ED raid: রাজ্যে ভুয়ো পরিচয়পত্র বানাচ্ছে বাংলাদেশিরা! কলকাতা সহ ১০ জায়গায় হানা ইডি-র

ED1

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে রাজ্যে এসে ভুয়ো পরিচয়পত্র বানিয়ে বসবাস করছে এমন ব্যক্তিদের সন্ধানে তল্লাশি চালাল ইডি (ED)। শুক্রবার কলকাতা-সহ দুই ২৪ পরগণার আট থেকে দশটি জায়গায় তল্লাশি চালাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অশোকনগরের তিনটি জায়গায়, দমদমের একটি এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার দু’টি জায়গা মিলিয়ে মোট ১০টি জায়গায় তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তকারী অফিসারেরা। এদিন সকাল থেকে ইডি-র প্রায় ৬০-৭০ জন আধিকারিক একাধিক দলে ভাগ হয়ে তল্লাশি অভিযান চালান। 

ইডি সূত্রে দাবি, বাংলাদেশের তদন্তকারী সংস্থার দেওয়া খবরের ভিত্তিতে তল্লাশি চালানো হয়। এক আন্তর্জাতিক টাকা পাচার চক্রের মাথা প্রশান্তকুমার হালদার। বাংলাদেশে তাঁর বিরুদ্ধে বিপুল অঙ্কের টাকা প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে। বাংলাদেশি হলেও, এপার বাংলায় ঢুকে নিজেকে ভারতীয় বলে পরিচয় দেন প্রশান্তকুমার পাল। তিনি নিজেকে পরিচয় দেন শিবশঙ্কর হালদার বলে। এমনকী, এদেশে ভুয়ো আধার কার্ড, রেশন কার্ড, ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড তৈরি করেন তিনি। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, সেইসব জাল নথি ব্যবহার করে এদেশে প্রশান্ত কুমার পাল ও তাঁর সহযোগীরা প্রায় হাজার কোটি টাকা পাচার করেন। প্রশান্তকুমার হালদারের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। বেআইনি টাকার হদিশ পেতে তল্লাশি অভিযান শুরু করে ইডি দেখে এদেশে ভুয়ো পরিচয়পত্রই বানিয়ে ফেলেছে অভিযুক্তেরা। শুধু তাই নয়, ভুয়ো পরিচয়পত্রের ভিত্তিতে এরাজ্যে বাংলাদেশিরা রীতিমতো ব্যবসা খুলে বসেছে। বিপুল স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বানিয়েছে। 

 স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অশোকনগরের মাছ ব্যবসায়ী সুকুমার মৃধাও এই চক্রের সঙ্গে জড়িত। তদন্তে জানা গিয়েছে, সুকুমার মাছ ব্যবসার আড়ালে হাওয়ালার কারবারে যুক্ত। বিভিন্ন অঞ্চলে জমি জায়গা কিনে ব্যবসা করেন তিনি। অশোকনগরে তাঁর একাধিক বাড়ি ও দোকান রয়েছে। এর সঙ্গে উঠে আসছে প্রশান্ত হালদার নামে এক ব্যক্তির নাম। প্রশান্ত মারফৎ এদেশে টাকা নিয়ে আসেন সুকুমার। শুক্রবার অশোকনগরে সুকুমার মৃধা-সহ প্রণব হালদার ও স্বপন মিশ্রর বাড়িতে একযোগে হানা দেন ইডির আধিকারিকরা। ইডির এক আধিকারিক জানান, রাজ্যে হালদারের এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন মৃধা। মনে করা হচ্ছে, শহরের বিভিন্ন জায়গায় বেনামে জমি কিনেছে তারা। মৃধা এবং হালদারের পরিবারের লোকজনদের থেকে খোঁজখবর নিচ্ছে ইডি।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share