মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের (East Midnapore) রামনগরে সমবায় সমিতি (Co-operative Samity) দখল করল বিজেপি (BJP)। রামনগর ২ ব্লকের কালিন্দি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ঘোল দক্ষিণ শীতলা মিলনী সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির পরিচালন কমিটির নির্বাচনে এই জয় পেয়েছে গেরুয়া শিবির।
ফলাফল ঘোষণা হতে দেখা যায়, ৯টি আসনের মধ্যে ৭টিতে জিতেছেন বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীরা। বাকি ২ আসনে খাতা খুলেছে তৃণমূল। যার ফলে তৃণমূলকে সরিয়ে সমবায়ের ক্ষমতায় এল গেরুয়া শিবির। রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরির (Minister Akhil Giri) খাসতালুকে বিজেপির এই জয় তাৎপর্যপূর্ণ। আগামী বছর পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে, এই জয় দলের মনোবল বাড়াতে সাহায্য করবে বলে মনে করছে গেরুয়া শিবির।
আরও পড়ুন: গার্হস্থ্য হিংসার নিরিখে দেশে শীর্ষে বাংলা, বলছে এনসিআরবি রিপোর্ট
সমবায় সমিতির বোর্ড গঠন ঘিরে বেশ কয়েকদিন ধরেই চলছিল উত্তেজনা। শাসক দলের অন্তর্কলহে নির্বাচনের আগে প্রকট হয়ে ওঠে। তৃণমূল বিধায়ক ও রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরির বিরুদ্ধে সোচ্চার দলেরই একাধিক কাউন্সিলর। আর তা ঘিরে তৃণমূলের একাংশের তুমুল বিক্ষোভের জেরে শনিবার উত্তেজনা ছড়ায় কাঁথি সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ড এলাকায়। তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে বচসা, ধস্তাধস্তি বাঁধে পুলিশের।
এরপর রবিবার, অর্থাৎ, নির্বাচনের দিনও সকাল থেকে ছিল উত্তেজনা। বিকেলে ভোট গণনার শেষে দেখা যায় ৯টি আসনের ৭টি আসনে বিপুল ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীরা। বিজেপি-র তরফে দাবি করা হয়েছে, তৃণমূলের লাগামহীন সন্ত্রাসের জবাব দিয়েছেন মানুষ। ভোটে জিতে উচ্ছ্বসিত গেরুয়া শিবিরের কর্মী-সমর্থকেরা। বিজেপির মতে, এই জয়ের ফলে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে নেতা-কর্মীদের মনোবল বাড়বে।
জয়ের পর দলীয় কর্মী, সমর্থকদের গৈরিক অভিনন্দন জানান কাঁথি (Contai) সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রশেখর মণ্ডল। জয় নিয়ে তিনি বলেছেন, “এলাকার মানুষ এই নির্বাচনের মাধ্যমে তৃণমূলী সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বার্তা দিয়েছেন। সমবায়ের উন্নয়নে গতি আনার চেষ্টা করব আমরা।”
অন্যদিকে, এই পরাজয় নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে নারাজ স্থানীয় তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব।
+ There are no comments
Add yours