Blog

  • Weather Update: ফের হালকা ঠান্ডা! আগামী সপ্তাহেই বিদায়ের পথে শীত?

    Weather Update: ফের হালকা ঠান্ডা! আগামী সপ্তাহেই বিদায়ের পথে শীত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের হালকা শীতের আমেজ। শুক্রবার ভোর রাতে এক ধাক্কায় চার ডিগ্রি নামল কলকাতার তাপমাত্রা। কলকাতায় (Kolkata) বৃহস্পতিবার ২০ ডিগ্রির ওপর ছিল পারদ। সেদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (Lowest Temperature) ছিল ২০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রি বেশি। কিন্তু হঠাতই এক রাতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে যায় ১৬ ডিগ্রির আশেপাশে।   শুক্রবার সকাল শুরু হয় কুয়াশা দিয়ে। আলিপুর হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, এদিনের সর্বোচ্চ (Highest Temperature) ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করবে যথাক্রমে ৩০ ডিগ্রি ও ১৮ ডিগ্রির আশেপাশে। 

    সকালের দিকে কুয়াশা

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শুক্রবার কলকাতা-সহ রাজ্যের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমলেও এই পারদ পতন স্থায়ী হবে না। ২৪ ঘণ্টা পর থেকেই রাজ্যে কমবে উত্তুরে হাওয়া দাপট। বাড়বে তাপমাত্রা। রবিবার থেকে তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। রাতের দিকে তাপমাত্রা কিছুটা নামলেও, সকাল থেকেই কলকাতার আকাশ পরিষ্কার থাকবে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়বে তাপমাত্রা। আগামী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই।

    আরও পড়ুন: দেশে প্রথমবার! জম্মু ও কাশ্মীরে মিলল লিথিয়ামের বিপুল ভাণ্ডার

    উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়িতে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। ২৪ ঘণ্টা  পর দার্জিলিং, কালিম্পং ছাড়া আর কোথাও বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। উত্তরবঙ্গে হালকা ও মাঝারি কুয়াশা থাকবে। সকালের দিকে যান চলাচল ব্যাহত হতে পারে। ঘন কুয়াশা হতে পারে দার্জিলিং, কালিম্পং , জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলার কিছু অংশে। দক্ষিণবঙ্গে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর, নদিয়া, মুর্শিদাবাদে হালকা কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী সোম ও মঙ্গলবার তাপমাত্রা হালকা নামলেও বুধবারের পর থেকে তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে। আগামী সপ্তাহেই কার্যত দক্ষিণবঙ্গ থেকে বিদায় নেবে শীত। উত্তরে হালকা ঠান্ডার আমেজ থাকবে আরও কিছুদিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Lithium Deposits: দেশে প্রথমবার! জম্মু ও কাশ্মীরে মিলল লিথিয়ামের বিপুল ভাণ্ডার

    Lithium Deposits: দেশে প্রথমবার! জম্মু ও কাশ্মীরে মিলল লিথিয়ামের বিপুল ভাণ্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরের রিয়াসি জেলায় মিলল লিথিয়ামের ভাণ্ডার। বৃহস্পতিবার ভারতের জিওলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে, রিয়াসির সালাল-হাইমানা এলাকায় ৫.৯ মিলিয়ন টন লিথিয়াম ইনফার্ড রিসোর্স (G3) পাওয়া গেছে। এই প্রথম দেশে এত বড় লিথিয়াম খনির সন্ধান মিলল। এই খবর সামনে আসতেই দেশজুড়ে খুশির হওয়া বইতে শুরু করেছে। এর কারণ লিথিয়াম ব্যাটারি তৈরির জন্য ব্যাবহৃত হয়। ভারত এই সমস্ত ব্যাটারি চিন থেকে আমদানি করে। খনি মন্ত্রকের তরফে আরও জানানো হয়েছে, লিথিয়ামের পাশাপাশি ৫টি সোনার খনির হদিস পাওয়া গিয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের পাশাপাশি ছত্তীসগঢ়, গুজরাত, ঝাড়খণ্ড, কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা, রাজস্থান, তামিলনাড়ু, তেলঙ্গানাতেও খনিজ পদার্থ পাওয়া গিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে পটাশ, মলিবডেনামের মতো খনিজ।

    লিথিয়ামের প্রয়োজনীয়তা

    লিথিয়াম ব্যাটারি তৈরিতে চিনের উপর নির্ভরশীলতা ঝেড়ে ফেলতে চাইছে ভারত। তার তোড়জোড় শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। এক্ষেত্রে কেন্দ্রের ফোকাসে রয়েছে লিওনেল মেসির দেশ আর্জেন্টিনা। সেখানে রয়েছে খনিজ পদার্থ লিথিয়ামের খনি।  আগামী দিনগুলিতে দেশে যে লিথিয়াম ব্যাটারির চাহিদা আরও বাড়বে তা জানে কেন্দ্র। কারণ, এই মুহূর্তে সরকার বৈদ্যুতিক গাড়ি নিয়ে উৎসাহ দিচ্ছে। এই বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি তৈরিতে লিথিয়াম অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। ফলে ভারতেরও যে আগের তুলনায় বিপুল পরিমাণে লিথিয়ামের চাহিদা বাড়বে তা বলাই বাহুল্য। বর্তমানে লিথিয়াম ব্যাটারির যে চাহিদা রয়েছে 3GWh তা ২০২৬ সাল নাগাদ বেড়ে হতে পারে 20GWh এবং সব শেষে ২০৩০ সাল নাগাদ বেড়ে হতে পারে 70GWh। এই সময়ে দেশে লিথিয়ামের ভাণ্ডারের সন্ধান মেলায় স্বভাবতই খুশির হাওয়া কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী।

    আরও পড়ুন: প্রতিরক্ষা খাতে ভারতের রফতানি ১ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি! রাজ্যসভায় জানালেন প্রধানমন্ত্রী

    কাশ্মীরের খনিজ সম্পদের অধিকর্তা রিয়াসি শফিক আহমেদ জানিয়েছেন, সালাল-হাইমানা অঞ্চলে যৌগিক আকারে বক্সাইটের খনি ছিল। সেখানেই খননের সময় লিথিয়ামের সন্ধানও পাওয়া গিয়েছে। জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া পরীক্ষা করে দেখেছে লিথিয়ামের বৃহৎ উপস্থিতি।  এবার ওই অঞ্চলকে নিলামের জন্য দেওয়া হবে। যে দেশীয় সংস্থা ওখানে উত্তোলনের দায়িত্ব পাবে, তাদের তত্ত্বাবধানেই কাজ শুরু হবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • India Defence Export: প্রতিরক্ষা খাতে ভারতের রফতানি ১ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি! রাজ্যসভায় জানালেন প্রধানমন্ত্রী

    India Defence Export: প্রতিরক্ষা খাতে ভারতের রফতানি ১ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি! রাজ্যসভায় জানালেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদে বিজেপি সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে নানান প্রসঙ্গ তুলছেন বিরোধীরা। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) দেড় ঘন্টার ভাষণের মধ্যেও স্লোগানের ঝড় তোলে বিরোধী পক্ষ। পুরো ঘটনায় বেজায় চটেছেন নমোও। বিপক্ষকে আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গরীব মানুষের রুটি-রুজির জন্য কাজ করেছি আমরা।’ বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় সরকারের মেয়াদের নয় বছরে যে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে তার বিস্তারিত বিবরণ দেন প্রধানমন্ত্রী।

    প্রতিরক্ষায় স্বনির্ভর

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিভিন্ন সেক্টরে ‘আত্মনির্ভরতা’র উপর জোর দেওয়া হয়েছে। প্রতিরক্ষা খাতে ভারতের রফতানি এখন ১ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি।” প্রতিরক্ষা খাতে স্বনির্ভরতার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যে সরকার এই সেক্টরে খুব ভাল কাজ করেছে। সবুজ অর্থনীতির দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য তার সরকারের প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে সবুজ কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা বাড়ছে। 

    কর্মসংস্থানের সুযোগ

    প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “গত নয় বছরে, অর্থনীতির প্রসারের সাথে, নতুন খাতে নতুন সুযোগ এসেছে। দেশ যেভাবে সবুজ অর্থনীতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তাতে সবুজ চাকরির সম্ভাবনা বাড়ছে। ডিজিটাল ইন্ডিয়া পরিষেবা ক্ষেত্রে এক নতুন উচ্চতায়। ৯০,০০০ নিবন্ধিত স্টার্টআপগুলিও কর্মসংস্থানের জন্য নতুন দরজা খুলে দিয়েছে। আত্মনির্ভর ভারত যোজনা থেকে ৬০ লক্ষেরও বেশি নতুন কর্মচারী উপকৃত হয়েছেন। আমরা এই যোজনার মাধ্যমে বিভিন্ন সেক্টর খুলেছি।”

    আরও পড়ুন: কয়লা পাচারের অর্থে ‘প্রপার্টি-ডিল’! ১.৪ কোটি টাকা ছিল ‘পার্ট-পেমেন্ট’! বাকি টাকার খোঁজে ইডি

    রাজ্যসভায় প্রধানমন্ত্রী ভাষণ শুরু করতেই বিরোধীদের স্লোগান শুরু হয়। হট্টগোলের মধ্যেই নিজের বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সংসদে কিছু মানুষের ব্যবহার দেশের মানুষের কাছে হতাশাজনক। যতই আমাকে কাদা ছোঁড়া হবে পদ্ম ততই প্রস্ফুটিত হবে’। এরপরই কংগ্রেসকে নিশানা করে নমো বলেন, ‘আমাদের বিরোধীরা বলেছেন বুনিয়াদ তাঁরা তৈরি করেছেন। কংগ্রেস বলছে ৬০ বছর ধরে তাঁরা দেশের বুনিয়াদ তৈরি করেছে। কিন্তু ২০১৪-এ এসে আমরা দেখলাম শুধু বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে’।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • BARC: টিআরপি জালিয়াতিকাণ্ডে লুল্লার বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের দেওয়া চার্জশিট নিল লখনউয়ের আদালত

    BARC: টিআরপি জালিয়াতিকাণ্ডে লুল্লার বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের দেওয়া চার্জশিট নিল লখনউয়ের আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টিআরপি (TRP) জালিয়াতিকাণ্ডে ব্রডকাস্ট অডিয়েন্স রিসার্চ কাউন্সিল, সংক্ষেপে বিএআরসির (BARC) ভূতপূর্ব সিইও সুনীল লুল্লার বিরুদ্ধে জমা দেওয়া সিবিআইয়ের চার্জশিট গ্রহণ করল লখনউয়ের আদালত। এক আধিকারিকের কথায়, জালিয়াতি করে ইন্ডিয়া টুডের ভিউয়ারশিপ ২ নম্বর থেকে ৩ নম্বরে নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল। জমা দেওয়া চার্জশিটে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের অভিযোগ, ইন্ডিয়া টুডের ভিউয়ারশিপ ডেটা জালিয়াতি করা হয়েছিল। এই জালিয়াতি করেছিল বিএআরসি, ২০২০ সালে।

    লুল্লা…

    লুল্লার নির্দেশেই টিআরপি দুই থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল তিনে। এই লুল্লা বিজনেস ডিসিশান নামে পরিচিত। সিবিআইকে উদ্ধৃত করে আদালত জানিয়েছে, সিবিআই এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে টিআরপি জালিয়াতি হয়েছে দুটি স্তরে। ব্রডকাস্টারদের মাধ্যমে গৃহস্থালি স্তরে। যেসব বাড়িতে টিভি চ্যানেল রয়েছে, ওই চ্যানেলের যেখানে বার-ও-মিটারগুলি লাগানো থাকে, সেখানে এবং দর্শকদের একটি বিশেষ টিভি চ্যানেল দেখতে বলা অথবা মুম্বইয়ে বিএআরসির অফিস থেকে। এই অফিসের সার্ভারেই ভিউয়ারশিপ ডেটা দেখা যায়, বার-ও-মিটারের সাহায্যে। এই বার-ও-মিটারগুলি দেশের নির্দিষ্ট কিছু বাড়িতে ইনস্টল করা থাকে।

    আরও পড়ুুন: এসএসসি গ্রুপ ‘ডি’ মামলায় ফের ২৮১৯ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ হাইকোর্টের

    আদালত জানিয়েছে, মৌখিক বিবৃতি এবং ফাইনাল রিপোর্টে যে নথিপত্র যুক্ত করা হয়েছে, তা থেকে প্রমাণ হয় যে বিএআরসির (BARC) ডেটায় জালিয়াতি করা হয়েছে। এটা করা হয়েছে সংস্থার মুম্বইয়ের অফিসে। অন রেকর্ড এর ডকুমেন্টারি প্রমাণও রয়েছে। তাতে বলা হয়েছে লুল্লার নির্দেশেই সংস্থার অধঃস্তন কর্মীরা এটা করেছিলেন। ২০২০ সালের ২৯ এপ্রিল ওই জালিয়াতি হয়েছিল। আদালত এও জানিয়েছে, এটা করে বিএআরসি ইন্ডিয়া টুডের পজিশন দুই থেকে টেনে তিনে নামিয়েছে।

    প্রসঙ্গত, টিআরপির ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন চ্যানেল বিজ্ঞাপন পায়। তাই টিআরপি যে কোনও চ্যানেলের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই টিআরপি কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে সব মিলিয়ে মোট তিনটি টিভি চ্যানেলের বিরুদ্ধে রেটিং কারচুপির অভিযোগ আনে মুম্বই পুলিশ। তার পরেই শুরু হয় তদন্ত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Gariahat: বালিগঞ্জের পর গড়িয়াহাট! গাড়ি থেকে উদ্ধার ‘টাকার পাহাড়’, গ্রেফতার ২

    Gariahat: বালিগঞ্জের পর গড়িয়াহাট! গাড়ি থেকে উদ্ধার ‘টাকার পাহাড়’, গ্রেফতার ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের কোটি কোটি টাকা উদ্ধার মহানগরীতে! এবার, বালিগঞ্জের পর গড়িয়াহাট! আজ, বৃহস্পতিবার গড়িয়াহাট মোড় থেকে নগদ এক কোটি টাকা উদ্ধার করল পুলিশ। জানা যায়, গাড়িতে করে টাকা নিয়ে যাচ্ছিল ২ ব্যক্তি। এক কোটি টাকা-সহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের গড়িয়াহাট থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর। এই টাকাও কয়লা পাচারের টাকা কিনা তা নিয়ে তদন্তে ইডি।

    এসটিএফ-এর গোপন সূত্রে টাকা উদ্ধার

    জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ লালবাজারের গুন্ডাদমন শাখা এবং এসটিএফ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে যৌথ ভাবে অভিযান চালায়। আর সেই অভিযানে গড়িয়াহাটের কাছাকাছি এলাকা থেকে একটি সন্দেহভাজন গাড়ি আটক করেন পুলিশ আধিকারিকরা। আর এরপরেই গাড়িটিতে তল্লাশি চালানো হয়। আর তখনই গাড়ির পিছন থেকে একটি ব্যাগ উদ্ধার হয়। সেই ব্যাগে দেখা যায় বান্ডিল বান্ডিল টাকা। মোট নগদ ১ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এরপরেই গাড়ি থেকে দু’জন সন্দেজভাজনকে আটক করে পুলিশ। গড়িয়াহাট থানায় নিয়ে আসা হয়। সেখানেই টাকা গোনার কাজ চলছে বলে জানা যাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত এক কোটি টাকা গোনা হয়েছে বলে খবর। তবে পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলেই জানা যাচ্ছে।

    আরও পড়ুন: কয়লা পাচারের অর্থে ‘প্রপার্টি-ডিল’! ১.৪ কোটি টাকা ছিল ‘পার্ট-পেমেন্ট’! বাকি টাকার খোঁজে ইডি

    ধৃতদের জেরা করছে পুলিশ

    গাড়ি চালক দুলাল মণ্ডল এবং মুকেশ সারস্বত নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। দুলাল বেলিগাছিয়া এলাকার বাসিন্দা। মুকেশের বাড়ি রাজস্থানে। বিপুল পরিমাণ এই টাকা কোথায় এবং কেন নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তা নিয়ে জেরা করা হচ্ছে বলেই খবর। তবে জেরায় পুলিশ সন্তোষজনক কোনও উত্তর পায়নি বলেই জানা যাচ্ছে।

    প্রসঙ্গত, কয়লা পাচারকাণ্ডের তদন্তে নেমে গতকালই বালিগঞ্জে এক বেসরকারি দফতরে রাতভর তল্লাশি চালিয়ে ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে কিছু ডিজিটাল তথ্যও। ইডি জানতে পারে, এই বেসরকারি সংস্থাটির মাধ্যমে কয়লা পাচারকাণ্ডের টাকা বিনিয়োগ করা হত। এ ভাবে কালো টাকা সাদা করা হত বলে সন্দেহ তদন্তকারীদের। ফলে গতকালের ঘটনার ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই শহরে ফের টাকার হদিশে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যে। এখন প্রশ্ন উঠছে, তবে কি বালিগঞ্জের টাকার সঙ্গে গড়িয়াহাটের যোগসূত্র রয়েছে? গড়িয়াহাটের টাকাও কি কয়লা পাচারের টাকা? এরই তদন্তে ইডি।

  • PT Usha: নজির গড়লেন পিটি ঊষা! রাজ্যসভায় সভাপতিত্ব করলেন ‘সোনার রানি’

    PT Usha: নজির গড়লেন পিটি ঊষা! রাজ্যসভায় সভাপতিত্ব করলেন ‘সোনার রানি’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিংবদন্তি ভারতীয় ক্রীড়াবিদ পিটি ঊষার মুকুটে জুড়ল আরও এক পালক। বৃহস্পতিবার সংসদে তাঁকে দেখা গেল এক অন্য ভূমিকায়। রাজ্যসভায় সভাপতিত্ব করলেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় উপস্থিত ছিলেন না উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকর। তাঁর জায়গায় সভাপতিত্বের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল পিটি ঊষাকে। তাই তিনি আজ রাজ্যসভার শীতকালীন অধিবেশনে অস্থায়ী ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেন। ফলে ঊষা আজ এক ইতিহাস গড়লেন।

    পিটি ঊষা কী বললেন?

    রাজ্যসভা পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে তিনি ট্যুইট করেছেন, “ফ্র্যাঙ্কলিন রুজভেল্ট বলেছিলেন, ক্ষমতালাভের সঙ্গে দায়িত্ববোধ জড়িয়ে থাকে। রাজ্যসভার সভাপতির চেয়ারে বসে সেই কথা খুব ভালোভাবে বুঝতে পারলাম। আশা করি আগামী দিনে আরও অনেক মাইলস্টোন গড়তে পারব। জনতার উপর আস্থা রেখে এই পথে এগিয়ে যেতে চাই।” আজ রাজ্যসভায় ভাইস চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে রাজ্যসভার কাজ পরিচালনার প্রাক্তন অ্যাথলিটের নাম প্রস্তাব করা হয়। প্রস্তাবে পাশও হয়ে যায়। এরপরেই  রাজ্যসভার পরিচালনার দায়িত্বে দেখা যায় তাঁকে।

    ঊষা হলেন ভারতের কিংবদন্তি অ্যাথলিট। তিনি দেশকে বহুবার আন্তর্জাতিক পদক এনে দিয়েছেন। আবার তিনি ২০২২ সালের জুলাই মাসে ঊষা বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে মনোনীত হন। তিনি নিয়মিতভাবে সংসদে হাজিরও থাকেন। এরপর নভেম্বর মাসে ইন্ডিয়ান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ডিসেম্বর মাসেই রাজ্যসভার ভাইস চেয়ারপার্সনের প্যানেলে জায়গা করে নেন তিনি। আর আজ এই প্রথমবার রাজ্যসভার কার্যাবলি পরিচালনা করলেন তিনি।

    আজকের এই নজির গড়ার একটি ভিডিও প্রকাশের পরেই ভারতীয় অ্যাথলিটকে শুভেচ্ছাবার্তায় ভরিয়ে দেন তাঁর ভক্তরা। এক ভক্ত লিখেছেন, আপনি আমাদের সকলের গর্বের। আজ এক নতুন ইতিহাস তৈরি করলেন। আশা, আগামী দিনেও আপনার হাত দিয়ে তৈরি হবে ইতিহাস। আরও এক ভক্ত লিখেছেন, ঊষা ভারতের সব মহিলাদের গর্ব।

  • SSC Scam: এসএসসি গ্রুপ ‘ডি’ মামলায় ফের ২৮১৯ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ হাইকোর্টের

    SSC Scam: এসএসসি গ্রুপ ‘ডি’ মামলায় ফের ২৮১৯ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এবারে এসএসসির গ্রুপ ডির কর্মী নিয়োগের মামলায় চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিল আদালত। গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অবৈধভাবে চাকরি পাওয়া ২৮১৯ জনকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে ওএমআর শিটে কারচুপির অভিযোগ নিয়ে নিশ্চিত হওয়ার কথা জানায় কমিশন। এরপরেই নির্দেশে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, শুক্রবারের মধ্যে এদের নাম, বাবার নাম ও বাড়ির ঠিকানাসহ তালিকা প্রকাশ করতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে।

    ওএমআর শিটে কারচুপি!

    এসএসসি গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কমিশন আদালতকে জানায় ৬,৮৯৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে ২৮১৯ জনেরই নিয়োগে গরমিল রয়েছে। গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে ওএমআর উত্তরপত্রে কারচুপির অভিযোগ ছিল। তাতে কমিশনের তরফে আইনজীবী আজ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে জানান, ২৮১৯ জনের ওএমআর শিটে কারচুপি হয়েছিল, সে বিষয়ে নিশ্চিত কমিশন।

    আরও পড়ুন: কোভিডকালে নির্মাণ-শিল্পে উল্কাবেগে উত্থান শিকারিয়ার! কীভাবে সম্ভব? খোঁজ করছে ইডি

    বিচারপতির প্রশ্নের মুখে কমিশন

    ওএমআর শিটে কারচুপি হয়েছে জেনেও কেন কমিশন পদক্ষেপ নেয়নি, সেই নিয়ে প্রশ্ন করেছেন বিচারপতি গাঙ্গুলি। তিনি বলেন, “আপনারাই যখন বলছেন ২৮১৯ জনের ওএমআর শিট কারচুপির বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই, তা হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ আপনাদের করতে হবে। আলাদাভাবে এই প্রার্থীদের নাম কমিশনের সাইটে আবারও প্রকাশ করুন। তারপর তাঁদের নিয়োগ বাতিল ঘোষণা করুন।” অযোগ্যদের নাম, বাবার নাম ও ঠিকানাসহ তালিকা ওয়েবসাইটে আপলোড করে ও চাকবি বাতিল করার সম্পূর্ণ প্রক্রিয়ার জন্য বিচারপতি এবারে ২৪ ঘণ্টাও বেঁধে দিলেন। আগামীকালের মধ্যেই তাঁদের বরখাস্ত করতে হবে বলে জানা গিয়েছে।

    বিচারপতি আরও বলেছেন, শুক্রবার আদালতে কমিশন হলফনামা জমা দেওয়ার ৫ মিনিটের মধ্যে ২৮১৯ জনের নাম আপলোড করার এবং সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করার নির্দেশ দেওয়া হবে। তার ৫ মিনিটের মধ্যে তাঁদের নিয়োগপত্র প্রত্যাহার করবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ফলে বিচারপতির এমন নির্দেশে গ্রুপ ডির যোগ্য প্রার্থীরা ফের আশার আলো দেখছেন। এর পর এটাই দেখার যে পরবর্তীতে এই মামলায় আর কী কী তথ্য বেরিয়ে আসে।  

  • Earthquake: তুরস্ক থেকে বহু দূরে ভারতে ভূমিকম্পের শঙ্কা কতটা জানেন?

