Blog

  • LPG Gas Price: মাসের শুরুতেই স্বস্তি! একধাক্কায় ১১৫.৫০ টাকা কমল রান্নার গ্যাসের দাম

    LPG Gas Price: মাসের শুরুতেই স্বস্তি! একধাক্কায় ১১৫.৫০ টাকা কমল রান্নার গ্যাসের দাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নভেম্বরের শুরুতেই সাধারণ মানুষের জন্য খুশির খবর। ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির মাঝে আজ কমানো হল এলপিজি অর্থাৎ রান্নার গ্যাসের দাম (LPG Gas Price)। জনগণকে স্বস্তি দিতে সরকারের পক্ষ থেকে বাণিজ্যিক এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম কমানো হয়েছে। এদিন বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ১১৫.৫০ টাকা কমানো হয়েছে। তবে কমেনি ঘরোয়া গ্যাস সিলিন্ডারের দাম। পুরনো দামই রাখা হয়েছে এই সিলিন্ডারগুলির। প্রসঙ্গত, ৬ জুলাই থেকে সারা দেশে ১৪ কেজি ঘরোয়া গ্যাস সিলিন্ডারের দামে কোনও পরিবর্তন হয়নি। তবে একনজরে দেখে নিন, কোন কোন মেট্রো শহরে বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডারের দাম কত হয়েছে।

    কলকাতা- ১১৫.৫০ টাকা কমানোর পরে বাণিজ্যিক এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১৯৯৫.৫০ টাকার পরিবর্তে ১৮৪৬ টাকা হয়েছে।

    দিল্লি- দাম কমানোর পরে এবার থেকে বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডার ১৮৫৯.৫ টাকার পরিবর্তে ১৭৪৪ টাকায় পাওয়া যাবে।

    মুম্বই- দাম কমে যাওয়ার ফলে এটি ১৮১১.৫০ টাকার পরিবর্তে ১৬৯৬ টাকায় পাওয়া যাবে।

    চেন্নাই- দামের পরিবর্তনের ফলে এবার থেকে চেন্নাইয়ে বাণিজ্যিক এলপিজি গ্যাসের সিলিন্ডার ২০০৯.৫০ টাকার পরিবর্তে ১৮৯৩ টাকায় পাওয়া যাবে।

    আরও পড়ুন: গ্যাস সিলিন্ডার ডেলিভারি থেকে রেলওয়ে টাইম টেবিল! জেনে নিন নভেম্বরের ১ তারিখ থেকে বদলে যাওয়া নিয়মগুলি

    গত জুন মাস থেকে এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে সাতবার দাম কমানো হল বাণিজ্যিক এলপিজি সিলিন্ডারের দাম (LPG Gas Price)। গত ছয় মাসে ১৯ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের মোট দাম কমেছে ৬১০ টাকা। গত ১ অক্টোবরও বাণিজ্যিক এলপিজি সিলিন্ডারের দাম কমেছিল। এবারও এই মাসে ফের দাম কমল বাণিজ্যিক গ্যাসের। তবে বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম কমলেও স্বস্তি মিলল না গৃহস্থের। ঘরোয়া গ্যাস অর্থাৎ ১৪.২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দামও একনজরে দেখে নিন।

    দিল্লিতে ১০৫৩ টাকা, কলকাতায় ১০৭৯ টাকা, চেন্নাইতে ১০৬৮.৫ টাকা এবং মুম্বইতে ১০৫২.৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে ঘরোয়া রান্নার গ্যাস। প্রসঙ্গত, প্রতি মাসের শুরুতেই দেশের তেল কোম্পানিগুলি বাণিজ্যিক এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার ও ঘরোয়া সিলিন্ডারের দাম পরিবর্তন করে (LPG Gas Price)। শেষবার গত ৬ জুলাই এই ঘরোয়া রান্নার গ্যাসের দাম বেড়েছিল ৫০ টাকা। এরপর আর দামে কোনও পরিবর্তন করা হয়নি। ফলে এক্ষেত্রে গৃহস্থে স্বস্তি না আসলেও বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম কমায় হোটেল, রেস্তোরাঁ, খাবারের দোকানে রান্নার খরচ কমে যাবে।

  • Citizenship Ammendment Act: সিএএ মামলার শুনানি শুরু সুপ্রিম কোর্টে, কবে থেকে জানেন?

    Citizenship Ammendment Act: সিএএ মামলার শুনানি শুরু সুপ্রিম কোর্টে, কবে থেকে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (Citizenship Ammendment Act), সংক্ষেপে সিএএ (CAA) মামলার শুনানি হবে ৬ ডিসেম্বর। মঙ্গলবার এই নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত (UU Lalit)। তিনি অবসর নেবেন ৮ নভেম্বর। তার ঠিক দু দিন আগেই শুরু হবে শুনানি। সিএএ-র বিরুদ্ধে আবেদনপত্র জমা পড়েছে ২৫০টি। এর মধ্যে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে ২৩২টি। এই আবেদন নিয়ে কেন্দ্র, অসম, ত্রিপুরা সরকার ও আবেদনকারীদের অবস্থান জানাতে তিন সপ্তাহ সময়ও দেওয়া হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের তরফে। যেহেতু ললিত অবসর নেবেন ৮ তারিখে, তাই শুনানি হবে অন্য বেঞ্চে। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত, বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট এবং বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চে জানান, সিএএ ক্ষতিকর নয় বলে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। তবে সময় চাওয়া হয়েছে রাজ্যগুলির স্বার্থে।

    ২০১৯ সালে তৈরি হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (Citizenship Ammendment Act)। এই আইনে বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, জৈন এবং পার্শি সম্প্রদায়ের মানুষকে ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এই তালিকায় রাখা হয়নি মুসলমানদের। তার জেরেই শুরু হয় সমালোচনা।

    এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টে মূল আবেদন হিসেবে ধরা হয়েছে ইন্ডিয়ান মুসলিম লিগের আবেদনপত্রটি। তাদের দাবি, আইনটি সমতার মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করেছে। ধর্মের ভিত্তিতে অবৈধভাবে আসা নাগরিকদের একটি অংশকে নাগরিকত্ব দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এর পর দেশের শীর্ষ আদালতের তরফে কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়ে বলা হয়, চার সপ্তাহের মধ্যে এ ব্যাপারে তাদের অবস্থান জানাতে। হাইকোর্টগুলিকেও নির্দেশ দিয়েছিল সেখানে চলা এ সংক্রান্ত শুনানি স্থগিত রাখতে।

    আরও পড়ুন: রাজ্যে শীঘ্রই চালু হবে সিএএ! নাগরিক সংশোধনী বিল নিয়ে আশার আলো দেখালেন শুভেন্দু

    মুসলিম লিগের পাশাপাশি নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (Citizenship Ammendment Act) বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন কংগ্রেসের জয়রাম রমেশ, রাষ্ট্রীয় জনতা দলের মনোজ ঝা, তৃণমূল কংগ্রেসের মহুয়া মৈত্র, এআইএমআইএমের আসাদউদ্দিন ওয়াইসিও। আবেদন করেছিল জমিয়ত-উলেমা-ই-হিন্দ, অল অসম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন, পিস পার্টি, সিবিআই, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রিহাই মঞ্চের মতো কয়েকটি সংগঠনও। আইনজীবী এমএল শর্মা এবং আইনের বেশ কিছু পড়ুয়াও আবেদন করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টে।

    প্রসঙ্গত, সোমবারই গুজরাটের দুই জেলায় বসবাসকারী তিন দেশের সংখ্যালঘুদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়টি ঘোষণা করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এদিন এই মর্মে জারি হয়েছে নির্দেশিকাও। তবে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর না হওয়ায় ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের আওতায় এই পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • The Wire Editor: অনলাইন পোর্টাল দ্য ওয়্যারের সম্পাদকদের  বাড়িতে তল্লাশি! বাজেয়াপ্ত নথি

    The Wire Editor: অনলাইন পোর্টাল দ্য ওয়্যারের সম্পাদকদের বাড়িতে তল্লাশি! বাজেয়াপ্ত নথি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্য ওয়্যারের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক (The Wire Editor) সিদ্ধার্থ বরদারাজন ও সম্পাদক এম কে ভেনু, জাহ্নবী সেন এবং সিদ্ধার্থ ভাটিয়ার বাড়িতে তল্লাশি চালাল দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)।  বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যর (Amit Malviya) এফআইআরের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালায়। সোমবার পুলিশের তরফে এই তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। পুলিশ সূত্রে খবর,তল্লাশির পর তাঁদের ফোন, ল্যাপটপ এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তবে কাউকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি। 

    প্রসঙ্গত,  গত শনিবার দিল্লি পুলিশ ওই নিউজ পোর্টালের ও তার চারজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে। তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করেছিলেন মালব্য। কয়েকদিন আগে দ্য ওয়্যারে ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত কিছু প্রতিবেদন নিয়ে আপত্তি জানিয়ে এফআইআর দায়ের করেছিলেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। পরে যদিও সেই প্রতিবেদনগুলি প্রত্যাহার করে নেয় ওয়্যার। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল যে ফেসবুক তথা মেটা অমিত মালব্যকে কিছু বিশেষ সুবিধা দিয়েছে। এক্স-চেক নামে (X check-list on Meta) একটা প্রোগ্রামের মাধ্যমে অমিত মালব্যকে এমন সুবিধা দেওয়া হয়েছে, যার ফলে অমিত বিজেপির বিরুদ্ধে ৭০০ পোস্ট ফেসবুক থেকে নামিয়ে দিতে পেরেছিলেন। কিন্তু এই অভিযোগ অস্বীকার করে মেটা। অমিত মালব্যও এই তথ্য পুরোপুরি মিথ্যা বলে দাবি করেছিলেন।

    আরও পড়ুন: ‘রাজনীতির ঊর্ধ্বে সমাজসেবা, সবার ওপরে মাতৃত্ব…’, জানুন আরএসএসের মহিলা সংগঠনের আদর্শ

    এ প্রসঙ্গে  সিদ্ধার্থ বরদারাজন বা এম কে ভেনু এখনও কোনও মন্তব্য করেননি। সাংবাদিক বরদারাজন বলেন, আমরা পুলিশকে সহযোগিতা করেছি। তারা ডে ডিভাইস ও পাসওয়ার্ড চেয়েছিল তা তাদের দিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ চারটি ডিভাইস নিয়েছে। এর মধ্যে একটি ম্যাকবুক, দুটি আইফোন ও একটি আইপ্যাড রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Jagadhatri Puja: রাত পোহালেই জগদ্ধাত্রীর আরাধনায় মাতবে বাঙালি! জানেন কে এই পুজোর শুরু করেন?

    Jagadhatri Puja: রাত পোহালেই জগদ্ধাত্রীর আরাধনায় মাতবে বাঙালি! জানেন কে এই পুজোর শুরু করেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীপুজো, ভাইফোঁটার পরে এবার জগদ্ধাত্রী পুজো। জগদ্ধাত্রী পুজোকে ঘিরে উৎসব মুখর বাঙালির নজর এবং গন্তব্য থাকে দুটি জায়গায় একটি কৃষ্ণনগর এবং অপরটি চন্দননগর। রাজনৈতিক দলগুলির সমাবেশ ‘ব্রিগেড চলো’, ‘কলকাতা চলো’ ইত্যাদি নামে পরিচিত। জগদ্ধাত্রী পুজোর দিন কোনও রাজনৈতিক দল ডাক না দিলেও ‘কৃষ্ণনগর চলো’ এবং ‘চন্দননগর চলো’ ডাকে সাড়া দিয়ে হাজির হয় রাজ্যের বড় অংশের মানুষ।  সুসজ্জিত মন্ডপ, দূর্দান্ত আলোক সজ্জা, মাতা জগদ্ধাত্রীর প্রতিমা দেখতে লক্ষ মানুষের সমাগম হয় এই দুই শহরে। জমজমাট  জগদ্ধাত্রী পুজোর জন্য ভারতীয় রেল বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করে। রাত বাড়লে মানুষের ঢল নামতে দেখা যায় দুই শহরে। কিন্তু জানেন কেন এই দুই শহরের জগদ্ধাত্রী পুজো এত জনপ্রিয় হলো? এর নেপথ্যে ইতিহাস কী? কারা শুরু করেছিল এই পুজো?

    উত্তর জানতে আমাদের যেতে হবে নবাব আলিবর্দী খাঁ-এর আমলে। রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের উপরে ১২ লক্ষ টাকা নজরানা দাবি করেন নবাব‌। কৃষ্ণচন্দ্র রায় দিতে অপারগ হলে, তাঁকে বন্দি করে নবাবের বাহিনী। মুর্শিদাবাদ অথবা বিহারের মুঙ্গেরে রাজাকে রাখা হয়। মুক্তির পর নদীপথে নিজের রাজ্যে ফিরছিলেন রাজা, এমন সময় বিজয়া দশমীর প্রতিমা নিরঞ্জনের বাজনা শুনে তাঁর অন্তরে আকুলতা তৈরি হয়। দুর্গাপুজোয় অংশ না নিতে পারার আকুলতা। প্রাসাদে ফিরে রাজা মনের দুঃখে ঘুমোতে যান। কথিত আছে, ওই রাতে মাতা দুর্গা রাজাকে স্বপ্ন দেন, যে শুক্লা নবমী তিথিতে জগদ্ধাত্রী রূপে তাঁকে পুজো করতে হবে। তখন থেকেই নাকি কৃষ্ণনগরে জগদ্ধাত্রী পুজোর সূচনা।

    আরও পড়ুন: কার্তিক মাসে গ্রাম বাংলায় পালিত হয় ‘যমপুকুর ব্রত’! জানেন এর নেপথ্য গল্প?

    অন্য একটি মতে, ১৭৬৬ সালে কৃষ্ণনগরের রাজবাড়িতে জগদ্ধাত্রী পুজোর সূচনা হয়। আবার অনেকে কৃষ্ণচন্দ্রের প্রপৌত্র গিরিশচন্দ্রকে কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির জগদ্ধাত্রী পূজার প্রবর্তক মনে করেন। কৃষ্ণনগরের প্রাচীন জগদ্ধাত্রী পুজোগুলোর মধ্যে চাষা পাড়াতে বুড়িমার পুজো অত্যন্ত প্রসিদ্ধ। ৭৫০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার দ্বারা মাতা জগদ্ধাত্রীকে সাজানো হয় এখানে। এই দেবী অত্যন্ত জাগ্রত বলে এলাকার মানুষ মনে করেন এবং  দেবী তাঁর ভক্তদের সমস্ত মনস্কামনাও পূর্ণ করেন বলেই বিশ্বাস। এই পুজো শুরু হয় ১৭৯০ সালে। জগদ্ধাত্রী পুজোর দিন কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির দরজা খুলে রাখার রীতি আজও চোখে পড়ে। তৎকালীন কৃষ্ণনগরের রানিমা রাজবাড়িতে বসেই প্রতিমা দর্শন করতেন। নিরঞ্জনের পূর্বে প্রতিমা রাজবাড়ির সামনে থেকে একবার ঘুরিয়ে আনতে হয়, এটাই এখানকার রীতি।

    অন্যদিকে ফরাসি ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল চন্দননগর। এখানকার জগদ্ধাত্রী পুজোর সূচনা করেন ইন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী। রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের অত্যন্ত  ঘনিষ্ঠ ছিলেন ইন্দ্রনারায়ণ। কর্মজীবনে তিনি ছিলেন চন্দননগরের ফরাসি সরকারের দেওয়ান। কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির পুজো দেখে মুগ্ধ হয়ে ইন্দ্রনারায়ণ চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু করেন। তাঁর প্রচলিত পুজো চন্দননগরে আদি পুজো নামে বিখ্যাত। জনশ্রুতি আছে, আদি প্রতিমাকে জলে নিরঞ্জন করা মাত্রই শুশুক বা সাপের দেখা পাওয়া যায়। স্থানীয় বিশ্বাসে এই দেবী অত্যন্ত জাগ্রত এবং ভক্তদের সকল মনস্কামনা পূর্ণ করেন।

    সারা রাজ্যের মানুষ তো এই দুই শহরে ভিড় করেই জগদ্ধাত্রী উপাসনায়। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের আবেগ যেন আলাদাই থাকে। কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা , কর্মসুত্রে হায়দরাবাদে থাকেন প্রিয়াঙ্কা ঘোষাল। জগদ্ধাত্রী পুজো দেখতে বাড়ি এসেছেন। তাঁর মতে, “দুর্গাপুজোর উন্মাদনা তো আমাদের আছেই, তার সঙ্গে আমরা সারাবছর অপেক্ষা করে থাকি এই জগদ্ধাত্রী পুজোর জন্যও। দুর্গা পুজোর দশমীতে অতটাও মন খারাপ করে না, কারণ জানি, মাতা দুর্গা জগদ্ধাত্রী রূপে আবার আসছেন।”

  • ISI: আইএসআইয়ের মুখোশ খুলে দিতে পারি, নাদিমকে নিশানা ইমরানের

    ISI: আইএসআইয়ের মুখোশ খুলে দিতে পারি, নাদিমকে নিশানা ইমরানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন আইএসআই (ISI) প্রধান। এবার আইএসআইকে পাল্টা দিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার কাম রাজনীতিক ইমরান খান (Imran Khan)। তিনি বলেন, আইএসআইয়ের মুখোশ খুলে দিতে পারি। কিন্তু দেশের ভালর জন্য তা করব না।

    সম্প্রতি ইমরানকে নিশানা করে আইএসআই (ISI) প্রধান নাদিম আহমেদ অঞ্জুম বলেন, ইমরান সেনার সমালোচনা করছেন, কারণ সেনা তাঁর কথা মতো অসাংবিধানিক কাজ করতে সম্মত হয়নি। তিনি বলেন, সরকার বাঁচাতে মদতের বিনিময়ে পাক সেনা প্রধান জেনারেল কমার জাভেদ বাজওয়াকে একটি লোভনীয় প্রস্তাবও দিয়েছিলেন ইমরান। এর পরেই আইএসআই প্রধানকে একহাত নিয়েছেন পাকিস্তান (Pakistan) তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি সুপ্রিমো ইমরান খান।

    হাকিকি আজাদি লং মার্চ করছে ইমরানের দল। লাহোরের লিবার্টি চক থেকে দলীয় নেতা-কর্মীরা যাচ্ছেন ইসলামাবাদ। সেই মার্চে যোগ দিয়েই ইমরান আক্রমণ শানান আইএসআই (ISI) প্রধানকে। বলেন, আইএসআইয়ের ডিজি কান খুলে শুনুন, আমি অনেক কিছুই জানি। কিন্তু আমি চুপ করে আছি কারণ আমি আমার দেশের ক্ষতি করতে চাইনি। দেশের ভালর জন্য আমি গঠনমূলক সমালোচনা করি। তা না হলে আমিও অনেক কিছু বলতে পারতাম। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, তারা ভয় পেয়েছিল। কারণ আমি লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফিরোজ হামিদকে নিয়োগ করতে চেয়েছিলাম। তারা ভয় পেয়েছিল। এটা হলে তাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ত। তিনি বলেন, আমি যাকে তাকে আর্মি চিফ পদে বসানোর কথা কখনও ভাবিনি। আমি এমন কোনও সিদ্ধান্তও নিইনি, যা বুদ্ধিমত্তার পরিচায়ক নয়।

    আরও পড়ুন: এফএটিএফ-এর ধূসর তালিকা থেকে মুক্ত পাকিস্তান! ক্ষুব্ধ ভারত, জানেন তার কারণ?

    এদিন ইমরানের মুখে আরও একবার ভারতস্তুতির কথা শোনা যায়। ভারতের স্বাধীন বিদেশ নীতি এবং রাশিয়া থেকে নয়াদিল্লির তেল কেনার সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেন তিনি। বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে পশ্চিমী দেশগুলির হুমকি অগ্রাহ্য করে জাতীয় স্বার্থে রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনেছে ভারত। ভারত পারলেও পাকিস্তান পারেনি বলেও মন্তব্য করেন ইমরান। বলেন, ভারত রাশিয়া থেকে জ্বালানি আমদানি করেছে। যদিও পাকিস্তান দেশবাসীর স্বার্থে সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • S Jaishankar: সোশ্যাল মিডিয়া হাতিয়ার করে মতাদর্শ ছড়িয়ে দিচ্ছে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা, জানালেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: সোশ্যাল মিডিয়া হাতিয়ার করে মতাদর্শ ছড়িয়ে দিচ্ছে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা, জানালেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্টারনেট (Internet) এবং সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media) মাধ্যমগুলিকে হাতিয়ার করে সন্ত্রাসবাদী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীরা তাদের মতাদর্শ ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে বিচ্ছিন্নতাবাদের বীজ বপন করছে। এমনকী যুব সম্প্রদায়ের মগজ ধোলাই করে জঙ্গি সংগঠনে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে তাদের। শনিবার সন্ত্রাসবাদ বিরোধী কমিটির এক সম্মেলনে এ কথা বলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)।

    নয়াদিল্লিতে চলছে রাষ্ট্রসংঘের (UN) স্পেশাল মিট। আলোচ্যসূচি, কাউন্টারিং দ্য ইউজ অফ নিউ অ্যান্ড এমার্জিং টেকনোলজিজ ফর টেররিস্ট পারপাসেস। এই অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন জয়শঙ্কর। তখনই তিনি জানান, কীভাবে সন্ত্রাসবাদীরা হাতিয়ার করছে সোশ্যাল মিডিয়াকে। সন্ত্রাসবাদ যে মানবতার বিরুদ্ধে বড় বিপদ, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar)। উল্লেখ করেন রাষ্ট্রসংঘের চেষ্টার কথাও। তিন বলেন, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ গত দু দশক ধরে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। তার পরেও নির্মূল হয়নি সন্ত্রাসবাদ। তাঁর অভিযোগ, কোনও কোনও দেশ সন্ত্রাসবাদে অর্থ সহায্য করছে। এশিয়া এবং আফ্রিকায়ও সন্ত্রাসবাদ ক্রমেই মাথাচাড়া দিচ্ছে বলেও অভিযোগ বিদেশমন্ত্রীর। সম্প্রতি সন্ত্রাসবাদীরা, তাদের সহযোগীরা, বিশেষত মুক্ত সমাজ দ্রুত নিজেদের আধুনিক প্রযুক্তিবিদ্যায় শিক্ষিত করে তুলছে। বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) বলেন, তারা প্রযুক্তি ব্যবহার করে, টাকা ব্যবহার করে, স্বাধীনতা, সহমত ও প্রগতিকে আক্রমণ করে।

    আরও পড়ুন: অর্থায়নের কারণেই বাড়বাড়ন্ত সন্ত্রাসবাদের, রাষ্ট্রসংঘের বৈঠকে বললেন এস জয়শঙ্কর

    বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) জয়শঙ্কর বলেন, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার জন্য রাষ্ট্রসংঘের তহবিলে চলতি বছর পাঁচ লক্ষ মার্কিন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় চার কোটি ১০ লক্ষ টাকা) অনুদান দেবে ভারত। সেই অনুদান থেকে সদস্য দেশগুলির পরিকাঠামো উন্নত করার পাশাপাশি জঙ্গি হামলা মোকাবিলার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এদিনের ভাষণে সন্ত্রাসবাদীদের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়ে সকলকে সতর্ক করে দিয়েছেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই ধরনের কার্যকলাপ বন্ধে সতর্ক হতে হবে। প্রসঙ্গত, এই প্রথমবার রাষ্ট্রসংঘের সদর দফতরের বাইরে এই ধরনের সম্মেলন আয়োজিত হচ্ছে। শুক্রবার শুরু হয়েছে এই বিশেষ সম্মেলন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • T20 world cup: তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটের জন্যই তৈরি সূর্য কুমার! জানেন কী বললেন রবি স্যার?

    T20 world cup: তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটের জন্যই তৈরি সূর্য কুমার! জানেন কী বললেন রবি স্যার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: থ্রি সিক্সটি ব্যাটসম্যানের তকমা আগেই পেয়েছিলেন সূর্য কুমার যাদব। এবার তার নামের পাশে যোগ হল আরও এক বিশেষণ। ভারতীয় দলের প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রী প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন সূর্য কুমারকে। তিনি বলেছেন, সূর্য হল থ্রি ফরম্যাট প্লেয়ার। অর্থাৎ শুধু ওয়ানডে কিংবা টি টোয়েন্টি নয় টেস্ট খেলার উপযুক্ত ব্যাটসম্যান সূর্য কুমার যাদব। শাস্ত্রীর কথাতে সেটাই যেন ধরা পড়ল।

    আরও পড়ুন: ‘ভুয়ো মিস্টার বিন!’ ম্যাচের পর ট্যুইট-যুদ্ধে পাক, জিম্বাবোয়ের রাষ্ট্রপ্রধানরা

    অল্প সময়ের মধ্যেই সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ভারতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে উঠেছেন সূর্য কুমার যাদব। চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে (T-20 World Cup) পাকিস্তানের (Pakistan) বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে হতাশ করেছিলেন তিনি। তবে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ২৫ বলে অপরাজিত একান্ন রান করে সূর্য কুমার বুঝিয়ে দিয়েছেন এবারের কাপযুদ্ধে আরও বড় চমক দেওয়ার জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণ মঞ্চে কমেন্টেটার রবি শাস্ত্রী সূর্য কুমার যাদবের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আগামী দিনে আমি তোমাকে দেশের হয়ে তিন ফরম্যাটে খেলতে দেখলে অবাক হব না। লাল বলের ক্রিকেটেও তুমি এরকম অনেক চমকপ্রদ ইনিংস উপহার দেওয়ার ক্ষমতা রাখো।’ যা শুনে মুচকি হাসেন সূর্য কুমার। কারণ রবি শাস্ত্রী কার্যত তাঁর মনের কথাটি বলে দিয়েছেন। ভারতীয় দলের প্রাক্তন কোচ আরও বলেন, “আমি জানি টেস্ট দলের জন্য সূর্য কুমারকে নিয়ে খুব বেশি আলোচনা হয় না। বিশ্বাস করুন, ছেলেটা তিন ফরম্যাটে সমান দক্ষতায় সেরা পারফরম্যান্স মেলে ধরার ক্ষমতা রাখে। পাঁচ দিনের ক্রিকেটেও ও অনেককে চমকে দেবে। টেস্টে ওকে পাঁচ নম্বরে ব্যাট  করতে পাঠানো উচিত।”

    আরও পড়ুন: ফের দুর্দান্ত ইনিংস কোহলির, ৫৬ রানে নেদারল্যান্ডকে হারাল ভারত

    রবি শাস্ত্রী যখন ভারতীয় দলে কোচিং করছিলেন তখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল সূর্য কুমার যাদবের। তাই তাঁদের সম্পর্কের রসায়ন বেশ মজবুত। প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রী প্রসঙ্গে সূর্য কুমার বলেছেন, “জীবনে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামার আগে রবি স্যারের সেই কথাগুলো আমার কানে আজও বাজে। টিম হোটেলে একটা পুলের ধারে বসে ছিলেন উনি। আমাকে ডেকে বললেন, যাকে বিন্দাস দেনা। অর্থাৎ মনের খুশিতে ব্যাট করো। দারুন লেগেছিল ওই কথাগুলো। আজও তাই মনে গেঁথে রয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Chennai: চিকিৎসা করাতে এসে প্রণয়, মানসিক হাসপাতালেই সাতপাকে বাঁধা পড়লেন ২ রোগী

    Chennai: চিকিৎসা করাতে এসে প্রণয়, মানসিক হাসপাতালেই সাতপাকে বাঁধা পড়লেন ২ রোগী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মন জুড়েছিল আগেই। এবার তা পেল সামাজিক স্বীকৃতি। চেন্নাইয়ের (Chennai) মানসিক হাসপাতালের ২২৮ বছরের ইতিহাসে এই ঘটনা এই প্রথম। বিয়ে হল দুই মানসিক রোগীর। হাসপাতালের এই দুই রোগীকে প্রায়ই দেখা যেত ফাঁকা করিডোরে দাঁড়িয়ে গল্প করতে। ৩৬ বছরের দীপা (Deepa) আর ৪২ এর মহেন্দ্রনকে (Mahendran) ক্যাফেটেরিয়াতেও আড্ডা জমাতে দেখা যেত। অবাক হয়েছিলেন হাসপাতালের কর্মীরা। নালিশ গিয়েছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে। তাঁদের একে অপরের থেকে দূরে রাখার চেষ্টাতেও কোনও কসুর করেনি হাসপাতালের কর্মীরা। কিন্তু সেই সব চেষ্টাতে জল ঢেলে শুক্রবার সেই দুজনই পাশাপাশি বসলেন বর-কনে হিসেবে। তাঁদের বিয়েতে উপস্থিত থেকে আশীর্বাদ দিলেন সেই হাসপাতালের কর্মীরাই, যারা একদিন এই সম্পর্কের বিরোধীতা করেছিলেন। বিবাহের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্যমন্ত্রী এমএ সুব্রামনিয়ান। তিনি নব বিবাহিত দম্পতিকে উপহার ভর্তি একটি থালা এবং পবিত্র সুতো উপহার দেন। এদিন অন্যান্য মন্ত্রীদের সঙ্গে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শেখর বাবু এবং সাংসদ দয়ানিধি মারান। 

    বিয়ের পর তাঁদের নতুন ঠিকানা হবে ভাড়ায় নেওয়া একটি বাড়ি। অ্যাঁর মানসিক হাসপাতাল নয়, নতুন সেই বাড়িতেই নিজেদের মতো করে জগৎ গড়বেন দীপা-মহেন্দ্রন। মহেন্দ্রনকে সরকারি চাকরিও দিয়েছে তামিলনাড়ু সরকার। চেন্নাইয়ের ইনস্টিটিউট অফ মেন্টাল(IMH)  হেলথে শর্ত সাপেক্ষ কর্মী হিসেবে কাজ করবেন তিনি।

    আরও পড়ুন: রেকর্ড পারদ-পতন কলকাতায়! অক্টোবরেই তাপমাত্রা নামল ২০ ডিগ্রির নীচে  

    পরিবার সাথ ছেড়েছিল অনেক আগেই। দু বছর আগে মানসিক রোগের চিকিৎসা করতে চেন্নাইয়ের ইনস্টিটিউট অফ মেন্টাল হেল্থ  হাসপাতালে এসেছিলেন দীপা এবং মহেন্দ্রন। তাঁরা নিজেরাও ভাবেননি মনের অসুখের চিকিৎসা করাতে করাতে পেয়ে যাবেন মনের মানুষ। দীপা বলেন, “মহেন্দ্রন যখন আমাকে বিয়ের কথা বলেছিলেন, আমি নিশ্চিত ছিলাম না। উত্তরও দিইনি। ওর প্রস্তাব শোনার পরও বাড়ি ফিরে গিয়েছিলাম। কিন্তু তার পর আবার হাসপাতালেই ফিরতে হল। আমি বুঝতে পারছিলাম, জীবনটা যদি অর্থবহ হয় তবে এই মানুষটার জন্যই হতে পারে। না হলে নয়।” দীপা যখন সংবাদমাধ্যমকে এই কথাগুলো বলছিলেন তখন তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন মহেন্দ্রন। গুনগুন করে গাইছিলেন এসপি বালাসুব্রহ্মণ্যমের গান। গান শেষ করে বলেন, “আমরা একটা নতুন জীবন শুরু করতে চলেছি। কিন্তু তোমাকে মনে রাখতে হবে, আমি যদি রেগে যাই বা কখনও বকাবকি করি, তা হলে সেটা তোমার ভালর জন্যই করছি।” মহেন্দ্রন জানান, দীপার মধ্যেই তিনি খুঁজে পেয়েছেন গোটা একটা পরিবার। মা, বোন, প্রিয় বন্ধু মহেন্দ্রনের কাছে সবটাই আজ দীপা।  

    চেন্নাইয়ের ইনস্টিটিউট অফ মেন্টাল হেলথে তাঁরা যখন ভর্তি হন, তখন কেউ কাউকে চিনতেন না। কিন্তু পরবর্তী ২ বছর ধরে একটু একটু করে বদল ঘটতে থাকে তাঁদের আচরণে। দুজনের মধ্যে এক নিবিড় সম্পর্ক তৈরি হয়। মহেন্দ্রনের পারিবারিক সম্পত্তিগত কারণে আত্মীয়দের মধ্যে বিবাদ লাগে। তারপরেই ওলটপালট হয়ে যায় তাঁর জীবন। বাবার মৃত্যুশোক গভীরভাবে আঘাত করে দীপাকে। মা ও ছোট বোন থাকা সত্ত্বেও নিজেকে তিনি একা মনে করতে শুরু করেন। আজ আর দুজনেরই ফেরার কোনও জায়গা নেই। গোটা পৃথিবীতে তাঁদের একমাত্র ঠিকানা মানসিক হাসপাতাল। তবে, একে অপরের মধ্যে আশ্রয় খুঁজে পেয়েছেন দীপা-মহেন্দ্রন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • IT Rules: তথ্যপ্রযুক্তি নিয়মে বড়সড় বদল আনল কেন্দ্র, জানেন কী আছে তাতে?

    IT Rules: তথ্যপ্রযুক্তি নিয়মে বড়সড় বদল আনল কেন্দ্র, জানেন কী আছে তাতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তথ্য প্রযুক্তি নিয়মে (IT Rules)  সংশোধনী প্রকাশ করল কেন্দ্র। শুক্রবার ওই সংশোধনী প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়েছে, আগামী তিন মাসের মধ্যে কমিটি গড়া হবে, যারা ফেসবুক (Facebook), ট্যুইটারের (Twitter) মতো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া (social media) প্লাটফর্ম ব্যবহারকারীর (User) অভিযোগ শুনবে।  অভিযোগ খতিয়ে দেখে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এই কমিটি ব্যবস্থাও নেবে। তিন মাসের মধ্যে তিন সদস্যের গ্রিভান্স অ্যাপিলেট কমিটি গঠন করা হবে। ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড ইনফর্মেশন টেকনোলজি মন্ত্রকের তরফে জারি করা নোটিশ থেকেই এ খবর জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, সরকার এই নোটিশটি জারি করেছিল ২০২১ সালেই। তবে এখন যেটি প্রকাশ করা হয়েছে, সেটি ওই নোটিশেরই সংশোধনী।

    ফেসবুক, ট্যুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের উদ্দেশে বেশ কিছু নিয়ম (IT Rules) জারি রয়েছে সবদিনই। এবার সেই নিয়ম লঙ্ঘন করে যদি কোনও ইউজার সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু পোস্ট করেন, তাহলে সেই পোস্ট সরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে। তবে কোনও সংস্থা যদি সেই পোস্ট সরিয়ে দিতে অস্বীকার করে, তাহলে সেই সংস্থার বিরুদ্ধে ওই প্যানেলের কাছে আবেদন করা যাবে। কমিটি যা নির্দেশ দেবে, তা মানতে হবে সোশ্যাল মিডিয়াগুলিকে।

    আরও পড়ুন: ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত! এবার সিবিআইয়ের জেরার মুখে মানিক

    জানা গিয়েছে, ভারতের ঐক্য, অখণ্ডতা, প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব বিরোধী যে কোনও পোস্টকে সরিয়ে দিতে হবে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে। অশ্লীল, অপমানজনক, জাত, বর্ণ, শিশু যৌন নির্যাতন, অন্যের গোপনীয়তার সঙ্গে সম্পর্কিত এবং হয়রানিমূলক কোনও পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় করা যাবে না। নয়া নিয়ম অনুযায়ী, সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মগুলিকে ইউজারদের অভিযোগ শুনতে হবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। অভিযোগের নিষ্পত্তি করতে হবে পক্ষকালের মধ্যে। বিতর্কিত ও সম্ভাব্য বিপজ্জনক কনটেন্ট সরিয়ে নিতে হবে ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই। যে আপিল কমিটিগুলি গড়া হবে, তারা সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলির কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণ ও অন্যান্য সিদ্ধান্ত পর্যালোচনাও করতে পারবে। কমিটির  তিন সদস্যের মধ্যে একজন হবেন চেয়ারপার্সন। অন্য দুজন হবেন ওই কমিটির সদস্য। তিনজনকেই নিয়োগ করবে কেন্দ্র।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Andaman and Nicobar: যৌনতার বিনিময়ে চাকরি! অভিযুক্ত আমলাকে ৮-ঘণ্টা ধরে জেরা সিটের

    Andaman and Nicobar: যৌনতার বিনিময়ে চাকরি! অভিযুক্ত আমলাকে ৮-ঘণ্টা ধরে জেরা সিটের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যৌনতার বিনিময়ে চাকরি কেলেঙ্কারির (Job for Sex Scam) তদন্ত শুরু। আন্দামান নিকোবর (Andaman and Nicobar) দ্বীপপুঞ্জের প্রাক্তন মুখ্য সচিব জিতেন্দ্র নারাইনের (Jitendra Narain) বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার মূল অভিযোগকারিণী তদন্তকারী আধিকারিকদের জানান, ২০ জনেরও বেশি মহিলাকে বাড়িতে নিয়ে এসে রেখে যৌন ব্যবসা করাতেন জিতেন্দ্র। তিনি যখন মুখ্যসচিব ছিলেন, তখন পোর্ট ব্লেয়ারের বাড়িতে ওই ব্যবসা চালাতেন। ঘটনার জেরে প্রবীণ ওই আইএএস অফিসারকে শুক্রবারের মধ্যে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিমের সামনে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।

    সেই মতো, শুক্রবারই, সিটের সামনে হাজির হন অভিযুক্ত আমলা। তাঁকে ৮ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট। বছর একুশের অভিযোগকারিণী ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন। জরুরি ভিত্তিতে তদন্ত করা প্রয়োজন বলেও জানিয়েছে আদালত। আদালত এও জানিয়েছে, স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (SIT) জিজ্ঞাসাবাদ করার পাশাপাশি অভিযোগকারিণীর মেডিক্যাল টেস্ট সহ যাবতীয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবে।

    অভিযোগ ওঠায় এ মাসের প্রথম দিকে সাসপেন্ড করা হয় নারাইনকে। তখন তিনি দিল্লি ফাইনান্সিয়াল কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদে ছিলেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নির্দেশে সাসপেন্ড করা হয় তাঁকে। সেই সময় স্বরাষ্ট্র দফতর জানিয়েছিল, কোনও সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর পদ, স্টেটাস নির্বিশেষে দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে। বিশেষত, মহিলাদের মর্যাদার সঙ্গে সম্পৃক্ত বিষয়গুলির ক্ষেত্রে। আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের পুলিশ ওই তরুণীর কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে স্বরাষ্ট্র দফতরকে জানায়। তার পরেই সাসপেন্ড করা হয় নারাইনকে। প্রসঙ্গত, নারাইন ১৯৯০ ব্যাচের আইএএস অফিসার। ২০২১ সালের মার্চে তিনি আন্দামান নিকোবর (Andaman and Nicobar) দ্বীপপুঞ্জের মুখ্য সচিব হিসেবে কাজে যোগ দিয়েছিলেন।

    আরও পড়ুন: সশস্ত্র ও কলমধারী দুই ধরনের নকশালকেই নির্মূল করতে হবে, জানালেন মোদি

    ওই তরুণীর অভিযোগ, তিনি যখন কাজের সন্ধান করছিলেন, তখন এক ব্যক্তি তাঁকে নারাইনের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে তাঁকে মদ্যপান করতে বলা হলে, তিনি তাতে রাজি হননি। এর পরেই সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই তরুণীর সঙ্গে অশালীন আচরণ করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁর দাবি, চাকরি তো মেলেইনি, উল্টে ঘটনার কথা যাতে ফাঁস না হয়, সেজন্য হুমকিও দেওয়া হয় ওই তরুণীকে। অভিযোগ অস্বীকার করে নারাইনের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে বড়সড় চক্রান্ত করা হয়েছে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
LinkedIn
Share