মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক জালিয়াতি কাণ্ডে ব্যাঙ্কের প্রাক্তন ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও ছন্দা কোচার, তাঁর স্বামী দীপক কোচার ও ভিডিওকন গোষ্ঠীর কর্ণধার বেণুগোপাল ধূতকে ১৪ দিনের জন্য বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিল আদালত। আগামী ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত তাঁদের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখা হবে।
কী এই দুর্নীতি
এই ঋণ দুর্নীতি কাণ্ডে গত শুক্রবার, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের (ICICI Bank) প্রাক্তন সিইও ছন্দা কোচার (Chanda Kochhar) ও তাঁর স্বামী দীপক কোচারকে গ্রেফতার করে সিবিআই। অভিযোগ, ছন্দা ওই বেসরকারি ব্যাঙ্কের মাথায় থাকাকালীন ভিডিওকন গ্রুপকে ৩ হাজার কোটি টাকার ঋণ পাইয়ে দিয়েছিলেন। ২০১২ সালে ভিডিওকন গ্রুপকে ৩ হাজার ২৫০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সিবিআই তাঁর বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র ও প্রতারণার অভিযোগ এনেছে। এমন অভিযোগও উঠেছে যে, ছন্দা কোচারের স্বামী এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা এর জেরে লাভবান হয়েছেন। বৃহস্পতিবার অভিযুক্তদের বিশেষ আদালতে পেশ করা হয়। সিবিআইয়ের আইনজীবী অভিযুক্তদের তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে রাখার আবেদন না করায় বিচারক তাঁদের ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে সিবিআই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিল। এফআইআরে কোচার ও ধূতদের লোন-প্রতারণা কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত হিসেবে বলা হয়।
আরও পড়ুন: ভুয়ো শংসাপত্র দিয়েও হয়েছে শিক্ষক নিয়োগ, হাইকোর্টে স্বীকার করলেন মহকুমা শাসকরা
সিবিআইয়ের যুক্তি
সিবিআইয়ের দাবি, ২০০৯ সালের জুন থেকে ২০১১ সালের অক্টোবর পর্যন্ত আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক মোট ৬টি লোনের অনুমোদন দিয়েছিল। সিবিআইয়ের দাবি, ভিডিওকনকে এই লোন পাইয়ে দেওয়ার ফলে একটি ফ্ল্যাটও কোচারদের পারিবারিক ট্রাস্টের নামে করা হয়েছিল। ১৯৯৬ সালে ওই ফ্ল্যাটটির মূল্য ছিল 5.25 কোটি টাকা। কিন্তু ২০১৬ সালে সেই ফ্ল্যাটই মাত্র ১১ লাখ টাকায় কোচারদের দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ সিবিআইয়ের। সিবিআই নিজের লিখিত বক্তব্যে জানিয়েছে, ব্যাঙ্কের একজন কর্মচারী হিসেবে ছন্দা কোচারের উপরে ব্যাঙ্ক ফান্ড সুরক্ষিত রাখার দায়িত্ব ছিল। আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের নিয়মবিধি মেনে সেই দায়িত্ব পালন করতে হত ছন্দাকে কিন্তু তা না করায় কোচারদের বিরুদ্ধে প্রিভেনশন অব করাপশন অ্যাক্টের অধীনে মামলা দায়ের করা হয়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours