Assam: মাদ্রাসাগুলি ছিল আল-কায়দার অফিস, বিস্ফোরক হিমন্ত! জানেন কী বললেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী?

Himanta-Biswa-Sarma

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভেঙে ফেলা মাদ্রাসাগুলি ছিল আল-কায়দার (Al-Qaeda) এক একটা অফিস। অভিমত  অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার (Himanta Biswa Sarma)। বুধবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “সরকারের তরফে দুই থেকে তিনটি মাদ্রাসা ভেঙে ফেলা হয়েছিল। এরপর সাধারণ মানুষ মাদ্রাসা ভেঙে দেয়। এমনকি মুসলিম জনগণরাই এই কাজে এগিয়ে এসেছে। তারা বলেছে তারা এমন মাদ্রাসা চায় না যেখানে আল কায়দা তার কাজ চালায়। আল কায়দা মাদ্রাসার এসল উদ্দেশ্য নষ্ট করে।”

গত কয়েকমাসে অসমে (Assam) একধিক আলকায়দার জঙ্গি ধরা পড়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। এমনকি তাঁর রাজ্য আল কায়দার ঘাঁটি হয়ে উঠছে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের অভিযোগে রাজ্যে ধ্বংস করা হয়েছে চারটি মাদ্রাসা। এগুলি বাস্তবে ‘আল-কায়েদার অফিস’ছিল বলে দাবি হিমন্তের। তিনি আরও বলেন, “মাদ্রাসাগুলিকে ধ্বংস করা কখনওই আমাদের উদ্দেশ্য নয়। তবে সেখানে যাতে জেহাদি কার্যকলাপ না হয় সেদিকে আমরা নজর রাখছি। তবে, আমরা যদি নির্দিষ্টভাবে তথ্য পাই যে মাদ্রাসার আড়ালে কোনও ভারতবিরোধী কার্যকলাপ হচ্ছে, সেক্ষেত্রে সেগুলিকে ভেঙে ফেলা হবে।”

আরও পড়ুন: পটাপট খান অ্যাজিথ্রোমাইসিন! শুধু আপনি নন দেশের অনেকেই স্বচ্ছন্দ অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণে, দাবি ল্যানসেটের

অসম পুলিশ দাবি করেছে যে সাধারণ মানুষ ‘জিহাদি’ কার্যকলাপের জন্য মাদ্রাসা প্রাঙ্গণকে ব্যবহারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর পরেই গোয়ালপাড়া জেলায় একটি মাদ্রাসা এবং এর সংলগ্ন একটি বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি গোয়ালপাড়া জেলার পাখিউড়া চর এলাকায় থাকা একটি মাদ্রাসা ভেঙে দেন ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ সূত্রে খবর, জঙ্গি কার্যকলাপের জন্য ওই মাদ্রাসাটি ব্যবহার করেছিল দুই বাংলাদেশি নাগরিক। আমিনুল ইসলাম এবং জাহাঙ্গীর আলম নামে ওই দু’জন আল কায়েদার সহযোগী সংগঠনের সদস্য। ২০২০-২২ সালের মধ্যে ওই দু’জন মাদ্রাসায় পড়াত বলেও জানা গিয়েছে। আমিনুল ও জাহাঙ্গীর বর্তমানে পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান জারি রয়েছে।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share