Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Indian Coast Guard Day: ১ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা দিবস

    Indian Coast Guard Day: ১ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা দিবস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছর প্রায় ২৭৯ জনকে বাঁচিয়েছে ভারতের উপকূলরক্ষী বাহিনী (Indian Coast Guard Day)। এমনটাই জানালেন বাহিনীর আইজি ইকবাল সিং চৌহান। এও জানিয়ে রাখলেন, শুধু মানব-জীবন রক্ষাই নয়, পরিবেশ রক্ষার বিষয়েও সজাগ তাঁরা।

    আগামীকাল, অর্থাৎ ১ ফেব্রুয়ারি ইন্ডিয়ান কোস্ট গার্ডের ৪৬তম প্রতিষ্ঠা দিবস (Indian Coast Guard Day)। দেশজুড়ে ধুমধামের সঙ্গে পালন করা হবে উপকূলরক্ষী বাহিনীর এই বিশেষ দিনটি। সেই উপলক্ষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে উপকূলরক্ষী বাহিনীর উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার বলেন, ২০২২ সালে ২৭৯ জনকে বাঁচিয়েছে উপকূলরক্ষী বাহিনী। এখনও পর্যন্ত প্রায় ১২ হাজার জীবন বাঁচিয়েছে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী। 

    সদা-সতর্ক ইন্ডিয়ান কোস্ট গার্ড

    দেশের পশ্চিম ও দক্ষিণ উপকূলের তুলনায় পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ক্ষেত্রের পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক ও শান্ত বলে উল্লেখ করেও চৌহান মনে করিয়ে দেন, উপকূল রক্ষী বাহিনী (Indian Coast Guard Day) সদা-সতর্ক রয়েছে। আত্মতুষ্টির কোনও জায়গা নেই। এই প্রেক্ষিতেই তিনি বলেন, উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের অন্তর্গত এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সেই আওতায় সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের সাগর এবং ওড়িশার গোপালপুর ও পারাদ্বীপে রেডার স্টেশন কার্যকর করা হয়েছে। আরও কয়েকটি রেডার স্টেশন শীঘ্রই নির্মাণ হবে। তবে, সেগুলি কোথায় বসবে, সে বিষয়ে তিনি খোলসা করেননি।

    বর্তমান শক্তি…

    চৌহান জানান, ভবিষ্যতের পরিস্থিতি ও প্রয়োজনীয়তা বিচার করে শক্তি বৃদ্ধির পথে ক্রমশ এগিয়ে চলেছে উপকূলরক্ষী বাহিনী (Indian Coast Guard Day)। তিনি জানান, এই মুহূর্তে ২০০টি জাহাজ ও ১০০টি বিমানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগোচ্ছে বাহিনী। বর্তমানে ছোট-মাঝারি-বড় মিলিয়ে রয়েছে ১৫৮টি জাহাজ। দ্রুতগামী প্যাট্রল ভেসেলের সংখ্যা প্রায় ৫০। ১১৫ মিটার বা তার বেশি লম্বা জাহাজ রয়েছে ২৭টি। এছাড়াও বাকি সব মিলিয়ে রয়েছে প্রায় ৬৭টি জাহাজ। ১২টি জাহাজ নির্মাণপর্বে রয়েছে। 

    বাহিনীর ইতিহাস

    কোস্ট গার্ড আইনের মাধ্যমে ১৯৭৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ইন্ডিয়ান কোস্ট গার্ড বা ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর (Indian Coast Guard Day)। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মোরারজী দেশাই ১৯৭৮ সালের ১৯ অগাস্ট উপকূলরক্ষী বাহিনীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছিলেন। সেই সময় বাহিনীর হাতে ছিল মাত্র সাতটি জাহাজ। সেই থেকেই নির্ভিকভাবে ভারতের সুদীর্ঘ উপকূলের নিরন্তর রক্ষা করে চলেছে উপকূলরক্ষী বাহিনী।

  • CBI: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইকেই কাঠগড়ায় তুললেন বিচারপতি বসু

    CBI: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইকেই কাঠগড়ায় তুললেন বিচারপতি বসু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়- এর পর এবার সিবিআইয়ের (CBI) কাজ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন হাইকোর্টের আরও এক বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। বিচারপতির অভিযোগ, ইচ্ছে করে তদন্তে দেরি করছে সিবিআই। মঙ্গলবার নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে বিচারপতি বসু জানান, সিবিআইয়ের ভূমিকাকে তিনি সন্দেহের চোখেই দেখছেন।    

    মঙ্গলবার নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি বসুর (CBI) এজলাসে। সেখানে তিনি সিবিআইয়ের আইনজীবীর উদ্দেশে তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘‘আমার মনে হচ্ছে, আপনারা ইচ্ছাকৃত ভাবে তদন্তে দেরি করাচ্ছেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘যত দ্রুত সম্ভব সমাজ থেকে জঞ্জাল সরিয়ে উপযুক্ত ব্যক্তিদের জায়গা করে দিতে হবে।’’  

    উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট জমা দেয় সিবিআই (CBI)। সিবিআইয়ের হয়ে আইনজীবী যে সওয়াল করছেন, তার সঙ্গে ওই রিপোর্টের কোনও মিল নেই বলে জানিয়েছেন বিচারপতি বসু। বিচারপতি বসু আরও বলেন, ‘‘দেশের অন্যতম প্রধান তদন্তকারী সংস্থার কাছে এমন ভুল আশা করা যায় না। সিবিআইয়ের রিপোর্টের সঙ্গে আইনজীবীর দেওয়া তথ্যের কোনও মিল নেই। এমনটা হল কী করে?’’ বিচারপতি বলেন, ‘‘আপনাদের ভূমিকা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ হচ্ছে। কাগজপত্র-সহ সমস্ত তথ্য তিন বার যাচাই করে পাঠানো উচিত।’’ আগামী বৃহস্পতিবার ফের সিবিআইকে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।

    আরও পড়ুন: অমর্ত্যর বাড়ি সম্পর্কিত যে কাগজ মমতা দেখাচ্ছেন, তা অপ্রাসঙ্গিক, সাফ জানালেন উপাচার্য     

    এদিন এসএসসির ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে আদালত। এসএসসি- র বিচারপতি বসু বলেন, ‘‘সব কি আদালতের দায়িত্ব? আপনারা যে ভাবে যুক্তি দিচ্ছেন, তাতে মনে হচ্ছে কেউ ঠকিয়ে চলে গেলেও, চুপ করে বসে থাকবেন। চুপ থাকবেন তো? এত ভয় কেন? যা হয়েছে, মুছে এগিয়ে চলুন। নিজের ক্ষমতা কেন প্রয়োগ করছেন না? এসএসসি-র চেয়ারম্যানকে বলুন, অযোগ্যদের বরখাস্ত করে যোগ্যদের চাকরি দিতে।’’ 

    মঙ্গলবারই সিবিআইয়ের (CBI) এক আধিকারিককে তদন্ত থেকে বাদ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এমনও নির্দেশ দেন যে, ওই তদন্তকারী কর্তা যেন কোনও তদন্তের ফাইল স্পর্শ করতে না পারেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     
     
  • Mid Day Meal: ৮১ জন পড়ুয়ার জন্যে ৭ কিলো চাল! স্কুল পরিদর্শনে এসে অবাক কেন্দ্রীয় দল

    Mid Day Meal: ৮১ জন পড়ুয়ার জন্যে ৭ কিলো চাল! স্কুল পরিদর্শনে এসে অবাক কেন্দ্রীয় দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৮১ জন পড়ুয়ার জন্যে মাত্র ৭ কিলো চাল। রাজারহাটের বনমালিপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে (Mid Day Meal) পরিদর্শনে এসে হতবাক কেন্দ্রীয় দল। সোমবার বেলা ১২টার দিকে স্কুলে এসে পৌঁছন কেন্দ্রের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। স্কুলে পৌঁছেই কথা বলেন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে। এরপর ক্লাসরুমে পড়ুয়াদের সঙ্গেও কথা বলেন। এরপরেই সোজা রান্নাঘরে ঢুকে যান কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। ঘুরে দেখেন পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি। রান্নায় ব্যবহৃত সরঞ্জাম খতিয়ে দেখেন তাঁরা। 

    কী জানতে চায় কেন্দ্রীয় দল? 

    রান্নার পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা (Mid Day Meal) সম্পর্কে বেশ কিছু প্রশ্নও করেন তাঁরা। কর্মীদের জিজ্ঞেস করেন, কবে তৈরি হয়েছে রান্নাঘর? কতজন কর্মী রান্না করেন? কী কী রান্না হয়? কী তেল ব্যবহার হয় রান্নার জন্য? রান্নার জল কোথা থেকে আনা হয়? আদৌ গ্লাভস পড়া হয় কী না, ইত্যাদি ইত্যাদি। চাল- মশলাও হাতে নিয়ে দেখেন তাঁরা।

    রাজ্যে মিড ডে মিল পরিস্থিতি খতিয়ে (Mid Day Meal) দেখতে এসে কেন্দ্রীয় পরিদর্শক দল সোমবার উত্তর ২৪ পরগনায় যায়। জেলার বিভিন্ন স্কুল ঘুরে দেখার কথা তাঁদের। তার আগে দলটি বিকাশ ভবনে একটি বৈঠক করে। ৯ জনের দলটির নেতৃত্বে রয়েছেন উত্তরাখণ্ডের জিবি পন্থ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টিবিজ্ঞানের অধ্যাপিকা অনুরাধা দত্ত।

    জেলায় পরিদর্শনে বেরোনোর (Mid Day Meal) আগে অনুরাধা দত্ত জানান, এটি রুটিন পরিদর্শন। দেশের প্রতিটি রাজ্যেই মিড ডে মিল পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে কেন্দ্রীয় দল। তিনি আরও জানান, মিড ডে মিলের বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের যে ৩২টি সূচক আছে, সেগুলির ভিত্তিতেই সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হয়। 

    কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা প্রশ্ন (Mid Day Meal) করেন, “৮১ জন বাচ্চার জন্য মাত্র ৭ কেজি চাল কেন?” উত্তরে রাঁধুনি বলেন, “বাচ্চারা ১০০ গ্রাম ভাতও খেতে পারে না। নষ্ট করে। তাই অল্প করে রান্না করা হয়।” তুলনায় আলুর পরিমাণ বেশি থাকা নিয়ে রাঁধুনি জানান, পড়ুয়ারা আলু খেতে ভালবাসে।

    আরও পড়ুন: উদ্ধার কুন্তল-শান্তনুর ফোনের ডিলিট করা চ্যাট, জেরা করতে ফের ইডির তলব যুব তৃণমূল নেতাকে

    কেন্দ্রীয় দল আসার আগেই রাজ্য (Mid Day Meal) প্রশাসনের তরফে মিড ডে মিল রান্নায় নিযুক্ত ব্যক্তিদের নতুন অ্যাপ্রন, গ্লাভস দেওয়া হয়। এ বিষয়ে পরিদর্শক দলের প্রশ্ন, “সব দিন কি এগুলো পরে থাকেন?” কর্মীরা উত্তরে বলেন, “গ্লাভস পরলেও বাকিগুলো সব সময় পরা হয় না।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     
     

     

     

  • Suvendu Adhikari: জেলায় জেলায় মিড ডে মিলের পরিদর্শনে বেরল কেন্দ্রীয় দল, রিপোর্টের দিকে বিশেষ নজর শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: জেলায় জেলায় মিড ডে মিলের পরিদর্শনে বেরল কেন্দ্রীয় দল, রিপোর্টের দিকে বিশেষ নজর শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিড ডে মিল তদন্তে রাজ্যে এসেছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। সোমবার অভিযানে দিল্লির ১১ জনের একটি দল। চার জেলায় গিয়ে বিভিন্ন স্কুলে খতিয়ে দেখবেন তাঁরা। সূত্রের খবর, সোমবার সকালে পরিদর্শনে বেরনোর আগে শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বিকাশ ভবনে বৈঠক করেন তাঁরা। এরপর জেলায় জেলায় মিড ডে মিল প্রকল্পের অগ্রগতি দেখতে বেরিয়ে পড়ে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। ৪ জেলার সফর শুরু আজ উত্তর ২৪ পরগনা দিয়ে। মিড ডে মিল নিয়ে সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখার পর কেন্দ্রকে রিপোর্ট জমা দেবে তাঁরা। অন্যদিকে এই ইনস্পেকশন নিয়ে উৎসাহী শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, এ ব্যাপারে কী রিপোর্ট জমা পড়ে সে দিকে নজর রাখবেন তিনি।

    মিড ডে মিলের পরিদর্শনে বেরল কেন্দ্রীয় দল

    সূত্রের খবর, সোমবার সকাল সাড়ে ন’টার কিছুটা সময় পর তাঁরা বিকাশ ভবনের উদ্দেশে রওনা হন। এর পর বিকাশভবনে পৌঁছন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বিকাশ ভবনে বৈঠক করেন তাঁরা। এরপরেই তদন্তে বেরিয়ে পড়েন তাঁরা। জানা গিয়েছে, আজ উত্তর ২৪ পরগনার কয়েকটি স্কুলে যাবেন। এর পর আরও ৩ টি জেলায় যাবেন তাঁরা। নজরে রয়েছে শিলিগুড়িও। তবে এই তালিকায় আরও বেশ কিছু জেলার সংযোজন করতে পারেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা, সেটা জানা যাচ্ছে। ১১ জনের প্রতিনিধি দল কয়েকটি ভাগে বিভিন্ন জেলাতেও যেতে পারে বলে খবর। সূত্রের খবর, চার জেলা ঘোরার পর কলকাতা হয়ে এই টিম দিল্লি যাবে। কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের কাছে রিপোর্ট পেশ করবে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে সুপারিশ পাঠাবে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক।

    আরও পড়ুন: মিড ডে মিলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এল কেন্দ্রীয় দল, আজ থেকেই শুরু পরিদর্শন

    মিড ডে মিল নিয়ে শুভেন্দুর বক্তব্য

    রাজ্যে বিভিন্ন জায়গা থেকে মিড ডে মিলের খাবারের গুণমান নিয়ে একাধিক বার প্রশ্ন উঠেছে। কখনও শিশুদের খাবারে মিলেছে সাপ, কখনও আবার টিকটিকি, ইঁদুর। আবার আর্থিক দুর্নীতিরও অভিযোগ উঠে এসেছে। গত সপ্তাহে ট্যুইটে শুভেন্দু দাবি করেন, বগটুইয়ে মৃতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে মিড ডে মিলের টাকা থেকে। এর পরই রাজ্যে মিড ডে মিল প্রকল্পের অগ্রগতিতে কেন্দ্রীয় দল আসছে বলে জানান তিনি।

    এদিন তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল কী রিপোর্ট দেয় সে দিকে তাকিয়ে থাকব। মিড ডে মিলের টাকা থেকে বগটুইতে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা নয়। এটা ফাইনানসিয়াল ক্রাইম। বিডিও, ডিএমদের বিরুদ্ধে তদন্ত হওয়া দরকার। অডিটের পর কেন্দ্র সরকার এমনটা করবে। আমি যখন অভিযোগ করেছি তখন তা প্রমাণের দায়িত্ব আমার। আমি প্রমাণ দেওয়ার পর নিশ্চয় কেন্দ্র সরকার ব্যবস্থা নেবে।”

    ফলে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের তদন্ত করার পর মিড ডে মিলের সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে অবশেষে কেন্দ্রকে কী রিপোর্ট দেয় তাঁরা, সেটার অপেক্ষায় রাজ্যবাসী।

  • West Bengal Weather: শীতের বিদায় এখনই নয়, বৃহস্পতিবার থেকেই ফিরবে শীত! কী বলছে হাওয়া অফিস?

    West Bengal Weather: শীতের বিদায় এখনই নয়, বৃহস্পতিবার থেকেই ফিরবে শীত! কী বলছে হাওয়া অফিস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বঙ্গে পারদের ওঠা-নামা জারি। জানুয়ারির শুরুতেই হাড়কাঁপানো ঠান্ডা পেয়েছে রাজ্যবাসী। তারপর ধীরে ধীরে বেড়েছে তাপমাত্রার পারদ। এরপর একেবারেই শীত বিদায় নিয়েছিল শহর থেকে। তবে ফের বিগত দু’দিনে তাপমাত্রা কমে গেল। রবিবারই শীতের প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিত মিলেছিল। এর পর আজ সোমবার এক ধাক্কায় আরও কিছুটা পারদ পতন শহরে। আজ ভোর থেকে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে শিরশিরে ঠান্ডার ইনিংস শুরু হয়ে গেল৷ ফলে শেষবেলায় শীতের দাপুটে স্পেলের দেখা মিলতে পারে। এমনটাই পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দফতরের।

    কলকাতার আবহাওয়া

    আজ শহরে এক ধাক্কায় তাপমাত্রা প্রায় ২ ডিগ্রি নামল। কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পৌঁছল ১৫.৮ ডিগ্রিতে। গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭.৪ ডিগ্রি। আকাশ পরিষ্কার থাকবে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৭ ও ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে।

    আরও পড়ুন:মমতার পাশে নেই কেষ্ট! অনুব্রত-হীন বীরভূমে মুখ বাঁচাতে নয়া কৌশল তৃণমূলের?

    দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া

    আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ৪৮ ঘন্টা অর্থাৎ ১ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকালের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। এরপর মঙ্গলবার ও বুধবার তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি বাড়লেও, বৃহস্পতিবার বার থেকে তাপমাত্রা ফের ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের। আগামী বৃহস্পতিবারের পর থেকে আবারও মিনি শীতের স্পেল আসতে চলেছে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। তবে শীতের স্পেল চলবে আগামী রবি থেকে সোমবার পর্যন্তই।

    উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া

    আগামী তিন দিন কুয়াশার দাপট থাকবে উত্তরবঙ্গে। মূলত শুষ্কই থাকবে আবহাওয়া। শুধুমাত্র দার্জিলিং, কালিম্পং এর পার্বত্য এলাকায় বুধবার পর্যন্ত হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সিকিমেও হালকা বৃষ্টি ও পার্বত্য এলাকায় তুষারপাত হতে পারে। যদিও দার্জিলিং পার্বত্য এলাকায় তাপমাত্রা ঊর্ধ্বমুখী। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে আগামী পাঁচ দিন একই রকম তাপমাত্রা থাকবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Migrant Workers: বন্ধ একশো দিনের প্রকল্প, ফের ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে মৃত্যু ৩ পরিযায়ী শ্রমিকের 

    Migrant Workers: বন্ধ একশো দিনের প্রকল্প, ফের ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে মৃত্যু ৩ পরিযায়ী শ্রমিকের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একশো দিনের প্রকল্পে টাকা পাঠাচ্ছে কেন্দ্র। সস্তা জনপ্রিয়তা কুড়োতে সেই টাকা খরচ হচ্ছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সহ নানা খয়রাতি প্রকল্পে। তার জেরে রাজ্যে বন্ধ হয়ে গিয়েছে একশো দিনের কাজ। হা শিল্প দশা। অগত্যা রুজির টানে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছেন বাংলার দিন আনি দিন খাই পরিবারের রোজগেরে সদস্যরা (Migrant Workers)। তারপর তাঁদের অনেকেই ফিরছেন লাশ হয়ে। সংসারের রোজগেরে মানুষটার অকাল মৃত্যুতে আক্ষরিক অর্থেই পথে বসছেন মৃতের পরিবার।

    দীর্ঘায়িত হচ্ছে মৃতের তালিকা…

    এই যেমন মালদহের হবিবপুরের তিন মণ্ডল পরিবার। রাজ্যে কাজ না পেয়ে গত বছর নভেম্বরে শ্রীরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তালুকদার পাড়ার প্রেমকুমার মণ্ডল, রতন মণ্ডল এবং অলোক মণ্ডল কাজ করতে গিয়েছিলেন মিজোরামের (Mizoram) আইজল জেলায়। ২৬ জানুয়ারি গার্ডওয়ালের কাজ করার সময় ধ্বস নামে। মৃত্যু হয় তিন যুবকেরই। পরিবার সূত্রে খবর, তিনজনেরই ৩১ জানুয়ারি বাড়ির ফেরার কথা ছিল। সেজন্য টিকিটও কাটা হয়ে গিয়েছিল। অবশ্য ৩১ জানুয়ারির আগেই বাড়ি ফিরেছেন তাঁরা। তবে কফিনবন্দি হয়ে। ঘটনায় কান্নার রোল গ্রামে। শোকস্তব্ধ গোটা তল্লাট।

    রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ধূমায়িত হচ্ছে ক্ষোভের আগুন। মৃতদের মধ্যে প্রেমকুমার ও রতন সম্পর্কে খুড়তুতো ভাই। তিনজনই বিবাহিত। অলোকের আবার আট মাসের এক শিশুপুত্রও রয়েছে। পরিবারের রোজগেরে সদস্যদের মৃত্যুতে অথৈ জলে তিন মণ্ডল পরিবার। মালদহ উত্তরের সাংসদ বিজেপির খগেন মুর্মু বলেন, রাজ্যে কাজ নেই। তাই বাধ্য হয়ে বাইরে গিয়ে অকালে প্রাণ চলে যাচ্ছে জেলার ছেলেদের।

    অবশ্য এই প্রথম নয়। ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে অকালে প্রাণ খুইয়েছেন এ রাজ্যে অনেক শ্রমিক (Migrant Workers)। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দীর্ঘ হচ্ছে সেই তালিকা। মাস পাঁচেক আগে চেন্নাইয়ে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতে গিয়েছিলেন মালদহেরই রতুয়ার ছেদু মণ্ডল। তাঁর বাড়ি উত্তর রতুয়া পূর্ব পাড়া গ্রামে। ছেদুও বাড়ি ফিরেছিলেন লাশ হয়ে।

    কম করুণ নয় মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলার রামগড় পূর্ব হাট পাড়ার কাহিনিও। মাস কয়েক আগে গুজরাটের জামনগর অডনার জেটিতে নির্মাণ শ্রমিকের কাজে গিয়েছিলেন ওই পাড়ার বছর তেইশের যুবক মোহনলাল মহলদার। মাথায় রডের আঘাত লেগে ওপর থেকে সমুদ্রে পড়ে যান তিনি। সমুদ্র অবশ্য গিলে খায়নি তাঁকে। ফিরিয়ে দিয়েছিল। মোহনলালও বাড়ি ফিরেছিলেন কফিনবন্দি হয়ে। তরতাজা যুবকের অকাল মৃত্যুতে পরিবারের সে কি কান্না!

    আরও পড়ুুন: “বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় এলে সমস্ত ব্রিটিশ এবং মুঘল নাম মুছে দেব”, বললেন শুভেন্দু

    ইদে বাড়ি ফেরা হয়নি মুর্শিদাবাদের আরও একজনের। তিনি ইদুল হাসান। বছর বাহান্নর ইদুল জলঙ্গির ফরিদপুর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। কেরলের প্রেম্বাবুর থানা এলাকায় জলের পাইপ বসানোর কাজ করতে গিয়েছিলেন তিনি। ইদের দিন কয়েক আগের এক সকালে আচমকাই বুকে ব্যথা অনুভব করেন ইদুল। তিনিও ফিরেছিলেন লাশ হয়ে। ওড়িশায় কাজ করতে গিয়ে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন মুর্শিদাবাদেরই সূতির ইন্দ্রনগর কলোনির বাসিন্দা রাজকুমার হালদারও। ওড়িশায় এক কন্ট্রাক্টরের অধীনে রাজমিস্ত্রির কাজে গিয়েছিলেন তিনি। পরে বাড়ি ফেরে রাজকুমারের নিথর দেহ। বেঙ্গালুরুতে কাজে গিয়ে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের চন্দন মহালদারও। নিথর দেহে বাড়ি ফিরছিলেন মুর্শিদাবাদের ডোমকলের মহাবুল মিঞাও। কেরলের ত্রিশুরের পালাঘাট এলাকায় কাজে গিয়েছিলেন তিনি। মৃত্যু মিছিলের এই তালিকায় রয়েছে জলপাইগুড়ির সদর ব্লকের পাঁচ শ্রমিকও। সিকিমের পেলিং স্কাইওয়াক এলাকায় কাজে গিয়েছিলেন তাঁরা। এই তো ডিসেম্বরে। প্রাণে বেঁচে ফেরেননি তাঁরাও।

    একের পর এক তরতাজা যুবক (Migrant Workers) রাতারাতি আকাশের তারা হয়ে যাওয়ার পরেও টনক নড়েনি রাজ্য সরকারের। কখনও দাক্ষিণ্য বাবদ কিছু টাকা, কখনওবা কুম্ভীরাশ্রু বিসর্জন করে, কখনও আবার স্রেফ কেন্দ্রের ঘাড়ে দায় চাপিয়েই হাত ধুয়ে ফেলছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। আর পরিবারের জলজ্যান্ত মানুষটাকে হারিয়ে চোখের জল সম্বল করে দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন নিহতদের পরিবার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Recruitment Scam: বিক্রি হয়েছে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রও! নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির জেরায় স্বীকারোক্তি কুন্তলের

    Recruitment Scam: বিক্রি হয়েছে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রও! নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির জেরায় স্বীকারোক্তি কুন্তলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিক্রি হয়েছে চাকরির পরীক্ষার প্রশ্নপত্রও। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে (Recruitment Scam) চাঞ্চল্যকর তথ্য ইডির (ED) হাতে। ইডি সূত্রে খবর, নিয়োগ মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) সম্মতিক্রমেই বিক্রি হত প্রশ্নপত্র। টাকার বিনিময়ে প্রশ্নপত্রের খসড়া জেনে আগেভাগেই তা চাকরিপ্রার্থীদের জানিয়ে দিতেন ধৃত তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh)। তদন্তে নেমে ঠিক এমনই কিছু তথ্য এসেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে।

    পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াই প্রশ্নের মুখে

    ইডি সূত্রের খবর, প্রাথমিক টেটসহ একাধিক চাকরির পরীক্ষার খসড়া প্রশ্নপত্র আগে থেকেই পৌঁছে যেত ইডির হাতে গ্রেফতার যুব তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুন্তল ঘোষের কাছে। টাকার বিনিময়ে সেই প্রশ্ন চাকরিপ্রার্থীদের বিক্রি করতেন কুন্তল। প্রশ্নপত্র যে ফাঁস হচ্ছে সেকথা জানতেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কুন্তলের ফোনের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে তাঁরা এই তথ্য পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। কুন্তলের ফোন থেকে উদ্ধার হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর কথোপকথন।

    আরও পড়ুন: টানা ৭ ঘণ্টা ইডির জিজ্ঞাসাবাদ যুব তৃণমূল নেতা শান্তনুকে! এসএসসি দুর্নীতিতে আরও কী কী তথ্য মিলল?

    ইডির দাবি, যাঁদের কাছ থেকে টাকা তোলা হয়েছে, তাঁরা যাতে চাকরি পান, তার জন‌্য পার্থ চট্টোপাধ‌্যায়ের সাহায‌্য চেয়েছিলেন কুন্তল। পার্থর সঙ্গে কুন্তলের বেশ কিছু হোয়াটসঅ‌্যাপের চ‌্যাটে উঠে এসেছে এই তথ‌্য। কুন্তল যে স্কুলে চাকরির পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রের খসড়া দেখেছেন, তা পার্থও জানতেন। এভাবে আগাম প্রশ্ন জেনে সেইমতো চাকরিপ্রার্থীদের পরীক্ষার জন‌্য তৈরি হতে বলতেন কুন্তল। টাকার বিনিময়ে প্রশ্নপত্র বিক্রির অভিযোগ সামনে আসার পর গোটা নিয়োপক্রিয়া নিয়েই প্রশ্ন উঠে যেতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। কেউ যদি প্রশ্নপত্র কিনে প্রস্তুত হয়ে এসে পরীক্ষা দিয়ে থাকেন সেটা চিহ্নিত করা প্রায় অসম্ভব। কোন কোন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বিক্রি করেছেন কুন্তল, তা জানার চেষ্টা করছে ইডি।

    গোপালই টাকা সাদা করত

    সম্প্রতি জেরায় কুন্তল জানিয়েছিলেন তিনি নিজে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ১৫ কোটি টাকা দিয়েছিলেন। এরপরই হইহই পড়ে যায় সর্বত্র। কারণ কেলেঙ্কারিতে এই প্রথম কেউ পার্থকে টাকা দিয়েছেন বলে মুখ খোলেন। কুন্তল জেরার মুখে বারবার  চিটফান্ড (Chitfund) কর্তা গোপাল দলপতির নাম নিয়েছেন। গোপাল নামে ওই ব‌্যক্তির কথা ইডিকে জানিয়েছিলেন তাপস মণ্ডলও। কুন্তল ও তাপসের দাবি, নিয়োগ দুর্নীতির টাকা তোলার ঘটনায় মূল লিঙ্ক গোপাল। চাকরিপ্রার্থীদের থেকে কয়েক কোটি টাকা তুলেছেন গোপাল। কুন্তল ও তাপসের দাবি, তাঁদের কাছ থেকে টাকা গিয়েছে গোপাল দলপতির কাছে। সেই বিপুল কালো টাকা সাদা করতে চিটফান্ড ও একাধিক বেসরকারি সংস্থায় লগ্নি করে গোপাল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: জিটিএ চুক্তি ‘অশ্ব ডিম্ব’, পাহাড়ের বঞ্চনা দূর করতে পারে বিজেপিই, সাফ জানালেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: জিটিএ চুক্তি ‘অশ্ব ডিম্ব’, পাহাড়ের বঞ্চনা দূর করতে পারে বিজেপিই, সাফ জানালেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকারের জিটিএ (GTA) চুক্তিকে ‘অশ্ব ডিম্ব’ আখ্যা দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ২০১১ সালের ১৭ জুলাই জিটিএ তৈরির সময় কেন্দ্র, রাজ্য এবং গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার মধ্যে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি হয়। এই চুক্তি থেকেই সরে দাঁড়িয়েছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। ফের দাবি জানাল পৃথক গোর্খাল্যান্ডের। এই দাবিতে দিল্লি যাওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছে মোর্চা। শুক্রবার শিলিগুড়ির দাগাপুরে মোর্চার দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট, কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়ে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি থেকে নিজেদের সরিয়ে নিল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। জিটিএকে কেন্দ্র করে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার যে সমর্থন ছিল, ত্রিপাক্ষিক চুক্তিতে তা প্রত্যাহার করা হল।

    শুভেন্দু উবাচ…

    এ প্রসঙ্গেই প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, মুখ্যমন্ত্রী যাতেই হাত দেবেন, সেটাই ব্যর্থ হবে। তা সে সুন্দরবন হোক, জঙ্গলমহল হোক, শিল্প হোক, কৃষি হোক, কর্মসংস্থান হোক কিংবা পাহাড়। পাহাড় সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে ২০১১ সালে ঢাক ঢোল বাজিয়ে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, পাহাড় হাসছে, জঙ্গলমহল হাসছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মন্তব্য করে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সঙ্গে ভারত সরকারের মধ্যস্থতায় ত্রিপাক্ষিক চুক্তি করেছিলেন। কিন্তু আজকে এগারো বছর পর ওই চুক্তি যে অশ্ব ডিম্ব ছিল, তা প্রমাণ হল।

    আরও পড়ুুন: আইএসএফ বিধায়ককে গ্রেফতারির প্রতিবাদে পথে বিজেপিও, কী বললেন সুকান্ত?

    শুভেন্দু বলেন, ত্রিপাক্ষিক চুক্তির প্রধান স্টেক হোল্ডার গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা চুক্তি থেকে বেরিয়ে এসেছে। মোর্চার সম্পাদক রোশন গিরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখে বলেছেন, সেই চুক্তিতে ক্ষমতা হস্তান্তরের যেসব বিষয় ছিল, তার একটাও রাজ্য সরকার কার্যকর করেনি। পাহাড়ের বঞ্চনা দূর করতে যে একমাত্র বিজেপিই পারবে, এদিন তাও স্মরণ করিয়ে দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, বিগত দিনে যেভাবে পাহাড়ের মানুষ বিজেপির ওপর আস্থা রেখেছে, আগামী দিনেও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওপর ভরসা রাখুন। তিনি বলেন, একমাত্র বিজেপিই পারবে পাহাড়কে শান্ত রাখতে এবং উন্নয়ন ঘটাতে। সেই সঙ্গে পাহাড়ের মানুষের বঞ্চনা দূর করতে। 

    এদিকে, রোশনের জিটিএ ছাড়ার ঘোষণার পর কার্যত দ্বিধাবিভক্ত হয়ে গিয়েছে পাহাড়ের রাজনৈতিক মহল। মোর্চার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন হামরো পার্টির চেয়ারম্যান অজয় এডওয়ার্ড। বিরোধিতা করেছে অনীত থাপার ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক পার্টি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Kuntal Ghosh: ফের কুন্তলকে জেরা ইডির! প্রকৃত দোষীদের আড়াল করতেই কি বিভিন্ন নাম?

    Kuntal Ghosh: ফের কুন্তলকে জেরা ইডির! প্রকৃত দোষীদের আড়াল করতেই কি বিভিন্ন নাম?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন হুগলির যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ (Kuntal Fhosh)। প্রকৃত দোষীদের থেকে নজর ঘোরাতে নিয়োগ দুর্নীতিতে রোজ নতুন নতুন নাম আনছেন কুন্তল, দাবি ইডির। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে খবর, চিটফান্ড মামলায় তিহাড় জেলে বন্দি গোপাল দলপতির কাছে কোটি কোটি টাকা যেত (Gopal Dalapati)। তার পর OSD মারফত সেই টাকা পৌঁছে যেত পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের কাছে। শুক্রবার জেরার মুখে যুব তৃণমূলের রাজ্য় সম্পাদক কুন্তল নাকি এমনই দাবি করেছেন।

    কাকে আড়ালের চেষ্টা

    ইডি সূত্রে দাবি, সম্প্রতি জেরার মুখে বারবার দুটো নাম করছেন কুন্তল। এক পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়,  দুই গোপাল দলপতি। অত্য়ন্ত ইঙ্গিতপূর্ণ বিষয় হল, যে দু-জনের নাম কৌশলে বারবার টাকা লেনদেনে তুলে ধরতে চাইছেন ধৃত যুব তৃণমূলের রাজ্য় সম্পাদক, তাঁরা দুজনেই কিন্তু অনেক আগে থেকে জেলবন্দী। পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় বর্তমানে প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি। আর গোপাল দলপতি চিটফাণ্ড মামলায় ২০২১ থেকে দিল্লির তিহাড় জেলে রয়েছেন। অর্থাৎ কুন্তুলের এই চাঞ্চল্য়কর দাবি নিয়ে যে দু-জনেরই আপাতত মুখ খোলার কোনও সুযোগ নেই!

    আরও পড়ুন: ‘হাতেখড়ি’ হয়েছিল আলিপুরদুয়ারে, আজ ডায়মন্ড হারবারে প্রশাসনিক বৈঠক অভিষেকের!

    রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ও গোপালের কথা বললেও হুগলির যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্য়পাধ্যায়কে নিয়ে সম্পূর্ণ নীরব কুন্তল ঘোষ। শান্তনু কত টাকা নিয়েছে জানতে চাইলে কুন্তল জানান, তিনি ঠিক বলতে পারবেন না। ইডি সূত্রে দাবি, শান্তনুর বলাগড়ের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একটি ৩০০ জন চাকরিপ্রার্থীর নামের তালিকা পাওয়া গিয়েছে। যে লিস্টে চাকরিপ্রার্থীদের নাম, রোল নম্বর, অ্য়াডমিটকার্ডের নম্বর সমস্ত বিশদে লেখা। শুধু নিজের জেলাই নয়, হুগলির যুব তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে পাওয়া তালিকায় নাম রয়েছে কলকাতা, বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব মেদিনীপুর সহ একাধিক জেলার চাকরিপ্রার্থীদের। ইডির অনুমান, জেনেবুঝেই শান্তনুর প্রসঙ্গে আড়াল করতে চাইছেন কুন্তল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • RSS: ফের ঝটিকা সফরে রাজ্যে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত, যাবেন ইসকনে

    RSS: ফের ঝটিকা সফরে রাজ্যে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত, যাবেন ইসকনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একসপ্তাহের ভিতর ফের রাজ্যে সংঘ প্রধান মোহন ভাগবত। জানা যাচ্ছে গুয়াহাটি হয়ে নাগপুর ফেরার পথে কয়েকঘন্টার জন্য তিনি পা পশ্চিমবঙ্গে। ইসকন মন্দিরে এদিন পুজো দেওয়ার কথাও রয়েছে তাঁর। পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকেও বসতে পারেন বলে সূত্রের খবর রয়েছে। 

    আরও পড়ুন: বন্ধ একশো দিনের প্রকল্প, ফের ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে মৃত্যু ৩ পরিযায়ী শ্রমিকের

    কী কী কর্মসূচী রয়েছে তাঁর

    এদিন সকালে কলকাতা বিমানবন্দরে নামার কথা রয়েছে সঙ্ঘ প্রধানের। এরপরেই ইসকন মন্দিরে পুজো দেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর।
    প্রসঙ্গত, সাংগঠনিক বৈঠক ও নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত ‘নেতাজি লহ প্রণাম’ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গত ১৮ জানুয়ারি ছয়দিনের সফরে কলকাতায় এসেছিলেন সংঘ প্রধান মোহন ভাগবত। সঙ্ঘের কাজের পরিসর এবং ধরন নিয়ে সেদিন বক্তব্য রাখেন মোহন ভাগবত। নেতাজীর দেখানো পথেই সংঘ হাঁটছে সে কথাও সেদিন বলেন মোহন ভাগবত।

    আরও পড়ুন: গত ৬ মাসে রাজ্যের দিকে দিকে উদ্ধার বিপুল নগদ, দেখুন কবে, কোথায়

    সফরে হুগলিতে যাওয়ার পাশাপাশি কলকাতায় বিশিষ্টজনদের সঙ্গে বৈঠকেও বসেছিলেন। পাশাপাশি সংঘের দক্ষিণ, রাঢ় ও উত্তরবঙ্গের পদাধিকারী ও প্রচারকদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। ২৩ জানুয়ারি শহিদ মিনারে নেতাজির জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত প্রকাশ্য সমাবেশে যোগ দেওয়ার পরে শহর ত্যাগ করেছিলেন। কলকাতায় এসে তিনি বার্তা দিয়েছিলেন, ‘দেশের কথা ভুলে ব্যক্তি উন্নতির কথা ভাবলে সর্বনাশ।  নেতাজি স্বাধীনতার লড়াই লড়েছেন, কারণ দেশ পরাধীন ছিল। কিন্তু তার পাশাপাশি, তিনি মানুষ গড়ে গিয়েছেন। নিজের মতো সহযোগী গড়ে তুলেছেন। সংঘ তাই করে। স্বামী বিবেকানন্দ যা বলে গেছেন, তার প্রবাহমানতা নিয়েই আরএসএস চলছে।’

    আরও পড়ুন: মিড ডে মিলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এল কেন্দ্রীয় দল, আজ থেকেই শুরু পরিদর্শন

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

LinkedIn
Share