Blog

  • Ramakrishna 527: “শ্রীরামকৃষ্ণ ভিতরে হাসি আছে, ফল্গুনদীর উপরে বালি—খুঁড়লে জল পাওয়া যায়”

    Ramakrishna 527: “শ্রীরামকৃষ্ণ ভিতরে হাসি আছে, ফল্গুনদীর উপরে বালি—খুঁড়লে জল পাওয়া যায়”

    ৪৯ শ্রীশ্রীরথযাত্রা বলরাম-মন্দিরে

    নবম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৫, ১৫ই জুলাই
    শ্রীরামকৃষ্ণের কুষ্ঠি — পূর্বকথা — ঠাকুরের ঈশ্বরদর্শন
    রাম, লক্ষ্মণ ও পার্থসারথি-দর্শন—ন্যাংটা পরমহংসমূর্তি

     শ্রীরামকৃষ্ণের কুষ্ঠি—ঠাকুরের সাধন কেন—ব্রহ্মযোনিদর্শন 

    গিরিশ (সহাস্যে)—আপনার সাধন করা কেন?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) সহাস্যে—ভগবতী শিবের জন্য অনেক কঠোর সাধন করেছিলেন,—পঞ্চতপা, শীতকালে জলে গা বুড়িয়ে থাকা, সূর্যের দিকে একদৃষ্টে চেয়ে থাকা!

    “স্বয়ং কৃষ্ণ রাধাযন্ত্র নিয়ে অনেক সাধন করেছিলেন। যন্ত্র ব্রহ্মযোনি—তাঁরই পূজা ধ্যান! এই ব্রহ্মযোনি থেকে কোটি কোটি ব্রহ্মাণ্ড উৎপত্তি হচ্ছে।

    “অতি গুহ্যকথা! বেলতলায় দর্শন হত—লকলক করত!”

    পূর্বকথা—বেলতলায় তন্ত্রের সাধন—বামনীর যোগাড়

    “বেলতলায় অনেক তন্ত্রের সাধন হয়েছিল। মড়ার মাথা নিয়ে। আবার … আসন। বামনী সব যোগাড় করত।

    (হরিপদর দিকে অগ্রসর হইয়া)—“সেই অবস্থায় ছেলেদের ধন, ফুল-চন্দন দিয়ে পূজা না করলে থাকতে পারতাম না।

    “আর-একটি অবস্থা হত। যেদিন অহংকার করতুম, তারপরদিনই অসুখ হত।”

    মাস্টার শ্রীমুখনিঃসৃত অশ্রুতপূর্ব বেদান্তবাক্য শুনিয়া অবাক্‌ হইয়া চিত্রার্পিতের ন্যায় বসিয়া আছেন। ভক্তেরাও যেন সেই পূতসলিলা পতিতপাবনী শ্রীমুখনিঃসৃত ভাগবতগঙ্গায় স্নান করিয়া বসিয়া আছেন।

    সকলে চুপ করিয়া আছেন।

    তুলসী—ইনি হাসেন না।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—ভিতরে হাসি আছে। ফল্গুনদীর উপরে বালি,—খুঁড়লে জল পাওয়া যায়।

    (মাস্টারের প্রতি)—“তুমি জিহ্বা ছোল না! রোজ জিহ্বা ছুলবে।”

    বলরাম—আচ্ছা, এঁর (মাস্টারের) কাছে পূর্ণ আপনার কথা অনেক শুনেছেন —

    শ্রীরামকৃষ্ণ—আগেকার কথা—ইনি জানেন (Kathamrita)—আমি জানি না।

    বলরাম—পূর্ণ স্বভাবসিদ্ধ। তবে এঁরা?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—এঁরা হেতুমাত্র।

    নয়টা বাজিয়াছে—ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে যাত্রা করিবেন তাহার উদ্যোগ হইতেছে। বাগবাজারের অন্নপূর্ণার ঘাটে নৌকা ঠিক করা আছে। ঠাকুরকে ভক্তেরা ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিতেছেন।

    ঠাকুর দুই-একটি ভক্তের সহিত নৌকায় গিয়া বসিলেন, গোপালের মা ওই নৌকায় উঠিলেন, —দক্ষিণেশ্বরে কিঞ্চিৎ বিশ্রাম করিয়া বৈকালে হাঁটিয়া কামারহাটি যাইবেন।

    ঠাকুরের দক্ষিণেশ্বরের ঘরের ক্যাম্পখাটটি সারাইতে দেইয়া হইয়াছিল। সেখানিও নৌকায় তুলিয়া দেওয়া হইল। এই খাটখানিতে শ্রীযুক্ত রাখাল প্রায় শয়ন করিতেন।

    আজ কিন্তু মঘা নক্ষত্র। যাত্রা বদলাইতে (Kathamrita) ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ আগত শনিবারে বলরামের বাটীতে আবার শুভাগমন করিবেন।

  • Geeta Path Program: পাঁচ নয়, ব্রিগেডে গীতা পাঠ করলেন সাড়ে ৬ লাখেরও বেশি মানুষ

    Geeta Path Program: পাঁচ নয়, ব্রিগেডে গীতা পাঠ করলেন সাড়ে ৬ লাখেরও বেশি মানুষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বিঘ্নেই শেষ হল ব্রিগেডে (Brigade) পাঁচ লক্ষ কণ্ঠের গীতা পাঠের অনুষ্ঠান (Geeta Path Program)। মাঠময় গেরুয়া। দুর্ঘটনা এড়াতে মাঝপথেই ভাষণ শেষ করে দিতে বাধ্য হন বাগেশ্বর ধামের পীঠাধীশ্বর। রবিবারের এই কর্মসূচির আয়োজক ছিল সনাতন সংস্কৃতি সংসদ।

    ভোটব্যাঙ্ক বাঁচাতে অনুপস্থিত মমতা? (Geeta Path Program)

    উদ্যোক্তাদের তরফে প্রথম থেকেই স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল এই কর্মসূচিটি অরাজনৈতিক। সেই কারণেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীকেও। তবে বিধানসভা নির্বাচনের আগে গা বাঁচাতে প্রত্যাশিতভাবেই অনুপস্থিত রইলেন তিনি। অথচ এই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই দীঘায় ঘটা করে উদ্বোধন করেছিলেন জগন্নাথ ধামের। যে জগন্নাথ আদতে শ্রীকৃষ্ণই। তাঁরই মুখনিঃসৃত বাণী পাঠের দিনই স্রেফ ভোটের রাজনীতি করতে গিয়ে, বলা ভালো, নবান্নের চোদ্দতলার ঠান্ডা ঘরের চেয়ারটা যাতে হাতছাড়া না হয়, তাই এদিন আমন্ত্রণ পেয়েও ব্রিগেডে যাননি মুখ্যমন্ত্রী। অন্তত, বিরোধীদের দাবি তেমনই।

    কী বললেন রাজ্যপাল

    তবে মুখ্যমন্ত্রী অনুষ্ঠানে উপস্থিত না হলেও, গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাঁর বক্তৃতায় উঠে আসে মহাভারত এবং গীতার নানা অংশের উদ্ধৃতি। গীতার ‘পরিত্রাণায় সাধুনাং’ শ্লোকটি উদ্ধৃত করে তিনি দুষ্টের দমনের ডাক দেন। মহাভারতে শ্রীকৃষ্ণের অর্জুনকে কর্মে মনোযোগী হওয়ার পরামর্শের কথা মনে করিয়ে দিয়ে রাজ্যপাল বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ কর্ম করার জন্য প্রস্তুত’। পরে বলেন, “পশ্চিমবঙ্গও ধর্মীয় ঔদ্ধত্যকে শেষ করার জন্য প্রস্তুত।” তিনি বলেন, “গীতা আধ্যাত্মিক, দার্শনিক ও সাংস্কৃতিক – সব ক্ষেত্রেই গভীর গুরুত্ব বহন করে।” গীতাকে তিনি ভগবানের সঙ্গীত বলেও উল্লেখ করেন। রাজ্যপাল বলেন, “এই ধর্মগ্রন্থ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রবাহিত, নিঃস্বার্থ কর্ম ও উদ্দেশ্যপূর্ণ জীবনযাপনের জন্য পথনির্দেশ করে। গীতা আজও নাগরিকদের সমাজ ও জাতির প্রতি কর্তব্য পালন করতে প্রাণিত করে।”

    কারা ছিলেন অনুষ্ঠানে

    গীতাপাঠের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার, রাজ্য বিধানসভার (Geeta Path Program) বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্য বিজেপির দুই প্রাক্তন সভাপতি তথাগত রায়, রাহুল সিনহা, লকেট চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পাল প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন দিলীপ ঘোষও। গীতা পাঠের জন্য এদিন ব্রিগেডে তিনটি মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল (Brigade)। মূল মঞ্চের দুপাশে অপেক্ষাকৃত ছোট দুটি মঞ্চ ছিল। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছিলেন সাধুসন্তরা। এসেছিলেন রাজ্যের বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের প্রতিনিধিরাও। কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন মতুয়াদের একাংশও।

    সাধ্বী ঋতম্ভরা

    অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুর্গা বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা সাধ্বী ঋতম্ভরা। গীতা পাঠের অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরে প্রথম ভাষণটি দেন তিনিই। বক্তা হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা হতেই বিশৃঙ্খলা শুরু হয়ে যায় মাঠে। মাঠের শেষের দিকে থাকা লোকজন মঞ্চের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করতে থাকেন। এই হুড়োহুড়ি দেখে ভাষণ দীর্ঘায়িত করেননি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এই নেত্রী। হিন্দুরাষ্ট্রের নামে জয়ধ্বনি দিয়ে বক্তৃতা শুরু করেন তিনি। এও বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের মাটি জেগে ওঠো, পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু জেগে ওঠো। দুষ্টের দমন করো।” পরে (Geeta Path Program) সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় বিধায়ক হুমায়ূন কবীরের বাবরি মসজিদের শিলান্যাস প্রসঙ্গে ঋতম্ভরা বলেন,  “এ দেশে বাবর বা বাবরির কোনও ভিত্তি নেই। ইট দিয়ে একটি কাঠামো তৈরি করা যায়, কিন্তু বাবরকে মানুষের হৃদয়ে ঠাঁই দেওয়া যায় না। এই দেশ রামের, চিরকাল রামেরই থাকবে। এখানে শুধু ভগওয়া রাজ করবে। এটাই চিরন্তন সত্য (Brigade)।”

    “ঐতিহাসিক দৃশ্য”

    ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড, যা প্রায়ই বড় রাজনৈতিক সমাবেশের স্থান হিসেবে ব্যবহৃত হয়, এদিন সেটিই রূপান্তরিত হয়ে উঠেছিল সন্ন্যাসী ও হিন্দুদের একস্বর শ্লোকপাঠের মধ্যে গেরুয়া সমুদ্রে। বিজেপি নেতা অমিত মালব্য এই সমাবেশকে “ঐতিহাসিক দৃশ্য” বলে বর্ণনা করেছেন এবং জনতার উপস্থিতিকে “অসাধারণ” ও “খাঁটি ভক্তিতে পূর্ণ” বলে আখ্যা দেন (Geeta Path Program)। মালব্যের বক্তব্য যে নিছক কথার কথা নয়, তার প্রমাণ মিলল পুলিশেরই একটি সূত্রে। এদিনের অনুষ্ঠানের নাম ছিল পাঁচ লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ। যদিও সূত্রের খবর, লোক হয়েছিল সাড়ে ৬ লাখেরও বেশি। রবিবারের অনুষ্ঠান যে অরাজনৈতিক, তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন সনাতন সংস্কৃতি সংসদের সভাপতি কার্তিক মহারাজ। তিনি বলেছিলেন, “নির্বাচনের সঙ্গে এই অনুষ্ঠানের কোনও সম্পর্কই নেই। ভোট তো সারা বছরই চলছে। সারা ভারতে চলছে। শ্রীমদ্ভাগবদ গীতার সৃষ্টি হয়েছিল মোক্ষদা একাদশীতে। অগ্রহায়ণ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশীই মোক্ষদা একাদশী। এই তিথিটা তো এই সময় আসবেই। তাই এর সঙ্গে ভোটের কোনও সম্পর্ক নেই। এই অনুষ্ঠানের কথা আমরা বিভিন্ন (Brigade) মসজিদেও জানিয়েছি। এটা আমাদের ধর্মের কাজ। কোনও রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শন নয়। কোনও সাধু-সন্ন্যাসীদের শক্তির প্রদর্শনও নয়। এটি একটি অরাজনৈতিক অনুষ্ঠান (Geeta Path Program)।”

  • Hindus Under Attack: অব্যাহত হিন্দু নির্যাতন, দেখে নেওয়া যাক এ সপ্তাহের ছবি

    Hindus Under Attack: অব্যাহত হিন্দু নির্যাতন, দেখে নেওয়া যাক এ সপ্তাহের ছবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত, বাংলাদেশ এবং বিশ্বের আরও কয়েকটি দেশে এখনও চলছে হিন্দু এবং হিন্দু ধর্মের ওপর আক্রমণ (Hindus Under Attack)। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে এই নিপীড়ন ধীরে ধীরে এক ধরনের গণহত্যার রূপ নিচ্ছে। দশকের পর দশক ধরে তামাম বিশ্ব এই আক্রমণগুলির গভীরতা ও ব্যাপ্তি উপেক্ষা করেছে (Roundup Week)। কারণ এর পেছনে রয়েছে ভয়াবহ হিন্দু-বিদ্বেষমূলক মানসিকতা। খুন, জোরপূর্বক ধর্মান্তর, জমি দখল, ধর্মীয় উৎসবের ওপর আক্রমণ, মন্দির ও মূর্তি ভাঙচুর, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, যৌন হিংসা থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি বৈষম্য পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই হিন্দুরা এখন তাদের অস্তিত্বের ওপর ক্রমবর্ধমান আক্রমণ ও অভূতপূর্ব হিন্দু-বিদ্বেষের মুখোমুখি। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক, গত ৩০ নভেম্বর থেকে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত কী কী ঘটনা ঘটেছে ভারতে।

    এলআরপিএফ সরকার (Hindus Under Attack)

    আদিবাসী আইন সংস্থা এলআরপিএফ সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে যে গুন্টুরের জরিপ নং ৩৫২-এর আকহাাদ জমি শেখ সলিমের কাছে হস্তান্তরের জন্য অবৈধ বিক্রয় দলিল রেজিস্ট্রি অবিলম্বে বন্ধ করা হোক। চিক্কামাগালুরুতে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে যখন এমইএস কলেজ তাদের বার্ষিক ৪১ দিনের ব্রত পালনকারী দুই হিন্দু ছাত্রকে অয়্যাপ্পা মালা পরিধানের কারণে কলেজ থেকে বের করে দেয়। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই দুই ছাত্র নির্ধারিত কলেজ ইউনিফর্ম পরেই এসেছিলেন এবং তার সঙ্গে অয়্যাপ্পা দীক্ষার সময় ব্যবহৃত প্রচলিত কালো পোশাকও পরেছিলেন। কলেজ কর্তৃপক্ষের অভিযোগ পেয়েই তাদের (Hindus Under Attack) প্রধান গেটের কাছেই থামিয়ে দেওয়া হয় তাঁদের। মালা খুলে ফেলার নির্দেশও দেওয়া হয়।

    অহল্যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর অভিযোগ

    তাঁদের দাবি, এটি পোশাকবিধি লঙ্ঘনের শামিল। ছাত্ররা অস্বীকার করলে তাঁদের কলেজ চত্বর থেকে বের করে দেওয়া হয়। ইন্দোরের দেবী অহল্যা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী তাঁর বছর চব্বিশের মুসলিম সহপাঠীর বিরুদ্ধে গুরুতর ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণ, প্রাণনাশের হুমকি এবং জোর করে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগও আনা হয়েছে। এই অভিযোগ মধ্যপ্রদেশ ধর্ম স্বাধীনতা আইনের সম্প্রসারিত ধারার অধীনে করা হয়েছে, যা সাধারণত লাভ জেহাদ মামলায় ব্যবহৃত হয়। পুলিশ তিলক নগর থানায় এফআইআর দায়ের করেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে। ধৃতের নাম হামস শেখ, ইন্দোরের সঞ্চার নগরের বাসিন্দা। প্রসঙ্গত, বেশিরভাগ ঘৃণাজনিত অপরাধ নির্দিষ্ট ধর্মীয় উপদেশ ও রাজনৈতিক মতাদর্শে নিহিত হিন্দু-বিরোধী বিদ্বেষ দ্বারা পরিচালিত হয়। ইসলামিক দেশগুলিতে হিন্দু-বিরোধী ঘৃণা স্পষ্ট হলেও, ভারতের মতো তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রগুলির প্রতিষ্ঠান ও জনপরিসরে আরও সূক্ষ্ম ধরনের হিন্দু-বিরোধী মনোভাব বিদ্যমান, যা হিন্দু-বিদ্বেষ এবং ঘৃণাজনিত অপরাধের জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরি করে। এই সূক্ষ্ম, দৈনন্দিন বৈষম্যগুলি সহজে ধরা পড়ে না, যদি না প্রচলিত আইন ও আচরণের ধরন গভীরভাবে বিশ্লেষণ করা হয়।

    দীপাবলিতে আতশবাজির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি এর একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ। আপাতদৃষ্টিতে দেখলে এটি (Roundup Week) পরিবেশ দূষণ সংক্রান্ত বলে মনে হতে পারে। কিন্তু বৃহত্তর প্রেক্ষাপট থেকে দেখলে হিন্দু উৎসবগুলির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা ও নিষেধাজ্ঞার পিছনে সুস্পষ্ট যুক্তির অভাব এই দ্বৈত নীতিই স্পষ্টভাবে প্রকাশ করে (Hindus Under Attack)।

  • Kerala: কেরলে হিন্দু পুলিশ অফিসারকে তালিবানি কায়দায় খুন! দ্রুত বিচার চায় হিন্দু সংগঠন

    Kerala: কেরলে হিন্দু পুলিশ অফিসারকে তালিবানি কায়দায় খুন! দ্রুত বিচার চায় হিন্দু সংগঠন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২২ নভেম্বর কেরল (Kerala) মুখ্যমন্ত্রীর বিশিষ্ট সেবা পদকপ্রাপ্ত অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কমান্ডিং অফিসার পি. রমনকুট্টিকে (P. Ramankutt) ওয়াইনাডে অত্যন্ত রহস্যজনক পরিস্থিতিতে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। তাঁর মৃতদেহ একটি অগভীর কূপ থেকে উদ্ধার করা  হয়েছিল। তাঁর গলায় ২৫ কেজি ওজনের একটি পাথর বাঁধা ছিল। এই ঘটনা স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়কে হতবাক করে দিয়েছে। মৃতদেহ দেখে নিশ্চিত বোঝাই যাচ্ছিল এটি কোনওভাবেই আত্মহত্যা নয়, বরং একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। অনেকেই মনে করছেন এই হত্যাকাণ্ড কোনও জেহাদি সংগঠন করেছে। তবে হিন্দু সংগঠনগুলির দাবি, এটি সম্পূর্ণভাবে তালিবানি হত্যাকাণ্ড। কেরলের বাম সরকার অবশ্য হত্যা নয় আত্মহত্যার বলার চেষ্টা করেই তদন্ত করছে। কিন্তু কট্টর ইসলামি সংগঠনের দৌরাত্ম্য যে ক্রমেই জনজীবনের শান্তি-শৃঙ্খলার ভারসাম্যকে নষ্ট করতে তা বলাই বাহুল্য।

    ৬০ জনের একটি দল বাড়িতে হামলা করেছে (Kerala)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২১ নভেম্বর রাতে ভাদুভাঞ্চলে প্রায় ৬০ জনের একটি দল অফিসার পি রমনকুট্টির বাড়িতে হামলা করেছিল। তবে হামলাকারীদের মধ্যে অনেকেই এসডিপিআই-সমর্থকও ছিল। বাড়িতে (Kerala) আক্রমণ করার একদিন পরেই মৃতদেহ (P. Ramankutt) উদ্ধার হয়। পরিবারের সদস্য এবং স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, “আক্রমণকারীরা বাড়িটিকে প্রথমে ঘিরে ফেলে, এরপর হুমকি দেয়, বাইরে থেকে আত্মীয়স্বজনরা ঢুকতে চাইলে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে চিৎকার করে ঘোষণা করা হয়, রমনকুট্টিকে পালাতে দেওয়া হবে না।” এলাকায় এই ধরনের হিংসাত্মক আক্রমণের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

    কেরল মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি

    কেরল (Kerala) মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়নের কাছে লেখা এক বিস্তারিত চিঠিতে রমনকুট্টির মেয়ের জামাই রঞ্জিত বর্ণনা করে বলেন, “আমি এবং আমার স্ত্রী ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখি বাড়িতে অস্ত্র নিয়ে লোকজন ঘেরাও করে ফেলেছে। এসডিপিআইয়ের সমর্থক এক কট্টর ইসলামপন্থী ফয়জল পুলিশের পোশাক পরে উপস্থিত ছিল ঘটনাস্থলে। ওই ব্যক্তি গোটা ঘটনার নেতৃত্ব দেয়। আক্রমণকারীরা স্পষ্ট করে দিয়েছিল যে রমনকুট্টিরকে হত্যা করতেই এই হামলার ছক ছিল তাদের। দুষ্কৃতীরা তাঁকে (P. Ramankutt) ঘরের ভেতরে খুঁজে না পেয়ে রাতভর আশপাশে তল্লাশি চালায়। পরের দিন ভোরে, বাড়ির পিছনের কুয়োর কাছে রমনকুট্টির মোবাইল ফোনটি পাওয়া যায়। কুয়োটির জল ওপরে উঠে এলে পরিবারের বাকি সদস্যরা বুঝতে পারেন একটি বিশাল পাথরের ভারে রমনকুট্টির মৃতদেহ নীচে চাপা পড়ে আছে। তবে কোনওভাবেই আত্মহত্যা নয়। কারণ পুকুরটির গভীরতা খুবই কম। সম্পূর্ণভাবে এটি খুনের পরিকল্পনা।”

    তালিবান-ধাঁচের আক্রমণ

    তবে হিন্দু সংগঠনগুলি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে আক্রমণ এবং মৃত্যুর মধ্যে সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। বাস ভ্রমণ সংক্রান্ত একটি বিষয় নিয়ে রমনকুট্টির সঙ্গে এসডিপিআই (SDPI) ক্যাডারদের ব্যক্তিগতভাবে মতের অমিল হয়েছিল। তবে ক্ষোভ মেটানো এবং একজন সম্মানিত হিন্দু অফিসারকে লক্ষ্যবস্তু হিসেবে আক্রমণের ঘটনা কার্যত জেহাদি হামলার সমতুল। হিন্দু সংগঠনের একাধিক নেতা এই হত্যাকাণ্ডকে “তালিবানী -ধাঁচের আক্রমণ” হিসাবে বর্ণনা করার পক্ষপাতী। তাঁদের সাফ দাবি, রমনকুট্টিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”

    অভিযুক্তদের এখনও জিজ্ঞাসা করা হয়নি

    রঞ্জিতের দাবিগুলি আরও জোরাল হয়ে ওঠে যখন দেখা যায়, ফয়জল নিজে ঘটনার রাতে অফিসিয়াল দায়িত্ব এড়িয়ে গিয়েছিলেন এবং হামলার জন্য এসডিপিআই সদস্যদের জড়ো করার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপকেও ব্যবহার করেছিলেন। যদিও এই হত্যামামলায় পুলিশ ফয়জল এবং শামনাদ সহ প্রধান সন্দেহভাজনদের এখনও পর্যন্ত কোনও জিজ্ঞাসাবাদ করেনি। বরং, অফিসাররা ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে ধামাচাপা দিতে বেশি আগ্রহী। পুলিশের ভূমিকায় পরিবার এবং একাধিক হিন্দু সংগঠন ভীষণভাবে ক্ষুব্ধ। রাজনৈতিকভাবে সংযুক্ত ব্যক্তিদের রক্ষা করার প্রচেষ্টা করছে কেরলের বাম সরকার।

    ওয়াইনাড জুড়ে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে

    হিন্দু ঐক্যবেদী সংগঠন হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। তাদের দাবি, বিষয়টিকে এড়িয়ে যেতে দেওয়া যাবে না। পূর্ণাঙ্গ হত্যার তদন্ত, অভিযুক্ত এসডিপিআই কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সেই রাতে বারবার সাহায্য চেয়েও সহযোগিতা করতে না আসা পুলিশ কর্তাদের বিরুদ্ধেও তদন্তের দাবি উঠেছে প্রবলভাবে। শোকাহত পরিবার এখন দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি চেয়েছে। দেশ সেবায় নিয়োজিত একজন ব্যক্তিকে নৃশংসভাবে হত্যা (P. Ramankutt) করার প্রতিবাদে ন্যায় বিচার চান এলাকাবাসীরাও।

    কতটা শক্তিশালী আইন শৃঙ্খলা

    যিনি জীবনের মূল্যবান সময় দিয়ে সমাজের জন্য কাজ করে গেলেন তাঁকে এমন নির্মম হত্যার শিকার কেন হতে হল? তাঁদের প্রশ্ন ওয়াইনাড (Kerala) জুড়ে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে, কীভাবে একজন সম্মানিত হিন্দু অফিসারের ওপর আক্রমণ করা যেতে পারে, অপহরণ করে কীভাবে হত্যা করা যায়? গলায় পাথর বেঁধে জলে ডুবিয়ে মারা হয় যেখানে, সেখানে পুলিশ বলছে আত্মহত্যা! এটা কীভাবে সম্ভব! গোটা ঘটনার সঠিক তদন্ত চান সাধারণ মানুষ।

    তবে যদি প্রশাসন মামলার গুরুত্ব উপেক্ষা করে তাহলে হিন্দু সংগঠনগুলি তীব্র আন্দোলনের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। তাদের বক্তব্য খুব স্পষ্ট, রমনকুট্টির জন্য ন্যায়বিচার কেবল একটি পরিবারের দাবি নয়, বরং কেরলের আইন-শৃঙ্খলা কতটা বেঁচে আছে তাও পরীক্ষার সময়। কট্টর জেহাদি সংগঠনকে পরোক্ষভাবে নৈরাজ্য সৃষ্টির ছাড়পত্র দিয়েছে।

  • Geetapath: লক্ষ লক্ষ কণ্ঠে গীতার বাণীতে মুখরিত ব্রিগেড, অনুষ্ঠানের ধারা বিবরণী

    Geetapath: লক্ষ লক্ষ কণ্ঠে গীতার বাণীতে মুখরিত ব্রিগেড, অনুষ্ঠানের ধারা বিবরণী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাখ লাখ কণ্ঠে গীত হচ্ছে গীতা (Geetapath)। ব্রিগেডজুড়ে (Brigade) ভাবগম্ভীর পরিবেশ। ধূপের গন্ধে ম ম করছে গোটা চত্বর। সাধু-সন্তদের পাশাপাশি গীতা পাঠ করছে আমজনতাও। এই জনতার ভিড়ে যেমন ছিলেন হিন্দুরা, তেমনি সংখ্যায় কম হলেও, ছিলেন ভিন ধর্মের কিছু মানুষও। সবার সঙ্গেই গলা মেলালেন তাঁরাও। বস্তুত, রবিবার ভোর থেকেই জনতা ছিল ব্রিগেডমুখী। হাওড়া এবং শিয়ালদহ থেকে দলে দলে লোক যোগ দিতে যান গীতা পাঠের আসরে। ঘোড়ার গাড়িতে করে মঞ্চে এসেছেন বেশ কয়েকজন সাধু-সন্তও। ঘড়ির কাঁটায় যখন ঠিক ন’টা বাজে, তখনই এক সঙ্গে বেজে উঠল কয়েক হাজার শাঁখ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে ভিড়ও।

    সনাতন সংস্কৃতি পর্ষদ (Geetapath)

    ব্রিগেডে এদিন পাঁচ লাখ কণ্ঠে গীতা পাঠের আয়োজন করেছে সনাতন সংস্কৃতি পর্ষদ। এদিন প্রথমে হয়েছে সমবেত কণ্ঠে বেদপাঠ। পরে হয় গীতা আরতি। এই আরতির সময় ঢাক, খোল এবং করতাল নিয়ে ভাবাবিষ্ট হয়ে নৃত্য করতে দেখা যায় জনতার একাংশকে। এই সময় উলুধ্বনিও দিতে থাকেন মহিলারা। অনুষ্ঠানে সভাপতি পদে বরণ করে নেওয়া হয় জ্ঞানানন্দজি মহারাজকে। ব্রিগেডের এই ভিড় সামাল দিতে বিভিন্ন রুটে ২০টি স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করেছিল রেল। শিয়ালদহের পাশাপাশি হাওড়া শাখায়ও চলছে বিশেষ ট্রেন। ট্রেন এসেছে কৃষ্ণনগর, শান্তিপুর, বনগাঁ, হাসনাবাদ, লক্ষ্মীকান্তপুর, ডায়মন্ড হারবার এবং ক্যানিং থেকেও। ট্রেনগুলিতে কার্যত তিল ধারণের জায়গা ছিল না। প্রবীণ ব্যক্তিদের অনেকের মতে, দীর্ঘদিন পরে এমন জনসমাবেশ দেখল ব্রিগেড। এদিনের ভিড় ছাপিয়ে গিয়েছে অতীতের সব রেকর্ড।

    আয়োজনের পুরোধা

    এদিন এই আয়োজনের পুরোধা ছিলেন স্বামী প্রদীপ্তানন্দ মহারাজ, যাঁকে কার্তিক মহারাজ বলেই চেনেন সবাই। তাঁর সঙ্গে মঞ্চে ছিলেন নির্গুনানন্দ ব্রহ্মচারী, বন্ধুগৌরব দাস মহারাজেরাও (Geetapath)। বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা সাধু-সন্তরা ছিলেন মূল মঞ্চে। বাকি দুটি মঞ্চে ছিলেন এরাজ্যের সাধু-সন্ত এবং বিশিষ্টজনেরা। গীতা পাঠের (Brigade) অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসা মানুষের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয় গোটা এলাকা। মাঠজুড়ে নির্মাণ করা হয়েছে ২৫টি গেট। সব মিলিয়ে মঞ্চ বাঁধা হয়েছে তিনটি। মূল মঞ্চের পাশেই রয়েছে আরও দুটি মঞ্চ। মঞ্চের নীচে সোফায় বসার ব্যবস্থা ছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যদের। ভিআইপিদের বসার জন্যও ছিল লাল রংয়ের চেয়ার। ব্রিগেডের শেষ প্রান্তের মানুষজনও যাতে অনুষ্ঠান চাক্ষুষ করতে পারেন, সেজন্য টাঙানো হয়েছিল বেশ কয়েকটি জায়ান্ট স্ক্রিন। ভিড়ের কারণে সেই স্ক্রিনেই মূল অনুষ্ঠান দেখতে বাধ্য হয়েছেন বহু মানুষ (Geetapath)।

    গীতা আরতি

    এদিন গীতা পাঠ করতে ব্রিগেডে আসা মানুষকে সাহায্য করতে দুটি শিবির করা হয়েছিল হাওড়া স্টেশনের বাইরে। এই শিবির তৈরি করেছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারী পরিষদের তরফে। ভিড়ে চোটে যাঁরা বুঝতে পারছেন না, ঠিক কোন দিকে যাবেন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে, তাঁরা নানা প্রশ্ন নিয়ে চলে গিয়েছেন ক্যাম্পে। তারপর কেউ ফেরি চড়ে, কেউবা বাসে চড়ে রওনা দেন গন্তব্যের দিকে। পায়ে হেঁটেও অনেকেই দেখা গেল ব্রিগেডের দিকে যেতে। এদিনের অনুষ্ঠানে অবশ্য গোটা গীতা পাঠ করা হয়নি। পাঠ করা হয়েছে কেবল প্রথম, নবম এবং অষ্টাদশ অধ্যায়। এর আগে মঞ্চে প্রতিষ্ঠা করা হয় গীতাকে। পরে হয় আরতি। তারও পরে শুরু হয় গীতা পাঠ। সব শেষে হয়েছে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের প্রবচন (Geetapath)। এদিনের এই (Brigade) অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যেমন মানুষ এসেছেন তামাম ভারত থেকে, তেমনি লোকজন এসেছেন নেপাল এবং বাংলাদেশ থেকেও।

    এত বড় সমবেত কণ্ঠে গীতা পাঠ

    উদ্যোক্তাদের তরফে জানানো হয়েছে, এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। তবে অসমর্থিত একটি সূত্রের খবর, অনুষ্ঠানে হাজির হননি মমতা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্কে যাতে টোল না লাগে, তা-ই এদিনের অনুষ্ঠান সযত্নে এড়িয়ে গিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। সনাতন সংস্কৃতি পরিষদের দাবি, কলকাতা বা কেবল বাংলা নয়, ভারতের ইতিহাসেও এত বড় সমবেত কণ্ঠে গীতা পাঠ এই প্রথমবার (Geetapath)। গত বছরই প্রথমবারের জন্য লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠের আয়োজন করা হয়েছিল এই ব্রিগেডেই। তবে সেবার মাঠ ভরেনি বলেই দাবি করেছিল রাজ্যের শাসক দল। এবার লক্ষ কণ্ঠ নয়, গীতা পাঠ করেছেন পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ। এই প্রথম ব্রিগেড (Brigade) প্রত্যক্ষ করল ভারতে রয়েছে বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের ছবি।

  • Threat Politics: “যত বেশি হুমকি দেওয়া হবে, আমরা ততই শক্তিশালী হব”, বললেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী

    Threat Politics: “যত বেশি হুমকি দেওয়া হবে, আমরা ততই শক্তিশালী হব”, বললেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা, বিভাজন ছড়ানো এবং সাম্প্রদায়িক উসকানির ওপর ভিত্তি করে করা রাজনীতি কখনই ফলপ্রসূ হবে না, এবং বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার জনজাতি সম্প্রদায়ের সার্বিক উন্নয়নের জন্য কাজ করছে।” শনিবার সিমনা বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত (Threat Politics) বারাকাথল বাজারে একটি সাংগঠনিক কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে কথাগুলি বললেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা (Manik Saha)। এদিন তিনি বিজেপিতে যোগ দেওয়া ১০৭টি পরিবারের ৩১২ জন ভোটারকে স্বাগত জানান।

    কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী (Threat Politics)

    সিমনা মণ্ডল আয়োজিত ওই সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কয়েক দিন আগে বলা হয়েছিল, ভারতীয় জনতা পার্টির মতো জাতীয় রাজনৈতিক দলকে টিটিএএডিসি এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হবে না। আমরা প্রায়ই হুমকি শুনি। যত বেশি হুমকি দেওয়া হবে, আমরা ততই শক্তিশালী হব। আমি শুনেছি যে এখানে বারাকাথল বাজারে কোনও কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হবে না, মুখ্যমন্ত্রীকে আসতে দেওয়া হবে না, জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রীকে আসতে দেওয়া হবে না, এবং বিজেপির কেউ আসতে পারবে না। কিন্তু এই জায়গাটি কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। এটি সবার সম্পত্তি। যে কোনও দল যে কোনও জায়গায় যেতে পারে। কিন্তু বিজেপি কখনওই শক্তি প্রয়োগ বা বিভিন্ন ধরনের চাপের মাধ্যমে ভয়-ভীতি দেখানো সহ্য করবে না।”

    জম্মু ও কাশ্মীর

    মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী দেশটির অখণ্ডতা রক্ষা করতে জম্মু ও কাশ্মীরে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন এবং পণ্ডিত দীন দয়ালও মুঘলসরাইয়ে নিহত হয়েছিলেন। বিজেপি সমগ্র ভারতের অন্যতম সেরা রাজনৈতিক দল। আমাদের আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে কোনও দ্বন্দ্ব নেই। তারা তাদের মতো করে কাজ করবে। কিন্তু যে রাজনীতি বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে বা নানা উপায়ে বিভাজন ঘটায় এবং সাম্প্রদায়িক আবেগকে উস্কে দেয়, সেই রাজনীতি কোনওদিনই ফলপ্রসূ হবে না। অতীতেও তা প্রমাণিত হয়েছে। এমন রাজনীতির মাধ্যমে উন্নয়ন সম্ভব নয়।” তিনি বলেন, “তাই আবারও বলব, বিজেপির দরজা এখনও তাঁদের জন্য খোলা, যাঁরা এভাবে চিন্তা করেন কিন্তু অন্যদের ভুল ব্যাখ্যার কারণে বিভ্রান্ত হচ্ছেন। আমি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি বিজেপির পতাকার তলে আসতে। কারণ বিজেপির জনপ্রিয়তার (Threat Politics) গ্রাফ ধীরে ধীরে ওপরে উঠছে।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বর্তমানে উত্তর-পূর্ব ভারতে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আগে অনেকেই উগ্রপন্থার দিকে ঝুঁকে পড়তেন, বিশেষ করে জনজাতি সম্প্রদায়ের কিছু মানুষ। কারণ তাঁরা বুঝতে পারতেন না তাঁদের প্রকৃত অভিভাবক কে। কিছু মানুষ ব্যক্তিস্বার্থে তাঁদের ভুল পথে চালিত করেছিলেন। আজ উত্তর-পূর্বে প্রায় ১১-১২টি চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে, যার ফলে শান্তি এসেছে। কিন্তু এখনও দেশের শক্তিকে দুর্বল করার চেষ্টা চলছে।”

    জনজাতি সম্প্রদায়

    মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিরলস প্রচেষ্টার ফলে রাজ্যের জনজাতি সম্প্রদায়ের ৭ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। আমাদের সরকার ক্ষমতায় আসার পর আগরতলা বিমানবন্দরকে আধুনিক ত্রিপুরার নির্মাতা মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মানিক্য বাহাদুরের নামে উৎসর্গ করা হয়েছে (Threat Politics)। সাংগ্রাম্মা পূজার দিনটি সরকারি ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। গরিয়া পূজার সরকারি ছুটি এক দিন থেকে বাড়িয়ে দু’দিন করা হয়েছে (Manik Saha)।” এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জনজাতি কল্যাণমন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা, বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিপিন দেববর্মা, পশ্চিম জেলা সদর গ্রামীণ সভাপতি গৌরাঙ্গ ভৌমিক, জনজাতি মোর্চার সহ-সভাপতি মঙ্গল দেববর্মা, লেফুঙ্গা আরডি ব্লকের বিএসি চেয়ারম্যান রণবীর দেববর্মা এবং অন্য শীর্ষ নেতা-কর্মীরা (Threat Politics)।

  • PM Modi: “ভারতের প্রগতি এবং আর্থিক বৃদ্ধির হারের সঙ্গে হিন্দু ধর্মের গভীর যোগ”, বললেন মোদি

    PM Modi: “ভারতের প্রগতি এবং আর্থিক বৃদ্ধির হারের সঙ্গে হিন্দু ধর্মের গভীর যোগ”, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দুস্তান টাইমস লিডারশিপ সামিটের ২৩তম সম্মেলনে বক্তৃতা দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ভারতের প্রগতি এবং আর্থিক বৃদ্ধির হারের (India’s rate of growth) সঙ্গে হিন্দু ধর্মের যোগসূত্রের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “কয়েক দশক আগে বিশ্ব যখন আর্থিক মন্দার শিকার হয়েছিল সেই সময় ভারত নিজের উন্নয়ন এবং বৃদ্ধির ধারাকে অব্যাহত রেখে এগিয়ে গিয়েছে। বিশ্ব যখন বিশ্বাস এবং আস্থার সংকটের মুখোমুখি হয়েছিল সেই সময় ভারতই হয়ে উঠেছিল বিশ্বের আস্থা স্তম্ভের ভরকেন্দ্র। বিশ্ব যখন খণ্ডিত, তখন ভারত সেতুবন্ধনকারী হিসেবে অবিচলভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে।”

    এক সন্ধিক্ষণে আছি

    সম্মলেনে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “আমরা এমন এক সন্ধিক্ষণে আছি যেখানে একবিংশ শতাব্দীর এক-চতুর্থাংশ পেরিয়ে গিয়েছে (India’s rate of growth), এবং বিশ্ব অনেক উত্থান-পতন দেখেছে। আর্থিক সংকট, বিশ্বব্যাপী মহামারী, পূর্ব-পশ্চিমে যুদ্ধ সহ একাধিক ঘটনার সাক্ষী হয়েছে গোটা বিশ্ব। এই পরিস্থিতিগুলি কোনও না কোনওভাবে বিশ্বকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে। বিশ্বাস, আস্থা এবং বোধের মূলে চরম আঘাত করেছে। আজ বিশ্ব অনিশ্চয়তায় ভরা, কিন্তু এর মধ্যে আমাদের ভারত একটি ভিন্ন স্তরে উপস্থিত হতে চলেছে। ভারত আত্মবিশ্বাসে পূর্ণ, আগামীদিনে বিশ্বের সকল ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেবে ভারতীয় যুব সমাজ।”

    ঔপনিবেশিক মানসিকতা থেকে মুক্ত

    প্রধানমন্ত্রী মোদি পূর্ববর্তী কংগ্রেস এবং ইউপিএ জোট সরকারকে কটাক্ষ করে বলেন, “কংগ্রেসের শাসনে ব্যবস্থাগুলি এমন নিস্তেজ হয়ে পড়েছিল। সরকার ব্যবস্থার ওপর নিজের নাগরিক সমাজের বিশ্বাস ভেঙে পড়েছিল। আমাদের সরকার সেই কাজ করার পদ্ধতিগুলিকে সম্পূর্ণভাবে ভেঙে দিয়েছে। একজন নাগরিকের স্ব-প্রত্যয়িত নথিই তার সত্যতা প্রমাণের জন্য যথেষ্ট। একটি সরকারের সবচেয়ে বড় দিক তার দেশের নাগরিকদের প্রতি আস্থা এবং বিশ্বাস। আমাদের দেশকে প্রতিটি কোণ থেকে ঔপনিবেশিক মানসিকতা থেকে মুক্ত করতে হবে। আমি আগামী ১০ বছরের জন্য নাগরিকদের দৃষ্টিভঙ্গিকেই (India’s rate of growth) সামনে রেখে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।

    গ্যারান্টি-মুক্ত ঋণের রূপান্তর

    প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) বলেন, “কম সময়ে নাগরিকদের ক্ষমতায়নকে যাতে আরও বেশি বেশি করে করা যায়, সেই লক্ষ্যে কাজ করছে আমাদের সরকার। সকলেরই প্রয়োজন বিশেষ বিশেষ কাজের জন্য সবরকমভাবে প্রস্তুত হওয়া। সমস্ত কাজ এবং সংস্কারগুলি জনবিশ্বাস, শক্তি এবং বিধানের অংশ। সাধারণ মানুষের ওপর বোঝা কম এবং ছোটখাটো সম্মতিগুলিকে অপরাধমুক্তকরণের পক্ষেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। একইভাবে গ্যারান্টি-মুক্ত ঋণের রূপান্তরমূলক প্রভাবকে জনমুখী করা হয়েছে। ছোট বিক্রেতা, ফেরিওয়ালা এবং অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণীর মানুষের মধ্যে ইতিমধ্যেই ৩৭ লাখ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে। যারা মাত্র ১,০০০ টাকা দাবি করে তারাও গ্যারান্টি ছাড়াই ঋণ পাচ্ছে। আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে প্রশাসনের মনোযোগ বিশেষভাবে রয়েছে।”

    বিরাট বিনিয়োগকে সহযোগিতা

    দাবিহীন তহবিলের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) চমকপ্রদ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “ব্যাংকগুলিতে ৭৮,০০০ কোটি টাকা, বীমা কোম্পানিগুলিতে ১৪,০০০ কোটি টাকা, মিউচুয়াল ফান্ডে ৩,০০০ কোটি টাকা এবং লভ্যাংশে ৯,০০০ কোটি টাকা পর্যন্ত বিরাট বিনিয়োগকে সহযোগিতা করেছে সরকার। সরকার নাগরিকদের ন্যায্য উপার্জন পুনরুদ্ধারে সহায়তা করার জন্য বিশেষ জেলা-স্তরের শিবিরও চালু করেছে। এখন এই বিনিয়োগের টাকার হাজার হাজার কোটি টাকা ইতিমধ্যেই ফিরেও এসেছে। এই সবটাই দেশের নাগরিকদের কষ্টার্জিত অর্থ। জনসাধারণের বিশ্বাস পুনরুদ্ধার (India’s rate of growth) করা সরকারের সবচেয়ে বড় মূলধন।”

    ম্যাকোলের দাসত্বের মানসিকতাকে ত্যাগ

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) গভীরভাবে ব্যক্তিগত স্তরে আবেদন করে বলেন, “নাগরিকদের ২০৩৫ সালের মধ্যে লর্ড ম্যাকোলের দাসত্বের মানসিকতাকে ত্যাগ করতে হবে। আগামী দশ বছরের জন্য ঔপনিবেশিক উত্তরাধিকারকে কাটিয়ে উঠতে হবে। এই জন্য দেশকে পরিচালিত করতে বিশেষ লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। তবে দেশের জনগণের সমর্থন ছাড়া আমি এটা করতে পারব না। আমাদের একে অন্যের পদাঙ্ককে অনুসরণ করতে হবে। আমাদের লাইন আরও বড় করতে হবে। সকল প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে, আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।”

  • Ministry of Civil Aviation: সমস্ত বিমান সংস্থার ওপর ভাড়ার সীমাবদ্ধতা আরোপ করল বেসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক

    Ministry of Civil Aviation: সমস্ত বিমান সংস্থার ওপর ভাড়ার সীমাবদ্ধতা আরোপ করল বেসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্ডিগোর ফ্লাইট বাতিলের ফলে বেসামরিক বিমান চলাচলে বিরাট সংকট তৈরি হয়েছে। বাতিল এবং বিলম্বিত ফ্লাইটের পরিপ্রেক্ষিতে মূল্য বৃদ্ধি রোধ করতে বেসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক (Ministry of Civil Aviation) সমস্ত বিমান সংস্থার ওপর ভাড়ার সীমাবদ্ধতাকে আরোপ করেছে। এক বিবৃতিতে মন্ত্রক জানিয়েছে, “বিমান চলাচলে (IndiGo flights) সাময়িক সঙ্কটের মধ্যে নির্দিষ্ট কিছু বিমান সংস্থা অস্বাভাবিক ভাবে বেশি পরিমাণে বিমান ভাড়া আদায় করছে। ফলে জনসাধারণ সমস্যায় পড়ছে। তাই বিষয়টি কতটা উদ্বেগজনক তা ভারত সরকার নিরীক্ষণ করছে।”

    ব্যস্ত রুটে ন্যায্য এবং যুক্তিসঙ্গত ভাড়া নিশ্চিত (Ministry of Civil Aviation)

    বেসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক (Ministry of Civil Aviation) স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছে, “যাত্রীদের যে কোনও ধরণের সহযোগিতায় সরকার দায়িত্বশীল। সুবিধাজনক বিমান পরিষেবা এবং ভাড়ার অতরিক্ত মূল্য থেকে রক্ষা পেতে মন্ত্রক সমস্ত রকম সহযোগিতা করবে। সকল ব্যস্ত রুটে ন্যায্য এবং যুক্তিসঙ্গত ভাড়া নিশ্চিত করতে নিয়ন্ত্রক ক্ষমতা প্রয়োগ করেছে।” আর সেই অনুযায়ী, বিভিন্ন দূরত্বের জন্য বিমান সংস্থাগুলি সর্বোচ্চ কত ভাড়া নিতে পারে তাও প্রকাশ করেছে মন্ত্রক (IndiGo flights)। কেন্দ্রের ঘোষিত সীমা তালিকা অনুসারে, বিমান সংস্থাগুলি ৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বের জন্য সর্বোচ্চ ৭,৫০০ টাকা চার্জ করতে পারবে। ৫০০-১০০০ কিলোমিটারের জন্য, সর্বোচ্চ ভাড়া ১২,০০০ টাকা, ১০০০ থেকে ১৫০০ কিলোমিটারের জন্য, সর্বোচ্চ ভাড়া ১৫,০০০ টাকা এবং ১৫০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের জন্য, বিমান সংস্থাগুলি সর্বোচ্চ ১৮,০০০ টাকা ভাড়া নিতে পারবে। তবে এই ভাড়াগুলি হল মূল ভাড়ার জন্য উন্নয়ন ফি (UDF), যাত্রী পরিষেবা চার্জ (PSF) এবং কর এই বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত নয়।

    বিমান সংস্থার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে টিকিট কাটার পরামর্শ

    মন্ত্রক (Ministry of Civil Aviation) জানিয়েছে ভাড়া স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত বা পরবর্তী পর্যালোচনা না হওয়া পর্যন্ত ভ্রমণের জন্য ভাড়ার এই নির্দেশিকা কার্যকর থাকবে। এই ভাড়ার মূল্য সকল ধরনের বুকিংয়ের জন্য প্রযোজ্য হবে। তবে যাত্রীদের টিকিটের ক্রয়-বিক্রয় সরাসরি বিমান সংস্থার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।  বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে টিকিট গ্রহণ না করার আহ্বান জানিয়েছে মন্ত্রক। মন্ত্রক আরও জানিয়েছে, বিমান সংস্থাগুলি ভ্রমণের জন্য সকল ক্ষেত্রে বিমান টিকিটের সহজলভ্যতা বজায় রাখবে এবং চাহিদা বৃদ্ধির কারণে প্রয়োজনে তারা সেক্টরগুলিতে সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনা করবে।

    মন্ত্রক আরও জানিয়েছে, ফ্লাইট বাতিলের (IndiGo flights) ফলে ক্ষতিগ্রস্ত সেক্টরগুলিতে ভাড়ার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি এড়াতে বিমান সংস্থাগুলিকে অনুরোধ করা হয়েছে। বিমান সংস্থাগুলি ক্ষতিগ্রস্ত যাত্রীদের সর্বোচ্চ সহায়তা প্রদান করবে, যেখানে সম্ভব বিকল্প বিমানের বিকল্পগুলিকেও অন্তর্ভুক্ত করা হবে। ভাড়ার সর্বোচ্চ সীমার আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

  • Daily Horoscope 07 December 2025: বাণীতে সংযম জরুরি এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 07 December 2025: বাণীতে সংযম জরুরি এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) কোনও নিয়ম লঙ্ঘন করার জন্য আপনাকে বিপদে পড়তে হতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে শুভ যোগ।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) কোনও ভুল কাজের জন্য অনুতাপ হতে পারে।

    ২) অতিরিক্ত দৌড়ঝাঁপ করার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।

    ৩) সতর্ক থাকবেন সব বিষয়ে।

    মিথুন

    ১) কারও কুপ্রভাবে সংসারে অশান্তি হতে পারে।

    ২) সামাজিক সুনাম লাভ বা প্রতিপত্তি বিস্তারের যোগ।

    ৩) বাণীতে সংযম জরুরি।

    কর্কট

    ১) সাংসারিক কারণে মানসিক যন্ত্রণা।

    ২) আজ আপনাকে অবাক করে দেওয়া কোনও সুখবর আসতে পারে।

    ৩) সবাইকে ভালোভাবে কথা বলুন।

    সিংহ

    ১) সম্পত্তি সংক্রান্ত সমস্যা মিটে যেতে পারে।

    ২) অপরের উপকার করতে গেলে বিপদ হতে পারে।

    ৩) প্রতিকূল কাটবে দিনটি।

    কন্যা

    ১) বাতজ রোগে কষ্ট পাওয়ার আশঙ্কা।

    ২) কর্মস্থলে নিজের মতামত প্রকাশ না করাই ভাল হবে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    তুলা

    ১) বাড়িতে সবাই খুব সতর্ক থাকুন, চুরির ভয় রয়েছে।

    ২) আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।

    ৩) দিনটি মোটামুটি কাটবে।

    বৃশ্চিক

    ১) জমি বা সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় করার শুভ দিন।

    ২) শেয়ারে বাড়তি লগ্নি চিন্তাবৃদ্ধি ঘটাতে পারে।

    ৩) আশাহত।

    ধনু

    ১) বন্ধুদের বিরোধিতা থেকে সাবধান থাকুন।

    ২) সঞ্চয়ের ব্যাপারে বিশেষ নজর দিন।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    মকর

    ১) পেটের সমস্যা বাড়তে পারে।

    ২) ব্যবসায় আমূল পরিবর্তন লক্ষ করতে পারবেন।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কুম্ভ

    ১) ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ না করাই শ্রেয়।

    ২) মাথাগরম করার ফলে হাতে আসা কাজ ভেস্তে যাবে।

    ৩) আশা পূরণ।

    মীন

    ১) ভাই-বোনের কাছ থেকে সাহায্য পেতে পারেন।

    ২) দাম্পত্য সম্পর্কে উন্নতির যোগ।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Bangladeshi Hindu Rights Activist: রাষ্ট্রসংঘে হিন্দুদের ওপর নৃশংস অত্যাচারের বর্ণনা দিলেন হিন্দু অধিকার কর্মী

    Bangladeshi Hindu Rights Activist: রাষ্ট্রসংঘে হিন্দুদের ওপর নৃশংস অত্যাচারের বর্ণনা দিলেন হিন্দু অধিকার কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্যাপক আন্দোলনের জেরে ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ (Bangladeshi Hindu Rights Activist) ছাড়তে বাধ্য হন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। এই অন্ধকার দিনটি একইসঙ্গে বাংলাদেশের হিন্দু ও অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও মর্যাদার অবসানেরও সংকেত দেয়। কারণ উগ্র ইসলামপন্থীরা ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে হিন্দুদের হত্যা করে (Islamist Atrocities)। নির্বিচারে চালায় লুটপাট-ধর্ষণ। ভাঙচুর করার পাশাপাশি অপবিত্র করা হয় তাঁদের মন্দির এবং বিগ্রহ।

    হিন্দু অধিকার কর্মীর বক্তব্য (Bangladeshi Hindu Rights Activist)

    সম্প্রতি রাষ্ট্রসংঘ মানবাধিকার কমিশন আয়োজিত “সংখ্যালঘু বিষয়ক ফোরামের অষ্টাদশ অধিবেশনে” বক্তৃতা দিতে গিয়ে বাংলাদেশের হিন্দু অধিকার কর্মী দীপন মিত্র ইসলামপন্থীদের হাতে বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর সংঘটিত নির্যাতন ও নৃশংসতার ঘটনাগুলির কথা তুলে ধরেন। ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলনে মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার ব্যুরোর সভাপতি দীপন  বলেন, “১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকেই সংখ্যালঘু হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান এবং আদিবাসী সম্প্রদায়গুলি রাষ্ট্রীয় এবং সামাজিক বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। সংখ্যালঘু হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও উপজাতীয় সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধনের একটি পরিকল্পিত প্রক্রিয়া চলছেই।” বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর ইসলামপন্থীদের অপরাধগুলির পরিসংখ্যান দিয়ে দীপন বলেন, “গত এক বছরে ১৮৩ জনেরও বেশি হিন্দুকে হত্যা করা হয়েছে। ২১৯ জন হিন্দু নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। গত বছর হাজার হাজার হিন্দু বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওপর আক্রমণ এবং ভাঙচুর চালানো হয়েছে। করা হয়েছে অগ্নিসংযোগও। হিন্দু ও বৌদ্ধ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৭৮ জন কিশোরীকে জোরপূর্বক ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে (Bangladeshi Hindu Rights Activist)।”

    ধর্ম অবমাননার অভিযোগ

    তিনি বলেন, “ধর্ম অবমাননার অভিযোগে হিন্দুদের ওপর হামলা, হিন্দু মঠ ও মন্দির দখল – এসব এখন বাংলাদেশে নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। হিন্দু ব্যবসায়ীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও তোলাবাজি ব্যাপক হারে বাড়ছে। একদিনও যায় না যখন হিন্দুদের সম্পত্তি দখল করা হয় না, বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় না (Islamist Atrocities)।” প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের অগাস্টেই ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল বাংলাদেশে মুসলিম দাঙ্গাবাজরা হামলা চালিয়েছিল একাধিক হিন্দু মন্দির ও বাড়িতে। সেই সময় ইসলামো-বামপন্থী গণমাধ্যম যেমন আল জাজিরা, নিউ ইয়র্ক টাইমস ইত্যাদি এই হিংসাকে ‘রাজনৈতিক প্রতিশোধ’ হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করেছিল। ওই গণমাধ্যমগুলির দাবি, যে এই সব ঘটনা আওয়ামি লিগকে সমর্থনের জন্য করা প্রতিশোধমূলক আক্রমণ। বাস্তবে, যদিও কিছু ক্ষেত্রে দাঙ্গাবাজরা আওয়ামি লিগের হিন্দু নেতাদের লক্ষ্য করেছিল, তবুও হামলা রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা বা প্রতিশোধের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না।

    হিন্দুদের দোকান ভাঙচুর

    নাটোর, ঢাকার ধামরাই, পটুয়াখালির কালাপাড়া, শরিয়তপুর, ফরিদপুরের মন্দির এবং যশোর, নোয়াখালি, মেহেরপুর, চাঁদপুর ও খুলনায় হিন্দুদের বাড়িঘর লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। দিনাজপুরে হিন্দুদের ৪০টি দোকান ভাঙচুর করা হয়েছিল (Bangladeshi Hindu Rights Activist)। এই ঘটনাগুলি ঘটেছিল হাসিনা দেশান্তিরিত হওয়ার পরপরই। মহম্মদ ইউনূস যখন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেন, তখন থেকেই ইসলামপন্থীরা অকল্পনীয়ভাবে হিন্দুদের ওপর ঘৃণা, নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষণ ও লুটপাট চালিয়ে যাচ্ছে। ওই সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দীপন হিন্দু আধিকারিক ও শিক্ষকদের চাকরি থেকে বহিষ্কারের জন্য চালানো একটি পরিকল্পিত প্রচারের বিষয়টিও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশনের সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক উত্তম কুমার দাস, প্রেস কাউন্সিলের সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার (Islamist Atrocities), কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসের প্রেস সেক্রেটারি রঞ্জন সেন, কানাডায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাউন্সেলর অর্পণা রানি পাল—এদের বরখাস্ত করা হয়েছে।”

    হিন্দুদের চাকরি থেকে বরখাস্ত

    তিনি জানান, গত বছর অন্তত ১৭৬ জন হিন্দু শিক্ষক বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জোরপূর্বক পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন বা চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েছেন (Bangladeshi Hindu Rights Activist)। দীপন বলেন, “শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ পুলিশ থেকেও হিন্দুদের বের করে দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই শতাধিক পুলিশ কর্তা বরখাস্ত হয়েছেন, যার মধ্যে কৃষ্ণপদ রায়ও রয়েছেন। ২০২৪ সালে রাজশাহি সারদা পুলিশ অ্যাকাডেমিতে চূড়ান্ত নিয়োগ ও প্রশিক্ষণের জন্য সুপারিশ করা ২৫২ জন সাব-ইন্সপেক্টরের (এসআই) মধ্যে ২৫২ জনকেই ছেঁটে দেওয়া হয়েছে। তদন্তে জানা গিয়েছে, এই ২৫২ জনের মধ্যে ৯৯ জন হিন্দু, দু’জন বৌদ্ধ এবং একজন খ্রিস্টানও ছিলেন।” হিন্দু অধিকারকর্মী আরও জানান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক মহম্মদ ইউনূসের অধীনে, আইজিপি বাহারুল আলমকে নির্দেশ দিয়েছে যেন বাংলাদেশ পুলিশে কোনও হিন্দুকে নিয়োগ করা না হয় (Bangladeshi Hindu Rights Activist)।

LinkedIn
Share