Blog

  • Dr Ambedkar: ভারতকে ‘কমিউনিস্ট রাষ্ট্র’ বানানোর ষড়যন্ত্র রুখে দিয়েছিলেন আম্বেদকর

    Dr Ambedkar: ভারতকে ‘কমিউনিস্ট রাষ্ট্র’ বানানোর ষড়যন্ত্র রুখে দিয়েছিলেন আম্বেদকর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি কার্যকর হয় ভারতের সংবিধান। দেশের সংবিধান পা দিয়েছে ৭৫ বছরে। ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট স্বাধীন হয় ভারত। এদেশের সমৃদ্ধশালী সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, পরম্পরা, কৃষ্টি সভ্যতা এবং গৌরবময় ইতিহাসের ওপর দাঁড়িয়ে শুর হয় সংবিধানিক ভারত তৈরির কাজ। ভারতীয় মূল্যবোধ, ভারতীয় পরম্পরার প্রতিফলন দেখা যায় সংবিধানজুড়ে। সংবিধানের খসড়া কমিটির সদস্যরা অত্যন্ত সামঞ্জস্য রেখে কাজ করতে থাকেন, যাতে ভারতের প্রাচীন সংস্কৃতির সঙ্গে আধুনিক যুগের মেলবন্ধন থাকে। এর প্রভাব দেখা গিয়েছে সংবিধানে।

    সংবিধান কমিটির বেশ কিছু সদস্য ভারতীয় মূল্যবোধের কথা তুলে ধরেন

    সংবিধান কমিটির বেশ কিছু সদস্য ছিলেন। যাঁরা সংবিধান রচনায় ভারতীয় মূল্যবোধের কথা তুলে ধরেন। এঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন কেবি কামাত, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, গোবিন্দ দাস, ঘনশ্যাম গুপ্তা, কাললুরু সুব্বারাও, রাম সহায় প্রমুখ। এনারাই জোর দেন যে সংবিধানকে দাঁড় করাতে হবে ভারতের ঐতিহাসিক মূল্যবোধ এবং তার সাংস্কৃতিক ভিতের ওপর। এই সময়ে তাঁরা প্রাচীন ভারতীয় ধর্মশাস্ত্র বেদ, পুরাণ, রামায়ণ, মহাভারত- এই সমস্ত কিছুকেই উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন।

    ঔপনিবেশিক প্রভাব রাখতে চেয়েছিলেন কংগ্রেস ও বামপন্থী মনোভাবাপন্ন সদস্যরা

    জানা যায়, সেসময় সদস্যদের মধ্যে বেশিরভাগই প্রতিনিধি ছিলেন মুসলিম লিগের এবং কংগ্রেসের। তাঁরা প্রাচীন ভারতীয় মূল্যবোধের ওপর সংবিধান তৈরির ভাবনার বিরোধিতা করেন। ঔপনিবেশিক প্রভাবকেই রাখতে চেয়েছিলেন তাঁরা। তবে ভারতবর্ষের নিজস্ব সংস্কৃতিকে দূরে সরিয়ে রেখে সংবিধান তৈরির এমন ভাবনাকে রুখে দেন ডঃ বিআর আম্বেদকর। তিনি ভারতের নিজস্ব সংস্কৃতিকে কোনওভাবেই বাদ দিতে চাননি সংবিধান থেকে। এ সময় আম্বেদকরের (Dr Ambedkar) বিবৃতিও আসে। তিনি বলেন, ‘‘সংবিধান সভা এর কাজ শুরু করার আগে থেকেই, সেই সমস্ত কিছুকে প্রত্যাখ্যান করেছে যেগুলি ব্রিটিশ সংসদ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এর একজনও সদস্য এবং এমনকি আমিও এমন কিছু কাজ করতে পারি না, যেখানে আমরা ব্রিটিশদের নির্দেশকে সংবিধানে ঠাঁই দিতে পারি।’’

    আম্বেদকরের কারণেই কমিউনিস্ট রাষ্ট্র হয়নি ভারত

    এছাড়াও বিআর আম্বেদকরের (Dr Ambedkar) শক্তিশালী নেতৃত্বের কারণেই ভারতবর্ষের সংবিধান কমিউনিস্ট মডেলে (Communist State) দাঁড়ায়নি। সংবিধান মুক্ত থেকেছে কমিউনিস্ট প্রভাব। ১৯৪৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর সংবিধান সংশোধন করার প্রস্তাব আনা হয়। এমন প্রস্তাব আনেন আসরাফ আলি। তাঁকে সমর্থন করেন আশরাফ মহানি। এঁরা দুজনেই প্রথমে ছিলেন কংগ্রেস এবং পরবর্তীকালে মুসলিম লিগে যোগদান করেন। তাঁরা দাবি করেন যে সংবিধানে সংশোধন আনতে হবে এবং ভারতকে একটি ‘ইউনিয়ন অফ সোশালিস্ট রিপাবলিক’ বলে ঘোষণা করতে হবে। প্রসঙ্গত, কমিউনিস্ট রাশিয়া এই নামেই পরিচিত ছিল। তবে আম্বেদকর (Dr Ambedkar) এটিও রুখে দেন। প্রসঙ্গত, সংবিধানে ভারতে ‘ইউনিয়ন অফ স্টেটস’-র মর্যাদা কেন দেওয়া হল? এমন প্রশ্নও তোলেন ওই দুই নেতা। এর পরিবর্তে তাঁরা ভারতকে ‘ফেডারেশন অফ রিপাবলিক’ করতে বলেন। তাঁরা এমন দাবিও তেলেন সমাজতন্ত্রকে আঁকড়ে ধরা উচিত ভারতের।

    ৩৭০ ধারারও বিরোধী ছিলেন আম্বেদকর (Dr Ambedkar)

    তবে এই সংশোধন প্রস্তাবগুলিকে বিআর আম্বেদকর প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি জোর দেন ভারতের মূল্যবোধের ওপর। আম্বেদকর বলেন, ‘‘আমি সেই সমস্ত কিছুকে অনুমোদন দেব না যেগুলি আমাদের দেশের নিজস্ব সংস্কৃতি ঐতিহ্য এবং মূল্যবোধকে আঘাত করে। যেমন উগ্র সমাজতন্ত্রের কোনওকিছুকেই সংবিধানে অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।’’ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণভাবে ডঃ বিআর আম্বেদকরের ভারতের অখণ্ডতা রক্ষা করার জন্য ৩৭০ ধারার বিরোধ করেছিলেন। তিনি মনে করতেন, এই ধারা ভারতের ঐক্যের পক্ষে বিপজ্জনক। যা জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দান করেছিল। স্বাভাবিকভাবে সংবিধান সভার এই ধরনের বিতর্ক আজও একটি উল্লেখযোগ্য দলিল, ভারতবর্ষকে কীভাবে একটি কমিউনিস্ট রাষ্ট্রের পরিণত করার চেষ্টা করা হয়েছিল! যার নেপথ্যে ছিলেন কংগ্রেস এবং মুসলিম লিগের বামপন্থী মনোভাবাসম্পন্ন ব্যক্তিত্বরা। আম্বেদকর নিজেই তা রুখে দিয়েছিলেন। ভারতবর্ষের প্রাচীন সভ্যতা, সংস্কৃতি, কৃষ্টির ওপরেই দেশের সংবিধানকে দাঁড় করিয়েছিলেন বি আর আম্বেদকর। স্বাধীন ভারতের সংবিধানে তাই আজও প্রতিফলিত হচ্ছে ভারতীয় মূল্যবোধ, দেশের সমৃদ্ধশালী সংস্কৃতি এবং বৈচিত্রতা।

  • India Slams Pakistan: “জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ছিল, আছে এবং থাকবেও,” রাষ্ট্রসংঘে ফের বলল ভারত

    India Slams Pakistan: “জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ছিল, আছে এবং থাকবেও,” রাষ্ট্রসংঘে ফের বলল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “জম্মু-কাশ্মীর (Jammu Kashmir) সব সময় ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।” রাষ্ট্রসংঘের আলোচনা সভায় পাকিস্তানের প্রতিনিধিরা জম্মু-কাশ্মীর (India Slams Pakistan) নিয়ে মন্তব্য করলে, তার প্রতিবাদে এ কথা বলেন রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি পর্বতানেনি হরিশ। জম্মু-কাশ্মীরের কিছু অংশকে অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে ইসলামাবাদ। অবিলম্বে ওই অংশ ছাড়তে হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন নয়াদিল্লির দূত। দেশের সার্বভৌমত্ব প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক মঞ্চে নয়াদিল্লির অবস্থান ফের একবার স্পষ্ট করে দিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগও তোলেন তিনি।

    পাকিস্তানের মন্তব্য অযৌক্তিক (India Slams Pakistan)

    জম্মু-কাশ্মীর প্রসঙ্গে পাকিস্তানের মন্তব্যকে সম্পূর্ণ অযৌক্তিক বলে দাবি করে ভারতীয় এই কূটনীতিক বলেন, “বার বার এই ধরনের কথা বললে তাদের (পাকিস্তানের) অবৈধ দাবি বৈধতা পেয়ে যায় না। তাদের রাষ্ট্রের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদকেও বৈধতা দেয় না।” রাষ্ট্রসংঘে হরিশ জানান, পাকিস্তান এখনও জম্মু-কাশ্মীরের একটি বড় অংশ অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে। পাকিস্তান যাতে ওই অংশ ছেড়ে দেয়, তা নিয়েও সুর চড়ান ভারতীয় এই কূটনীতিক। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ওই আলোচনা সভায় মূল আলোচ্য বিষয় ছিল শান্তিরক্ষা বাহিনীর ভবিষ্যৎ। সেখানেই পাকিস্তানের দূত সৈয়দ তারিক ফতেমির বক্তৃতায় উঠে আসে জম্মু-কাশ্মীর প্রসঙ্গ। তার পরেই বলতে উঠে পাকিস্তানকে তুলোধনা করেন রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি।

    কী বললেন ভারতের রাষ্ট্রদূত

    ভারতের রাষ্ট্রদূত বলেন, “ভারত বাধ্য হয়ে লক্ষ্য করেছে যে পাকিস্তানের প্রতিনিধি আবারও ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীর সম্পর্কে অপ্রয়োজনীয় মন্তব্য করেছে। এ ধরনের মন্তব্য বার বার করে তারা তাদের অবৈধ দাবিকে বৈধতা দেয় না, না তাদের রাষ্ট্র-পৃষ্ঠপোষকতায় সীমান্ত-পার সন্ত্রাসবাদের ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা করে। এর পরেই তিনি বলেন, “জম্মু-কাশ্মীর সব সময় ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ছিল, আছে এবং থাকবেও।” হরিশ বলেন, “পাকিস্তান অবৈধভাবে জম্মু ও কাশ্মীরের একাংশ দখল করে রেখেছে, যা তাদের ছেড়ে দিতে হবে। আমরা পাকিস্তানকে পরামর্শ দেব যে এই ফোরামের মনোযোগ তাদের সংকীর্ণ ও বিভেদমূলক অ্যাজেন্ডা চালানোর জন্য অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা না করতে। ভারত আরও বিস্তারিত উত্তর দেওয়ার অধিকার প্রয়োগ করা থেকে বিরত থাকবে।”  তিনি বলেন, “ভারতের ব্যাপারে নাক গলিয়ে কাশ্মীর নিয়ে রাষ্ট্রসংঘে আলটপকা মন্তব্য করছেন পাকিস্তানের প্রতিনিধিরা। তাই ভারত বলতে বাধ্য হচ্ছে, পাকিস্তানের এ ধরনের মন্তব্যে তাদের দাবিদাওয়া মান্যতা পাবে না। এমনকী, রাষ্ট্রের মদতে সীমান্তে যে সন্ত্রাসবাদ পাকিস্তান কায়েম করতে চাইছে, তাও কোনওভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে না (Jammu Kashmir)।”

    আগেই একহাত নিয়েছিলেন জয়শঙ্কর

    এ মাসের শুরুতে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর পাকিস্তান-দখলকৃত কাশ্মীরকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে দীর্ঘতম সময় ধরে অন্য একটি দেশের অবৈধ উপস্থিতি ও দখলদারিত্ব বলে উল্লেখ করেছিলেন। রাইসিনা ডায়লগ ২০২৫-এ ভাষণ দিতে গিয়ে বিদেশমন্ত্রী কাশ্মীর ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘের ভুল ব্যাখ্যা এবং আগ্রাসনকে বিবাদ হিসেবে চিহ্নিত করার সমালোচনা করেছিলেন। জয়শঙ্কর বলেছিলেন, “আমরা রাষ্ট্রসংঘে গিয়েছিলাম। যে ঘটনাটি আদতে একটি আগ্রাসন, তাকে বিরোধে পরিণত করা হয়েছিল। আক্রমণকারী ও শিকারিকে একই সারিতে দাঁড় করানো হয়েছিল। অপরাধী পক্ষগুলি কারা? ব্রিটেন, কানাডা, বেলজিয়াম, অস্ট্রেলিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (India Slams Pakistan)?”

    পাক-অধিকৃত কাশ্মীর ফিরে পাওয়াই বাকি

    এর আগে, জয়শঙ্কর বলেছিলেন যে জম্মু কাশ্মীরের সমস্যার সম্পূর্ণ সমাধান অর্জনের জন্য এখন শুধু পাক-অধিকৃত কাশ্মীর (PoK) ফিরে পাওয়াই বাকি রয়েছে। লন্ডনের চ্যাথাম হাউসে বক্তৃতা দেওয়ার সময় জয়শঙ্কর বলেছিলেন, “কাশ্মীরে আসলে আমরা বেশ ভালো কাজ করেছি। বেশিরভাগ সমস্যারই সমাধান হয়েছে বলে আমি মনে করি। ধারা ৩৭০ বাতিল করা ছিল আমাদের প্রথম পদক্ষেপ। তারপর, কাশ্মীরে উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুনরুদ্ধার এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা ছিল দ্বিতীয় পদক্ষেপ। তৃতীয় পদক্ষেপ হিসেবে উচ্চ ভোটদানের সঙ্গে নির্বাচন সম্পন্ন করা হয়েছে। আমি মনে করি, এখন আমরা শুধু কাশ্মীরের চুরি হয়ে যাওয়া অংশ—যা পাকিস্তান অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে — সেটি ফিরে পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি। যখন সেটি সম্পন্ন হবে, আমি আপনাদের আশ্বস্ত করছি, কাশ্মীর সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে (India Slams Pakistan)।”

    সম্প্রতি আমেরিকান পডকাস্টার লেক্স ফ্রিডম্যানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারেও নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ কূটনৈতিক শীতলতা নিয়েও মুখ খুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি জানিয়েছেন, ভারত সব সময় শান্তি চেয়েছে। কিন্তু পাকিস্তান তার বদলে ছায়াযুদ্ধ চালিয়ে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ওই সাক্ষাৎকারে এও জানিয়েছেন, তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার সময় ২০১৪ সালে পাকিস্তানকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন যাতে দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সম্পর্ক নতুনভাবে শুরু করা যায় (Jammu Kashmir)। কিন্তু শান্তি ফেরানোর প্রতিটি চেষ্টার বদলে অপর প্রান্ত থেকে বিরোধিতা ও বিশ্বাসঘাতকতা মিলেছে বলেও জানান তিনি (India Slams Pakistan)।

  • India’s GDP: জিডিপি বৃদ্ধি ১০ বছরে দ্বিগুণ! জাপান-জার্মানিকে শীঘ্রই ছাপিয়ে যাবে ভারতের অর্থনীতি, বলছে আইএমএফ

    India’s GDP: জিডিপি বৃদ্ধি ১০ বছরে দ্বিগুণ! জাপান-জার্মানিকে শীঘ্রই ছাপিয়ে যাবে ভারতের অর্থনীতি, বলছে আইএমএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে আর্থিক বৃদ্ধির হারে নতুন মাইলফলক ছুঁল ভারত। ১০ বছরে দ্বিগুণ হয়েছে মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বা গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট (India’s GDP)। ২০১৫ সালে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির পরিমাণ ছিল ২.১ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলার। চলতি বছরে সেটাই বেড়ে ৪.৩ লক্ষ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। অর্থাৎ ১০৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে জিডিপির সূচক। বিশ্ব অর্থনীতির নিরিখে এ এক অভূতপূর্ব উদাহারণ দাবি, অর্থনীতিবিদদের।

    সাফল্যের খতিয়ান

    ভারতীয় অর্থনীতি গত এক দশকে এক অভূতপূর্ব সাফল্যের গল্প রচনা করেছে। আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডার (IMF)-এর সাম্প্রতিক তথ্য অনুসারে, গত ১০ বছরে ভারতের মোট দেশজ উৎপাদন (GDP) দ্বিগুণ হয়েছে। ২০১৫ সালে ভারতের জিডিপি ছিল ২.১ লক্ষ কোটি ডলার, যা ২০২৫ সালে বেড়ে ৪.৩ লক্ষ কোটি ডলারে পৌঁছবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এই সময়ের মধ্যে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার ১০৫ শতাংশ, যা আমেরিকা, চিনের মতো বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতিগুলোর তুলনায় অনেক বেশি। এই অসাধারণ প্রবৃদ্ধির ফলে ভারত বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতি হিসেবে নিজের স্থান আরও মজবুত করেছে।

    আমেরিকা-চিনকে তুলনামূলক টেক্কা

    আইএমএফ-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে আমেরিকার জিডিপি ১৮.৩ লক্ষ কোটি ডলার থেকে বেড়ে ৩০.৩ লক্ষ কোটি ডলারে পৌঁছবে, যা ৬৬ শতাংশ বৃদ্ধি নির্দেশ করে। অন্যদিকে, চিনের জিডিপি ১১.১ লক্ষ কোটি ডলার থেকে বেড়ে ১৯.৫ লক্ষ কোটি ডলার হবে, যা ৭৬ শতাংশ বৃদ্ধির হার দেখায়। এই দুই অর্থনৈতিক মহাশক্তির তুলনায় ভারতের ১০৫ শতাংশ বৃদ্ধি স্পষ্টতই একটি বড় অর্জন। এই তথ্য থেকে বোঝা যায় যে, ভারত (India’s GDP) শুধু নিজের অর্থনীতির আকার বাড়িয়েছে তাই নয়, বরং বিশ্বের প্রধান অর্থনীতিগুলোর তুলনায় অনেক দ্রুত গতিতে এগিয়ে গিয়েছে।

    চিনের কাছে বড় ধাক্কা

    আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডারের মুদ্রাস্ফীতি সমন্বিত তথ্য অনুযায়ী, গত এক দশকে ভারতের জিডিপি (India’s GDP) ৭৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে দুনিয়ার সেরা পাঁচটি অর্থনৈতিক দেশের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে এই দেশ। এই গতি বজায় থাকলে চলতি বছরে আর্থিক বৃদ্ধির নিরিখে জাপানকে ছাপিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর সে ক্ষেত্রে ২০২৭ সালে ভারতের কাছে হার মানবে জার্মানি। এই একই সময়ে চিনের জিডিপি ৭৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৫ সালে ড্রাগনের অর্থনীতি ছিল ১১.২ লক্ষ কোটি ডলারের। এ বছরে সেটা বেড়ে ১৯.৫ লক্ষ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। ২০২০ সালে কোভিড অতিমারি শুরু হলে আর্থিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে বেজিংয়ের আর্থিক বৃদ্ধির সূচক। একটা সময়ে অবশ্য জিডিপির নিরিখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে মান্দারিনভাষীদের দেশটি ছাপিয়ে যাবে বলে মনে করা হয়েছিল। সেই অনুমান বাস্তবায়িত হয়নি।

    বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি

    বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসাবে নিজের অবস্থান ধরে রেখেছে আমেরিকা। ২০১৫ সালে ২৩.৭ লক্ষ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপি। এ বছর সেটাই বেড়ে ৩০.৩ লক্ষ কোটি ডলার হয়েছে। অর্থাৎ, গত ১০ বছরে ২৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে মার্কিন অর্থনীতি।

    অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতের অবস্থান

    আইএমএফ-এর রিপোর্টে বিশ্বের অন্যান্য প্রধান অর্থনীতির তুলনাও দেওয়া হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, জার্মানির জিডিপি ২০১৫ সালে ৩.৪ লক্ষ কোটি ডলার থেকে ২০২৫ সালে ৪.৯ লক্ষ কোটি ডলারে পৌঁছবে, যা ৪৪ শতাংশ বৃদ্ধি। জাপানের জিডিপি ৪.৪ লক্ষ কোটি ডলারে স্থির থাকবে, অর্থাৎ গত ১০ বছরে কোনও বৃদ্ধি ঘটেনি। ব্রিটেনের জিডিপি ২.৯ লক্ষ কোটি থেকে ৩.৭ লক্ষ কোটি ডলারে উন্নীত হবে (২৮% বৃদ্ধি), ফ্রান্সের জিডিপি ২.৪ থেকে ৩.৩ লক্ষ কোটি ডলার (৩৮% বৃদ্ধি), এবং ইটালির জিডিপি ১.৮ থেকে ২.৫ লক্ষ কোটি ডলার (৩৯% বৃদ্ধি) হবে। এছাড়াও, কানাডার জিডিপি ১.৬ থেকে ২.৩ লক্ষ কোটি ডলার (৪৪% বৃদ্ধি), ব্রাজিলের ১.৮ থেকে ২.৩ লক্ষ কোটি ডলার (২৮% বৃদ্ধি), রাশিয়ার ১.৪ থেকে ২.২ লক্ষ কোটি ডলার (৫৭% বৃদ্ধি), দক্ষিণ কোরিয়ার ১.৫ থেকে ১.৯ লক্ষ কোটি ডলার (২৭% বৃদ্ধি), অস্ট্রেলিয়ার ১.২ থেকে ১.৯ লক্ষ কোটি ডলার (৫৮% বৃদ্ধি), এবং স্পেনের ১.২ থেকে ১.৮ লক্ষ কোটি ডলার (৫০% বৃদ্ধি) হবে। এই তথ্য থেকে স্পষ্ট যে, ভারতের বৃদ্ধির হার অন্য কোনও বড় অর্থনীতির কাছাকাছিও নেই।

    মোদি-সরকারের সাফল্য

    ভারতের (India’s GDP) এই সাফল্য় নিয়ে বিজেপি নেতা অমিত মালব্য এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “এই অবিশ্বাস্য সাফল্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ফলপ্রসূ নেতৃত্ব এবং তাঁর সরকারে প্রচেষ্টার ফল। লাভজনক অর্থনীতি, কাঠামোগত পরিবর্তন এবং বাণিজ্যিক পদ্ধতি সহজ করার ফলেই আজ মোদি সরকার ভারতকে বিশ্বের দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়া অর্থনীতিতে পরিণত করেছে। স্বাধীনতার পর এই সাফল্য আগে কোনও সরকার পায়নি। এতে শুধু ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধিই হচ্ছে না, একইসঙ্গে গ্লোবাল পাওয়ারহাউসগুলিকেও ছাপিয়ে গিয়েছে।”

  • Sukanta Majumdar: ‘‘ভোটার তালিকায় বেছে বেছে হিন্দু নাম বাদ দিচ্ছে তৃণমূল’’, শাহকে অভিযোগ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘‘ভোটার তালিকায় বেছে বেছে হিন্দু নাম বাদ দিচ্ছে তৃণমূল’’, শাহকে অভিযোগ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটার তালিকায় বেছে বেছে হিন্দু নাম বাদ দিচ্ছে তৃণমূল। পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল সোমবারই বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) ফের সাক্ষাৎ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) সঙ্গে। বৈঠকে হিন্দু ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার কথা তুলে ধরেন সুকান্ত। এদিনই একই অভিযোগ তুলে কলকাতায় দলের দুই সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় ও দীপক বর্মন পাশে বসিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    বিজেপির দাবি

    বিজেপির দাবি, উত্তর চব্বিশ পরগনার বাগদা এবং নদিয়ার কৃষ্ণনগর-২ ব্লকে বেছে বেছে হিন্দু ভোটারদের নাম ভোটার তালিকা থেকে তৃণমূল বাদ দিতে চাইছে। এই ইস্যুতে সোমবার সকাল থেকেই অভিযোগ তোলে গেরুয়া শিবির। ধর্মীয় কারণে অত্যাচারের শিকার হয়ে বাংলাদেশ থেকে আগত উদ্বাস্তুদের ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে বলে দাবি করেছে বিজেপি। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) এই বিষয়টিই জানিয়ে এসেছেন।

    সাংবাদিকদের কী বললেন শুভেন্দু?

    সোমবার বিকালে দলীয় অফিসে সাংবাদিক সম্মেলনে শুভেন্দু বলেন, ‘‘তৃণমূল যে অভিযোগ বিডিওদের কাছে জানিয়েছে, তার জন্য ফর্ম ৭ পূরণ করতে হয়। তা না করে সাদা কাগজে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি অভিযোগ জমা দিয়েছেন। সেই অভিযোগ গ্রাহ্যই হওয়া উচিত নয়। তাও বিডিও ওই অভিযোগ গ্রহণ করেছেন।’’ শুভেন্দুর আরও দাবি, ‘‘আইন অনুযায়ী, কোনও ভোটারের বিরুদ্ধে এই রকম অভিযোগ যিনি তুলছেন, অভিযোগের পক্ষে প্রমাণ দেওয়ার দায়িত্বও তাঁরই। কিন্তু বিডিও সে আইন মানছেন না। যাঁদের নামে অভিযোগ করা হয়েছে, তাঁদেরকেই চিঠি পাঠিয়ে বিডিও বলছেন, আপনারা প্রমাণ দিন যে, আপনারা বাংলাদেশি নন।’’

    কী বলছেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)?

    সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) মন্তব্য, ‘‘তৃণমূল কংগ্রেস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে নতুন এক ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। নদিয়া সহ বিভিন্ন জেলায় এই ধরনের নোটিস হিন্দুদের পাঠানো হচ্ছে। সেখানে বলা হচ্ছে তাঁরা ভারতের নাগরিক নয়। এও বলা হচ্ছে, ওই সকল হিন্দুদের প্রমাণ করতে হবে তাঁরা ভারতের নাগরিক। এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক বলেছিলেন বাংলায় যাঁরা বাস করেন তাঁরা সকলেই ভারতের নাগরিক। সিএএ-তে আবেদন করতে দেননি। বলেছিলেন, সিএএ-তে আবেদন করলে নাগরিকত্ব চলে যাবে। এখন তিনি এই ফাঁদে ফেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনের বিডিও নোটিস পাচ্ছে হিন্দুদের যে তাঁরা ভারতের নাগরিক নন। ভোটার লিস্ট থেকে নাম কেটে বাদ দেওয়া হল।’’

  • Bangladesh: বন্ধু পাকিস্তানের চালের দাম বেশি! বাংলাদেশকে ফের হাত পাততেই হল ভারতের কাছে

    Bangladesh: বন্ধু পাকিস্তানের চালের দাম বেশি! বাংলাদেশকে ফের হাত পাততেই হল ভারতের কাছে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসিনা সরকারের পতনের পর ইউনূসের বাংলাদেশ বিবাদে জড়িয়েছে ভারতের (India) সঙ্গে। এই আবহে তাদের সঙ্গে সখ্যতা বেড়েছে পাকিস্তানের। সদ্য পাকিস্তান থেকে ৫০ হাজার টন চাল কেনার চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। সেই চুক্তি অনুযায়ীই বাংলাদেশের ঘরে ঢুকেছে পাকিস্তানি চাল। একাধিক মিডিয়া রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, পাকিস্তানের সঙ্গে চুক্তি হলেও সেই চালের দাম খুবই বেশি। তাই ফের হাত পাততেই হল ভারতের কাছে। জানা গিয়েছে, ভারত থেকে ৯টি প্যাকেজে মোট ৪ লাখ ৫০ হাজার টন চাল আমদানির কথা রয়েছে বাংলাদেশের। এই আবহে ভারত থেকে আমদানির সাড়ে ১১ হাজার টন চাল পৌঁছে গিয়েছে বাংলাদেশে। আরও ৫০ হাজার চাল ভারতের কাছে কিনতে চলেছে বাংলাদেশ।

    ভাঁড়ে মা ভবানী বাংলাদেশকে (Bangladesh) খরচ কত করতে হবে?

    এদিকে ভারতের কাছ থেকে চাল আমদানি করা নিয়ে সাফাই দিতেও শোনা গিয়েছে ইউনূস সরকারকে। তাদের দাবি, খাদ্যের যোগান বাড়াতেই ভারত সরকারের কাছ থেকে এই চাল কেনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মনে করা হচ্ছ, এই চাল কেনার জন্য ভাঁড়ে মা ভবানী অবস্থা হওয়া বাংলাদেশকে খরচ করতে হবে প্রায় ২ কোটি ১৪ লাখ ৭৭ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশের (Bangladesh) অর্থ মন্ত্রকের উপদেষ্টার তরফে এই খবর ইতিমধ্যে সামনে এসেছে।

    উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকের পরেই সিদ্ধান্ত

    বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমগুলিতে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ভারতের মেসার্স এস পাত্তাভি আগ্রো ফুডস প্রাইভেট লিমিটেড থেকে এই চাল কেনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখানেই প্রতি মেট্রিক টন চালের দাম ধরা হয়েছে, ৪২৯.৫৫ মার্কিন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যা ২ কোটি ১৪ লাখ ৭৭ হাজার ৫০০ ডলারের সমান। প্রসঙ্গত, এর আগেও বাংলাদেশ খাদ্য মন্ত্রকের আবেদনে প্রায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশে (Bangladesh) রফতানি করা হয়েছিল। বাংলাদেশ উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির শীর্ষ আধিকারিকরা বৈঠক করেন। সেখানেই ভারত থেকে চাল কেনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ভারত ছাড়াও বাংলাদেশ সরকারের তরফে এর আগেও সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া থেকেও চাল কেনা হয়েছিল।

  • Daily Horoscope 25 March 2025: সংসারে খুব সংযত থাকতে হবে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 25 March 2025: সংসারে খুব সংযত থাকতে হবে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) ভালো কোনও সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় ক্ষোভ বাড়তে পারে।

    ২) কারও কাছ থেকে বড় কোনও উপকার পেতে পারেন।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) ধর্মীয় স্থানে দান করায় শান্তিলাভ।

    ২) কাজের জন্য বাড়ির কেউ বাইরে যাওয়ায় মনঃকষ্ট।

    ৩) সতর্ক থাকবেন সব বিষয়ে।

    মিথুন

    ১) সুবক্তা হিসেবে সুনাম পেতে পারেন।

    ২) শরীরে বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি হতে পারে।

    ৩) বাণীতে সংযম জরুরি।

    কর্কট

    ১) পড়াশোনার খুব ভালো সুযোগ আসতে পারে।

    ২) মা-বাবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় থাকবে।

    ৩) সবাইকে ভালোভাবে কথা বলুন।

    সিংহ

    ১) কোনও ভুল কাজ করার জন্য অনুতপ্ত হবেন।

    ২) সারা দিন ব্যবসা ভালো চললেও পরে জটিলতা দেখা দিতে পারে।

    ৩) প্রতিকূল কাটবে দিনটি।

    কন্যা

    ১) কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন নিয়ে সমস্যা হতে পারে।

    ২) নিজের চিকিৎসায় বহু অর্থ ব্যয় হতে পারে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    তুলা

    ১) কর্মক্ষেত্রে বৈরী মনোভাব ত্যাগ করাই ভাল।

    ২) মামলায় জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) দিনটি মোটামুটি কাটবে।

    বৃশ্চিক

    ১) কাজের জায়গায় আঘাত লাগা থেকে সাবধান থাকুন।

    ২) সংসারে খুব সংযত থাকতে হবে।

    ৩) আশাপূরণ।

    ধনু

    ১) ব্যবসায় ভালো লাভ হতে পারে।

    ২) প্রতিভা প্রকাশের সুযোগ পাবেন।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    মকর

    ১) উচ্চপদস্থ কোনও ব্যক্তির অনুগত থাকলে লাভবান হবেন।

    ২) প্রতিবেশীর ঝামেলায় বেশি কথা না বলাই শ্রেয়।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কুম্ভ

    ১) প্রতিযোগিতামূলক কাজে সাফল্যের যোগ।

    ২) কুসঙ্গে পড়ে নিজের ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) আশা পূরণ।

    মীন

    ১) কোনও যন্ত্র খারাপ হওয়ায় প্রচুর খরচ হতে পারে।

    ২) কর্মে অন্যের সাহায্যের প্রয়োজন হতে পারে।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Ramakrishna 305: “কেদার অতি বিনীতভাবে হাতজোড় করিয়া অতি মৃদু ও মিষ্ট কথায় ঠাকুরের কাছে কি নিবেদন করিতেছেন”

    Ramakrishna 305: “কেদার অতি বিনীতভাবে হাতজোড় করিয়া অতি মৃদু ও মিষ্ট কথায় ঠাকুরের কাছে কি নিবেদন করিতেছেন”

    রামের বাটীতে ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

    দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ২৮শে সেপ্টেম্বর

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে

    কীর্তনান্তে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna), বিজয় নরেন্দ্র ও অন্যান্য ভক্তেরা আসন গ্রহণ করিলেন। সকলের দৃষ্টি ঠাকুরের দিকে। সন্ধ্যার কিছু বিলম্ব আছে। ঠাকুর ভক্তদের সহিত কথা কহিতেচেন। তাঁহাদের কুশল প্রশ্ন করিতেছেন। কেদার অতি বিনীতভাবে হাতজোড় করিয়া অতি মৃদু ও মিষ্ট কথায় ঠাকুরের কাছে কি নিবেদন করিতেছেন। কাছে নরেন্দ্র, চুনি, সুরেন্দ্র, রাম, মাস্টার ও হরিশ।

    কেদার (শ্রীরামকৃষ্ণের প্রতি, বিনীতভাবে)—মাথাঘোরাটা কিসে সেরে যাবে?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সস্ন্নেহে)—ও হয়; আমার হয়েছিল! একটু একটু বাদামের তেল দিবেন। শুনেছি, দিলে সারে।

    কেদার—যে আজ্ঞা (Kathamrita)।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) (চুনির প্রতি)—কিগো, তোমরা সব কেমন আছ?

    চুনি—আজ্ঞা, এখন সব মঙ্গল। বৃন্দাবনে বলরামবাবু, রাখাল এঁরা সব ভাল আছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—তুমি অত সন্দেশ কেন পাঠিয়েছ?

    চুনি—আজ্ঞা, বৃন্দাবন থেকে এসেছি —

    চুনিলাল বলরামের সঙ্গে শ্রীবৃন্দাবনে গিয়াছিলেন ও কয়মাস ছিলেন। ছুটি শেষ হইয়াছে, তাই কলিকাতায় সম্প্রতি ফিরিয়াছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (হরিশের প্রতি)—তুই দুই-একদিন পরে যাস। অসুখ করেছে, আবার সেখানে পড়বি।

    (নারাণের প্রতি, সস্নেহে)—‘বোস্‌ কাছে এসে বোস্‌! কাল যাস—গিয়ে সেখানে খাবি। (মাস্টারকে দেখাইয়া) এর সঙ্গে যাবি? (মাস্টারের প্রতি) কিগো?

    মাস্টারের সেই দিনই ঠাকুরের সঙ্গে যাইবার ইচ্ছা। তাই চিন্তা করিতেছেন। সুরেন্দ্র অনেকক্ষণ ছিলেন, মাঝে একবার বাড়ি গিয়াছিলেন। বাড়ি হইতে আসিয়া ঠাকুরের কাছে দাঁড়াইলেন।

    সুরেন্দ্র কারণ পান করেন। আগে বড় বাড়াবাড়ি ছিল। ঠাকুর সুরেন্দ্রের অবস্থা দেখিয়া চিন্তিত হইয়াছিলেন। একেবারে পানত্যাগ করিতে বলিলেন না। বলিলেন, সুরেন্দ্র! দেখ, যা খাবে, ঠাকুরকে নিবেদন করে দিবে। আর যেন মাথা টলে না ও পা টলে না। তাঁকে চিন্তা করতে করতে তোমার আর পান করতে ভাল লাগবে না। তিনি কারণানন্দদায়িনী। তাঁকে লাভ করলে সহজানন্দ (Kathamrita) হয়।

    সুরেন্দ্র কাছে দাঁড়াইয়া আছেন। ঠাকুর (Ramakrishna) তাঁর দিকে দৃষ্টিপাত করিয়া বলিয়া উঠিলেন, তুমি কারণ খেয়েছ? বলিয়াই ভাবে আবিষ্ট।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

  • Imam Embraces Sanatan Dharma: সনাতন ধর্মে দীক্ষা ধর্মপ্রাণ ইমামের, নিলেন বড় শপথও

    Imam Embraces Sanatan Dharma: সনাতন ধর্মে দীক্ষা ধর্মপ্রাণ ইমামের, নিলেন বড় শপথও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোজার মাসে সনাতন ধর্মে দীক্ষা নিলেন এক ধর্মপ্রাণ মুসলিম ইমাম (Imam Embraces Sanatan Dharma)। শুধু তাই নয়, সেই সঙ্গে পণ করলেন, প্রতি বছর ১০ হাজার মুসলমানকে সনাতন ধর্মে দীক্ষিত করবেন। ইমামের ‘ঘর ওয়াপসি’কে (Ghar Wapsi) ঘিরে ব্যাপক হইচই দেশে।

    ধ্যানের মাধ্যমে সান্ত্বনা খোঁজার চেষ্টা (Imam Embraces Sanatan Dharma)

    এই ইমাম এক সময় মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষের সমস্যা সমাধানে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তাঁর সমস্ত চেষ্টা সত্ত্বেও, তিনি দেখেন, তাঁর সম্প্রদায়ের সম্মুখীন চ্যালেঞ্জগুলি অমীমাংসিত থেকে গিয়েছে। নিজের জীবনে শান্তির অভাব নিয়েও ব্যতিব্যস্ত ছিলেন তিনি। গভীর হতাশা ও অসহায়ত্ব থেকে মুক্তি পেতে তিনি ধ্যানের মাধ্যমে সান্ত্বনা খুঁজতে লাগলেন। ইমামের দাবি, ধ্যানের সময় তিনি এক ঐশ্বরিক হস্তক্ষেপ অনুভব করেন। তিনি বলেন, “ধ্যানের সময় একটি শক্তিশালী কণ্ঠ আমাকে বেদ, সনাতন ধর্মের প্রাচীন শাস্ত্র অধ্যয়ন করার নির্দেশ দেয়। সেই কণ্ঠ আমায় সনাতন ধর্মের মাধ্যমে আধ্যাত্মিক শান্তি খুঁজে নেওয়ার পথ দেখিয়েছিল।”

    ইমামের সনাতন ধর্ম-প্রশস্তি

    তিনি বলেন, “এ এমন এক অভিজ্ঞতা যা আমার জীবন পরিবর্তন করেছে। এই গভীর আধ্যাত্মিক যাত্রার সময়ই আমি সনাতন ধর্মের সঙ্গে একটি অচ্ছেদ্য বন্ধন অনুভব করি। তার পরেই সনাতন ধর্ম গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিই।” তিনি শপথ নিয়েছেন, এবার থেকে প্রতি বছর ১০ হাজার মুসলমানকে সনাতন ধর্মে দীক্ষিত করবেন। তিনি বলেন, “আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সনাতন ধর্মে আমি যে শান্তির খোঁজ পেয়েছি (Imam Embraces Sanatan Dharma), মানুষকে সেই একই শান্তি ও আধ্যাত্মিক জাগরণ খুঁজে পেতে সাহায্য করাই আমার জীবনের লক্ষ্য। ইমাম বলেন, “মুসলমান সম্প্রদায়ের অনেক মুসলিম পুরুষ ও নারী তাঁদের নিজস্ব ধর্মে যে ব্যবহার পেয়েছেন, তাতে তাঁরা অসন্তুষ্ট। সেই কারণেই তাঁরা বিকল্প পথ অনুসন্ধান করছেন। আমার এই ধর্ম পরিবর্তন অনেককে অনুসরণ করতে উৎসাহিত করছে।” তিনি মনে করেন, “সনাতন ধর্ম উচ্চতর আধ্যাত্মিক জ্ঞানের পথ দেখায়।” ইমাম তাঁর দীক্ষিতদের বৈদিক হোম ও পূজার জটিল প্রথার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার আশ্বাসও দেন (Imam Embraces Sanatan Dharma)।

    ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের পাশাপাশি, ইমাম তাঁর অনুসারীদের প্রকৃতির কাছাকাছি একটি জীবনযাপন করতে উৎসাহিত করেন। তিনি বলেন, “অনেক দীক্ষিত ব্যক্তি বড় শহরের দূষিত পরিবেশের বদলে বন-জঙ্গল ও গ্রামীণ অঞ্চলে বসবাস করতে পছন্দ করেন (Ghar Wapsi)। এই নির্মল পরিবেশে তাঁরা চাষাবাদ, আধ্যাত্মিক সাধনা ও সনাতন ধর্মের প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ জীবনযাত্রার মাধ্যমে শান্তি খুঁজে পান (Imam Embraces Sanatan Dharma)।”

  • Bangladesh: ডামাডোলের বাজারে লে লুটে নে! বাংলাদেশে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা করছেন ইউনূস-ঘনিষ্ঠরা

    Bangladesh: ডামাডোলের বাজারে লে লুটে নে! বাংলাদেশে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা করছেন ইউনূস-ঘনিষ্ঠরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডামাডোলের বাজারে লে লুটে নে! এই হচ্ছে বাংলাদেশের অবস্থা। হাসিনা-উত্তর জমানায় বাংলাদেশের (Bangladesh) হাল ধরেছেন নোবেল পুরস্কার জয়ী মহম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus)। দেশ চালাচ্ছে তাঁর নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের ‘ছাত্র কর্মী’ ও ‘উপদেষ্টা’রা ক্রিপ্টোকারেন্সির আকারে অজ্ঞাত উৎসের বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা করেছেন।

    এশিয়াপোস্ট নিউজ’-এর প্রতিবেদনে হইচই (Bangladesh)

    গত ২৫ ফেব্রুয়ারি এই তথ্য প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ‘দি এশিয়াপোস্ট নিউজ’-এর একটি প্রতিবেদনে। এই প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে ইলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (ডোজ) কর্তৃক বাংলাদেশের ‘রাজনৈতিক পরিস্থিতি শক্তিশালীকরণের’ জন্য ২৯ মিলিয়ন ডলারের ইউএসএআইডি প্রকল্প বাতিল করার কয়েক দিন পরে। ‘দি এশিয়াপোস্ট নিউজ’ তাদের সূত্র থেকে প্রাপ্ত স্ক্রিনশট শেয়ার করেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে ইউনূস সরকারের কাছাকাছি থাকা লোকেরা কোটি কোটি ডলারের সম্পদ করে ফেলেছেন। এই অজ্ঞাত উৎসের অর্থ অনলাইন ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ, বিনান্সে জমা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মাত্র সাত মাস আগে ক্ষমতায় এসেছে। এরই মধ্যে ‘ছাত্র কর্মী’ এবং ‘উপদেষ্টা’রা এত অল্প সময়ের মধ্যেই নিজেদের ‘আখের গুছিয়ে’ ফেলেছেন!

    কী বলছে প্রতিবেদন

    দি এশিয়াপোস্ট নিউজ জানিয়েছে, “এই প্রকাশনাগুলি আরও উদ্বেগ বাড়িয়ে দেয় যে যেসব ব্যক্তি এক সময় ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্রের পক্ষে দাঁড়ানোর দাবি করেছিলেন, তাঁরা এখন হয়তো নির্বিচারে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন, এবং এই সবই ঘটছে যখন বাংলাদেশ তার ইতিহাসের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং সময়গুলির একটির মুখোমুখি। এই প্রমাণগুলি বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় দুর্নীতি কেলেঙ্কারিগুলির একটি প্রকাশ করতে পারে।” প্রতিবেদনটিতে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, “জাতি যখন বেঁচে থাকার জন্য সংগ্রাম করছে, তখন প্রশ্নটি থেকে যায়: ন্যায়বিচার কি প্রতিষ্ঠিত হবে, নাকি যাঁরা ক্ষমতায় আছেন তাঁরা তাঁদের সেই মানুষদের শোষণ করতে থাকবেন যাঁদের রক্ষা করার জন্য তাঁরা একসময় শপথ নিয়েছিলেন (Bangladesh)?”

    এশিয়াপোস্ট নিউজের তদন্তে কী উঠে এল

    এশিয়াপোস্ট নিউজের তদন্তে জানা গিয়েছে, ‘ছাত্র কর্মী’ সারজিস আলমের কাছে ৭৭.৬ লক্ষ মার্কিন ডলারের একটি বিশাল সম্পদ জমা হয়েছে। এটি এমন একটি সময়ে হয়েছে, যখন জানা যায়নি তাঁর আয়ের কোনও উৎস। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোনও পদেও নেই তিনি। এই আলমই বারবার ভারতকে হুমকি দিয়েছেন এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হস্তান্তর করার দাবি জানিয়েছেন। তাঁর ভারত-বিরোধী বক্তব্যের কারণে, এই ইসলামবাদীকে জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রধান সংগঠক করা হয়েছিল। তিনি বিজয় দিবসে (১৬ ডিসেম্বর ২০২৪) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে গোপন হুমকি দিয়েছিলেন।

    কাঁড়ি কাঁড়ি টাকার হদিশ

    এশিয়াপোস্টের নিউজ অনুসারে, নাহিদ ইসলাম (যিনি পূর্বে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন) তাঁর বাইনান্স অ্যাকাউন্টে ২০৪.৬৪ বিটকয়েনও রাখতেন। এর মূল্য প্রায় ১ কোটি ৯০ লক্ষ মার্কিন ডলার (Muhammad Yunus)। কাকতালীয়ভাবে, রিপোর্ট প্রকাশের সময় নাহিদ ইসলাম তাঁর পদত্যাগপত্র জমা দেন। পরে যোগ দেন নবগঠিত ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’তে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সাজিভ ভূঁইয়া ১১৩ বিটকয়েন জমা করেছিলেন, যা ১ কোটি ২০ লক্ষ মার্কিন ডলারের সমতুল (Bangladesh)। এশিয়াপোস্ট নিউজ অনুসারে, ‘ছাত্র কর্মী’ খান তালাত মাহমুদ রাফির বাইনান্স অ্যাকাউন্টে দেখা গিয়েছে যে তাঁর ১১.০৯ বিটকয়েন রয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোনও পদে না থাকা সত্ত্বেও, তিনি পূর্ণ রাষ্ট্রীয় প্রোটোকল পান। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রেস সেক্রেটারি, শফিকুল আলমও তাঁর বাইনান্স অ্যাকাউন্টে ১ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের ক্রিপ্টোকারেন্সি জমা করেছেন।

    অভিযুক্ত ইউনূস

    এত বিপুল সম্পদের জন্য কোনও পরিচিত আয়ের উৎস না থাকায়, এটি ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে যে এই অর্থ অবৈধ উপায়ে রোজগার করা। মহম্মদ ইউনূসের শাসনকালে জনসেবার নামে দ্রুতই তার কর্মকর্তা এবং ‘ছাত্র কর্মীদের’ কোষাগার পূর্ণ হয়ে যাচ্ছে, যাঁরা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগণতান্ত্রিক অপসারণের নেপথ্যে ছিলেন। ইউনূসের ট্র্যাক রেকর্ডও উজ্জ্বল নয়। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে ঢাকার একটি শ্রম আদালত তাঁকে বাংলাদেশের শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে। তাঁকে ৬ মাসের সাধারণ কারাদণ্ড দেওয়া হয় এবং ৩০,০০০ টাকা জরিমানাও করা হয় (Bangladesh)। ইউনূস এবং ‘গ্রামীণ টেলিকমের’ আরও তিনজন পরিচালক কোম্পানির কর্মীদের জন্য কল্যাণ তহবিল তৈরি করতে ব্যর্থ হয়ে শ্রম আইন লঙ্ঘন করেছিলেন।

    কী বলছে শ্রম আদালত

    শ্রম আদালতের বিচারক, শেখ মেরিনা সুলতানা জানিয়েছিলেন, গ্রামীণ টেলিকমের ৬৭ জন কর্মীকে কোম্পানিতে স্থায়ী করার কথা ছিল, যা হয়নি (Muhammad Yunus)। কোম্পানির নিয়ম অনুযায়ী, লভ্যাংশের ৫ শতাংশ কর্মীদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার কথা, যা বাস্তবায়িত হয়নি। মুহাম্মদ ইউনূস বর্তমানে বাংলাদেশে দুর্নীতি এবং শ্রম আইন লঙ্ঘনের ১০০টি অভিযোগের মুখোমুখি হচ্ছেন। ২০০৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ইউনূস ১৯৮৩ সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন দরিদ্রদের ক্ষুদ্র ঋণ দেওয়ার জন্য। তিনি আগে বাংলাদেশ সরকারের অবসর নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য তাঁর ব্যাংকের ম্যানেজার হিসেবে চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েছিলেন।

    ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা

    ২০১৩ সালে সরকারি অনুমতি ছাড়াই টাকা নেওয়ার জন্য ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। দরিদ্রদের অত্যন্ত চড়া সুদে ঋণ দেওয়ার জন্য শেখ হাসিনা তাঁকে ‘রক্তচোষা’ বলে অভিহিত করেছিলেন। এক্সক্লুসিভ তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের দুদিন পর, ‘রুমার স্ক্যানার’ নামে একটি প্রচার পোর্টাল, যা ‘ফ্যাক্ট-চেকিং’ ওয়েবসাইট হিসেবে ছদ্মবেশ ধারণ করে, সরকারি কর্মকর্তাদের এবং ইউনূস শাসনের ঘনিষ্ঠ ‘ছাত্র কর্মীদের’ বিরুদ্ধে উন্মোচিত তথ্য নিয়ে একটি নিবন্ধ লেখে। তাতে অভিযোগ করা হয়, স্ক্রিনশটগুলি ‘ডিজিটাল এডিটিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে বদল করা হয়েছে’ এবং ‘একটি অবিশ্বস্ত উৎসের ভিত্তিতে’ প্রচার করা হচ্ছে (Bangladesh)।

    কী বলছেন বাংলাদেশের সাংবাদিক

    বাংলাদেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক সালাহউদ্দিন শোয়েব চৌধুরী বলেন, ‘রুমার স্ক্যানার’ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রেস সেক্রেটারির অফিস থেকে পরিচালিত হচ্ছে। প্রসঙ্গত, এই একই প্রেস সচিব শফিকুল আলমের নাম ‘দ্য এশিয়া পোস্ট নিউজ’-ও প্রকাশ করেছে। তার পরেই স্ক্যানার তাদের প্রতিবেদনকে ‘ভুয়া খবর’ হিসেবে চিহ্নিত করতে কোমর কষে নামে। ‘দ্য এশিয়া পোস্ট নিউজ’ অন্তর্বর্তী সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের দুর্নীতি উন্মোচন করে একটি সমালোচনামূলক প্রতিবেদন প্রকাশের পর এক মাস হয়ে গিয়েছে। তা সত্ত্বেও, এই বিষয়ে কোনও তদন্ত শুরু করা হয়নি। বরং, প্রতিবেদনটির সত্যতা চাপা দেওয়ার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হয়েছে (Muhammad Yunus)।

    প্রসঙ্গত, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন জোরদার হতেই প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন আওয়ামি লিগ নেত্রী শেখ হাসিনা। তার পরেই বাংলাদেশে শুরু হয় হিন্দু নিধন যজ্ঞ। দেশের অস্থির পরিস্থিতি সামাল দিতে ক্ষমতার রাশ তুলে দেওয়া হয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে। এই সরকারেরই প্রধান হন ইউনূস। অভিযোগ, তার পর থেকে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে দুর্নীতি। যার জেরে আদতে আখের গুচ্ছোচ্ছেন আন্দোলনের হোতাদের অনেকেই। দুর্নীতির এই পাঁকে আটকে গিয়ে (Muhammad Yunus) থমকে গিয়েছে বাংলাদেশের উন্নয়ন (Bangladesh)।

  • Justice Yashwant Varma: রোজই পোড়া টাকা পাচ্ছেন সাফাই কর্মীরা! বিচারপতি বর্মাকে দায়িত্ব থেকে সরাল সুপ্রিম কোর্ট

    Justice Yashwant Varma: রোজই পোড়া টাকা পাচ্ছেন সাফাই কর্মীরা! বিচারপতি বর্মাকে দায়িত্ব থেকে সরাল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপাতত আর কোনও মামলার বিচার করতে পারবেন না দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি যশবন্ত বর্মা (Justice Yashwant Varma)। সোমবার দিল্লি হাইকোর্ট তাঁকে বিচারের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। একটি বিবৃতি জারি করে দিল্লির শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে। বিচারপতি বর্মার বাড়ি থেকে নগদ টাকা উদ্ধারের অভিযোগ ওঠায় দিল্লি হাইকোর্ট এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সূত্রের খবর। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশে ইতিমধ্যেই বিচারপতি যশবন্ত বর্মার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। বিচারপতি যশ্বন্ত বর্মার সরকারি বাসভবনের কাছে পুড়ে যাওয়া ৫০০ টাকর নোটের টুকরোওখুঁজে পেয়েছে সেখানকার সাফাইকর্মীরা।

    হিসেব-বহির্ভূত টাকাই কি পোড়ান হল?

    সূত্রের খবর, দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি দেবেন্দ্রকুমার উপাধ্যায় সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছেন, প্রাথমিক ভাবে তিনি মনে করেন, আরও গভীরে গিয়ে এই ঘটনার তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। অগ্নিকাণ্ডের পর ওই বিচারপতির বাড়ি থেকে নগদ উদ্ধার হওয়ার পরে ঘটনায় তিনি ছুটিতে রয়েছেন বলে প্রথমে জানানো হয়েছিল। এবার বিচারপতিকে বিচারের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। উল্লেখ্য, গত ১৪ মার্চ রাতে দিল্লিতে বিচারপতি যশবন্ত বর্মার (Justice Yashwant Varma) সরকারি বাংলোয় আচমকা আগুন লেগে গিয়েছিল। সে সময়ে বিচারপতি এবং তাঁর স্ত্রী বাড়িতে ছিলেন না। তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যেরা দমকলে খবর দেন। দমকল বাহিনী আগুন নেভাতে গিয়ে বিচারপতির বাড়িতে প্রচুর পরিমাণে নগদ টাকা উদ্ধার করে। অভিযোগ, ওই টাকা হিসেব-বহির্ভূত। বিচারপতির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি ওঠে। যদিও বিচারপতি বর্মা এই ঘটনাকে চক্রান্ত আখ্যা দিয়েছেন।

    অভিযোগ অস্বীকার বিচারপতির

    সূত্রের খবর, সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) কলেজিয়ামের সদস্যরা জানান, বিচার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা বজায় রাখতে বিচারপতিকে সরানো প্রয়োজন। এর পর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না নগদকাণ্ডে দিল্লি হাইকোর্টের রিপোর্ট তলব করেন। বিস্তারিত রিপোর্ট শীর্ষ আদালতে জমা দেন দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি দেবেন্দ্রকুমার উপাধ্যায়। সেখানে অভিযুক্ত বিচারপতির বক্তব্যও ছিল। সম্পূর্ণ রিপোর্টটি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিচারপতি যশবন্ত বর্মা। তিনি স্পষ্ট দাবি করেছেন, তাঁর তরফে বা তাঁর পরিবারের কারও তরফে স্টোর রুমে কখনও কোনও নগদ রাখা হয়নি।

    আদালত বলছে অন্য কথা

    বিচারপতি যশবন্ত বর্মার আরও দাবি, তাঁদের বিরুদ্ধে নগদ রাখার অভিযোগ ইচ্ছাকৃতভাবে তোলা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, যে ঘরে আগুন লেগেছিল এবং যেখান থেকে টাকা পাওয়া গিয়েছে সেটা আউটহাউস। বিচারপতি যশবন্ত বর্মার (Justice Yashwant Varma) দাবি, কেউ এমন কোনও জায়গায় নগদ রাখে না, যেটা খোলা এবং যে কেউ সেখানে চলে যেতে পারে। যেখানে নগদ মিলেছে সেই জায়গাটি তাঁর বসবাসের জায়গা থেকে একেবারে আলাদা বলে দাবি করেছেন তিনি। কিন্তু প্রধান বিচারপতি উপাধ্যায় বলেন, “যেখানে পুড়ে যাওয়া টাকা পাওয়া গিয়েছে, সেখানে অন্য কোনও প্রবেশের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এর মানে হল যে যারা এই স্থানে নিয়মিত প্রবেশ করতে পারতেন, তাদেরই এই টাকা এখানে রাখা সম্ভব ছিল।”

    সাফাইকর্মীরা প্রতিদিনই টাকা পাচ্ছে

    ওই অঞ্চলের সাফাইকর্মীরা জানিয়েছেন, “আমরা রাস্তায় জঞ্জাল সংগ্রহ করি। ৪-৫ দিন আগে যখন এখানে পরিষ্কার করছিলাম, তখন আমরা কিছু পুড়ে যাওয়া ৫০০ টাকার টুকরো খুঁজে পাই। আমরা জানতাম না এগুলো কোথা থেকে এসেছে। আজও কয়েকটা টুকরো খুঁজে পেয়েছি।” তার সহকর্মী যিনি একই এলাকায় কাজ করেন, তিনি বলেন, “আমরা এখানে কয়েকদিন ধরে কাজ করছি, এবং এটা প্রথমবার যে এমন পুড়ে যাওয়া নোট পাওয়া গিয়েছে। আজও কিছু টুকরো খুঁজে পেয়েছি।”

    অভিযুক্ত বিচারপতির ভবিষ্যৎ

    সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি খন্না এই সংক্রান্ত তদন্তের জন্য যে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছেন, তাতে রয়েছেন পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি শীল নাগু, হিমাচল প্রদেশ হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি জিএস সন্ধাওয়ালিয়া এবং কর্নাটক হাই কোর্টের বিচারপতি অনু শিবরামন। ইতিমধ্যে আইনমহল থেকে বিচারপতি বর্মার পদত্যাগের দাবি উঠতে শুরু করেছে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশিকা অনুযায়ী, কোনও বিচারপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটিকে প্রথমে দায়িত্ব দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সেই রিপোর্ট দেখে দেশের প্রধান বিচারপতি যদি মনে করেন, তিনি অভিযুক্তকে পদত্যাগের নির্দেশ দিতে পারেন। এর পরেও ওই বিচারপতি যদি পদত্যাগে রাজি না-হন, তবে সংসদের মাধ্যমে তাঁর অপসারণের জন্য প্রধান বিচারপতি সরকারকে চিঠি লিখতে পারেন। ভারতীয় সংবিধানের ১২৪(৪) ধারা অনুযায়ী, সংসদের মাধ্যমে হাই কোর্টের বিচারপতিকে অপসারণ করা যায়।

LinkedIn
Share