Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Cow Smuggling Case: গরু পাচারকাণ্ডে এবার সিবিআই নজরে কেষ্ট ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতারা, জানেন তাঁরা কারা?

    Cow Smuggling Case: গরু পাচারকাণ্ডে এবার সিবিআই নজরে কেষ্ট ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতারা, জানেন তাঁরা কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সবে মাত্র ‘কেষ্ট-সংস্রব’ এড়িয়ে জেলা ছেড়েছেন তৃণমূল (TMC) নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরে পরেই গরু পাচারকাণ্ডে (Cow Smuggling Case) ফের তৎপর হল সিবিআই (CBI)। অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) আপ্ত সহায়ক ও তাঁর পরিচারককে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই। বৃহস্পতিবার বীরভূমের বোলপুরে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে ডেকে পাঠানো হয় অর্ক দত্ত ও বিজয় রজককে। গোয়েন্দাদের দাবি, অর্ক অনুব্রতর আপ্ত সহায়ক ও বিজয় পরিচারক হিসেবে কাজ করতেন।

    সিবিআই নজরে…

    এদিনই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বাহিরি পঞ্চায়েতের প্রধান শুভঙ্কর সাধু ও অনুব্রত ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত কাউন্সিলর বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। বিশ্বজ্যোতি ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। বিশ্বজ্যোতির নামেই অনুব্রত গাড়ি কিনেছিলেন বলে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রত মণ্ডলের কোটি টাকার লটারি জেতার নেপথ্যের কারিগর শুভঙ্কর। এর বিনিময়ে এই তৃণমূল নেতা কী পেয়েছেন, তা জানতে চায় সিবিআই। বিজয় রজক নামে আরও একজনকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছে সিবিআই। তাঁর নামে বেশ কয়েকটি বেনামী অ্যাকাউন্টের খোঁজ পেয়েছেন তদন্তকারীরা।

    আরও পড়ুুন: রামলালার বিগ্রহ তৈরির জন্য নেপাল থেকে শিলা পৌঁছাল অযোধ্যায়

    সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূমের জেল বন্দি তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ অর্ক দত্তকে জেরা করে বেশ কিছু তথ্য (Cow Smuggling Case) মিলেছে। তাঁর কাছ থেকে বেশ কিছু নথিও পাওয়া গিয়েছে। তদন্তকারীদের হাতে বেশ কিছু ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্টও পৌঁছেছে। অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশেই বেনামে ওই অ্যাকাউন্টগুলি খোলা হয়েছিল বলে সিবিআই সূত্রে খবর। গাড়ি কেনা ও ব্যাঙ্ক লেনদেনের পিছনে গরু পাচারের টাকা রয়েছে কিনা, তা জানতে চাইছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

    বুধবার বীরভূমের প্রশাসনিক সভা থেকে নাম না করে অনুব্রত ইস্যুতে সরব হয়েছিলেন মমতা। তিনি বলেন, আমার দলের দু একজন নেতাকে গ্রেফতার (Cow Smuggling Case) করেছে। এমনিতেই ভোটের সময় তাঁদের বাড়ির বাইরে বের হতে দিত না। তা সত্ত্বেও মানুষ আমাদের ভোট দিয়েছেন। সে যতদিন ফিরে না আসবে, ততদিন বীরভূমের সংগঠন আমি দেখব। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তৃণমূল নেত্রী মুখে একথা বললেও, সতেচনভাবে এই দফায় বীরভূম সফরে তিনি এড়িয়ে গিয়েছেন কেষ্ট-সংস্রব। কারণ তৃণমূল নেত্রীর বীরভূম সফরের জন্য যেসব পোস্টার, প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন ছাপানো হয়েছিল, তাতে কোথাও কেষ্টর নামগন্ধ পর্যন্ত নেই। পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেষ্ট অনুগামীদের দাক্ষিণ্য পেতেই কী মমতার এই সস্তা কুম্ভীরাশ্রু বিসর্জন? প্রশ্ন দলেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • SSC Scam: ‘‘সিবিআইয়ের জন্য খারাপ সময় আসছে’’! তাদেরই অফিসারকে জেরার নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    SSC Scam: ‘‘সিবিআইয়ের জন্য খারাপ সময় আসছে’’! তাদেরই অফিসারকে জেরার নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রবাদ আছে, ‘যে যায় লঙ্কায় সেই হয় রাবণ’। বাংলার ক্ষেত্রেও হয়তো তেমনটাই হচ্ছে। এখানে তদন্ত করতে এসে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারাও দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন ইঙ্গিত হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly)। নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) সংক্রান্ত মামলায় বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই (CBI)-এর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুললেন তিনি। 

    ক্ষুব্ধ বিচারপতি

    ২০১৬ সালের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা নিয়ে বৃহস্পতিবার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন নিয়োগ সংক্রান্ত সেই মামলার শুনানিতে সিবিআই অফিসার সোমনাথ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বিচারপতি বলেছেন, “এই মামলার সঙ্গে যুক্ত সব সিবিআই আধিকারিকের ব্যক্তিগত সম্পত্তি খুঁজে বের করার নির্দেশ আমি দেব। তারপর দেখছি। তাঁরা যদি সতর্ক হয়ে কাজ না করেন তা হলে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখব।” সিবিআই প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের আওতায় রয়েছে। সেই কারণেই হয়তো সিবিআইয়ের কার্যকলাপ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লেখার কথা জানিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালের দুর্নীতি কাণ্ডের ব্যাপারে ১০ ফেব্রুয়ারি কলকাতা হাইকোর্টে প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট পেশ করবে সিবিআই।

    আরও পড়ুন: সাগরদিঘি বিধানসভার উপনির্বাচনে ত্রিমুখী লড়াই! বিজেপির প্রার্থী দিলীপ সাহা

    এদিন প্রাথমিকের নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। এই মামলায় আগেই সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কিন্তু সিটের তদন্ত নিয়ে সম্প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি। সিবিআই ফের সময় চাইলে বিরক্তি প্রকাশ করেন তিনি। এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সিকে হুঁশিয়ার করে বলেন, “সিবিআইয়ের জন্য খুব খারাপ সময় আসছে। এখনও যদি সিবিআই ঠিকমতো কাজ না করে তাহলে তাদের জন্য খুব খারাপ দিন অপেক্ষা করছে”। তদন্তের ঢিমে তাল নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিচারপতি বলেন, ‘‘সারা পশ্চিমবঙ্গের লোক তাকিয়ে বসে আছে কী হবে। আপনারা ইয়ার্কি মারছেন? আমি তো দেখছি এ বার ইংল্যান্ডের তদন্তকারী সংস্থা এমআই-৫ এর উপর ভরসা করতে হবে।’’ 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • West Bengal Weather: শহরে ফিরল শীতের আমেজ! আরও কমবে তাপমাত্রা! কী বলছেন আবহবিদরা?

    West Bengal Weather: শহরে ফিরল শীতের আমেজ! আরও কমবে তাপমাত্রা! কী বলছেন আবহবিদরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শহরে ফের শীতের আমেজ ফিরে এল। উত্তুরে হাওয়ার হাত ধরেই রাজ্যে ফিরল শীত। একদিনে প্রায় ৩ ডিগ্রি নামল তাপমাত্রা। বুধবারে কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ তা কমে দাঁড়াল ১৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, শুক্রবার থেকে আরও কমতে পারে ঠান্ডা। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা সরতেই উত্তুরে হাওয়ার দাপট বাড়তে শুরু করেছে রাজ্যে।

    কলকাতার আবহাওয়া

    বৃহস্পতিবার এক ধাক্কায় ৩ ডিগ্রি নামল পারদ। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ পরিষ্কার থাকবে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৭ ও ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। বাংলার পশ্চিম দিকে উত্তরপ্রদেশের কাছে যে পশ্চিমি ঝঞ্ঝা অবস্থান করছিল, তার প্রভাব কেটে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহবিদরা। আগামী কয়েক দিনে কলকাতার তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রির নিচে নামার পূর্বাভাস রয়েছে।

    উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া

    আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ৪৮ ঘন্টা অর্থাৎ ৪ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকালের মধ্যে সবকটি জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। তবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় দার্জিলিং এবং কালিম্পং পার্বত্য এলাকায় হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ৪৮ ঘন্টায় রাতের তাপমাত্রা ৩-৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস নামতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: শীতের বিদায় এখনই নয়, বৃহস্পতিবার থেকেই ফিরবে শীত! কী বলছে হাওয়া অফিস?

    দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া

    আবহওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দক্ষিণবঙ্গে পরিষ্কার আকাশ থাকবে। ৪-৫ দিন শুষ্ক আবহাওয়া, বৃষ্টির কোন সম্ভাবনা নেই। আগামী ৪৮ ঘন্টায় রাতের তাপমাত্রা ৩-৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হ্রাস পেতে পারে। তবে এর পরের দুদিনে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রার তেমন কোনও পরিবর্তন হবে না বলে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রির কাছাকাছি নেমে যেতে পারে।

    পশ্চিমী ঝঞ্ঝা পূর্ব দিকে সরে যেতেই উত্তুরে হাওয়া বইতে শুরু করেছে। ফলে আজ, বৃহস্পতিবার থেকে শীতের আরও একটি স্পেল বাংলায়। ৪-৫ দিন স্থায়ী হতে পারে এই শীতের স্পেল। যদিও জাঁকিয়ে ঠান্ডা বা কনকনে শীতের সম্ভাবনা কম। তবে শীতের আমেজ অনেকটাই ফিরবে দক্ষিণবঙ্গে।

  • Bengal BJP: বাজেট প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের কড়া জবাব দিলেন শুভেন্দু-সুকান্ত, কী প্রতিক্রিয়া শমীক ভট্টাচার্যের

    Bengal BJP: বাজেট প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের কড়া জবাব দিলেন শুভেন্দু-সুকান্ত, কী প্রতিক্রিয়া শমীক ভট্টাচার্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল মোদি সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বাজেট পেশের পরেই এর কটাক্ষ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাজেটকে অমাবস্যার অন্ধকারের সঙ্গে তুলনা করেছেন তিনি। এরপরেই যোগ্য জবাব দিতে মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর দলকে একহাত নিল বঙ্গ বিজেপি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে বিজেপির প্রতিবাদ সভামঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে বক্তব্য রাখতে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাজেট বিশ্লেষণকে কটাক্ষ করেন। আবার বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যও মমতাকে কড়া ভাষায় জবাব দিয়েছেন। বাজেট নিয়ে শাসকদল সমালোচনা করলে সুকান্ত মজুমদারও তাঁদের কটাক্ষ করতে ছাড়েননি।

    শুভেন্দুর বক্তব্য

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল বলেন, “কেন্দ্রের বাজেট গরিববিরোধী বাজেট।” সেই প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর কটাক্ষ, “ওনার চোখে গরিববিরোধী বাজেটই বটে। নিজে তো সাত লাখ টাকা প্যালেসে থাকেন। নিজে তো ডিএ দেন না আবার বড় বড় কথা। মধ্যবিত্তদের তো সঞ্চয় হবে। এই দেখুন না ৯ লাখ টাকায় ১৫ হাজার টাকা সঞ্চয় হবে নয়া কর কাঠামোয়।” এর পর দুর্নীতির প্রসঙ্গ এনেও মমতাকে আক্রমণ করেছেন শুভেন্দু। তিনি বলেছেন, “মমতা চোরদের রানী, সব হিসেব হবে, সিপিআইএম, সংখ্যালঘু মানুষ সকলে বলেছেন সঙ্গে আছি, তৃণমূলকে হটাতে হবে। যাদের ভাঙা সাইকেল ছিল না তাদের এখন গাড়ি হয়েছে। এবার থেকে যদি আর একটাও বিজেপির কর্মীর গায়ে হাত পড়ে তাহলে কেষ্টর থেকেও অবস্থা খারাপ হবে। চোরেদের রানী মমতা বন্দোপাধ্যায়।”

    আরও পড়ুন: সাগরদিঘি বিধানসভার উপনির্বাচনে ত্রিমুখী লড়াই! বিজেপির প্রার্থী দিলীপ সাহা

    সুকান্ত মজুমদার কী বললেন?

    বাজেট প্রসঙ্গে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক এবং মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, “এটা ছদ্মবেশী রাবণের বাজেট।” এই প্রসঙ্গেই পাল্টা জবাব দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেছেন, “রাবণ গেরুয়া বসনে এসেছিল। বাকি সময়ে সে অধর্মের কাজ করত। পশ্চিমবঙ্গে কারা অধর্মের কাজ করে সেটা জনগণ জানেন। আমরা সীতাহরণ করতে চাই না। আমাদের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে ভোটে লড়তে চাই। ওনাদের শূর্পণখা হওয়ার ইচ্ছে হলে হতে পারেন। আমরা নাক কেটে যাত্রা ভঙ্গ করব।”

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যেরও পাল্টা জবাব দিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। মমতা বলেছিলেন, “এই বাজেটে আশার আলো নেই, অন্ধকারের অমাবস্যা আছে।” পাল্টা জবাব দিয়ে সুকান্ত বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী ঠিকই বলেছেন পশ্চিমবঙ্গের জন্য অন্ধকার অমাবস্যাই আছে। কারণ পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস নামক শাসক দল রাজ করছে। যতক্ষণ পর্যন্ত এই রাহুর গ্রাস পশ্চিমবঙ্গে থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণিমা আসার সম্ভাবনা নেই, অমাবস্যাই থাকবে। কারণ গ্রহণ হলে অন্ধকারই থাকে।”

    বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্রের প্রতিক্রিয়া

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য বাজেটকে কটাক্ষ করায় শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আজকের এই বাজেটকে দিশাহীন বলেছেন এবং এই বাজেটের মধ্যে তিনি কোনও ভবিষ্যৎ দেখতে পাননি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মানুষ আজ তৃণমূলকে চিনেছে৷ আসলে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও ভবিষ্যৎ নেই এই বাজেটে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তাই এটি হতাশা।”

  • Sagardighi By Election: সাগরদিঘি বিধানসভার উপনির্বাচনে ত্রিমুখী লড়াই! বিজেপির প্রার্থী দিলীপ সাহা

