Blog

  • Weather Update: রেকর্ড পারদ-পতন কলকাতায়! অক্টোবরেই তাপমাত্রা নামল ২০ ডিগ্রির নীচে

    Weather Update: রেকর্ড পারদ-পতন কলকাতায়! অক্টোবরেই তাপমাত্রা নামল ২০ ডিগ্রির নীচে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বইছে উত্তুরে হাওয়া। হিমেল পরশে হেমন্তের শুরু বুঝতে পারছে শহরবাসী। কালীপুজোর পরই আবহাওয়ায় পরিবর্তন ঘটেছে। রাতের তাপমাত্রা চার ডিগ্রি কমেছে কলকাতায়। সকাল সন্ধ্যায় জেলায় শীতের আমেজ দেখা দিয়েছে। জানা গিয়েছে নভেম্বরের মাঝামাঝি দিনভর শীতের আমেজ থাকবে কলকাতা-সহ সব জেলাতে। অক্টোবরের শেষেই কলকাতায় পারদ নেমেছে ২০ ডিগ্রির নীচে। 

    আরও পড়ুন: ৫০% হয়ে গিয়েছে মন্দির নির্মাণের কাজ, পরের বছর জানুয়ারিতেই ভক্তদের জন্যে খুলে দেওয়া হবে রাম মন্দির

    শুক্রবার শহরে তাপমাত্রা ছিল ১৯  দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের তুলনায় তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। শনিবার দিনভর আকাশ মেঘলা থাকবে। সূর্যের তেজ তেমন অনুভব করবেন না শহরবাসী।  এর আগে ২০১২-র অক্টোবরে কুড়ি ডিগ্রির নীচে নেমেছিল পারদ। বহু বছর আগে ২৮ অক্টোবর কলকাতার তাপমাত্রা ছিল সর্বনিম্ন ১৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ২০১৮ সালে ২৭ অক্টোবর কুড়ি ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছিল। অক্টোবর মাসে কলকাতায় পারদ পতনের সর্বকালীন রেকর্ড ১৯৫৪ সালের ৩১ অক্টোবর। সে বছর পারদ নেমেছিল ১৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। গত ১০ বছরে এদিনের পারদ পতন ছিল রেকর্ড। 

    আরও পড়ুন: অর্থায়নের কারণেই বাড়বাড়ন্ত সন্ত্রাসবাদের, রাষ্ট্রসংঘের বৈঠকে বললেন এস জয়শঙ্কর

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, নভেম্বরের শুরুতেই রাজ্যে শুরু হবে হালকা শীতের আমেজ। ক্রমশ বাড়বে উত্তুরে হাওয়ার দাপট। কমবে দখিনা বাতাসের প্রভাব। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণও কমবে। রাতের দিকে কুয়াশা পড়বে। ভোরবেলাও থাকবে কুয়াশার দাপট।  কালীপুজোর পর থেকেই দিনভর শীতের আমেজ না থাকলেও সন্ধে পড়তেই ফিরছে শিরশিরে ঠান্ডা। ভোরের দিকে তাপমাত্রার পারদ নামছে (Weather Update)। বলা যা, এবারের মতো বর্ষা বিদায় নিয়েছে বাংলা থেকে। এখনই রাজ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। আগামী চার থেকে পাঁচ দিন শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে। নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে তাপমাত্রা আরও নামবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • S Jaishankar: টাকার জোগান হচ্ছে, তাই বাড়ছে সন্ত্রাসবাদ, রাষ্ট্রসংঘের বৈঠকে এস জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: টাকার জোগান হচ্ছে, তাই বাড়ছে সন্ত্রাসবাদ, রাষ্ট্রসংঘের বৈঠকে এস জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টাকার জোগানই সন্ত্রাসবাদের মূল কারণ। রাষ্ট্রসংঘের সন্ত্রাসবাদ বিরোধী বৈঠকে এমনটাই বললেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। মুম্বাইয়ের তাজ হোটেলে শুক্রবার শুরু হয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের সন্ত্রাস-বিরোধী (UN Terror Meet) কমিটির বৈঠক। তিনি বলেন, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মূল দিকগুলির মধ্যে অন্যতম হল, এর টাকার জোগানকে দমন করা। কারণ এই মূলধনই হল সন্ত্রাসবাদের প্রাণ। বাস্তব এটাই যে, সন্ত্রাসবাদের অস্তিত্ব অব্যাহত রয়েছে। ক্রমেই তা প্রসারিত হচ্ছে। এটি একটি অন্তর্নিহিত ছবি তুলে ধরছে। এর থেকে এটাই প্রমাণ হয় যে, সন্ত্রাসবাদীরা প্রয়োজনীয় আর্থিক সংস্থান পাচ্ছে।” 

    রাষ্ট্রসংঘে ‘স্থানীয় প্রেক্ষাপটে সন্ত্রাসবাদ ও তার অর্থায়ন মোকাবিলা’ শীর্ষক বৈঠকে এই কথা বলেন বিদেশমন্ত্রী। বিদেশমন্ত্রী বলেন, “২৬/১১-এর মুম্বাই হামলার অপরাধীদের আনার কাজ অসমাপ্ত রয়ে গিয়েছে। আর তার কারণ একটাই। এই ভয়ঙ্কর হামলার মূল চক্রীরা সুরক্ষিত অবস্থায় লুকিয়ে আছে।” তিনি দাবি করেন, রাজনৈতিক বিবেচনার কারণে কিছু সন্ত্রাসবাদীকে নিরাপত্তা পরিষদ নিষিদ্ধ করতে পারেনি।  

    পাকিস্তানের নাম না করে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, “সন্ত্রাসে জড়িতদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপুঞ্জ এখনও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারছে না। ২৬/১১ হামলা শুধু মুম্বাইয়ের উপর ছিল না। ছিল বিশ্ববাসীর উপর। তাই সন্ত্রাসী কার্যকলাপ রুখতে সময় এসেছে হাতে-হাত মিলিয়ে কাজ করার।” 

    এস জয়শঙ্কর বলেন, “সন্ত্রাসবাদীদের মধ্যে একজনকে জীবিত ধরা হয়েছিল। ভারতের সর্বোচ্চ আদালতে বিচার হয়েছিল এবং দোষী সব্যস্ত করা হয়েছিল। দুঃখজনক বিষয় হল, নিরাপত্তা পরিষদ রাজনৈতিক বিবেচনার কারণে কিছু ক্ষেত্রে এই সন্ত্রাসবাদীদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে পারেনি।”

    জয়শঙ্কর রাষ্ট্রসংঘ কমিটির বিবেচনার জন্য পাঁচটি বিষয় উল্লেখ করেছেন। ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের কথাও উল্লেখ করেছেন। এই সংগঠন সম্প্রতি পাকিস্তানকে তাদের ধূসর তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ভার্চুয়াল নয়, কাঠগড়াতেই দাঁড়াতে হবে পার্থকে, শুনানি পেছালেন ক্ষুব্ধ বিচারক

    পাঁচটি পয়েন্টে বিদেশমন্ত্রী বলেন, 

    ১. সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের অর্থায়ন প্রতিরোধে কার্যকর ও দীর্ঘমেয়াদী প্রচেষ্টা চালাতে হবে। এফএটিএফ-এর মতো অন্যান্য ফোরামের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে রাষ্ট্রসংঘে সবাইকে একজোট হয়ে কাজ করতে হবে।

    ২. শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে যাতে নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত অকার্যকর না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। 

    ৩. আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সন্ত্রাসবাদীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলগুলিকে ধ্বংস করে ফেলতে হবে। এভাবে সন্ত্রাসবাদী এবং তাদের পৃষ্ঠপোষকদের বিরুদ্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে।

    ৪. অস্ত্র এবং অবৈধ মাদক পাচারের মত আন্তর্জাতিক সংগঠিত অপরাধের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের যোগসূত্র এখন বেশ স্পষ্ট ও প্রমাণিত। এটি চিহ্নিত করতে হবে।  

    ৫. সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলিকে বিভিন্ন সূত্র অর্থ সাহায্য করছে। সন্ত্রাসবাদীদের ব্যবহৃত নতুন প্রযুক্তির মোকাবিলায় আমাদের কাছে উন্নত সমাধান থাকা প্রয়োজন।    

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Partha Chatterjee: ভার্চুয়াল নয়, কাঠগড়াতেই দাঁড়াতে হবে পার্থকে, শুনানি পেছালেন ক্ষুব্ধ বিচারক

    Partha Chatterjee: ভার্চুয়াল নয়, কাঠগড়াতেই দাঁড়াতে হবে পার্থকে, শুনানি পেছালেন ক্ষুব্ধ বিচারক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পিছিয়ে গেল পার্থ মামলার শুনানি। শুক্রবার রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) সশরীরে আদালতে হাজিরা দেওয়ার কথা থাকলেও হাজিরা এড়িয়ে যান। ভার্চুয়াল হাজিরার আবেদন জানানো হয়। কিন্তু তাতে সম্মতি দেন নি বিচারক। বিচারক সাফ জানিয়ে দেন, সশরীরে হাজিরা দিতে হবে পার্থকে। আগামী সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টায় হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় সংস্থা উল্লেখ করেছে,দুর্নীতির মূিলি. হোতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, আদালত আইন মেনেই নির্দেশ দিয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় কেমন আছে তা আদালত দেখতে চাইতেই পারেন। 

    আরও পড়ুন: ১০,০০০ কোটি টাকা ঋণের আবেদন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের, আর ঋণ না দেওয়ার পরামর্শ শুভেন্দুর

    শুক্রবার সকাল থেকেই শুনানি নিয়ে এই শুরু হয় জটিলতা। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সশরীরে আদালতে পাঠায়নি জেল কর্তৃপক্ষ। পরিবর্তে নথি পাঠিয়ে দেওয়া হয় আদালতে। এরপরে শুনানি শুরু হতেই বিচারক প্রশ্ন করেন আজ সশরীরে হাজিরার নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কেন তা করা হয়নি। ১৪ দিন আগে যখন শেষবার শুনানি হয় তখন আদালত নির্দেশ দেয় যাতে পরের দিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ বাকি সকল অভিযুক্তকে সশরীরে আদালতে হাজির করা হয়। আদালতের অর্ডারে এই নির্দেশ লেখা ছিল। 

    পার্থর আইনজীবী সেলিম আবেদন করেন, তাঁর মক্কেলের জামিনের আর্জি জানানোর আছে, তাই দ্রুত শুনানি করতে হবে। বিচারক জানিয়েছেন, আগামী সোমবার সশরীরে হাজিরা দিতে হবে পার্থকে। আজ শুনানির ঠিক আগে, শেষ মুহূর্তে বিচারক জানতে পারেন, জেল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে পার্থর ভার্চুয়াল শুনানির আবেদন জানানো হয়েছে। কিন্তু এই আদালতে ভার্চুয়াল শুনানির মতো যথেষ্ট পরিকাঠামো না থাকায়, তা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেওয়া হয়।

    এর আগে জেল থেকে ইডির মামলায় ভার্চুয়ালি শুনানিতে অংশ নিয়েছিলেন পার্থ। প্রথম দিকে প্রাক্তনমন্ত্রীকে সশরীরে আদালতে পেশ করা হয়েছিল কয়েকবার। পরে জেল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, নিরাপত্তার কথা ভেবে সশরীরে হাজির করা সম্ভব হচ্ছে না। এরপর থেকেই ভার্চুয়ালি শুনানিতে অংশ নিতে শুরু করেন পার্থ। তবে সিবিআই-এর মামলায় আগে ভার্চুয়াল শুনানি হয়নি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

     

     
  • PM Modi: সশস্ত্র ও কলমধারী দুই ধরনের নকশালকেই নির্মূল করতে হবে, জানালেন মোদি

    PM Modi: সশস্ত্র ও কলমধারী দুই ধরনের নকশালকেই নির্মূল করতে হবে, জানালেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার পক্ষে নকশালরা (Naxals) যে বড় বিপদ, তা ফের একবার মনে করিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে দেশবাসীকে এই বিপদ সম্পর্কে সচেতন করে দেন প্রধানমন্ত্রী। সশস্ত্র নকশাল ও কলমধারী নকশাল দুই ধরনের নকশালদেরই পরাজিত করতে হবে বলেও জানান মোদি।

    হরিয়ানার সুরজকুণ্ডে চলছে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের চিন্তন শিবির। এদিন ভার্চুয়ালি ওই শিবিরে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। বলেন, গত কয়েক বছরে সন্ত্রাসের শেকড় উপড়াতে কাজ করেছে সব সরকারই। যৌথ বাহিনী ব্যবহার করে এই কাজ করতে হবে। আমাদের সব ধরনের নকশালদের শেষ করতে হবে। সে অস্ত্রধারী হোক কিংবা কলমধারী সব ধরনের নকশাল নির্মূল করতে হবে। এর আগে একাধিকবার শহুরে নকশালদের একহাত নিয়েছিলেন মোদি (PM Modi)। শহুরে নকশালরা যে দেশের বিপদ, তারা যে উন্নয়নকে স্তব্ধ করে দিতে চায়, সেকথা গুজরাটের সভায় বলেওছেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন বলেন অস্ত্রধারী ও কলমধারী নকশালদের কথা। 

    আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরে ভুল করেছিলেন নেহরু, সংশোধন করেছেন মোদি, দাবি বিজেপির

    ভুয়ো খবরও যে দেশের বিপদ বাড়াচ্ছে, এদিন তাও স্মরণ করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। ভুয়ো খবরের বিরুদ্ধে জন সচেতনতা বাড়ানোর ওপর জোর দিতে হবে বলেও জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, একটা ছোট্ট ভুয়ো খবর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে। তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও মেসেজ ফরওয়ার্ড করার আগে মানুষের উচিত খবরটির সত্যাসত্য যাচাই করা। তিনি বলেন, যাঁরা আইন মেনে চলেন, তাঁদের নিরাপত্তার জন্য নঞর্থক শক্তির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া আমাদের দায়িত্ব। কোনও খবর বিশ্বাস করার আগে, তা যাচাই করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন মোদি।

    প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) মতে, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামলাতে এখন আরও বেশি করে প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। অপরাধের থেকে দশ কদম এগিয়ে থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ অপরাধের প্রকৃতি বদলে গিয়েছে। তাই আমাদের নতুন যুগের টেকনোলজি বুঝতে হবে। আমরা ফাইভ-জি-র যুগে প্রবেশ করেছি। তাই আামাদের প্রয়োজন আরও বেশি সতর্ক হওয়া।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • BJP: জম্মু-কাশ্মীরে ভুল করেছিলেন নেহরু, সংশোধন করেছেন মোদি, দাবি বিজেপির

    BJP: জম্মু-কাশ্মীরে ভুল করেছিলেন নেহরু, সংশোধন করেছেন মোদি, দাবি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu & Kashmir) ভুল করেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু। দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর সেই ভুল সংশোধন করেছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ভূস্বর্গ থেকে ৩৭০ ধারা (Article 370) রদও করেছেন মোদি। এই ভুলের জন্য কংগ্রেসের (Congress) ক্ষমা চাওয়া উচিত, দাবি বিজেপির (BJP)।

    জম্মু-কাশ্মীরের ভারতে অন্তর্ভুক্তিকরণের ৭৫তম বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপির (BJP) মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া বলেন, দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পাঁচটি ভুল করেছিলেন। এর মধ্যে ছিল এই অঞ্চলের রাজা হরি সিংয়ের ভারত অন্তর্ভুক্তিকরণ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করাও। তিনি বলেন, এর মূল্য চোকাতে হয়েছে ভারতকে। জম্মু-কাশ্মীরের একটি অংশ দখল করে নিয়েছে পাকিস্তান।  

    বিজেপির (BJP) এই মুখপাত্র বলেন, ১৯৪৭ সালের জুলাই মাসে এনিয়ে সওয়াল করেছিলেন রাজা হরি সিং। যদিও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ আবদুল্লা দেশের স্বার্থ উপেক্ষা করে স্বার্থ খুঁজে বেড়াচ্ছিলেন তাঁর ও তাঁর বন্ধুদের। এর পরেই কংগ্রেসকে আক্রমণ করে ভাটিয়া বলেন, যদি সময় মতো উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া যেত, তাহলে ভারতের কোনও অংশই পাকিস্তান দখল করতে পারত না। এই ইস্যুতে তখন থেকেই কংগ্রেস মিথ্যে বলে আসছে। গোপন করতে চাইছে সত্য। তিনি বলেন, ঘরোয়া বিষয়টিকে নেহরু তখন নিয়ে গেলেন রাষ্ট্রসংঘে। পার্টি করলেন পাকিস্তানকে।

    আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদে অর্থ জোগানোর অভিযোগের তদন্তে জম্মু-কাশ্মীরে তল্লাশি এনআইএ-র, গ্রেফতার ১

    বিজেপির (BJP) এই মুখপাত্র বলেন, কংগ্রেস কৌশলে গণভোটের ধারণাটি ভাসিয়ে দিয়েছিল। যদিও স্বাধীনতা আইনে এর কোনও সংস্থান ছিল না। ওই সময় একশোরও বেশি রাজ্য ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। তিনি জানান, জম্মু-কাশ্মীর যা এখন একটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল, সেখানে জারি করা হয়েছিল ৩৭০ ধারা। যার জন্য দেশকে চড়া মূল্য চোকাতে হয়েছে। ভাটিয়া বলেন, তৎকালীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বল্লভভাই প্যাটেল নেহরুকে বলেছিলেন, অন্যান্য দেশীয় রাজ্যের মতো জম্মু-কাশ্মীরও যদি ভারতের অন্তর্ভুক্ত হত, তাহলে সম্ভবত এখানে কোনও জেহাদি সন্ত্রাসবাদী থাকত না। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর এই ভুলগুলিই সংশোধন করেছেন মোদি। এবং তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্ব বিশ্বকে পথ দেখাচ্ছে। এই পদ্ম নেতা বলেন, এই সব ভুলের জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিত কংগ্রেসের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • PM Modi: ঋষিকে শুভেচ্ছা ফোন, মুক্ত বাণিজ্য নিয়েও বার্তা মোদির

    PM Modi: ঋষিকে শুভেচ্ছা ফোন, মুক্ত বাণিজ্য নিয়েও বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটেনের (Britain) প্রধানমন্ত্রীকে ফোন ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রীর! বৃহস্পতিবার ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনককে (Rishi Sunak) ফোন করলেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। দুজনের মধ্যে শুভেচ্ছা বিনিময় হয়। কথা হয় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (FTA) নিয়েও।

    ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে বসেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক। ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস দেড় মাসের মাথায় পদত্যাগ করায় ওই পদে বসেন ঋষি। তামাম ভারত যেদিন দীপাবলি উৎসবে মাতোয়ারা, সেদিনই প্রধানমন্ত্রী পদে ঋষির নাম ঘোষণা করে তার দল কনজারভেটিভ পার্টি। এর পর বৃহস্পতিবার মোদি ফোন করেন ঋষিকে। জানা গিয়েছে, প্রথমে ঋষিকে শুভেচ্ছা জানানোর পর ‘কাজের কথায়’ চলে যান মোদি। মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে দু দেশের একটা সিদ্ধান্তে আসা যে প্রয়োজন, তাও ঋষিকে বলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি দীপাবলির মধ্যে হয়ে যাবে বলে আশা করেছিল ভারত। কিন্তু গত প্রায় দু মাস ধরে ব্রিটেনের ঘটনাপ্রবাহের জেরে স্বাক্ষরিত হয়নি সেই চুক্তি।

    আরও পড়ুন: মোদি দেশপ্রেমিক, ওঁর নেতৃত্বে ভারতের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে, জানালেন পুতিন

    ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথাবার্তা শেষ করে ট্যুইট করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ট্যুইট- বার্তায় তিনি লেখেন, আজ ঋষি সুনকের সঙ্গে কথা বলতে পেরে খুব খুশি। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে বসায় তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছি। দু দেশের সম্পর্ক মজবুত করতে আমরা এক সঙ্গে কাজ করব। মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির ব্যাপারে যে দ্রুত সিদ্ধান্তে আসা প্রয়োজন, তা নিয়েও আমরা একমত হয়েছি।

    পাল্টা ট্যুইট করেছেন ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রীও। তাঁর নয়া ভূমিকায় তাঁকে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন মোদিকে। ট্যুইট বার্তায় সুনক লিখেছেন, ভারত এবং ব্রিটেন অনেক কিছুই শেয়ার করে। আমি উত্তেজিত এই ভেবে যে দুটি মহান গণতন্ত্র সব কিছু পেতে পারে যদি আমরা নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা এবং অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব বজায় রাখতে পারি মাসের পর মাস এবং বছরের পর বছর ধরে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Bombay High Court: বিবাহিত মহিলাদের বাড়ির কাজ করতে বলা নিষ্ঠুরতা নয়, জানাল বম্বে হাইকোর্ট

    Bombay High Court: বিবাহিত মহিলাদের বাড়ির কাজ করতে বলা নিষ্ঠুরতা নয়, জানাল বম্বে হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘কোনও বিবাহিত মহিলাকে (Married Woman) যদি গৃহস্থালির কাজ (Household Work) বলা মানে, তিনি কাজের লোক (Maid) হয়ে গেলেন না। এটি কোনওভাবে নিষ্ঠুরতাও (Cruelty) নয়।’ এমনটাই জানাল বম্বে হাইকোর্ট। একটি মামলায় আজ এই পর্যবেক্ষণ করেছে বম্বে হাইকোর্টের (Bombay High Court) ঔরঙ্গাবাদ বেঞ্চ (Aurangabad Bench)। আদালত জানিয়েছে, যে বিয়ের আগে মহিলাকে উল্লেখ করে দিতে হবে যে তিনি ঘরের কাজ করতে না চাইলে করবেন না।   

    বিচারপতি বিভা কঙ্কনওয়াড়ি এবং রাজেশ পাতিলের বেঞ্চ বলে, “যদি একজন বিবাহিত মহিলাকে পরিবারের প্রয়োজনে গৃহস্থালির কাজ করতে বলা হয়, তবে তিনি দাসী হয়ে গেলেন এটা ভাবার কোনও কারণ নেই। যদি তাঁর নিজের সংসারের কাজ করার ইচ্ছা না থাকে। তাহলে বিয়ের আগেই মহিলার বলা দেওয়া উচিত যে তিনি ঘরের কাজ করতে পারবেন না। যাতে বর বিয়ের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার সুযোগ পান। বা বিষয়টির অন্য কোনও সমাধান খুঁজে বের করতে পারেন।”

    ভারতীয় দণ্ডবিধির (IPC) ৪৯৮ এ  অধীনে দায়ের করা একটি মামলার শুনানি চলাকালীন আদালত এই পর্যবেক্ষণ জানায়। এক মহিলা স্বামী এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে নিষ্ঠুরতার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। এই ধারা অনুযায়ী, যদি কোনও স্বামী বা স্বামীর আত্মীয় কোনও মহিলাকে নিষ্ঠুরতার শিকার করেন, তবে তাঁদের তিন বছর পর্যন্ত কারাবাস ও জরিমানা হবে। ৪৯৮ ধারা ছাড়াও ওই মহিলা স্বামীর বিরুদ্ধে ৩২৩ (স্বেচ্ছায় আঘাত করা), ৫০৪ (ইচ্ছাকৃত অপমান) এবং ৫০৬ (অপরাধমূলক ভয় দেখানো) ধারার অধীনে মামলা করেছেন।

    আরও পড়ুন: এটি আর্থিক তছরুপের সহজ পন্থা, ফের ডিয়ার লটারি নিয়ে সরব শুভেন্দু  

    শ্বশুর ও স্বামীর বিরুদ্ধে মহারাষ্ট্রের নান্দেড় জেলার ভাগ্যনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন মহিলা। তিনি অভিযোগ করেন যে, বিয়ের পর এক মাস তাঁর সঙ্গে ভালো আচরণ করা হয়েছিল। কিন্তু তারপরে শ্বশুরবাড়ির লোক তাঁর সঙ্গে দাসীর মতো আচরণ করতে শুরু করে। মহিলার আরও দাবি, বিয়ের এক মাস পরে শ্বশুরবাড়ির লোকজন এবং স্বামী গাড়ি কেনার জন্য ৪ লক্ষ টাকা দাবি করতে শুরু করেন। তাঁর বাবা সেই টাকা অসামর্থ হলে, এরপর স্বামী তাঁকে মারধর করেন এবং মানসিকভাবে নির্যাতন করেন।    

    অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং তাঁর পরিবার আদালতকে জানিয়েছে যে, মহিলা আগেও বিবাহিত ছিলেন। তাঁর প্রথম স্বামীর বিরুদ্ধেও একই ধরনের অভিযোগ তুলেছিলেন। তাঁদের দাবি, ঘটনায় কোনও সত্যতা নেই। তাই তাঁর প্রথম স্বামীকেও  আদালত বেকসুর খালাস দিয়েছে।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Coimbatore Blast Case: কোয়েম্বাতুর বিস্ফোরণকাণ্ডে গ্রেফতার আরও ১, তদন্তভার এনআইএ-র হাতে

    Coimbatore Blast Case: কোয়েম্বাতুর বিস্ফোরণকাণ্ডে গ্রেফতার আরও ১, তদন্তভার এনআইএ-র হাতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোয়েম্বাতুর বিস্ফোরণ (Coimbatore Blast) কাণ্ডের তদন্তভার গেল এনআইএর (NIA) হাতে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে বৃহস্পতিবার তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। এর ঠিক একদিন আগেই তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন তদন্তভার এনআইএর হাতে তুলে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সেই মতো তদন্তভার দেওয়া হল এনআইএর হাতে। এ প্রসঙ্গে এক প্রবীণ সরকারি আধিকারিক বলেন, কোয়েম্বাতুর বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়েছে এনআইএর হাতে। এই সংস্থা নতুন করে এফআইআর করবে।

    গত রবিবার সকালে তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাতুরের কোট্টাই ঈশ্বরান মন্দিরের কাছে একটি গাড়িতে বিস্ফোরণ (Coimbatore Blast) ঘটে। মৃত্যু হয় গাড়িতে থাকা বছর পঁচিশের যুবক জামেজা মুবিনের। তিনি ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। ওই ঘটনার পরে পরেই মুবিনের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। বাজেয়াপ্ত হয় প্রচুর বিস্ফোরক। তদন্তকারীদের অনুমান, ভবিষ্যতে বড় ধরনের নাশকতার ছক ছিল। বছর কয়েক আগেও একবার মুবিনকে জেরা করেছিল এনআইএ।

    বিস্ফোরণের (Coimbatore Blast) ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এঁরা হলেন মহম্মদ তালকা, মহম্মদ আজহারউদ্দিন, মহম্মদ রিয়াজ, ফিরোজ ইসমাইল এবং মহম্মদ নওয়াজ ইসমাইল। প্রত্যেকেরই বয়স কুড়ির কোঠায়। জানা গিয়েছে, এঁদের মধ্যে কয়েকজনকে ২০১৯ সালে একবার জেরা করেছিল এনআইএ। ধৃতদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে সংযোগকারীদের খুঁজতে তল্লাশি এনআইএ-র, আইনজীবী সহ গ্রেফতার ২

    এদিকে, কোয়েম্বাতুর বিস্ফোরণ (Coimbatore Blast)-কাণ্ডে বৃহস্পতিবার আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে তামিলনাড়ু পুলিশ। বিস্ফরণে নিহত মুবিনের আত্মীয় তিনি। বছর আঠাশের ওই যুবকের নাম আফসার খান। ভিনসেন্ট রোডের বাসিন্দা তিনি। জানা গিয়েছে, পুরো ষড়যন্ত্রে আফসার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। বিস্ফোরক তৈরিতে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল সরবরাহ করেছিলেন তিনি। ই-কমার্স ওয়েবসাইটগুলি থেকে তিনি সেগুলি সংগ্রহ করেছিলেন বলে অভিযোগ। এক প্রবীণ পুলিশ আধিকারিক বলেন, আফসার মুবিনকে কাঁচামালগুলো মেশাতেও সাহায্য করেছিল। পরে সেই মিশ্রণ নিয়ে যাওয়া হয় গাড়িতে। ছোট ছোট তিনটে পাত্রে ভরে তা নিয়ে যাওয়া হয়। সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয় পেরেক এবং মার্বেল। এনআইএর এক আধিকারিক বলেন, সংস্থা প্রয়োজনীয় অর্ডার পেয়েছে। অকুস্থল খতিয়ে দেখতে একটি দল গিয়েছে কোয়েম্বাতুরে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • India beat Netherlands: ফের দুর্দান্ত ইনিংস কোহলির, ৫৬ রানে নেদারল্যান্ডকে হারাল ভারত

    India beat Netherlands: ফের দুর্দান্ত ইনিংস কোহলির, ৫৬ রানে নেদারল্যান্ডকে হারাল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত জয়ের মাধ্যমে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (T20 World Cup) শুরু করার পর আজ নেদারল্যান্ডের বিরুদ্ধেও দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে জয়ের ধারা অব্যহত রাখল মেন ইন ব্লু। যদিও এই ম্যাচের ফলাফল সম্পর্কে সকলেই প্রায় নিশ্চিত ছিল। নেদারল্যান্ডকে এই ম্যাচ হারানোর ফলে গ্রুপ ২ এর শীর্ষ স্থানে পৌঁছে গেল টিম ইন্ডিয়া। এমন পরিস্থিতিতে ভারতীয় দল আর দুটি ম্যাচ জিতলেই সেমিফাইনালে পৌঁছাতে পারবে। আজ ম্যাচের শুরুতেই ভারত টসে জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয়।

    সিডনির একই মাঠে পরপর দুটো ম্যাচ।ফলে ২০ ওভারের ক্রিকেটের প্রত্যাশিত ছন্দে শুরু করতে পারেননি রোহিত, লোকেশ রাহুলরা। তার উপর রাহুল আউট হলেন ৯ রানে। ভারতীয় দলের সহ-অধিনায়ক অবশ্য আউট ছিলেন না। আম্পায়ার আউট দিলেও অধিনায়ক রোহিতের পরামর্শে রিভিউ না নিয়েই সাজঘরে ফিরে যান রাহুল। পরে দেখা যায় বল লেগ স্টাম্পের বাইরে ছিল।ভারতীয় ইনিংসের প্রথম কয়েক ওভার তেমন রান ওঠেনি। আট-নয় ওভার থেকে হাত খুলতে শুরু করেন ভারতীয় ব্যাটাররা। মন্থর উইকেটের সুবিধা কাজে লাগাতে পারলেন না নেদারল্যান্ডসের বোলাররা।

    [tw]


    [/tw]

    রোহিত, কোহলিরা চেনা মেজাজে ব্যাট করলেন। তাঁরা দু’জন ছাড়াও অর্ধশতরান এল সূর্যকুমার যাদবের ব্যাট থেকেও। রোহিত করলেন ৩৯ বলে ৫৩ রান। তাঁর ইনিংসে রয়েছে চারটি বাউন্ডারি এবং তিনটি ওভার বাউন্ডারি। মেলবোর্নে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যে মেজাজে ছিলেন, সিডনিতে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধেও সেই মেজাজে দেখা গেল প্রাক্তন অধিনায়ককে। এই ম্যাচেও শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকলেন কোহলি। ৪৪ বলে ৬২ রানের ইনিংস খেলার পথে মারলেন তিনটি চার এবং দু’টি ছক্কা। প্রতিপক্ষ তুলনায় দুর্বল হলেও কোহলির চোখে-মুখে ছিল চেনা সংকল্পের ছাপ।

    রোহিত আউট হওয়ার পর চার নম্বরে ব্যাট করতে নামেন সূর্যকুমার যাদব। প্রত্যাশা মতো প্রথম থেকেই আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট করলেন সূর্যকুমার। তিনি নামার পর বেশ খানিকটা বাড়ল ভারতের রান তোলার গতিও। সূর্যকুমারও শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকলেন ২৫ বলে ৫১ রানের ইনিংস খেলে।ভারতীয় ব্যাটারদের বিরুদ্ধে নেদারল্যান্ডসের বোলারদের কেউই তেমন সুবিধা করতে পারলেন না। নেদারল্যান্ডসের সফলতম বোলার পল ভ্যান মিকিরেন ৩২ রানে ১ উইকেট নিলেন। ফ্রেড ক্লাসেন ১ উইকেট পেলেন ৩৩ রান দিয়ে।

    [tw]


    [/tw] 

    জয়ের জন্য ১৮০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সাধ্য মতো লড়াই করল স্কট এডওয়ার্ডসের দল।তবে, প্রথমে অক্ষর প্যাটেল, রবিচন্দ্রন অশ্বিনদের দাপটে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে ডাচরা। অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস করলেন ৫ রান। সর্বোচ্চ ২০ রান টিম প্রিঙ্গলের। ১৭তম ওভারে পরপর দুই বলে উইকেট নেন অর্শদীপ সিং। দুটি করে উইকেট ভাগ করে নিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন, অক্ষর প্যাটেল, ভুবনেশ্বর কুমার, অর্শদীপ সিং। একটি উইকেট নেন মহম্মদ সামির। অবশেষে ভারতের দেওয়া ১৭৯ রান তাড়া করতে নেমে ১২৩ রানেই গুটিয়ে গেল ডাচরা।

    গত মঙ্গলবার অনুশীলনের পর খাবার ‘অযোগ্য’ এবং ‘অপর্যাপ্ত’ মধ্যহ্নভোজের ব্যবস্থা করা হয়েছিল সিডনির আয়োজকদের পক্ষে। না খেয়েই মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন রোহিত, কোহলিরা। তাতেও যে ভারতকে দমানো যায় না, তা মাঠে নেমে প্রমাণ করে দিলেন ভারতীয় দলের ক্রিকেটাররা।

    তুলনায় দুর্বল প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধেও কোনও পরীক্ষা নিরীক্ষার পথে যায়নি ভারতীয় দল। পাকিস্তান ম্যাচের প্রথম একাদশে কোনও পরিবর্তন করেনি। উইনিং কম্বিনেশন ভাঙতে চাননি কোচ রাহুল দ্রাবিড়। ভারতের পরবর্তী ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ৩০ অক্টোবর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • JU Finanacial Crisis: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক সংকটে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হয়ে সাহায্য চেয়ে পোস্ট ৯২ বছর বয়সী প্রাক্তনীর

    JU Finanacial Crisis: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক সংকটে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হয়ে সাহায্য চেয়ে পোস্ট ৯২ বছর বয়সী প্রাক্তনীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের শিক্ষা পরিষ্ঠানের আর্থিক সংকটের (JU Financial Crisis) কথা জানতে পেরে ফেসবুকে আর্থিক সাহায্যের অনুরোধ করলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯২ বছর বয়সী প্রাক্তনী স্যানফ্রান্সিস্কোর বাসিন্দা রমেন চক্রবর্তী (Ramen Chakrabarti)। ১৯৫৪ সালে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে স্নাতক হন রমেন বাবু। তিনি বলেন, সংবাদমাধ্যম থেকে তিনি জানতে পারেন ল্যাবরেটারি রক্ষণাবেক্ষণের জন্যে প্রয়োজনীয় টাকা নেই বিশ্ববিদ্যালয়ের।

    গ্লোবাল যাদবপুর ইউনিভার্সিটি অ্যালুমনাই ফাউন্ডেশনের পেজে তিনি ২৩ অক্টোবর একটি ভিডিও পোস্ট করেন। সেখানে লেখেন, “সংবাদমাধ্যম থেকে আমি জানতে পারি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটারি রক্ষণাবেক্ষণের টাকা নেই। শুধু শিক্ষকদের মায়নে দেওয়ার মতো সামর্থটুকু আছে। আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে আমার বিশ্ববিদ্যালয় এটা ভেবে কান্না পাচ্ছে।” 

    তিনি আরও লেখেন। “এরকমটা কেন হবে? বিশ্ববিদ্যালয়ের কত ছাত্র-ছাত্রী গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, যারা নিজ জীবনে প্রতিষ্ঠিত এবং প্রচুর অর্থ উপার্জন করেন। আমি যাদবপুরের সব ছাত্র-ছাত্রীর কাছে অনুরোধ করতে চাই সবাই নিজের সাধ্যমতো অর্থ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে দাঁড়ান। আমার দেখা বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে যাদবপুর অন্যতম। যাদবপুর আপনাদের দুহাত ভরে দিয়েছে, এবার আপনাদের পালা।” 

    আর দু’মাস পরেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক সমাবর্তন সভা (Jadavpur University Convocation) অনুষ্ঠিত হবে। তবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় যে আর্থিক সংকটের (Extreme fund crunch) মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, তাতে সভার আয়োজন নিয়ে মাথায় হাত পড়েছে কর্তৃপক্ষের। এই নিয়ে রাজ্য সরকারকেও চিঠি লিখেছে কর্তৃপক্ষ। অতিমারির জেরে গত দু’বছর বন্ধ থাকার পর এ বছর ডিসেম্বর মাসে আবার হতে চলেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন। তবে ধাপে ধাপে কমেছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বরাদ্দ। ব্যাপক আর্থিক সংকটের মধ্যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এ বছরে বার্ষিক সমাবর্তন হলেও হবে না বিশেষ বা সাম্মানিক সমাবর্তন। এমনটাই জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রতিবারের মতো এ বারে সমাবর্তন সভা বড় পরিসরে করা যাবে কি না, তা নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে অধ্যাপকদের মনে। ২০১৭ সালের পর থেকেই ধাপে ধাপে কমেছে আর্থিক অনুদান । এরপর করোনা সংক্রমণের জেরে সেই আর্থিক অনুদানের পরিমাণ আরও হ্রাস পায়। এর ফলে থমকে গিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়নের কাজ। শুধু তাই নয়, করোনা কালে যখন একটানা দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল বিশ্ববিদ্যালয়, তখন আর্থিক অনুদান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সমস্যার সমুখীন হতে হয়েছিল গবেষণার সঙ্গে যুক্ত শিক্ষার্থীদেরও।

    আরও পড়ুন: “আমি ভারতের খুব বড় ভক্ত”, বললেন চিনা রাষ্ট্রদূত

    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বেতন বাদ দিয়ে বার্ষিক খরচ হয় প্রায় ৪৫ কোটি টাকা। চলতি বছরে দুই ধাপে ১২ কোটি টাকা পেয়েছে কর্তৃপক্ষ। তৃতীয় ধাপের টাকা এলে এই সংখ্যাটা ১৮ কোটিতে গিয়ে দাঁড়াবে। তাই এই আর্থিক সংকটের মধ্যে কত ভালো ভাবে সমাবর্তন সভা করা যাবে, সেই বিষয়টা নিয়েও আমাদের মনে একটা আশংকা রয়েছে। কারণ গত দুবছর করোনা কালের সমাবর্তন সভা করা যায়নি ৷ স্বাভাবিকভাবেই এই বছর যাতে খুব ভালো করে এই সমাবর্তন সভা করা যায় সেটাই আমাদের ইচ্ছা।” 
      
    তিনি আরও বলেন, “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোড রয়েছে, তাদের বৈঠকে উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়ে যেন আটকে থাকা বরাদ্দ টাকা দেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত সমস্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার চূড়ান্ত বিভাগ হচ্ছে এই কোড যেখানে প্রতিটি দফতরের প্রধানরা থাকেন।”

    চলতি বছরে বেতন বাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজ্য সরকারি ব্যয় বরাদ্দ ২৩ শতাংশ কমেছে । গবেষণার খাতেও টাকা বন্ধ হয়েছে। ডিএসটির মতো প্রজেক্টের ক্ষেত্রে শর্ত চাপানো হয়েছে । জানানো হয়েছে যে, বাজেটের ২৫ ভাগ ব্যয়ভার বহন করতে হবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস বলেন, “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারকে এই বিষয়টি জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করছি খুব দ্রুতই আমাদের আবেদনে সাড়া দেবে সরকার।” প্রসঙ্গত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক সমাবর্তনের দুটি ভাগ থাকে। একটি হল স্পেশাল বা বিশেষ সমাবর্তন । আরেকটি হল সাধারণ সমাবর্তন। এ বছর বিশেষ সমাবর্তন করা হবে না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। উল্লেখ্য, এর আগেও বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগারগুলির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে থাকা প্রক্তনীদের থেকে আর্থিক সহায়তা পাওয়ার আশায় অ্যালুমনি সেল তৈরি করা হয়েছিল ৷

     ইঞ্জিনিয়ারিং এবং গবেষণার ক্ষেত্রে উপরের তালিকায় রয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। তবে বেশ কয়েকদিন ধরে এই বিশ্ববিদ্যালয় আর্থিক সংকটে ভুগছে। ফলে কীভাবে এই র‌্যাঙ্কিং ধরে রাখা যায়, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সাধারণত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্তনীদের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য চাইলেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এখনও পর্যন্ত প্রক্তনীদের কাছ থেকে পরিকল্পিতভাবে আর্থিক সাহায্য চায়নি। তবে আর্থিক সংকট মেটাতে এখন পরিকল্পিতভাবেই সেই পথে এগোতে চাইছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস বলেন, ‘প্রাক্তনীরা বিভিন্নভাবে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসছেন। মুম্বই, সিঙ্গাপুর আমেরিকায় থাকা প্রাক্তনীরা সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসছেন।’ উপাচার্যের আশায় এভাবে প্রক্তনীদের সহায়তায় যাদবপুর এগিয়ে যাবে।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

LinkedIn
Share