Imam Remuneration: ইমামদের ভাতা দেওয়ার সুপ্রিম-নির্দেশ ‘সংবিধান বিরোধী’, জানাল তথ্য কমিশন

জাতীয় তথ্য কমিশনার উদয় মহুরকার, একটি আরটিআই এর শুনানির সময় এমন মন্তব্য করলেন
তথ্য_কমিশনের_পর্যবেক্ষন
তথ্য_কমিশনের_পর্যবেক্ষন

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৯৩ সালের ১৩ মে সর্বভারতীয় ইমাম সংগঠনের পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আরএম সহায়ের বেঞ্চ, ওয়াকফ বোর্ডকে ইমামদের ভাতা প্রদানের নির্দেশ দেয়। এবার সেই রায়কে সংবিধান বিরোধী এবং সামাজিক ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার কারণ বলল জাতীয় তথ্য কমিশন।

আরও পড়ুন: শ্রদ্ধা হত্যার পরে আফতাবের ফ্ল্যাটে যেতেন এক মহিলা চিকিৎসক

জাতীয় তথ্য কমিশনারের মন্তব্য

জাতীয় তথ্য কমিশনার উদয় মহুরকার এদিন বলেন, ইমামদের ভাতা প্রদান শুধুমাত্র অহিন্দু সমাজকে বঞ্চিত করছে এমন নয়, দেশের মুসলিম সমাজের মধ্যে প্যান-ইসলামিক মানসিকতা তৈরি করছে, যা ইতিমধ্যে সারাদেশে পরিলক্ষিত হচ্ছে। ইমাম ভাতা প্রদানের এই পদক্ষেপ দেশে ধর্মীয় ভারসাম্য নষ্ট করছে এবং দেশের একটি অংশের মানুষ গোটা মুসলিম সমাজকে অবজ্ঞার চোখে দেখছে। তথ্য জানার অধিকার আইনে, সুভাষ আগরওয়াল নামের জনৈক ব্যক্তি জানতে চেয়েছিলেন, দিল্লি সরকার এবং দিল্লি ওয়াকফ বোর্ড ইমামদের কত টাকা বেতন দেয় । সেই শুনানির পরিপ্রেক্ষিতে এই বিবৃতি দিয়েছেন জাতীয় তথ্য কমিশনার। এদিন শুনানির সময় উদয় মহুরকার আরও বলেন, সংবিধানের ২৭ নম্বর ধারায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে যে, জনগণের ট্যাক্সের টাকায় এভাবে কোনও ধর্মকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া যায়না। জাতীয় তথ্য কমিশনার, তাঁর এই শুনানির কপি আইন মন্ত্রকে পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছেন যাতে সংবিধানের ২৫-২৮ নং ধারা যথার্থ ভাবে বাস্ততবায়িত হয় সারা দেশে।

আরও পড়ুন: ‘বাংলায় আল্ট্রা ইমার্জেন্সি পরিস্থিতি’, রাজ্য সরকারকে ট্যুইট-বাণ শুভেন্দুর

এর সঙ্গে জাতীয় তথ্য কমিশন, সুভাষ আগরওয়ালকে নগদ ২৫০০০ টাকা  ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি ওয়াকফ বোর্ডকে। কারণ এই আরটিআই-এর কাজে, জনৈক কর্মীর যথেষ্ট সময় অপচয় হয়েছে বলেই মনে করেছে জাতীয় তথ্য কমিশনের।
জাতীয় তথ্য কমিশনার আরও বলেন, যখনই কোন ধর্মকে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার বিষয় সামনে আসে, তখনই আমাদের ইতিহাসে ফিরে যাওয়া প্রয়োজন।  
মুসলিম সম্প্রদায়কে বিশেষ সুবিধা দিতেই তৈরি হয়েছিল পাকিস্তান। একটি ইসলামিক দেশ। ভারতবর্ষ আত্মপ্রকাশ করেছিল ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হিসেবে। এখানে সরকার সমস্ত ধর্মের প্রতি সমান আচরণ করবে, এটাই কাম্য।
তাঁর আরও সংযোজন, বিশেষ ধর্মকে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার জন্যই ১৯৪৭ সালে অনিবার্য হয়েছিল দেশভাগ।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles