়র চিকিৎসকদের স্বাস্থ্য ভবন অভিযান (RG Kar Protest) থেকে মমতার এ মন্তব্যের প্রতিবাদে উঠল লাগাতার স্লোগান। ‘কাঁদছে আমার বোনের শব, চাই না এমন নোংরা উৎসব’, এই লাইনে চলল গান।  চিকিৎসকরা আরও বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী আজ সব ভুলে মানুষকে উৎসবে ফিরতে বলেছেন। আমরা তাঁর এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। অভয়ার বিচারহীন শবের উপর দাঁড়িয়ে উৎসবের ডাক দেওয়া এক ন্যক্কারজনক নির্লজ্জতার পরিচয়। বিচার না পাওয়া অবধি, উৎসবে ফেরার আবেদন অশ্লীল ও অমানবিক।”

    এদিন প্রতিবাদ মুখর রাস্তায় দাঁড়িয়েই এক আন্দোলনকারী (Junior Doctors) বলেন, “৩২ দিন হয়ে গিয়েছে। আজও বিচার পাওয়া যায়নি। আমাদের কোনও দাবি মানা হচ্ছে না। শুধু কোনওভাবে আমাদের ডিউটি প্রবেশ করিয়ে হাত তুলে নিতে চাইছে। উৎসব করতে বলছে। কিন্তু ওটা দিয়ে হবে না। এখন গোটা বাংলা, দেশ, গোটা বিশ্ব জেগে উঠেছে। সেই আগুন নেভানো যাবে না। উৎসবে যাঁরা ফিরতে চায় ফিরুক। কিন্তু আমাদের মধ্যে সেই মনোভাব কারও রয়েছে বলে মনে হয় না।” জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়ে দিয়েছেন, ‘বিচার পাবে অভয়া তবে হবে মহালয়া’। তারা উৎসবে ফিরছেন না বলেও জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য অমানবিক, অশ্লীল, অসংবেদনশীল বলেও দাবি প্রতিবাদীদের। মুখ্যমন্ত্রীকে অবিলম্বে এই বক্তব্য ফিরিয়ে নিতে হবে বলেও দাবি আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের।

    আরও পড়ুন: ‘থ্রেট কালচার’-এর অভিযোগ! আন্দোলনকারীদের প্রবল চাপে সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ ৫১ জনকে নোটিস

    সরব হয়েছেন নির্যাতিতার মা

    মমতার পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন নির্যাতিতার মা-ও। তিনি বলেন, “দেশের মানুষ যদি ভাবেন উৎসবে ফিরবেন তাহলে ফিরবেন। তাঁরা তো আমার মেয়েটাকে (RG Kar Protest) নিজের পরিবারের মেয়ে ভাবছেন। তাঁরা যদি ফিরতে পারেন, তাহলে আমার কিছুই বলার নেই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandip Ghosh: ‘ধর্ষক’ সন্দীপ! ফাঁসির দাবিতে স্লোগান আদালতে, গাড়ি লক্ষ্য করে এল জুতো

    Sandip Ghosh: ‘ধর্ষক’ সন্দীপ! ফাঁসির দাবিতে স্লোগান আদালতে, গাড়ি লক্ষ্য করে এল জুতো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুনানি শেষ হতেই একেবার ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হল আলিপুর কোর্টে। এজলাস থেকে বের হতে গিয়ে মহিলা আইনজীবীদের তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়তে দেখা যায় সন্দীপ ঘোষকে (Sandip Ghosh)। শুনানি শেষে আদালত কক্ষের ভিতরেই সন্দীপের বিরুদ্ধে লাগাতার স্লোগান দিতে দেখা যায় আইনজীবীদের। এভাবে তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়বে তা কেউ ভাবতে পারেনি।

    বিচারক কী নির্দেশ দিলেন? (Sandip Ghosh)

    মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে সশরীরে হাজির করানো হয় সন্দীপ-সহ চার জনকে। এদিন শুনানিতে সন্দীপকে (Sandip Ghosh) নিজেদের হেফাজতে চায়নি সিবিআই। কারণ, হিসেবে বলা হয়, ইতিমধ্যেই এই ডিজিটাল এভিডেন্স ক্লোনিং করার আবেদন করা হয়েছে। সেই রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার আবেদন করা হয় সিবিআইয়ের (CBI) তরফে। আরজি কর হাসপাতালে দুর্নীতির অভিযোগের মামলায় ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সন্দীপ, সুমন হাজরা, বিপ্লব সিং এবং আফসর আলিকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।

    আরও পড়ুন: ‘থ্রেট কালচার’-এর অভিযোগ! আন্দোলনকারীদের প্রবল চাপে সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ ৫১ জনকে নোটিস

    আদালতে ঠিক কী ঘটেছে?

    জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়ে আদালত কক্ষ থেকে সবে বেরিয়েছেন বিচারক। তখনও এজলাসেই বসে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ (Sandip Ghosh) এবং আরও তিন অভিযুক্ত। তাঁদের ঘিরে তৈরি রাখা কড়া নিরাপত্তার বলয়। রয়েছেন পুলিশ কর্মী। রয়েছেন সিবিআইয়ের আধিকারিকেরা। এর মাঝেই সন্দীপকে ‘ধিক্কার’ জানাতে থাকেন এক মহিলা। ক্রমে স্লোগান উঠতে শুরু করে, ‘চোর চোর’, ‘ফাঁসি চাই’। উড়ে আসতে তাকে নানাবিধ হুমকি। সেই সময়েই আদালত কক্ষে ফিরে আসেন বিচারক। হাত জোড় করে বাকিদের চুপ করার অনুরোধ জানান। পরিস্থিতি সামাল দিতে বাইরে মোতায়েন করা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। শেষ পর্যন্ত কড়া প্রহরায় আদালত থেকে বার করিয়ে গাড়িতে চাপানো হয় সন্দীপদের।

    ‘‘তোর বডিগার্ড কোথায়?”

    তবে সেখানেও বাধে গোল। সন্দীপকে পুলিশের যে গাড়িতে তোলা হয়, এ বার সেটি লক্ষ্য করে ছোড়া হয় জুতো। কেউ বিচারের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। মূলত মহিলা আইনজীবীরা সন্দীপের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। সন্দীপকে ‘ধর্ষক’ সম্বোধন করেও চিৎকার করতে থাকেন কেউ কেউ। তাঁর ফাঁসির দাবিও ওঠে আদালত কক্ষে। এখানেই শেষ নয়। সন্দীপের দাঁত ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেন এক জন। তিনি বলেন, “অপরাধী হাসতে পারে না। দাঁত ভেঙে দেব।” এক জন বলেন, “জেলের ভাত কেন খাবে? সরকারের খরচ হবে।” এ ভাবে সন্দীপের উদ্দেশে একের পর এক স্লোগান উঠতে থাকে আদালতকক্ষে। জনৈক এক মহিলা চিৎকার করে বলেন, ‘‘তোর বডিগার্ড কোথায়?”  ‘We Want Justice’ ‘কালপ্রিট সন্দীপ ঘোষ নিপাত যাক’ লাগাতার এই সব স্লোগান উঠতে থাকে সন্দীপের সামনে। সূত্রের খবর, অবস্থা দেখে কার্যত মুখ ঘুরিয়ে নেন সন্দীপ। ততক্ষণে ‘সন্দীপ ঘোষ ধর্ষক। You are a Rapist।’ স্লোগান উঠতে শুরু করেছে।

    আইনজীবীরা কী বললেন?

    সিমন দাস নামে এক আইনজীবী বলেন, “কেন ধর্ষকের (Sandip Ghosh) জন্য বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে? আমর প্রতিবাদ করেছি বলে আমাদের আদালত কক্ষ থেকে বার করে দেওয়া হয়েছে।” অন্য এক আইনজীবী ইশা পাল বলেন, “আদালতের যে দরজা নিয়ে বিচারকেরা যাতায়াত করেন, সেখান দিয়ে সন্দীপকে বার করে নিয়ে আসা হয়েছে। কেন এই বিশেষ ব্যবস্থা?”

    সশরীরে আদালতে হাজিরের নির্দেশ

    প্রসঙ্গত, গত ৩ সেপ্টেম্বর যখন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপকে আদালতে হাজির করেছিল সিবিআই। তখনও আদালতের সামনে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। সন্দীপকে আদালত থেকে বার করার সময়েই শুরু হয়েছিল গোলমাল। ‘চোর চোর’ চিৎকার করে একদল মানুষ সন্দীপের দিকে এগিয়ে যায়। সেই সময়েই কোনও এক জন সন্দীপের মাথ পিছন থেকে চাঁটি মারেন বলেও অভিযোগ ওঠে। সেই পরিস্থিতি থেকে কোনও রকমে সন্দীপকে নিরাপত্তাবেষ্টনী তৈরি করে গাড়িতে তুলেছিলেন সিবিআই আধিকারিকেরা। সে দিনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই মঙ্গলবার সন্দীপদের ভার্চুয়াল শুনানির আবেদন করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে সেই আবেদন খারিজ করে দেয় আলিপুর আদালত। মঙ্গলবার সশরীরে আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: ক্রমশ দুর্বল হচ্ছে বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ, সরছে ছত্তিশগড়ের দিকে

    Weather Update: ক্রমশ দুর্বল হচ্ছে বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ, সরছে ছত্তিশগড়ের দিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্বল হয়ে ওড়িশা থেকে ছত্তিশগড়ের দিকে যাচ্ছে বঙ্গোসাগরের নিম্নচাপ (Weather Update)। এই রাজ্যেও বৃষ্টির ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়বে। নিম্নচাপের জন্য রাজ্যের একাধিক জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। একই ভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে রাজ্যের ৬ জেলায়। মঙ্গলবার কলকাতায় বৃষ্টি ভেজা ভোর দিয়ে শহরের দিন শুরু হয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, মঙ্গল-বুধের দুদিনও আকাশ থাকবে মেঘলা। তবে জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

    আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর (Weather Update)

    উপগ্রহের চিত্র বিশ্লেষণ করে আবহাওয়া দফতর থেকে বলা হয়েছে, নিম্নচাপটি (Weather Update) মধ্য-ওড়িশা হয়ে উত্তরে ছত্তিশগড়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এই বঙ্গোপসাগরের উপরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ দুর্বল হলেও মঙ্গলবার রাজ্যের একাধিক জেলায় বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টিপাত হবে। পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূমে বিক্ষিপ্ত হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরে। আবার বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ জেলায়।

    উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টিপাত

    উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে হালকা এবং মাঝারি বৃষ্টিপাতের (Weather Update) সম্ভাবনা রয়েছে। মঙ্গলবার বজ্রবিদ্যুত-সহ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বেশ কিছু জেলায়। কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি, মালদায় হতে পারে ভারী বৃষ্টি। অপর দিকে বুধবার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং এবং আলিপুরদুয়ারেও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ রয়েছে দুর্নীতির তথ্যপ্রমাণ! ইডির হাতে এল সন্দীপ ঘোষের ল্যাপটপ, লুকানো ছিল কোথায়?

    ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সমুদ্র উপকূলে সতর্কতা

    পশ্চিম-মধ্য এবং উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে যে নিম্নচাপ (Weather Update) ছিল, তা গত ২৪ ঘণ্টায় ক্রমে উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে এসেছে। গতি ছিল ঘণ্টায় সাত কিমি। সোমবারেই তার শক্তি অনেকটা ক্ষয় হয়ে দুর্বল হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার ছত্তিশগড়ের দিকে এগিয়ে যাবে। নিম্নচাপের কারণে সমুদ্রের উপর ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৫৫ কিমি বেগে ঝড়ো হাওয়া বইছে। পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশায় জারি করা হয়েছে সতর্কতা। আগামী ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সমুদ্র উপকূলে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share