মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের সীমান্ত (Bangladesh Border) বরাবর অঞ্চলে মুসলিম (muslim) জনসংখ্যা (population) লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় এই জনসংখ্যা বিস্ফোরণ রীতিমতো চোখে পড়ার মতো। নিউ জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি, ইসলামপুর, মালদা টাউন, মুর্শিদাবাদ – শহর থেকে গ্রাম, সর্বত্রই ফুটে উঠছে এই ছবি। সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে এখানে ডেরা বাঁধছে প্রচুর মুসলিম। নানান উপায়ে বর্ডার ক্রস করে তারা চলে আসছে এপারে। তারপর কয়েক বছর থাকার পর এখানকারই বাসিন্দা হয়ে যাচ্ছে। কোণঠাসা হয়ে পড়ছে স্থানীয় হিন্দুরা। অনুপ্রবেশের (infiltration) ফলে বদলে যাচ্ছে এলাকায় এলাকায় জনসংখ্যার বাস্তব চিত্র (demography)।
শুধু কোণঠাসা হয়ে পড়াই নয়, একসময় প্রাণের ভয়ে এখানকার হিন্দুরা চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন কোনও নিরাপদ স্থানে। বাংলাদেশ থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীদের দৌরাত্ম্যে বাধ্য হয়েই নিজভূমে তাঁরা পরবাসী হয়ে যাচ্ছেন। উদ্বাস্তু হয়ে আসা মুসলিমরা প্রথমে ভাগচাষী হয়ে কাজ শুরু করছে। অনেকে কাজ নিচ্ছে হিন্দু বাড়িতে। তারপর তিন চার বছর যাওয়ার পর অন্য মূর্তি ধারণ করছে । সংখ্যাধিক্যের সুযোগ নিয়ে মনিবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে কসুর করছে না তারা । অশান্তির জেরে বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে অনেক হিন্দু পরিবার। এমনকি জলের দরে বিক্রি করে দিচ্ছে নিজেদের বাস্তু ভিটে, চাষের জমি।
এভাবেই ডেমোগ্রাফি (demography) বা জনসংখ্যার স্ট্যাটিসটিক্স বদলে গেছে ঝাড়খন্ডের ৫ জেলায়। গত তিন দশক ধরে সেখানে বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেছে নজিরবিহীন ভাবে। একই ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশেও। সেখানে ১৬টি জেলার ডেমোগ্রাফি বদলে গেছে। জনসংখ্যার নিরিখে বিহারের ৮টি জেলায় মুসলিম আধিক্য বেশি হয়ে গেছে। আর অনুপ্রবেশের ফলে পশ্চিমবঙ্গে এই সংখ্যাটা রীতিমতো উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। এরাজ্যের ১৪টি জেলায় অনুপ্রবেশের ফলে জনসংখ্যার পরিসংখ্যান বদলে গেছে। এবং ধীরে ধীরে এই সব এলাকা নানা দেশদ্রোহী কার্যকলাপের (jihad) আখড়া হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ উঠছে।
আরও পড়ুন: ভারত সফর শুরুর আগেই মোদির ভূয়সী প্রশংসা হাসিনার গলায়, কেন জানেন?
বাংলাদেশ লাগোয়া এরাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকার বহু গ্রামে এখন মুসলিমদের বাস ৭০ শতাংশ। হিন্দুরা সেখানে মাত্র তিরিশ শতাংশ। গ্রামে বসবাস করলেও অনেক মুসলিমই বিলাসবহুল জীবন যাপন করেন। সেখানে তৈরি হয়েছে প্রচুর মাদ্রাসা, নার্সিং ও ফার্মা কলেজ। বাংলাদেশ লাগোয়া এই ঝাঁ চকচকে প্রতিষ্ঠানগুলির দিকে তাকালে তাক লেগে যাবে। কোথা থেকে এত টাকা আসছে, তা নিয়ে নজরদারি নেই প্রশাসনের। জানা যাচ্ছে, সীমান্ত লাগোয়া এইসব স্থানে পুলিশ-প্রশাসনেও মুসলিম আধিক্য বেশি। ফলে স্থানীয়দের সঙ্গে প্রশাসনের একটা গোপন আঁতাঁতের অভিযোগ উঠছে বেশ কিছুদিন ধরেই। এমনকি বেশ কিছু মাদ্রাসায় অবৈধ কাজকর্ম চলে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এই সব এলাকা থেকে প্রতি বছর ৫০ জন যুবক সৌদি আরবে ধর্মীয় পাঠ পড়তে যান। বেশিরভাগই ইমাম বা বুখারি হয়ে ফিরে আসেন। এখানে মাদ্রাসায় তাঁরা শিক্ষকতা করেন। প্রচার করেন তাঁদের ভাবনা। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এখানে টাকা আসে। টাকা আসে সৌদি আরব থেকে। আবার সরকারের সমস্ত সুযোগ সুবিধাও ভোগ করে এই মাদ্রাসাগুলি।
এলাকায় গেলেই বোঝা যাবে, মেয়েদের মধ্যে বিজ্ঞান পড়ার ঝোঁক বাড়লেও, মুসলিম যুবকদের মধ্যে উগ্র মৌলবাদ মাথাচাড়া দিচ্ছে।
এই উগ্র মৌলবাদী চিন্তাধারা এখানকার অনেক যুবককেই ঠেলে দিচ্ছে দেশদ্রোহিতার পথে। তারা যোগ দিচ্ছে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে। বিভিন্ন নাশকতার ঘটনার সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাচ্ছে তারা। এই মৌলবাদী ভাবধারার পাশাপাশি এক শ্রেণির মুসলিম আটকে আছেন তাঁদের সাবেকি চিন্তাধারা নিয়ে। অনেক মুসলিমই এখানে দু-তিনটি বিয়ে করেছেন। তাঁদের বহু সন্তান। এক মুসলিম তো বলেই ফেললেন, তাঁদের সমাজে কম সন্তান হওয়া মানে গুণাহ বা অপরাধ। মুসলিম মহিলাদের সঙ্গে কথা বললে তাঁরা জানাচ্ছেন, এটাই তাঁদের রীতি। ফলে আধুনিক চিন্তাধারা এখানে পৌঁছচ্ছে না। বরং বেশ কিছু মাদ্রাসায় যেভাবে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে, সেভাবেই ধ্যান ধারণা তৈরি হচ্ছে স্থানীয়দের মধ্যে। এভাবেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মুসলিম জনসংখ্যা। সাহায্য আসছে আরব সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে। নিঃশব্দেই বাড়ছে মুসলিম আধিপত্য। আর ক্রমশ অসহায় হয়ে পড়ছেন সীমান্ত লাগোয়া বসবাসকারী অসংখ্য হিন্দু পরিবার।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
Leave a Reply