Narendra Modi: ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর লক্ষ্যে কাজ করে যান! বিজেপির প্রতিষ্ঠা দিবসে বার্তা মোদির

সমুদ্রের মতো বিশাল প্রতিবন্ধকতা যে ভারত পার করতে সক্ষম, তা তাঁর সরকারের আমলেই গোটা বিশ্ব জানতে পেরেছে বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী
-modi_625x300_06_April_23
-modi_625x300_06_April_23

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারা দেশে একটা নতুন পলিটিক্যাল কালচার নিয়ে এসেছে ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP)। মহিলা, যুবরা বিজেপি-র প্রতি ভরসা রেখে সকলের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলছে। 'এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত'-এর স্বপ্নকে সফল করতে মরিয়া বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। ভারতীয় জনতা পার্টির ৪৪তম প্রতিষ্ঠা দিবসে একথাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)।

পবনপুত্র হনুমানের প্রসঙ্গ

পবনপুত্র হনুমানের প্রসঙ্গ তুলে এদিন প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) বলেন, পরিবারবাদ থেকে শুরু করে দুর্নীতি বা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, যেখানে কঠোর হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে, সেখানে কড়া পদক্ষেপ করবে তাঁর সরকার। বৃহস্পতিবার দলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে দীর্ঘ ভাষণ দেন মোদি। সেখানে বারবার রামায়ণ ও হনুমানের প্রসঙ্গ তোলেন তিনি। পাশাপাশি হনুমান জয়ন্তীর জন্য দলের কর্মী-সমর্থকদের থেকে শুরু করে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী। দলের প্রতিষ্ঠা দিবসের ভাষণে তিনি বলেন, "হনুমানজীর মধ্যে অসীম শক্তি ছিল। কিন্তু তাঁকে মনে করিয়ে না দিলে সেই শক্তি ব্যবহার করতে পারতেন না তিনি। ২০১৪-র আগে ভারতের অবস্থাও ছিল ঠিক তেমনই।" সমুদ্রের মতো বিশাল প্রতিবন্ধকতা যে ভারত পার করতে সক্ষম, তা তাঁর সরকারের আমলেই গোটা বিশ্ব জানতে পেরেছে বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি হনুমানজীর উদাহরণ দিয়ে পার্টি কর্মীদের নিঃস্বার্থভাবে জনগণের জন্য কাজ করতে বলেছেন তিনি।

বদলা হুয়া ভারত

এদিন রাজ্য বিজেপি কার্যালয়ে পতাকা উত্তোলন করেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বৃহস্পতিবার বেলা ১০টায় গোটা দেশের বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের জন্য বার্তা দেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। মুরলীধর সেন লেনের বিজেপি পার্টি অফিস থেকে বসে সেই ভাষণ শোনেন সুকান্ত মজুমদার সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্ব। মুরলীধর সেন লেনে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘কোভিডের পর মোদিজির সিদ্ধান্ত যে কত ভাল ছিল, সেটা মানুষ আজ বুঝছে। এই প্রথম, আমেরিকার থেকে আমাদের মুদ্রাস্ফীতি কম। মোদির নেতৃত্বে এখন এটা বদলা হুয়া ভারত’।

কাশ্মীরে ৩৭০ এখন ইতিহাস

২০১৪-য় শুধু সরকার বদল হয়নি। ভারতের মানুষ ভারতের পুনর্জাগরনের শঙ্খনাদ করেছে বলেও জানিয়েছেন মোদি (Narendra Modi)। তাঁর কথায়, ৪৭ সালে ইংরেজ চলে গিয়েছিল, কিন্তু কিছু মানুষের মধ্যে তাঁদের মানসিকতাকে রেখে গিয়েছিল। কিছু মানুষ এই দেশের সত্তাকে নিজেদের পারিবারিক হক ভাবতেন। দেশের মানুষকে বঞ্চিত করে গিয়েছেন, বছরের পর বছর। মোদি জানিয়েছেন, ‘আমি যখন লালকেল্লা থেকে স্বচ্ছ ভারতের কথা বলেছিলাম, তখন কী কী না বলেছিল। আমি যখন ডিজিটাল ইন্ডিয়ার কথা বলেছিলাম, তখন এরা পুরো শক্তি প্রয়োগ করে মানুষের মধ্যে ভ্রান্তি বাড়িয়ে দিয়েছিল’। কাশ্মীরের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাদশাহী মানসিকতার মানুষেরা কখনও ভাবেননি আর্টিকল ৩৭০ ইতিহাস হয়ে যাবে। কাশ্মীর, উত্তরপূর্বে শান্তি থাকবে। তিনি বলেন, বিরোধীরা বিজেপিকে ঠেকাতে না পেরে মিথ্যার পর মিথ্যা বলে যাচ্ছেন। 

আরও পড়ুন: 'আপনি আমাকে ভুল প্রমাণিত করলেন...' ! প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতঙ্গ শিল্পী রশিদ আহমেদ কাদরি

নয়া ইনোভেশনকে আনতে হবে

মোদি (Narendra Modi) এদিন আরও বলেন, "৬-৭ বছর বাদে ভারতীয় জনতা পার্টির ৫০ বছর পূর্ণ হবে। তখন পার্টির রূপ কি হবে, পার্টির লক্ষ্য কী হবে তা এখন থেকেই স্থির করতে হবে। নয়া ইনোভেশনকে আনতে হবে। নতুন ভাবতে হবে। আমার পরামর্শ হল, আমরা পার্টিতে টেকনোলজি আনতে পারি। আমরা টেকনোলজি সেল তৈরি করতে পারি সব জায়গায়। টেকনোলজিতে এক্সপার্ট ছেলেদের যুক্ত করি যাতে তাঁরা নতুন নতুন টেকনোলজির খোঁজ দিতে পারেন আমাদের। কীভাবে সেই টেকনোলজি সাধারণের কাছে পৌঁছনো যায়, সেটার ব্যবস্থা করতে হবে।"

ইন্টেলেকচুয়াল সেল তৈরি করতে হবে

মোদি (Narendra Modi) আরও জানিয়েছেন, "আমার ইচ্ছা যুব, মহিলা কর্মীরা অন্য দেশের রাজনীতিকদের সঙ্গে দেখা করুন। আইডিয়া শেয়ার করুন। সাংসদদের অনুভব যাতে কার্যকর্তাদের সঙ্গে বেশি ভাগ করে নিতে পারেন, সেটা দেখতে হবে। আমাদের ফিউচার রেডি হতে হবে। নতুন ইন্টেলেকচুয়াল সেলও তৈরি করা যেতে পারে। বিদগ্ধ মানুষদের নিয়ে সেমিনার করা যেতে পারে। লোকে এখন থেকেই বলছেন ২০২৪ সালে বিজেপি-কে কেউ হারাতে পারবে না। সেটা ঠিক। কিন্তু আমাদের সব মানুষের মন জিততে হবে। শুধু ভোটে জিতলেই হবে না। মানুষের মনও জিততে হবে।" তাঁর কথায়, "পার্টি প্রতিষ্ঠার শুরুর দিনগুলিতে অনেক কিছুই অজানা ছিল। কিন্তু গণতন্ত্রের প্রতি আমাদের আস্থা ছিল। দিনকে দিন সেই আস্থা আরও দৃঢ় হচ্ছে। দেশের গণতন্ত্র ও সংবিধানকে মজবুত করে যাচ্ছে বিজেপি।"

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles