মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালন”, এই মন্ত্র নিয়েই আশ্বিনের শারদ প্রাতে মা দুর্গা (Durga Puja) মর্ত্যে আসেন। বছরে এই চারটে দিন ঘরের মেয়ে উমা হয়ে বাঙালির জীবনে থাকেন দেবী মহিষাসুরমর্দিনী। তবে কৈলাস থেকে কীসে করে দেবী এবার মর্ত্যে আসছেন? এ প্রশ্ন কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মনে করা হয়, দেবী কীসে চড়ে আসবেন আর কীসে চড়ে মহাদেবের কাছে ফিরে যাবেন তার উপর বছরের ভাল-মন্দ নির্ভর করে। পঞ্জিকা মতে, মনে করা হয়, দেবী কীসে আসছেন, আর কীসে যাচ্ছেন, তার ওপর নির্ভর করে বাংলার পরিবেশ, প্রকৃতি, সময়কাল।
আরও পড়ুন: এই রাজাই বাংলাতে প্রথম দুর্গাপুজো শুরু করেছিলেন! জানেন তিনি কে?
দুর্গার আগমন ও প্রস্থানের বাহন ও তার ফলাফল নিয়ে বাঙালি সমাজে বহু কথা প্রচলিত রয়েছে। দেবী দুর্গা ও তাঁর পুত্র-কন্যার নিজস্ব বাহন থাকলেও আগমন ও প্রস্থানের বাহনের কথা আলাদা করে পঞ্জিকায় উল্লেখ করা থাকে। হিন্দুশাস্ত্র অনুযায়ী, সপ্তমীতে দেবীর আগমন হয়, আর গমন দশমীতে। এই দুই দিন সপ্তাহের কোন কোন বারে পড়ছে, তার উপরেই নির্ভর করে দেবীর কীসে আগমন ও কীসে গমন। শাস্ত্রে বলা আছে অর্থাত্ সপ্তমী রবি বা সোমবার হলে দেবীর বাহন হবে গজ বা হাতি। সপ্তমী শনি বা মঙ্গলবার হলে দেবীর বাহন ঘোটক বা ঘোড়া। সপ্তমী বৃহস্পতি বা শুক্রবার হলে দেবীর বাহন দোলা বা পালকি। সপ্তমী বুধবার হলে দেবীর বাহন নৌকা। একই ভাবে, দশমী রবি বা সোমবার হলে দেবীর বাহন গজ। দশমী শনি বা মঙ্গলবার হলে দেবী বিদায় নেবেন ঘোড়ায় চড়ে। দশমী বৃহস্পতি বা শুক্রবার হলে দেবীর গমন হবে দোলা বা পালকিতে। আর দশমী বুধবার হলে দেবীর নৌকায় করে কৈলাসে ফিরবেন দেবী।
এবছর সপ্তমী পড়েছে ২ অক্টোবর অর্থাৎ রবিবার। তাই দুর্গার আগমন গজ অর্থাত্ হাতিতে। শাস্ত্রমতে গজ দেবীর উৎকৃষ্টতম বাহন। এতে ভালই হবে। শস্যপূর্ণ হবে এই বসুন্ধরা। এবছর বিজয়া দশমী পড়েছে বুধবার, ৫ অক্টোবর। মা দুর্গা পুত্র-কন্যা সহ স্বামীর কাছে ফিরবেন নৌকায় চেপে। দেবী দুর্গার নৌকায় ফেরার অর্থ প্লাবনের আশঙ্কা। অর্থাৎ প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হতে পারে এবং বন্যা হতে পারে।
+ There are no comments
Add yours