Rana Ayyub: বিশিষ্ট সাংবাদিক রানা আয়ুবের বিরুদ্ধে চার্জশিট গঠন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেটের

rana_ayyub_case

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর্থিক তছরুপ মামলায় এবারে বিশিষ্ট সাংবাদিক রানা আয়ুবের (Rana Ayyub) বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করল ইডি (ED)। ইডি সূত্রে খবর, তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছে। পিএমএলএ বা (প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট) এর আওতায় এই চার্জশিটে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে রানা আয়ুবের বিরুদ্ধে। গাজিয়াবাদের স্পেশ্যাল কোর্টে এই আবেদন করা হয়েছে। তবে তিনি কীভাবে টাকা সাধারণ জনগণের থেকে সংগ্রহ করেছেন, তা জানলে অবাক হবেন আপনি।

ইডি সূত্রে খবর, অনলাইন ক্রাউড ফান্ডিং প্ল্যাটফর্ম ‘কেট্টো’র হাত ধরে রানা আয়ুব প্রচুর পরিমাণ অর্থ জনসাধারণের থেকে অবৈধ ভাবে নিয়েছেন বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই, চার্জশিট গঠন করা হয়েছে। ইডি জানিয়েছে, রানা আয়ুব সাহায্যের নাম করে ওই টাকা অবৈধভাবে ব্যবহার করেছেন। ইডির চার্জশিটে বলা হয়েছে, চ্যারিটির নাম করে শুধুমাত্র প্রতারণার জন্যই রানা আয়ুব ওই টাকা নিতে অবৈধ পথ অবলম্বন করেছিলেন। এক্ষেত্রে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও এফডি সংক্রান্ত নানান বিষয় তুলে ধরে মানুষের সঙ্গে তিনি প্রতারণা করেছেন বলে অভিযোগ ইডির। সেই অভিযোগের নিরিখেই রানা আয়ুবের (Rana Ayyub) বিরুদ্ধে ইডির চার্জশিটে উঠে এসেছে নানান তথ্য।  

আরও পড়ুন:ফের আইনি গেরোয় প্রাথমিকে নিয়োগ, বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা

ইডি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বেআইনিভাবে সংগ্রহ করা অর্থ তাঁর অ্যাকাউন্টে সরাসরি ঢুকত না। জনসাধারণের টাকা প্রথমে রানা আয়ুবের (Rana Ayyub) বাবা ও বোনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে যেত, তারপর সেখান থেকে টাকা নিজের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টগুলিতে জমা হত। ইডি দাবি করেছে, রানা তিনটি ক্যাম্পেইন চালিয়ে মোট ২.৬৯ কোটি টাকা জনসাধারণের থেকে পেয়েছেন। এর মধ্যে ৮০.৪৮ লক্ষ টাকা বৈদেশিক মুদ্রায় পেয়েছেন।

ইডি আরও দাবি করেছে, সংগৃহীত অর্থের ৫০ লক্ষ টাকা দিয়ে তিনি (Rana Ayyub) একটি ফিক্সড ডিপোজিট খুলেছিলেন। আরও ৫০ লক্ষ টাকা রেখেছিলেন একটি নতুন অ্যাকাউন্টে। আর মাত্র ২৯ লক্ষ টাকা ব্যবহার করেছিলেন সামাজিক কাজে। এর আগে ইডি জানিয়েছিল, মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে এবং পিএমকেয়ার্স তহবিলে রানা আয়ুব ৭৪.৫০ লক্ষ টাকা দান করেছিলেন।

উল্লেখ্য, এই গোটা মামলা উত্তরপ্রদেশে গত বছর দায়ের হওয়া একটি মামলা ঘিরে শুরু হয়। পরবর্তীকালে ফেব্রুয়ারি মাসে ১.৭৭ কোটি টাকা আয়ুবের অ্যাকাউন্টের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ফলে তারপরেই এই মামলা নজরে এসেছে। এরপরেই অভিযোগ ওঠে যে, ত্রাণ বা চ্যারিটির নাম করে টাকা আত্মসাৎ করতেন রানা। অন্যদিকে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রানা (Rana Ayyub)। তিনি বলেন এই অভিযোগগুলো সব অযৌক্তিক।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share