Charles Sobhraj: জেলমুক্ত ‘বিকিনি কিলার’! ১৯ বছর পর নেপালের জেল থেকে বেরলেন চার্লস শোভরাজ

Charles Sobhraj: কাঠমান্ডুর জেল থেকে পুলিশের গাড়িতে করে কোথায় নিয়ে যাওয়া হল তাঁকে?
চার্লস_শোভরাজ
চার্লস_শোভরাজ

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ ১৯ বছর পর মুক্ত ‘বিকিনি কিলার’ চার্লস শোভরাজ (Charles Sobhraj)। নেপালের সুপ্রিম কোর্ট বুধবার তাঁর মুক্তির আবেদন মঞ্জুর করেছে। আর আজ, দেশটির সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই মুক্তি দিল একাধিক খুন, ধর্ষণ, লুটের ঘটনায় জেলখাটা ৭৮ বছরের এই কুখ্যাত ফরাসি নাগরিককে। ১৫ দিনের মধ্যেই তাঁকে দেশ থেকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

জেলমুক্ত ‘বিকিনি কিলার’

কিছুদিন আগেই নেপালের সুপ্রিম কোর্টের কাছে মুক্তির জন্য আবেদন করেছিলেন চার্লস শোভরাজ (Charles Sobhraj)। সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে বিচারপতি স্বপ্না প্রধান মাল্লা ও বিচারপতি তিল প্রশাস শ্রেষ্ঠার ডিভিশন বেঞ্চ। বয়স জনিত কারণেই এই ফরাসি সিরিয়াল কিলারের মুক্তির ঘোষণা করেছে নেপাল সুপ্রিম কোর্ট, সূত্রের খবর।

আজ, নেপালের এক সংবাদমাধ্যমে জানা যায়, আজ শোভরাজ কাঠমান্ডু জেলের বাইরে বেরিয়ে পুলিশের গাড়িতে ওঠেন। গাড়িতে করে তাঁকে অজ্ঞাত গন্তব্যে নিয়ে যাওয়া হয়। সূত্রের খবর, শোভরাজের হৃদযন্ত্রের সমস্যা থাকায় এরপর তাঁকে গঙ্গালাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে নেপালেই তাঁর অস্ত্রপচার হবে কি না, বা কবে শোভরাজ নেপাল ছেড়ে যাবেন, তা নিয়ে এখনও নির্দিষ্ট জবাব মেলেনি। এছাড়াও জানা গিয়েছে, বর্তমানে তাঁর পাসপোর্ট ও ভিসা পাওয়ার প্রক্রিয়ার চলছে। তাঁর আসল পাসপোর্ট শনাক্ত করার পরই ভিসা প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে ফরাসি দূতাবাস।

আরও পড়ুন: মুক্তি পেতে চলেছেন 'বিকিনি কিলার', জন্মসূত্রে ভারতীয় চার্লস শোভরাজ

কী অভিযোগ ছিল চার্লসের বিরুদ্ধে?

'বিকিনি কিলার' ছাড়াও শোভরাজ (Charles Sobhraj) ‘দ্য স্প্লিটিং কিলার’ এবং ‘দ্য সারপেন্ট’ নামেও পরিচিত। দিল্লিতে ৩ পর্যটককে বিষ খাওয়ানোর দায়ে তিহার জেলেও দিন কেটেছে শোভরাজের। ১৯৮৬ সালে তিহার থেকেও পালাতে সক্ষম হয়েছিল চার্লস শোভরাজ। পরে অবশ্য গোয়া থেকে ফের তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ১৯৯৭ সালে ভারত থেকে মুক্তি পেয়ে ফ্রান্সে গিয়েছিল শোভরাজ। পরে সেখান থেকে ২০০৩ সালে নেপালে ফিরলে তাঁকে ফের গ্রেফতার করা হয়েছিল। ১৯৭৫ সালে কাঠমান্ডুতে দুই পর্যটককে খুনের মামলায় শোভরাজকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এছাড়াও সাত-আটের দশকের গোড়ায় তাইল্যান্ড-সহ বিভিন্ন দেশে মহিলা পর্যটকদের মাদক খাইয়ে খুন করার অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। পুলিশের দাবি, জেরায় শোভরাজ ১২ জনকে খুনের কথাও স্বীকার করেন। যদিও দাবি, অন্তত ২০ জনের খুনে হাত রয়েছে তাঁর। কিন্তু পরে তিনি মুক্তির আবেদন করায় তা মঞ্জুর করে নেয় নেপালের সুপ্রিম কোর্ট। ফলে তিনি এখন মুক্ত।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles