মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ক্রমশ ডেঙ্গির (Dengue in West Bengal) দাপট বেড়েই চলেছে। পুজোর পরেও ডেঙ্গি সংক্রমণ অব্যাহত রয়েছে। রাজ্যে নতুন করে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছে ৬৬২ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে ভর্তি রয়েছেন ৮২১ জন। পুজোর আগে থেকেই করোনা ও ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছিল। এবং এখন করোনা সংক্রমণ কিছুটা কমলেও ডেঙ্গি সংক্রমণ বেড়েই চলেছে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, এবছর শহরে ডেঙ্গি (Dengue in West Bengal) সংক্রমণ যেভাবে ছড়িয়েছে পরিসংখ্যান বলছে তা গত ৩ বছরের তুলনায় সবচেয়ে বেশি। এবছর শুধুমাত্র কলকাতা শহরেই ১ জানুয়ারি থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত ২৮০০ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। ২০২২-এ ১ জানুয়ারি থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৪, ৭৪৬ জন। আক্রান্তের দিক থেকে উপরের দিকে রয়েছে কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা। এই দুই জায়গায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। ফলে এই পরিস্থিতিতে কলকাতা পুরসভাকে নজরদারি আরও বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
আরও পড়ুন: পুজোর আগে কাটছে না 'ডেঙ্গি বিপদ', তবে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে
স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৭ আর ২০১৯ সালে রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের (Dengue in West Bengal) সংখ্যা ছিল সবথেকে বেশি। সেই ২ বছরে রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৩৭,৭৪৬ জন এবং ২৮, ০৭০ জন। ফলে এখন প্রশ্ন উঠছে যে, এবছরের ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা কি গত দুবছরের রেকর্ডকেও ভেঙে দেবে?
অন্যদিকে রাজ্যে যেমন ডেঙ্গি আক্রান্তের (Dengue in West Bengal) সংখ্যা বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও। অক্টোবর পড়লেও এখনও ডেঙ্গি কমার কোনও লক্ষণ দেখছেন না আধিকারিকরা। ডেঙ্গি আরও বাড়তে বলে আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা। এক আধিকারিক জানান, পুজোর পর মণ্ডপের খুঁটির গর্তে জল জমে থাকছে। তা থেকে ডেঙ্গি আরও বাড়তে পারে। তাই রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর পুরসভাকে প্রয়োজনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নজরদারি চালানোর পরামর্শ দিয়েছে। এছাড়াও আবার সামনে কালিপুজো। কালীপুজোর প্যান্ডেলের কারণে যেসব গর্ত করা হবে, সেখানেও জল জমে বাড়তে পারে ডেঙ্গি মশার অর্থাৎ এডিস মশার বৃদ্ধি। তাই আশঙ্কা করা হয়েছে যে, ডেঙ্গির আক্রান্তের সংখ্যা কালীপুজো বা তার পরেও আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। স্বাস্থ্য কর্তাদের মতে, নভেম্বর থেকে হয়তো ডেঙ্গি কমতে পারে।
+ There are no comments
Add yours