Heatwave: চালিয়ে খেলছে চৈত্র! জানেন হাঁসফাঁস গরমে সুস্থ থাকতে কী কী করবেন?

summer_heat_weather

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৈশাখ এখনও ব্যাট করতে নামেনি। চালিয়ে খেলছে চৈত্র। গরমে হাঁসফাঁস করছে শহরবাসী। একই ছবি চোখে পড়ছে সর্বত্র। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চোখ রাঙাচ্ছে সূর্যমামা। এই পরিস্থিতিতে বাড়ির বাইরে বেরোতে মন চাইছে না। তাই বলে ঘরে বসে থাকা যায়! অফিস রয়েছে, রয়েছে অন্য কাজকর্ম। রান্না-বান্না থেকে ছেলে-মেয়েদের স্কুল থেকে আনার দায়িত্ব। মন না চাইলেও চড়া রোদ মাথায় নিয়েই ছুটতে হচ্ছে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। গরমের জেরে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। শরীরে ঘাম জমে বাড়ছে নানা রোগ। তার সঙ্গে তো রয়েছে নিত্যদিনের ফ্লু ও জ্বরজালা। এই পরিবেশে নিজেকে সুস্থ রাখতে মেনে চলুন বেশ কিছু টোটকা।

গরমে সতেজ থাকতে কী করবেন?

১) অবশ্যই ব্যাগে রাখুন জলের বোতল। প্রয়োজনে গ্লুকোজ কিংবা লেবুর জলও ঘন ঘন খাওয়া যেতে পারে। তবে ভুলেও রাস্তার ধারে ঠেলা ওয়ালাদের থেকে কোনওভাবেই রঙিন পানীয় চুমুক দেওয়া উচিত হবে না। তাতে হীতে বিপরীত হতে পারে।

২) পকেটে বা ব্যাগে রাখুন রুমাল। প্রয়োজনে দু’টো রুমাল ব্যবহার করা যেতে পারে। কারণ, অতিরিক্ত ঘাম নির্গমনের ফলে রুমাল ভিজে যায়। সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় রুমাল কাজে দেবে।

৩) সানগ্লাস ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে প্রখর তাপ থেকে যেমন স্বস্তি মিলবে, তেমনি চোখের পক্ষেও আরামদায়ক।

৪) ছেলেরা অবশ্যই টুপি ব্যবহার করুন। না হলে অবশ্যই ছাতা। আর মেয়েরা স্কার্ফ পরতে পারেন। এখন হাতের স্ক্রিন গার্ডও বাজারে উপলব্ধ। এতে ত্বক ও শরীর দুই বাঁচবে।

৫) গরমে মুখ চ্যাটচ্যাটে হয়ে যায়। বিশেষ করে যাঁদের ত্বক সেনসেটিভ, তাঁরা ভেজা রুমাল বা ওয়েট টিস্যু ব্যবহার করতে পারেন।

৬) শরীরে ঘাম জমলে অনেক সময় দুর্গন্ধ ছাড়ে। সেক্ষেত্রে অফিসে বা স্কুল কলেজে কিংবা অনুষ্ঠান বাড়িতে সমস্যায় পড়তে হয়। এটা থেকে বাঁচার সেরা উপায় বডি স্প্রে ব্যবহার করা। তবে সেটা যাতে অতিরিক্ত না হয়, তাও খেয়াল রাখতে হবে।

আরও পড়ুন: বৃষ্টির দেখা নেই, তাপমাত্রা ৪০ ছুঁই ছুঁই! কাঠফাটা গরমে নাজেহাল রাজ্যবাসী

গরমে কী খাবেন ?

১) তেল মশলা জাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়া উচিত। স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের অবশ্যই বিশেষ যত্ন নিতে হবে। দু’টি করে টিফিন দিন। একটিতে খাবার থাকুক। অন্যটিতে স্যালাড বা ফল।

২) ছাতুর সরবত লু রুখতে অত্যন্ত কার্যকরী। ডাবের জল, নারকেলের জল, বাটারমিল্ক, লেবুর সরবত খেলে তাপপ্রবাহ দূরে রাখা যাবে।

৩) শসা, তরমুজ, টম্যাটো, জামরুলের মতো ফল বেশি করে খেতে হবে। এতে শরীরে পর্যাপ্ত জল থাকবে, ডিহাইড্রেশন এড়ানো যাবে।

৪) জিরে ভেজানো জল রাখতে পারেন ডায়েটে। পেট ঠান্ডা থাকবে। হলুদ ভেজানো জলও পেট ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করবে। সঙ্গে থাকুক দই ও দইজাতীয় খাবার।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

 

 

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share