Blog

  • Rajasthan: ঋণ মেটাতে কিশোরীদের তোলা হচ্ছে নিলামে! না মানলে মাকে ধর্ষণ! নিদান রাজস্থান খাপ পঞ্চায়েতের

    Rajasthan: ঋণ মেটাতে কিশোরীদের তোলা হচ্ছে নিলামে! না মানলে মাকে ধর্ষণ! নিদান রাজস্থান খাপ পঞ্চায়েতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিরিয়া কিংবা ইরাকে আইএস মতো ঘটনা খোদ ভারতের মাটিতে। ঋণ মেটাতে না পারলে নাবালিকা নিলামের নিদান পঞ্চায়েতের। এই বর্বরোচিত ঘটনা ঘটেছে  কংগ্রেস শাসিত রাজস্থানের ভিলওয়ারা সংলগ্ন ছয়টি জেলায়। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (National Human Rights Commission) এই বিষয়ে রাজস্থান সরকারকে নোটিশ দিলে গোটা ঘটনা জনসমক্ষে আসে। জানা গিয়েছে ঋণ শোধ অপারগ হলে আট থেকে ১৮ বছরের মেয়েদের নিলামের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে খাপ পঞ্চায়েতের তরফ থেকে। শুধু তাই নয় সরকারী স্ট্যাম্প পেপারে চলছে এই নিলাম। সর্বপেক্ষা ভয়ংকর বিষয় এই যে মানা না হলে মাকে ধর্ষণের নিদান দিচ্ছে পঞ্চায়েত।

    মানবাধিকার কমিশনের সূত্রে খবর, রাজস্থানের একাধিক জেলায় সম্পত্তি সংক্রান্ত বিবাদের নিষ্পত্তির জন্য ডেকে পাঠাচ্ছে দুই দলকে স্থানীয় পঞ্চায়েত। খাপের বিচারে যে পক্ষ হারছে, সেই পক্ষের ৮ থেকে আঠারো বছর বয়সি মেয়েদের স্ট্যাম্প পেপারে সইসাবুদ করে নিলামে তোলা হচ্ছে।স্ট্যাম্প পেপারের সেই আনুষ্ঠানিক চুক্তিপত্রে দেখানো হয় যে, ওই কিশোরীদের দত্তক নেওয়া হয়েছে। আদতে ওই কিশোরীদের  নিলামে উপস্থিত ব্যক্তিদের মধ্যে যে বা যারা সর্বোচ্চ দাম হাঁকছে,পঞ্চায়েত তাদের হাতে তুলে দিচ্ছে কিশোরীদের , হাত ঘুরে সেই মেয়েদের উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, মুম্বই, দিল্লির বিভিন্ন যৌনপল্লিতে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। শুধু তা-ই নয়, কমিশনের কাছে এই মর্মে অভিযোগ জমা পড়েছে যে, মেয়েদের নিলামে তুলতে বাধা দেওয়া হলে তাদের মায়েদের ধর্ষণ করার নিদান দেওয়া হচ্ছে।

    সূত্র মারফত জানা গিয়েছে দেশের পঞ্চায়েতি রাজ আইন অনুসারে পঞ্চায়েতগুলি নারী এবং শিশু সুরক্ষায় কী ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকারের কাছে তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে কমিশন তরফে। এই ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, রাজস্থান পুলিশের ডিজির কাছে জানতে চেয়েছে কমিশন। জানা গিয়েছে মানবাধিকার কমিশন বৃহস্পতিবার সেই  রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়ে এই বিষয়ে রিপোর্ট তলব করেছে আর মাত্র চার সপ্তাহের মধ্যে রাজস্থান সরকারের জবাব চেয়েছে তারা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Elon Musk Twitter: ট্যুইটার অধিগ্রহণ করলেন ইলন মাস্ক, প্রথমেই ছাঁটলেন পরাগ আগরওয়ালকে

    Elon Musk Twitter: ট্যুইটার অধিগ্রহণ করলেন ইলন মাস্ক, প্রথমেই ছাঁটলেন পরাগ আগরওয়ালকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ টালবাহানা ও আইনি জটিলতার পর অবশেষে ট্যুইটার  (Twitter) অধিগ্রহণ করলেন মার্কিন ধনকুবের তথা টেসলা সিইও ইলন মাস্ক (Tesla CEO Elon Musk)। 

    দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমেই তিনি পুরনো শীর্ষ কর্তাদের ছেঁটে ফেলার প্রক্রিয়া শুরু করেন। সেই তালিকায় ছিলেন সংস্থার ভারতীয় বংশোদ্ভূত সিইও পরাগ আগরওয়াল (Twitter CEO Parag Agarwal)। পরাগ সহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্তাকে বরখাস্ত করলেন মাস্ক (Elon Musk)। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, পরাগের পাশাপাশি এই জনপ্রিয় মাইক্রো-ব্লগিং সাইটের চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার বা সিএফও নেদ সেগালকেও (Ned Segal) ছাঁটাই করা হয়েছে। এছাড়া বরখাস্ত করা হয়েছে জেনারেল কাউন্সেল শন এজেটকে। 

    পরাগের পাশাপাশি, ট্যুইটার থেকে মাস্ক (Elon Musk) বরখাস্ত করেছেন আরেক ভারতীয় বংশোদ্ভূত কর্তাকে। তিনি বিজয়া গাড্ডে (Vijaya Gadde)। এতদিন সংস্থার আইনি নীতি (লিগাল পলিসি), ট্রাস্ট এবং নিরাপত্তার প্রধান ছিলেন তিনি। গুরুত্বপুর্ণ বিষয় হল বিজয়া গাড্ডেই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে স্থায়ীভাবে ট্যুটার থেকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এর আগেও, গাড্ডের সমালোচনায় সরব হয়েছিলেন মাস্ক। 

    এই বছরের ১৩ এপ্রিল ট্যুইটার কেনার ঘোষণা করেন। কিন্তু তারপরে স্প্যাম এবং জাল অ্যাকাউন্টের কারণে তিনি সেই চুক্তিটি আটকে রেখেছিলেন। এরপর ৮ জুলাই মাস্ক চুক্তি ভাঙার সিদ্ধান্ত নেন। এর বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল ট্যুইটার। কিন্তু তারপর অক্টোবরের শুরুতে মাস্ক তাঁর অবস্থান পরিবর্তন করেন। আবার চুক্তিটি সম্পূর্ণ করতে সম্মত হন। অন্যদিকে, ২৮ অক্টোবরের মধ্যে চুক্তিটি সম্পন্ন করার নির্দেশ দেয় মার্কিন আদালত। সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার একদিন আগেই ট্যুইটার অধিগ্রহণ করলেন মাস্ক (Elon Musk)। 

    বৃহস্পতিবার মাস্ক (Elon Musk) বিবৃতি দিয়ে জানান যে, তিনি ট্যুইটার অধিগ্রহণ করছেন। ‘মানবতার স্বার্থেই’ তাঁর এই পদক্ষেপ বলে বার্তা দেন তিনি। ট্যুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘‘আরও অর্থ উপার্জনের জন্য কিনিনি। মানবতার জন্য কিনেছি। মানবতার ভবিষ্যৎ এমন হওয়া উচিত যেখানে সমস্ত পক্ষের স্বাধীন মতামত প্রকাশের একটা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম থাকবে। সুস্থ পরিবেশে বিতর্ক হবে।’’ 

    প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Former US President Donald Trump) একটি বিবৃতি জারি করে বলেছেন, ‘‘ট্যুইটার কেনার জন্য এলন মাস্ককে (Elon Musk) অভিনন্দন। অনেকেই বলেছেন, পরিবর্তনের খুব প্রয়োজন। আমাকে বলা হয়েছিল যে আমার অ্যাকাউন্ট ব্যাক-আপ সহ সোমবারের মধ্যে সক্রিয় করা হবে।’’

    প্রসঙ্গত, বুধবারই ট্যুইটারে একটি ভিডিও শেয়ার করেন মাস্ক (Elon Musk)। ভিডিওতে মাস্ককে ট্যুইটার অফিসে একটি ‘সিঙ্ক’ নিয়ে যেতে দেখা যায়। মাস্ক তার ট্যুইটার প্রোফাইলের বায়ো পরিবর্তন করে তাঁর ব্যক্তিগত বিবৃতিতে ‘ট্যুইট চিফ’ লিখেছেন। পাশাপাশি তিনি তাঁর প্রোফাইলে তাঁর লোকেশন পরিবর্তন করে ট্যুইটার সদর দফতর করে দিয়েছেন। 

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Indian Railways: উৎসবের মরশুমে ভারতীয় রেলওয়ের তরফে বিশেষ উপহার! ছট পুজোতে চলবে সেকেন্দ্রাবাদ-সাঁতরাগাছি ট্রেন

    Indian Railways: উৎসবের মরশুমে ভারতীয় রেলওয়ের তরফে বিশেষ উপহার! ছট পুজোতে চলবে সেকেন্দ্রাবাদ-সাঁতরাগাছি ট্রেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উৎসবের মরশুমে সাধারণ মানুষের জন্য ফের এক উপহার! আর এই উপহার দেওয়া হল ভারতীয় রেলওয়ের (Indian Railways) তরফে। কালীপুজো, ভাইফোঁটা পেরিয়ে গেলেও সামনেই রয়েছে ছট পুজা। ফলে উৎসবের মরশুমে যাত্রীদের সুবিধার্থে ও ভিড় এড়ানোর জন্য সেকেন্দ্রাবাদ থেকে সাঁতরাগাছির মধ্যে দুটো স্পেশাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিল ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষ।

    দক্ষিণ-পূর্ব রেলের (Indian Railways) তরফে ইতিমধ্যেই এই সিদ্ধান্তের কথ ঘোষণা করা হয়েছে ও আর আগামীকালেই এই ট্রেন চালু করা হবে। গতকাল, অর্থাৎ বুধবার রেলওয়ের তরফে একটি নোটিশ জারি করে জানানো হয়েছে, ট্রেন নং.০৭৬৪৫ সেকেন্দ্রাবাদ-সাঁতরাগাছি স্পেশাল ট্রেনটি সেকেন্দ্রাবাদ থেকে ২৮ অক্টোবর চালু করা হবে। এই ট্রেনটি সকাল ০৮.৪০ টায় রওনা দেবে বিশাখাপত্তনমে ২০.৩০ টায় পৌঁছবে এবং পরের দিন ১০.২৫-এ সাঁতরাগাছি পৌঁছবে৷

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর রোজগার মেলায়, প্রথম ধাপে, বাংলার ২৬৭ জনের চাকরি

    আবার ২৯ অক্টোবর ফেরার পথে, ০৭৬৪৬ সাঁতরাগাছি- সেকেন্দ্রাবাদ স্পেশাল ট্রেনটি ১৮.৪৫ মিনিটে সাঁতরাগাছি থেকে সেকেন্দ্রাবাদের দিকে রওনা দেবে ও পরের দিন ৭.০০ টায় বিশাখাপত্তনমে পৌঁছবে এবং ২১.৩০ টায় সেকেন্দ্রাবাদ পৌঁছবে (Indian Railways)।

    রেল (Indian Railways) সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্রেনটিতে একটি কম্পোজিট কোচ (ফার্স্ট এসি ও এসি ২ টায়ার), চারটি এসি ২ টায়ারের কামরা, এসি ৩ টায়ারের দশটি কামরা, তিনটি স্লিপার ক্লাস, দুটি জেনারেল সেকেন্ড ক্লাস কোচ, একটি সেকেন্ড ক্লাস লাগেজ কাম ডিসএবল কোচ রয়েছে ট্রেনটিতে।

    আরও পড়ুন: নৈস্বর্গিক চেনাব সেতুর ছবি প্রকাশ ভারতীয় রেলের, অপেক্ষা আর মাত্র কয়েকদিনের

    সূত্রের খবর (Indian Railways) অনুযায়ী, এই ট্রেনটি সেকেন্দ্রাবাদ ও সাঁতরাগাছির যাওয়ার পথে যে যে জায়গাগুলোতে থামবে অর্থাৎ স্টপেজ গুলো হল- নালগোন্ডা, মিরিয়ালাগুদা, নাদিকুদে, বিজয়ওয়াড়া, তাদেপল্লিগুডেম, রাজামুন্দ্রি, সামালকোট, দুভভাদা, বিশাখাপ্টনম, ভিজিয়ানগরম, খুরদা রোড, ভুবনেশ্বর, ভদ্রক, বালাসোর এবং খড়গপুর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Rajnath Singh on Pok:পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে ইসলামাবাদকে হুঁশিয়ারি রাজনাথের

    Rajnath Singh on Pok:পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে ইসলামাবাদকে হুঁশিয়ারি রাজনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার সেনার শৌর্য দিবস উপলক্ষে শ্রীনগরের একটি অনুষ্ঠানে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী (Defence Minister) রাজনাথ সিং বলেন যে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জনগণের সঙ্গে  নৃশংসতা চালাচ্ছে পাকিস্তান। এর পরিণতি তাদের ভোগ করতে হবে।

    [tw]


    [/tw]

    পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে পুনরুদ্ধার করার ইঙ্গিত দিয়ে তিনি জানান যে, জন্মু কাশ্মীর ও লাদাখের উন্নয়নের ধারা পাক অধিকৃত কাশ্মীরে পৌঁছে দিতে ভারত সরকার বদ্ধপরিকর।এই উন্নয়ন কাজের পরিসমাপ্তি ঘটবে গিলগিট ও বালোচিস্তান অর্জনের পর।  ভারতীয় সেনাবাহিনী কাশ্মীর উপত্যকায় ১৯৪৭ সালের ২৭ অক্টোবর ভারতের মাটিতে প্রথম বহিরাগত আক্রমণ প্রতিহত করে। শিখ রেজিমেন্টের প্রথম ব্যাটেলিয়ান এই জয় এনে দেয়। সেই দিনটিকে স্মরণে রেখেই স্বাধীন ভারতের প্রথম সামরিক ইভেন্টের স্মরণে পদাতিক দিবস পালন করা হয়।

    [tw]


    [/tw]

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং আরও বলেন, পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদীরা কাশ্মীরে সব সময় অস্থিরতা তৈরি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সন্ত্রাসবাদীদের কোনও ধর্ম হয় না। তাদের একমাত্র লক্ষ্য ভারতকে টার্গেট করা। তিনি আরও জানান, ২০১৯ সালে কাশ্মীরে ৩৭০ ও ৩৫ এ ধারা বাতিল করার পরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে উন্নয়নের ধারা বইছে কাশ্মীর উপত্যকায়। আজ জন্মু কাশ্মীরের জনগণের প্রতি বৈষম্যেরও অবসান ঘটেছে এই ধারা গুলি অবসানের মাধ্যমে।

    রাজনাথ আরও বলেন, জম্মু কাশ্মীরে যখন সন্ত্রাসবাদীদের নিকেশ করা হয়, তখন দেশের কিছু মানবাধিকার কর্মী কাঁদতে শুরু করে। কিন্তু সেই সন্ত্রাসবাদীরাই যখন জওয়ানদের আক্রমণ করে, তারা লুকিয়ে পড়ে। এভাবেই নব্বই দশকের শুরু থেকে এখানে অরাজকতা শুরু হয়েছিল। তবে উপত্যকায় ৩৭০ ধারা বাতিল করে পরিস্থিতির যে উন্নতি হচ্ছে, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Kolkata Dengue: বাংলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৪৫ হাজার ছুঁইছুঁই!  প্রশাসনের গাফিলতিতে ক্ষুব্ধ মানুষ

    Kolkata Dengue: বাংলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৪৫ হাজার ছুঁইছুঁই! প্রশাসনের গাফিলতিতে ক্ষুব্ধ মানুষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ডেঙ্গি (Dengue)পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বাংলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৪৫ হাজার ছুঁইছুঁই। উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্যভবনও। শুক্রবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য ভবন যে বুলেটিন দিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৪২ হাজার ৬৬৬ জন। চলতি সপ্তাহে মশাবাহিত এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৫,৯৩৬ জন। সাপ্তাহিক আক্রান্তের রেখচিত্রে এই সপ্তাহেই সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ঘটেছে।  এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি উত্তর ২৪ পরগনায়। এ ছাড়া হাওড়া, হুগলি, কলকাতা ও মুর্শিদাবাদ জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। 

    আরও পড়ুন: ফের করোনার দাপট ভারতে, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

    এরই মধ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে রাজ্যে মৃত্যু হল এক পুলিশ (Police) কর্মীর। কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) এএসআই (ASI) উৎপল নস্কর বৃহস্পতিবার থেকে সিএমআরআই হাসপাতালে (CMRI Hospital) ভর্তি ছিলেন। পুলিশ সূত্রে খবর,পঞ্চাশোর্ধ ওই পুলিশ কর্মী শনিবার ভোর ৫টা নাগাদ মারা যান। এদিকে পুলিশ বাহিনীর আরও কয়েকজন কর্মী ডেঙ্গি আক্রান্ত বলে পুলিশ সূত্রে খবর। 

    আরও পড়ুন: সিবিআই-এর তলব এড়িয়ে ই-মেল করলেন কেষ্ট কন্যা, কী লিখেছেন চিঠিতে?

    ডেঙ্গির সঙ্গেই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ম্যালেরিয়া। চিকিত্‍সকরা বলছেন, একই সঙ্গে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। কমবয়সী ও মহিলাদের মধ্যে বাড়ছে ডেঙ্গির প্রবণতা। ভালভাবে শীত না পড়া পর্যন্ত ডেঙ্গির প্রকোপ চলবে বলে অনুমান স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।  স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খ‍বর, বেশ কিছু জায়গায় মারাত্মক হারে বাড়ছে ডেঙ্গি। তার মধ্যে, শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। গত এক সপ্তাহে কলকাতায় ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছে ৭৪৫ জন। ব্যারাকপুর পুরসভায় এক সপ্তাহে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৫৩৬। শ্রীরামপুর পুরসভায় ৪৪০ জন।  বহু জায়গায় ডেঙ্গি প্রতিরোধে স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মানুষ। আবার প্রশাসনের তরফ থেকে বলা হচ্ছে,সাধারণ মানুষ সচেতন না হলে পুরসভার পক্ষে  ডেঙ্গি ঠেকানো সম্ভব নয়। বাড়িতে জমা জল পরিষ্কারের ব্যাপারে নাগরিক অনিহাকে দায়ী করা হচ্ছে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Jom Pukur Brata: কার্তিক মাসে গ্রাম বাংলায় পালিত হয় ‘যমপুকুর ব্রত’! জানেন এর নেপথ্য গল্প? 

    Jom Pukur Brata: কার্তিক মাসে গ্রাম বাংলায় পালিত হয় ‘যমপুকুর ব্রত’! জানেন এর নেপথ্য গল্প? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  গ্রাম বাংলায় অবিবাহিত  হিন্দু মহিলারা ‘যমপুকুর ব্রত’ উদযাপন করে থাকেন। সম্পূর্ণ কার্তিক মাস ব্যাপী এই ব্রত পালন করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী ,চার বছর এই ব্রত পালন করতে হয়। এই ব্রতের উদ্দেশ্য হলো- পরলোক গমন করেছে এমন প্রতিবেশী-আত্মীয়স্বজনরা যেন উদ্ধার পায় , শান্তি পায় এবং নরক যন্ত্রণা ভোগ না করে‌ ।

    বসতবাড়ির উঠোনে বা মেঝেতে আল দিয়ে অথবা পুকুর পাড়ে এই ব্রত করা হয়। প্রাচীন কালে এক ব্রাহ্মণী ছিলেন। তাঁর একটি পুত্র এবং একটি কন্যা সন্তান ছিল। কন্যার সাথে বিয়ে হয় যমরাজের। কন্যার বিবাহের পর ব্রাহ্মণীর খুব মন খারাপ হয়ে যায়। বাড়িতে তিনি কন্যার অভাব পূরণ করতে ছেলের বিয়ে দেন। ছেলের বৌ নিজ গুণে সবার মন জয় করে। কার্তিক মাস শুরু হতেই উঠোনে খুঁড়ে সে যমপুকুর ব্রত আরম্ভ করে, তা দেখে তাঁর শ্বাশুড়ির মনে হয় ছেলের বৌ তাঁকে তুকতাক করছে। উঠোনের যমপুকুর শ্বাশুড়ি বুজিয়ে দেয়। ছেলের বৌ যমকে উদ্দেশ্যে করে কাঁদতে কাঁদতে বলে -‘আমি তোমার উদ্দেশ্যে যমপুকুর ব্রত করলাম। আমার একবছর হলো’। এরপরের চারবছরে একই ভাবে শ্বাশুড়ির চোখের আড়ালে এই ব্রত সম্পন্ন করতে চায় তার ছেলের বৌ। কিন্তু প্রতিবারই ধরা পড়ে যায়। প্রতিবারই তার শ্বাশুড়ি যমপুকুর মাটি ফেলে বন্ধ করে দেয় এবং তাঁর ছেলের বৌ যমের উদ্দেশ্যে যমপুকুর ব্রত সম্পন্ন হওয়ার কথা বলে। এই ভাবে চারবছর ধরে ছেলের বৌ ‘যমপুকুর ব্রত’ সম্পন্ন করে‌। এরপর অসুস্থতার কারণে তাঁর শ্বাশুড়ি মারা যায়। শ্রাদ্ধ শান্তির জন্য যমরাজের স্ত্রী অর্থাৎ ব্রাহ্মণীর মেয়ে তখন বাপের বাড়ি যায় এবং কাজকর্ম সেরে পুনরায় যমরাজের কাছে ফিরে আসে। যমরাজ তখন তাঁর স্ত্রী কে বলে কখনও যমলোকের দক্ষিণ দিকে যাবে না। কৌতূহলী মনে যমরাজের স্ত্রী ভাবলো কি আছে দক্ষিণ দিকে ? দেখতেই হবে। দক্ষিণ দিকে যেতেই দেখলো তাঁর নিজের মা তখন নরক যন্ত্রণা ভোগ করছেন। যমরাজের স্ত্রী তখন ছুটে যমরাজের কাছে গিয়ে তাঁর নিজের মায়ের উদ্ধারের কথা বলে। যমরাজ তখন বলে, ‘যে ছেলের বৌকে তোমার মা এতো কষ্ট দিয়েছে , সে যদি তোমার মায়ের উদ্দেশ্যে যমপুকুর ব্রত উদযাপন করে তবেই তোমার মা উদ্ধার পাবেন’। কিন্তু সে কি রাজি হবে? যম একথা বলার পরেই তাঁর স্ত্রী ছুটে গেল বাপের বাড়ি। তখন দেখলো তার ভাইয়ের বৌ প্রসব যন্ত্রণা ভোগ করছে। কিন্তু প্রসব হচ্ছে না‌। যমের স্ত্রী তাঁকে বললো -” শ্বাশুড়ির উদ্দেশ্যে যমপুকুর ব্রত উদযাপন করলেই সন্তান ভূমিষ্ঠ হবে” । তখন তার ভাইয়ের বৌ যমপুকুর ব্রত সম্পন্ন করলো । তার গর্ভের সন্তান ভূমিষ্ঠ হলো এবং শ্বাশুড়ি উদ্ধার পেল।

    প্রথমেই ধান, মানকচু, কলা, হলুদ, কলমী, শুশনি, ও হিঞ্চের চারাগাছ, সুপুরি, কয়েকটি কড়ি এবং কয়েকটি মাটির মূর্তি সংগ্রহ করতে হয়।

    আরও পড়ুন: জনশ্রুতি, তাঁর নামেই হয়েছে রানাঘাট শহরের নামকরণ, জানুন রণ ডাকাতের কালীপুজোর গল্প

    এরপর চারটি ঘাটসহ চৌকো একটি পুকুর ( একহাত ×একহাত ক্ষেত্রফলের) কাটতে হয়। এটি জলপূর্ণ করে দক্ষিণদিকের ঘাটে আলপনার উপর মাটির যমরাজ, যমরাণী ও যমের পিসির মূর্তি স্থাপন করতে হয়। উত্তরদিকের ঘাটে মেছো ও মেছুনী, পূর্বদিকস্থ ঘাটে ধোপা ও ধোপানী, পশ্চিমদিকের ঘাটে মাটির কাক, বক, চিল, কুমির, কচ্ছপ, হাঙর ইত্যাদির মাটির মূর্তি রাখতে হয়। পুকুরের মাঝখানে একগোছা ধান, কলমী, শুশনি ও হিঞ্চে গাছ পুঁততে হয়; কচু, হলুদ প্রভৃতি গাছ পাড়ে থাকে। পুজোর সময় পুকুরের চারকোণে চার কড়া কড়ি, চারটি হলুদ ও সুপারি পুঁতে দিয়ে একটি প্রদীপ জ্বালতে হয়; তারপর পূর্বদিকে মুখ করে বসে ফুল সহযোগে যমের পুজা করতে হয়। পুকুরে জল দেওয়ার, গাছে জল ঢালার এবং মূর্তিগুলি পূজা করার আলাদা আলাদা মন্ত্র আছে। 

    পুজো শেষ করে বলতে হয়-
    “সাত ভাইয়ের বোন আমি ভাগ্যবতী।
    যমপুকুর পূজি আমি, সাক্ষী জগৎপতি।।” চার বছর এই ব্রত করতে হয়। চতুর্থ বছরে ব্রাহ্মণ ভোজন করানোর নিয়ম চালু রয়েছে। গ্রাম বাংলায় এই ব্রত আজও পালিত হয়।

  • KPSS: ফের ভূস্বর্গ ছাড়লেন ৯ পরিবার, কারণ জানতে কথা বলবে কাশ্মীরি পণ্ডিত সংঘর্ষ সমিতি  

    KPSS: ফের ভূস্বর্গ ছাড়লেন ৯ পরিবার, কারণ জানতে কথা বলবে কাশ্মীরি পণ্ডিত সংঘর্ষ সমিতি  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের মে মাস থেকে এ পর্যন্ত মোট ১৭টি কাশ্মীরি পণ্ডিত (Pandit) পরিবার ভূস্বর্গ ছেড়েছেন। বেছে বেছে পণ্ডিত সম্প্রদায়ের লোকজনকে খুন করায় দক্ষিণ কাশ্মীর (South Kashmir) থেকে আস্তানা গুটিয়ে অন্যত্র চলে গিয়েছেন তাঁরা। কাশ্মীরি পণ্ডিত সংঘর্ষ সমিতির (KPSS) তরফেই এ খবর জানানো হয়েছে।

    কাশ্মীরে পণ্ডিতদের একটি সংগঠন হল কাশ্মীরি পণ্ডিত সংঘর্ষ সমিতি (KPSS)। এই সমিতির তরফে জানানো হয়, গত সোমবার ভূস্বর্গ ছেড়েছেন ন’টি পরিবার। সংগঠনের তরফে ট্যুইট-বার্তায় জানানো হয়, আজ দক্ষিণ কাশ্মীর ছেড়ে গেলেন আরও ন’টি পরিবার। মে মাস থেকে এ পর্যন্ত কাশ্মীর ছাড়লেন মোট ১৭টি পরিবার। কাশ্মীরি পণ্ডিত সংঘর্ষ সমিতির সভাপতি সজয় টিকু বলেন, আমি ওই পরিবারগুলির সঙ্গে কথা বলব। কী কারণে ৩২ বছর পর তাঁরা কাশ্মীর ছাড়লেন, তা জানতে চাইব।প্রসঙ্গত, চলতি বছর এ পর্যন্ত কাশ্মীরে টার্গেট কিলিংয়ের বলি হয়েছেন সংখ্যালঘু ও পরিযায়ী মিলিয়ে মোট ১৭ জন। এঁদের মধ্যে ছিলেন তিনজন কাশ্মীরি পণ্ডিতও।

    আরও পড়ুন: কাশ্মীর পুলিশের বড় সাফল্য! খতম পরিযায়ী শ্রমিক হত্যাকারী লস্কর জঙ্গি

    তবে সম্প্রতি যে খুনটি হয়, তা ভীষণভাবে নাড়া দিয়েছে উপত্যকাবাসীকে। ১৫ অক্টোবর সন্ত্রাসবাদের বলি হল বছর ছাপ্পান্নর পূরণ কৃষাণ। সোপিয়ান জেলার বাসিন্দা পূরণকে গুলি করে খুন করা হয়। খুনের দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয় কাশ্মীর ফ্রিডম ফাইটারস। এই জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে লস্কর-ই-তইবার যোগ রয়েছে। এর আগে সন্ত্রাসবাদীদের টার্গেট কিলিংয়ের শিকার হন আর এক কাশ্মীরি পণ্ডিত সুনীল কুমার ভাট। সোপিয়ান জেলার এই বাসিন্দাকে খুন করা হয় ১৬ অগাস্ট। জঙ্গিদের ছোড়া গুলিতে জখম হয়েছিলেন তাঁর ভাই। পুলিশ জানিয়েছিল, সুনীলরা দুই ভাই যখন তাঁদের আপেল বাগিচায় কাজ করছিলেন, তখনই আক্রমণ করে জঙ্গিরা।

    পণ্ডিত সম্প্রদায়ের আরও একজন সন্ত্রাসবাদীদের টার্গেট কিলিংয়ের শিকার হয়েছিলেন ১২ মে। তাঁর নাম রাহুল ভাট। সরকারি চাকরি করতেন। বদগাঁওয়ে তাঁর অফিসে ঢুকে তাঁকে গুলি করে খুন করে সন্ত্রাসবাদীরা। ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছিল উপত্যকায়। সরকারি চাকরি ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন সাড়ে তিনশো কর্মী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Ram Temple: ৫০% হয়ে গিয়েছে মন্দির নির্মাণের কাজ, পরের বছর জানুয়ারিতেই ভক্তদের জন্যে খুলে দেওয়া হবে রাম মন্দির

    Ram Temple: ৫০% হয়ে গিয়েছে মন্দির নির্মাণের কাজ, পরের বছর জানুয়ারিতেই ভক্তদের জন্যে খুলে দেওয়া হবে রাম মন্দির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর মাত্র কয়েক মাসের অপেক্ষা। রাম মন্দির নির্মাণের অর্ধেক কাজই শেষ। এমনটাই জানাল মন্দির কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার রাজস্থানের (Rajasthan) জয়পুর রামমন্দির নির্মাণে সাধু-সন্তদের ভূমিকা প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন, “প্রায় ৫০ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে অযোধ্যায় রাম মন্দিরের।” 

    ২০২০-র অগাস্টে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) ঐতিহাসিক রায়ের পর রামমন্দিরের ভূমিপুজো হয়। সেই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (Narendra Modi)। এর আগেই রামমন্দির (Ram Mandir) কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০২৪-এর জানুয়ারিতে মকর সংক্রান্তির দিন নবনির্মিত মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত হবে ভগবান রামের মূর্তি। ১৮০০ কোটি টাকা খরচ করে নির্মাণ করা হচ্ছে বহু প্রতীক্ষিত এই মন্দির। জোড়কদমে চলছে কাজ।     

    আরও পড়ুন: অর্থায়নের কারণেই বাড়বাড়ন্ত সন্ত্রাসবাদের, রাষ্ট্রসংঘের বৈঠকে বললেন এস জয়শঙ্কর

    ২০১৯-এ অযোধ্যা (Ayodhya) সংক্রান্ত ঐতিহাসিক রায় দেয় শীর্ষ আদালত। আর তারপরেই সেখানে রাম মন্দির তৈরীর প্রস্তুতি শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতিতে ২০২০-র ৫ অগাস্ট মন্দিরের ভূমিপূজা হয়। এরপর চলতি বছরের জুনে মন্দিরের গর্ভগৃহের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন যোগী আদিত্যনাথ। রাম মন্দিরের কাজ কবে শেষ হবে? প্রশ্নে যোগী জানান, ৫০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। ট্রাস্ট সূত্রে খবর, তিন তলা মন্দির (Mandir) তৈরি করতে ১৭ হাজার একই মাপের গ্রানাইড স্টোন ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রতিটি পাথরের মাপ ৫ ফুট×২.৫ ফুট×৩ ফুট। প্রতিটি পাথরের ওজন ৩ টন। একইসঙ্গে মন্দিরের প্রতিটি দেওয়ালে থাকছে কারুকাজ।

    ট্রাস্টের চেয়ারম্যান শম্পত রাই জানান, নির্ধারিত গতিতেই এগোচ্ছে রাম মন্দির নির্মাণের কাজ। তিনি জানান, মন্দিরের ৫০ শতাংশ কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারির গোড়াতেই মন্দির নির্মাণ এবং মূর্তি স্থাপনের প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাবে। মনে করা হচ্ছে, লোকসভা ভোটের ৩-৪ মাস আগেই খুলে যাবে মন্দির। সেক্ষেত্রে লোকসভা ভোটে বড় সমর্থন পাবে বিজেপি। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Tata-Airbus C-295: এবার দেশে তৈরি হবে সামরিক পণ্যবাহী বিমান, চুক্তি স্বাক্ষর টাটা-বোয়িংয়ের

    Tata-Airbus C-295: এবার দেশে তৈরি হবে সামরিক পণ্যবাহী বিমান, চুক্তি স্বাক্ষর টাটা-বোয়িংয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার দেশেই তৈরি হবে C-295 এয়ারক্রাফট, ভারতীয় সেনার জন্য বিমান বানাবে টাটা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার রাজ্য গুজরাটের ভদোদরায় রবিবার এই কারখানাটির শুভ সূচনা করবেন। বারংবারই প্রধানমন্ত্রী মেড ইন ইন্ডিয়ার (Made In India) দিকে জোর দিয়েছেন।

    দেশীয় পদ্ধতিতে দেশের ভিতরেই এই বিমানগুলি নির্মাণ করলে বাইরে থেকে এই বিমানগুলির আমদানি করতে হবে না ফলে সেনা বাজেটে কিছুটা হলেও চাপ কমবে। সংবাদ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই কারখানা নির্মাণে খরচ হচ্ছে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা।এছাড়াও প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, হালকা এবং মাঝারি মাপের C-295 বিমানটি যে কোনও মিশনে ব্যবহার করা যেতে পারে। যেকোনও আবহাওয়ায় সমানভাবেই কার্যকর এয়ারবাসের এই বিমান। মরুভূমির চরম-গরম বা বরফঢাকা পাহাড়ি এলাকায় অপারেশনের ক্ষেত্রে জুড়ি মেলা ভার এই বিমানের। অত্যাধিক গরমের মধ্যে যে কোনও উচ্চতায় এই বিমান বিপুল পরিমাণ ওজন বয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রেও সক্ষম। পাশাপাশি এই বিমানের জ্বালানির খরচ অন্যান্য বিমানের থেকে কমপক্ষে ৪ শতাংশ কম।

    ডিফেন্স সেক্রেটারি, অজয় কুমার বলেন, “প্রথমবারের মতো C-295 বিমানগুলি ইউরোপের বাইরে তৈরি করা হবে।” গত বছরের সেপ্টেম্বরে, ভারত Airbus Defence and Space -এর সঙ্গে মিলে প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকার চুক্তি করেছে, চুক্তিতে বলা আছে, মোট ৫৬ টি C-295 ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্রাফ্ট কেনার জন্য এবং ভারতীয় বায়ু সেনার পুরনো Avro-748 প্লেনগুলিকে প্রতিস্থাপন করার জন্য, একটি বেসরকারি কোম্পানির প্রকল্পের অধীনে ভারতে মিলিটারি বিমান তৈরি করা হবে, এবং ভারতে এমনটি এই প্রথমবার হবে।

    এই চুক্তির অধীনে, এয়ারবাসগুলি চার বছরের মধ্যে স্পেনের সেভিলে তার ফাইনাল অ্যাসেম্বলি লাইন থেকে ‘ফ্লাই-অ্যাওয়ে’ অবস্থায় প্রথম 16টি বিমান সরবরাহ করবে এবং পরবর্তীতে আরও 40টি বিমান ভারতে টাটা অ্যাডভান্সড সিস্টেম (TASL) দ্বারা তৈরি করা হবে।উদ্দেশ্যটি সফল করার লক্ষ্যে দুটি কোম্পানির মধ্যে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্টনারশিপ তৈরি করা হয়েছে।ইতিমধ্যেই রেগুলেটরটির অনুমোদন দিয়েছে ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ অ্যারোনটিক্যাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স (DGAQA)।

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে ওই কারখানায় প্রথম ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ বিমান তৈরি হবে।এই প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে ভারতের বেসরকারি ক্ষেত্র উচ্চ প্রযুক্তির ও তীব্র প্রতিযোগিতামূলক বিমান তৈরির ক্ষেত্রে প্রবেশ করবে। এর ফলে এই ধরনের বিমান আমদানি কমবে, বরং তা রফতানি করা হবে।২০২৬ থেকে ২০৩১ পর্যন্ত এই বিমান বিদেশে রফতানি করা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • US: চিনা আগ্রাসন রুখতে ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক জোরদার করতে চাইছে আমেরিকা!

    US: চিনা আগ্রাসন রুখতে ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক জোরদার করতে চাইছে আমেরিকা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের (India) সঙ্গে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত গাঁটছড়া আরও জোরদার করতে চাইছে আমেরিকা (US)। ক্রমেই বাড়ছে চিনা (China) আগ্রাসন। ড্রাগনের দেশের এই বাড়বাড়ন্ত রুখতেই ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত গাঁটছড়া আরও পোক্ত করতে চাইছে জো বাইডেনের (Joe Biden) সরকার। ইউএস ন্যাশনাল ডিফেন্স স্ট্র্যাটেজি ২০২২ প্রকাশিত হয়েছে বৃহস্পতিবার। তা থেকেই জানা গিয়েছে বাইডেন প্রশাসনের এই মনোভাবের কথা।

    কিছুদিন আগেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়েছিলেন, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর হওয়ার প্রচেষ্টা গেম চেঞ্জার হতে চলেছে। কয়েকদিন আগেই মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিনের সঙ্গে কথা হয়েছে। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারতকে প্রযুক্তিগত সাহায্য করার অনুমতি দিয়েছেন তিনি। যদি সেই সরঞ্জামটি তৈরি হয়, তবে তা ভারতেই নির্মাণ করা হবে।

    প্রসঙ্গত, রাজনাথের এই দাবির আগে আগেই পাকিস্তানকে (Pakistan) এফ-১৬ ফাইটার জেট রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল বাইডেন সরকার। ঘটনার জেরে ততক্ষণাৎ আপত্তির কথা জানিয়ে দেয় নয়াদিল্লি। বিশেষজ্ঞদের মতে, তার পর থেকে ভারতের ক্ষোভ প্রশমনে উদ্যোগী হয়েছে হোয়াইট হাউস। আমেরিকার (US) ওই স্ট্র্যাটেজিতে বলা হয়েছে, চিনা আগ্রাসন রুখতে দফতর (মার্কিন প্রতিরক্ষা) ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত গাঁটছড়া আরও শক্ত করবে। এভাবে ভারত মহাসাগর অঞ্চলে শান্তি এবং অবাধ যাতায়াত নিশ্চিত করবে।

    আরও পড়ুন: অগ্নি প্রাইমের সফল উৎক্ষেপণ, পাল্লায় চিন, পাকিস্তান!

    চিন এবং রাশিয়া দুটি দেশই যে আমেরিকার পক্ষে সমান বিপজ্জনক, তাও জানা গিয়েছে ওই স্ট্র্যাটেজি থেকে। এতে বলা হয়েছে, চিন সব চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করছে। আর রাশিয়া দেশ এবং বিদেশের জন্য মার্কিন জাতীয় স্বার্থের পক্ষে হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রকাশিত ওই স্ট্র্যাটেজিতে আরও বলা হয়েছে, মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জটি হল চিনের জবরদস্তিমূলক এবং ক্রমবর্ধমান আক্রমণাত্মক প্রচেষ্টা। ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলে ওই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চিন। আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাকে তার অনুকূলে আনতেই এটা করছে ড্রাগনের দেশ। দফতর তার সহযোগী এবং সঙ্গীদের সমর্থন করবে মার্কিন নীতি ও আন্তর্জাতিক আইন মেনে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share