Mumbai Murder: মুম্বাইয়ের একটি খুনের মামলায় ২০ বছর ধরে পলাতক অভিযুক্ত, আদতে তিনি ছিলেন জেলে

আদালত প্রসিকিউশনের মামলায় একাধিক অসঙ্গতির কথা উল্লেখ করেছে আদালত।
murder
murder

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০ বছর পর এক হত্যা রহস্যের পর্দা উন্মোচন হল। এতদিন ধরে নিখোঁজ ছিল ওই হত্যা মামলার (Mumbai Murder) মূল অভিযুক্ত। ১৯৯৯ সালের একটি হত্যা মামলায় ছোটা শাকিল গ্যাংয়ের একজন অভিযুক্ত শার্প শুটারকে ২০ বছর ধরে সনাক্ত করতে মুম্বাই পুলিশ নাকানি চোবানি খেয়েছে। এতদিন পরে জানা গেল সেই খুনি অন্য একটি মামলায় এতদিন ধরে জেলবন্দি ছিলেন।

মহারাষ্ট্র কন্ট্রোল অফ অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যাক্ট (MCOCA) মামলার বিশেষ বিচারক, এ এম পাতিল ৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৯ সালে বোম্বে আমান কমিটির সভাপতি ওয়াহিদ আলি খানকে হত্যার অভিযুক্ত মাহির সিদ্দিকীকে অন্য মামলায় মুক্তি দেন। 

আদালত প্রসিকিউশনের মামলায় একাধিক অসঙ্গতির কথা উল্লেখ করেছে আদালত (Mumbai Murder) । প্রসিকিউশন অনুসারে, সিদ্দিকী এবং আরও একজন অভিযুক্ত ১৯৯৯ সালের জুলাই মাসে  মুম্বাইয়ের এল টি মার্গ এলাকায় তার বাড়ির কাছে খানকে গুলি করে হত্যা করেছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। অপরাধ করার পর দুজনেই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

২০১৯ সালের মে মাসে, পুলিশ সিদ্দিকীকে খুঁজে বের করে এবং তাঁকে গ্রেফতার (Mumbai Murder) করে। তারা তাঁর বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ পেয়েছে এবং এর মাধ্যমে তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে। তদন্তে পুলিশ সিদ্দিকী ও ছোট শাকিলসহ ছয়জনের জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে। তাঁরা এও জানতে পেরেছেন যে, ছো্টা শাকিলের নির্দেশেই এই অপরাধ সংঘটিত হয়েছিল। 

আদালত জানায়, সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করার সময় সময় প্রসিকিউশন (Mumbai Murder) দাবি করেছিল যে ঘটনার তারিখ থেকে গ্রেফতার হওয়া পর্যন্ত তিনি পলাতক ছিলেন।
কিন্তু তিনি ২০১৪ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে অন্য একটি মামলায় বিচারাধীন বন্দী ছিলেন। তাঁকে সিআইডি গ্রেফতার করেছিল। এরপর কারাগারে থাকা  অবস্থায় পুলিশ কীভাবে তাঁকে খুঁজে বের করতে পারল না, সেই প্রশ্ন করে আদালত।

বিচারক বলেন, "পুলিশ তাঁকে খুঁজে বের করতে ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু তাঁরা তো পলাতক আসামি এবং ইউটিপি (আন্ডারট্রায়াল বন্দী) এর রেকর্ড বজায় রাখে। এটি একটি অপ্রত্যাশিত ঘটনা।"

আরও পড়ুন: দিল্লি-জয়পুর এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী, জানুন বিস্তারিত

প্রসিকিউশনের মামলার অসঙ্গতিগুলিকে আরও স্পষ্ট করে (Mumbai Murder) তুলে ধরে আদালত বলে, কোনও প্রত্যক্ষদর্শী মৃত ব্যক্তির উপর গুলি চালানোর সময় অভিযুক্তকে দেখেছেন বলে দাবি করেননি। তথ্যদাতার সাক্ষ্যতেও অনেক অসঙ্গতি পাওয়া গিয়েছে বলে আদালত তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে।

আদালত আরও বলেন, "উপরের আলোচনা বিবেচনা করে, এটা নিশ্চিতভাবে বলা যেতে পারে যে প্রসিকিউশন যুক্তিসঙ্গত সন্দেহের বাইরে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।"

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।


   

   

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles