Blog

  • Pakistan: কেউ নিল ল্যাপটপ, কারও হাতে মনিটর, পাকিস্তানে ভুয়ো কলসেন্টারে লুট জনতার

    Pakistan: কেউ নিল ল্যাপটপ, কারও হাতে মনিটর, পাকিস্তানে ভুয়ো কলসেন্টারে লুট জনতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানে (Pakistan) ভুয়ো কলসেন্টার জানার পরেই সেখানে ঢুকে স্থানীয় বাসিন্দারা ল্যাপটপ, মনিটর লুঠ করতে শুরু করেন। এতে অনেকেই বলছেন, পাকিস্তান আছে পাকিস্তানেতেই! সেদেশের জনগণের ভিখারি মানসিকতার বিন্দুমাত্র পরিবর্তন ঘটেনি। ইতিমধ্যে ওই লুটের ভিডিও সমাজমাধ্যমে বেশ ভাইরাল হয়েছে। নানা মজার কমেন্ট করতেও দেখা যাচ্ছে অনেককে। আর্থিক সংকটে ভোগা পাকিস্তানে এমন চিত্র আগেও দেখা গিয়েছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে সদ্য চালু হওয়া একটি মলে কয়েকশো মানুষ ঢুকে পোশাক লুট করে পালিয়েছিল।

    ইসলামাবাদের (Islamabad) সেক্টর ১১-তে অবস্থিত কলসেন্টারটি

    জানা গিয়েছে, ইসলামাবাদের (Islamabad) সেক্টর ১১-তে অবস্থিত কলসেন্টারটি। তদন্তে উঠে এসেছে ওই কলসেন্টার থেকে প্রতারণার ফাঁদ পাতা হত। চিনের নাগরিকরাই নাকি ওই কল সেন্টারটি চালাতেন। এরপরেই পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি(FIA) ওই কলসেন্টারে হানা দেয়। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকার স্থানীয় মানুষজন ওই কলসেন্টারের সামনে ভিড় করেন। এফআইএ আধিকারিকরা ওই কলসেন্টারে ঢুকতেই স্থানীয় মানুষজনও হুড়মুড় করে ঢুকতে শুরু করে। তারপরই শুরু হয় জিনিসপত্র লুট। খুশির মেজাজে কলসেন্টার থেকে ল্যাপটপ, মনিটর, ডেস্কটপ নিয়ে বেরিয়ে আসতে দেখা যায় সবাইকে। শুধু কী তাই! অনেকে আবার কিছু না পেয়ে কী বোর্ডও নিয়ে আসে। কাউকে কাউকে ফার্নিচারও নিয়ে যেতে দেখা যায়।

    গ্রেফতার ২৪জন কল সেন্টার কর্মী

    এদিকে, পাকিস্তানের (Pakistan) পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ওই কলসেন্টারে হানা দিয়ে ২৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার মধ্যে কয়েকজন বিদেশি নাগরিকও রয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। তল্লাশির সময় কয়েকজন কলসেন্টার ছেড়ে পালিয়েও যান বলে পুলিশ জানিয়েছে। প্রসঙ্গত, ইসলামাবাদের এমন চিত্র গত বছরের অগাস্টে বাংলাদেশে দেখা গিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে লুঠের ছবি প্রকাশ্যে এসেছিল সেসময়। ফের একবার সেই রকমই ছবি সামনে এল পাকিস্তানে (Pakistan)। ২০২৪ সালের অগাস্ট মাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর শয়ে শয়ে মানুষ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ‘গণভবন’-এ ঢুকে পড়েছিলেন। যে যেমনভাবে পেরেছিল, জিনিসপত্র লুঠ করেছিলেন। কেউ কেউ হাসিনার শাড়ি নিয়ে গিয়েছিলেন। ছাগল, হাঁস-ও নিয়ে যেতে দেখা গিয়েছিল সেসময়।

  • Gujarat News: গুজরাট এটিএসের অভিযান, বন্ধ ফ্ল্যাটে উদ্ধার ৯৫ কেজি সোনা ও নগদ ৯০ কোটি

    Gujarat News: গুজরাট এটিএসের অভিযান, বন্ধ ফ্ল্যাটে উদ্ধার ৯৫ কেজি সোনা ও নগদ ৯০ কোটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটি বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে ৯৫ কেজি সোনা এবং নগদ ৯০ কোটি টাকা উদ্ধার করল গুজরাট (Gujarat News) পুলিশের সন্ত্রাসদমন শাখা বা এটিএস এবং ডায়রেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স (ডিআরআই)। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় আহমদাবাদের পালদি এলাকায় এই তল্লাশি অভিযানে চালানো হয় বলে জানা গিয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ থাকা একটি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালান আধিকারিকরা। ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকতেই স্তম্ভিত হয়ে যান আধিকারিকরা।

    কী জানাল গুজরাট পুলিশ (Gujarat News)

    গুজরাটের (Gujarat News) এটিএস জানিয়েছে, গোপন সূত্রে তাঁদের কাছে খবর আসে পালদি এলাকার ওই ফ্ল্যাটে প্রচুর পরিমাণে সোনা এবং নগদ টাকা রয়েছে। সেই খবর পাওয়ার পরই এটিএস এবং ডিআরআই-র আধিকারিকরা ওই ফ্ল্যাটে হানা দেন। কিন্তু ফ্ল্যাটটি বাইরে থেকে বন্ধ ছিল বলে জানা গিয়েছে। তার পর সেই ফ্ল্যাট ভেঙে ভিতরে ঢুকতেই ৯৫ কেজি সোনার বিস্কটু এবং নগদ ৯০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

    ৯০-১০০টি সোনার বিস্কুট থরে থরে সাজানো ছিল

    প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে ওই ফ্ল্যাটের মালিকের নাম মেঘ। তাঁরা বাবার নাম মহেন্দ্র শাহ। তাঁরা দু’জনেই বর্তমানে পলাতক। তদন্তকারী এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ফ্ল্যাটের ভিতরে একটি বাক্সে ৯০-১০০টি সোনার বিস্কুট থরে থরে সাজানো ছিল। ফ্ল্যাটে থাকা একটি আলমারি থেকে তাড়া তাড়া টাকার বান্ডিলও উদ্ধার হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানিয়েছে, ওই টাকার পরিমাণ ৯০ কোটি টাকা (Gold Biscuits)। তবে পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

    কী জানাল গুজরাট এটিএসের (Gujarat News) অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার

    এটিএসের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অফ পুলিশ (এসিপি) এসএল চৌধরি বলেন, ‘‘৯৫ কেজির বেশি সোনার বিস্কুট, গয়না এবং নগদ ৯০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে।’’ এসিপি আরও জানিয়েছেন, অভিযুক্তরা বড়সড় কোনও পাচারচক্রের সঙ্গে জড়িত বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে দু’জনই বর্তমানে পলাতক। তাঁদের খোঁজে ইতিমধ্যে তল্লাশি চলছে। তবে এটাই প্রথম নয়, আহমদাবাদে এর আগেও ২০২০ সালে একটি গুদামঘর থেকে ১০০ কেজি সোনা উদ্ধার হয়। সুরাতের একটি ফ্ল্যাট (Gujarat News) থেকে নগদ ১০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়।

  • Maoists Surrender: সরকারি নীতিতেই মিলল সাফল্য! ছত্তিশগড়ে ফের আত্মসমর্পণ এক ঝাঁক মাওবাদীর

    Maoists Surrender: সরকারি নীতিতেই মিলল সাফল্য! ছত্তিশগড়ে ফের আত্মসমর্পণ এক ঝাঁক মাওবাদীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার সাফল্যের মুখ দেখল ‘মাও-দমন অভিযান’। তবে এবার আর অভিযান চালানো হয়নি। তার আগেই আত্মসমর্পণ করলেন ১৯ জন মাওবাদী (Maoists Surrender)। ১৭ মার্চ ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) বিজাপুর জেলায় ঘটে আত্মসর্পণের এই ঘটনা। এদিন যাঁরা আত্মসমর্পণ করেছেন, তাঁদের সম্মিলিত পুরস্কার মূল্য ছিল ২৯ লাখ টাকা। জানা গিয়েছে, পুলিশ ও সেন্ট্রাল রিজার্ভের কর্তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন ওই মাওবাদীরা।

    আত্মসমর্পণকারী মাওবাদী (Maoists Surrender)

    আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীদের মধ্যে কয়েকজন এসিএম, পিপিসিএমের সদস্য হিসেবে সক্রিয় ছিলেন। অন্যরা পিপল লিবারেশন গেরিলা আর্মি এবং নিষিদ্ধ গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত মিলিশিয়া গোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে সক্রিয় ছিলেন। তাঁদের প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে এবং রাজ্য সরকারের আত্মসমর্পণ ও পুনর্বাসন নীতির অধীনে তাদের পুনর্বাসন দেওয়া হবে। এর আগে ১৩ মার্চ বিজাপুর জেলায়ই ১৭ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছিলেন। তারই কয়েকদিন পর ফের ঘটল আত্মসমর্পণের ঘটনা (Maoists Surrender)। আত্মসমর্পণকারীদের মাথার সম্মিলিত পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল ৪০ লাখ টাকা।

    প্রসঙ্গত, রবিবার তেলঙ্গনায়ও আত্মসমর্পণ করেছেন ৬০ জনেরও বেশি মাওবাদী। এঁদের মধ্যে ছত্তিশগড়ের এসিএম পদমর্যাদার এক মাওবাদীও ছিলেন। ১২ মার্চ ছত্তিশগড়ের বর্তমান রাজ্য সরকার মূলধারায় যোগদানকারীদের জন্য একটি নতুন আত্মসমর্পণ ও পুনর্বাসন নীতি ঘোষণা করার পর থেকেই সমাজের মূলস্রোতে ফিরতে দলে দলে আত্মসমর্পণ করছেন মাওবাদীরা।

    আত্মসমর্পণকারীদের সরকারি সাহায্য

    নয়া নীতির মাধ্যমে আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীদের আর্থিক সহায়তা, শিক্ষা, নিরাপত্তা, পুনর্বাসন এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ দেওয়া হবে। এর মাধ্যমে রাজ্য সরকার নিশ্চিত করতে চায় যে, যারা হিংসার পথ ত্যাগ করছে, তারা মর্যাদার সঙ্গে জীবন যাপন করতে পারে। উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয় শর্মাও মাওবাদীদের কাছে অস্ত্র ছেড়ে সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “মাওবাদীদের কাছে আমাদের আবেদন হল, তারা যেন অস্ত্র ছেড়ে সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসে।”

    উল্লেখ্য, ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh) সাম্প্রতিক সময়ে মাওবাদী ক্যাডারদের আত্মসমর্পণের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। অস্ত্র সমর্পণ করেছেন বহু উচ্চপদস্থ মাওবাদী নেতা (Maoists Surrender)।

  • Garden Reach Shipbuilders and Engineers: সমুদ্রে সফল পরীক্ষা, নৌসেনাকে শীঘ্র আরও ২ রণতরী দেবে গার্ডেনরিচ

    Garden Reach Shipbuilders and Engineers: সমুদ্রে সফল পরীক্ষা, নৌসেনাকে শীঘ্র আরও ২ রণতরী দেবে গার্ডেনরিচ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় নৌসেনার (Indian Navy) শক্তি বাড়াতে সদা সক্রিয় গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স (Garden Reach Shipbuilders and Engineers)। উন্নতমানের রণতরী তৈরিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ কলকাতার এই সংস্থা। প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মজবুত করতে একাধিক যুদ্ধজাহাজ নৌসেনা ও উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে গার্ডেনরিচ। এই মুহূর্তে তারা প্রস্তুত করছে আরও দুটি রণতরী। সম্প্রতি এই যুদ্ধজাহাজগুলোর সফল সামুদ্রিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে বলে জানিয়েছে জাহাজ নির্মাণকারী সংস্থাটি।

    কী দিয়ে তৈরি এই যুদ্ধ জাহাজ

    জানা গিয়েছে, গত ৩ মার্চ পরীক্ষার জন্য সমুদ্রে নামে হিমগিরি (ইয়ার্ড ৩০২২) এবং অ্যান্ড্রোথ (ইয়ার্ড ৩০৩৫) নামের যুদ্ধজাহাজ। নৌসেনার ১৭এ প্রোজেক্টের আওতায় এগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে। দেখে নেওয়া হচ্ছে রণতরী দুটির কার্যকারিতা। যার মধ্যে গতি, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, সহনশীলতা বিশেষ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। চলছে শেষ পর্যায়ের কাজ। ইতিমধ্যে আইএনএস আর্নালা (ইয়ার্ড ৩০২৯)-এরও পরীক্ষা সফল হয়েছে। শীঘ্রই এটি নৌবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হবে। জাহাজগুলি একেবারে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি। এগুলির নির্মাণ করা হয়েছে বিশেষ স্টিল দিয়ে।

    কী আছে এই যুদ্ধ জাহাজে

    এই জাহাজগুলোর সব কটিতেই রয়েছে উন্নত প্রযুক্তির সরঞ্জাম, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। থাকছে বিমান, কপ্টার ও জাহাজ বিধ্বংসী প্রতিরোধ ব্যবস্থা। জাহাজের ডেকের ভেতর থেকেই ছোড়া যাবে ক্ষেপণাস্ত্র। প্রসঙ্গত, গত বছরের নভেম্বরে নৌসেনার (Indian Navy) জন্য চারটি নজরদারি জাহাজ বানানোর বরাত পায় গার্ডেনরিচ (Garden Reach Shipbuilders and Engineers)। এর আগে বেশ কয়েকটি নজরদারি জাহাজ (অফশোর পেট্রল ভেসেল) তৈরি করে নৌসেনা ও উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে গার্ডেনরিচ। যেগুলো দিয়ে চলছে ‘শত্রু’ পক্ষের উপর কড়া নজরদারি। চিনের দাদাগিরি রুখতে এখানেই তৈরি হয়েছে সাবমেরিন বিধ্বংসী রণতরী। এবার ‘নিউ জেনারেশন অফশোর পেট্রল ভেসেল’ তৈরি করেছে জাহাজ নির্মাণকারী সংস্থাটি। বিপর্যয় মোকাবিলা, অনুপ্রবেশ আটকানো, জলদস্যুদের দমনের মতো নানা গুরুত্বপূর্ণ অভিযানে নামানো হবে নতুন প্রজন্মের এই জাহাজগুলোকে। পাশাপাশি উপকূলে অতন্দ্রপ্রহরীর কাজ করবে তারা।

  • China: এবার চিনের মুখে ভারতের নাম, বেজিংয়ের মুখে মোদি-প্রশস্তি

    China: এবার চিনের মুখে ভারতের নাম, বেজিংয়ের মুখে মোদি-প্রশস্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূতের মুখে রাম নাম নয়, বরং পড়ুন, চিনের (China) মুখে ভারতের নাম! এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) প্রশংসায় পঞ্চমুখ চিনের শি জিনপিং সরকার। আমেরিকা সফরে গিয়ে লেক্স ফ্রিডম্যানের পডকাস্টে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সাক্ষাৎকারে ভারত-চিন সম্পর্ক নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর সেই মন্তব্যের প্রশংসা করল চিন।

    হাতি ও ড্রাগনের সহযোগিতামূলক (China)

    এনিয়ে ফের একবার ‘হাতি ও ড্রাগনের সহযোগিতামূলক নৃত্যে’র প্রসঙ্গ তুলে আনল বেজিং। রাখঢাক না করেই চিনের স্পষ্ট বক্তব্য, নরেন্দ্র মোদির বয়ান বাস্তববাদী। ভারত চিন সম্পর্ক নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ইতিবাচক বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, “আমার দেশ মোদির এই বিবৃতি শুনেছে এবং তারা এর প্রশংসা করছে।”

    ভারত ও চিনের মধ্যে সম্পর্ক

    এর আগে লেক্স ফ্রিডম্যানের পডকাস্টে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভারত ও চিনের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার ওপর জোর দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, “প্রতিযোগিতা দ্বন্দ্বে পরিণত হওয়া উচিত নয় এবং মতপার্থক্যকেও বিরোধে পরিণত করা উচিত নয়।” এই আবহে মাও বলেন, “অক্টোবরে রাশিয়ার কাজানে প্রধানমন্ত্রী মোদি ও চিনা রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের মধ্যের সফল বৈঠক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নের জন্য কৌশলগত দিক নির্দেশনা দিয়েছে।”

    চিনের প্রশস্তি

    ফ্রিডম্যানকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে পাকিস্তানকে তুলোধনা করেন প্রধানমন্ত্রী। এরই পাশাপাশি ভারতের অপর প্রতিবেশী চিনকে (China) নিয়ে তাঁর সুর ছিল নরম। ভারত-চিন সম্পর্ক নিয়ে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ‘পরিবারে’র উদাহরণ টেনেছিলেন। সীমান্ত নিয়ে চিনের সঙ্গে ভারতের যে বিবাদ রয়েছে এবং গত কয়েক বছর ধরে যে দুই দেশের সম্পর্কে চিড় ধরেছে, তা মেনে নিয়েছেন মোদি। তবে তিনি এও জানিয়েছিলেন, ধীরে ধীরে চিন ও বেজিংয়ের সম্পর্ক ভালো হচ্ছে।

    ভারত-চিন সম্পর্ক প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দুই দেশের মধ্যে মতপার্থক্য থাকতেই পারে, তবে তা যাতে বিবাদে পরিণত না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।” মোদি জানান, গালওয়ান পূর্ববর্তী সমীকরণেই চিনের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চায় ভারত। তিনি বলেন, “আমার বিশ্বাস দুই দেশের মধ্যে ফের আস্থা ফিরবে।” ভারত-চিন সীমান্ত নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে আমার বৈঠকের পরে সীমান্তে (China) স্বাভাবিক অবস্থা ফিরতে দেখছি (PM Modi)।”

  • ABVP: বামেদের বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে জেএনইউ-তে ‘একাত্মতা যাত্রা’ করল এবিভিপি

    ABVP: বামেদের বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে জেএনইউ-তে ‘একাত্মতা যাত্রা’ করল এবিভিপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাম্প্রতিক সময়ে ফের একবার খবরের শিরোনামে দিল্লির জহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (JNU)। সম্প্রতি, অভিযোগ ওঠে যে জওরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের বাম ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক বিভাজনের মন্তব্য করেছেন। এই মন্তব্যের কারণে সামাজিক সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট হয়েছে। ঠিক এই আবহে পাল্টা আন্দোলনে নামল এবিভিপি। অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (ABVP) তরফে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরেই ডাক দেওয়া হয় একাত্মতা যাত্রার। এই কর্মসূচিতে ছাত্রীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

    কী জানাল এবিভিপি (ABVP)?

    এবিভিপির-র (ABVP) তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই ধরনের বিক্ষোভের আসল উদ্দেশ্য হল, ভারতের প্রাচীনতম সনাতন সভ্যতা, ঐতিহ্য, সংস্কৃতিতে রক্ষা করা। সামাজিক সম্প্রীতির পরিবেশ বজায় রাখতেই বামপন্থীদের বিরুদ্ধে এমন বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে বলে জানিয়েছে এবিভিপি। বাম ছাত্র সংগঠনগুলির বিভাজনের মন্তব্যের বিরুদ্ধে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গা গঙ্গা ধাবা থেকে এই একাত্মতা যাত্রা শুরু হয় এবং তা চলে বারাক হস্টেল পর্যন্ত।

    আগেও এমন আন্দোলন করেছে এবিভিপি (ABVP)

    প্রসঙ্গত, এটাই নতুন নয়, এর আগেও বাম সংগঠনগুলির বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে এবিভিপি রাষ্ট্রীয় একতা যাত্রার আয়োজন করেছে। সেখানে অত্যন্ত উৎসাহের সঙ্গে এবিভিপি কর্মীদের অংশগ্রহণ করতে দেখা গিয়েছে। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের এবিভিপি (ABVP) শাখা জানিয়েছে, তারা যে কোনও ধরনের বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে। এরপাশাপাশি তারা বামেদের এমন বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে পথে নামাতেও প্রস্তুত বলে জানিয়েছে।

    কী বললেন এবিভিপির জেএনইউ-র সভাপতি?

    অখিল ভারতী বিদ্যার্থী পরিষদের (ABVP) জেএনইউ শাখার সভাপতি রাজেশ্বর কান্ত দুবে এ বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘জেএনইউ-র একটা পরিচয় রয়েছে। এটি বিবিধতার মধ্যে ঐক্যের কথা বলে। এখানে যদি কেউ আঘাত করে তাহলে আমরা তার পাল্টা জবাব দেবই। জেএনইউ-র একাত্মতা যাত্রার মাধ্যমে আমরা এইবার তাই প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে এই বার্তা দিতে চাইলাম যে এই বিশ্ববিদ্যালয় বিভাজনের রাজনীতিকে সমর্থন করেনা।’’

  • Israel Palestine Conflict: সংঘর্ষবিরতি শেষ হতেই গাজায় নতুন করে হামলা ইজরায়েলের! মৃত অন্তত ২০০

    Israel Palestine Conflict: সংঘর্ষবিরতি শেষ হতেই গাজায় নতুন করে হামলা ইজরায়েলের! মৃত অন্তত ২০০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গাজায় ফের হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু ইজরায়েলের (Israel Palestine Conflict)। ২ মাসের যুদ্ধবিরতি চুক্তি শেষ হতেই গাজা ভূখণ্ডে নতুন করে হামলা চালাল ইজরায়েলি বাহিনী। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, ইজরায়েলি হানায় শতাধিক প্যালেস্তাইনি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে রয়েছে শিশু এবং মহিলাও। গাজার প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার গাজার মাটিতে বেলাগাম বিমান হামলা চালায় ইজরায়েল।

    হত হামাসের নিরাপত্তা আধিকারিক

    ট্রাম্পের উদ্যোগে গত জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে হামাসের সঙ্গে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি করে ইজরায়েল (Israel Palestine Conflict)। কথা ছিল, এই যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে বন্দি নাগরিকদের মুক্তি দেবে হামাস। সেইমতো বহু পণবন্দিকে মুক্তিও দেওয়া হয়। তবে ইজরায়েলের অভিযোগ সকল পণবন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়নি। শুধু তাই নয় মার্কিন প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যান করেছে হামাস। যার জেরেই এই হামলা। মঙ্গলবার কাকভোরে গাজায় বিমান হামলায় শতাধিক জনের মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ইজরায়েলের অবশ্য দাবি, গাজায় হামাসের ঘাঁটি লক্ষ্য করেই এই হামলা চালানো হয়েছে। প্যালেস্টাইনপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইজরায়েলের প্রথম দফার যুদ্ধবিরতির পর থেকে এটিই গাজায় সবচেয়ে বড় হামলা বলে মনে করা হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, এই হামলায় হামাসের নিরাপত্তা আধিকারিক মেহমুদ আবু ওয়াতফার মৃত্যু হয়েছে।

    কোথায় কোথায় হামলা চালাল ইজরায়েল

    ইজরায়েলের (Israel Palestine Conflict) প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, গাজা ভূখণ্ডে হামাস গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে থাকা অঞ্চলগুলিতে তারা হামলা চালাচ্ছে। রাজনৈতিক নেতৃত্বের অনুমোদনেই এই হামলা শুরু হয়েছে বলে দাবি ইজরায়েলি বাহিনীর। বস্তুত, গত ১৫ জানুয়ারি কাতার, আমেরিকা এবং মিশরের উদ্যোগে ইজরায়েল এবং হামাস সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে তা কার্যকর হয়। প্রথম দফার যুদ্ধবিরতির মেয়াদ ফুরিয়েছে ১ মার্চ। দ্বিতীয় দফার যুদ্ধবিরতি নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও আলোচনা হয়নি দুই পক্ষের। তার আগেই গাজার মাটিতে হামলা চালিয়ে বসল ইজরায়েল। মঙ্গলবার ভোরে আকাশপথে গাজায় হামলা চালায় ইজরায়েল। কয়েকঘণ্টায় প্রাণ গিয়েছে বহু। ধ্বংস হয়েছে বহু ঘরবাড়ি। গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা জানিয়েছে, উত্তর গাজা, গাজা সিটি এবং মধ্য ও দক্ষিণ গাজা উপত্যকার দেইর আল-বালাহ, খান ইউনিস এবং রাফাহ সহ একাধিক স্থানে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় ভোররাতে। মুহুর্মুহু গোলাবারুদ বর্ষণের শব্দে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন গাজার সাধারণ মানুষেরা। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

  • Mahakumbh: মার্চেও পরিযায়ী পাখিদের ভিড় ত্রিবেণী সঙ্গমে! স্বচ্ছ গঙ্গার প্রমাণ, বলছেন বিশেষজ্ঞরা

    Mahakumbh: মার্চেও পরিযায়ী পাখিদের ভিড় ত্রিবেণী সঙ্গমে! স্বচ্ছ গঙ্গার প্রমাণ, বলছেন বিশেষজ্ঞরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সম্পূর্ণ হয়েছে মহাকুম্ভ (Mahakumbh)। প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমের জলের দূষণ নিয়ে নানা গুজব ছড়ানো হয়, একাধিক মহল থেকে। তবে এমন অভিযোগ বারবার খারিজ হয়েছে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্টে। এই আবহে সঙ্গমস্থলে এখনও দেখা যাচ্ছে পরিযায়ী পাখিদের ভিড়। একইসঙ্গে সেখানে ভেসে উঠছে ডলফিন। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই ঘটনাই প্রমাণ করে যে মহাকুম্ভের জল কতটা স্বচ্ছ এবং পরিষ্কার। সাধারণভাবে এই পরিযায়ী পাখিদের ফেব্রুয়ারি শেষের দিকে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মার্চের অর্ধেক মাস শেষ হয়ে যাওয়ার পরও তাদের অস্তিত্ব দেখা যাচ্ছে। পরিবেশ বিজ্ঞানীরা এখানেই নিশ্চিত হয়েছেন যে মহাকুম্ভের জল সত্যিই স্বচ্ছ! এই সমস্ত পরিযায়ী পাখিরা সাধারণভাবে আসে ডিসেম্বরে কিন্তু মহাকুম্ভের (Mahakumbh) পরেও তারা বর্তমানে অবস্থান করছে।

    কী বলছেন জীব বিজ্ঞানের অধ্যাপক?

    জীব বিজ্ঞানের অধ্যাপক সন্দীপ মলহোত্রা যিনি পরিযায়ী পাখিদের নিয়ে গবেষণা করেন, তিনি জানিয়েছেন, এই পরিযায়ী পাখিরা ডিসেম্বরে শেষে শীত প্রধান অঞ্চল- রাশিয়া, সাইবেরিয়া, পোল্যান্ড থেকে উড়ে আসে এবং তারা ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ পর্যন্ত থাকে। কিন্তু বর্তমানে তারা মার্চের পরেও রয়েছে। এখানেই প্রমাণিত হচ্ছে যে ত্রিবেণী সঙ্গমের (Mahakumbh) জল স্বচ্ছ। এর পাশাপাশি সঙ্গমের বাতাসের গুণগত মানও খুব ভালো। তিনি আরও জানিয়েছেন যে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদও একই কথা জানিয়েছে।

    গঙ্গাতে বাড়ছে ডলফিন (Uttar Pradesh)

    অন্যদিকে জানা গিয়েছে, গঙ্গাতে ডলফিনের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। তার কারণ একটাই, গঙ্গার জলের গুণগত মান। সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকারের পরিবেশ মন্ত্রক (Mahakumbh)। গত ৩ মার্চ বিশ্ব বন্যপ্রাণ দিবসে ওই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। সেখানেই জানানো হয়েছে যে গঙ্গাতে বর্তমানে বসবাস করছে ৬,৩২৪ টি ডলফিন। যেখানে সিন্ধু নদে রয়েছে মাত্র তিনটি ডলফিন। যে রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে, গত তিন বছরে প্রায় দ্বিগুণ সংখ্যায় ডলফিন বেড়েছে। ২০২১ সালে গঙ্গার মূলধারায় ডলফিনের সংখ্যা ছিল ৩,২৭৫। যার মধ্যে উত্তরপ্রদেশেই ছিল সবচেয়ে বেশি। উত্তরপ্রদেশের ফতেপুর, প্রয়াগরাজ, বিহারের পাটনার গঙ্গায় ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে ডলফিন।

  • VHP Leader Arrested: বাংলাদেশে অব্যাহত হিন্দু নিপীড়ন, এবার গ্রেফতার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা

    VHP Leader Arrested: বাংলাদেশে অব্যাহত হিন্দু নিপীড়ন, এবার গ্রেফতার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) অব্যাহত হিন্দু নিপীড়ন। মাস কয়েক আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল (VHP Leader Arrested) বাংলাদেশের হিন্দু নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে। গত নভেম্বরে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে। এখনও নিষ্পত্তি হয়নি সেই মামলার, আদালতে ঝুলে রয়েছে। এমনই আবহে ফের গ্রেফতার করা হল আরও এক হিন্দু নেতাকে। যার জেরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হিন্দুরা।

    ভিএইচপি নেতা গ্রেফতার (VHP Leader Arrested)

    ফেরা যাক খবরে। এবার রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মহাসচিব ও অশ্বিনী সেবা আশ্রমের সভাপতি কপিল কৃষ্ণ মণ্ডলকে। সূত্রের খবর, শনিবার ভোরে গ্রেফতার করা হয় কপিল কৃষ্ণকে। ইতিমধ্যেই তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়েছে। বাংলাদেশের বাগেরহাটের চিতলমারি থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে তাঁকে। পুলিশের অভিযোগ, হিন্দু ওই নেতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের প্রমাণ মিলেছে। তাঁর মোবাইলে বিদেশি নাগরিকদের সঙ্গে বেশ কিছু সন্দেহভাজনের বৈঠকের ছবি ও কথোপকথন মিলেছে। তার ভিত্তিতেই দায়ের হয়েছে মামলা।

    বাংলাদেশ পুলিশের বক্তব্য

    চিতলমারি থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি এসএম শাহাদাত হোসেন জানান, কপিলের বিরুদ্ধে দেশ বিরোধী নাশকতার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। তাই তাঁকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেফতার করা হয়। তিনি জানান, থানার এসআই মোহম্মদ মাহমুদ হাসান বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। ওসি বলেন, “কপিল তাঁর গ্রামের বাড়িতে বসে রাত ৩টের দিকে ৫-৬জন সহযোগীকে নিয়ে বাংলাদেশের নিরাপত্তা নষ্টের চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। সূত্র মারফৎ খবর পেয়ে ভোর সাড়ে ৪টের দিকে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কপিলের সহযোগীরা পালিয়ে যান। কপিলের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে সন্দেহভাজন দেশি ও বিদেশি নাগরিকদের মোবাইল ফোন নম্বর, ছবি ও কথোপকথনের (VHP Leader Arrested) তথ্য প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।”

    হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের প্রতিবাদ

    গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছাত্র বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের জেরে দেশ ছাড়েন তিনি (Bangladesh Crisis)। তার পরেই ভারতের এই পড়শি দেশে শুরু হয় হিন্দু নিধন যজ্ঞ। হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের প্রতিবাদে গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সমাবেশ করেছিল বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ। সেই সমাবেশেই ভাষণ দিয়েছিলেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস। অভিযোগ, সেই সমাবেশেই তিনি অবমাননা করেছিলেন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার। এই অভিযোগেই চট্টগ্রামের একটি থানায় হিন্দু ওই নেতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন বিএনপি নেতা ফিরোজ খান। ৩১ অক্টোবর চিন্ময় কৃষ্ণ-সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ফিরোজ। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই ২৫ নভেম্বর ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয় চিন্ময় কৃষ্ণকে। তাঁকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় চট্টগ্রামে।

    চিন্ময় কৃষ্ণকে গ্রেফতারির প্রতিবাদে ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালতের বাইরে জড়ো হন বহু হিন্দু। তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ নির্বিচারে লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। ওই সংঘর্ষে খুন হন এক আইনজীবী। সেই খুনের ঘটনায় সব মিলিয়ে গ্রেফতার করা হয় ২১ জন হিন্দুকে। চিন্ময় কৃষ্ণের হয়ে যাতে কোনও আইনজীবী মামলা না লড়েন, সেজন্য হুঁশিয়ারি দেয় বাংলাদেশের মুসলমান সম্প্রদায়ের একটা (VHP Leader Arrested) বড় অংশ।

    বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার

    হাসিনা-উত্তর জমানায় বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে। হাসিনা দেশ ছাড়তেই হিন্দুদের মন্দির থেকে শুরু করে হিন্দুদের বাড়ি ঘরে ভাঙচুর চালানো হচ্ছে। সেই সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা থেকে বিএনপি-জামাত দেখেছিল আওয়ামি লিগের ষড়যন্ত্র। তবে কয়েক মাস যাওয়ার পরেও সে দেশে বন্ধ হয়নি হিন্দুদের ওপর অত্যাচার। ধর্মের নামে চাকরি থেকে জোর করে পদত্যাগ করানো হয় সংখ্যালঘুদের। অনেককে ধর্মান্তরিত করানোর অভিযোগও উঠেছে (Bangladesh Crisis)। এরই মাঝে চট্টগ্রামে হিন্দু ও বৌদ্ধদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারে সেখানে কাঠগড়ায় খোদ বাংলাদেশ সেনা। হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারি ঘিরে উত্তাল হয় বাংলাদেশের পরিস্থিতি।

    এদিকে, বাংলাদেশে ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে পথে নেমেছিল বাংলাদেশের কট্টরপন্থীরা। জুলাই বিপ্লবের ছাত্র নেতারাও সরব হয়েছিলেন ইসকনের বিরুদ্ধে। সারসিজ আলম চট্টগ্রামে ইসকন ও হিন্দুদের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক ভাষণ দেন। তার প্রতিবাদে ভারতের রাস্তায়ও প্রচুর লোক নেমেছিল। বাংলাদেশি মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে স্লোগানও ওঠে (Bangladesh Crisis)। ভারত সরকারও একাধিকবার বিবৃতি জারি করে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে (VHP Leader Arrested)।

  • Tulsi Gabbard: বাংলাদেশে ‘হিন্দু নিধন নিয়ে উদ্বিগ্ন’, ভারতে এসে কী বললেন মার্কিন গোয়েন্দাপ্রধান তুলসি?

    Tulsi Gabbard: বাংলাদেশে ‘হিন্দু নিধন নিয়ে উদ্বিগ্ন’, ভারতে এসে কী বললেন মার্কিন গোয়েন্দাপ্রধান তুলসি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে ‘ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের হত্যা, নির্যাতন, হিন্দু নিধন’, নিয়ে উদ্বেগে আমেরিকা। ভারতের মাটিতে দাঁড়িয়ে স্পষ্ট এই কথা জানালেন মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসি গ্যাবার্ড (Tulsi Gabbard)। তিনি আরও জানিয়েছেন, বাংলাদেশে (Hindus in Bangladesh) ‘ইসলামিক সন্ত্রাস’ নিয়েও যথেষ্ট অস্বস্তি রয়েছে আমেরিকার। নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ভাবধারাকে নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর বলেও জানিয়েছেন তুলসি।

    হিন্দু-নির্যাতন দুর্ভাগ্যজনক

    সোমবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি-কে একটি সাক্ষাৎকার দেন তুলসি (Tulsi Gabbard)। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশে দীর্ঘ দিন ধরে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, ক্যাথলিক-সহ অন্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের দুর্ভাগ্যজনক নির্যাতন, হত্যা, হেনস্থা আমেরিকা সরকার, ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তাঁর প্রশাসনের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’’ তিনি আরও জানিয়েছেন, ট্রাম্পের নতুন মন্ত্রিসভা এবং বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে এই নিয়ে সবেমাত্র কথাবার্তা শুরু হলেও বিষয়টি উদ্বেগে রেখেছে তাঁদের। উল্লেখ্য, তুলসি গ্যাবার্ড নিজে হিন্দু। এই আবহে বাংলাদেশি হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনায় তিনি সহানুভূতিশীল। শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের সর্বত্রই হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের বিষয়ে বরাবরই সরব থেকেছেন তুলসি। তিনি নিজে মার্কিন কংগ্রেসের প্রথম হিন্দু নির্বাচিত সদস্য।

    ইসলামিক সন্ত্রাস নিয়ে সরব তুলসি

    আমেরিকার গোয়েন্দা প্রধানের পদে বসার পরে দ্বিতীয় বার বিভিন্ন দেশের সফরে বেরিয়েছেন তুলসি (Tulsi Gabbard)। রবিবার ভারতে এসেছেন তিনি। সোমবার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর সঙ্গেও বৈঠক করেন গ্যাবার্ড। এর পরে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘ইসলামিক সন্ত্রাসবাদীদের বিভিন্ন গোষ্ঠীর ভাবধারা এবং লক্ষ্য একই— ইসলামিক খলিফার নীতি এবং শাসন চালু করা।’’

    বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন

    গত বছর অগস্টে গণ আন্দোলনের পরে বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। দেশ ছাড়েন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা। তার পর থেকে সে দেশে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নয়াদিল্লি। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা (Hindus in Bangladesh) নিশ্চিত করার কথাও বলেছে। গত ডিসেম্বরে নয়াদিল্লি জানায়, হাসিনা সরকারের পতনের পরে সে দেশে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের ২,২০০টি ঘটনা হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে আগেই সরব হন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমেরিকা সফরের সময় তাঁর সঙ্গে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা হয় ট্রাম্পের। ট্রাম্প জানান, বাংলাদেশের বিষয়টি তিনি মোদির উপরেই ছাড়ছেন।

    বাংলাদেশের অভিমত

    বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন (Hindus in Bangladesh) প্রসঙ্গে মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসির (Tulsi Gabbard) কথায় ঘুম উড়েছে বাংলাদেশের। তুলসির এই মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা। ১৭ মার্চ রাতেই এই নিয়ে এক বিবৃতি প্রকাশ করে ইউনূসের সরকার বলে, ‘গভীর উদ্বেগ ও দুঃখের সঙ্গে আমরা লক্ষ্য করেছি যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স প্রধান তুলসি গ্যাবার্ড বাংলাদেশ সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন মন্তব্য করেছেন। তিনি দাবি করেছেন যে বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নির্যাতন ও হত্যা করা হচ্ছে এবং ইসলামি সন্ত্রাসীদের হুমকি রয়েছে।’ ঢাকার তরফ থেকে আরও বলা হয়, ‘আরও দুঃখজনকভাবে, তিনি এসব হুমকির শিকড় ইসলামি খিলাফতের শাসন ও পরিচালনার আদর্শের সঙ্গে যুক্ত করেছেন। বাংলাদেশ বরাবরই শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ইসলামের ঐতিহ্যের জন্য সুপরিচিত। বাংলাদেশ সন্ত্রাস ও চরমপন্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। তুলসি গ্যাবার্ডের মন্তব্য নির্দিষ্ট কোনও প্রমাণ বা গ্রহণযোগ্য তথ্যের ভিত্তিতে নয়; বরং এটি একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রকে অন্যায়ভাবে ভুলভাবে উপস্থাপন করে। বিশ্বের অন্যান্য অনেক দেশের মতো বাংলাদেশও চরমপন্থার চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে, তবে এটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, সামাজিক সংস্কার ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে যাচ্ছে।’

    বাংলাদেশের বাস্তব চিত্র

    তবে, ঢাকা যাই বলুক না কেন, বিগত দিনে বাংলাদেশে ক্রমেই বেড়েছে মৌলবাদ। হাসিনার বিদায়ের পর থেকেই মন্দির থেকে শুরু করে হিন্দুদের বাড়িঘরে ভাঙচুর চলেছে। সেই সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা থেকে বিএনপি-জামাত দেখেছিল ‘আওয়ামি লিগের ষড়যন্ত্র’। তবে কয়েক মাস যাওয়ার পরও সেই দেশে হিন্দুদের (Hindus in Bangladesh) ওপর অত্যাচার থামেনি। ধর্মের নামে চাকরি থেকে জোর করে পদত্যাগ করানো হয় সংখ্যালঘুদের। অনেককে ধর্মান্তরিত করানোর অভিযোগও উঠেছে। এরই মাঝে চট্টগ্রামে হিন্দু এবং বৌদ্ধদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। সংখ্যালঘু অত্যাচারে সেখানে অভিযুক্ত খোদ সেনা। হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুর গ্রেফতারি ঘিরে আরও উত্তাল হয় পরিস্থিতি। এদিকে সেখানে ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে বাংলাদেশের কট্টরপন্থীরা পথে নেমেছিল। ‘জুলাই বিল্পবের’ ছাত্র নেতারাও ইসকনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। সারজিস আলম চট্টগ্রামে ইসকন এবং হিন্দুদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক ভাষণ দেন। সম্প্রতি বাংলাদেশে গ্রেফতার করা হয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মহাসচিব ও অশ্বিনী সেবা আশ্রমের সভাপতি কপিল কৃষ্ণ মণ্ডলকে। এই আবহে বাংলাদেশে ‘ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের হত্যা, নির্যাতন’ নিয়ে উদ্বেগে আমেরিকা। বিশেষত, হিন্দু, বৌদ্ধ এবং খ্রিস্টানদের নিয়ে। ভারত সফরে এসে এবার এই কথাই ফের স্পষ্ট করেন তুলসি।

LinkedIn
Share