Blog

  • Manik Bhattacharya: মৃত ব্যক্তির সঙ্গে জয়েন্ট অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা মানিকের স্ত্রীর! বিস্ফোরক ইডি

    Manik Bhattacharya: মৃত ব্যক্তির সঙ্গে জয়েন্ট অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা মানিকের স্ত্রীর! বিস্ফোরক ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়  ফের মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনল ইডি। মৃত এক ব্যক্তির সঙ্গে জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট রয়েছে মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রীর। সেই অ্যাকাউন্টে রয়েছে ৩ কোটি টাকাও। এমনটাই দাবি করল ইডির আইনজীবী। এর আগে মানিকের ছেলে শৌভিকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা হদিশের পর এবারে মানিকের স্ত্রীর অ্যাকাউন্টেরও খোঁজ পেল ইডি। এই অ্যাকাউন্টেও রয়েছে কোটি কোটি টাকা। মঙ্গলবার ইডির আইনজীবী ব্যাঙ্কশাল কোর্টে এই বিষয়ে তথ্য দিয়েছেন।

    ঠিক কী তথ্য পেশ করেছে ইডি? এদিন ইডির আইনজীবী আদালতকে তথ্য দিয়ে বলেন, ২০১৬ সালে মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তীর সঙ্গে মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) স্ত্রীর জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তবে কে এই মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তী? কেন তাঁর সঙ্গে মানিকের স্ত্রী-এর জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট?  প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে। ইডি আদালতকে আরও জানিয়েছে, ৬ বছর আগে মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি ২০১৬ সালেই মারা গিয়েছেন। অথচ এখনও অ্যাকাউন্ট থেকে তাঁর নাম সরানো হয়নি। বরং ওই অ্যাকা‍উন্টে রয়েছে ৩ কোটি টাকাও।

    আরও পড়ুন: দুর্নীতির দোসর! টেট নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে দীর্ঘ জেরা ইডির, কী বললেন তিনি?

    ‌গতকাল, মঙ্গলবার টেট দুর্নীতিতে অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya) আদালতে পেশ করা হয়েছিল। সেখানে মানিকের স্ত্রীর অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে ইডির দেওয়া তথ্য শোনার পর আপাতত রায় স্থগিত রেখেছে ব্যাঙ্কশাল কোর্ট। এর আগেই মানিকের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল সর্বোচ্চ আদালত ও মঙ্গলবার পর্যন্ত ইডি হেফাজতেই ছিল। এরপর ফের ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠাল ব্যাঙ্কশাল কোর্ট। 

    উল্লেখ্য, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত মানিককে (Manik Bhattacharya) আর্থিক তছরুপের অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল ইডি। সেই গ্রেফতারির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই সুপ্রিম কোর্টে যান মানিক। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট গত বৃহস্পতিবার মানিকের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল। সেই রায়ের পর থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত ইডির হেফাজতেই ছিলেন মানিক। এবারে ফের মানিকের আবেদন খারিজ করে তাঁকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। তাঁকে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ও তদন্তের স্বার্থেই ইডি মানিককে আবারও জেল হেফাজতে রাখতে চেয়েছে।

  • Diwali 2022: ট্যুইটারে ট্রেন্ড করল #AyodhyaDeepotsav, পৌঁছল ২৩০ কোটি মানুষের কাছে

    Diwali 2022: ট্যুইটারে ট্রেন্ড করল #AyodhyaDeepotsav, পৌঁছল ২৩০ কোটি মানুষের কাছে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার অযোধ্যায় দীপোৎসব (Ayodhya Deepotsav) উদযাপিত হয় জন্য সরযূ নদীর তীরে। আর সেই উপলক্ষে ১৫ লাখের বেশি মাটির প্রদীপ জ্বালানো হয়। আর এতে আরও একবার রামনগরীর নাম উঠল একবার গিনেস বুকস অফ ওয়ার্ল্ডরেকর্ডে। এর আগে গত বছর অযোধ্যাতেই দীপোৎসবের আয়োজন করেছিল যোগী সরকার। সেখানে জ্বালানো হইয়েছিল ১২ লক্ষ মাটির প্রদীপ। তাতে রেকর্ড তৈরি হয়েছিল। তার পরে উজ্জয়নীতে সেই রেকর্ড ভাঙা হয়েছিল। এবছর ফের অযোধ্যা রেকর্ড গড়ল। 

    আরও পড়ুন: ‘বন্দেমাতরম’ গাইলেন নরেন্দ্র মোদি, শেয়ার করলেন এ আর রহমান

    আর একই সঙ্গে ট্যুইটারে ট্রেন্ড করল #AyodhyaDeepotsav। এই হ্যাশট্যগ পৌঁছে যায় বিশ্বব্যাপী ২৩০ কোটি মানুষের কাছে। ২ লক্ষের বেশি মানুষ ট্যুইটারে এই হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করেন। এই হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে অনেকে ভিডিও, ফটো শেয়ার করেন, কেউ কোট ট্যুইট করেন, কেউ রিট্যুইট করেন। কেউ আবার কমেন্টে এই হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করেন। 

    গতকাল ১৫ লক্ষ ৭৬ হাজার প্রদীপ জ্বালানো হয়েছিল। ২২ হাজার স্বেচ্ছাসেবক এই কাজ করেন। প্রত্যেকে ২৫৬টি করে প্রদীপ জ্বালানোর দায়িত্ব নিয়েছিলেন। গতকাল প্রধানমন্ত্রী দীপোৎসবের সূচনা করেন। সেই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও। এর আগে শ্রী রামলালার দর্শন ও পুজো করেন মোদি। পরে রামমন্দির নির্মাণের কাজ পরিদর্সন করেন তিনি। অনুষ্ঠানের সাফল্যের পর, প্রধানমন্ত্রী  যোগী আদিত্যনাথের ভূয়সী প্রশংসা করেন। গ্র্যান্ড ফেস্টিভ্যালে রেকর্ড করার সময় ঘাটটিতে প্রায় ৫০ হাজারেও বেশি মানুষ ভিড় করেছিল বলে জানা গিয়েছে। বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে ৩৭টি ঘাটে আলো জ্বালানো শুরু হয়। গিনেস বুক অফ রেকর্ডসের এক আধিকারিক এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি জানান, পাঁচ মিনিটের জন্য কতগুলি প্রজীপ জ্বলবে, সেগুলিই একমাত্র গণনা করা হবে। পুরো ঘটনাটি রেকর্ড করার জন্য রাখা হয়েছিল ড্রোন।  রাখা হয়েছে। চূড়ান্ত ঘোষণা করার আগে এই ড্রোন পরীক্ষা করা হয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Diwali 2022: ‘বন্দেমাতরম’ গাইলেন নরেন্দ্র মোদি, শেয়ার করলেন এ আর রহমান

    Diwali 2022: ‘বন্দেমাতরম’ গাইলেন নরেন্দ্র মোদি, শেয়ার করলেন এ আর রহমান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিবারের মতো এবছরও সেনা জওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলির উৎসব পালন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। কার্গিলে সেনা জওয়ানদের নিজের হাতে মিষ্টি খাইয়েছেন, দীপাবলির আনন্দ ভাগ করে নিয়েছেন। সকলের সঙ্গে এদিন বন্দেমাতরম গাইতেও শোনা যায় তাঁকে।

    আরও পড়ুন: সেনা জওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলি উদযাপন করলেন সিডিএস  

    এদিনে কার্গিলে সেনা জওয়ানদের সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। কার্গিলে মোদিকে দেখেই চলতে থাকে ‘ভারত মাতা কি জয়’ ধ্বনি। এরপর আয়োজিত হয় সঙ্গীতের আসর। সেনা জওয়ানরা বন্দুক ছেড়ে হাতে তুলে নেন বন্দুক। তারপরেই শুরু হয়, ‘বন্দেমাতরম’। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও দাঁড়িয়েছিলেন মঞ্চে। হাতে তাল দিতে দিতে প্রধানমন্ত্রীকেও ‘বন্দেমাতরম’ গাইতে দেখা গেল। 

    এই ভিডিও ট্যুইটারে শেয়ার করে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “কার্গিলে দীপাবলির উচ্ছাস।” 

     


    প্রধানমন্ত্রীর এই ট্যুইট কোট ট্যুইট করে সুর সম্রাট এ আর রহমান (A R Rahman) তামিল ভাষায় ‘বন্দেমাতরম’- এর লিরিক্স লেখেন। 


    প্রসঙ্গত, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা এই গান দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। দেশের স্বাধীনতার এতদিন পরেও বন্দমাতরম গানের আবেগ আজও একই রকম। পরবর্তীকালে বিভিন্নভাবে এই সুর দেশবাসীর হৃদয় ছুঁয়ে গিয়েছে। একটা সময় সঙ্গীত পরিচালক এআর রহমান এই গানকে নতুন রূপ দেন। এআর রহমানের সুর করা সেই গানই কার্গিলে সেনা জওয়ানরা গেয়েছিলেন। সেইসময় গলা মেলান প্রধানমন্ত্রী। উল্লেখ্য, এদিন কার্গিলের মঞ্চ থেকে নরেন্দ্র মোদি বলেন, “সন্ত্রাস দমন করার ক্ষেত্রে কার্গিল দেখিয়েছে অনন্য উদাহরণ।” উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে মে থেকে জুলাই মাসে কার্গিলে পাকিস্তানি অবৈধ অনুপ্রবেশ রুখে দিয়ে ভারত সেই যুদ্ধে বিজয়ী হয়। সেই ঘটনা দেশের প্রতিরক্ষার ইতিহাসে একটি বড় অধ্যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

        

  • Raju Bista: তৃণমূলের হতাশা এবং নিরাপত্তাহীনতা স্পষ্ট, বৈঠক প্রসঙ্গে রাজু বিস্তা

    Raju Bista: তৃণমূলের হতাশা এবং নিরাপত্তাহীনতা স্পষ্ট, বৈঠক প্রসঙ্গে রাজু বিস্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়র বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্যর (Ashok Bhattacharya) বাড়িতে সোমবার কালীপুজোর সন্ধ্যায় যান বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা (Raju Bista) ও বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। সেই সাক্ষাতের একটি ছবি সামনে এনে তৃণমূল তাদের মুখপত্রে দাবি করা হয়েছে, অশোক ভট্টাচার্যকে বাড়িতে গিয়ে বিজেপির সাংসদ, বিধায়ক বলে এসেছেন, “সরকার ফেলে দেব। সঙ্গে থাকুন।” এই চাঞ্চল্যকর দাবি সামনে আসতেই উত্তাল হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। যদিও এই দাবিকে ‘ঠুনকো’ বলে অভিহিত করেছেন অশোক ভট্টাচার্য।   

    এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা। একটি প্রেস রিলিজে তিনি বলেন, “তৃণমূলের জমানায় যেখানে সাধারণ সৌজন্য বিরল, সেখানে তৃণমূলের কর্মীরা সিপিআইএমের প্রবীণ নেতাদের সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। শিলিগুড়ির বিধায়ক, প্রাক্তন মেয়র, প্রাক্তন মন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্যের সঙ্গে গতকাল আমার দীপাবলির শুভেচ্ছে বিনিময় হয়েছে। তৃণমূলের মুখপত্রে আমাদের এই বৈঠককে ‘নতুন সেট আপ’ প্রমাণ করার মরিয়া চেষ্টা করা হচ্ছে। এ থেকেই তৃণমূলের হতাশা এবং নিরাপত্তাহীনতা স্পষ্ট। তৃণমূল হয়তো ভুলে গিয়েছে প্রবীণদের সম্মান করা এবং উত্সবের সময় তাদের আশীর্বাদ চাওয়া আমাদের সমাজ এবং সংস্কৃতির অন্যতম অঙ্গ।” 

    আরও পড়ুন: দৈনিক ৫ ঘণ্টা বা তার কম ঘুমোচ্ছেন? নিজের বিপদ ডেকে আনছেন না তো! 
     
    তিনি আরও বলেন, “যখন আমাদের দেশ এবং বিশ্বজুড়ে মানুষরা দীপাবলি এবং কালীপুজো উদযাপন করছে, তখন অনেক তৃণমূল নেতা জেল খাটতে বাধ্য হয়েছেন। আরও অনেকেই সেই পথেই হাঁটছেন। কেউ শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতি মামলায়, কেউ গরু চোরাচালান মামলায়, কেউ কয়লাপাচার মামলায়, কেউ ধর্ষণ ও কেউ হত্যা মামলায় জড়িত থাকার কারণে জেলে রয়েছেন। তৃণমূল নেতা- কর্মীদের ব্যাপক দুর্নীতি, খুন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ এবং সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে সন্ত্রাস ছড়ানোর মধ্যে দিয়েই তৃণমূল দলটির নীতি ও আদর্শ প্রতিফলিত হয়। আর এই কারণেই তৃণমূল নেতাদের একমাত্র উদ্দেশ্য সর্বদা ক্ষমতায় থাকা এবং জনসাধারণের তহবিল লুটপাট করা। আজ ওরা নিজের ছায়াকেও ভয় পাচ্ছেন। এমনকি তাঁরা জানে, তাদের দুর্নীতি এবং অত্যাচারী শাসনের অবসান হতে চলেছে। জনসাধারণের তহবিল লুটপাট এবং নিরপরাধদের  হত্যা করে গড়া তাসের ঘরটি ভেঙে চুরমার হতে চলেছে। আর সেই কারণে তারা সবকিছুকে রাজনৈতিক রঙে রাঙিয়ে  দিতে মরিয়া। সবকিছুতে রাজনীতি না দেখে, কেন এমন শুভ উৎসবের সময়ও কেউ তাদের নেতাদের ডাকেনি সে সম্পর্কে তাদের ভাবা উচিৎ।”  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Bhai phonta: ভাইফোঁটার শুরু কবে জানেন? এর পিছনের গল্পগুলো ভারি সুন্দর

    Bhai phonta: ভাইফোঁটার শুরু কবে জানেন? এর পিছনের গল্পগুলো ভারি সুন্দর

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়: জলযোগে বিভিন্ন রকমের মিষ্টি জাতীয় খাবার, লুচি,ঘুগনি। দুপুরে মাংস অথবা মাছ ভাত। ভাইফোঁটা মানেই যে কোনও বাঙালি বাড়ির পাতে এগুলো থাকবেই‌। সাধারণত কালীপুজোর  এক দিন পর সম্পন্ন হয় ভাইফোঁটা। এবছর অবশ্য ব্যতিক্রম। সকাল থেকেই বাঙালি বাড়িতে ব্যস্ততা তুঙ্গে ওঠে‌‌। একদিকে জলযোগের আয়োজন তো অন্যদিকে সাজগোজ। ভাই-দাদারা পাঞ্জাবি পড়বে তো দিদি-বোনেরা শাড়ি। হিন্দু ধর্মের যে কোনও পুজো বা ব্রত সম্পন্ন হয় পরিবার, আত্মীয় স্বজনদের মঙ্গল কামনার উদ্দেশ্যে। ভাইফোঁটা হলো ভাই ও বোনের মঙ্গল কামনার ব্রত। উভয়ের জীবনেই যেন সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি বিরাজ করে , সেই প্রার্থনাই ভাই-বোনেরা একে অপরের উদ্দেশ্যে করে থাকে এই বিশেষ তিথিতে।

    পঞ্জিকা অনুযায়ী, এই উৎসব কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়াতে উদযাপিত হয়। মাঝেমধ্যে এটি শুক্লপক্ষের প্রথম দিনেও উদযাপিত হয়ে থাকে। বাঙালির ঘরোয়া এই উৎসবে অন্যান্য পুজোর মতো রীতি, আচার বা মন্ত্রোচ্চারণ সেভাবে নেই বললেই চলে। ছড়ার মতো পাঠ করা হয় – 
    “ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা, যমের দুয়ারে পড়ল কাঁটা।
    যমুনা দেয় যমকে ফোঁটা, 
    আমি দিই আমার ভাইকে ফোঁটা”॥

    ভাইফোঁটা যেন বাঙালির নিজস্ব উৎসব। সবকিছুতেই বাঙালি মোড়ক। তবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ভাইফোঁটার বিভিন্ন নাম রয়েছে। উত্তর ও পশ্চিম ভারতের এই উৎসব ভাইদুজ নামে পরিচিত। সেখানে ভাইফোঁটা পাঁচ-দিনব্যাপী দীপাবলি উৎসবের শেষদিন। আবার, মহারাষ্ট্র, গোয়া ও কর্ণাটকে ভাইফোঁটাকে বলে ভাইবিজ। নেপালে ও পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং পার্বত্য অঞ্চলে এই উৎসব পরিচিত ভাইটিকা নামে পরিচিত। ভাঁইফোটা, ভাই ও বোনদের  উপহার পাওয়ার দিনও বটে। সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে আধুনিক প্রজন্মকে ভাঁইফোটার দিন ভাই ও বোনদের জন্য পছন্দ মতো ‘গিফট আইটেম’ কিনতে দেখা যায়। কোথাও কোথাও সামাজিক সদ্ভাবনার উদ্দেশ্যে গণ ভাইফোঁটার আয়োজন করা হয়।  

    আরও পড়ুন: হিন্দু যুবককে গোমাংস খাইয়ে, সুন্নত করিয়ে ইসলামে দীক্ষা, কাঠগড়ায় কং নেতা সহ ১১

    ভাইফোঁটার নেপথ্যে  রয়েছে বেশ কয়েকটি পৌরাণিক কাহিনী। কথিত আছে, সূর্যদেব ও তার পত্নী সংজ্ঞার যমুনা নামে কন্যা এবং যম নামে পুত্র সন্তান ছিল। পুত্র কন্যা সন্তানের জন্মের পরে সূর্যদেবের উত্তাপ স্ত্রী সংজ্ঞা সহ্য করতে পারতেন না। তিনি তখন নিজের প্রতিলিপি ছায়াকে স্বর্গলোকে রেখে মর্তে নেমে আসেন। সংজ্ঞার প্রতিরূপ হওয়ার কারনে, দেবতারা ছায়াকে চিনতে পারে না। স্বর্গে বিমাতা ছায়া যমুনা ও যমের প্রতি দুর্ব্যবহার করতে শুরু করেন। কিন্তু ছায়ার মোহে অন্ধ সূর্যদেব কোন প্রতিবাদ না করায় অত্যাচারের মাত্রা দিনের পর দিন বাড়তেই থাকে। এভাবেই একদিন বিমাতা কর্তৃক স্বর্গরাজ্য থেকে বিতাড়িত হন যমুনা।  যমুনার বিয়ে হয় এক উচ্চ বংশ জাত পরিবারে। বিয়ের পর দীর্ঘকাল যমুনাকে দেখতে না পেয়ে মনে আকুলতা তৈরী হয় যমের। এরপরই মন শান্ত করতে দিদির বাড়ি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় যম। কালী পুজোর দুদিন পরে যমুনার বাড়ি পৌঁছায় যম। ভাই এর আগমনে তারজন্য জন্য নানা রকমের খাবারের আয়োজন করেন দিদি যমুনা। দিদির আন্তরিকতায় ও ব্যবহারে মুগ্ধ হয়ে দিদিকে উপহার স্বরূপ বরদান প্রার্থনা করতে বলেন যম। সেই সময় যমুনা ভাইয়ের কাছে প্রার্থনা করেন যে, ‘ভ্রাতৃদ্বিতীয়ার দিন প্রত্যেক ভাই যেন তার বোনের কথা স্মরণ করে এবং প্রত্যেক বোন যেন তার ভাইয়ের মঙ্গল ময় দীর্ঘ জীবন কামনা করে।’ তখন থেকেই নাকি ভাইফোঁটার প্রচলন।

    অন্য একটি পৌরাণিক মত হলো ,  নরকাসুর বধের পূর্বে শ্রী কৃষ্ণ , সুভদ্রার কাছে আসেন। সুভদ্রা তখন শ্রী কৃষ্ণের মঙ্গল ও বিজয় কামনা করে , কপালে ফোঁটা দিয়ে মিষ্টি খেতে দেন শ্রী কৃষ্ণকে। এরপরই নরকাসুরকে বধ করেন শ্রী কৃষ্ণ।  আবার আরও একটি কাহিনী হলো, বালির হাতে পাতালে বন্দি হন ভগবান বিষ্ণু। তখন মাতা লক্ষ্মী বালিকে ভাই হিসেবে স্বীকার করে তাঁর কপালে তিলক এঁকে দেন। বালি উপহার স্বরূপ মাতা লক্ষ্মীকে কিছু দিতে চাইলে , দেবী লক্ষ্মী ভগবান বিষ্ণুকে চেয়ে নেন। তখন থেকেই নাকি ভাঁইফোটা প্রচলিত।

  • Saudi Crown Prince: ভারতে মজেছে আরব! নয়াদিল্লিতে সৌদি প্রধানমন্ত্রী, হিন্দিতে দীপাবলির শুভেচ্ছা আমিরশাহির প্রেসিডেন্টের

    Saudi Crown Prince: ভারতে মজেছে আরব! নয়াদিল্লিতে সৌদি প্রধানমন্ত্রী, হিন্দিতে দীপাবলির শুভেচ্ছা আমিরশাহির প্রেসিডেন্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে মজেছে আরব দেশ। একদিকে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা করতে নয়াদিল্লি আসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন সৌদির নয়া প্রধানমন্ত্রী (Saudi Crown Prince)। অন্যদিকে, হিন্দি (Hindi) ভাষায় দীপাবলির (Diwali) শুভেচ্ছা জানিয়ে তাক লাগিয়ে দিলেন আমিরশাহির প্রেসিডেন্ট (UAE)। জোড়া ঘটনায় ভারতের দৌত্য সফল বলেই মনে করছেন কূটনৈতিক মহলের একাংশ।

    কিছু দিন আগেই প্রধানমন্ত্রী পদে বসেছেন সৌদির যুবরাজ (Saudi Crown Prince) মহম্মদ বিন সালমান। বছর সাঁইত্রিশের সালমান প্রধানমন্ত্রী পদে অভিষিক্ত হতেই তাঁকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিন সালমান যখন যুবরাজ ছিলেন তখন একবার ভারতে এসেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এই প্রথম হতে চলেছে তাঁর নয়াদিল্লি সফর। জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে যাওয়ার পথে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণ রক্ষা করতে এ দেশে আসছেন তিনি। আগামী ১৪ নভেম্বর একদিনের সফরে নয়াদিল্লি আসছেন তিনি। চলতি সফরে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও বিন সালমান সাক্ষাৎ করবেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে।

    সূত্রের খবর, সৌদি প্রধানমন্ত্রীর (Saudi Crown Prince) এবারের সফরে আলোচনার কেন্দ্রে থাকবে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ। চলতি অর্থবর্ষে দু দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ৪৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এটাকে আরও বাড়িয়ে নিতে আগ্রহী দুই দেশই। ভারতীয় জুতো এবং পোশাকের বিরাট বাজার রয়েছে সৌদিতে। আবার সৌদিও চাইছে এদেশের পেট্রো-কেমিক্যাল সেক্টরে তাদের ভিত আরও শক্ত করতে। প্রত্যাশিতভাবে দুই দেশই মুখিয়ে রয়েছে ১৪ নভেম্বর আলোচনায় ঠিক কী কী বিষয় গুরুত্ব পায়, সেদিকে।

    আরও পড়ুন: মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ভারত সফরে আসছেন সৌদির প্রধানমন্ত্রী বিন সালমান!

    এদিকে, হিন্দি সহ তিন ভাষায় দীপাবলির শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহির প্রেসিডেন্ট শেখ মহম্মদ বিন জায়েদ আল নাহান। ট্যুইট-বার্তায় তিনি লিখেছেন, যাঁরা সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং গোটা বিশ্বে দীপাবলি পালন করছেন, তাঁদের অভিনন্দন। দীপাবলি আলোর উৎসব। সামনে যে নতুন বছর আসছে তা যেন আপনাদের এবং আপনাদের পরিবারে শান্তি, সমৃদ্ধি ও সুখ নিয়ে আসে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Rishi Sunak: ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক, কে তিনি জানেন?

    Rishi Sunak: ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক, কে তিনি জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটেনের (UK) প্রধানমন্ত্রী পদে বসতে চলেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক (Rishi Sunak)। ২৮ অক্টোবর শপথ নেবেন তিনি। তিনিই ব্রিটেনের প্রথম অশ্বেতাঙ্গ ব্যক্তি যিনি ওই পদে বসতে চলেছেন। আদ্যন্ত হিন্দু (Hindu) ঋষি বাড়িতে পালন করেন সমস্ত ধর্মীয় আচার। আসুন জেনে নিই, কে এই ঋষি সুনক?

    ব্রিটেনের সাউদাম্পটনে জন্ম ঋষির। বাবা যশবীর সুনক ছিলেন পেশায় চিকিৎসক। মা ঊষা ফার্মাসিস্ট, ওষুধের দোকান চালাতেন। ঋষির দাদু ছিলেন পাঞ্জাবের (Punjab) বাসিন্দা। সুনকের বাবা-মা পূর্ব আফ্রিকা থেকে ব্রিটেন চলে যান ১৯৬০ সালে। পড়াশোনায় ঋষি ছিলেন তুখোড়। অক্সফোর্ড ও স্ট্যান্ডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট তিনি। এই স্ট্যান্ডফোর্ডে পড়তে গিয়েই আলাপ ইনফোসিস কর্তা নারায়ণ মূর্তির মেয়ে অক্ষতর সঙ্গে। ২০০৯ সালে বিয়ে করেন ঋষি-অক্ষত। তাঁদের দুই মেয়ে। একজন অনুষ্কা, অন্যজন কৃষ্ণা। ভারতে থাকা আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে দেখা করতে ঋষিকে সপরিবারে বেঙ্গালুরুতে আসতে দেখা যায় প্রায়ই।

    ২০১৫ সালের মে মাসে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য হন ঋষি (Rishi Sunak)। ইয়র্কশায়ারের রিচমন্ড কেন্দ্র থেকে জিতে আসেন তিনি। হিন্দু ধর্মগ্রন্থ গীতা ছুঁয়ে শপথ নেন। ব্রিটিশ পার্লামেন্টে তিনিই প্রথম, যিনি এভাবে শপথ নিয়েছেন। ২০২০ সালে তাঁকে বসানো হয় ব্রিটিশ ক্যাবিনেটের চান্সেলর অফ এক্সচেকার পদে। কোভিড অতিমারি পরিস্থিতিতে কর্মী ও ব্যবসায়ীদের জন্য অর্থনৈতিক প্যাকেজ ঘোষণা করে ব্রিটেনবাসীর মন জয় করে নেন ঋষি (Rishi Sunak)। যদিও বিভিন্ন পরিবারে কস্ট অফ লিভিং সাপোর্ট না করায় বিস্তর সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুন: ‘২০৩০ এর রোডম্যাপ বাস্তবায়নে এক সঙ্গে কাজ করব’, ঋষিকে বার্তা মোদির

    ঋষির (Rishi Sunak) সম্পত্তির পরিমাণ ৭০০ মিলিয়ন পাউন্ডেরও বেশি। ব্রিটেনে প্রচুর সম্পত্তি রয়েছে তাঁর। ইয়র্কশায়ারে ঋষির নিজস্ব ম্যানসন রয়েছে। ঋষি ও তাঁর স্ত্রী অক্ষতর সম্পত্তি আছে সেন্ট্রাল লন্ডনের কেনসিংটনে। বরিস জনসন প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী পদের দৌড়ে ছিলেন ঋষিও। সেবার তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী তাঁরই দলের লিজ ট্রাসের সঙ্গে দৌড়ে পিছিয়ে পড়েন তিনি। প্রধানমন্ত্রী হন লিজ। মাত্র ৪৫ দিনের মাথায় পদত্যাগ করেন তিনিও। শেষমেশ প্রধানমন্ত্রীর শিকে ছেঁড়ে ঋষির কপালে। দিনটা ছিল দীপাবলি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Anubrata Mondal: ‘কেষ্ট’ গারদে, কালীপুজোয় নেই জাঁকজমক, কমল প্রতিমার গয়নাও!

    Anubrata Mondal: ‘কেষ্ট’ গারদে, কালীপুজোয় নেই জাঁকজমক, কমল প্রতিমার গয়নাও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেষ্ট (Anubrata Mondal) রয়েছে গারদে। দুর্গাপুজো কেটেছে আসালসোলের সংশোধনাগারে। আর এবার কালীপুজোও কাটছে সেখানেই। প্রতিবছর বোলপুর তৃণমূল কার্যালয়ে যে কালীপুজোর আয়োজন করা হয় তা কেষ্টর কালীপুজো নামে পরিচিত এলাকায়। কোনও বছরেই সেই পুজোয় এতটুকু কমতি হয়নি। প্রত্যেক বছর জাঁকজমকভাবে সেই পুজো করা হত। আর মায়ের গায়েও থাকত ভরি ভরি গয়না। কিন্তু এবছর গরুপাচারে কাণ্ডে (Cattle Smuggling Case) হাজতবাস করছেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ৷ তাই তাঁর অনুপস্থিতিতে জৌলুস হারাল তাঁর কালী পুজো, আর কমল প্রতিমার গয়নার পরিমাণও।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, যে প্রতিমা গতবছর সেজে উঠেছিল ৫৭০ ভরি সোনার গয়নায়, এবার সেজেছে মাত্র ৪০ ভরিতে। ২০১৮ সালে কালী প্রতিমা সাজানো হয়েছিল ১৮০ ভরি সোনার গয়নায়। ২০১৯ সালে গয়নার পরিমাণ বেড়ে হয়েছিল ২৬০ ভরি। ২০২০ সালে সেই প্রতিমা সাজানো হয়েছিল প্রায় ৩০০ ভরি গয়না দিয়ে। আর ২০২১-এ তার পরিমাণ বেড়ে হয়েছিল ৫৭০ ভরি। মাথায় ছিল সোনার মুকুট। এছাড়াও ছিল সীতাহার, চেন, গলার চিক, চূড়, রতনচূড়, মান্তাসা, বাজুবন্ধ, টায়রা-টিকলিও ইত্যাদি। কিন্তু এবছর এর একেবারে বিপরীত দৃশ্য। মাথায় সোনার মুকুট নেই, কানের দু পাশে কান বালা উধাও, বাজুবন্ধ মানতাসা কিছু পড়ানো হয়নি মাকে। কিছু সীতাহার, সোনার চেন, চারহাতে চারটি বালা, টিকলি,টায়রা পড়িয়ে পুজো করা হল কেষ্টর কালীকে।

    আরও পড়ুন: উপলক্ষ কালীপুজো, তারাপীঠ, দক্ষিণেশ্বর, লেক কালী বাড়িতে ভক্ত সমাগম

    এবছর কেষ্ট (Anubrata Mondal) জেলে থাকায় কেষ্টর কালীপুজো কে করবে? কে পরাবে প্রতিমার অলঙ্কার? জাঁকজমকেরই বা কী হবে? প্রশ্ন ছিল একাধিক। শেষে জানা গিয়েছে, কালী মূর্তিকে সোনার গয়নায় সাজালেন পুরোহিত রেবতীরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর সহকারী। অফিসের দোতলায় কালী মন্দিরে বিকেলেই মাকে সাজানো হল। একে একে হাজির হলেন কর্মীরা। গেটের বাইরে এলইডি আলোর গেট।

    এবারে অতিথিদের খাবারেও কাটছাঁট করা হয়েছে। অতিথিদের খাওয়ার জন্য রাত্রে প্রসাদ হিসাবে খিচুড়ি, পাঁঠার মাংস, ভাজা, তরকারি, চাটনি, পাঁপড় মিষ্টি রয়েছে। তবে বেশ কিছু পদ কমেছে। আবার ভয়ে অনেক নেতা-নেত্রীদের নিমন্ত্রনও করা হয়নি। আবার আসতে চায়নি অনেকে।  অন্যদিকে দলীয় স্তরে জেলা কমিটির সদস্যদের এক হাজার টাকা করে চাঁদা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু তাকে সামনে রেখে বেশ কিছু নেতা ও অন্যান্যদের কাছ থেকে টাকা তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ এসেছে জেলা নেতাদের কাছে।

  • UK Prime Minister: ইতিহাস তৈরি করলেন ঋষি সুনক! ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় বংশোদ্ভূত

    UK Prime Minister: ইতিহাস তৈরি করলেন ঋষি সুনক! ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় বংশোদ্ভূত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ পর্যন্ত ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক (Rishi Sunak)। সোমবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সুনকের নামই চূড়ান্ত করে ফেলল কনজারভেটিভ পার্টি। সোমবার দীপাবলির রাতে এল এই সুখবর। ২৮ অক্টোবর তিনি শপথ গ্রহণ করবেন। ভারতের জামাই ঋষি আজকে এক ইতিহাস তৈরি করলেন। ১৯১ জনের বেশি সাংসদ তাঁকে সমর্থন করেছেন।  ব্রিটেনের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হবেন ঋষি। আর এই প্রথমবার ব্রিটেনের মসনদে কোনও ভারতীয় বসতে চলেছে।

    ঋষি সুনক আগেই ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে বসার জন্য লড়াই করেছিলেন৷ কিন্তু সেবার তিনি পরাজিত হন৷ আগেরবার লিজ ট্রাস প্রধানমন্ত্রী হন। কিন্তু এবার লিজ ট্রাস দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার পরে ঋষির প্রধানমন্ত্রী পদে বসার জন্য ফের আশার আলো দেখা যায়। যদিও বরিস জনসন তাঁর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তবে তিনিও সে জায়গা থেকে সরে আসেন ও ঋষির প্রতিদ্বন্দ্বী পেনি মর্ডেন্টও তাঁর ধারের কাছে যেতে পারেননি। ফলে ইনফোসিস কর্তা নারায়ণ মূর্তির জামাই ঋষি সুনকের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার রাস্তা অনেকটাই মসৃণ হয়ে যায়। পেনি এদিন ১০০ জনেরও সমর্থন পাননি। ফলে অবশেষে জয়লাভ করলেন ঋষি।

    আরও পড়ুন: সরে দাঁড়ালেন বরিস, ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী ঋষিই?

    কনজারভেটিভ পার্টির সদস্য ঋষি, বরিস জনসন মন্ত্রিসভার প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীও ছিলেন। ব্রিটেনের সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক সংকটে তিনিই যোগ্য প্রার্থী হতে পারেন, এ দাবি করেছিলেন তিনি। ফলে ঋষি সুনকের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এখন তাঁর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল ব্রিটেনের অর্থনীতির পরিস্থিতি ঠিক করা। বর্তমানে দেশের আর্থিক যে পরিস্থিতি তাতে কনজারভেটিভ পার্টি ঋষিকেই যোগ্য বলে মনে করছে। এছাড়াও ঋষিও তাই মনে করেন। প্রসঙ্গত, লিজ ট্রাসের পদত্যাগের কারণও দেশের আর্থিক অবস্থাই ছিল। তিনি আসার পরেও ব্রিটেনে কোনও পরিবর্তন আসেনি। ফলে এই পরিস্থিতিতে দেশের আর্থিক অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ঋষির ওপরেই ভরসা করেছেন কনজারভেটিভ পার্টি সহ ব্রিটেনের জনতা। তবে তিনি কতটা সফল হতে পারেন সেদিকেই তাকিয়ে পুরো বিশ্ববাসী। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Saurav Ganguly: সরে দাঁড়ালেন সৌরভ, সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়, আর কে কে কোন পদে?

    Saurav Ganguly: সরে দাঁড়ালেন সৌরভ, সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়, আর কে কে কোন পদে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ মুহূর্তে সরে দাঁড়ালেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly)। সিএবির (CAB Election) নির্বাচনে সভাপতি পদে মনোনয়ন জমা দিলেন না তিনি। পরিবর্তে তাঁর দাদা স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় (Snehasish Ganguly) বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বঙ্গীয় ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থার শীর্ষস্থানে বসবেন।

    বিসিসিআই (BCCI) সভাপতির মেয়াদ শেষ হওয়ার সৌরভ ঘোষণা করেছিলেন, তিনি সিএবি’র নির্বাচনে লড়বেন। শনিবারই তাঁর মনোনয়ন জমা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি দেননি। তার পরেই জল্পনা শুরু হয়েছিল প্রাক্তন ভারত অধিনায়ককে ঘিরে। তাহলে কি সৌরভ সিএবি সভাপতি পদে লড়বেন না? সেটাই সত্যি হল। রবিবার সিএবিতে এসে নিজের ঘরে ডেকে নেন সংস্থার বাকি সদস্যদের। সেখানেই তিনি মনোনয়ন জমা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন।

    আরও পড়ুন: বিরাট-ব্যাটে মুগ্ধ ক্রিকেট বিশ্ব! পাক-বধে কোহলির ইনিংসে আপ্লুত শচীন থেকে যুবি

    সৌরভ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি আগেই বলেছিলাম সিএবি’র সভাপতি পদে ভোটে লড়ব। কিন্তু ভোট হচেছ না। বিরোধীরা কোনও প্রার্থী দেননি। তাই বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বতায় সবাই জয়ী হবে। আমি চাইলেই সিএবি সভাপতি পদে বসতে পারতাম। কিন্তু সেটা ঠিক হত না। অন্যদেরও কাজের সুযোগ দেওয়া উচিত। আপাতত তিন বছর আমি ক্রকেট প্রশাসন থেকে দূরে থাকব। দেখা যাক তার পর কী হয়।’

    সৌরভ দ্বিতীয়বার বিসিসিআই সভাপতি না হওয়ার পর তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে ফেসবুকে তাঁকে খোঁচা দিয়ে একটি লেখা পোস্ট করেছিলেন। শুধু তাই নয়, বিশ্বরূপবাবু লিখেছিলেন, সৌরভ সিএবি কিংবা বিসিসিআই সভাপতি হয়েছেন ভোটে না লড়ে। তৃণমূল নেতার এই মন্তব্য আঘাত করেছিল মহারাজকে। তাই হয়তো তিনি আবেগের সঙ্গে সিএবি’র সভাপতি পদে লড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন বলে মত তাঁর ঘনিষ্ঠদের। তবে যখন তিনি বুঝতে পেরেছেন, সিএবিতে এখন বিরোধী বলে কিছু নেই, তাই সরে এলেন সৌরভ। বরং পদে না থেকেও রিমোট থাকবে তাঁরই হাতে। কারণ, সিএবি যাঁরা আগামী তিন বছর পরিচালনা করবেন, তাঁরা প্রত্যেকেই সৌরভ অনুগামী।

    আরও পড়ুন: বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন রজার বিনি! জানেন তিনি কে?

    দেখে নেওয়া যাক সিএবিতে কে কোন পদে বসছেন—
    সভাপতি-স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়
    সহ-সভাপতি-অমলেন্দু বিশ্বাস
    সচিব-নরেশ ওঝা
    কোষাধ্যক্ষ-প্রবীর চক্রবর্তী
    যুগ্নসচিব-দেবব্রত দাস

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share