Blog

  • Maoists Surrender: মাওবাদীদের ‘ভাই’ সম্বোধন শাহের, আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যেই আত্মসমর্পণ তিন কমান্ডার-সহ ২৬ জনের

    Maoists Surrender: মাওবাদীদের ‘ভাই’ সম্বোধন শাহের, আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যেই আত্মসমর্পণ তিন কমান্ডার-সহ ২৬ জনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “নকশাল ভাইদের কাছে আমার অনুরোধ, আপনারা অস্ত্রসমর্পণ করে সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসুন।” শনিবার ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh) এক সরকারি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে মাওবাদীদের (Maoists Surrender) উদ্দেশে এই বার্তাই দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেছিলেন, “একজন মাওবাদীর মৃত্যু হলেও, আমরা আনন্দিত হই না।” শাহের এই ভাই সম্বোধনের পর আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যেই আত্মসমর্পণ করলেন ২৬ জন মাওবাদী। সোমবার ছত্তিশগড়ের বস্তার ডিভিশনের দান্তেওয়াড়া জেলার তিন মাওবাদী কমান্ডার-সহ আত্মসমর্পণ করলেন ২৬ জন গেরিলা। কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআরপিএফের কাছে আত্মসমর্পণ করেন তাঁরা।

    মাওবাদী কমান্ডারের মাথার দাম (Maoists Surrender)

    পুলিশ জানিয়েছে, তিন মাওবাদী কমান্ডারের মাথার দাম ছিল সাড়ে চার লাখ টাকা। দান্তেওয়াড়ার পুলিশ সুপার গৌরব রাই বলেন, “অন্তর্দ্বন্দ্ব ও নাশকতার আদর্শের প্রতি মোহভঙ্গের কারণেই এঁরা আত্মসমর্পণ করে সমাজের মূল স্রোতে শামিল হচ্ছেন।” তিনি জানান, নিষিদ্ধ সিপিআই (মাওবাদী)-র সশস্ত্র শাখা পিএলজিএর বস্তার ডিভিশনে সক্রিয় বিভিন্ন দলমের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত ছিলেন আত্মসমর্পণকারী ২৬ নেতা-কর্মী। পুলিশ জানিয়েছে, আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীরা জনমিলিশিয়া, বিপ্লবী পার্টি কমিটি, জনতানা সরকার, দণ্ডকারণ্য আদিবাসী কিষান মজদুর সংগঠন এবং চেতনা নাট্যমণ্ডলীর মতো শাখা সংগঠনগুলির সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত। তাঁর দাবি, এঁদের আত্মসমর্পণ নিরাপত্তা বাহিনীকে বাড়তি মনোবল জোগাবে। তিনি বলেন, “আমাদের গ্রাম, আমাদের পুলিশ প্রচার কর্মসূচির ফলেই এই সাফল্য।”

    মাওবাদীমুক্ত ভারত গড়ার বার্তা

    এদিন যাঁরা আত্মসমর্পণ (Maoists Surrender) করেছেন তাঁদের মধ্যে রাজেশ কাশ্যপ আমদই অঞ্চলের জনমিলিশিয়া কমান্ডার হিসেবে সক্রিয় ছিলেন। তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ৩ লাখ টাকা। জনতানা সরকার স্কোয়াডের প্রধান কোসা মাদভি ও সিএনএমের নেতা ছোটু কুঞ্জামের মাথার দাম ছিল যথাক্রমে এক লাখ ও ৫০ হাজার টাকা। ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে মাওবাদীমুক্ত ভারত গড়ার বার্তা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ছত্তিশগড়ে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পরে মাওবিরোধী অভিযান আরও গতি পেয়েছে। গত বছর বস্তার অঞ্চলে মাওদমন অভিযানে মৃত্যু হয়েছিল ২৮৭ জনের। গ্রেফতার করা হয়েছে হাজারেরও বেশি জনকে। সে বছর আত্মসমর্পন করেছিলেন ৮৩৭ জন। চলতি বছরে মাত্র তিন মাসে খতম হয়েছেন ১৩০ জন মাওবাদী। এতেই চাপে পড়ে গিয়েছে মাওবাদীরা। এদিকে, সরকার ডাক দিয়েছে ঘরে ফেরার (Chhattisgarh)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই সুযোগটাই কাজে লাগিয়ে ঘরে ফিরছেন মাও-গেরিলারা (Maoists Surrender)।

  • Mamata SSC Jobless Meet: যোগ্য কারা? কীভাবে আলাদা করা হল অযোগ্যদের? মমতার বৈঠক নিয়ে প্রশ্ন বিজেপির

    Mamata SSC Jobless Meet: যোগ্য কারা? কীভাবে আলাদা করা হল অযোগ্যদের? মমতার বৈঠক নিয়ে প্রশ্ন বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারির জেরে বাতিল হয়েছে ২০১৬ সালের নিয়োগ প্যানেল। তার পরেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে পুঞ্জীভূত হতে থাকে অসন্তোষের আগুন। সেই আগুনের আঁচ যাতে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে না পড়ে, তাই সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে চাকরি হারানো শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata SSC Jobless Meet)। এই বৈঠকের উদ্দেশ্য নিয়েই প্রশ্ন তুললেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।

    সুকান্তর বক্তব্য

    তিনি বলেন, “যোগ্য-অযোগ্যদের মিলিয়ে দিতেই এই বৈঠক ডাকা হয়েছে। সরকার চাইলে যোগ্য-অযোগ্যদের অনেক আগেই আলাদা করতে পারত।” তিনি বলেন, “প্রথম থেকেই তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্য হচ্ছে দুধ আর জলকে মিলিয়ে দিতে হবে। আজকের মিটিংয়ের উদ্দেশ্যও তাই। কোনওভাবেই যেন আলাদা করা না যায়। গন্ডগোলটা তো ওখানেই হচ্ছে। যোগ্যদের সঙ্গে অযোগ্যদেরও ডাকা হয়েছে (Mamata SSC Jobless Meet)। এই অযোগ্যরা তৃণমূল নেতাদের টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছে।” মন্ত্রী বলেন, “সরকার চাইলে কারা টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছে আর কারা মেধার ভিত্তিতে চাকরি পেয়েছে, সেই তালিকা আদালতের সামনে আনতে পারত। সরকার এখনও তা আনেনি। তাদের উদ্দেশ্য, হয় ব্যাপারটাকে ঘেঁটে দাও, যোগ্য-অযোগ্যদের মিলিয়ে দাও, যাতে কেউ ধরা না পড়ে। অথবা পুরো প্যানেলটাই বাতিল হয়ে যাক, যাতে কারও ঘাড়ে দোষ না পড়ে। যোগ্য-অযোগ্য আলাদা করলেই বিপদ। তাহলে যারা টাকা দিয়েছে, তারা টাকা ফেরত চাইবে।”

    গেট পাস নিয়ে গুচ্ছ প্রশ্ন

    এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের বৈঠকে যোগ দিতে দেখাতে হয়েছে গেট পাস। তাতে লেখা ‘আমরা যোগ্য’। কোন নিরিখে যাদের গেট পাস দেওয়া হয়েছে তারা যোগ্য, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যেমন প্রশ্ন উঠছে, এই গেট পাস কে ইস্যু করেছে? কারাই বা দিয়েছে? গেট পাস দেওয়া হয়েছে ৭ হাজার ১৪৪জনকে। অথচ চাকরি খুইয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী। বিরোধীদের প্রশ্ন, তাহলে হাইকোর্ট যাদের অযোগ্য বলে দাগিয়ে দিয়েছিল, তারাই কি এদিনের বৈঠকে (Mamata SSC Jobless Meet) ডাক পেয়েছিলেন? পেয়েছিলেন ‘আমরা যোগ্য’ লেখা গেট পাস? রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “এরা কেউ প্রকৃত মেধাযুক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা বা শিক্ষাকর্মী নয়। এরাই চব্বিশে ভোট করেছে, ভোট লুটের কাজও করেছে। ডায়মন্ড হারবারে তো টেন্টেড শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের দিয়ে ভোট করানো হয়েছে। ওখানে সাত লক্ষ ভোট পাওয়া নিয়ে তো আমি আরটিআই-ও করেছিলাম। কিন্তু এখনও উত্তর মেলেনি। এবার আমি ভোটে আদালতে যাব।”

    তৃণমূল পার্টি অফিস থেকে পাস বিলি!

    শুভেন্দুর (BJP) দাবি, “তৃণমূল পার্টি অফিস থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে চাকরিহারাদের সভার পাস বিলি হয়েছে।” এদিন বিধানসভার বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী যোগ্যদের বৈঠকে ডেকেছিলেন। কিন্তু এদিন মাত্র ৭ হাজার পাস বিলি হয়েছে। তার মানে ১৮ হাজারকে অযোগ্য ঘোষণা করেছেন মমতা।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দাবি, এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারও জড়িত। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী নন, উনি তৃণমূল নেত্রী। মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক ডাকলে ২৬ হাজার জনকেই বৈঠকে ডাকতেন। মুখ্যমন্ত্রী মানবিক নন। উনি ৭ হাজার জনের জন্য পাস জারি করেছেন। কাদাপাড়ায় তৃণমূল দফতর থেকে পাস বিলি করা হয়েছে। এরা সবাই তৃণমূলের গুন্ডা।” শুভেন্দু বলেন, “৭ হাজার পাস বিলি করে বলছে আমরা যোগ্যদের ডেকেছি (Mamata SSC Jobless Meet)। তার মানে ১৮ হাজার অযোগ্য। এই তালিকাটা কেন সুপ্রিম কোর্টে দিয়ে দিল না?”

    দম্ভ না দেখালে ২৬ হাজারের এই পরিণতি হত না! 

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ২০২২ সালে সাড়ে পাঁচ হাজার অবৈধ বলেছিলেন। সেদিন যদি দম্ভ-ঔদ্ধত্য না দেখিয়ে স্বীকার করে নিত, তাহলে আজ ২৬ হাজারের এই পরিণতি হত না।” তিনি বলেন (BJP), “কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করতে সুপ্রিম কোর্টে করের ২০০ কোটি টাকা খরচ করেছে। এই টাকা খরচ করা হয়েছে এই সাড়ে ৫ হাজার অযোগ্যকে বাঁচাতে। সেই টাকা তুলেছে ভাইপো। সেটা বলে দিয়েছে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। যিনি লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের এমডি। এই সংস্থারই অন্যতম ডিরেক্টর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়।”

    প্রসঙ্গত, যোগ্যদের ভিড়ে যে অযোগ্যরাও লুকিয়ে রয়েছে, এদিন তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর কথায়ও। তিনি বলেন, “আগে যোগ্যদের বিষয়টি মিটে যাক। তারপর যাদের অযোগ্য বলা হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে কী কী তথ্য আছে আমি দেখব। সব কাগজপত্র তদন্ত করে দেখব। সত্যি যদি তারা অযোগ্য বলে প্রমাণিত হয়, তখন (BJP) আর আমার কিছু করার থাকবে না (Mamata SSC Jobless Meet)।”

  • Amit Shah: জম্মু-কাশ্মীর সফরে অমিত শাহ, পরিদর্শন করলেন আন্তর্জাতিক সীমান্তের ফরোয়ার্ড পোস্ট

    Amit Shah: জম্মু-কাশ্মীর সফরে অমিত শাহ, পরিদর্শন করলেন আন্তর্জাতিক সীমান্তের ফরোয়ার্ড পোস্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মুর কাঠুয়া জেলায় ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের (Jammu Kashmir) একটি ফরওয়ার্ড পোস্ট পরিদর্শন করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। ওই এলাকায় গত দুই সপ্তাহ ধরে পাক জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছিল ভারতীয় সেনা। সোমবার বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ জম্মু থেকে হেলিকপ্টারে হিরানগর সেক্টরে পৌঁছান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পরে তিনি বিএসএফ আউটপোস্ট ‘বিনয়’-এ পৌঁছে পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন।

    সীমান্ত পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    ৬ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরে তিনদিনের সফরে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সরকারি সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি সেখানে জনসভাও করবেন তিনি। একইসঙ্গে সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর পদস্থ কর্তাদের নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করবেন। বিএসএফের ডিরেক্টর জেনারেল দালজিৎ সিং চৌধুরী, জম্মু ফ্রন্টিয়ার বিএসএফের ইন্সপেক্টর জেনারেল শশাঙ্ক আনন্দ এবং জম্মু জোনের ইন্সপেক্টর জেনারেল ভীম সেন তুতি এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ প্রধান নলিন প্রভাত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে উপত্যকায় স্বাগত জানান। রবিবার রাতে শাহ জম্মু পৌঁছানোর পর বিজেপি বিধায়ক ও দলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন। প্রায় দুই ঘণ্টা ব্যাপী বৈঠক শেষে, শাহ ‘এক্স’ প্ল্যাটফর্মে লিখেছেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজির নেতৃত্বে বিজেপি জম্মু ও কাশ্মীরের সমৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাবে।”

    উপত্যকায় উচ্চ সতর্কতা

    স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, ভূস্বর্গে থাকাকালীন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার সঙ্গেও একান্তে বৈঠক করতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah)। এই কাঠুয়াতেই (Jammu Kashmir) গত কয়েক সপ্তাহ ধরে জঙ্গি দমন অভিযান চালিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। যদিও শাহের সফরের সঙ্গে এই অভিযানকে যুক্ত করতে রাজি নন মুখ্যমন্ত্রী আবদুল্লা। তিনি বলেন, ‘কাঠুয়ার অভিযানের সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের কোনও যোগ নেই। অভিযানের আগেই এই সফরের দিনক্ষণ ঠিক হয়েছিল। নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি জম্মুতে সভা করবেন তিনি। তারপর শ্রীনগরে বেশকিছু প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।’ উল্লেখ্য জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচনের পর এটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের প্রথম সফর। তাঁর সফরের জন্য উপত্যকায় উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

  • Shaheen Bagh: পাল্টে গেল শাহিনবাগ! ওয়াকফ আইনের সমর্থনে মুসলিমদের মিছিল, মোদির প্রশংসায় উঠল স্লোগান

    Shaheen Bagh: পাল্টে গেল শাহিনবাগ! ওয়াকফ আইনের সমর্থনে মুসলিমদের মিছিল, মোদির প্রশংসায় উঠল স্লোগান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার খবরের শিরোনামে চলে এল দিল্লির শাহিনবাগ (Shaheen Bagh)। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে এই শাহিনবাগেই দীর্ঘদিন ধরে চলেছিল আন্দোলন। কয়েকশো মহিলা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সেখানে ধর্নায় বসেছিলেন (Waqf Property)। রবিবার সেই শাহিনবাগেই বের হল বিশাল মিছিল। নয়া ওয়াকফ আইনের সমর্থনেই এদিন পদযাত্রায় যোগ দেন মুসলিমরা। ‘ক্লিন ওখলা গ্রিন ওখলা’ সংগঠনের আহ্বায়ক শাহজাদ আলি ইদ্রিসি বলেন, ‘ক্লিন ওখলা গ্রিন ওখলা’ সংগঠনের এই সমাবেশে শাহিনবাগ ও পার্শ্ববর্তী ওখলা – উভয়ই সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা থেকে ৭০ জনেরও বেশি মুসলিম পদযাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন।

    পদযাত্রায় মুসলিমরা (Shaheen Bagh)

    তিনি বলেন, “ওয়াকফ সংশোধনী বিলের সমর্থনে সংগঠনের কর্তারা বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার জাতীয় সভাপতি জামাল সিদ্দিকির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।” ইদ্রিসি বলেন, “এতকাল ধরে স্বঘোষিত মুসলিম নেতারা, আইএমপিএলবি এবং রাজনৈতিক সুবিধাবাদীরা আমাদের সম্প্রদায়ের কথাকে হাইজ্যাক করে রেখেছে। আজ শাহিনবাগ দেখিয়ে দিয়েছে যে তারা প্রগতির পক্ষে, তাদের পক্ষে নয় যারা ওয়াকফ সম্পত্তি ব্যবহার করে তাদের সাম্রাজ্য গড়ে তোলে বা অশান্তির সৃষ্টি করে।” তিনি বলেন, মুসলিম নারীরা, যাঁদের অনেকেই একসময় একই রাস্তায় সিএএ-বিরোধী বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তাঁরাও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দীর্ঘ প্রতীক্ষিত সংস্কার আনার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাতে পদযাত্রায় অংশ নিয়েছেন। এদিনের পদযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন সিদ্দিকি। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বেশ কিছু মুসলিম ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠি লিখেছেন। তিনি বলেন, “এটি রাজনীতি সম্পর্কিত কোনও বিষয় নয়। এটি গরিব ও প্রান্তিক সম্প্রদায়ের অধিকার ফিরে পাওয়ার বিষয়। ওয়াকফ লুটের মাধ্যমে যারা নিজেদের (Waqf Property) পকেট ভারী করেছে, তাদের মুখোশ খুলে দেওয়ার বিষয় (Shaheen Bagh)।”

    ওয়াকফ সংশোধনী বিল

    প্রসঙ্গত, ৩০ মার্চ লোকসভায় পাশ হয় ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৫। বিলটি রাজ্যসভায়ও পাশ হয়ে যায়। পরে অনুমোদনের জন্য সেটি পাঠানো হয় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে। রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করায় মাত্র আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যেই বিলটি পরিণত হয় আইনে। ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ে নানা সময় বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। জানা গিয়েছে, ধর্মীয়, সামাজিক ও দাতব্য কাজের জন্য দান করা ওয়াকফ সম্পত্তি (Waqf Property) রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ধর্মগুরু ও মধ্যস্বত্বভোগীদের ব্যক্তিগত জমিদারিতে পরিণত হয়েছিল।

    দেশজুড়ে সমীক্ষা

    বিলটি লোকসভায় পেশ করার আগে কেন্দ্রীয় সরকার দেশজুড়ে একটি সমীক্ষা করে। সেই সমীক্ষায় উঠে আসে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। বেরেলিতে ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে একটি বাড়ির উল্লেখ থাকলেও, প্রকৃত পক্ষে সেখানে ছিল ২১টি দোকান, দুটি বাড়ি এবং একটি মসজিদ। হাথরাসে তহশিল রেকর্ডে ওয়াকফ সম্পত্তিকে অবৈধভাবে ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছিল। ছত্তিশগড়ের রায়পুরে ৫ হাজার কোটি টাকা মূল্যের ওয়াকফ সম্পত্তি থেকে আয় হয়েছিল মাত্র ৫ লাখ টাকা। রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান সালিমরাজ স্বীকার করেন, “প্রভাবশালী ব্যক্তিরা অবৈধ রেজিস্ট্রির পর প্রাইম ওয়াকফ সম্পত্তিতে দোকান ও শোরুম খুলেছে।” বিহারে শিয়া ও সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে (Shaheen Bagh)।

    এআইএমপিএলবির বিরুদ্ধাচরণ করার ডাক

    ভামসি ডিজিটাল পোর্টালে হাজার হাজার আনভেরিফায়েড ওয়াকফ সম্পত্তি জমা হয়েছে। তা সত্ত্বেও উত্তরপ্রদেশের সুন্নি ও শিয়া বোর্ড সহ রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডগুলি দুবছর আগে জমা দেওয়া সমীক্ষায় প্রাপ্ত ডেটা যাচাই করতে ব্যর্থ হয়েছে। রাজস্থানেই ৭০৬টি সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল হওয়ায় ভাজনলাল শর্মার নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার রাজ্যস্তরে তদন্ত শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, এদিনের পদযাত্রাটি কেবল ওয়াকফ বিল আইনে পরিণত হওয়ার কারণেই নয়, এটি ছিল অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের (এআইএমপিএলবি) বিরুদ্ধে এক হওয়ার ডাক। কারণ এই সংস্থাই সুপ্রিম কোর্টে নয়া আইনের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে এবং দেশব্যাপী বিক্ষোভ প্রদর্শনের ডাক দিয়েছে (Waqf Property)।

    কী বললেন সিদ্দিকি

    এদিন সিদ্দিকি সাফ জানিয়ে দেন, “এআইএমপিএলবির কোনও আইনি সংস্থা নয়, জনমানসে তাদের কোনও গ্রহণযোগ্যতাও নেই, অথচ তারা দাবি করে যে তারা সব মুসলমানের পক্ষে কথা বলে। আমি আগেই তাদের ‘বোর্ড’ শব্দটি সরানোর জন্য লিখিত অনুরোধ করেছি। এখন আমি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে তাদের অর্থনীতি, কার্যক্রম এবং মুসলমানদের ভুল পথে চালিত করার ভূমিকা তদন্তের অনুরোধ করব (Shaheen Bagh)।”

    উল্লেখ্য, এই সংস্থাটি মূলত ধর্মীয় দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য গঠিত হলেও, এখন এর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সংস্কারে বাধা দেওয়া, অবৈধ ওয়াকফ সম্পত্তি দখল রক্ষা করা এবং চরমপন্থী গোষ্ঠীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে সম্প্রদায়কে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উস্কানি দেওয়ার। ইদ্রিসি বলেন, “ওয়াইসি ও মাদানি পরিবার নিয়ন্ত্রণ হারানোর ভয়ে আছে। এই দেশের গরিব মুসলমানদের চাকরি, শিক্ষা ও নিরাপদ বাসস্থান (Waqf Property) চাই, কেবল বিক্ষোভ নয় (Shaheen Bagh)।”

  • PM Modi: মোদি-ইউনূস বৈঠক, রাজনৈতিক ফয়দা তুলতে অপব্যাখ্যা করছে প্রধান উপদেষ্টার ঘনিষ্ঠরা!

    PM Modi: মোদি-ইউনূস বৈঠক, রাজনৈতিক ফয়দা তুলতে অপব্যাখ্যা করছে প্রধান উপদেষ্টার ঘনিষ্ঠরা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাইল্যান্ডে বিমস্টেক সম্মেলনের ফাঁকে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ও বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। সেখানে বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর হিংসার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই বৈঠক নিয়ে অপপ্রচার করছেন বাংলাদেশিদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেও দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।

    ফেসবুক পোস্টে অপব্যাখ্যা (PM Modi)

    ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘৮৪ বছর বয়সি নোবেল জয়ী ব্যাংককে শুক্রবার তাঁদের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে প্রত্যর্পণের অনুরোধ করেন। এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়াটি নেতিবাচক ছিল না।’ হাসিনার প্রত্যর্পণের অনুরোধ সম্পর্কে ইউনূসের প্রেস সচিব যে মন্তব্য করেছেন, তার কোনও ভিত্তি নেই বলেই সূত্রের খবর। সূত্রের দাবি, এই ধরনের প্রচেষ্টা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সিরিয়াসনেস ও সদিচ্ছা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দেয়।

    ইউনূসের প্রেস সচিবের অপব্যাখ্যা

    প্রধানমন্ত্রী মোদি ও ইউনূসের বৈঠকের সময় আলম বলেন, ‘ভারতীয় নেতা (প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি) নোবেলজয়ীর প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। তাঁর কাজের উচ্চ প্রশংসাও করেন।’ এক আধিকারিকের দাবি, যদিও ভারতের সঙ্গে হাসিনার সুসম্পর্ক রয়েছে, তবুও প্রধানমন্ত্রী মোদি নাকি ইউনূসকে বলেছিলেন যে ভারত তাঁর (ইউনূসের) প্রতি হাসিনার অসম্মানজনক আচরণ লক্ষ্য করেছে। গত বছর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার হাসিনার প্রত্যর্পণের জন্য যে অনুরোধ জানিয়েছিল, নয়াদিল্লি এখনও তার কোনও জবাব দেয়নি। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র বিক্ষোভের জেরে গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন হাসিনা। সেই থেকে তিনি রয়েছেন ভারতেই। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi) ইউনূস ও তাঁর আগের সরকারের মধ্যের সম্পর্ক সংক্রান্ত মন্তব্যেরও অপব্যাখ্যা করা হয়েছে।

    সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী ২০১৪ সাল থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রগতির কথা উল্লেখ করেছেন এবং একে “আমাদের সমাজ ও জনগণের মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব” হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। অথচ, আলম তাঁর ফেসবুক পোস্টে বলেছেন, ‘ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি নতুন পথ খুঁজতে চায়।’ তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদি ইউনূসকে কয়েকবার বলেছেন যে ভারতের সম্পর্ক বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে, কোনও নির্দিষ্ট দল বা ব্যক্তির সঙ্গে নয়।’ ইউনূসের বক্তব্য উদ্ধৃত (Bangladesh) করে আলম বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা ভারতের সঙ্গে সর্বোত্তম সম্পর্ক চান, তবে তা ন্যায্যতা, সমতা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে হওয়া উচিত।’ বিশেষজ্ঞদের মতে, এভাবে মোদি-ইউনূসের বৈঠক নিয়ে বিভ্রান্ত ছড়িয়ে গদি আঁকড়ে থাকতে চান ইউনূসের সাঙ্গপাঙ্গরা (PM Modi)।

    প্রসঙ্গত, ভারতের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়েছিলেন যে পরিবেশকে বিষাক্ত করে এমন বক্তব্য এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের বিশেষত হিন্দুদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা সংক্রান্ত ভারতের উদ্বেগের কথা তুলে ধরেন এবং আশা প্রকাশ করে যে বাংলাদেশ সরকার তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে, বিশেষ করে তাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত নৃশংসতার মামলাগুলি যথাযথ তদন্ত করবে (PM Modi)।

  • Stock Market Crash: রক্তাক্ত শেয়ার বাজার! চার হাজার পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স, কেন এমন হাল? রইল ৫ কারণ

    Stock Market Crash: রক্তাক্ত শেয়ার বাজার! চার হাজার পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স, কেন এমন হাল? রইল ৫ কারণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একাধিক দেশের উপরে বিরাট অঙ্কের শুল্ক চাপিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার জেরে রক্তক্ষরণ গোটা বিশ্বের শেয়ার বাজারে (Stock Market Crash)। বর্ধিত শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগেই বিপুল অঙ্কের ক্ষতি হয়েছে ওয়াল স্ট্রিটে। ট্রাম্পের শুল্ক ঘোষণার পর থেকেই ওয়াকিবহাল মহলের আশঙ্কা ছিল ১৯৮৭ সালের ‘ব্ল্যাক মানডে’র মতোই শেয়ার বাজারে বিরাট ধস নামতে পারে। সোমবার সেই আশঙ্কাই সত্যি হতে শুরু করেছে বিশ্বের বাজারে। চিনের সাংহাই কম্পোজিট ইন্ডেক্স ৪.২১ শতাংশ পড়ে গিয়েছে। ৭ শতাংশ পড়ে গিয়েছে জাপানের নিক্কেই সূচক। দক্ষিণ কোরিয়ার কোসপির সূচক পড়েছে ৪.৮ শতাংশ। হংকংয়ের শেয়ার বাজার পড়েছে ৯ শতাংশেরও বেশি। অস্ট্রেলিয়া এবং তাইওয়ানের শেয়ার বাজার যথাক্রমে ৬ এবং ৯.৮ শতাংশ পড়েছে। শেয়ার বাজারে (Share Market) রক্তক্ষরণের একই ছবি দেখা যেতে পারে ভারত এবং আমেরিকাতেও। সবমিলিয়ে, ব্ল্যাক মানডের সেই বিপুল ধসের স্মৃতি আবারও ফিরছে বিশ্বের বাজারে।

    ভারতীয় শেয়ার বাজারে পতন

    ভারতের শেয়ার বাজারেও (Stock Market Crash) নামল ধস। সোমবার বাজার খুলতেই একধাক্কায় প্রায় চার হাজার পয়েন্ট পড়ল বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের (বিএসই) সূচক সেনসেক্স। হাজার পয়েন্ট পড়েছে নিফটিও। বেলা গড়াতে বাজারের হাল খানিকটা ফিরলেও রক্তক্ষরণ অব্যাহত। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চড়া হারে শুল্ক চাপানোর ঘোষণা করার পরেই নিম্নমুখী ভারতের শেয়ার বাজার। লাগাতার পড়েছে সেনসেক্স-নিফটির সূচক। তবে সোমবার বড়সড় পতন হবে গোটা বিশ্বের শেয়ার বাজারে, সেই আশঙ্কা ছিলই। আশঙ্কা সত্যি করে বিরাট পতন হল শেয়ার বাজারে। সপ্তাহের শুরুতে সোমবার বাজার খুলতেই দেখা যায়, প্রায় চার হাজার পয়েন্ট পড়েছে সেনসেক্স। ৩৯৩৯.৬৮ পয়েন্ট পড়ে ৭১ হাজারের ঘরে নেমে যায় সেনসেক্স। প্রায় ৩.৯ শতাংশ পতন হয়েছে সোমবার সকালে।

    ধাক্কা নিফটি-সেনসেক্সে

    ট্রেন্ট, টাটা স্টিল, টাটা মোটরস, জেএসডব্লিউ স্টিল, শ্রীরাম ফিনান্স- একের পর এক সংস্থার শেয়ারের দাম হুহু করে পড়ছে। ৪ থেকে ৭ শতাংশ পড়ে গিয়েছে গাড়ি-আইটি সংস্থাগুলির শেয়ার। ৭ শতাংশ পড়েছে আদানি গোষ্ঠীর একাধিক সংস্থার শেয়ার। এই সময়ের মধ্যে নিফটিও ১,১৬০.৮ পয়েন্ট কমে ২১,৭৪৩.৬৫ এ পৌঁছোয়। বাজার বিশেষজ্ঞদের দাবি, ট্রাম্পের শুল্কযুদ্ধের কারণেই শেয়ার বাজারে এই রক্তক্ষরণ। শুধু দালাল স্ট্রিট নয়, রক্তাক্ত সমগ্র এশিয়ার স্টক মার্কেটই। মার্কিন শেয়ার সূচক ন্যাসড্যাক এবং ডাও জোন্স-এও বড় ধস নেমেছিল আমেরিকার প্রেসিডেন্টের শুল্ক নীতি ঘোষণার পর পরই। বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ভারতের শীর্ষ ৩০টি সংস্থার মিলিত সূচক ২,৫০০ পয়েন্টেরও বেশি কমে। বিনিয়োগকারীদের ১৯ লক্ষ কোটি টাকা এক নিমেষে উধাও হয়ে যায় সপ্তাহের প্রথম দিনেই। বিএসই তালিকাভুক্ত শীর্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে টাটা স্টিল (-১০%), টাটা মোটরস (-৭.৮৬%), ইনফোসিস (-৬.৯৮%), টেক মাহিন্দ্রা (-৬.৩৬%) এবং এল অ্যান্ড টি (-৬.৪৫%)। পরে অবশ্য কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাজার।

    ভারতীয় শেয়ার বাজারে (Stock Market Crash) ধসের প্রধান ৫টি কারণ

    ১. বৈশ্বিক বাজারে বিক্রির প্রবণতা: বিশ্বের প্রায় সব দেশের বাজারে সোমবার ধস নেমেছে। যার মূল কারণ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতিতে কোনও ছাড়ের লক্ষণ না থাকা। তিনি রবিবার বলেছেন যে, শুল্ক একটি ‘ওষুধ’ হিসেবে কাজ করছে এবং তিনি আশা করছেন যে বিদেশি সরকারগুলো শুল্কের হার কমানোর জন্য ব্যাপকভাবে অর্থ প্রদান করবে। ট্রাম্প বলেছেন, “আমি চাই না কিছুই নষ্ট হোক। কিন্তু কখনও কখনও কোনও কিছু ঠিক করতে ওষুধের প্রয়োজন হয়।” এর পরিপ্রেক্ষিতে, এশিয়া, ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ব্যাপক ধস নেমেছে। বিশেষ করে এশিয়ায়, তাইওয়ান ওয়েটেড ১০ শতাংশ এবং নিক্কেই ৭ শতাংশ কমেছে।

    ২. শুল্ক প্রভাব: ট্রাম্প প্রশাসন ১৮০টিরও বেশি দেশের উপর ব্যাপক শুল্ক আরোপ করেছে, যা বাজারে আরও উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের শেয়ার বাজারে এই শুল্কের প্রভাব পুরোপুরি মূল্যায়ন করা হয়নি, যার ফলে পরবর্তী সময়ে আরও পতন হতে পারে। এমকেয় গ্লোবাল বলেছে, “প্রথম ত্রৈমাসিকে ভারতের শেয়ার বাজারে আরও অবনতি হতে পারে, যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্কের প্রতি ভারতের সাড়া এখনও যথেষ্ট উদ্বেগজনক।”

    ৩. বৃদ্ধির ধীর গতি: এ নিয়ে উদ্বেগ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ট্রাম্পের শুল্কের কারণে বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি বাড়বে, যা কর্পোরেট লাভ কমিয়ে দেবে এবং গ্রাহক মনোভাবকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। যেহেতু ট্রাম্প এপ্রিল ২ তারিখে পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছেন এবং চিন ৩৪ শতাংশ শুল্ক বাড়িয়েছে, বিশ্ব অর্থনীতির উপর তার প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। জেপি মরগান তাদের পূর্বাভাস বাড়িয়ে দিয়েছে, বলেছে যে যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বের অর্থনৈতিক মন্দার ঝুঁকি ৬০ শতাংশে পৌঁছেছে।

    ৪. বিদেশি পোর্টফোলিও বিনিয়োগকারীদের (FPI) তহবিলের প্রবাহে হ্রাস: গত মাসে ভারতীয় শেয়ার বাজারে বিদেশি পোর্টফোলিও বিনিয়োগকারীরা কেনাকাটা শুরু করলেও, এপ্রিল মাসে তারা আবার শেয়ার বিক্রি করতে শুরু করেছে। এপ্রিল মাসে ১৩,৭৩০ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে, যার ফলে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে যে, যদি ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি অনুকূল চুক্তি না করতে পারে তবে বিদেশি তহবিল প্রবাহ আরও কমে যেতে পারে।

    ৫. আরবিআই মনিটরি পলিসি কমিটি (MPC): এপ্রিল ৯ তারিখে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বৈঠক এবং চতুর্থ ত্রৈমাসিক কোম্পানি ফলাফলগুলির দিকে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, আরবিআই সুদের হার কমাতে পারে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর জন্য অন্যান্য পদক্ষেপ নিতে পারে। টিসিএস তার মার্চ ত্রৈমাসিক ফলাফল ১০ এপ্রিল প্রকাশ করবে। শেয়ার বাজারের ওপর এই ফলাফল প্রভাব ফেলতে পারে। ভারতীয় বাজারের পতন এবং বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের অনুমান, আগামী দিনে বাজারে আরও ঝুঁকি বাড়তে পারে, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য উদ্বেগজনক।

    বিক্রির চাপ, সব সেক্টরে নেতিবাচক প্রবণতা

    বাজারে এমন অস্থিরতা দেখা গেছে যে, প্রতিটি সেক্টরেই নেতিবাচক প্রবণতা ছিল। ব্যাঙ্কিং, টেকনোলজি, অটোমোবাইল, ইন্ডাস্ট্রিয়াল—সবই বড় ধাক্কা খেয়েছে। এমনকি ঐতিহ্যগতভাবে নিরাপদ বলে বিবেচিত সেক্টরগুলোও বাজারের এই পতনে বাদ পড়েনি। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক স্পষ্ট, যেহেতু কোনও সেক্টরেই ইতিবাচক সংকেত ছিল না।

    বিশ্ব বাজারেও (Stock Market Crash) ধস, ভারতের আশা

    বিশ্ববাজারে এমন পতন শুধু ভারতেই নয়, অন্যান্য বড় বাজারেও দৃশ্যমান। এমএসসিআই এশিয়া এক্স-জাপান ইনডেক্স ৬.৮% কমেছে, জাপানের নিক্কেই ৬.৫% পড়ে গেছে। এদিনের ধসের পেছনে মূল কারণ ছিল শুক্রবার ইউএস ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের মন্তব্য। তিনি বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক ‘‘অপ্রত্যাশিতভাবে বড়’’ এবং এটি মার্কিন অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি এবং মূল্যস্ফীতিতে বিশাল প্রভাব ফেলবে। ড. বিজয়কুমার ভারতের জন্য কিছু আশার দিকও দেখছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমেরিকার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য খুবই সীমিত, দেশের জিডিপির মাত্র ২ শতাংশের সমান, তাই ট্রাম্পের শুল্ক ভারতের অর্থনীতিতে তেমন প্রভাব ফেলবে না।’’ এছাড়াও, তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, ভারত-মার্কিন সম্পর্কের উন্নতির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমে শুল্ক কমানোর সম্ভাবনা রয়েছে। কিছু সেক্টর যেমন ফাইন্যান্স, এভিয়েশন, হোটেল, সিমেন্ট, প্রতিরক্ষা এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম কোম্পানিগুলি এই সংকটের মধ্যেও তুলনামূলকভাবে ভালো পারফর্ম করবে। বিশ্ববাজারের অস্থিরতার প্রভাব ভারতীয় শেয়ার বাজারে (Share Market) বড় ধস সৃষ্টি করেছে, তবে এই পরিস্থিতি সাময়িক হতে পারে। বিনিয়োগকারীদের জন্য এখন সেরা কৌশল হল ‘ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ’।

  • PM Modi: আরোগ্যই হল পরম সৌভাগ্য, বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে জানালেন মোদি

    PM Modi: আরোগ্যই হল পরম সৌভাগ্য, বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে জানালেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, সোমবার পালিত হচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস (World Health Day)। প্রতিবছর ৭ এপ্রিল এই দিনটি পালন করা হয়। স্বাস্থ্যই সম্পদ- এ কথাই ফের একবার চর্চিত হচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে। এদিন স্বাস্থ্যের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে শোনা গেল ১৪০ কোটি দেশবাসীর প্রধানমন্ত্রীকেও। ভালো স্বাস্থ্য গড়ে তুলতে কী কী করণীয়, সে উপায়ও বাতলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) জানালেন স্বাস্থ্যের গুরুত্ব ঠিক কতটা।  তাঁর মতে, ‘‘আরোগ্যই হল পরম সৌভাগ্য।’’  অর্থাৎ ভালো স্বাস্থ্যই হল প্রকৃত সৌভাগ্য। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে নিজের এক্স মাধ্যমে এ নিয়ে লেখেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি লেখেন, ‘‘আমাদের বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে সংকল্প নিতে হবে, যাতে স্বাস্থ্যকর বিশ্ব আমরা তৈরি করতে পারি।’’

    ভালো স্বাস্থ্য যেকোনও সমাজের ভিত মনে করেন মোদি

    প্রসঙ্গত, দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে (World Health Day) উন্নত করতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে মোদি সরকার (PM Modi)। বিগত ১০ বছরে চালু হয়েছে অসংখ্য প্রকল্প। দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রতি তাঁর সরকারের লক্ষ্য রয়েছে বলেও নিজের পোস্টে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি লেখেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার সরকারের লক্ষ্য হল স্বাস্থ্য পরিষেবাকে আরও উন্নত করা এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে মানুষের কল্যাণ করা।’’ ভালো স্বাস্থ্য যে কোনও সমাজের ভিত বলেও মন্তব্য করেন মোদি।

    কমাতে হবে রান্নার তেলের পরিমাণ, স্বাস্থ্য রক্ষায় আহ্বান মোদির

    একইসঙ্গে নিজের এক্স মাধ্যমে একটি ভিডিও শেয়ার করেন প্রধানমন্ত্রী এবং তিনি সেখানে লেখেন (PM Modi), ‘‘ওবেসিটি বা স্থূলত্ব হল বর্তমানে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।’’ এনিয়ে জনগণের কাছে তিনি আবেদনও জানান। মোদির মতে, বর্তমানে গৃহস্থের বাড়িতে যে পরিমাণে তেল ব্যবহার করা হয়। তার ১০ শতাংশ যেন কম খরচ করেন তাঁরা। এর পরেই তিনি লেখেন, ‘‘আরোগ্যম পরম ভাগ্যম।’’ অর্থাৎ আরোগ্যই হল পরম সৌভাগ্য। এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি লাইফ স্টাইল রোগগুলির ওপরেও বলেন। বিশেষত তাঁর বক্তব্য উঠে আসে স্থূলত্ব নিয়ে। প্রসঙ্গত, বর্তমানে সারা বিশ্বের কাছে স্থূলত্ব একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘একটি রিপোর্টে বলছে ২০৫০ সালে সারা পৃথিবীতে ৪৪ কোটি মানুষ স্থূলত্বের সমস্যায় ভুগবেন।’’

    উন্নত স্বাস্থ্যচর্চা আমাদের ভালো ভবিষ্যতকে নির্মাণ করে, জানালেন মোদি

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, ‘‘উন্নত স্বাস্থ্যচর্চা আমাদের ভালো ভবিষ্যতকে নির্মাণ করে। আমাদের প্রতিদিনের যে জীবন যাত্রার পরিবর্তন হচ্ছে এতে আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অনেকখানি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে ৪৪ কোটি মানুষ স্থূলত্বের সমস্যায় ভুগবেন। এত সংখ্যা সত্যিই আশঙ্কার। আমাদেরকে এর উপর কাজ করতে হবে। যে পরিমাণ রান্নার তেল আমরা ব্যবহার করি তা কমাতে হবে। এর সঙ্গে প্রতিদিন আমাদের শারীরিক অনুশীলনও করতে হবে। এতেই সুস্থভাবে বাঁচতে পরারব আমরা। নিজেকে ফিট রাখতে হবে আমাদের। যাতে বিকশিত ভারতের উন্নতির জন্য আমরা অবদান রাখতে পারি।’’ দেশের মানুষের স্বাস্থ্যপরিষেবার উন্নতির জন্য সদা পদক্ষেপ করছে মোদি (PM Modi) সরকার। যেমন আয়ুষ্মান ভারতের সুবিধা পাচ্ছেন দেশজুড়ে অসংখ্য মানুষ। এর পাশাপাশি জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের আওতাতেও অনেক পদক্ষেপ করা হয়েছে। শিশু স্বাস্থ্য দিকেও নজর দিয়েছে কেন্দ্র সরকার।

    চলতি বছরে হু-এর থিম ‘স্বাস্থ্যকর সূচনা, আশাব্যঞ্জক ভবিষ্যৎ’

    প্রসঙ্গত, বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস ২০২৫ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ‘হু’ (WHO) থিম রেখেছে ‘স্বাস্থ্যকর সূচনা, আশাব্যঞ্জক ভবিষ্যৎ’। এ প্রসঙ্গে বলে রাখা দরকার, প্রতিবছর বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে সচেতনতা ছড়ানো হয় স্বাস্থ্যের গুরুত্বর ওপর। এনিয়ে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা, সেমিনার ইত্যাদি। ভালো স্বাস্থ্য রাখতে কী কী প্রয়োজন সে বিষয়ের ওপরেও আলোকপাত করেন বক্তারা। একই সঙ্গে বর্তমান বিশ্বে, স্বাস্থ্যের বিষয়ে চ্যালেঞ্জ কী কী রয়েছে সে নিয়েও আলোচনা করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১৯৫০ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস হিসেবে ৭ এপ্রিলকে ঘোষণা করে। বিভিন্ন দেশের সরকার, প্রতিষ্ঠান এবং নানা গোষ্ঠী এই দিনটি পালন করে থাকে।এদিনই স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একটি সরকারি বিবৃতি সামনে এসেছে। ওই বিবৃতি অনুযায়ী, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন (এনএইচএম) ভারতের জনস্বাস্থ্যের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এই উদ্যোগগুলি দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

  • Mohan Bhagwat: “ভারত মাতা কি জয় বললেই সংঘের শাখায় স্বাগত,” বললেন মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: “ভারত মাতা কি জয় বললেই সংঘের শাখায় স্বাগত,” বললেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “শাখায় সব ভারতীয়কে স্বাগত জানানো হয়। একমাত্র শর্ত হল শাখায় যোগ দিতে আসা প্রত্যেকের ‘ভারত মাতা কি জয়’ বলতে কোনও দ্বিধা থাকবে না এবং গেরুয়া পতাকাকে শ্রদ্ধা করতে হবে।” রবিবার বারাণসীতে কথাগুলি বললেন আরএসএস (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। চারদিনের সফরে বারাণসীতে গিয়েছেন সরসংঘচালক।

    ভারত মাতা কি জয় (Mohan Bhagwat)

    এদিন তিনি উপস্থিত হয়েছিলেন লাজপত নগর কলোনির একটি শাখায়। সেখানে তিনি বর্ণ বৈষম্য দূর করে একটি শক্তিশালী সমাজ গঠনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। পরিবেশ, অর্থনীতি এবং অন্যান্য বিষয় নিয়েও আলোচনা করছিলেন সংঘপ্রধান। তখনই একজন স্বয়ংসেবক জানতে চান, মুসলমানরা কি সংঘের শাখায় যোগ দিতে পারবেন? তারই উত্তরে ভাগবত বলেন, “যারা ভারত মাতা কি জয় স্লোগান ও গেরুয়া ঝান্ডাকে শ্রদ্ধা করে, শাখা তাদের সবাইকে স্বাগত জানাবে।”

    শাখায় সবাই স্বাগত

    ভাগবত বলেন, “যদিও ভারতীয়দের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান ভিন্ন ছিল, তাদের সংস্কৃতি একই ছিল। তাই ভারতের সমস্ত ধর্ম, সম্প্রদায় ও বর্ণের মানুষ শাখায় স্বাগত।” লাজপত নগরের ওই অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার আগে শনিবার সন্ধ্যায় ভাগবত কাশীর বৈদিক পণ্ডিতদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন। সেখানে তিনি তাঁদের ভারতকে বিশ্বগুরু বানানোর লক্ষ্যে কঠোর পরিশ্রম করতে উৎসাহিত করেন।

    ‘হিন্দু’ যে কোনও উপাসনা পদ্ধতি নয়, তা নানা সময় বলতে শোনা গিয়েছে ভাগবতকে। চলতি বছরের শেষের দিকে পশ্চিমবঙ্গ সফরে এসেছিলেন তিনি। সেই সময় পূর্ব বর্ধমানের তালিতের সাইয়ের ময়দানে ‘মধ্যবঙ্গ প্রদেশের একত্রীকরণ’ সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন সরসংঘচালক। সেই সময় ‘হিন্দু’ শব্দের সংঘীয় ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন। বলেছিলেন (Mohan Bhagwat), “হিন্দু কোনও উপাসনা পদ্ধতি বা কোনও সম্প্রদায় নয়। হিন্দু হল ভারতীয়দের পরিচয়।” ভাগবত বলেন, “ভারতের নানা প্রান্তে নানা ভাষা, নানা রীতি, নানা সম্প্রদায়, নানা খাদ্যাভ্যাস। কিন্তু তবুও তাদের মধ্যে একটা সাংস্কৃতিক মিল রয়েছে। একটা অভিন্ন সংস্কৃতি। এটাই (RSS) ভারতের স্ব-ভাব। আর এর নামই হিন্দুত্ব।” ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণেই যে কোনও হিন্দুই সংঘের শাখায় স্বাগত বলে ভাগবত (Mohan Bhagwat) জানিয়েছেন।

  • Sri Lanka: মোদির দেওয়া অ্যাম্বুলেন্সে প্রাণ বেঁচেছে ১৫ লাখ মানুষের, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ শ্রীলঙ্কার

    Sri Lanka: মোদির দেওয়া অ্যাম্বুলেন্সে প্রাণ বেঁচেছে ১৫ লাখ মানুষের, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ শ্রীলঙ্কার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৮৮টি অ্যাম্বুলেন্স তুলে দিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) হাতে। এই অ্যাম্বুলেন্সগুলিতে লক্ষ-লক্ষ মানুষের প্রাণ বাঁচে। ভারতের প্রতি কৃ্তজ্ঞতা প্রকাশ করে এ কথা জানিয়েছে শ্রীলঙ্কা সরকার। তারা জানিয়েছে, ভারতের কাছ থেকে পাওয়া এই অ্যাম্বুলেন্সগুলির (Ambulances) সে দেশের জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে খুবই সাহায্য করেছে। ২০১৬ সালের পর থেকে অনেকটা সময় পেরিয়েছে। এরই মধ্যে শ্রীলঙ্কা সরকারের অ্যাম্বুলেন্সের সংখ্যাও বেড়েছে। শ্রীলঙ্কা সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী নলিন্দা জয়াটিস্সা এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন বর্তমানে শ্রীলঙ্কার অ্যাম্বুলেন্স সংখ্যা হল ৩২২। শ্রীলঙ্কার স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দেওয়া বিবৃতি অনুযায়ী, ২০১৬ সাল থেকে ২০ লাখ ২৪ হাজার মানুষ শ্রীলঙ্কার মানুষকে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা দেওয়া গিয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনা, হৃদরোগ, স্ট্রোক- এই সমস্ত কিছুতেই পরিষেবা দেওয়া গিয়েছে।

    প্রাণ বেঁচেছে ১৫ লাখ মানুষের (Sri Lanka)

    শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও ব্যাখ্যা করেছেন, যে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা তারা দিতে পেরেছে তার মধ্যে ৬৫ শতাংশই ক্রিটিক্যাল গোল্ডেন আওয়ার শ্রেণিতে আসছে। এই ক্রিটিক্যাল গোল্ডেন আওয়ার শ্রেণি আসলে কী? যদি অ্যাম্বুলেন্স সময়মতো না পৌঁছাতো তাহলে ওই রোগীদের কোনওভাবেই বাঁচানো যেত না। এই ৬৫ শতাংশ সংখ্যাটা দাঁড়াচ্ছে ১৫ লাখ। এভাবেই মোদি সরকারের সাহায্যের ফলে শ্রীলঙ্কার এত মানুষের জীবন বেঁচেছে বলে উল্লেখ করেছে দ্বীপ রাষ্ট্র।

    প্রতিবেশী মায়ানমারেও সেবাকাজ চালিয়েছে ভারত

    সরকারি আধিকারিকরা বলছেন, শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবার এইরকম সফলতা দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মধ্যে সমন্বয়কেই প্রতিফলিত করছে। সম্প্রতি মায়ানমারে ব্যাপক ভূমিকম্প হয়েছে। সেখানে ভারত অপারেশন ব্রহ্মা চালিয়েছে। সে দেশে উদ্ধার কাজে সামিল হয়েছে ভারতের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরও। পাঠানো হয়েছে নানা রকমের ওষুধ সামগ্রীও। এর পাশাপাশি তাঁবু, কম্বল, স্লিপিং ব্যাগ, খাবারের প্যাকেটও পাঠানো হয়েছে। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, মায়ানমারে মোট ৪৪২ টন খাদ্য সহায়তা করা হয়েছে। ভারতের এমন সেবাকাজগুলিতেই প্রতিফলিত হচ্ছে প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সর্বদাই ইতিবাচক সম্পর্ক চায় দিল্লি।

  • India Sri Lanka Relation: ভারতের সঙ্গে ২৫০০ বছরের পুরনো সম্পর্ক, মোদিকে পেয়ে আপ্লুত অনুরাধাপুরা

    India Sri Lanka Relation: ভারতের সঙ্গে ২৫০০ বছরের পুরনো সম্পর্ক, মোদিকে পেয়ে আপ্লুত অনুরাধাপুরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের বিদেশনীতির অন্তঃস্থলে রয়েছে বৌদ্ধধর্ম। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিদেশ সফরে বারবার তারই প্রমাণ মিলেছে। ঠিক যেমন থাইল্যান্ড সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ওয়াট ফো নামে বৌদ্ধ মন্দির পরিদর্শন করেছিলেন। শ্রীলঙ্কা (India Sri Lanka Relation) সফরে গিয়ে অনুরাধাপুরার মহাবোধি মন্দিরও দর্শন করলেন তিনি। শ্রীলঙ্কার প্রথম রাজধানী ছিল অনুরাধাপুরা (PM Modi in Anuradhapura)। এই শহরের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ২ হাজার বছরের পুরনো। আগেও এখানে গিয়েছিলেন মোদি। দ্বীতিয়বার তাঁর এই মন্দির পরিদর্শনে আপ্লুত বৌদ্ধ সমাজ।

    বোধি বৃক্ষের আধ্যাত্মিক শক্তি অনুভব করেন মোদি

    প্রধানমন্ত্রী চতুর্থবার শ্রীলঙ্কায় গিয়ে ফের একবার অনুরাধাপুরার মহাবোধি মন্দির (PM Modi in Anuradhapura) দর্শনে যান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমার দিশানায়েক। বোধি বৃক্ষের সামনেও প্রার্থনা করেন মোদি। বিখ্যাত বৌদ্ধ সন্ন্যাসী ভদন্ত কে মেধঙ্কারা থেরো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিতীয়বার জয়া শ্রী মহাবোধি মন্দির পরিদর্শন করার জন্য ভীষণ খুশি। তিনি বলেন, “এটি প্রধানমন্ত্রী মোদির দ্বিতীয় বার অনুরাধাপুরায় আগমন। আমরা খুব খুশি। বোধি বৃক্ষের আধ্যাত্মিক গুরুত্বও উল্লেখযোগ্য। এখানে এসে বোধি দর্শন করা এবং আশীর্বাদ প্রার্থনা করা, এটা সবার মনেও আসে না। যারা ‘পুণ্য’ অর্জন করেছেন, কেবল তারাই এই চিন্তা করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি হয়তো প্রথমবার এখানে এসে বোধি বৃক্ষের আধ্যাত্মিক শক্তি অনুভব করেছিলেন, এবং সেই অনুভূতির কারণে তিনি দ্বিতীয়বার এখানে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”

    ‘রক্ষা সূত্র’ পরিয়ে স্বাগত মোদিকে

    এ দিন অনুরাধাপুরা (PM Modi in Anuradhapura) বিমানবন্দরে পৌঁছনোর পরে মোদিকে ‘গার্ড অব অনার’ দেয় শ্রীলঙ্কার (India Sri Lanka Relation) বায়ুসেনা। পরে মহা বোধি মন্দিরে যান তিনি। সেখানকার প্রধান পুরোহিত মোদির কব্জিতে বেঁধে দেন পবিত্র ‘রক্ষা সূত্র’। পরে ফেরার পথে আকাশ থেকে দেখতে পাওয়া রাম সেতুর দৃশ্য সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘আজ রামনবমীর পুণ্য দিবসে, শ্রীলঙ্কা থেকে ফেরার সময়ে আমি আকাশ থেকে রাম সেতুর পবিত্র দৃশ্য দেখতে পেলাম। ঐশ্বরিক যোগে রাম সেতু দর্শনের সময়েই দেখতে পেলাম অযোধ্যার রামলালার সূর্য তিলকও।’’ অনুরাধাপুরায় ভারতের সাহায্যে তৈরি দু’টি রেল প্রকল্পেরও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। ভারতের রেল মন্ত্রকের অধীনস্থ একটি সংস্থার তৈরি ওই দু’টি প্রকল্পকে শ্রীলঙ্কার পরিকাঠামোয় ভারতের গুরুত্বপূর্ণ অবদান বলে মনে করা হচ্ছে। সমাজমাধ্যমে এই সফরের সময়ে উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য শ্রীলঙ্কাবাসী ও সে দেশের প্রেসিডেন্ট দিশানায়েককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মোদি।

    ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে সাংস্কৃতিক সম্পর্ক

    প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কায় (India Sri Lanka Relation) এই বৌদ্ধ মন্দির পরিদর্শন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উদ্দেশ্য ছিল, ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে সাংস্কৃতিক বন্ধনের দিকটি তুলে ধরা। বৌদ্ধধর্মের অন্যতম পবিত্র স্থান অনুরাধাপুরের মহাবোধি বৃক্ষে শ্রদ্ধাও জানিয়েছিলেন মোদি। এই মন্দিরটি ভারতের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার গভীর সভ্যতাগত সম্পর্কের এক উল্লেখযোগ্য নিদর্শন। বৌদ্ধদের বিশ্বাস, অনুরাধাপুরার মহাবোধি বৃক্ষটি খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দীতে ভারত থেকে সঙ্ঘমিত্রা মহাথেরী দ্বারা শ্রীলঙ্কায় আনা বোধি গাছের শাখা থেকে জন্ম নিয়েছিল।

    ভারতের বিদেশনীতির প্রাণকেন্দ্রে বৌদ্ধধর্ম

    তিনি বারবার প্রমাণ করেছেন সম্রাট অশোকের সময় থেকেই ভারতের বিদেশনীতির প্রাণকেন্দ্রে বৌদ্ধধর্ম। ২০২৪-এর ইন্ডিয়ান-এশিয়ান সম্মেলনে লাওসের প্রেসিডেন্টকে একটি পিতলের বুদ্ধমূর্তি উপহার দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। ওই একই বছরে বৌদ্ধধর্মের বেশ কিছু নিদর্শন ভারত থেকে পাঠানো হয়েছিল তাইল্যান্ডে। ২০২২-এ নেপালের লুম্বিনি পরিদর্শন করেন মোদি। ওই বছর বৌদ্ধধর্মের বেশ কিছু নিদর্শন পাঠানো হয়েছিল মঙ্গোলিয়ায়। ২০১৯ সালে মঙ্গোলিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদি একটি বুদ্ধ মূর্তি উন্মোচন করেন। ২০১৬-তে ভিয়েতনামে গিয়ে বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন মোদি। চিনের দা জিংসান মন্দির ও বিগ ওয়াইল্ড গুজ প্যাগোডা দর্শন করে দুই দেশের সাংস্কৃতিক আদানপ্রদানের বিষয়টি স্পষ্ট করেন। এছাড়া ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী যখন জাপান সফরে যান, তখন তোজি ও কিংকাজু মন্দির দর্শন করে জাপানের সঙ্গে ভারতের বৌদ্ধধর্মের নিবিড় যোগ তুলে ধরেন।

    অনুরাধাপুরার সঙ্গে বুদ্ধ-গয়ার যোগ

    রাজা হর্ষবর্ধন যেমন বৌদ্ধ-মহাসম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন, ঠিক তেমনই প্রধানমন্ত্রী মোদির তত্ত্বাবধানে ভারতই প্রথম বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধ সম্মেলনের আয়োজন করে। সেখানে বৌদ্ধধর্মের দর্শন নিয়ে আলোচনা করতে উপস্থিত হয়েছিলেন বহু জ্ঞানী মানুষ। বিশ্বের নানা সমস্যা সমাধানে বৌদ্ধ দর্শন কতটা তাৎপর্যপূর্ণ, তা নিয়ে ওই সম্মেলনে কথা বলেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। ২০২৩-এ জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ও নরেন্দ্র মোদি দিল্লির বুদ্ধ জয়ন্তী পার্কে বাল বোধি বৃক্ষও দর্শন করেন। বৌদ্ধধর্মের ক্ষেত্রে যে ভারত ও জাপানের এক বিশেষ যোগ আছে, তা বোঝাতেই ওই দর্শন করেছিলেন তাঁরা। ২০২৫ ফের শ্রীলঙ্কায় (India Sri Lanka Relation) বৌদ্ধধর্মের প্রতি নিজের শ্রদ্ধা প্রদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রির দাবি, অনুরাধাপুরায় (PM Modi in Anuradhapura) প্রধানমন্ত্রীর বোধিবৃক্ষ দর্শন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, ওই বোধিবৃক্ষের সঙ্গে যোগ রয়েছে বুদ্ধগয়ায় বোধিবৃক্ষের। যা দু’দেশের বিশেষ সম্পর্কের চিহ্ন।

     

     

     

     

     

LinkedIn
Share