Cyber Attack: দেশের ১২ হাজার সরকারি ওয়েবসাইটে সাইবার হানার আশঙ্কা! সতকর্তা জারি কেন্দ্রের

cyber_attack

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সভ্যতার অগ্রগতির সঙ্গে পাল্টাচ্ছে অপরাধেরও ধরন। সাইবার ক্রাইম, হ্যাকারদের আনাগোনাও বেড়ে চলেছে। চাঞ্চল্যকর খবর, হ্যাকারদের লক্ষ্যে ভারতের ১২ হাজার সরকারি ওয়েবসাইট! যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গেছে রাজধানী নয়া দিল্লিতে। রাজধানীর অন্দরের খবর, কেন্দ্র সরকার এই হানার ঘটনা আঁচ করে আগেভাগেই সাইবার সিকিউরিটি অ্যালার্ট জারি করেছে।

সাইবার অ্যাটাকের পরিকল্পনা

কীভাবে ইন্দোনেশিয়ার একটি গ্রুপ হামলার ছক কষছে তারও আভাস দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে তারা ‘ডেনিয়েল অফ সার্ভিস’ (Dos) লঞ্চ করার পরিকল্পনা করছে। যার ফলে অনেকগুলি কম্পিউটার বা ডিভাইস থেকে একযোগে এত ডেটা পাঠাবে যাতে গোটা সিস্টেম স্তব্ধ হয়ে যায়।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, হ্যাকারদের গ্রুপটি একটি তালিকাও প্রকাশ করেছে, যেসব সরকারি ওয়েবসাইটে তারা হামলা করার ছক কষেছে। এই জন্য সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশে সতর্কতা অবলম্বন করার বার্তা দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, যেকোনও অজানা ইমেল বা লিঙ্ক যাতে কেউ ক্লিক না করেন সেটা সতর্ক করা হয়েছে। সমস্ত সফ্টওয়্যার আপ-টু-ডেট রাখতেও বলা হয়েছে। এছাড়াও সম্প্রতি ওয়েবসাইট সুরক্ষিত রাখার নির্দেশিকাও জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেখানে কীভাবে এইসব আক্রমণ (Cyber Attack) প্রতিহত করা যায় তার পুঙ্খানুপুঙ্খ ব্যাখ্যা রয়েছে।

কী বলছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, ইন্দোনেশিয়ার একটি হ্যাকার গ্রুপ রয়েছে এই সাইবার হানার (Cyber Attack) পিছনে। যাদের নিশানায় রয়েছে ভারতের বিভিন্ন সরকারি ওয়েসাইট। আরও জানা গেছে, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন ওয়েবসাইটে আক্রমণ (Cyber Attack) করতে পারে এই দল। তাই সরকারি কর্মীদের এখন থেকেই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে অমিত শাহের মন্ত্রক থেকে।

কী বলছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা

সাইবার বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের হামলার (Cyber Attack) মূল লক্ষ্য দু’টি— প্রথমত, সফ্‌টওয়্যার ভাইরাস ব্যবহার করে প্রতিরক্ষা-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গোপন তথ্য হাতিয়ে নেওয়া। দ্বিতীয়ত, নানা ভুল তথ্য ঢুকিয়ে দিয়ে পরিষেবা ক্ষেত্রের ওয়েবসাইটগুলিকে বিকল করে দেওয়া। প্রসঙ্গত, অতিমারি পরিস্থিতিতেও দেশের স্বাস্থ্য সংস্থাগুলির তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থাকে ‘ডিজিটাল হস্টেজ’ বানানোর লক্ষ্যে হামলা চালিয়েছিল পাক এবং চিনা হ্যাকারেরা। উদ্দেশ্য ছিল, যাতে প্রয়োজনের সময়ে রোগীর চিকিৎসার তথ্য না-মেলে, প্রয়োজনীয় পরীক্ষার ফাইল পাওয়া না-যায়। অর্থাৎ একে ভার্চুয়াল যুদ্ধ বলা যেতেই পারে।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share