KLO Chief: জল্পনার অবসান! অবশেষে আত্মসমর্পণ করলেন কেএলও প্রধান জীবন সিংহ

KLO Chief: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের খবর, জীবন ও তাঁর অনুগামীদের আত্মসমর্পণে বড় ভূমিকা রয়েছে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার।
klo_chief
klo_chief

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে আত্মসমর্পণ করলেন কেএলও বা কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশনের প্রধান জীবন সিংহ (KLO Chief)। নাগাল্যান্ডের মন জেলায় নয়া বস্তি এলাকায় আত্মসমর্পণ করেন কেএলও নেতা তিমির দাস ওরফে জীবন সিংহ। শুধুমাত্র কেএলও নেতা জীবন সিংহ নন, তাঁর সঙ্গে মোট ৬ জন আত্মসমর্পণ করেছেন বলে খবর। গত ১৩ জানুয়ারি তিনি নাগাল্যান্ডে অসম রাইফেলসের কাছে ধরা দেন বলে জানা গিয়েছে। জানা যাচ্ছে, তাঁদের সবাইকে অসমে নিয়ে গিয়ে রাখা হবে। আপাতত, কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর হেফাজতে রয়েছেন তাঁরা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের খবর, জীবন ও তাঁর অনুগামীদের আত্মসমর্পণে বড় ভূমিকা রয়েছে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার।

আত্মসমর্পণ কেএলও নেতা ও তাঁর ৬ অনুগামীর

কয়েক দিন আগে থেকেই জোর জল্পনা ছিল। অবশেষে সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে সামনে এল বড় খবর। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে যে, উত্তরবঙ্গে সক্রিয় জঙ্গি সংগঠন কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন (কেএলও)-এর প্রধান জীবন সিংহ ছ’জন অনুগামীকে নিয়ে নাগাল্যান্ডের মন জেলার মায়ানমার সীমান্ত লাগোয়া নয়াবস্তি এলাকায় আত্মসমর্পণ করেছেন।

প্রসঙ্গত, জলপাইগুড়ির কুমারগ্রামের বাসিন্দা ছিলেন জীবন। ১৯৯৫ সালে তৈরি হয় কেএলও তথা ‘কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন’। রাজবংশীদের জন্য পৃথক রাজ্যের দাবি জানাতে দেখা গিয়েছে কামতাপুরীদের। বাংলা ও অসমের বিক্ষিপ্ত অংশকে জুড়ে এই রাজ্য গঠনের দাবি দীর্ঘদিন ধরেই জানাচ্ছেন তাঁরা। কখনও উত্তরবঙ্গ, কখনও অসম, কখনও বা দেশের বাইরে থেকেও এই বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীকে নেতৃত্ব দিয়েছেন জীবন সিংহ। কয়েকদিন আগেও জীবন সিংহকে দাবি করতে দেখা গিয়েছিল, তাঁদের দীর্ঘদিনের দাবি শীঘ্রই পূরণ হতে চলেছে। এই নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছিল। কিন্তু এর পরেই আজ তাঁর আত্মসমর্পণের কথা প্রকাশ্যে এল।

আরও পড়ুন: বিজেপির সভাপতি পদে বহাল রইলেন নাড্ডাই, শাহি ঘোষণার কারণ জানেন?

জীবনের আত্মসমর্পণে অসম মুখ্যমন্ত্রীর অবদান

জানা গিয়েছে, জীবন ও তাঁর অনুগামীদের আত্মসমর্পণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার। অসমের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা হিমন্ত গত এক বছর ধরেই শান্তি ফেরাতে কেএলও নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছিলেন। আত্মসমর্পণকারী কেএলও নেতাদের সঙ্গে শীঘ্রই অসমে শান্তি আলোচনা শুরু হবে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতরের একটি সূত্রের দাবি, জীবন ভারতে ফিরতে তৈরি- এই বার্তা পাঠানোর পরেই, অসম রাইফেলসের দল নাগাল্যান্ডের মন জেলায় পৌঁছে যায়। আর ওই এলাকাতেই অসম রাইফেলসের সামনে জীবনদের আত্মসমর্পণ করানো হয়।

প্রসঙ্গত, পৃথক কামতাপুর গড়ার দাবিতে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরেই সন্ত্রাস ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে কেএলওর বিরুদ্ধে। ২০০৩ সালে আলিপুরদুয়ার লাগোয়া ভুটানের জঙ্গলে ঘাঁটি গড়ে বসা কেএলও এবং তার সহযোগী সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে ‘অপারেশন অল ক্লিয়ার’ এবং ‘অপারেশন ফ্ল্যাশ আউট’ চালিয়েছিল ভারত ও ভুটান সেনা। আগেই জীবনের বোন, ভগ্নীপতি, সহ-সভাপতি হর্ষবর্ধন, সেনাধ্যক্ষ টম অধিকারী, কৈলাশ কোচের মত কেএলও-র শীর্ষ নেতারা আত্মসমর্পণ করেন। কিন্তু জীবন মায়ানমারে পালিয়ে গিয়ে নাগা জঙ্গিগোষ্ঠী এনএসসিএন (খাপলাং)-এর শিবিরে আশ্রয় নিয়েছিলেন। এর পর তাঁর আত্মসমর্পণের কথা প্রকাশ্যে এল। ফলে এখন প্রশ্নে উঠছে যে, এবার কি অস্ত্র ছেড়ে সাধারণ জীবনে ফিরতে চাইছেন তিনি?

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles