মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের অরাজকতার পেছনে আইএসআই-এর (ISI Operation) যোগসূত্র রয়েছে। পাকিস্তানের এই গোয়েন্দা সংস্থা চাইছে, ভারত বিরোধী সরকার প্রতিষ্ঠা হোক। বাংলাদেশে এই উদ্দেশ্যেই ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে আইএসআই। একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী আইএসআই-এর গোয়েন্দারা ঢাকায় হাসিনার পতনের (Seikh Hasina) জন্য ব্যাপক চেষ্টা চালিয়েছেন।
জামাত আইএসআই যোগ (ISI Operation)
প্রতিবেদন অনুযায়ী, জামাত এবং জামাতের ছাত্র শাখা ছাত্রশিবিরকে উসকে দেওয়ার পিছনে ইন্ধন দিয়েছে আইএসআই। জামাত শিবিরকে পাকিস্তানের পছন্দের সংগঠন মনে করা হয়। জামাতকে বিভিন্ন সময়ে পাকিস্তানের তরফ থেকে অর্থনৈতিক সাহায্য করা হয়। এই গোটা অভিযান (ISI Operation) চালানো হয়েছে বাংলাদেশে অবস্থিত পাকিস্তানের দূতাবাসের আড়ালে। জামাতের নেতারা বিভিন্ন সময়ে আইএসআইয়ের নির্দেশ পেয়ে কাজ করেছে বলে অভিযোগ। এর আগে কোনও পরিস্থিতিতেই পাকিস্তানি দূতাবাসের তরফে বাংলাদেশীদের আশ্রয় দেওয়া হয়নি। এবারের আন্দোলন চলাকালীন পাকিস্তানের দূতাবাস ছাত্রদের অনুরোধ করেছিল যদি সমস্যা হয়, তাহলে তারা পাকিস্তানি দূতাবাসে আশ্রয় নিতে পারে। সাধারণত দূতাবাসগুলি এই ধরনের কাজ করে না। আর এ থেকেই সন্দেহ বাড়তে শুরু করে। আওয়ামী লীগের তরফেও একথা জানানো হয়েছে। এমনিতেও পাকিস্তান মনে করে, আওয়ামী লীগের সরকার ভারতের এদিকে ঝুঁকে থাকা সরকার। স্বাভাবিকভাবেই পাকিস্তান চায় বাংলাদেশে এমন সরকার আসুক, যাদের সঙ্গে ভারতের দূরত্ব বজায় থাকবে। আইএসআই চাইছে, বাংলাদেশ বিএনপি ক্ষমতায় আসুক। বিএনপিকে ভারত বিরোধী এবং পাকিস্তানপন্থী বলে ধারণা করা হয়।
হাসিনা সরকারের পতন
ইতিমধ্যেই আন্দোলনের চাপে নতিস্বীকার করে শেখ হাসিনা (Seikh Hasina) ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছেন। বাংলাদেশের (Bangladesh) রাস্তার দখল নিয়েছে সেনাবাহিনী। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ঢুকে পড়েছে বিক্ষোভকারীরা। গণভবনের জিনিস হাতিয়ে বাড়ি ফিরছেন অনেকেই। কারও হাতে দামি জিনিসপত্র, কারও হাতে মুরগি। কেউ বা ছুটছেন চেয়ার হাতে। বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের মূর্তি ভাঙার চেষ্টা হয়েছে। ধানমণ্ডিতে বঙ্গবন্ধু ভবনে আগুন জ্বালিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। সব মিলিয়ে তুমুল অশান্ত গোটা বাংলাদেশ। পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ, দেশ ছেড়েছেন হাসিনা, সীমান্তে নজরদারি বাড়াল ভারত
এরই মধ্যে আবার ধানমন্ডিতে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়িতে হামলা চালিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। আর গোটা ঘটনায় ইন্ধন দেওয়ার (ISI Operation) অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার বিরুদ্ধে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours