Blog

  • PM Modi On Vande Mataram: ‘বন্দে মাতরম বহু প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছে, ঐক্যের মন্ত্র এই স্লোগান’, সংসদে বললেন মোদি

    PM Modi On Vande Mataram: ‘বন্দে মাতরম বহু প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছে, ঐক্যের মন্ত্র এই স্লোগান’, সংসদে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার ‘বন্দে মাতরম’ নিয়ে সংসদে শুরু হয়েছে বিশেষ আলোচনা। আর সেখানে বক্তব্যের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi On Vande Mataram) বক্তব্যে উঠে এল বাংলা এবং বাঙালির কথা। তাঁর বক্তব্যে একদিকে যেমন বঙ্গভঙ্গের সময় বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অবদানের কথা উঠে এল, একইসঙ্গে জায়গা পেল মাস্টারদা সূর্য সেন, ক্ষুদিরাম বোস-সহ একাধিক বিপ্লবীর কথাও। তিনি বলেন, “ইংরেজদের হাতিয়ার ছিল বাংলা। আর এই বাংলা থেকেই প্রথম বিভাজনের রাজনীতি শুরু করেছিল ওরা। কিন্তু ইংরেজদের ইটের জবাব বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় পাথরে দিয়েছিলেন।” সোমবার সংসদ অধিবেশনের শুরুতে ‘বন্দে মাতরম’-এর উপর বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই গানের ইতিহাস তুলে ধরার পাশাপাশি স্বাধীনতা আন্দোলনে এই গীতের গুরুত্ব তুলে ধরেন।

    ‘বন্দে মাতরম’ ছিল স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রাণ

    লোকসভার অধিবেশনে এদিন জাতীয় গান ‘বন্দে মাতরম’ রচনার ১৫০ বছর পূর্তি সংক্রান্ত বিতর্কের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। বিজেপির অভিযোগ, ১৮৭৫ সালে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা ‘বন্দে মাতরম’-এর গুরুত্বপূর্ণ কিছু অংশ বাদ দিয়ে দেয় তৎকালীন কংগ্রেস সরকার। সেই নিয়েই আজ, সোমবার লোকসভায় আলোচনা শুরু হয়েছে। এই আলোচনার জন্য ১০ ঘণ্টা সময় নির্দিষ্ট করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জাতীয় গান ‘বন্দে মাতরম’ ছিল স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রাণ, মূল মন্ত্র। আমাদের স্বাধীনতার মন্ত্র ছিল, বলিদানের মন্ত্র ছিল বন্দে মাতরম। এটা ত্যাগের মন্ত্র, সঙ্কট মোকাবিলার মন্ত্র।” বন্দেমাতরমের আবেগ ও বাংলার স্বাধীনতা আন্দোলনের গৌরবময় অধ্যায়কে স্মরণ করিয়ে মোদি বলেন, “১৯০৫ সালে হরিপুরের গ্রামে শিশুরা বন্দে মাতরম স্লোগান দিচ্ছিল। ইংরেজরা তাদের বেধড়ক মারধর করেছিল। কি অসংখ্য মানুষ বন্দে মাতরম স্লোগান দিয়ে ফাঁসিকে বরণ করেছিলেন। মাস্টারদা সূর্যসেনকে ১৯৩৪-এ ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় সূর্যসেন চিঠি লিখেছিলেন, তাতে একটাই শব্দ ছিল বন্দে মাতরম।”

    বাংলার বৌদ্ধিক শক্তি দেশকে পরিচালনা করেছিল

    মোদি বলেন, “ব্রিটিশরা বুঝতে পেরেছিল যে ১৮৫৭ সালের পর ভারতকে নিয়ন্ত্রণ করা তাদের পক্ষে কঠিন। তারা জানত, ভারত ভাগ করে জনগণকে একে অপরের সঙ্গে লড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করা কঠিন। তাই তারা দেশ ভাগ করে শাসন করার সিদ্ধান্ত নেয়, বাংলাকে তাদের পরীক্ষামূলক কেন্দ্র করে তোলে। সেই দিনগুলিতে বাংলার বৌদ্ধিক শক্তি দেশকে পরিচালনা করেছিল। তারা জানত যদি তারা বাংলাকে ভেঙে দিতে পারে, তাহলে তারা দেশ ভেঙে যাবে। কিন্তু সেই সময়ে, এই রাজ্য থেকে উদ্ভূত বন্দে মাতরম ধ্বনি তাদের কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে ওঠে। বঙ্গভঙ্গের সময়ে প্রতিদিন বন্দে মাতরম স্লোগান দিয়ে প্রভাত ফেরি বের হতো। বাংলার অলিতে গলিতে এই গান গাওয়া হতো। ঐক্যের শক্তি জুগিয়েছিল এই গান।”

    ‘বন্দে মাতরম’ কে টুকরো করেছিল কংগ্রেস

    মোদি কংগ্রেসকে আক্রমণ শানিয়ে বলেন, “বঙ্কিমচন্দ্র যে বন্দে মাতরম লিখেছেন, সেটা অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়েছে। ১৯০৫ সালে মহাত্মা গান্ধী বন্দে মাতরমকে জাতীয় স্লোগান হিসেবে দেখেছিলেন। ইতিহাস সাক্ষী, মুসলিম লিগের সামনে আত্মসমর্পণ করে কংগ্রেস। কংগ্রেসের তুষ্টিকরণের রাজনীতির এটা একটা কৌশল ছিল।” বন্দে মাতরম প্রসঙ্গে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুকেও আক্রমণ করেছেন মোদি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জিন্নাহর বন্দে মাতরমের বিরোধিতার পর সুভাষ চন্দ্র বসুকে একটি চিঠি লিখেছিলেন পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু। যেখানে তিনি বলেছিলেন যে, তিনি বন্দে মাতরমের পটভূমি পড়েছেন এবং ভেবেছিলেন এটি মুসলমানদের উত্তেজিত এবং বিরক্ত করতে পারে। বাংলায় প্রথম বঙ্কিমচন্দ্রের বন্দে মাতরম স্লোগান ব্যবহার করে তার প্রতিক্রিয়া দেখতে চেয়েছিলেন।’ নেহরুর এই বয়ান আদতে বন্দে মাতরমের আত্মার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা বলে অভিহিত করেন প্রধানমন্ত্রী। মোদির বক্তব্য, নেহরুর এমন বয়ান বন্দে মাতরমের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।”

    ‘বন্দে মাতরম’ এর গৌরব পুনরায় স্থাপন করতে হবে

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ বন্দে মাতরম-এর গৌরব পুনরায় স্থাপন করার সময় এসেছে। কংগ্রেস এখনও বন্দে মাতরমকে অপমান করছে।” একই সঙ্গে তাঁর বক্তব্য, প্রথমে বন্দে মাতরমকে ভাঙা হয়েছে। আর তার পরেই ভারত ভেঙেছে। নাম না করে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকেও আক্রমণ করেছেন মোদি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “১৯৭৫ সালে বন্দে মাতরমের ১oo বছর পূর্তিতে সংবিধানকে রুদ্ধ করা হয়েছিল।” মোদি জানান, তাঁদের সরকার বন্দে মাতরমের মাহাত্ম্যকে পুনরুদ্ধার করতে চায়। তাঁর কথায়, “ ১৯৪৭ সালে স্বাধীন হওয়ার পর দেশের সামনে চ্যালেঞ্জ বেড়েছে। কিন্তু স্বাধীনতার পরও বন্দে মাতরম সঙ্কটের সময় প্রেরণা যুগিয়েছে। বন্দে মাতরম বহু প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও অনুপ্রাণিত করবে।”

  • Lok Sabha: কাজের সময় পেরিয়ে গেলে অফিসের ফোন কল বা ইমেল আর নয়! লোকসভায় পেশ বিল

    Lok Sabha: কাজের সময় পেরিয়ে গেলে অফিসের ফোন কল বা ইমেল আর নয়! লোকসভায় পেশ বিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাজের সময় পেরিয়ে গেলে অফিসের ফোন কল বা ইমেল (No Calls emails after work) আর নয়। কর্মীদের স্বার্থের কথা ভেবে লোকসভায় (Lok Sabha) পেশ হল নতুন বিল। প্রায় সময়েই শুনতে দেখা যায়, অফিসের সময়ের পরেও বাড়িতে কর্মক্ষেত্র থেকে ফোন আসে বা ইমেল আসে। সঙ্গে সঙ্গে কাজের রিপোর্ট বিষয়ে যোগাযোগ করতে বলা হয়। অবশ্য অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কর্মীরা কোম্পানি বা সংশ্লিষ্ট দফতরের ব্যবস্থাপনার আচরণে অস্বস্তি প্রকাশ করেন। একে দফতরে কাজের চাপ, অপর দিকে অফিস সময়ের পরেও বাড়িতে বা ছুটিতে কাজ সংক্রান্ত ইমেল বা কল সত্যই কর্মীদের কাছে সমস্যার বিষয়। মানসিক ভাবে মনকে খুব বিচলিত করে। তাই কর্মীদের স্বার্থে “রাইট টু ডিসকানেক্ট বিল ২০২৫” পেশ করেছেন লোকসভার বিরোধী দলের সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে। লোকসভার শীতকালীন অধিবেশনে এই বিল তুলে ধরা হয়েছে।

    বিলে কী বলা হয়েছে (Lok Sabha)?

    রাষ্ট্রবাদী কংগ্রেস বা এনসিপির সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে প্রাইভেট মেম্বার হিসবে বিল পেশ করেছেন। বিলে (Lok Sabha) বলা হয়েছে, “অফিস আওয়ারের কাজ শেষ হলে কোনও কর্মীদের যাতে ফোন ধরতে বা ইমেল না দেখতে হয় সেই অধিকারকে সুনিশ্চিত করা হোক। অফিসের কাজ শেষ হলে কর্মীদের ব্যক্তিগত সময় শুরু হয়। ছুটির দিন কর্মীদের সম্পূর্ণ সময় ব্যক্তিগত। আর এই সময়ে ফোন না ধরার বা ইমেল না দেখার অধিকার রয়েছে। এবার এই বিলে কর্মীদের (No Calls emails after work) অধিকারের স্বার্থকে নিশ্চিত করতে হবে। মানসিক চাপ দেওয়া যাবে না ।”

    সরকার পক্ষ সাধারণত বিল আনে

    উল্লেখ্য, ভারতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ এবং নিম্নকক্ষের যে কোনও সাংসদ যদি মনে করেন কোনও বিষয়ে বিল (Lok Sabha) নিয়ে আসা যেতে পারে, তাহলে সেই সংক্রান্ত বিল পেশ (No Calls emails after work) করতে পারেন। তবে সাংসদরা দল বিশেষে জনমতের উপর নির্ভর করে বিলের প্রস্তাব করতে পারেন। ফলে সরকার পক্ষ বা বিরোধী পক্ষের যে কোনও সাংসদ বিল উত্থাপনের অধিকার রাখেন। কিন্তু সাধারণত সরকার পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলিই বিল বেশি নিয়ে আসে। বিলে জবাবের প্রেক্ষিতে গ্রহণ বা প্রত্যাখান হয়। লোকসভা এবং রাজ্যসভা উভয়ের সদস্যরাই এমন বিষয়ে বিল পেশ করতে পারেন, যেগুলি তাঁদের মতে সরকারি আইন প্রণয়নের পক্ষে প্রয়োজন বলে মনে করেন। তবে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই, প্রস্তাবিত আইনের প্রতি সরকারের সাড়া পাওয়ার পর বেসরকারি সদস্য বিল প্রত্যাহার করা হয়।

    অস্ট্রেলিয়ায় পাশ হয়েছে বিল

    অস্ট্রেলিয়া গত বছর রাইট টু ডিসকানেক্ট আইন (No Calls emails after work) পাশ হয়েছে। এবার ভারতেও কর্মজীবনের ভারসাম্যের ওপর নির্ভর করে নতুন করে জোর দেওয়া হয়েছে। যেখানে পুনের ইওয়াই কর্মীর মৃত্যুর পর দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করার ঘটনায় উদ্বেগ বেড়ে গিয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ান এই আইন কর্মীদের কাজের সময় শেষ হয়ে গেলে ফোন কল বা ইমেলকে প্রত্যাখ্যান করার অনুমতি দেয়। এই আইন ডিজিটাল মার্কেটিং এবং পরিমণ্ডলে একটি গুরুত্বপূর্ণ সুরক্ষা। উল্লেখ্য গত বছর গ্লোবাল জব প্ল্যাটফর্ম ইনডিড দ্বারা পরিচালিত একটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ভারতে এই “রাইট টু ডিসকানেক্ট” (Lok Sabha) নীতির প্রতি জোরালো সমর্থন রয়েছে সংশ্লিষ্ট মহলে।

    সমীক্ষায় কী বলছে?

    একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, কাজের সময় শেষ হওয়ার পরেও অফিস থেকে যোগাযোগ করা হয়। ৮৮ শতাংশ কর্মচারীরা জানিয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে নিয়মিতভাবে কাজের সময়ের বাইরে গিয়ে যোগাযোগ করা হতো। আবার ৮৫ শতাংশ কর্মীদের মত যখন তারা অসুস্থ বা ছুটি ছিল সেই সময়েও অফিসের কল বা ইমেলে কাজের নির্দেশ আসত। অনেকেই প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে অস্বস্তিবোধ করে বলেন, ৭৯ শতাংশ কর্মীরা আশঙ্কা করেন কর্মক্ষেত্রের কল বা ইমেলের বার্তাকে উপেক্ষা করলে তাদের ক্যারিয়ারের ক্ষতির সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। তবুও অনেকেই এখনও অতিরিক্ত লাভের আশায় চাহিদাকে বৃদ্ধির জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা কল, ইমেলে কাজ করাতে বাধ্য করছেন। তবে ৬৬ শতাংশ মানুষের আশঙ্কা অতিরিক্ত সময়ে কাজ না করালে উৎপাদনশীলতায় হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনার ভয় থাকে।

    বর্ধিত কাজের সময় কটা সুবিধা দেবে?

    সংসদে (Lok Sabha) এই বিলটির আলোচনা শুরু হয় ইনফোসিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তি এবং এলএন্ডটি-র সিইও এসএন সুব্রহ্মণ্যমের মতো ব্যবসায়ীদের মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে। তাঁরা সম্প্রতি যথাক্রমে ৭০ ঘণ্টা এবং এমনকি ৯০ ঘণ্টা কর্মসপ্তাহের পক্ষে যুক্তি দিয়েছেন। নারায়ণ মূর্তি তাঁর দীর্ঘদিনের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে চীনের ৯-৯-৬ কর্ম মডেলের উদাহরণ তুলে ধরেছেন, যেখানে তিনি পরামর্শ দিয়েছেন যে বর্ধিত কাজের সময় ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করতে পারে। কংগ্রেস সাংসদ কাদিয়াম কাব্য আরেকটি বেসরকারি কর্মী বিলে (No Calls emails after work) মাসিক সুবিধা বিল ২০২৪-এর আলোচনায় বলেন, “মহিলাদের ঋতুস্রাবের সময় কর্মক্ষেত্রে বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দেওয়া উচিত।”

  • Zelenskyy’s India Visit: পুতিনের পর ভারতে আসছেন জেলেনস্কি! কূটনৈতিক ভারসাম্য রক্ষায় সক্রিয় দিল্লি

    Zelenskyy’s India Visit: পুতিনের পর ভারতে আসছেন জেলেনস্কি! কূটনৈতিক ভারসাম্য রক্ষায় সক্রিয় দিল্লি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পর এবার ভারত সফরে আসছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি (Zelenskyy’s India Visit)। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারসাম্য রক্ষার বার্তা দিতেই এই মাষ্টারস্ট্রোক নয়াদিল্লির। ২০২৬ সালের জানুয়ারিতেই দিল্লি সফরে আসতে পারেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। যদিও দিল্লির তরফে দিন তারিখ এখনও স্পষ্ট করা হয়নি। রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে ভারত দুই দেশের মধ্যেই ভারসাম্য বজায় রেখেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি যুদ্ধের মাঝখানেই ইউক্রেন এবং রাশিয়া উভয় দেশ সফর করেছেন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট উভয়ই বলেছেন, এই যুদ্ধ বন্ধে ভারত ভূমিকা রাখতে পারে।

    দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে

    এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, নয়াদিল্লির তরফে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের নয়াদিল্লি সফরের আগে থেকেই এই চেষ্টা চলছে বলে সূত্রের দাবি। ভারতীয় ও ইউক্রেনীয় আধিকারিকদের মধ্যে সফরের বিষয় নিয়ে বেশ কয়েক দফা আলোচনাও হয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, রাজনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পরে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এখন পর্যন্ত মাত্র তিনবার ভারত সফর করেছেন। তাও কমপক্ষে ১৩ বছর আগে। ১৯৯২, ২০০২ এবং সবশেষে ২০১২ সালে কোনও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভারত সফর করেছিলেন। সেই দিক থেকে এই সফর বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।

    ভারসাম্যবজায় রাখছে ভারত

    জেলেনস্কির এই সফর রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের আবহে উভয় পক্ষের সঙ্গেই ভারতের ভারসাম্যকে আরও জোরদার করবে। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, কূটনৈতিক রাস্তায় বেশ কয়েক মাস ধরে এই নীতি অনুসরণ করছে নয়াদিল্লি। যেমন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০২৪-এর জুলাই মাসে মস্কো সফর করে পুতিনের সঙ্গে দেখা করেন। কিন্তু এরপরেই মাত্র এক মাস পরে আগস্টে ইউক্রেন সফর করেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির প্রস্তাবিত সফরের সময় নির্ভর করবে বেশ কয়েকটি বিষয়ের উপর। এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনা কীভাবে এগিয়ে যায় এবং রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে কী ঘটে তার উপর। এছাড়াও, ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি, বিশেষ করে জেলেনস্কির সরকার বর্তমানে একটি বড় দুর্নীতি কেলেঙ্কারির কারণে চাপের মধ্যে রয়েছে। এগুলিও প্রস্তাবিত সফরের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।

    জেলেনস্কির ভারত সফর তাৎপর্যপূর্ণ

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে প্রায় ৪ বছর ধরে। এই আবহে ভারত ধারাবাহিকভাবে শান্তির বার্তা দিয়ে গিয়েছে। সংলাপ ও সার্বভৌমত্বকে সম্মান জানানোর অঙ্গীকার করেছে ভারত। প্রেসিডেন্ট পুতিনের সামনে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছিলেন যে ভারত এই যুদ্ধে নিরপেক্ষ নয়, বরং শান্তির পক্ষে দাঁড়িয়েছে। পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর মোদি বলেন, ‘মস্কো আমাদের সবকিছু সম্পর্কে অবহিত করেছে এবং আমাদের উপর আস্থা দেখিয়েছে। আমি বিশ্বাস করি সাম্প্রতিক কূটনৈতিক প্রচেষ্টা বিশ্বকে ফের শান্তির পথে ফিরিয়ে আনবে।’ পুতিন বলেন, ‘ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-সহ বহু দেশের সঙ্গেই আলোচনা চলছে। শান্তি প্রস্তাব তৈরির প্রচেষ্টাও অব্যাহত। প্রধানমন্ত্রী মোদি যেভাবে পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছেন, সেটি সত্যিই প্রশংসনীয়।’ এই আবহে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলনস্কির ভারত সফর বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ভারত পুতিন এবং জেলেনস্কি উভয়ের সঙ্গেই যোগাযোগ রেখেছে। মোদি কমপক্ষে ৮ বার জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন এবং দুই রাষ্ট্রনেতা বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে কমপক্ষে চারবার দেখাও করেছেন। ফলে জেলেনস্কির ভারত সফর মোটেই অসম্ভবও নয়।

  • Waqf Properties: ডিজিটাইজেশন ড্রাইভের সমাপ্তি, উমিদ পোর্টালে আপলোড ৫.১৭ লক্ষেরও বেশি ওয়াক্‌ফ সম্পত্তির নথি

    Waqf Properties: ডিজিটাইজেশন ড্রাইভের সমাপ্তি, উমিদ পোর্টালে আপলোড ৫.১৭ লক্ষেরও বেশি ওয়াক্‌ফ সম্পত্তির নথি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াক্ফ সম্পত্তির (Waqf Properties) বিবরণ কেন্দ্রীয় সরকারের ‘উমিদ’ পোর্টালে নথিভুক্ত করার সময়সীমা শেষ হয়েছে শনিবার। ছয় মাসব্যাপী এই উদ্যোগে প্রথমবারের মতো দেশের পাঁচ লাখেরও বেশি ওয়াক্‌ফ সম্পত্তিকে একক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আনা সম্ভব হয়েছে। ৬ জুন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু ‘উমিদ’ (UMEED) আইন, ১৯৯৫-এর অধীনে পোর্টালটি উদ্বোধন করেছিলেন। সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রকের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “ভারতের মোট ৫,১৭,০৪০ ওয়াক্‌ফ সম্পত্তি পোর্টালে আপলোডের জন্য নিবন্ধিত হয়েছে। এর মধ্যে ২,১৬,৯০৫ সম্পত্তি অনুমোদিত হয়েছে। ২,১৩,৯৪১ সম্পত্তি প্রস্তুতকারীদের দ্বারা জমা পড়লেও যাচাইয়ের সময়সীমা শেষ হওয়ার কারণে প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় রয়ে গিয়েছে। মাত্র ১০,৮৬৯ সম্পত্তির আবেদন যাচাইয়ে বাতিল হয়েছে।

    ‘উমিদ’ পোর্টালে নথিভুক্তের ক্ষেত্রে সাময়িক ছাড়

    ওয়াক্ফ সম্পত্তি (Waqf Properties) সরকারি পোর্টালে নথিভুক্ত করার জন্য গত ৬ জুন একটি নির্দেশিকা জারি করে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই নির্দেশিকায় ‘উমিদ’ পোর্টালের কথা বলা হয়। নির্দেশিকায় বলা হয়, ভারত জুড়ে সব ওয়াক্ফ সম্পত্তির বিবরণ ছ’মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট পোর্টালে নথিভুক্ত করতে হবে। সেই সময়সীমা শেষ হয় ৬ ডিসেম্বর। শনিবার রাত ১২টার আগে পর্যন্ত ওয়াক্ফ সম্পত্তি নথিভুক্ত করা যায় কেন্দ্রীয় পোর্টালে। সুপ্রিম কোর্ট আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, এই সময়সীমা আর বাড়ানো সম্ভব নয়। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের সেই নির্দেশ মনে করিয়ে দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু জানান, ওয়াক্ফ সম্পত্তির বিবরণ সংশ্লিষ্ট পোর্টালে ‘আপলোড’ করার ক্ষেত্রে সময়সীমার ব্যাপারে কোনও ছাড় দেওয়া হবে না। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে সাময়িক ছাড়ের কথাও জানিয়েছেন কিরেন।

    শেষ মুহূর্তে ওয়াক্ফ সম্পত্তির নথিভুক্তকরণ

    কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রক জানিয়েছে, সময়সীমা ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে আপলোডের গতি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়। বিভিন্ন রিভিউ মিটিং, প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও উচ্চস্তরের হস্তক্ষেপে শেষ মুহূর্তে আপলোডের হার দ্রুত বাড়ে। ডিজিটাইজেশন প্রক্রিয়া সফল করতে কেন্দ্র, বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোর ওয়াক্‌ফ বোর্ড ও সংখ্যালঘু দফতরের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে ওয়ার্কশপ আয়োজন করে। দিল্লিতে দুই দিনের মাস্টার ট্রেনার কর্মশালাও অনুষ্ঠিত হয়, যাতে প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও, রাজ্যভিত্তিক প্রযুক্তিগত ও প্রশাসনিক টিম মোতায়েন করা হয় এবং সমন্বয়গত সমস্যার সমাধানে সাতটি জোনাল মিটিং আয়োজন করা হয়। আপলোড চলাকালীন প্রযুক্তিগত সহায়তার জন্য মন্ত্রক একটি বিশেষ হেল্পলাইনও চালু করে। পোর্টাল চালুর পর থেকে মন্ত্রকের সচিব চন্দ্রশেখর কুমার ওয়াক্‌ফ সম্পত্তি আপলোডের অগ্রগতি তদারকিতে ২০টিরও বেশি রিভিউ মিটিং পরিচালনা করেন।

    ‘উমিদ’ পোর্টালে নথিভুক্ত না করলে কী হবে

    সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, অনেক মুতাওয়ালিস (যাঁরা ওয়াক্ফ সম্পত্তি দেখভাল করেন) নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পত্তি ‘উমিদ’ পোর্টালে (UMEED) নথিভুক্ত করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সময়ের মধ্যে তা সম্পন্ন করতে পারেননি, তাঁদের ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় দেওয়া হচ্ছে। তাঁরা ট্রাইব্যুনালে আবেদন করতে পারেন। আগামী তিন মাস তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক বা কঠোর পদক্ষেপ করা হবে না! আরোপ করা হবে না জরিমানাও। উল্লেখ্য, নিয়ম অনুসারে, যাঁরা ওয়াক্ফ সম্পত্তি আপলোড করবেন না, তাঁদের ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। যাঁরা এই পোর্টালে সম্পত্তি নথিভুক্ত করবেন না, তাঁদের সম্পত্তির অবস্থা বাতিল করা হবে এবং পরে ওয়াক্ফ ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে পুনরায় নথিভুক্তকরণ করা যাবে। সেই ক্ষেত্রেই বিশেষ ছাড় দিয়েছে কেন্দ্র। মন্ত্রক জানিয়েছে, এই পর্বের সমাপ্তি ভারতের ওয়াক্‌ফ সম্পত্তি ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা, দক্ষতা এবং একীভূত ডিজিটাল কাঠামো প্রতিষ্ঠার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।

  • Vijay Diwas 2025: ৫৪তম বিজয় দিবস উদযাপন, বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় আসছেন ৮ মুক্তিযোদ্ধা সহ ২০ জন

    Vijay Diwas 2025: ৫৪তম বিজয় দিবস উদযাপন, বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় আসছেন ৮ মুক্তিযোদ্ধা সহ ২০ জন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। এক ঐতিহাসিক দিন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের যুদ্ধজয় (1971 Indo-Pak War) ও স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র গঠনের (Birth of Bangladesh) দিন। যে কারণে, ভারত এই দিনটিকে ‘বিজয় দিবস’ (Vijay Diwas 2025) হিসেবে পালন করে এসেছে। সেনার ইস্টার্ন কমান্ডের (Army Eastern Command) কাছে এই দিন বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, তৎকালীন পূর্বাঞ্চলীয় সেনা কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার (Lieutenant General Jagjit Singh Arora) কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল প্রায় ৯৩ হাজার পূর্ব-পাক সেনা। যুদ্ধের ইতিহাসে যা অন্যতম বড় আত্মসমর্পণ ছিল। যার পরেই স্বাধীন বাংলাদেশ গঠিত হয়েছিল। প্রতি বছরের মতো এবারেও বিজয় দিবস ধুমধাম করেই পালন করতে চলেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। আর সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় আসছে ২০ জনের প্রতিনিধিদল (Bangladesh Delegation)।

    ভারতে আসছে বাংলাদেশি প্রতিনিধিদল

    প্রথমাফিক এবছরও ভারতীয় সেনা বিজয় দিবস (Vijay Diwas 2025) পালন করতে চলেছে। রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ভারতীয় সেনার পূর্বাঞ্চলীয় সদর বিজয় দুর্গে (Vijay Durg) এই কথা ঘোষণা করেন মেজর জেনারেল বাঙ্গুরু রঘু (MGGS Major General Vanguru Raghu)। তিনি জানান, এই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসছে এক প্রতিনিধিদল। এদিনই বিজয় দিবস উদযাপনের আনুষ্ঠানিক সূচনা করা হয় কলকাতায়। এই আবহে বিজয় দুর্গে (পূর্বতন ফোর্ট উইলিয়াম) বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজন করে ভারতীয় সেনার তরফে জানানো হয়েছে, মোট ২০ জনের প্রতিনিধিদল (Bangladesh Delegation) আসছেন কলকাতায়। সেনার তরফে আরও জানানো হয়, প্রতিবারের মতো এবারও বিজয় দিবস উপলক্ষে ভারতের তরফ থেকে ফোর্ট উইলিয়ামে আসার জন্য বাংলাদেশ সেনাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সেই আমন্ত্রণে সাড়া দেয় সেই দেশের সেনা। ওই প্রতিনিধিদলে থাকবেন বাংলাদেশ সেনার দুই উচ্চপদস্থ আধিকারিক, ৮ মুক্তিযোদ্ধা (Muktijoddhas) এবং তাঁদের পরিবার। বাংলাদেশি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে থাকবেন এক ব্রিগেডিয়ার পদমর্যাদার সামরিক অফিসার।

    বিজয় দিবসে থাকবে বাংলাদেশি প্রতিনিধিদল

    সেনার তরফে ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, ১৪ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে ২০ জন বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল (Bangladesh Delegation) এসে পৌঁছচ্ছেন কলকাতায়। ১৫ ডিসেম্বর তাঁরা বারাকপুরের মঙ্গল পান্ডে মিলিটারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সেনাদের ‘মিলিটারি টাট্টু’ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। ওইদিন রাজভবনে গিয়ে রাজ‌্যপালের সঙ্গে দেখা করতে পারেন তাঁরা। ১৬ ডিসেম্বর সকাল ও সন্ধ‌্যায় বিজয় দিবস উপলক্ষে‌ বিজয় স্মারকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন-সহ একাধিক অনুষ্ঠানেও উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা। পাশাপাশি, ১৬ তারিখের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকেও।

    সেনার বিজয় বাইক র‌্যালির সমাপ্তি

    এদিকে, বিজয় দিবসকে (Vijay Diwas 2025) সামনে রেখেই গত ১ ডিসেম্বর গুয়াহাটি থেকে শুরু হয়েছিল বিজয় বাইক র‌্যালি (Vijay Bike Rally)। ডিমাপুর, তেজপুর, শিলং, গুয়াহাটি, বিনাগুড়ি, সুকনা, হিলি, শিলিগুড়ি, মালদা, পানাগড় হয়ে এদিন শেষ হয় কলকাতার বিজয় দুর্গে। শেষ পর্বে বাইক চালিয়ে অংশ নেন ইস্টার্ন কমান্ডের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং-ইন-চিফ তথা সেনার পূর্বাঞ্চলীয় সেনা প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল রামচন্দ্র তেওয়ারি (GOC-in-C Lieutenant General RC Tiwari)। মোট ১৩৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ ছিল এই র‌্যালি। র‍্যালির সময় রাইডাররা আগরতলার অ্যালবার্ট এক্কা ওয়ার মেমোরিয়াল, করিমগঞ্জ মনোলিথস, কিলাপাড়া ওয়ার মেমোরিয়াল, বগরা ওয়ার মেমোরিয়াল, হিলি ওয়ার মেমোরিয়াল সহ বিভিন্ন যুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

  • IndiGo Crisis: ৬১০ কোটি টাকার রিফান্ড, সপ্তাহান্তে এক হাজারের বেশি ফ্লাইট বাতিল ইন্ডিগোর

    IndiGo Crisis: ৬১০ কোটি টাকার রিফান্ড, সপ্তাহান্তে এক হাজারের বেশি ফ্লাইট বাতিল ইন্ডিগোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেশ কয়েকদিন ধরে বিপর্যস্ত ইন্ডিগোর বিমান (IndiGo Crisis) পরিষেবা। ইতিমধ্যেই ওই বেসরকারি বিমানসংস্থার ১ হাজার ৫০০টি-রও বেশি উড়ান বাতিল করা হয়েছে। যাত্রীসংখ্যার নিরিখে দেশের বৃহত্তম বিমানসংস্থা ইন্ডিগোর পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় লক্ষ লক্ষ যাত্রী অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছেন। রবিবারও সংস্থার এদিনও প্রায় ৬৫০টি ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। দিল্লি, মুম্বাই, বেঙ্গালুরু, হায়দ্রাবাদ ও কলকাতা বিমানবন্দর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

    দ্রুত জবাব তলব

    পরিষেবার উপর ‘নেতিবাচক প্রভাব’ পড়ার জন্য প্রযুক্তিগত ত্রুটি, শীতকালীন সময়সূচি পরিবর্তন, প্রতিকূল আবহাওয়া, বিমান ব্যবস্থায় ক্রমবর্ধমান যানজট এবং বিমানকর্মীদের কাজের সংশোধিত সময়সূচিকে দায়ী করেছে ইন্ডিগো। তবে কী কারণে এই বিভ্রাট, তা খতিয়ে দেখতে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রের অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। এদিকে, ডিজিসিএ (DGCA) থেকে জারি হওয়া শোকজ নোটিসের জবাব দিতে আরও সময় চেয়েছে ইন্ডিগো। পাশাপাশি বাতিল ফ্লাইটের যাত্রীদের জন্য ৬১০ কোটি টাকার রিফান্ড করার কাজ শুরু করেছে সংস্থা। এছাড়া সারাদেশে যাত্রীদের ৩,০০০টি ব্যাগেজও পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

    ইন্ডিগো ফ্লাইট পরিস্থিতি

    রবিবার ইন্ডিগো (IndiGo Crisis) তাদের দৈনিক ২,৩০০ ফ্লাইটের মধ্যে প্রায় ৬৫০টি—অর্থাৎ মোট প্রায় ২৮%—বাতিল করেছে। বেশ কয়েকটি রুটে সময়সূচিও পরিবর্তন করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার থেকে দেশজুড়ে ইন্ডিগো ইতোমধ্যেই প্রায় ২,০০০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল করেছে। এতে হাজার হাজার যাত্রী দুর্ভোগে পড়েছেন। এক বিবৃতিতে ইন্ডিগো জানিয়েছে, তাদের নেটওয়ার্ক ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে স্থিতিশীল হবে। ডিজিসিএ-র শোকজ নোটিসের জবাব দিতে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় চেয়েছে ইন্ডিগো। শোকজ নোটিসে ডিজিসিএ জানায়, ইন্ডিগোর প্রধান ব্যর্থতা ছিল নতুন ফ্লাইট ডিউটি টাইম লিমিটেশন (FDTL) বিধির অধীনে প্রয়োজনীয় স্টাফিং, ডিউটি টাইম এবং রোস্টারিংয়ের যথাযথ ব্যবস্থা করতে না পারা। এক স্ট্যাটাস আপডেটে রবিবার সন্ধ্যায় ইন্ডিগো জানিয়েছে, গতকাল ১ হাজার ৫০০টি ফ্লাইটের বদলে এবার তারা ১ হাজার ৬৫০টিরও বেশি ফ্লাইট পরিচালনার পথে রয়েছে। তারা জানিয়েছে যে ১৩৮টি গন্তব্যের মধ্যে ১৩৭টি চালু রয়েছে এবং ৭৫ শতাংশ পরিষেবা সময়মতো দেওয়া হয়েছে।

  • Liver Problems: শীতের মরসুমে বাড়ছে যকৃতের সমস্যা! কীভাবে এই সময়ে লিভার সুস্থ রাখবেন?

    Liver Problems: শীতের মরসুমে বাড়ছে যকৃতের সমস্যা! কীভাবে এই সময়ে লিভার সুস্থ রাখবেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সকালের কুয়াশা আর সন্ধ্যা হতেই ঠান্ডা হাওয়া জানান দিচ্ছে শীত এসেছে! তাপমাত্রার পারদ কমছে। কিন্তু শীত মানে শুধুই আবহাওয়ার পরিবর্তন নয়। শীত নিয়ে আসে নানান উৎসব আর উদযাপন। বাঙালির শীতকালে থাকে একাধিক পারিবারিক উৎসব, বন্ধুদের সঙ্গে পিকনিক আর বছর শেষের নানান উদযাপন। তাই ডিসেম্বর মাসজুড়ে চলে দেদার খানাপিনা। শীতের মরসুমে এই উৎসব উদযাপনের জেরেই লিভারের নানান ভোগান্তি বাড়ে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্রতি বছর বছরের শেষের সময়ে অনেকেই লিভারের সমস্যায় ভোগেন। এর ফলে নানান জটিলতা তৈরি হয়।

    কেন বছর শেষে লিভারের সমস্যা বাড়ে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে লিভারের নানান সমস্যা বাড়ছে। বিশেষত নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের মতো রোগের প্রকোপ বাড়ছে। এমনকি স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যেও এই ধরনের রোগ দেখা দিচ্ছে। এই রোগের প্রকোপ বাড়ার জন্য বিশেষজ্ঞ মহল মূলত জীবন যাপনের ধরনকেই দায়ী করছেন। শীতে এই ধরনের লিভারের অসুখ আরও বেড়ে যায় বলেই তাঁরা জানাচ্ছেন।

    শীতে ঘাম কম হয়। ফলে ক্যালোরি ক্ষয় আরও কমে যায়। অনেকেই আবার শীতে নিয়মিত শারীরিক কসরত করেন না। তার উপরে শীত পড়লেই অনেকেই ‘ওভার ইটিং’ বা অতিরিক্ত খাওয়া দাওয়া শুরু করেন। লিভার রোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেকেই শীত পড়তেই নানান রকমের মাংস, মাছ জাতীয় প্রাণীজ প্রোটিন নিয়মিত অতিরিক্ত পরিমাণে খেতে শুরু করেন। তার সঙ্গে ভারসাম্য রেখে সবুজ সব্জি কিংবা দানাশস্য খান না। অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার লিভারের জন্য ক্ষতিকারক। একদিকে শারীরিক পরিশ্রম কম করা, আরেকদিকে অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় প্রাণীজ প্রোটিন খাওয়া, এই দুই কারণেই লিভারের সমস্যা বাড়ে। তাছাড়া, চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশের কাছে উৎসব উদযাপন মানেই মদ্যপান। এই অভ্যাস লিভারের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। মদ্যপানের জেরেও লিভারের সমস্যা দেখা দেয়। অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের জেরেই হজমের সমস্যা দেখা যায়। বমি, পেট ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। যা দীর্ঘমেয়াদি জটিল রোগের লক্ষণ হতে পারে।

    শীতের কোন খাবার লিভার সুস্থ রাখতে সাহায্য করে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতের একাধিক খাবার লিভার সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। শিশু থেকে বয়স্ক, সকলের এই মরশুমি সব্জি এবং ফল নিয়মিত খাওয়া প্রয়োজন। তাহলেই লিভারের নানান অসুখের ঝুঁকি কমবে।

    শীতকালে বাজারে দেদার পালং শাক পাওয়া যায়। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, পালং শাকে থাকে ক্লোরোফিল। এই উপাদান লিভার সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। কারণ ক্লোরোফিল সহজেই লিভারের টক্সিন দূর করে।

    এই মরশুমে আরেকটি শাক, লিভারের জন্য বিশেষ উপকারি। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, মেথি শাক লিভার সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। নানান রকমের মশলাদার খাবার লিভারের উপরে চাপ তৈরি করে। সপ্তাহে অন্তত দুদিন মেথি শাক খেলে লিভারের ডিটক্সিফিকেশনে বিশেষ সাহায্য হয়।

    ব্রকোলি এবং ফুলকপির মতো সব্জি লিভারের জন্য বিশেষ উপকারি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের সব্জি এনজাইম সক্রিয় করে লিভারকে সুস্থ রাখে। বিটরুট লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ সাহায্য করে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    সব্জির পাশপাশি নানান ধরনের বেরি জাতীয় ফল এই সময়ে বাজারে সহজেই পাওয়া যায়। এই ধরনের ফলগুলো লিভার সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, লিভার সুস্থ রাখতে নানান রকমের সব্জি, ফল খাওয়ার পাশপাশি অতিরিক্ত তেল মশলা জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না। প্রাণীজ প্রোটিন বিশেষত চর্বি জাতীয় মাংস খাওয়ার ক্ষেত্রে পরিমাণের দিকে বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন। পাশপাশি শরীরের ওজন সম্পর্কেও সচেতন হতে হবে। ফ্যাটি লিভারের অন্যতম কারণ শরীরে অতিরিক্ত ক্যালোরি। তাই ওজন যাতে অতিরিক্ত না হয়, তাই নিয়মিত শারীরিক কসরত করা জরুরি। তাহলে লিভার সুস্থ থাকবে। কার্যক্ষমতা বাড়বে। ভোগান্তি কমবে।‌

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Daily Horoscope 08 December 2025: পুরনো রোগ থেকে মুক্তিলাভ করবেন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 08 December 2025: পুরনো রোগ থেকে মুক্তিলাভ করবেন এই রাশির জাতকরা

    মেষ

    ১) ব্যবসায় অশান্তি বাধার আশঙ্কা।

    ২) বুকের সমস্যা বৃদ্ধি।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    বৃষ

    ১) বুদ্ধির ভুলে কোনও ক্ষতি হতে পারে, একটু সাবধান থাকা দরকার।

    ২) ভালো কাজে নিরাশ হয়ে ফিরে আসতে হবে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মিথুন

    ১) প্রেমের ব্যাপারে মানসিক অবসাদ দেখা দেবে।

    ২) ব্যবসায় লাভ বৃদ্ধি, তবে খরচও বাড়বে।

    ৩) পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান।

    কর্কট

    ১) কোনও সন্দেহজনক ব্যক্তি থেকে সাবধান।

    ২) নতুন কাজের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    সিংহ

    ১) দিনটি ভালো-খারাপ মিশিয়ে কাটবে।

    ২) বাড়ির কাছে ভ্রমণের ব্যাপারে আলোচনা।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে মনের কথা বলুন।

    কন্যা

    ১) পুরনো রোগ থেকে মুক্তিলাভ।

    ২) ব্যবসায় মন্দা দেখা দিতে পারে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    তুলা

    ১) শিক্ষাগত যোগ্যতার কারণে ভালো কাজ হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে।

    ২) সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয়ে সমস্যা হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃশ্চিক

    ১) উচ্চাভিলাষী কোনও ব্যক্তির পাল্লায় পড়ে অর্থব্যয়।

    ২) মধুর ভাষণের দ্বারা শ্রোতাদের মন জয় করতে পারবেন।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    ধনু

    ১) সকালের দিকে কাজের ব্যাপারে শুভ যোগাযোগ আসতে পারে।

    ২) কর্মস্থানে গুপ্তশত্রু হতে পারে।

    ৩) ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    মকর

    ১) অন্যের জিনিসের উপর লোভ সামলাতে না পারলে বিপদে পড়তে পারেন।

    ২) সংসারে মনঃকষ্ট।

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

    কুম্ভ

    ১) বাড়িতে গুরুজনদের স্বাস্থ্যের উন্নতি হতে পারে।

    ২) অতিরিক্ত বিশ্বাসের খেসারত দিতে হতে পারে।

    ৩) বন্ধুদের সাহায্য পাবেন।

    মীন

    ১) চাকরির জায়গায় বিরোধী ব্যক্তির সঙ্গে মিত্রতা হয়ে যেতে পারে।

    ২) প্রতিবেশীদের চিকিৎসার জন্য সময় ব্যয়।

    ৩) সমাজ সেবামূলক কাজে যশ বৃদ্ধি।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Ramakrishna 527: “শ্রীরামকৃষ্ণ ভিতরে হাসি আছে, ফল্গুনদীর উপরে বালি—খুঁড়লে জল পাওয়া যায়”

    Ramakrishna 527: “শ্রীরামকৃষ্ণ ভিতরে হাসি আছে, ফল্গুনদীর উপরে বালি—খুঁড়লে জল পাওয়া যায়”

    ৪৯ শ্রীশ্রীরথযাত্রা বলরাম-মন্দিরে

    নবম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৫, ১৫ই জুলাই
    শ্রীরামকৃষ্ণের কুষ্ঠি — পূর্বকথা — ঠাকুরের ঈশ্বরদর্শন
    রাম, লক্ষ্মণ ও পার্থসারথি-দর্শন—ন্যাংটা পরমহংসমূর্তি

     শ্রীরামকৃষ্ণের কুষ্ঠি—ঠাকুরের সাধন কেন—ব্রহ্মযোনিদর্শন 

    গিরিশ (সহাস্যে)—আপনার সাধন করা কেন?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) সহাস্যে—ভগবতী শিবের জন্য অনেক কঠোর সাধন করেছিলেন,—পঞ্চতপা, শীতকালে জলে গা বুড়িয়ে থাকা, সূর্যের দিকে একদৃষ্টে চেয়ে থাকা!

    “স্বয়ং কৃষ্ণ রাধাযন্ত্র নিয়ে অনেক সাধন করেছিলেন। যন্ত্র ব্রহ্মযোনি—তাঁরই পূজা ধ্যান! এই ব্রহ্মযোনি থেকে কোটি কোটি ব্রহ্মাণ্ড উৎপত্তি হচ্ছে।

    “অতি গুহ্যকথা! বেলতলায় দর্শন হত—লকলক করত!”

    পূর্বকথা—বেলতলায় তন্ত্রের সাধন—বামনীর যোগাড়

    “বেলতলায় অনেক তন্ত্রের সাধন হয়েছিল। মড়ার মাথা নিয়ে। আবার … আসন। বামনী সব যোগাড় করত।

    (হরিপদর দিকে অগ্রসর হইয়া)—“সেই অবস্থায় ছেলেদের ধন, ফুল-চন্দন দিয়ে পূজা না করলে থাকতে পারতাম না।

    “আর-একটি অবস্থা হত। যেদিন অহংকার করতুম, তারপরদিনই অসুখ হত।”

    মাস্টার শ্রীমুখনিঃসৃত অশ্রুতপূর্ব বেদান্তবাক্য শুনিয়া অবাক্‌ হইয়া চিত্রার্পিতের ন্যায় বসিয়া আছেন। ভক্তেরাও যেন সেই পূতসলিলা পতিতপাবনী শ্রীমুখনিঃসৃত ভাগবতগঙ্গায় স্নান করিয়া বসিয়া আছেন।

    সকলে চুপ করিয়া আছেন।

    তুলসী—ইনি হাসেন না।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—ভিতরে হাসি আছে। ফল্গুনদীর উপরে বালি,—খুঁড়লে জল পাওয়া যায়।

    (মাস্টারের প্রতি)—“তুমি জিহ্বা ছোল না! রোজ জিহ্বা ছুলবে।”

    বলরাম—আচ্ছা, এঁর (মাস্টারের) কাছে পূর্ণ আপনার কথা অনেক শুনেছেন —

    শ্রীরামকৃষ্ণ—আগেকার কথা—ইনি জানেন (Kathamrita)—আমি জানি না।

    বলরাম—পূর্ণ স্বভাবসিদ্ধ। তবে এঁরা?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—এঁরা হেতুমাত্র।

    নয়টা বাজিয়াছে—ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে যাত্রা করিবেন তাহার উদ্যোগ হইতেছে। বাগবাজারের অন্নপূর্ণার ঘাটে নৌকা ঠিক করা আছে। ঠাকুরকে ভক্তেরা ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিতেছেন।

    ঠাকুর দুই-একটি ভক্তের সহিত নৌকায় গিয়া বসিলেন, গোপালের মা ওই নৌকায় উঠিলেন, —দক্ষিণেশ্বরে কিঞ্চিৎ বিশ্রাম করিয়া বৈকালে হাঁটিয়া কামারহাটি যাইবেন।

    ঠাকুরের দক্ষিণেশ্বরের ঘরের ক্যাম্পখাটটি সারাইতে দেইয়া হইয়াছিল। সেখানিও নৌকায় তুলিয়া দেওয়া হইল। এই খাটখানিতে শ্রীযুক্ত রাখাল প্রায় শয়ন করিতেন।

    আজ কিন্তু মঘা নক্ষত্র। যাত্রা বদলাইতে (Kathamrita) ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ আগত শনিবারে বলরামের বাটীতে আবার শুভাগমন করিবেন।

  • Geeta Path Program: পাঁচ নয়, ব্রিগেডে গীতা পাঠ করলেন সাড়ে ৬ লাখেরও বেশি মানুষ

    Geeta Path Program: পাঁচ নয়, ব্রিগেডে গীতা পাঠ করলেন সাড়ে ৬ লাখেরও বেশি মানুষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বিঘ্নেই শেষ হল ব্রিগেডে (Brigade) পাঁচ লক্ষ কণ্ঠের গীতা পাঠের অনুষ্ঠান (Geeta Path Program)। মাঠময় গেরুয়া। দুর্ঘটনা এড়াতে মাঝপথেই ভাষণ শেষ করে দিতে বাধ্য হন বাগেশ্বর ধামের পীঠাধীশ্বর। রবিবারের এই কর্মসূচির আয়োজক ছিল সনাতন সংস্কৃতি সংসদ।

    ভোটব্যাঙ্ক বাঁচাতে অনুপস্থিত মমতা? (Geeta Path Program)

    উদ্যোক্তাদের তরফে প্রথম থেকেই স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল এই কর্মসূচিটি অরাজনৈতিক। সেই কারণেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীকেও। তবে বিধানসভা নির্বাচনের আগে গা বাঁচাতে প্রত্যাশিতভাবেই অনুপস্থিত রইলেন তিনি। অথচ এই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই দীঘায় ঘটা করে উদ্বোধন করেছিলেন জগন্নাথ ধামের। যে জগন্নাথ আদতে শ্রীকৃষ্ণই। তাঁরই মুখনিঃসৃত বাণী পাঠের দিনই স্রেফ ভোটের রাজনীতি করতে গিয়ে, বলা ভালো, নবান্নের চোদ্দতলার ঠান্ডা ঘরের চেয়ারটা যাতে হাতছাড়া না হয়, তাই এদিন আমন্ত্রণ পেয়েও ব্রিগেডে যাননি মুখ্যমন্ত্রী। অন্তত, বিরোধীদের দাবি তেমনই।

    কী বললেন রাজ্যপাল

    তবে মুখ্যমন্ত্রী অনুষ্ঠানে উপস্থিত না হলেও, গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাঁর বক্তৃতায় উঠে আসে মহাভারত এবং গীতার নানা অংশের উদ্ধৃতি। গীতার ‘পরিত্রাণায় সাধুনাং’ শ্লোকটি উদ্ধৃত করে তিনি দুষ্টের দমনের ডাক দেন। মহাভারতে শ্রীকৃষ্ণের অর্জুনকে কর্মে মনোযোগী হওয়ার পরামর্শের কথা মনে করিয়ে দিয়ে রাজ্যপাল বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ কর্ম করার জন্য প্রস্তুত’। পরে বলেন, “পশ্চিমবঙ্গও ধর্মীয় ঔদ্ধত্যকে শেষ করার জন্য প্রস্তুত।” তিনি বলেন, “গীতা আধ্যাত্মিক, দার্শনিক ও সাংস্কৃতিক – সব ক্ষেত্রেই গভীর গুরুত্ব বহন করে।” গীতাকে তিনি ভগবানের সঙ্গীত বলেও উল্লেখ করেন। রাজ্যপাল বলেন, “এই ধর্মগ্রন্থ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রবাহিত, নিঃস্বার্থ কর্ম ও উদ্দেশ্যপূর্ণ জীবনযাপনের জন্য পথনির্দেশ করে। গীতা আজও নাগরিকদের সমাজ ও জাতির প্রতি কর্তব্য পালন করতে প্রাণিত করে।”

    কারা ছিলেন অনুষ্ঠানে

    গীতাপাঠের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার, রাজ্য বিধানসভার (Geeta Path Program) বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্য বিজেপির দুই প্রাক্তন সভাপতি তথাগত রায়, রাহুল সিনহা, লকেট চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পাল প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন দিলীপ ঘোষও। গীতা পাঠের জন্য এদিন ব্রিগেডে তিনটি মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল (Brigade)। মূল মঞ্চের দুপাশে অপেক্ষাকৃত ছোট দুটি মঞ্চ ছিল। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছিলেন সাধুসন্তরা। এসেছিলেন রাজ্যের বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের প্রতিনিধিরাও। কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন মতুয়াদের একাংশও।

    সাধ্বী ঋতম্ভরা

    অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুর্গা বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা সাধ্বী ঋতম্ভরা। গীতা পাঠের অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরে প্রথম ভাষণটি দেন তিনিই। বক্তা হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা হতেই বিশৃঙ্খলা শুরু হয়ে যায় মাঠে। মাঠের শেষের দিকে থাকা লোকজন মঞ্চের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করতে থাকেন। এই হুড়োহুড়ি দেখে ভাষণ দীর্ঘায়িত করেননি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এই নেত্রী। হিন্দুরাষ্ট্রের নামে জয়ধ্বনি দিয়ে বক্তৃতা শুরু করেন তিনি। এও বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের মাটি জেগে ওঠো, পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু জেগে ওঠো। দুষ্টের দমন করো।” পরে (Geeta Path Program) সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় বিধায়ক হুমায়ূন কবীরের বাবরি মসজিদের শিলান্যাস প্রসঙ্গে ঋতম্ভরা বলেন,  “এ দেশে বাবর বা বাবরির কোনও ভিত্তি নেই। ইট দিয়ে একটি কাঠামো তৈরি করা যায়, কিন্তু বাবরকে মানুষের হৃদয়ে ঠাঁই দেওয়া যায় না। এই দেশ রামের, চিরকাল রামেরই থাকবে। এখানে শুধু ভগওয়া রাজ করবে। এটাই চিরন্তন সত্য (Brigade)।”

    “ঐতিহাসিক দৃশ্য”

    ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড, যা প্রায়ই বড় রাজনৈতিক সমাবেশের স্থান হিসেবে ব্যবহৃত হয়, এদিন সেটিই রূপান্তরিত হয়ে উঠেছিল সন্ন্যাসী ও হিন্দুদের একস্বর শ্লোকপাঠের মধ্যে গেরুয়া সমুদ্রে। বিজেপি নেতা অমিত মালব্য এই সমাবেশকে “ঐতিহাসিক দৃশ্য” বলে বর্ণনা করেছেন এবং জনতার উপস্থিতিকে “অসাধারণ” ও “খাঁটি ভক্তিতে পূর্ণ” বলে আখ্যা দেন (Geeta Path Program)। মালব্যের বক্তব্য যে নিছক কথার কথা নয়, তার প্রমাণ মিলল পুলিশেরই একটি সূত্রে। এদিনের অনুষ্ঠানের নাম ছিল পাঁচ লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ। যদিও সূত্রের খবর, লোক হয়েছিল সাড়ে ৬ লাখেরও বেশি। রবিবারের অনুষ্ঠান যে অরাজনৈতিক, তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন সনাতন সংস্কৃতি সংসদের সভাপতি কার্তিক মহারাজ। তিনি বলেছিলেন, “নির্বাচনের সঙ্গে এই অনুষ্ঠানের কোনও সম্পর্কই নেই। ভোট তো সারা বছরই চলছে। সারা ভারতে চলছে। শ্রীমদ্ভাগবদ গীতার সৃষ্টি হয়েছিল মোক্ষদা একাদশীতে। অগ্রহায়ণ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশীই মোক্ষদা একাদশী। এই তিথিটা তো এই সময় আসবেই। তাই এর সঙ্গে ভোটের কোনও সম্পর্ক নেই। এই অনুষ্ঠানের কথা আমরা বিভিন্ন (Brigade) মসজিদেও জানিয়েছি। এটা আমাদের ধর্মের কাজ। কোনও রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শন নয়। কোনও সাধু-সন্ন্যাসীদের শক্তির প্রদর্শনও নয়। এটি একটি অরাজনৈতিক অনুষ্ঠান (Geeta Path Program)।”

LinkedIn
Share