CJI DY Chandrachud: “অনার কিলিং- এর নামে প্রতিবছর এ দেশে শয়ে শয়ে মানুষ খুন হয়”, উদ্বেগ প্রকাশ প্রধান বিচারপতির

dy_chandrachud

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে অনার কিলিং- এর বাড়বাড়ন্ত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (CJI DY Chandrachud)। শনিবার একটি অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, “পরিবারের অমতে বিয়ে করার জন্য প্রতিবছর দেশে শত শত ছেলে-মেয়েকে হত্যা করা হয়। দেশে জাতিভেদ এখনও ভীষণভাবে প্রকট।”  

কী বলেন প্রধান বিচারপতি?

তিনি (CJI DY Chandrachud) আরও বলেন, “সচেতনতা তৈরি করেও অনার কিলিং যে রোখা যাচ্ছে না ভারতে। দেশ এগিয়ে গেলেও জাত-পাতের ভেদাভেদ যে এখনও মেটেনি। তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ অনার কিলিং। প্রতিবছরই ভারতের একাধিক জায়গায় অনার কিলিং- এর ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। পরিবারের অমতে গিয়ে ভিন জাতের ছেলেকে বিয়ে করে পরিবারের রোষের মুখে পড়ে মেয়েরা। যার পরিণতি মৃত্যু।” 

সম্প্রতি অনার কিলিংয়ের ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশে। কিছুতেই এই ধরনের ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (CJI DY Chandrachud)। তিনি বলেন, “এইসব মামলা কোর্ট পর্যন্ত গড়ালেও, শেষ পর্যন্ত বলি হয়ে যায় মেয়েরাই। যাঁরা এই ধরনের ঘটনা ঘটান তাঁরা আইন নিজের হাতে তুলে নেন।” 

প্রধান বিচারপতি (CJI DY Chandrachud) আরও বলেন, “আইন রক্ষায় পুলিশ প্রশাসন থাকলেও অনার কিলিংয়ের নামে প্রতিবছর যেভাবে একের পর এক হত্যার ঘটনা ঘটে তা আইনের রক্ষকদের প্রশ্নের মুখে ফেলে দেয়। কিছু মানুষ আইন হাতে তুলে নিতে ভালোবাসেন। তাঁদের কাছে পরিবারের সম্মান রক্ষার বিষয়টি এতটাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে যে তারা প্রাণ নিতেও পিছপা হয় না।”

আইন এবং নৈতিকতা- প্রসঙ্গে ভাষণে ১৯৯১ সালে একটি মার্কিন পত্রিকায় প্রকাশিত অনার কিলিং- এর ঘটনার উদাহরণ তুলে ধরেন তিনি (CJI DY Chandrachud)। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৫ বছরের একটি মেয়ে ২০ বছরের এক যুবকের সঙ্গে ঘর ছাড়েন। যুবকটি নিম্নবর্ণের ছিলেন। এর জেরেই গ্রামের উচ্চবর্ণের লোকেরা তাঁদের হত্যা করে। এই খুনকে ন্যায়সঙ্গত বলেও আখ্যা দিয়েছিলেন ওই উচ্চবর্ণের গ্রামবাসীরা। কারণ তাঁরা মনে করতেন সামাজিক আচরণবিধি মেনে এই কাজ করা হয়েছিল। 

আরও পড়ুন: হিজাব বিরোধী আন্দোলনের সমর্থনে শাস্তি! গ্রেফতার অস্কারজয়ী সিনেমার অভিনেত্রী

তিনি (CJI DY Chandrachud) আরও বলেন, “দলিত সম্প্রদায়কে সমাজের মূল স্রোত থেকে বিচ্ছি্ন্ন করতে পোশাককেও হাতিয়ার করা হয়েছে। ভারতের সংবিধানে সকলের সমান অধিকার। তারপরেও জাতিভেদ প্রথার মতো বিষয় রয়েছে এই দেশে। সংববিধান প্রদত্ত অধিকারকে সামাজিক নৈতিকতার দোহাই দিয়ে খর্ব করা যায় না।”

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

 
 

     

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share