Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Recruitment Scam: চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নিয়ে গ্রেফতার সংস্কৃতের শিক্ষক

    Recruitment Scam: চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নিয়ে গ্রেফতার সংস্কৃতের শিক্ষক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি পেশায় স্কুল শিক্ষক (Teacher)। অন্য এক চাকরিপ্রার্থীকে স্কুলে (School) চাকরি দেওয়ার নাম করে ১৭ লক্ষ টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ (Recruitment Scam)। শুক্রবার শিলিগুড়ি থেকে ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ (Police)। ধৃতের নাম পঙ্কজ কুমার বর্মণ। তিনি শিলিগুড়ির পঙ্কজ রথখোলা বরদাকান্ত বিদ্যাপীঠ উচ্চ বিদ্যালয়ের সংস্কৃতের শিক্ষক।

    ‘প্রতারণা’…

    কোচবিহারে বাড়ি চাকরি প্রার্থী বাপ্পা মালাকারের। তাঁর অভিযোগ, আপার প্রাইমারিতে চাকরি করে দেওয়ার নাম করে বছর তিনেক আগে প্রায় ১৭ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন সন্তোষ বর্মণ। তিনি আমবাড়ি চিন্তামোহন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তার পর এতদিন কেটে গেলেও, চাকরি হয়নি সন্তোষের। ফেরত পাননি সন্তোষকে দেওয়া টাকাও। ৯ জানুয়ারি আমবাড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে সন্তোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। গ্রেফতার করা হয় সন্তোষকে। সন্তোষকে জেরা করে উঠে আসে পঙ্কজ কুমারের নাম। তার পরেই গ্রেফতার করা হয় পঙ্কজকে। পুলিশ জানতে পারে, পঙ্কজও ওই চক্রের (Recruitment Scam) সঙ্গে জড়িত। শিলিগুড়ির হাকিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা তিনি।

    বরদাকান্ত বিদ্যাপীঠ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিপ্লব সরকার বলেন, আমি আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও চিঠি পাইনি। স্কুলে এ নিয়ে কোনও আলোচনাও শুনিনি কখনও। তবে বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। তিনি বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে যেমন নির্দেশ আসবে, সেই মোতাবেক আমরা কাজ করব। পুলিশ তদন্ত করছে বলে জানিয়েছেন শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার অখিলেশ চতুর্বেদী।

    আরও পড়ুুন: অভিষেক থেকে ব্রাত্য অনেকের সঙ্গেই ছবি! বিএড কলেজ, ইংরেজি মাধ্যম স্কুল, কে এই কুন্তল?

    এই প্রথম নয়, তৃণমূলের শাসনকালে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে বারংবার। সেই সুযোগে চাকরি দেওয়ার নামে বহু চাকরি প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। যাঁরা টাকা নিয়েছেন, তাঁদের সিংহভাগই হয় শিক্ষক নেতাদের ঘনিষ্ঠ, নয় কোনও শিক্ষক। যার জেরে টাকা দিয়ে চাকরি ‘কিনতে’ গিয়ে (Recruitment Scam) ঠকেছেন বহু চাকরি প্রার্থী। তাঁদের মধ্যে অনেকেই টাকা আদায় করতে না পেরে দ্বারস্থ হচ্ছেন পুলিশের। অনেকে আবার লোকলজ্জার ভয়ে টাকা আদায়ের চেষ্টা করছেন ‘বাবা-বাছা’ করে। প্রতারণার এই জাল কতদূর ছড়ানো, তা জানতে সময় লাগবে বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Chinese New Year: কলকাতার বুকে একটুকরো চিন! চায়না টাউনে পালন চিনা নববর্ষ

    Chinese New Year: কলকাতার বুকে একটুকরো চিন! চায়না টাউনে পালন চিনা নববর্ষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতার মধ্যেও রয়েছে এক টুকরো চিন! চায়না টাউন বা ট্যাংরা। আর ঐতিহ্য মেনে সেখানে এবছরও পালিত হচ্ছে চিনা নববর্ষ (Chinese New Year)। আমরা যেমনভাবে নববর্ষ পালন করে থাকি ঠিক সে ভাবেই চিনারাও তাঁদের নববর্ষ পালন করে থাকেন। নতুন জামাকাপড় পরে চার্চে যান, মোমবাতি জ্বালান। ঘরে তৈরি হয় চিনা খাবার এবং বাঁশপাতায় জড়ানো চং, স্ট্রিট আর্ট, গান, ক্যালিগ্রাফি, হস্তশিল্প দিয়ে সাজিয়ে তোলেন এলাকা। নববর্ষের ঠিক আগের রাত থেকেই প্রস্তুতি চলে। এ বছর বাইশে জানুয়ারি চাইনিজ নিউ ইয়ার, মানে লুনার নিউ ইয়ার। অর্থাৎ চাইনিজ ক্যালেন্ডারে প্রথম দিন। সূর্য দক্ষিণায়নে যাওয়ার পরে প্রথম অমাবস্যা ছেড়ে দ্বিতীয় অমাবস্যার দিন থেকে শুরু হয় এই লুনার নিউ ইয়ার। ২০২৩ খরগোশের বছর মানে র‍্যাবিট ইয়ার। চাইনিজ মতে র‍্যাবিট হল সহিষ্ণুতা এবং সৌভাগ্যের প্রতীক।

    আরও পড়ুন: অভিষেক থেকে ব্রাত্য অনেকের সঙ্গেই ছবি! বিএড কলেজ, ইংরেজি মাধ্যম স্কুল, কে এই কুন্তল? 

    ১৯৬২-র ইন্দো-চিন যুদ্ধের পর কর্মসংস্থানের খোঁজে এ দেশে চলে আসেন বহু চিনা পরিবার (Chinese New Year)। সংখ্যাটা নেহাতই কম নয়। বেশ কয়েক হাজার। সেই সময় থেকে আজও কলকাতায় রয়ে গিয়েছেন তাঁরা ।

    চিনা কালী মন্দিরের দায়িত্বে থাকা চেন ইয়ে সেং সংবাদমাধ্যমকে জানান, এবছর লাল এবং হলুদ আলোতে সাজানো হবে চায়না টাউন। লাল রঙের বড় ব্যানারে লেখা হবে ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ (Chinese New Year)। আরও এক চিনা কলকাতার বাসিন্দা বলেন, “আমরা খুব খুশি। প্রায় দুবছর পর উৎসব পালিত হবে। এশিয়ার অন্যতম বড় উৎসব এটি।”

    চিনা বিশ্বাস 

    মূলত পক্ষকাল ধরে চিনারা নববর্ষ পালন করেন। চিনা নববর্ষের (Chinese New Year) বৈশিষ্ট্য , দিন ও বছর গণনা হয় সূর্য কেন্দ্রিক। কিন্তু মাস গণনা হয় চন্দ্রকে কেন্দ্র করে। চান্দ্র মাসে প্রথম দিন হয়  পূর্ণিমা। মাসগুলির প্রতীক হিসেবে থাকে টোটেম বিশ্বাস। খরগোশ, ড্রাগন, সাপ, ঘোড়া, বানর, বাঘ, মোরগ, কুকুর, শুয়োর, ইঁদুর , কাক, ভেড়া ইত্যাদি। এই বছরের প্রতীক খরগোশ। ফলে নতুন বছর চিহ্নিত হবে র‍্যাবিট মান্থ হিসেবে। ২০২২ এর প্রতীক ছিল বাঘ। আগামী বছরের প্রতীক ড্রাগন। চিনা নববর্ষ আসলে বসন্ত ঋতুর আবাহন উৎসবও বলা যেতে পারে। চিনা নববর্ষ প্রাচীনত্বের বিচারে প্রায় ৩৫০০ বছর আগের। প্রতীকগুলি আবার ফিরে ফিরে আসে পাঁচটি তত্ত্বের ভিত্তিতে। জল, সোনা, পৃথিবী, আগুন ও কাঠ। ২০১১ ছিল সোনা খরগোশ। এবার জল খরগোশ। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     
     
  • Bhangar: ভাঙড়ে শাসক-আইএসএফ সংঘর্ষ, ইটের ঘায়ে মাথা ফাটল তৃণমূল কর্মীর

    Bhangar: ভাঙড়ে শাসক-আইএসএফ সংঘর্ষ, ইটের ঘায়ে মাথা ফাটল তৃণমূল কর্মীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পতাকা টাঙানো নিয়ে তৃণমূল (TMC)-আইএসএফের (ISF) কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ। দু পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি হয়। তার জেরে জখম হয়েছেন দু পক্ষের কয়েকজন। ইটের ঘায়ে এক তৃণমূল কর্মীর মাথা ফেটেছে বলে অভিযোগ। সংঘর্ষ চলাকালীন আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় তৃণমূলের পার্টি অফিসে। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের (Bhangar) হাতিশালা এলাকায়। আইএসএফের অভিযোগের নিশানায় সেই আরাবুল ইসলাম ও তাঁর ছেলে হাকিমুল। ওই ঘটনায় পুলিশ দু পক্ষের চারজনকে আটক করেছে। এলাকার পরিস্থিতি থমথমে। ঘটনাস্থলে গিয়েছে কাশীপুর থানার পুলিশ।

    লড়াইয়ের নেপথ্যে…

    এলাকার রাশ কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে আইএসএফের লড়াই দীর্ঘদিনের। তৃণমূলের এই খাসতালুকে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে থাবা বসায় আইএসএফ। তিনি ছিলেন কংগ্রেস-সিপিএম-আইএসএফের জোট প্রার্থী। তৃণমূলকে হারিয়ে আইএসএফ জয়ী হওয়ার পর থেকেই মাঝে মধ্যেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে ভাঙড়।

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে আচমকাই সংঘর্ষ বাঁধে তৃণমূল এবং আইএসএফ কর্মীদের মধ্যে। আইএসএফ নেতা (Bhangar) আবু হোসেন মোল্লার অভিযোগ, ২১ জানুয়ারি দলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আমরা দলীয় পতাকা লাগাচ্ছিলাম। সেই সময় আরাবুল ইসলাম ও তাঁর ছেলে হাকিমুল ইসলাম বাইরে থেকে লোকজন নিয়ে এসে আমাদের মারধর করে। তিনি বলেন, পুলিশ এসে আমাদেরই দুজনকে ধরে নিয়ে গিয়েছে। ওরা লাঠি দিয়ে মেরেছে। আত্মরক্ষা করতে আমরা ওদের মেরেছি।

    আরও পড়ুুন: ভাটপাড়া পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নয়াবাজার থেকে ১৫০ কৌটো বোমা উদ্ধার হয়।

    ঘটনায় দায়ী আইএসএফ, বলছে তৃণমূল। হাকিমুল বলেন, আইএসএফের কয়েক জন নেতা দলীয় পতাকা টাঙাচ্ছিল। সেই সময় তারা আমাদের এক সমর্থকের বাড়িতে তাদের দলীয় পতাকা টাঙায়। তারা আরাবুল ইসলামের নামে গালাগালি দেয়। তার প্রতিবাদ করায় ওরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। ইটবৃষ্টি করে। আমাদের কর্মীদের বন্দুকের বাঁট, ইট, রড দিয়েও মারধর করে।

    বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাকসুদ হাসান বলেন, ভাঙড়ে (Bhangar) সংঘর্ষের ঘটনায় দু পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ওই ঘটনায় দু পক্ষের কয়েকজন সমর্থককে আটক করা হয়েছে। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে ভাঙড়ের এই ঘটনায় চিন্তিত রাজনৈতিক মহল। তাদের আশঙ্কা, ভোট যত এগিয়ে আসবে, বিরোধীদের দমাতে ততই ‘ব্যবস্থা’ নেবে রাজ্যের শাসক দল। তার ফলে হবে সংঘর্ষ। ঘটবে রক্তপাতের মতো ঘটনাও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

  • Rajasekhar Mantha: “এভাবে চলতে পারে না”, মামলায় সরকারি আইনজীবীদের অনুপস্থিতি নিয়ে উষ্মা বিচারপতি মান্থার

    Rajasekhar Mantha: “এভাবে চলতে পারে না”, মামলায় সরকারি আইনজীবীদের অনুপস্থিতি নিয়ে উষ্মা বিচারপতি মান্থার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে (Justice Rajashekhar Mantha) ফের গরহাজির সরকারি আইনজীবীরা। আইনজীবীদের একাংশ এখনও মান্থার এজলাস বয়কট চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠছে। এই পরিস্থিতিতে এবার সরব হলেন বিচারপতি মান্থা। কলকাতা হাইকোর্টে সরকারি আইনজীবীদের অনুপস্থিতি নিয়ে এবারে আশঙ্কা প্রকাশ করে বিচারপতি মান্থা বলেন, “এ ভাবে চলতে পারে না! এটা সরকারের জন্যই ক্ষতি! সাংবিধানিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। সমাজের জন্য এটা সুস্থ ব্যবস্থা নয়।”

    হাইকোর্টে গরহাজির সরকারি আইনজীবীরা

    গত ৯ জানুয়ারি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছিলেন আইনজীবীদের একাংশ। বিচারপতির এজলাস বয়কট করা হয়েছিল। এর পর সেই অবস্থান বিক্ষোভ-বয়কট সরিয়ে নেওয়া হলেও ফের অভিযোগ উঠেছে যে, এখনও কিছু আইনজীবী এই বয়কট চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে সওয়ালে অংশ নিচ্ছেন না সরকারি আইনজীবীরা। এই অবস্থায় শুক্রবার একটি আদালত অবমাননার কেসে কলকাতা পুলিশের এক ডিসির হাজিরা মামলায় আসতে বাধ্য হলেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। আর এতেই বিচার ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।

    আরও পড়ুন:‘‘আপনার ছেলে হলে…’’, ছাত্র-মৃত্যু মামলায় খড়্গপুর আইআইটির ডিরেক্টরকে তিরস্কার বিচারপতির

    সরকারি আইনজীবীদের মামলায় অংশ নেওয়ার আর্জি জানালেন বিচারপতি ও অ্যাডভোকেট জেনারেল

    বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাসে মামলা লড়তে রাজি হচ্ছেন না কোনও সরকারি আইনজীবী। কিন্তু আজই আবার কলকাতা পুলিশের ডিসির হাজিরা মামলা রয়েছে রাজশেখর মান্থার এজলাসেই। শেষে সরকারি আইনজীবীদের বিরোধিতার জেরে এজলাসে মামলা লড়তে এলেন অ্যাডভোকেট জেনারেল। এর পরেই বিচারপতি মান্থা মন্তব্য করেন, “যে ভাবে সরকারি আইনজীবীরা হাজিরা এড়াচ্ছেন, আদালতের কাছে এটা চিন্তার। এজন্য পুলিশের ক্ষতি হচ্ছে। পুলিশ অফিসাররা আইনজীবীর অভাবে এখানে দাঁড়িয়ে নিজেদের বক্তব্য বলছেন। এভাবে চললে প্রশাসনের ক্ষতি।” এর পাশাপাশি এদিন তিনি আইনজীবীদের মামলায় অংশ নেওয়ার জন্য আবেদনও করেছেন।

    সেই সঙ্গে আইনজীবীদের এজলাসে এসে মামলা লড়ার অনুরোধ জানালেন অ্যাডভোকেট জেনারেলও। তিনি বলেন, “মামলায় অংশ নিন, আমার সমর্থন আছে। প্যানেল থেকে নাম বাদ গেলে কিছু করতে পারব না। আমি নিজেও মামলায় অংশ নিয়েছি।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Kharagpur IIT: ‘‘আপনার ছেলে হলে…’’, ছাত্র-মৃত্যু মামলায় খড়্গপুর আইআইটির ডিরেক্টরকে তিরস্কার বিচারপতির

    Kharagpur IIT: ‘‘আপনার ছেলে হলে…’’, ছাত্র-মৃত্যু মামলায় খড়্গপুর আইআইটির ডিরেক্টরকে তিরস্কার বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খড়্গপুর আইআইটি’র ছাত্রের রহস্যমৃত্যুতে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ নিয়ে ডিরেক্টরের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট। এক জন মেধাবী ছাত্রের মৃত্যুকে কর্তৃপক্ষ গুরুত্ব দিতে চাইছেন না, শুক্রবার এমনই পর্যবেক্ষণ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার। 

    আদালতের নির্দেশ মতো আগামী ২৪ জানুয়ারি খড়্গপুর আইআইটির ডিরেক্টর ভি কে তিওয়ারির আদালতে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই দিন তিনি টোকিও যাচ্ছেন তাই হাজিরা দিতে পারবেন না বলে জানান তিওয়ারি। বিষয়টি আদালতের নজরে নিয়ে আসা হয়। এর পরই বৃহস্পতিবার তিওয়ারির হাজিরার দিন নির্ধারিত করা হয়। শুক্রবার হাই কোর্টে হাজিরা দেন ডিরেক্টর। এদিন বিচারপতি মান্থা তাঁকে ভর্ৎসনা করে বলেন,‘‘আদালতের নির্দেশের পরও তাঁরা (আইআইটি কর্তৃপক্ষ) উদাসীন। এটা উচিত নয়। কোনটা বেশি জরুরি? আদালতের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া নাকি টোকিও যাওয়া? আপনার বাড়িতে ছেলে মেয়ে নেই ? তাদের সঙ্গে এই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হলে কেমন লাগবে ?’’

    আদালতে সওয়াল-জবাব

    বিচারপতি মান্থা আরও বলেন, “প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে বহু মেধাবী ছাত্ররা আইআইটি-তে পড়তে আসে, তাঁরা সুযোগ পেলে দেশ এবং দুনিয়ার উপকারে লাগবে। তাঁরা এভাবে বাধাপ্রাপ্ত হলে বিরাট ক্ষতি হবে।  র‍্যাগিং একটা জঘন্যতম ঘটনা। এটা না আটকানো গেলে ভবিষ্যতে অনেক বড় সমস্যা হবে।” আইআইটি-র ডিরেক্টরের আইনজীবী অনিন্দ্য মিত্র জানান, ওই ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় কর্তৃপক্ষ অনুসন্ধান করছে। এর জন্য অনুসন্ধান কমিটি গড়া (ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি) হয়েছে। এর পর ডিসিপ্লিনারি কমিটি রিপোর্ট দেয়। তার ভিত্তিতে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গড়া হয়েছে। এ কথা শোনার পর ডিরেক্টর তিওয়ারিকে উদ্দেশ্য করে বিচারপতি আরও বলেন,  “এখানে মামলাকারিরা গুয়াহাটির প্রত্যন্ত অঞ্চলে থাকেন, সেখান থেকে আসার অর্থ পর্যন্ত নেই। আর আপনি বিষয়টাকে  হালকা ভাবে নিচ্ছেন। আদালতের প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেন না?”

    আরও পড়ুন: সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের পর এবারে তৃণমূলের যুবনেতা কুন্তলের জোড়া ফ্ল্যাটে ইডির হানা!

    গত ১৪ অক্টোবর খড়্গপুর আইআইটির হস্টেলের ঘর থেকে উদ্ধার করা হয় অসমের বাসিন্দা ফয়জান আহমেদের ঝুলন্ত দেহ। বিটেক মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া ছিলেন তিনি। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, আত্মহত্যা নয়, তাঁকে খুন করা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, র‍্যাগিংয়ের শিকার হয়েছেন ওই ছাত্র। শুক্রবার ডিরেক্টর যে রিপোর্ট জমা দেন তার ভিত্তিতে নিজেদের বক্তব্য জানাতে মৃত ছাত্রের পরিবারকে সুযোগ দেয় আদালত। এই মামলায় পুলিশকে বিচারপতি মান্থার নির্দেশ, ‘‘আপনাদের রিপোর্ট দিতে কত দেরি হবে? ১৫-২০ দিন সময় দেওয়া যাবে না, অনেক দেরি হয়ে যাবে। দয়া করে কোনও পক্ষ নেবেন না। আগামী দিনে কেস ডায়েরি নিয়ে আসবেন। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • SSC Scam: সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের পর এবারে তৃণমূলের যুবনেতা কুন্তলের জোড়া ফ্ল্যাটে ইডির হানা!

    SSC Scam: সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের পর এবারে তৃণমূলের যুবনেতা কুন্তলের জোড়া ফ্ল্যাটে ইডির হানা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট কর্তারা হানা দিলেন হুগলির তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষের ফ্ল্যাটে। আজ, শুক্রবার সকাল থেকে ইডি আধিকারিকরা দু’টি দলে ভাগ হয়ে নিউটাউনে কুন্তলের দু’টি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইয়ের (CBI) জিজ্ঞাসাবাদের পর এবারে ইডির হানা যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

    কুন্তল ঘোষের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ?

    নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ‘ঘনিষ্ঠ’ তাপস মণ্ডলকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আর এর পরেই উঠে আসে তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষের নাম। তাপস মণ্ডল টাকা নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন কুন্তলের বিরুদ্ধে। সিবিআইয়ের দাবি, তাপস তাঁদের জানিয়েছেন, বেআইনি শিক্ষক নিয়োগের ১৯ কোটি টাকা কুন্তলের কাছে পৌঁছেছে। তাপসের দাবি ছিল, ৩২৫ জন শিক্ষক পদপ্রার্থীর কাছ থেকে প্রায় সাড়ে ১৯ কোটি টাকা নিয়েছেন কুন্তল। এই সংক্রান্ত নথিও তাঁর কাছে রয়েছে বলে দাবি করেন। তিনি আরও দাবি করেন যে, মোট ২৬০০ চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে নিয়েছেন কুন্তল।

    আরও পড়ুন: সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন! পিছিয়ে গেল মাধ্যমিকের ইতিহাস পরীক্ষা

    আর এর পরেই নিজাম প্যালেসে তলব করা হয়েছিল তাঁকে। গত বুধবার বিকেল ৩টের পর নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেন তৃণমূলের যুবনেতা। এক ঘণ্টা থাকার পর বেরিয়ে যান। বুধবার দুপুরে নিজাম প্যালেসে এসেছিলেন তাপসের এক প্রতিনিধিও। বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও নিজাম প্যালেসে যান তৃণমূল নেতা। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিলেন কুন্তল। তিনি বলেছিলেন, “আমি যদি টাকা নিতাম, সিবিআই কি এত সহজে আমাকে ছেড়ে দিত?”

    ইডির হানা কুন্তলের ফ্ল্যাটে

    নিজাম প্যালেসে জিজ্ঞাসাবাদের পরেই আজ সকাল সকাল তাঁর ফ্ল্যাটে হাজির ইডির আধিকারিকরা। নিউটাউনের চিনার পার্ক এলাকায় বিলাসবহুল আবাসনে জোড়া ফ্ল্যাট রয়েছে যুবনেতার নামে। সেই ফ্ল্যাটগুলিতেই চলছে তল্লাশি। ইডি সূত্রে খবর, শুক্রবার সকাল থেকে ইডি আধিকারিকরা দু’টি দলে ভাগ হয়ে কুন্তলের দু’টি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালাচ্ছে। ফলে আজ তল্লাশির পর কোনও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বা নথি পাওয়া যায় কিনা, তা নিয়েই জল্পনা বাড়ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Sukanta Majumdar: মোদিজিকে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্র উপহার দেব! নাড্ডার সামনে প্রতিশ্রুতি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: মোদিজিকে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্র উপহার দেব! নাড্ডার সামনে প্রতিশ্রুতি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কৃষ্ণনগর লোকসভা এবার মোদিকে উপহার দেব।” বেথুয়াডহরির সভায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে (JP Nadda) এমনই প্রতিশ্রুতি দিলেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিন নদিয়ার মানুষকে একজোট হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে সুকান্ত বলেন, “বদলা নিতে হবে। এই বার ২৫ পার কৃষ্ণনগর দিয়ে শুরু হবে। আমরা কথা দিয়েছি, কৃষ্ণনগর লোকসভা এবার মোদিজিকে উপহার দেব। ২৪-এ ধামাকা দেব।”

    প্রাক্তন হবেন মহুয়া

    নদিয়া দক্ষিণ বিজেপির শক্ত ঘাঁটি, এবার নদিয়া উত্তরেও দাগ কাটতে চায় বিজেপি। তাই কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে হারাতেই এককাট্টা নড্ডা, শুভেন্দু, সুকান্তরা। কৃষ্ণনগরে শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দলের সমস্যা দীর্ঘদিনের। দলের অন্দরেই কান পাতলে শোনা যায়, বিধায়ক-সাংসদে রেষারেষি, বিধায়কে-বিধায়কে রেষারেষি, জেলা কমিটির সঙ্গে সাংসদ-বিধায়কদের মনোমালিন্যর অভিযোগ। গত নভেম্বরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নদিয়ায় গিয়েছিলেন। সেখান থেকে তিনিও এ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন। এই দলাদলিকে হাতিয়ার করেই ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে বাজিমাত করতে চায় গেরুয়া শিবির। এদিন বেথুয়াডহরিতে  বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‌কৃষ্ণনগরের সাংসদ এলাকার সমস্যার কথা সংসদে বলেন না। রাশিয়া, ইউক্রেন, আমেরিকার কথা বলেন। তাই ২০২৪ সালে সুদে আসলে সেই হিসাব নেবেন এলাকার মানুষ। আর তাঁকে প্রাক্তন করে দেওয়া হবে।’‌

    আরও পড়ুন: ‘‘দিদি এত রাগ করো না, স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়’’, মমতাকে কটাক্ষ নাড্ডার

    বাংলা থেকে ২৫ টি আসন জয়ের টার্গেট নিয়েছে বিজেপি। আর তা বাস্তব করতে কার্যত ঝাঁপিয়ে পড়েছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। সেই লক্ষ্যেই গত লোকসভায় হেরে যাওয়া ২৪টি আসনে পালা করে সভা করার কথা রয়েছে অমিত শাহ এবং জেপি নড্ডার। তারই শুরু হল বেথুয়াডহরি দিয়ে। এদিনের সভায় বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা বলেন, “বাংলার বর্তমান পরিস্থিতি দেখে তাঁর খারপ লাগে। এর পরিবর্তন প্রয়োজন।” তাঁকে বাংলায় পালা বদলের প্রতিশ্রুতিও দেন রাজ্য বিজেপি সাভাপতি সুকান্ত মজুমদার।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • SSC Scam: খারিজ জামিন-সওয়াল, ফের ১৪ দিন জেল হেফাজতে পার্থ, সুবীরেশ সহ ৭

    SSC Scam: খারিজ জামিন-সওয়াল, ফের ১৪ দিন জেল হেফাজতে পার্থ, সুবীরেশ সহ ৭

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জামিনের অনুরোধ, ধর্না দেওয়ার কথা কোনও কিছুই কাজে দিল না আজ। এসএসসি দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ ৭ জনেরই ফের জেল হেফাজত। বৃহস্পতিবার আলিপুর আদালতের বিচারক এমনই রায় দিলেন। এদিন জামিনের আর্জি করেছিলেন পার্থ চ্যাটার্জি। কিন্তু আজ ফের আর্জি খারিজ করা হয়। পার্থর পাশাপাশি সুবীরেশ, কল্যাণময়দেরও জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পার্থ, সুবীরেশদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি। 

    পার্থর আইনজীবী জামিনের জন্য ধর্না দেওয়ার প্রসঙ্গ এনে বললেন…

    বর্তমানে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে বন্দি পার্থ। এদিন তাঁকে জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে আলিপুরে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। জামিনের আবেদন জানিয়ে আদালতে সওয়াল করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী। এদিনের শুনানিতে এজলাসে শোরগোল ফেলা মন্তব্য করে বসেন পার্থবাবুর আইনজীবী সেলিম রেহমান। তিনি বলেন, “একটা টাকাও নেননি তিনি, তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয়নি। কোথায় মানি ট্রেইল? কে টাকা দিয়েছে? অযোগ্য প্রার্থীদের কথা বলা হচ্ছে, তাতে তাঁর কী ভূমিকা? তদন্তে কোনও অগ্রগতিও নেই।” তিনি আরও বলেন, “কেস ডায়েরিতে সিক্রেট তথ্য আছে বলে সিবিআই আটকে রাখছে। আর কতদিন এই ‘বৃহত্তর ষড়যন্ত্র’ বলে সিবিআই সময় পাবে? আইনের কথা বলছে না। এবার তো ‘জলি এলএবি’ সিনেমার মতো ধর্না দিয়ে বসা ছাড়া উপায় থাকবে না। জেল থেকে বেরিয়ে তো শিক্ষা দফতরে চলে যেতে পারবেন না!” সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে সেলিম এ-ও দাবি করেন, কে যোগ্য আর কে অযোগ্য, তা দেখার দায়িত্ব দফতরের ছিল, তাঁর মক্কেলের না। সিবিআই পুরো দোষ তাঁর মক্কেলের উপর ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে বলেও দাবি করেন তিনি।

    আরও পড়ুন: দেগঙ্গায় ‘দিদির দূত’ সুজিত বসু! মন্ত্রীর সামনেই মারামারি কর্মীদের, প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব

    পার্থ সহ আরও ৭ জনের জেল হেফাজতের নির্দেশ

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এর আগে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, এসএসসি-র প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা, প্রাক্তন সচিব অশোককুমার সাহা, এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় ও দুই মিডলম্যান প্রদীপ সিংহ এবং প্রসন্ন রায়কে ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল আলিপুর আদালত। আজ তাঁদের আদালতে তোলা হলে এস পি সিনহার আইনজীবী সঞ্জয় দাশগুপ্ত জামিনের আবেদন করে সওয়াল করেন, “তদন্তে গতি নেই। অভিযুক্তকে বার বার প্রভাবশালী বলা হচ্ছে। অথচ তিনি প্রভাবশালী নন।” ফলে পার্থর পাশাপাশি এঁদেরও জামিনের আর্জি খারিজ করে আরও ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। 

     

  • Ambikesh Mahapatra: ১১ বছর পর কার্টুনকাণ্ড থেকে নিষ্কৃতি! ‘‘গণতন্ত্রপ্রিয় নাগরিকের জয়’’, প্রতিক্রিয়া অম্বিকেশ মহাপাত্রর

    Ambikesh Mahapatra: ১১ বছর পর কার্টুনকাণ্ড থেকে নিষ্কৃতি! ‘‘গণতন্ত্রপ্রিয় নাগরিকের জয়’’, প্রতিক্রিয়া অম্বিকেশ মহাপাত্রর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় ১১ বছরের আইনি লড়াইয়ের পর কার্টুনকাণ্ড থেকে নিষ্কৃতি পেলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নের অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র।  শুক্রবার ক্রবার রাতে আদালতের এক নির্দেশনামা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে একথা জানিয়েছেন অধ্যাপক নিজে। আদালতের এই নির্দেশকে নাগরিকের বাকস্বাধীনতার জয় বলে দাবি করেছেন তিনি। 

    কী ঘটেছিল

    ২০১২ সালে রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদীকে সরিয়ে মুকুল রায়কে তাঁর জায়গায় বসানোর পরে সত্যজিতের ফেলুদা-কাহিনি ‘সোনার কেল্লা’র সংলাপ বসানো একটি মিম শেয়ার করেন অম্বিকেশ। ফেসবুকে ব্যঙ্গচিত্র বা মিম শেয়ার করার অভিযোগে ২০১২ সালে‌র ১২ এপ্রিল অম্বিকেশকে গ্রেফতার করে পূর্ব যাদবপুর থানার পুলিশ। পরে জামিন পান। কিন্তু চার্জশিট দিয়ে মামলা চালিয়ে যাচ্ছিল পুলিশ। ২০২১-এর সেপ্টেম্বরে আলিপুরের মুখ্য বিচারবিভাগীয় বিচারকের কাছে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন অম্বিকেশ। এর পরে আলিপুরের অতিরিক্ত দায়রা বিচারকের এজলাসে আবেদনের শুনানি হয়।  অম্বিকেশ এ দিন ‘সোনার কেল্লা’র সংলাপের ঢঙেই বলছেন, ‘‘এত দিনে মামলাটা ‘ভ্যানিশ’ হল!’’সঙ্গে আগে যে তৃণমূল নেতারা আয়োজন করে তাঁকে মারধর করেছিলেন তাঁদের গ্রেফতারি দাবি করেছেন অধ্যাপক।

    আরও পড়ুন: সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের পর এবারে তৃণমূলের যুবনেতা কুন্তলের জোড়া ফ্ল্যাটে ইডির হানা!

    অম্বিকেশের দাবি 

    আইনিভাবে মামলা প্রত্যাহারের পর এদিন অম্বিকেশবাবু বলেন, এই মামলার কোনও আইনি সারবত্তা ছিল না। রাজ্য সরকার তার পুলিশ ও গুন্ডাদের দিয়ে মামলাটাকে জীবিত রেখেছিলেন। অম্বিকেশের কথায়, ‘‘একটি কার্টুন শেয়ার করার জন্য আমি পাড়ায় শাসক দলের কর্মীদের নিগ্রহ, হুমকি, পুলিশি জুলুমের শিকার হয়েছি। লকআপে রাত কাটাতে হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর সচিবালয়, পুলিশ থেকে নিম্ন আদালতকে কাজে লাগিয়ে এত দিন অনর্থক হেনস্থা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এঁদের বিরুদ্ধে আমার জয় মানে গণতন্ত্রপ্রিয় নাগরিকেরই জয়!’’তিনি দাবি করেন, মমতা ক্ষমতায় আসার পর থেকে তাঁর স্বৈরতান্ত্রিক চেহারাটা বেরিয়ে পড়েছিল। কেউ তার সমালোচনা করতে পারবে না, ব্যঙ্গ করতে পারবে না। করলে হামলা করবে। এখনো বিভিন্ন পোর্টেলের লোকজনকে ডেকে ধমকাচ্ছে, তৃণমূল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • West Bengal Weather: আজ হঠাৎ পারদ পতন! তবে সরস্বতী পুজো কাটবে গরমেই! কী বলছেন আবহবিদরা?

    West Bengal Weather: আজ হঠাৎ পারদ পতন! তবে সরস্বতী পুজো কাটবে গরমেই! কী বলছেন আবহবিদরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিগত কয়েকদিন পারদ ঊর্ধ্বমুখী হলেও আজ একধাক্কায় অনেকটাই পারদ পতন হল। বৃহস্পতিবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার সকালে তা প্রায় ৩ ডিগ্রি কমে হয়েছে ১৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে এই শীতের আমেজ বেশিদিন স্থায়ী হবে না বলে জানিয়ে দিল আবহাওয়া দফতর। বিশেষ করে নেতাজির জন্মদিন, প্রজাতন্ত্র দিবস ও সরস্বতী পুজোতেও থাকবে না শীতের আমেজ। আবহাওয়া দফতরের অনুমান, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের চেয়েও বেশি হতে পারে৷ এই পারদের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার কারণ পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ও ঘূর্ণাবর্ত।

    কলকাতার আবহাওয়া

    শুক্রবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কম বলেও হাওয়া অফিস জানিয়েছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কম। সকালের দিকে কলকাতার আকাশ ঘন কুয়াশার চাদরে মোড়া থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ধীরে ধীরে আকাশ পরিষ্কার হবে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস নেই বলেও আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর।

    রাজ্য থেকে শীত বিদায়ের পালা শুরু!

    আজ তাপমাত্রা কমলেও আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামীকাল, শনিবার থেকেই ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বাড়বে। ২৩ শে জানুয়ারি থেকে ২৬ শে জানুয়ারির মধ্যে বাড়তে বাড়তে কলকাতার পারদ ২০ ডিগ্রি ছুঁতে পারে বলে আশঙ্কা। এ বছরই উষ্ণতম বড়দিন ও বর্ষবরণের সাক্ষী থেকেছে শহরবাসী। আবার আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে যে, আসন্ন উৎসবের দিনগুলোতেও শীত থাকবে না। অর্থাৎ ২৩ জানুয়ারি নেতাজির জন্মদিন ও ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস গরমে কাটবে। গরমেই কাটবে সরস্বতী পুজোও।  

    আরও পড়ুন: সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের পর এবারে তৃণমূলের যুবনেতা কুন্তলের জোড়া ফ্ল্যাটে ইডির হানা!

    দক্ষিণবঙ্গের জন্য দেওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। আগামী চারদিনে রাতের তাপমাত্রার পারদ ২-৪ ডিগ্রি চড়বে৷ উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে দার্জিলিংয়ে আগামী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে৷ বাকি অংশে আবহাওয়া শুষ্ক৷ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতে ঘন কুয়াশা থাকবে। তবে উত্তরবঙ্গে ঠান্ডায় সে রকম কোনও হেরফের হবে না বলেও আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে।

    শীতের পথে কাঁটা পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ও বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত

    আজ ২০ জানুয়ারি থেকে উত্তর-পশ্চিম ভারতে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা প্রবেশ করছে৷ পাশাপাশি বঙ্গোপসাগরে তৈরি হচ্ছে বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত৷ ঝঞ্ঝা এবং ঘূর্ণাবর্তের জোড়া ধাক্কায় উত্তুরে হাওয়া বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে৷ ঠান্ডা বাতাসের বদলে জলীয় বাষ্প প্রবেশ করছে৷ তাই তাপমাত্রা বাড়তে পারে৷ ফলে শীতের আয়ু বেশিদিন না থাকারই ইঙ্গিত দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

LinkedIn
Share