    Earthquake: তুরস্ক থেকে বহু দূরে ভারতে ভূমিকম্পের শঙ্কা কতটা জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিরিয়া-তুরস্কের ভয়াবহ ভূমিকম্পের কারণ ছিল আনাতোলিয়া চ্যুতি। তুরস্ক ও সিরিয়ার ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সরকারি হিসেবে মৃতের সংখ্যা ১৫,০০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। আহতের সংখ্যার কোনও হিসেব নেই। এখন সবথেকে বড় প্রশ্ন তুরস্ক থেকে বহু দূরে অবস্থিত ভারত কতটা নিরাপদ। সম্প্রতি দিল্লি, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে একাধিকবার কম্পণ অনুভূত হয়েছে। তবে সেই কম্পণের মাত্রা খুব বেশি ছিল না। কিন্তু বারবার ভূমিকম্পের কম্পণে কেঁপে ওঠায় স্বাভাবিক ভাবেই চিন্তার আশঙ্কা থাকছে। 

    ভারতে ভূ-কম্পনের শঙ্কা

    সারা বিশ্ব অনেকগুলো টেকটোনিক প্লেটের মাধ্যমে বিভক্ত হয়ে রয়েছে। যখন এসব প্লেট নড়াচড়া করে, যেসব দেশ বা এলাকা সেই প্লেটগুলোর ওপরে অবস্থিত, সেখানে ভূমিকম্প দেখা যায়। বিজ্ঞানীদের দাবি অনুযায়ী ভূমিকম্প কবলিত এলাকা হিসাবে দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যকে ৫টি জোনে বিভক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে সবথেকে বড় ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে জোন ৫-এ। জম্মু, কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশের পশ্চিম এলাকা, উত্তরাখণ্ডের উত্তর অংশ, গুজরাটের কচ্ছ উপকূল, বিহারের উত্তর অংশ, উত্তর-পূর্বের সমস্ত রাজ্য, আন্দামান এবং নিকোবার দ্বীপপুঞ্জ রয়েছে জোন-৫-এ। বাংলা রয়েছে জোন-৪-এ। রাজধানী দিল্লিও রয়েছে জোন-৪-এ।

    আরও পড়ুন: প্রবল ভূমিকম্প, মৃতের সংখ্যা চার হাজার ছাড়াল! কঠিন সময়ে তুরস্ক ও সিরািয়ার পাশে ভারত

    হিমালয়ের পাদদেশে নেপাল যে টেকটোনিক প্লেটের ওপরে বসে রয়েছে, সেটার ওপরেই রয়েছে ভারতের উত্তর অংশ। ব্রিটিশ জিওলজিক্যাল সার্ভের কর্মকর্তা রজার মুসন বিবিসিকে জানিয়েছেন, সেখানে কোন ভূমিকম্প হলে শনিবারের তুরস্কের ভূমিকম্পের চেয়েও ভয়াবহ হতে পারে। বিশেষ করে কাঠমান্ডুর মতো শহরগুলো বিশেষ ঝুঁকিতে রয়েছে। কারণ এই শহরটি নরম শিলা পাথরের পুরু স্তরের ওপরে তৈরি হয়েছে। ফলে ভূমিকম্প হলে সেখানে কম্পন বেশি অনুভূত হবে। ২০১৫ সালে ইন্ডিয়ান প্লেট এবং তিব্বত প্লেটের সংঘর্ষে নেপালে ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছিল। সেই ভূমিকম্পে ৯ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু আর এক লাখের বেশি মানুষ আহত হয়েছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Sagardighi: ২৭ ফেব্রুয়ারি সাগরদিঘি বিধানসভার উপনির্বাচন, পঞ্চায়েত ভোটের মহড়া?

    Sagardighi: ২৭ ফেব্রুয়ারি সাগরদিঘি বিধানসভার উপনির্বাচন, পঞ্চায়েত ভোটের মহড়া?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাতে মাত্র আর কয়েকটা দিন। তারপরেই ২৭ ফেব্রুয়ারি হবে সাগরদিঘি (Sagardighi) বিধানসভার উপনির্বাচন। কেন্দ্রটির রাশ হাতে নিতে একদিকে যেমন শাসক দল তৃণমূল (TMC) কংগ্রেস মাটি কামড়ে পড়ে রয়েছে ময়দানে, তেমনি বাম, ডান ও বিজেপির (BJP) প্রচারেও কোনও খামতি নেই। মাস দুই পরেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে সকলেই সাগরদিঘির এই উপনির্বাচনকে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের মহড়া হিসেবে ধরে নিয়েই ময়দানে নেমে পড়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেস  সাগরদিঘির মতো একটি বিধানসভার উপনির্বাচনে  প্রচারের জন্য তারকা প্রচারক হিসেবে চল্লিশ জনের নাম পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশনের কাছে। অনুমতিও মিলেছে। অঙ্কটা দিনের আলোর মতোই পরিষ্কার।

    প্রচারে টক্কর…

    সাগরদিঘি (Sagardighi) কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী করেছে স্থানীয় নেতা দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷ এই কেন্দ্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে প্রচার করবেন। আসবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, মহুয়া মৈত্ররাও৷ অন্যদিকে, এই কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী দিলীপ সাহা৷ প্রচারে অংশ নেবেন শুভেন্দু অধিকারী, লকেট চট্টোপাধ্যায়-সহ পদ্ম শিবিরের হেভিওয়েট নেতারা। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূলের সুব্রত সাহা৷ হয়েছিলেন মন্ত্রীও৷ ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন তিনি৷ সেই কারণেই হচ্ছে অকাল নির্বাচন।

    আরও পড়ুুন: কয়লাকাণ্ডে উঠে আসছে হরিশ মুখার্জি রোডের একটি রেস্তোরাঁর নাম! মালিক কে? তদন্তে ইডি

    সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রটি সম্পূর্ণ পঞ্চায়েত এলাকা। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ৬০ নম্বর ক্ষেত্রটি হল এই সাগরদিঘি। একসময় বামেদের শক্ত ঘাঁটি ছিল এই বিধানসভা কেন্দ্র। রাজ্যে পালাবদলের পর সাগরদিঘির রশি চলে যায় তৃণমূলের হাতে। আসন্ন উপনির্বাচনে রশি হাতবদল হয় কিনা, তাই দেখার। এদিকে, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই সব রকমের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, ২৪৫টি ও একটি অক্সিলিয়ারি বুথ মিলিয়ে মোট ২৪৬টি বুথ হচ্ছে। ১০০ শতাংশ বুথেই থাকবে সিসিটিভি। থাকছে ১৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র এবং লাঠিধারী পুলিশও থাকছে।

    নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সাগরদিঘি (Sagardighi) বিধানসভায় মোট ভোটদাতার সংখ্যা ২,৪৫,৮২৫। পুরুষ ভোটার ১,২৪,৫৩৩ জন, মহিলা ১,২১,২৮৭ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ৫ জন। ১৮-১৯ বছরের ভোটার রয়েছেন ৬২৫১জন। সেক্টর অফিস থাকছে ২২টি। থাকছে ক্যুইক রেসপন্স টিমও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Coal Scam ED: কোভিডকালে নির্মাণ-শিল্পে উল্কাবেগে উত্থান শিকারিয়ার! কীভাবে সম্ভব? খোঁজ করছে ইডি

    Coal Scam ED: কোভিডকালে নির্মাণ-শিল্পে উল্কাবেগে উত্থান শিকারিয়ার! কীভাবে সম্ভব? খোঁজ করছে ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচার মামলার তদন্তে গতকাল দক্ষিণ কলকাতার বেসরকারি নির্মাণ সংস্থার অফিস ও কর্ণধারের দফতরে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হানা দেওয়ার পর থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ওই ব্যবসায়ী ও তাঁর এক ‘পলাতক’ সহযোগীর সঙ্গে এরাজ্যের এক ‘অতি-প্রভাবশালী’ রাজনৈতিক পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কের কথা এখন লোকের মুখে মুখে ফিরছে। কয়লা পাচারের কালো টাকা যে ওই সংস্থার মাধ্যমে সাদা করা হত, সেই তত্ত্বও উঠে আসছে তদন্তকারী সংস্থার সূত্রে।

    কে এই বিক্রম শিকারিয়া?

    তবে এ সবের মধ্য থেকে জনমানসের মনে অনেক প্রশ্নও উঠে আসছে। তা হল, কে এই বিক্রম শিকারিয়া, যার দফতরে হানা দিয়ে গতকাল প্রায় দেড় কোটি টাকা উদ্ধার করেছে ইডি। কীভাবে কয়লা পাচারের টাকা আসত ওই সংস্থায়? সবচেয়ে বড় কথা, এই শিকারিয়ার খোঁজ কীভাবে পেল ইডি?

    আরও পড়ুন: কয়লা পাচারের অর্থে ‘প্রপার্টি-ডিল’! ১.৪ কোটি টাকা ছিল ‘পার্ট-পেমেন্ট’! বাকি টাকার খোঁজে ইডি

    দক্ষিণ কলকাতার অভিজাত ম্যাডক্স স্কোয়ার সংলগ্ন ৫এ আর্ল স্ট্রিটে শিকারিয়ার বাড়ি ও লাগোয়া তাঁর সংস্থা গজরাজ গ্রুপের দফতর। গজরাজ গ্রুপের মালিক এই বিক্রম শিকারিয়া। মোট তিরিশটি কোম্পানি এই গ্রুপের অন্তর্গত। ধৃতের নির্মাণ ব্যবসার পাশাপাশি আরও একাধিক ব্যবসা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। রয়েছে ফুড চেন ও ধাবা। বিক্রম নিজে বেশ কয়েকটি সংস্থার ডিরেক্টর। বাকিগুলির ডিরেক্টর পদে রয়েছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। 

    শিকারিয়ার উত্থান শুনলে চোখ কপালে উঠবে

    তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, গজরাজ গ্রুপের উত্থান হয়েছিল কোভিড পরিস্থিতিতে। সেসময় বাকি সমস্ত জায়গায় যেখানে নির্মাণ ব্যবসার মন্দা চলছিল, সেই কোভিডকালের মধ্যে কীভাবে গজরাজ গ্রুপ এতটা ফুলে ফেঁপে উঠল, সেটাই ইডি-র স্ক্যানারে। ইডি জানতে পেরেছে, গজরাজ গ্রুপ মূলত নির্মাণ ক্ষেত্রেই বিনিয়োগ করত। বেশিরভাগ প্রজেক্টই দক্ষিণ কলকাতার। জানা গিয়েছে, গত চার বছরে ৪২টি নির্মাণ করেছে এই গ্রুপ। 

    আরও পড়ুন: কয়লাকাণ্ডে উঠে আসছে হরিশ মুখার্জি রোডের একটি রেস্তোরাঁর নাম! মালিক কে? তদন্তে ইডি

    এখানেই সাদা করা হত কয়লা পাচারের কালো টাকা?

    গোয়েন্দা আধিকারিকদের অনুমান, কয়লা পাচারের কালো টাকা এই বাড়ি নির্মাণের মাধ্যমেই সাদা করা হয়েছে। এর আগেই ইডি আধিকারিকরা এই সংক্রান্ত বেশ কিছু সূত্র পেয়েছিলেন। তদন্ত করে ইডি জানতে পারে যে, কয়লা পাচারের বিপুল পরিমাণ টাকা দফায় দফায় ওই প্রোমোটিং সংস্থাটির হাতে পৌঁছয়। ইডির সন্দেহ, এই কোম্পানিগুলিতে কয়লা পাচারের টাকা ঘুর পথে এসেছে। জানা যায়, আসানসোল এবং পুরুলিয়া থেকে কয়লা পাচারকারীদের টাকা হাত বদল হয়ে এই নির্মাণকারী সংস্থার মাধ্যমে বাজারে খাটানোর চেষ্টা হচ্ছে। তদন্তকারীদের দাবি, কয়লা কাণ্ডে যে কালো টাকা বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছেছিল সেই টাকাই গিয়েছিল এই ব্যবসায়ীর বাড়িতে। 

    কীভাবে শিকারিয়ার ‘শিকার’?

    তদন্তের সূত্রেই কয়লা পাচারকাণ্ডের এই বেসরকারি সংস্থার নাম সামনে আসে। কয়লা পাচারের টাকা কোথায় কোথায় গিয়েছে, ‘মানি ট্রেল লিঙ্ক’-এর সূত্রে ধরেই ইডি তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যায়। ইডি জানতে পারে, এই বেসরকারি সংস্থাটির মাধ্যমে কয়লা পাচারকাণ্ডের টাকা বিনিয়োগ করা হত। কয়লাকাণ্ডের তদন্তে একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখা হয়। বয়ান নেওয়া হয় সাক্ষীদের। কয়লা পাচারের কিংপিন অনুপ মাঝি ওরফে লালা ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী রত্নেশ ভার্মাকে জেরা করে বেশ কিছু নির্দিষ্ট সূত্র পায় ইডি। 

    আরও পড়ুন: কে এই মনজিৎ জিট্টা ও তাঁর ‘অতি-প্রভাবশালী’ পার্টনার? কয়লাকাণ্ডে হন্যে হয়ে খুঁজছে ইডি

    এছাড়া, লালার লাল ডায়রিতেও ছিল এই শিকারিয়া ও গজরাজের নাম। সেখানে এই সংস্থায় টাকা দেওয়ার কথা উল্লেখ ছিল বলে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে। ইসিএলের খনি থেকে পাচার হওয়া কয়লা কোথায় যাবে, কোন গাড়ি কোন গন্তব্যে যাবে, তা পুরোটাই দেখত রত্নেশ। তাকে জেরা করে এই পাচারকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত বাকিদের হদিশ পাওয়ার চেষ্টা চালান তদন্তকারীরা। তা থেকে এই ‘গজরাজ গ্রুপ’ সম্পর্কে নিশ্চিত হয় ইডি। এরপর থেকেই ইডির রেডারে চলে আসেন শিকারিয়া। চলে তার ওপর নজর রাখার কাজ। অবশেষে বুধবার সেখানে হানা দেয় ইডি।

LinkedIn
Share