Pakistan: পাকিস্তানে ত্রাণ সামগ্রী দেওয়ার নামে হিন্দু মেয়েকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত দুই মুসলিম যুবক

Pakistan-Rape

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়াবহ বন্যার কবলে পাকিস্তান (Pakistan)। বিশেষ করে পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে সব থেকে বেশি মানুষ বন্যা কবলিত (Flood)। আর এরই মাঝে এক মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হল সেই দেশ। দুই মুসলিম (Muslim) যুবক বন্যা ত্রান সামগ্রী দেওয়ার নাম করে এক হিন্দু মেয়েকে (Hindu Girl) ধর্ষণ (Rape) করল। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের সংঘর জেলার শাহাদাদপুরে। দুই অভিযুক্তের নাম খালিদ (Khalid) এবং দিলসার (Dilsher)। এর মধ্যে খালিদ অটো চালক।

আরও পড়ুন: ফের চালু হতে চলেছে ভারত-পাক বাণিজ্য? 

অভিযোগ এই দুই মুসলিম যুবক ওই হিন্দু যুবতীকে প্রথমে নেশা জাতীয় দ্রব্য খেতে বাধ্য করে এবং পরে তাকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিওতে জানিয়েছেন নির্যাতিতা। এই মুহূর্তে সেই ভিডিও ভাইরাল। নির্যাতিতা জানান, তাঁকে ত্রাণ সামগ্রী দেওয়ার নাম করে ডেকে নিয়ে যায় ওই অটো চালক। তারপর ওই নির্যাতিতার অজান্তেই নেশার দ্রব্য দেওয়া হয় তাঁকে এবং ধর্ষণ করা হয়। তারপর তাঁকে ফেলে চলে যায় তারা। 

পাকিস্তানে এভাবেই বার বার হিংসার শিকার হতে হয় সংখ্যালঘুদের। বন্যার সময় সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা আরও বেড়েছে। কিছুদিন আগেই আরও এক সংখ্যালঘু ভিডিওতে অভিযোগ করেছিলেন, যে মুসলিম গুণ্ডারা তাঁর বাড়ির মহিলাদের ওপর চড়া হয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে। 

এছাড়াও বৃহস্পতিবার ৮ বছরের নাবালিকার গণধর্ষণের খবরও সামনে এসেছে। ওই নাবালিকার পুরো মুখ চেঁচে দেওয়া এবং চোখ উপড়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। 

আরও পড়ুন: মোদির ট্যুইটের জবাব দিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী, কী লিখলেন জানেন?

প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে যেই হিন্দুরা থাকেন তাঁরা সমাজের দরীদ্রতম সম্প্রদায়। কোনও কাজের সুযোগ নেই তাঁদের। অনেককে তো আবার মুসলিম মালিকের অধীনে ক্রীতদাস হিসেবেও কাজ করতে হয়। কিন্তু কোনও প্রতিবাদ করার অধিকার নেই তাঁদের। 

সাম্প্রতিক বন্যায় প্রায় ১১০০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। সিন্ধু নদের জল বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। বন্যা কবলিত সিন্ধু প্রদেশের বহু মানুষ। 

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।     

 
 

 

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share