Telescope: একযোগে বিশ্বের ৮টি দেশ মিলে তৈরি করছে সবচেয়ে শক্তিশালী টেলিস্কোপ, জানুন বিস্তারিত

এবার  বিশ্বের সবচেয়ে বড় টেলিস্কোপ (Telescope) নির্মাণের কাজ শুরু করেছে ব্রিটেনের দ্য স্কয়ার কিলোমিটার অ্যারে (এসকেএ) অর্গানাইজেশন
SKA1-920
SKA1-920

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাবিশ্বের রহস্য উন্মোচনে সব দেশই কমবেশি চেষ্টা চালাচ্ছে। সাফল্যও এসেছে বড় বড়, ১৯৬৯ সালে পৃথিবীর প্রথম দেশ হিসাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চাঁদে মানুষ পাঠিয়েছে। মঙ্গলে ঘুরছে রোভার, ২০২৮ সালের মধ্যে চাঁদে বসতি তৈরির চিন্তা করছে চিন। এবার  বিশ্বের সবচেয়ে বড় টেলিস্কোপ (Telescope) নির্মাণের কাজ শুরু করেছে ব্রিটেনের দ্য স্কয়ার কিলোমিটার অ্যারে (এসকেএ) অর্গানাইজেশন। টেলিস্কোপের নামও রাখা হয়েছে সংস্থার নামে-দ্য স্কয়ার কিলোমিটার অ্যারে। এই বড় টেলিস্কোপ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার সীমান্ত অঞ্চল মুর্চিসন শায়ারে এবং দক্ষিণ আফ্রিকার উত্তর কেপের কারোতে। মুর্চিসন শায়ারে হচ্ছে স্বল্প তরঙ্গের এসকেএ-১। কারোতে মাঝারি তরঙ্গের এসকেএ-২। দুই স্থানেই এদিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রকল্পে অংশগ্রহনকারী ৮ দেশের প্রতিনিধিরা।

আরও পড়ুন: ব্রহ্মাণ্ডের আদি ছায়াপথগুলির তথ্য দেবে ভারতের ‘সারস’

টেলিস্কোপ (Telescope) সম্পর্কে আরও কিছু কথা

শক্তিশালী এই টেলিস্কোপটির (Telescope) নির্মাণকাজ  ২০২৮ সালে শেষ হবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।  ব্রিটেন থেকেই এই প্রকল্পের যাবতীয় সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে , খবর পাওয়া যাচ্ছে। বিজ্ঞানীদের ধারণা পৃথিবীর বর্তমান টেলিস্কোপগুলোর (Telescope) চেয়ে ১০ হাজার গুণ কম সময়ে মহাকাশের জটিল সমীকরণের সমাধান করতে পারবে এসকেএ। পৃথিবী থেকে কোটি কোটি আলোকবর্ষ দূরের মহাজাগতিক উৎস থেকে আসা অতি ক্ষীণ রেডিও সংকেত ‘বিগ ব্যাং’র প্রথম কয়েকশ মিলিয়ন বছরে নির্গত সংকেত কিংবা মহাবিশ্বের সবচেয়ে প্রাচুর্যের উপাদান হাইড্রোজেনের ইতিহাস-সবই চলে আসবে হাতের মুঠোয়।  স্কয়ার কিলোমিটার অ্যারে অর্গানাইজেশনের পরিচালক অধ্যাপক ফিল ডায়মন্ড বলেন, ‘এ যাত্রা দীর্ঘ ৩০ বছরের। প্রথম ১০ বছর কেটেছে পরিকল্পনায়। দ্বিতীয় ১০ বছর কেটেছে  প্রযুক্তিগত উন্নয়নে। শেষ দশক কেটেছে সরকারি অনুমোদন, তহবিল সংগ্রহে।

টেলিস্কোপের (Telescope) প্রাথমিক স্থাপত্যটিতে ২০০টি প্যারাবোলিক অ্যান্টেনা থাকবে। সেসঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা হবে ১৩১,০০০টি ডাইপোল। এটি দেখতে কিছুটা ক্রিসমাস ট্রির মতো লাগবে। সিস্টেমটি ৫০ মেগাহার্টজ থেকে ২৫ গিগাহার্টজ পর্যন্ত কাজ করবে।  প্রকল্পটির বর্তমান সদস্যরা হল-দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, চীন, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, পর্তুগাল এবং সুইজারল্যান্ড।  ফ্রান্স, স্পেন এবং অতি সম্প্রতি জার্মানি যোগদান দেবে বলে শোনা যাচ্ছে। কানাডা, ভারত, সুইডেন, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানও যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles