Kerala Judge: ‘উত্তেজক পোশাক!’ যৌন হয়রানি মামলায় বিতর্কিত মন্তব্য করায় বদলি কেরলের বিচারক

সম্প্রতি কোঝিকোড়ের জেলা ও দায়রা আদালতের ওই বিচারক ‘যৌন উত্তেজক পোশাক’ পরাকে যৌন হয়রানির অপরাধ বলে এক মামলার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিলেন। 
Kerala_Judge
Kerala_Judge

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিযোগকারীর পোশাকের দিকে আঙুল তুলে দুটি যৌন হেনস্থার অভিযোগ থেকে এক ব্যক্তিকে নিষ্কৃতি দেন কেরলের বিচারক এস কৃষ্ণ কুমার (S Krishnakumar)। ঘটনার এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই ওই বিচারকের বদলির (Transfer) নির্দেশ জারি হল। কেরল (Kerala) হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল পি কৃষ্ণ কুমার কোঝিকোড়ের জেলা ও দায়রা আদালতের ওই বিচারকের বদলির নোটিস জারি করেছেন। 

আরও পড়ুন: এএফসি চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রাত্য কেরলের মহিলা ফুটবল দল! প্রধানমন্ত্রীকে আবেদন

সম্প্রতি কোঝিকোড়ের জেলা ও দায়রা আদালতের ওই বিচারক (District Judge in north Kerala’s Kozhikode)‘যৌন উত্তেজক পোশাক’ পরাকে যৌন হয়রানির (Sexual Harassment) অপরাধ বলে এক মামলার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিলেন। আর তাতেই বদলি করা হল ওই বিচারককে বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের। ওই বিচারক ছাড়াও বদলির নোটিস পেয়েছেন জেলা স্তরের তিন বিচার বিভাগীয় আধিকারিকও।

কিছুদিন আগেই দুটি পৃথক যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে লেখক তথা সমাজকর্মী চন্দ্রনের বিরুদ্ধে। দুটি মামলাতেই ওই লেখকের আগাম জামিন মঞ্জুর করে কোঝিকোড়ের জেলা ও দায়রা আদালত। এই ঘটনাতে ক্ষোভ সৃষ্টি হয় সাধারণ মানুষের মধ্যে। 

ওই লেখকের বিরুদ্ধে ২০২২ সালে প্রথম অভিযোগ করেন এক দলিত মহিলা লেখক। চন্দ্রনের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগ এনেছিলেন তিনি। গত ১৭ জুলাই সেই মামলার আগাম জামিন পেয়েছেন ওই লেখক। মামলার রায় দিতে গিয়ে বিচারক এস কৃষ্ণ কুমার তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেন,  “অভিযুক্ত আগে থেকেই জানতেন, ওই মহিলা তফসিলি জাতিভুক্ত। সেই কথা জানার পরেও তিনি মহিলাকে স্পর্শ করবেন, এটা মোটেও বিশ্বাসযোগ্য নয়।”

আরও পড়ুন: ‘আজাদ কাশ্মীর’ মন্তব্যে বিতর্কে সিপিএম বিধায়ক, পদত্যাগের দাবি বিজেপির      

পৃথক একটি মামলায় ওই মালায়ালি লেখকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ জানিয়েছেন এক ৩০ বছর বয়সী লেখিকা। তাঁর অভিযোগ, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কোঝিকোড়ের সমুদ্র সৈকতে চন্দ্রন একটি লেখক-শিল্প শিবির আয়োজন করেছিলেন। সেখানেই যৌন নিপীড়েনের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় চন্দ্রনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে গত জুলাই মাসে মামলা দায়ের করেন ওই লেখিকা।

গত ১২ অগস্ট সেই মামলার রায় দিতে গিয়ে কোঝিকোড়ের জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক এস কৃষ্ণ কুমার বলেন, "যে কোনও মহিলা যৌন উত্তেজক পোশাক পরে থাকলে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ ধারা অনুযায়ী যৌন হয়রানির অভিযোগে দায়ের করা মামলা গৃহীত হবে না।" বিচারক আরও বলেন, "অভিযুক্ত জামিনের আবেদনে যে ছবি পেশ করেছে, তাতে অন্য ছবি ধরা পড়েছে। অভিযোগকারী নিজেই এমন পোশাক পরেছে, তা যৌন উত্তেজক।" এরপরেই অভিযোগ নস্যাৎ করে ওই মালয়ালি লেখককে আগাম জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক এস কৃষ্ণ কুমার। জেলা ও দায়রা আদালতের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কেরল হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে সরকার। 

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles