Blog

  • Amartya Sen: কাটল না জট, অমর্ত্যর নামে জমি মিউটেশনে আপত্তি বিশ্বভারতীর  

    Amartya Sen: কাটল না জট, অমর্ত্যর নামে জমি মিউটেশনে আপত্তি বিশ্বভারতীর  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অমর্ত্য সেনের (Amartya Sen) নামে জমির মিউটেশন করানোর জন্য সোমবার বিএলআরও দফতরে উপস্থিত ছিলেন অমর্ত্যর আইনজীবী। উপস্থিত ছিলেন বিশ্বভারতীর (Visva Bharati) আইনজীবী এবং বিএলআরও রেজিস্ট্রার সঞ্জয়কুমার দাসও। এদিন এই বিতর্কের শুনানি হয় বিএলআরও দফতরে। শুনানি শুরু হলেও, শেষ হয়নি। বিশ্বভারতীর তরফে আইনজীবী সুচরিতা বিশ্বাসের দাবি, অমর্ত্য সেনের বাবা ১.২৫ একর জমি লিজ নিয়েছিলেন। সে ক্ষেত্রে তিনি এই জমির মিউটেশন করতে পারেন না। এ নিয়ে আমরা আপত্তি জানিয়েছি। পরে শুনানির তারিখ দেওয়া হবে।

    জমি বিতর্ক…

    জানা গিয়েছে, বিশ্বভারতীর কাছ থেকে অমর্ত্যর (Amartya Sen) বাবা আশুতোষ সেনের সঙ্গে বিশ্বভারতীর চুক্তিপত্র হয়েছিল ১৯৪৩ সালে। সেই নথি অনুযায়ী, ১.২৫ একর জমিই লিজ নেওয়া হয়েছিল। সোমবার ওই নথিপত্র বিএলআরও-র কাছে জমা দেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বিশ্বভারতীর দাবি, আশুতোষবাবুকে ১.৩৮ একর নয়, লিজ দেওয়া হয়েছিল ১.২৫ একর জমি। তার ভিত্তিতে বিশ্বভারতী ১৩ ডেসিমেল জমি দখলের অভিযোগ করেছে অমর্ত্যর বিরুদ্ধে। 

    আরও পড়ুুন: ‘মাধ্যমিকে কমেছে পরীক্ষার্থী, ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগের প্রয়োজন কী?,’ প্রশ্ন বিচারপতি বসুর

    বিশ্বভারতী ও অমর্ত্য সেনের মধ্যে জমি বিতর্কের মধ্যেই অমর্ত্যর বোলপুরের বাড়িতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অমর্ত্যর হাতে কিছু নথি তুলে দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জানান, অমর্ত্য সেনের বক্তব্যই ঠিক। ১.৩৮ একর জমি লিজে পেয়েছিলেন তাঁর বাবা। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, ১৯৪৩ সালে বিশ্বভারতী ও আশুতোষ সেনের মধ্যে স্বাক্ষরিত লিজের দলিল ও ২০০৬ সালে কর্মসমিতিতে পাশ হওয়া প্রস্তাব থেকে স্পষ্ট, আশুতোষ বা অর্মত্যকে (Amartya Sen) ১.৩৮ একর জমি তো দূরের কথা, বিশ্বভারতীর কোনও জমিরই মালিকানা দেওয়া হয়নি। শান্তিনিকেতনের প্রতীচী নামে অমর্ত্যর বাড়িটিও বিশ্বভারতীর মালিকানাধীন জমিতে তৈরি হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, অমর্ত্য সেন ১৩ ডেসিমেল জমি দখল করে রেখেছেন বলে অভিযোগ বিশ্বভারতীর। ওই জমি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদকে তিনটি চিঠি দিয়েছেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এই জমি নিয়েই অমর্ত্যর সঙ্গে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের বিবাদ শুরু হয়েছে। অমর্ত্যর পাশে দাঁড়িয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অমর্ত্যর দাবি, জমি তাঁরই। এদিন বিএলএলআরও দফতরে বসা শুনানিতে দু পক্ষের আইনজীবীর মধ্যে জোর সওয়াল চলে। যদিও কাটেনি জমি জট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Sagardighi: ১৫ বছর পুরনো মামলায় গ্রেফতার সাগরদিঘির কংগ্রেস নেতা! এখন কেন? প্রশ্ন হাইকোর্টের

    Sagardighi: ১৫ বছর পুরনো মামলায় গ্রেফতার সাগরদিঘির কংগ্রেস নেতা! এখন কেন? প্রশ্ন হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৭ ফেব্রুয়ারি উপনির্বাচন (By Election) মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি (Sagardighi) বিধানসভা কেন্দ্রে। তার আগে শনিবার ভোরে গ্রেফতার করা হল ওই বিধানসভা কেন্দ্রের পাটকেলডাঙা এলাকার কংগ্রেস (Congress) নেতা সইদুল রহমানকে। বিবাহিত এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগে জামিন অযোগ্য ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে সাগরদিঘি থানার পুলিশ। ১৫ বছরের পুরনো একটি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে ওই কংগ্রেস নেতাকে। জানা গিয়েছে, এদিন ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ সাগরদিঘি পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেত্রী শাহনাজ বেগমের বাড়িতে অভিযান চালায় সাগরদিঘি থানার পুলিশ। পরে গ্রেফতার করা হয় তাঁর স্বামী সইদুলকে। তিনি সাগরদিঘির ব্লক যুব কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন।

    কংগ্রেস…

    ঘটনার প্রতিবাদে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর নেতৃত্বে বাম এবং কংগ্রেস কর্মীরা ঘণ্টা পাঁচেক অবরোধ করে রাখেন সাগরদিঘি থানা। নাম প্রকাশ করা হবে না এই শর্তে জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ধৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইপিসির ৩৭৬ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। সাগরদিঘির (Sagardighi) এক মহিলা সম্প্রতি অভিযোগ দায়ের করেছেন অভিযুক্ত ব্যক্তি তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন এবং সেই ধর্ষণের ভিডিও করে রেখেছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলা তাঁর অভিযোগপত্রে জানিয়েছেন, সইদুল ধর্ষণের ভিডিও তুলে রেখে সম্প্রতি তাঁকে ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করেছিলেন।

    আরও পড়ুুন: একশো দিনের কাজে ‘পুকুর চুরি’! মৃত ব্যক্তির অ্যাকাউন্টেও ঢুকেছে মজুরি!

    এদিনই আদালতের তোলা হয় সইদুলকে। যদিও নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন তিনি। সইদুল বলেন, আমি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার। আমাকে জেলে রেখে সাগরদিঘি উপনির্বাচনে ভোট লুঠ করার পরিকল্পনা করেছে তৃণমূল। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীও বলেন, আমার ধারণা সাগরদিঘি (Sagardighi) থানার পুলিশের ওপর উচ্চতর মহল থেকে চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল সইদুলকে গ্রেফতার করার জন্য। তাই সাগরদিঘি থানার পুলিশ এই কাজ করতে বাধ্য হয়েছে।

    রবিবার সইদুলকে তোলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার প্রশ্ন, ১৫ বছর আগের ঘটনায় আগে কেন কোনও তদন্ত করা হয়নি? তিনি জানান, আদালত পুলিশকে আর একবার সুযোগ দিচ্ছে। কাল দুপুর দুটোয় কেস ডায়েরি নিয়ে ওসিকে আদালতে হাজির হতে হবে। সইদুলের  আইনজীবী কৌস্তভ বাগচি বলেন, সইদুল সাগরদিঘি বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি যাতে কাজ করতে না পারেন, তাই ১৫ বছর আগের এক অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে সইদুলকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
  • Recruitment Scam: দুই হয়ে গেল চার লক্ষ! জেলবন্দি মানিককে দ্বিগুণ জরিমানা হাইকোর্টের

    Recruitment Scam: দুই হয়ে গেল চার লক্ষ! জেলবন্দি মানিককে দ্বিগুণ জরিমানা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও বিপাকে জেলবন্দি মানিক ভট্টাচার্য! দু’লক্ষ নয়, মোট চার লক্ষ জরিমানা দিতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে। প্রাথমিকে নিয়োগের পরীক্ষা (টেট)-র ফল ঘোষণা না করায় এক চাকরীপ্রার্থীর অভিযোগে মানিককে জরিমানা হিসেবে ২ লক্ষ টাকা দিতে বলেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু এদিন দু’লক্ষের পরিবর্তে চার লক্ষ জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    ২০১৪ সালের টেটে অংশ নেন মালারানী পাল। কিন্তু ওই পরীক্ষায় তিনি উত্তীর্ণ হয়েছেন কি না, পর্ষদ তা জানায়নি বলে অভিযোগ। আর সেসময় পর্ষদের সভাপতি ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। মামলকারীর বক্তব্য, টেটের ফল জানতে না পারায় ২০১৬ এবং ২০২০ সালের দু’টি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি মালারানী। এর ফলে তিনি বঞ্চিত হয়েছেন। এর পরেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ ছিল, “পরীক্ষা দিয়ে ফল জানার অধিকার প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর রয়েছে। কিন্তু পর্ষদের শীর্ষ পদে এমন এক ব্যক্তি ছিলেন, তাঁর জন্যই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।” তাই চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় মানিককে দু’লক্ষ টাকা জরিমানা করেছিলেন। ১৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ওই টাকা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মানিক এখনও ওই জরিমানা জমা দেননি। উল্লেখ্য, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে পরীক্ষার ফল(২০১৪ টেট) প্রকাশ হলে দেখা যায় উত্তীর্ণ হয়েছেন মায়ারানী পাল।

    বিচারপতির নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা

    জরিমানা দেওয়ার পরিবর্তে সেই নির্দেশ নিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেন মানিক। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চে মামলা হলেও তার শুনানি না হওয়ায় সিঙ্গেল বেঞ্চে আবেদন করেন মানিকের আইনজীবী। মানিকের আইনজীবী জানান, ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি না হওয়ায় আপাতত জরিমানা টাকা দেওয়ার নির্দেশ মুলতবি রাখুক একক বেঞ্চ। মানিকের আইনজীবী আরও জানিয়েছিলেন, পর্ষদের কোনও ভুলের জন্য সভাপতি জরিমানার জন্য দায়বদ্ধ নয়।

    কিন্তু এমন আবেদন ফিরিয়ে, গত ৬ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছিল, “৭ দিনের মধ্যে জরিমানা টাকা দিতে হবে মানিককে। হাইকোর্ট রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে টাকা দিতেই হবে মানিককে। সেই টাকা শর্ট টার্ম ডিপোজিটে গচ্ছিত থাকবে। ডিভিশন বেঞ্চে মামলার ফল মানিকের পক্ষে গেলে সুদসহ টাকা ফেরত পাবেন প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি।”

    ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি না হওয়ায় এর পর আজও মানিকের আইনজীবী জরিমানা নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন। কিন্তু তা খারিজ করে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নতুন করে আরও ২ লক্ষ টাকার জরিমানা নির্দেশ দেন। তাই এখন সর্বমোট ৪ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হবে মানিক ভট্টাচার্যকে। তাঁর নির্দেশ, আগামী ১০ দিনের মধ্যে ওই টাকা জমা দিতে হবে।

  • Anubrata Mondal: ভাল নেই অনুব্রত! জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল কেন?

    Anubrata Mondal: ভাল নেই অনুব্রত! জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার সকালে আসানসোল জেলা হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হল তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। আসানসোল সংশোধনাগার থেকে হাসপাতাল যাওয়ার পথে এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অনুব্রত বলেন, ‘‘শরীর ভাল নেই।’’হাসপাতালে ঢোকার মুখে বুকে ব্যথার কথাও জানান তিনি। দিন দিন ওজন কমছে তাঁর। গত তিনমাসে ৯ কেজি ওজন কমেছে অনুব্রতর। 

    অনুব্রতের সমস্যা

    হাসপাতাল সূত্রে খবর, ফিসচুলার সমস্যা নিয়ে জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এসেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। প্রায় এক ঘন্টা ধরে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের পাশে স্পেশ্যাল অবজার্ভেশন রুমে তাঁর স্বাস্থ্যপরীক্ষা হয়। এমনিতেই অনুব্রত মণ্ডলের সুগার, রক্তচাপ, ফিসচুলা -সহ মোট ৩৭ রকমের ওষুধ চলে। তার জন্য সংশোধনাগারের মেডিক্যাল ওয়ার্ডে রাখা রয়েছে নিবুলাইজার ও অক্সিজেন কনসিন্টারেটর। তবে সূত্রের খবর,অনুব্রত মণ্ডল সুস্থই আছেন। আসানসোল জেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, চিকিৎসক শুভজিৎ দত্ত, সার্জন স্মরণ হেমব্রম, জয়ন্ত গঙ্গোপাধ্যায় এবং হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার উত্তমকুমার রায় অনুব্রতের চিকিৎসা করবেন। তাঁর নানা পরীক্ষা করা হবে বলেও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। 

    আরও পড়ুুন: একশো দিনের কাজে ‘পুকুর চুরি’! মৃত ব্যক্তির অ্যাকাউন্টেও ঢুকেছে মজুরি!

    গরু পাচার মামলায় গত শুক্রবার আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে হাজির করানো হয়েছিল অনুব্রতকে। তাঁকে ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। পরবর্তী শুনানি ৩ মার্চ। জেল সূত্রে খবর, এটা রুটিন চেকআপ। প্রতি দু’মাস অন্তর জেলবন্দিদের হাসপাতালে চেকআপ করার নিয়ম। সেই মত অনুব্রত মণ্ডলকে আসানসোল জেলা হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগে আনা হচ্ছে। গত অগস্ট মাস থেকে আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে রয়েছেন বীরভূমের জেলা সভাপতি। অগস্ট মাসে তাঁকে জেলা হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তারপর ২০ নভেম্বর অনুব্রত মণ্ডলকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল বুকে ব্যথার জন্য। সেদিন তাঁর ‘বডি ওয়েট’ করা হয়েছিল। তাতে দেখা যায়, তাঁর ওজন ১০০ কেজি। অর্থাৎ আগে থেকে ওজন কমে গিয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই হেফাজতে তাপস-কুন্তল-নীলাদ্রি, শাহিদরা গেলেন জেলে

    Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই হেফাজতে তাপস-কুন্তল-নীলাদ্রি, শাহিদরা গেলেন জেলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআই হেফাজতে কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডল, নীলাদ্রি ঘোষ। আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত তিন অভিযুক্ত। ওইদিন ফের আদালতে পেশ করা হবে তাঁদের। অন্যদিকে কৌশিক ঘোষ, শেখ আলি ইমাম, শেখ শাহিদ ইমাম ও আব্দুল খালেক – এই চার অভিযু্ক্তের আগামী ২ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ আদালতের। তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের ‘ঘনিষ্ঠ’ তাপস এবং নীলাদ্রিকে রবিবার রাতে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। কুন্তলকে আগেই গ্রেফতার করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এই প্রথম তাঁকে হেফাজতে নিল সিবিআই।

    তাপস, কুন্তল ও নীলাদ্রিকে হেফাজতে নিল সিবিআই

    এদিন আদালতে তোলার সময় আরও একবার নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন তাপস মণ্ডল। এদিকে আবার তাপসের গ্রেফতারিতে খুশি হয়েছেন বলেই দাবি কুন্তল ঘোষের। আদালতে হুগলির যুব তৃণমূল নেতা কুন্তলের আইনজীবী দাবি করেন, “ইডি’র হেফাজতে উনি আছেন। তাঁকে এই মামলায় হেফাজতে এখন তাহলে নেওয়ার কি দরকার সিবিআইয়ের?” অন্যদিকে তাপস মণ্ডলও গ্রেফতারির কারণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বলেন, “তদন্তের স্বার্থে পুলিশ হেফাজতের প্রয়োজন হয়। তবে আমি যদি তদন্তে সাহায্য করি তাহলে প্রয়োজনীয়তা কী হেফাজতে নেওয়ার?” আরেক ধৃত নীলাদ্রি ঘোষের আইনজীবীও একই প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, “এই একই মামলায় তিনবার ডাকা হল। সিবিআই দাবি করছে তাপস মণ্ডল ও কুন্তল ঘোষের মাঝে মিডলম্যান হিসেবে কাজ করেছে নীলাদ্রি। উনি সাধারণ ব্যবসায়ী। তাঁদের পরিচিত। আমাদের চলার পথে অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ হয়, তাই বলে কি তিনি অপরাধ করবেন?” এরপর সবপক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর কুন্তল, তাপস ও নীলাদ্রির আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

    বাকি ধৃতরা গেলেন জেলে

    এদিন তাপস-কুন্তল-নীলাদ্রি-শাহিদ ইমাম-সহ ৭ জনকে আদালতে পেশ করা হয়। টাকা কোথায় গেল, কার থেকে নেওয়া হল সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে অভিযুক্তদের হেফাজতে নিতে আবেদন জানিয়েছিল সিবিআই। এরপরই  ১ জন নন, ৩ জন গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করাতে চান, বলে আবেদন আইনজীবীর। শাহিদ ইমাম, আলি ইমাম,কৌশিক ঘোষ গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করাতে চান, সূত্রের দাবি।

    এদিন সওয়াল-জবাবের পর কৌশিক ঘোষ, শেখ আলি ইমাম, শেখ শাহিদ ইমাম ও আব্দুল খালেক – এই চার অভিযু্ক্তের আগামী ২ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালত। এদিন আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে মামলার শুনানিতে ধৃত আব্দুল খালেকের আইনজীবী তাঁর জামিনের আবেদন করেছেন৷ সেখানে তিনি সওয়ালে জানান, ল্যাপটপ, মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েথে তাঁর মক্কেলের৷ এমনকী তাঁর হৃদযন্ত্র ও কিডনির সমস্যা রয়েছে৷ তাঁর বিরুদ্ধে সরাসরি যুক্ত থাকার কোনও প্রমাণ নেই বলে আদালতে জানিয়েছেন আব্দুল খালেকের আইনজীবী৷ এই সব যুক্তিতে আইনজীবী এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া আব্দুল খালেকের জামিনের আবেদন করেছে৷ কিন্তু কোনও কিছু কাজে দেয়নি তাঁকে জেল হেফাজতেরই নির্দেশ দেন বিচারক।

  • Recruitment Scam: আদালতে তোলা হল তৃণমূল যুব নেতা শাহিদ ইমামকে, গোপন জবানবন্দি দেবেন ‘মহারাজ’?

    Recruitment Scam: আদালতে তোলা হল তৃণমূল যুব নেতা শাহিদ ইমামকে, গোপন জবানবন্দি দেবেন ‘মহারাজ’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে গত শুক্রবার গ্রেফতার হয়েছেন আরামবাগের যুব তৃণমূল নেতা শাহিদ ইমাম ও তাঁর ভাই শেখ আলি। আজ, সোমবার হেফাজতের মেয়াদ শেষে সেই শাহিদ ইমামকে আদালতে পেশ করল সিবিআই। সিবিআই সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই প্রথমবার কেউ গোপন জবানবন্দি দিতে পারেন। ফলে এখন প্রশ্ন উঠছে, সিবিআইয়ের কাছে কি তিনি ফাঁস করে দেবেন প্রভাবশালীদের নাম? এবারে কি তবে দুর্নীতিচক্রের মূল পাণ্ডাদের হদিশ পাবেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা?

    গোপন জবানবন্দি দেবেন শাহিদ ইমাম!

    শুক্রবার শাহিদ-সহ অন্য অভিযুক্তদের সিবিআই হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। কিন্তু, শনিবারই ফের শাহিদ ইমামকে আদালতে তোলে সিবিআই। সিবিআই  জানায়, তাঁকে আর হেফাজতে রাখার প্রয়োজন নেই। তখন থেকেই প্রশ্ন উঠছে যে, তবে কি সাক্ষী হিসেবে শাহিদের গোপন জবানবন্দি নিতে চাইছে সিবিআই? কারণ, নিয়ম অনুযায়ী, কোনও সাক্ষীর গোপন জবানবন্দি নিতে গেলে তাঁকে অন্য অভিযুক্তদের থেকে আলাদা রাখতে হয়। তাই কি শাহিদকে আর হেফাজতে রাখতে চায়নি সিবিআই? এর পর আজ ইমামকে আদালতে তোলা হয়েছে।

    অন্যদিকে আদালতে সিবিআই জানিয়েছে, চাকরি বিক্রির নামে ৬ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা তুলেছেন এই তৃণমূল নেতা। সেই টাকা গেল কোথায় তা জানতে তদন্ত শুরু করেছেন গোয়েন্দারা। এরপরেই সিবিআই আদালতে জানিয়েছে শাহিদ ইমাম গোপন জবানবন্দি দিতে চান।

    ইমামের প্রাসাদ ঘিরে শুরু তুমুল চর্চা

    আরামবাগ মহকুমা সহ হুগলির বিস্তীর্ণ এলাকায় তিনি পরিচিত ‘মহারাজ’ নামেই। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মহারাজ যখন সিবিআই হেফাজতে, তখন তাঁর নির্মীয়মাণ প্রাসাদ ঘিরে শুরু হয়েছে চর্চা। আরামবাগ পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে তৈরি হয়েছে একটি প্রাসাদের মত বাড়ি। সেটির মালিক শাহিদ ইমামই। এই  ‘মহারাজ’-এর অট্টালিকার ছাদে বিশেষ কিছু তৈরি করার পরিকল্পনা হচ্ছিল। তাই ছাদের উপরে ছিল বিশেষ নকশা। জানা গিয়েছে, শাহিদ ইমামের নির্মীয়মাণ বাড়ির ছাদে হেলিকপ্টার তৈরির পরিকল্পনা ছিল। এমনকী বাড়ির ভিতরে রয়েছে ঘোরানো সিঁড়িও। ফলে তাঁর এই বিশাল অট্টালিকা দেখে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    প্রসঙ্গত, মহারাজ আরামবাগ মহকুমায় দীর্ঘদিনের তৃণমূল নেতা। টিএমসিপি থেকে যুব তৃণমূলের নেতা হয়ে ক্রমশ তাঁর প্রতিপত্তি বেড়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের। অভিনয়, দানধ্যান, সিনেমায় টাকা ঢালা থেকে নানান দিকে নিজের বিস্তার ঘটিয়েছেন কয়েক বছরে। এরপরেই তিনি যে নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত রয়েছেন, এই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসায় সিবিআই হেফাজতে তিনি।

    উদ্বেগে শাহিদ-ঘনিষ্ঠ নেতাদের একাংশ

    নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইয়ের হাতে ধরা পড়ার পর থেকেই চিন্তায় রয়েছেন অন্যান্য তৃণমূল নেতারাও। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্লক স্তরের এক তৃণমূল নেতা বলেন, “বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য শাহিদের কাছ থেকে কয়েকবার টাকা নিয়েছিলাম। সেই টাকার উৎস নিয়ে কখনও প্রশ্ন করিনি। সিবিআইয়ের তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে কোনও ধারণা নেই। সত্যি বলতে, বেশ ভয়েই আছি।” একই রকম উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন আরও কয়েকজন নেতা। বিভিন্ন সময়ে যাঁরা শাহিদের থেকে আর্থিক সাহায্য নিয়েছেন। আজ আদালতে পেশ করার পর কী তথ্য সামনে প্রকাশ্যে আসে তারই অপেক্ষায় রাজ্যবাসী। এছাড়াও ইমামের জবানবন্দিতে কোনও প্রভাবশালীদের নাম উঠে আসে নাকি সেটাও এখন দেখার।

  • Calcutta High Court: ‘মাধ্যমিকে কমেছে পরীক্ষার্থী, ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগের প্রয়োজন কী?,’ প্রশ্ন বিচারপতি বসুর

    Calcutta High Court: ‘মাধ্যমিকে কমেছে পরীক্ষার্থী, ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগের প্রয়োজন কী?,’ প্রশ্ন বিচারপতি বসুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ১০ হাজার শিক্ষকের প্রয়োজন বলে ঘোষণা করা হয়েছে। অথচ ৪ লাখ কম ছাত্রছাত্রী এবার মাধ্যমিকে বসছে। তাই অতিরিক্ত শিক্ষকের কি প্রয়োজন? কী লাভ? অর্থের অপচয় হচ্ছে। সোমবার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে এমনই মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Justice Biswajit Basu)। স্কুল শিক্ষা দফতরকে তাঁর পরামর্শ, যে স্কুলে পড়ুয়া কম রয়েছে সেখানকার ছাত্রদের কাছের অন্য কোনও স্কুলে পাঠিয়ে দিন। শিক্ষকদের অন্যত্র বদলি করুন। তিনি বলেন, গোটা বিষয়টি শিক্ষামন্ত্রীকে জানান। আইনে বদল আনুন।

    সরকারি টাকায়…

    শিক্ষকরা ছাত্রছাত্রীদের প্রতি নজর রাখছেন কিনা, এদিন সে প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন বিচারপতি বসু। তিনি বলেন, সরকারি টাকায় নিজের সন্তানকে বেসরকারি স্কুলে পাঠাচ্ছেন সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা। ভালো কথা। কিন্তু নিজের স্কুলের সন্তানসম পড়ুয়াদের খেয়াল রাখছেন তো? তাঁর প্রশ্ন, কোনও পড়ুয়াকে যদি জিজ্ঞাসা করা যায় যে সে আপনাদের কাছ থেকে কি শিখেছে, সদুত্তর পাব তো? উত্তর আপনাদের জন্য স্বস্তিদায়ক হবে তো?

    আরও পড়ুুন: একশো দিনের কাজে ‘পুকুর চুরি’! মৃত ব্যক্তির অ্যাকাউন্টেও ঢুকেছে মজুরি!

    বিচারপতি (Calcutta High Court) বসু বলেন, একাধিক স্কুলে ৩০, ৩৫, ৫০জন পড়ুয়া রয়েছে।  অথচ দেখা যাচ্ছে ১০-১৫ জন শিক্ষক রয়েছেন। তাঁদের অন্যত্র বদলি করুন। নিজের অধিকারের এইচআরএ, সিএল, পিএল, সিসিএল চাইছেন।  কিন্তু পড়ুয়াদের অধিকারের কি হবে? সরকারি কোষাগারের টাকার অপচয় হচ্ছে। তাঁর প্রশ্ন, এই সব স্কুল রেখে লাভ কি? অন্য স্কুলের সঙ্গে মিলিয়ে দিন। বিচারপতি বসু বলেন, এটা করতে না পারলে পরের নিয়োগ প্রক্রিয়া ঝঞ্ঝাট মুক্ত হবে না। কারণ নিয়োগের সময় এই সব স্কুল শূন্যপদ দেখাবে। সেখানে নিয়োগ করতে হবে। এতে অর্থের অপচয় হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

    চলতি বছর ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে ৬ লক্ষ ৯৮ হাজার ২৮ জন। অথচ গত বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১০ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭৭৫। কেন এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৪ লক্ষ কমেছে, সে প্রশ্ন উঠছে। যদিও অতিমারির প্রভাবকে দায়ী করে হাত ধুয়ে ফেলেছে পর্ষদ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
  • KL Rahul: সহ অধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল লোকেশ রাহুলকে! এবার কি দল থেকেও বাদ?

    KL Rahul: সহ অধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল লোকেশ রাহুলকে! এবার কি দল থেকেও বাদ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় দলের সহ অধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল ব্যাট হাতে ধারাবাহিক ভাবে ব্যর্থ লোকেশ রাহুলকে। গত এক বছরে টেস্টে তাঁর গড় মাত্র ১৫। চলতি অস্ট্রেলিয়া সিরিজেও চূড়ান্ত ব্যর্থ তিনি। এহেন পরিস্থিতিতে এবার রান করতে না পারলে প্রথম একাদশের দরজাও বন্ধ হতে পারে রাহুলের জন্য।

    রান নেই ব্যাটে

    অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শেষ দুই টেস্টে কোনও সহ-অধিনায়কেরই নাম ঘোষণা করেনি বিসিসিআই। ওয়াকিবহাল মহলের অনুমান, দুই টেস্টের প্রথম একাদশ থেকে বাদ পড়তে পারেন কর্ণাটকের ব্যাটার। দুরন্ত ফর্মে থাকা শুভমন গিলকে ওপেনিংয়ে সুযোগ দেওয়া হতে পারে।  দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ৭টি টেস্ট খেলেছেন রাহুল। মাত্র ১৭৫ রান করেছেন তিনি। জোহানেসবার্গে একটি ৫০ রানের ইনিংস ছাড়া বড় রান নেই তাঁর ব্যাটে। যদিও কোচ রাহুল দ্রাবিড় ও অধিনায়ক রোহিত শর্মা, দু’জনেই রাহুলের পাশে দাঁড়িয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে জয়ের পর দ্রাবিড় বলেন, “সাম্প্রতিককালে খারাপ ফর্মের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে রাহুল। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না ও ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো কঠিন পিচে সেঞ্চুরি করেছে। ওর উপর ভরসা রয়েছে।” 

    একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সহ অধিনায়কের দায়িত্ব সামলাবেন হার্দিক পান্ডিয়া। তবে রাহুলের পরিবর্তে দুটি টেস্টে  সহ অধিনায়কের পদ খালি রয়েছে। রোহিতের হাতেই সবটা ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। যদি কোনও সময় রোহিতকে মাঠ ছাড়তে হয় তা হলে সেই সময় কে দলকে নেতৃত্ব দেবে সেটা রোহিতই ঠিক করবে। ও যাকে বলবে সেই নেতৃত্ব দেবে।

    বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি ধরে রাখল ভারত

    ভারত সফরের মাঝপথেই পারিবারিক কারণে দেশে ফিরছেন প্যাট কামিন্স। তবে, দিন দু’য়েকের জন্য সিডনিতে ফিরলেও তৃতীয় টেস্টের আগে ফের ভারতে এসে জাতীয় দলের সঙ্গে যোগ দেবেন অজি অধিনায়ক। ইন্দোরে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির তৃতীয় টেস্ট শুরু হবে ১ মার্চ থেকে।  উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে জাতীয় দল ছেড়ে দেশে ফেরেন অস্ট্রেলিয়ার তারকা স্পিনার মিচেল সোয়াপসন। প্রথম সন্তানের জন্মের সময় বান্ধবীর পাশে থাকতেই অস্ট্রেলিয়ায় উড়ে যান তিনি। তাঁর পরিবর্তে টেস্ট স্কোয়াডে যোগ দেন ম্য়াথিউ কুনম্যান। তৃতীয় টেস্টের আগে দলে যোগ দিতে পারেন সোয়েপসনও।  

    আরও পড়ুন: তৃতীয় ও চতুর্থ টেস্টের জন্য দল ঘোষণা করে দিল বিসিসিআই

    ইন্দোর ও আমদাবাদের শেষ ২টি টেস্ট জিততে মরিয়া অস্ট্রেলিয়া। দিল্লি টেস্টে প্রথম ইনিংসের শেষে ভাল জায়গায় থাকলেও ম্যাচ ধরে রাখতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং ভরাডুবির মুখে পড়ে কামিন্সরা। মাত্র ১১৩ রানে অল-আউট হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। জয়ের জন্য ১১৫ রানের  লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে ৪ উইকেটে ১১৮ রান তুলে সহজেই ম্যাচ জিতে যায় টিম ইন্ডিয়া। দুই ইনিংস মিলিয়ে ১০টি উইকেট নেওয়া ছাড়াও ২৬ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলে ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন রবীন্দ্র জাদেজা। এই জয়ের ফলে ভারত বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি ধরে রাখে। আর সিরিজ হারার সম্ভাবনা নেই টিম ইন্ডিয়ার। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Chattisgarh: সাত সকালে ছত্তিশগড়ের ১৪ জায়গায় ইডি-র হানা, কেন জানেন?

    Chattisgarh: সাত সকালে ছত্তিশগড়ের ১৪ জায়গায় ইডি-র হানা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাত সকালে ইডি-র (ED) হানা ছত্তিশগড়ে (Chattisgarh)। কয়লায় (Coal) শুল্ক সংক্রান্ত দুর্নীতিতে সোমবার রাজ্যের ১৪টি জায়গায় চলছে তল্লাশি। কংগ্রেসের একাধিক নেতা-মন্ত্রী ও তাঁদের সচিবদের অফিসেও সকাল থেকে চলছে তল্লাশি। মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেসের (Congress) ভূপেশ বাঘেল ঘনিষ্ঠ সঙ্গীর বাড়িতেও চলছে ইডির তল্লাশি। সম্প্রতি ছত্তিশগড়ে কয়লার ওপর শুল্ক সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগ, রাজ্যে আমদানি করা কয়লার ওপর বেআইনিভাবে টন প্রতি ২৫ টাকা করে শুল্ক বাড়ানো হয়েছিল।

    ইডি সূত্রে খবর…

    ইডি সূত্রে খবর, শুধু ২০২১ সালেই সব মিলিয়ে মোট ৫৪০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা এবং আমলা এই চক্রান্তের সঙ্গে জড়িত। এই মামলার তদন্তেই চলছে ইডির আভিযান। দুর্নীতির ওই টাকা কংগ্রেসের পার্টি ফান্ডে খরচ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। একাধিক বিধায়ক এবং আমলাও ব্যক্তিগতভাবে ওই টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ। সেই টাকা কোথায় জমা রাখা হয়েছে কিংবা কীভাবে খরচ করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে ইডি।

    জানা গিয়েছে, প্রদেশ কংগ্রেস (Chattisgarh) কমিটির কোষাধ্যক্ষ রামগোপাল আগরওয়াল, শ্রমকল্যাণ বোর্ডের সভাপতি সুশীল সানি আগরওয়াল, বিধায়ক দেবেন্দ্র যাদব, বিনোদ তিওয়ারি, কংগ্রেস মিডিয়ার মুখপাত্র আরপি সিং প্রমুখের বাড়িতে অভিযান চালায় ইডি। কংগ্রসের এই নেতাদের বাড়িতে গিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রও খতিয়ে দেখেন ইডি আধিকারিকরা। প্রসঙ্গত, এর আগে রাজ্যে বেশ কয়েকবার ইডি অভিযান চালালেও, এই প্রথম সরাসরি কংগ্রেস নেতাদের বাড়িতে হানা দিল ইডি। গত মাসেও ছত্তিশগড়ে অভিযান চালিয়েছিল ইডি। সেবার তল্লাশি চালানো হয় একজন আইএএস অফিসারের বাড়িতেও।

    আরও পড়ুুন: ‘মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভার জন্য খরচ কোটি কোটি টাকা, উৎস কী’, প্রশ্ন শুভেন্দুর

    ২০২২ সালের অক্টোবর মাসেও ছত্তিশগড়ের কয়েকজন শীর্ষ নেতা, ব্যবসায়ী ও আমলার বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। মোট ৪০টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে নগদ ৪ কোটি টাকা, বিভিন্ন দামী সামগ্রী যার বাজারমূল্য কোটি টাকা এবং বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি বাজেয়াপ্ত করেছিলেন তদন্তকারীরা। ছত্তিশগড়ের (Chattisgarh) মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল বলেন, আজ ইডি ছত্তিশগড় প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির কোষাধ্যক্ষ, দলের প্রাক্তন সহ সভাপতি এবং একজন বিধায়ক সহ দলের অনেক সহকর্মীর বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Cyber Crime: ১০ লক্ষ টাকা খোয়ালেন হরিয়ানার মহিলা! সাইবার প্রতারণা ঠেকাতে কী কী সাবধানতা নেবেন?

    Cyber Crime: ১০ লক্ষ টাকা খোয়ালেন হরিয়ানার মহিলা! সাইবার প্রতারণা ঠেকাতে কী কী সাবধানতা নেবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিনব পদ্ধতিতে প্রতারণা। তাতেই খোয়া গেল এক মহিলার ১০ লক্ষ টাকা। ঘটনাটি হরিয়ানার গুরুগ্রামের।

    ঠিক কীভাবে পাতা হয়েছিল প্রতারণার ফাঁদ (Cyber Crime)

    মহিলার অভিযোগ যে তাঁকে প্রথমে প্ররোচিত করা হয় ইউটিউবে ভিডিও দেখা এবং লাইক করার জন্য, এরপর প্রতারকরা তাঁকে একটি টেলিগ্রাম গ্রুপে জয়েন করায় এবং কমসময়ে বেশি টাকা রিটার্ন পাওয়ার জন্য বিনিয়োগের আবেদন জানায়। 
    শানু প্রিয়া নামে ওই মহিলার অভিযোগ, গত ১ ফেব্রুয়ারি হোয়াটসঅ্যাপে তাঁর মেসেজ আসে, অনলাইন ব্যবসাতে বিনিয়োগ করার আবেদন জানিয়ে। সেখানে আরও বলা হয়, বিনিয়োগ করলে কম সময়ে বেশি রিটার্ন পাওয়া যাবে। এরপর তাঁকে টেলিগ্রাম গ্রুপে জয়েন করানো হয়। তখন কিছু টাকার কমিশনও দেওয়া হয় ওই মহিলাকে, এতে তাঁর বিশ্বাসযোগ্যতা আরও বেড়ে যায় প্রতারকদের প্রতি। এরপর ২ ফেব্রুয়ারি ভিআইপি মেম্বারশিপ দেওয়ার নামে তাঁর কাছ থেকে ৮,০০০ টাকা নেওয়া হয়। ৪ ফেব্রুয়ারি সুপার ভিআইপি মেম্বারশিপ দেওয়ার নামে আরও বেশি টাকা চাওয়া হয়। ওই মহিলা প্রতিবারই টাকা দিতে থাকেন। এইভাবে ধাপে ধাপে প্রতারকরা তাঁর কাছ থেকে ১০,৭৫,০০০ টাকা নেয়। এরপর ওই মহিলা ব্যবসার শর্ত অনুযায়ী বিনিয়োগের রিটার্ন চাইলে, তাঁকে আরও ৪ লক্ষ টাকা চাওয়া হয়। তখন ওই মহিলা বোঝেন তিনি প্রতারণার (Cyber Crime)
     ফাঁদে পড়েছেন।

    পুলিশ কী বলছে

    ওই মহিলা স্থানীয় সাইবার (Cyber Crime) থানায় অভিযোগ করেন। তদন্তকারী অফিসাররা বলছেন, তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রতারকদের ব্যাঙ্ক আকাউন্টগুলি প্রিজ করার কাজ চলছে। ভারতীয় দণ্ডবিধি ৪১৯ এবং ৪২০ নং ধারা অনুসারে মামলা দায়ের হয়েছে।

    সাইবার প্রতারণার (Cyber Crime) ফাঁদে না পড়তে কী কী সাবধানতা অবলম্বন করবেন

    ১. বিশেষজ্ঞরা বলছেন কম সময়ে বেশি রিটার্নের কথা মানেই প্রতারণাষ মনে রাখবেন খুব সহজ উপায়ে টাকা রোজগার এত সহজ নয়।

    ২. অপরিচিত কাউকে নিজের ব্যক্তিগত তথ্য দেবেন না।

    ৩. নিজের সোশ্যাল মিডিয়া আকাউন্টে সর্বদাই প্রাইভেসি বজায় রাখবেন।

    ৪. ইন্টারনেটে টাকা লেনদেন এড়িয়ে চলুন।

    ৫. অপরিচিত ব্যক্তির ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট গ্রহণ করবেন না।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share