মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাম হাদিস নাজাফি (Hadis Najafi)। হিজাব না পরা, চুল খোলা, আধুনিক পোশাক পরা এক সাহসী ইরানি কন্যা। হিজাব আন্দোলনের প্রথম সারির মুখ। বছর ২০-র সেই ইরানি তরুণীকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিয়েছে সেদেশের নিরাপত্তা বাহিনী। হিজাব বিরোধী আন্দোলন (Iran Anti Hijab Protest) করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে হাদিস নাজাফির। রবিবার রাতে ইরানের কারাজ এলাকায় ইরানের নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয় তাঁর। সূত্রের খবর, ওই তরুণীর বুকে, মুখে, গলায়, পেটে ও হাতে গুলি করা হয়। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওই তরুণীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। ইরানের জনপ্রিয় টিকটকার হিসেবে পরিচিতি ছিল হাদিসের। এর আগেও হিজাব বিরোধী আন্দোলনে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
আরও পড়ুন: হত্যার প্রতিবাদ! দাদার কফিনে নিজের চুল কেটে রেখে দিল বোন
প্রতিবাদরত ওই তরুণীর চুল শক্ত করে বাঁধার ভিডিও ভাইরাল হল সোশ্যাল মিডিয়ায়। চুম বেঁধে প্রতিবাদের মাঝখানে যাচ্ছিলেন নির্ভিক চিত্তে। অনেকেই বলেছেন, যুদ্ধের জন্যে তৈরি হচ্ছে ইরান। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পরেই ওই তরুণীকে খুন করে ইরান পুলিশ। বুলেটের আঘাতে বন্ধ করে দেওয়া হয় প্রতিবাদের স্বর।
This girl #hadisnajafi who was getting ready to fight, died yesterday with 6 bullets in her body, in the city of Karaj. Only 20 years old, protesting for the death of #مهسا_امینی
— coraline (@imrzie) September 25, 2022
-از کپشن گلشیفته. pic.twitter.com/2lHPRecvFO
সম্প্রতি তাঁর শেষকৃত্যের (Funeral) ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে হাদিসের কবরের ওপরে তাঁর ছবি রাখা। আর সেই কবরের ওপর কান্নায় লুটিয়ে পড়ছেন তরুণীর পরিজনেরা। সেখানে লেখা হয়েছে, "একমাত্র অপরাধ, স্বাধীনতা চাওয়া। তাই এভাবে মরতে হল ২০ বছরের এই তরূনীকে।"
আরও পড়ুন: হিজাব-আইনের বিরোধিতা, জ্বলছে ইরান! পুলিশের গুলিতে নিহত অন্তত ৫০জন প্রতিবাদী
This is the funeral of 20 year old #HadisNajafi, who was shot dead on the streets by security forces for protesting. Hadis was a kind hearted girl & loved dancing. She was protesting against the brutal death of #MahsaAmini. Their crime: wanting freedom.#مهسا_امینی pic.twitter.com/do9dMoxtxE
— isa (@isa63241322) September 25, 2022
হিজাব নিয়ে ‘নীতি পুলিশির’ জেরে ১৬ সেপ্টেম্বর মৃত্যু হয় উত্তর-পশ্চিম ইরানের বাসিন্দা বছর ২২-র মাসা আমিনির। তাঁর মৃত্যুর পরই ইরান জুড়ে হিজাব নিয়ে শুরু হয়েছে আন্দোলন। বাধ্যতামূলকভাবে হিজাব পরার আইন বাতিলের দাবিতে প্রতিবাদীরা তেহেরানের রাস্তায় জড়ো হন। সেখানে তাঁদের চিৎকার করে স্লোগান দিতে দেখা গিয়েছে। ‘হিজাব নয়, স্বাধীনতা ও সাম্য চাই’ – এই ভাষাতেই স্লোগান দেন তাঁরা। পাশাপাশি, অনেক ইরানি মহিলা তাঁদের চুল কেটে ফেলেও সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। এবারের আন্দোলনে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছে মোট ৪১ জনের। গ্রেফতার হয়েছেন ৭০০ জন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours