Kerala NEET innerwear row: অন্তর্বাস খুলতে বাধ্য করা হয়েছিল, সেই ছাত্রীদের ফের নীট পরীক্ষায় বসার সুযোগ দিল এনটিএ 

NEET

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছর নীট পরীক্ষার (NEET 2022) সময় বিতর্কে উত্তাল হয় কেরল (Kerala)। পরীক্ষার্থীদের অন্তর্বাস (Innerwear) খুলতে বাধ্য করার অভিযোগ ওঠে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই দেশ জুড়ে বিতর্ক দেখা দেয়। রাজ্য সরকারের তরফে কেন্দ্রীয় মন্ত্রকে অভিযোগও জানানো হয়েছিল। এবার সেই ঘটনায় নতুন করে পরীক্ষায় বসার সুযোগ পাচ্ছেন সেই ছাত্রীরা।  আগামী ৪ সেপ্টেম্বর অভিযোগকারী পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির (NTA) তরফে। ইতিমধ্যে ওই পরীক্ষার্থীদের মেলও পাঠানো হয়েছে। 

আরও পড়ুন: ১১ সেপ্টেম্বর জেইই অ্যাডভান্সডের ফল প্রকাশ করবে আইআইটি বম্বে, জানুন বিস্তারিত আরও পড়ুন: ১১ সেপ্টেম্বর জেইই অ্যাডভান্সডের ফল প্রকাশ করবে আইআইটি বম্বে, জানুন বিস্তারিত

চলতি বছর জুলাই মাসে কেরলের কোত্তারাকারা থানায় এক ব্যক্তি অভিযোগ দায়ের করেন। সেখানে ওই ব্যক্তি জানান, ন্যাশনাল এলিজিবিটি এন্ট্রান্স টেস্টের জন্য পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার আগে তাঁর মেয়ে সহ বেশ কয়েকজন ছাত্রীকে অন্তর্বাস খুলতে বাধ্য করা হয়। ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি এই পরীক্ষা পরিচালনার দায়িত্বে ছিল। তাদের তরফে প্রথমে বলা হয়, ইমেল মারফৎ পরীক্ষায় বসার জন্য পোশাকবিধির কথা স্পষ্ট করা হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও ওই ছাত্রী পোশাক বিধি মেনে চলেনি। মেটাল ডিরেক্টরে ধাতব অস্তিত্ব ধরা পড়ে। যদিও পরে জানা যায় অন্তর্বাসের হুক মেটাল ডিরেক্টরে চিহ্নিত হয়েছিল। পরীক্ষা পরিচালনকারী সংস্থা নিরাপত্তার আশঙ্কা করে ওই ছাত্রীদের অন্তর্বাস খুলতে বাধ্য করে। শুধু তাই নয়, পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর বেরনোর সময় তাঁদের অন্তর্বাস পরার সুযোগও দেওয়া হয়নি, হাতে নিয়েই বেরিয়ে যেতে হয়। কেরলের কোল্লাম জেলায় ছিল এই পরীক্ষা কেন্দ্রটি। ওই পরীক্ষার্থীদের দাবি ছিল, অন্তর্বাস খুলে পরীক্ষা দিতে বাধ্য করায় অস্বস্থিতে পড়তে হয়েছিল তাঁদের। মন দিয়ে পরীক্ষা দিতে পারেননি তাঁরা। 

আরও পড়ুন: পড়ুয়ারা পড়বে দেশের সেনা জওয়ানদের বীরত্বের কাহিনী, জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান

ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ ধারা অনুসারে মহিলাদের শালীনতা ক্ষুন্ন করার উদ্দেশে আক্রমণ বা বলপ্রয়োগ, ৫০৯ ধারা অনুসারে মহিলাদের অপশব্দপ্রয়োগ বা অঙ্গভঙ্গি -এর অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। ঘটনায় সাত জনকে গ্রেফতার করে কেরল পুলিশ। তার মধ্যে পরীক্ষাকেন্দ্র কলেজের দুই কর্মী ও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সংস্থার তিন কর্মী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। পরে প্রত্যেকেই জামিন পেয়ে যান। তবে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই দেশজুড়ে প্রবল বিতর্কের সৃষ্টি হয়। ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে এনটিএ।  

ঘটনায় তৎপর হয় জাতীয় মহিলা কমিশন ও শিশু সুরক্ষা কমিশনও। কমিশনের তরফে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পরে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির তরফে কমিটি গঠন করে পুরো ঘটনার তদন্ত করা হয়। তদন্ত শেষে এবার পরীক্ষার ব্যবস্থা করল এনটিএ।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

 
 
Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share