    Sagardighi By Election: সাগরদিঘি বিধানসভার উপনির্বাচনে ত্রিমুখী লড়াই! বিজেপির প্রার্থী দিলীপ সাহা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাগরদিঘি (Sagardighi) বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী হচ্ছেন দিলীপ সাহা। চলতি মাসের ২৭ তারিখ উপনির্বাচন হবে সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রে। ৭ ফেব্রুয়ারি এই কেন্দ্রে প্রার্থী পদে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। ইতিমধ্যেই এই আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে তৃণমূল (Trinamool Congress)। এবার প্রার্থী ঘোষণা করল বিজেপি। 

    কেন উপনির্বাচন

    প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সাগরদিঘি থেকে জিতেছিলেন সুব্রত সাহা। তৃণমূলের এই প্রার্থী সেখান থেকে জিতে রাজ্যের মন্ত্রীও হয়েছিলেন। কিন্তু ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান সুব্রত সাহা। এবার এই আসনের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন তিনি সাগরদিঘি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পদে রয়েছেন। দেবাশিসকে হারানোর জন্য রাজ্যে ক্রমবর্ধমান দুর্নীতি এই কেন্দ্রে পদ্ম প্রতীকে দাঁড়ানো দিলীপের মূল হাতিয়ার। 

    আরও পড়ুন: চলতি মাসের ১৫ তারিখ পেশ হতে পারে রাজ্য বাজেট, জানালেন চন্দ্রিমা

    দিলীপ সাহার পরিচয়

    ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) যোগদান করেন দিলীপ। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে নবগ্রাম কেন্দ্র থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তবে হারতে হয়েছিল বামেদের কাছে। রাজনীতির পাশাপাশি ব্যবসার কাজেও যুক্ত তিনি। রয়েছে একটি রাইস মিল।

    আরও পড়ুন: পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে ২০১৭-এর টেটের ওএমআর শিট! কার নির্দেশে এমন কাজ, রিপোর্ট চাইলেন বিচারপতি

    এই কেন্দ্রে তৃণমূল ও বিজেপি ও কংগ্রেস প্রার্থী ঘোষণা করে দিলেও এখনও পর্যন্ত প্রার্থী ঘোষণা করেনি বামেরা। সেখানে বাম-কং জোট নিয়েও শুরু হয়ে গিয়েছে জোর চর্চা। কংগ্রেসের প্রতীকে এই কেন্দ্রে লড়ছেন ব্যারণ বিশ্বাস। সামশেরগঞ্জ থানার ধুলিয়ানের বাসিন্দা ব্যারণ এলাকায় বিশিষ্ট সমাজসেবী হিসাবেই পরিচিত। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ৮ ফেব্রুয়ারি হবে জমা পড়া মনোনয়নের স্ক্রুটিনি। ১০ ফেব্রুয়ারি প্রার্থীপদ বাতিলের শেষ দিন। ২ মার্চ বেরোবে নির্বাচনের ফল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Recruitment Scam: ইডির জিজ্ঞাসাবাদে মুখোমুখি কুন্তল-গোপাল-তাপস, জেরা করা হয় শান্তনুকেও

    Recruitment Scam: ইডির জিজ্ঞাসাবাদে মুখোমুখি কুন্তল-গোপাল-তাপস, জেরা করা হয় শান্তনুকেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে একের পর এক নাম উঠে আসছে। সম্প্রতি গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষকে। তাঁকে জেরা করেও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। তাঁকে গ্রেফতার করার পরেই নাম উঠে আসে গোপাল দলপতির। ইডি সূত্রে খবর, গত মঙ্গলবার গোপালকে নিয়ে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি-র আঞ্চলিক দফতরে যান তাপস মণ্ডল। সেখানেই কুন্তল, তাপস ও গোপালকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেখানেই গোপাল তদন্তকারীদের প্রশ্নের উত্তরে পার্থকে টাকা দেওয়া হয়নি বলে দাবি করতেই ‘তাপসকে টাকা দেওয়া হয়েছে’ বলে চিৎকার শুরু করে দেন কুন্তল। ফলে ইডির অভিযোগ, তদন্তকারীদের লাগাতার বিভ্রান্ত করে বিপথে চালিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কুন্তল।

    ইডির মুখোমুখি জেরা কুন্তল, তাপস ও গোপালকে

    মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১টা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি-র দফতরে আসেন গোপাল ও তাপস। রাত ১টা ২০ নাগাদ দু’জনে বের হন। মঙ্গলবার নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত যুব তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুন্তল ঘোষের মুখোমুখি বসিয়ে গোপাল দলপতিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডি-র আধিকারিকরা। ইডি সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন একাধিকবার কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন কুন্তল ও গোপাল। কুন্তল ১৫ কোটি টাকা দেওয়ার দাবি করলেও, গোপাল তা অস্বীকার করেন। উল্টে জানতে চান কার সামনে টাকা দিয়েছেন কুন্তল? তার কোনও প্রমাণ রয়েছে কি না।

    অভিযোগ অস্বীকার গোপালের

    ইডি জানিয়েছে, গ্রেফতারের পরে কুন্তল দাবি করেছিলেন, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থকে তিনি সাড়ে ১৫ কোটি টাকা দিয়েছেন এবং সেই টাকা লেনদেনের অন্যতম সাক্ষী গোপাল। কিন্তু এই অভিযোগই অস্বীকার করেছেন গোপাল দলপতি। তিনি বলেছেন, পার্থের কাছে তিনি কোনও দিনই কোনও টাকা পৌঁছে দেননি। ইডি সূত্রে খবর, তার পরেই কুন্তল আচমকা চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘গোপালদা, তুমি বলো। তাপস তোমার সামনেই আমার কাছ থেকে দশ কোটি টাকা নিয়ে কলেজ তৈরি করেছেন।’ কুন্তলের ওই দাবিও নস্যাৎ করে দিয়েছেন গোপাল।

    আরও পড়ুন: পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে ২০১৭-এর টেটের ওএমআর শিট! কার নির্দেশে এমন কাজ, রিপোর্ট চাইলেন বিচারপতি

    এমনকী নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়ানো আরেক যুব তৃণমূল নেতা ও হুগলি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও যোগাযোগের কথা অস্বীকার করেন গোপাল। এর পর ইডি-র তরফে জানানো হয়, ৭ দিনের মধ্যে গোপালকে ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট, সম্পত্তি সংক্রান্ত নথি ও পুরনো মামলার সমস্ত তথ্য জমা দিতে হবে। তাপস ও কুন্তলের সামনে বসে গোপাল দাবি করেন, ২০১৬ সালে তাপস মারফত কুন্তলের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। নিয়োগ দুর্নীতিতে কুন্তলের নির্দেশে তিনি নানা কাজ করেছেন। ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত কুন্তল বেশ কয়েক বার তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মোট চার-পাঁচ লক্ষ টাকা দিয়েছেন। সেই লেনদেনের নথিও তাঁর কাছে আছে।

    তাপস মণ্ডল কী বললেন?

    অন্যদিকে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যর ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল মঙ্গলবার ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদের পর দাবি করেন, গোপাল দলপতি তাঁর গ্রামের ছেলে। কিন্তু ৪ বছর পর দেখা হয়েছে। তিহার জেল থেকে গোপালের ছাড়া পাওয়ার কথা কেন্দ্রীয় এজেন্সির কাছ থেকে জেনে তিনিই পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরের কসবা গ্রামের বাড়িতে গিয়ে গোপালকে খুঁজে নিয়ে আসেন বলে দাবি করেন তাপস মণ্ডল।

    ফের তলব শান্তনুকে

    যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে চতুর্থ দিনও দীর্ঘ জেরা করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। বুধবার প্রায় ৭ ঘণ্টা জেরার পর ইডির অফিস থেকে বেরোন তিনি। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে শান্তনুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছিল ইডি। বুধবার বেলা ১২টার কিছু পরে সিজিও কমপ্লেক্সে ঢোকেন যুব তৃণমূল নেতা। সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ আবার বেরিয়ে আসেন তিনি। ইডি সূত্রে খবর, শান্তনুর কাছে কিছু নথি চাওয়া হয়েছিল। সেগুলিই জমা দিতে ইডির অফিসে গিয়েছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে শান্তনুর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা বেশ কিছু নথি উদ্ধার করেছিলেন। সেগুলির বিষয়েও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বুধবার।

  • TET Scam: পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে ২০১৭ টেটের ওএমআর শিট! কার নির্দেশে? রিপোর্ট তলব বিচারপতির

    TET Scam: পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে ২০১৭ টেটের ওএমআর শিট! কার নির্দেশে? রিপোর্ট তলব বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষার নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। কিন্তু তার আগেই নষ্ট করা হয়েছে ওএমআর শিট। পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে সেই উত্তরপত্র। গতকাল কলকাতা হাইকোর্টে এমনটাই জানিয়েছে পর্ষদ। পর্ষদের এই বক্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷ তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, কার নির্দেশে পুড়িয়ে ফেলা হল তা খতিয়ে দেখতে হবে ও এই সংক্রান্ত বিশদ তথ্য পর্ষদের থেকে চেয়ে পাঠানো হয়েছে। আজই, বৃহস্পতিবার আদালতে তা জমা দিতে হবে৷ একইসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কোনও সিনিয়র অফিসারকে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির থাকার নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়৷

    ক্ষোভ প্রকাশ বিচারপতির

    ২০১৭ সালে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুসারে প্রাথমিক টেট অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০২১ সালের জানুয়ারিতে। গত বছর জানুয়ারিতে ফল প্রকাশ হয় সেই পরীক্ষার। প্রার্থীদের আরটিআই-এর জবাবে এপ্রিল মাস নাগাদ পর্ষদ ওএমআর শিটের কপিও দেয়। কিন্তু গতকাল জানা গেল সেই ওএমআর শিট নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘মুখ্যমন্ত্রীর আশীর্বাদ না থাকলে সুবিধা, আমরা প্রধানমন্ত্রীর মার্গদর্শনে চলি’, বিস্ফোরক বিবৃতি বিশ্বভারতীর

    সেই পরীক্ষার নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনও শেষ হয়নি। তার আগেই ওএমআর শিট পুড়িয়ে ফেলার মত বিস্ময়কর কথাা প্রকাশ্যে এসেছে। প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ৯৫২ জন প্রার্থীর ওএমআর শিট প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার মামলার শুনানিতে জানা যায়, ওএমআর শিট প্রকাশ করা সম্ভব নয়, কারণ তা পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। একথা জেনে চরম বিরক্তি প্রকাশ করেন বিচারপতি। তিনি পর্ষদকে প্রশ্ন করেন, কোন বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল ওএমআর শিট নষ্ট করে ফেলা হবে হবে? এরপরেই সিবিআইকে নির্দেশ দেন, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কোন বৈঠকে ওএমআর শিট পুড়িয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল তা তদন্ত করে জানাতে হবে সিবিআইকে। বৃহস্পতিবার বেলা ২টোর মধ্যে জমা দিতে হবে রিপোর্ট। এই সংক্রান্ত সমস্ত নথি একই সময়সীমার মধ্যে জমা দিতে হবে পর্ষদকেও।

    প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষক নিয়োগ কাণ্ডে পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী, একাধিক শিক্ষাকর্তা এখন জেলে। সেই ঘটনায় দিনের পর দিন নতুন তথ্য সামনে আসছে। এবার তাতে পরীক্ষার ওএমআর শিট নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ সামনে এল। এদিকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগে কারাবন্দি হয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। ওএমআর পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় তাঁর হাত রয়েছে কিনা সেই নিয়েও প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। 

  • Viswa Bharati: ‘মুখ্যমন্ত্রীর আশীর্বাদ না থাকলে সুবিধা, আমরা প্রধানমন্ত্রীর মার্গদর্শনে চলি’, বিস্ফোরক বিবৃতি বিশ্বভারতীর

    Viswa Bharati: ‘মুখ্যমন্ত্রীর আশীর্বাদ না থাকলে সুবিধা, আমরা প্রধানমন্ত্রীর মার্গদর্শনে চলি’, বিস্ফোরক বিবৃতি বিশ্বভারতীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কান দিয়ে দেখেন। স্তাবকরা যা শোনান, তাই বিশ্বাস করেন, টিপ্পনি করেন।” এবারে বিশ্বভারতীর নিশানায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ আধিকারিক বিবৃতি দিলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর আর্শীবাদ না থাকলে আমাদের সুবিধা। কারণ, বিশ্বভারতী প্রধানমন্ত্রীর মার্গদর্শনে চলতে অভ্যস্ত।” বুধবার বিশ্বভারতীর কর্তৃপক্ষের থেকে তিন পাতার একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে শুরুতেই কড়া ভাষায় আক্রমণ করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লেখার হুঁশিয়ারি দেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর হুঁশিয়ারির জবাবেই পালটা বিবৃতি দিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    গতকাল মঙ্গলবার আন্দোলনরত বিশ্বভারতীর পড়ুয়া ও অধ্যাপকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার বোলপুরে জনসভার মঞ্চ থেকে আরও একবার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে আক্রমণ করেন তিনি। সেখানকার সাসপেন্ড হওয়া পড়ুয়া, কয়েক জন অধ্যাপক দেখাও করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা অভাব-অভিযোগের কথা তাঁকে জানান। এরপরেই ক্ষোভ উগরে দিয়ে মমতা বলেন, “শিক্ষার্থী থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকা কর্মচারীরা কাঁদছেন। প্রতিবাদ করলে সাসপেন্ড বা রেস্ট্রিক্টেড করা হচ্ছে। প্রবীণ আশ্রমিক সুপ্রিয় ঠাকুরের বাড়িতেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পাঁচিল তুলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বিশ্বভারতীর গৈরিকীকরণ করবেন, সেটা চলতে পারে না। বিশ্বভারতীর আচার্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি নিয়ে আমি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখব।”

    প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখার হুঁশিয়ারির পাল্টা জবাব বিশ্বভারতীর

    মুখ্যমন্ত্রীর ওই মন্তব্যের পরেই বুধবার প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। মুখ্যমন্ত্রী বিশ্বভারতী সম্পর্কে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ মন্তব্য করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে। আরও লেখা হয়েছে, “বিশ্বভারতীতে এখন ৪৭৩ জন শিক্ষক, প্রায় ১৫ হাজার ছাত্র-ছাত্রী এবং ৭৫০ জন কর্মচারী বন্ধু আছেন। তার মধ্যে এক জন শিক্ষক এবং ছয় জন ছাত্র-ছাত্রীদের বক্তব্য শুনে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়কে আক্রমণ করলেন। এটা অস্বাভাবিক নয়, কারণ তিনি কান দিয়ে দেখেন। যে অধ্যাপক সম্পর্কে বললেন, তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে, এটা সর্বৈব ভুল। তাঁকে শাস্তির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে এবং এই প্রস্তাবটা নিয়ে ওই অধ্যাপক মামলা করেছেন। অতএব ব্যাপারটা বিচারাধীন। মাননীয় কোর্ট কোনও সিদ্ধান্ত দেয়নি। অতএব মুখ্যমন্ত্রী একটু বাড়াবাড়ি করলেন না কি?” আবার ছাত্রদের প্রসঙ্গ এনেও বিশ্বভারতীর তরফে বলা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী ছাত্রদের সম্পর্কে যা মতামত দিয়েছেন তা তথ্যগত ভুল। সেই ছাত্রদের কেন পরীক্ষা দেওয়া থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে, তাও স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে এই বিবৃতিতে।

    গতকাল বিশ্বভারতীতে পাঁচিল তোলা নিয়েও কর্তৃপক্ষকে নিশানা করেছিলেন মমতা। ফলে তার উত্তরে আজ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ওনার নিরাপত্তার জন্য বোলপুর শহরকে ঘিরে ফেলা হল। ওনার বাসস্থান, হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে কি দেওয়াল নেই? আরও জানাই এই দেওয়াল তোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে তিন যুগ আগে।”

    আবার এই বিবৃতিতে নাম না করে গরু পাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডল ও নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত একাধিক মন্ত্রী-উপাচার্যের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে বলা হয়েছে, “আজ আপনার মনোনীত মন্ত্রী ও উপাচার্য গারদের ভিতরে। কী করে হল? কারণ আপনি স্তাবকদের কথা শুনে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজেই বিধ্বস্ত। আপনার প্রিয় শিষ্য, যাঁকে না হলে আপনি বীরভূম ভাবতে পারতেন না। তিনিও জেলে। কবে বেরোবেন কেউ জানে না। আগে সাবধান করলে আপনি দুর্নাম থেকে বাঁচতে পারতেন। আপনি যদি সত্যি অর্থে মানুষের মুখ্যমন্ত্রী হন, তবে এই কথাটা আপনার বোধগম্য হবে।”

    এর পর বিবৃতি শেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রসঙ্গে এনে বলা হয়েছে, “বিশ্বভারতী একমাত্র কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়। আপনার আশীর্বাদ না থাকলে আমাদের সুবিধা কারণ আমরা প্রধানমন্ত্রীর মার্গদর্শনে চলতে অভ্যস্ত।” এরপর ছাত্র-ছাত্রী, মাস্টার মশায়দের ভুল পথে চলার জন্য প্ররোচনা না দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করা হয় এবং পরামর্শ দেওয়া হয়, মুখ্যমন্ত্রী যেন তথ্য, প্রমাণ দিয়ে মত তৈরি করেন। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরামর্শ ‘চোখ দিয়ে দেখুন, কান দিয়ে নয়।’ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই প্রেস বিজ্ঞপ্তির পর ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন মহলে।

  • Recruitment Scam: ‘‘চারপাশে এত দুর্বৃত্ত, দিদি একা পারছেন না’’! নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মন্তব্য বিচারপতির

    Recruitment Scam: ‘‘চারপাশে এত দুর্বৃত্ত, দিদি একা পারছেন না’’! নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মন্তব্য বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চারপাশে বহু দুর্বৃত্ত, তাই দিদি একা সামলাতে পারছেন না, অভিমত কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলা চলাকালীন বুধবার এই মন্তব্য করেন বিচারপতি। এদিন মানিকের প্রসঙ্গে ভরা এজলাসে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘দিদি একা আর সামলাতে পারছেন না। চারপাশে এত দুর্বৃত্ত থাকলে তিনি সামলাবেন কী করে?’’ এ প্রসঙ্গেই ভূপেন হাজারিকার ‘হাজার টাকার বাগান খাইলো পাঁচ সিকার ছাগলে!’ গানটি স্মরণ করেন তিনি।

    বিচারপতির প্রশ্ন

    এদিন ফের একবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ভর্ৎসনার মুখে পড়ে সিবিআই-ও। মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি সিবিআইকে প্রশ্ন করেন, “লন্ডনে মানিক ভট্টাচার্যের বাড়ির ঠিকানা জানেন? জানেন উনি কতবার লন্ডনে গিয়েছেন? আদালত তদন্ত করছে না সিবিআই?” মানিক সম্পর্কে অনেক তথ্য তাঁর জানা আছে, এজলাসে তার প্রমাণ দেন বিচারপতি নিজেই। তিনি জানান, লন্ডনের কোথায় মানিকের বাড়ি রয়েছে, তা তিনি জানেন। তিনি এ-ও জানেন, সেই বাড়ির পাশে এমন এক জনের বাড়ি রয়েছে, যিনি নিজেও রাজনৈতিক নেতা।

    আরও পড়ুন: চলতি মাসের ১৫ তারিখ পেশ হতে পারে রাজ্য বাজেট, জানালেন চন্দ্রিমা

    সিবিআইয়ের যুক্তি

    এদিন আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, মানিক ভট্টাচার্যের ২টি বৈধ পাসপোর্ট রয়েছে। তখন বিচারপতি প্রশ্ন করেন এটা কী করে সম্ভব? পালটা বিচারপতি বলেন, “ছি! ছিঃ! ছিঃ। এটা কী হচ্ছে! লজ্জার ব্যাপার হল তিনি এখনো বিধায়ক পদে ইস্তফা দেননি।” সিবিআইয়ের তরফে আদালতে জানানো হয়, গত ২ সপ্তাহে তদন্ত অনেকটা এগিয়েছে। কিছু এসএমএস উদ্ধার হয়েছে। মানিক ভট্টাচার্যের কাছ থেকেও কিছু সূত্র পাওয়া গিয়েছে। ’এই মামলার শুনানিতে আগেই মঙ্গলবার সিবিআই আধিকারিক সোমনাথ বিশ্বাসকে তদন্তের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেই প্রসঙ্গে বুধবার সিবিআইয়ের আবেদন ছিল, ‘‘তিন সপ্তাহ পরে আমরা রিপোর্ট পেশ করব। তার পর তদন্তকারী আধিকারিক সোমনাথ বিশ্বাসকে সরানোর নির্দেশ দেওয়া হোক।’’ তবে সেই আবেদন গ্রাহ্য হয়নি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Union Budget 2023: “আমি অমৃতকাল বাজেটে বিশ্বাস করি”, বললেন শুভেন্দু, কী প্রতিক্রিয়া দিলীপ ঘোষের?

    Union Budget 2023: “আমি অমৃতকাল বাজেটে বিশ্বাস করি”, বললেন শুভেন্দু, কী প্রতিক্রিয়া দিলীপ ঘোষের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে আজ মোদি সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। অমৃত কালের প্রথম বাজেট-কে স্বাগত জানিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে অভিবাদন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বাজেট নিয়ে প্রশংসা করতে দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। আর এবারে নির্মলা সীতারামনের বাজেটের প্রশংসা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও দিলীপ ঘোষ। এই দুই বিজেপি নেতা দৃঢ়বিশ্বাসী যে, এবারে বাজেট মধ্যবিত্তদের জীবনে খুশি নিয়ে আসবে।

    বাজেট নিয়ে শুভেন্দুর বক্তব্য

    শুভেন্দু অধিকারী এদিন ট্যুইটে বাজেটের প্রশংসা করেছেন। তিনি বাজেটে সবথেকে বেশি গুরুত্ব পাওয়া সাতটি ক্ষেত্র সামনে রেখে লেখেন, “আমি অমৃতকাল বাজেটে বিশ্বাস করি।” নির্মলা সীতারামনের বাজেটের সাতটি উল্লেখযোগ্য পয়েন্ট তুলে ধরেছেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছে অর্থনৈতিক ক্ষেত্র, কৃষিপরিকাঠামো উন্নতির জন্য ডিজিটাল প্রযুক্তি ইত্যাদি। অন্যদিকে, বাজেটে আয়কর ছাড়ের ঊর্ধবসীমা বৃদ্ধি করার প্রসঙ্গ এনেও অন্য একটি ট্যুইটে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। এর ফলে মধ্যবিত্তের অনেক সুবিধা বলে মন্তব্য রাজ্যের বিরোধী দলনেতার।

    বাজেট নিয়ে দিলীপ ঘোষের প্রতিক্রিয়া

    বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে এদিন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “নির্মলাজি যা বলেছেন তার ফলে সমাজের সমস্ত মানুষ খুশি হবেন। ব্যক্তিগত ইনকামে ছাড় আছে। অর্থনীতিকে গতিশীল রাখার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার জনকল্যাণের জন্য যা যা ব্যবস্থা নিয়েছে তাও বজায় থাকছে। সার্বিক ভাবে খুশি মানুষ।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

LinkedIn
Share