Blog

  • Pakistan Threat: লোন না দিলে উড়িয়ে দেওয়া হবে এসবিআই, হুমকি পাকিস্তানির!

    Pakistan Threat: লোন না দিলে উড়িয়ে দেওয়া হবে এসবিআই, হুমকি পাকিস্তানির!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (SBI) উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি! স্টেট ব্যাংকের মুম্বইয়ের নরিম্যান পয়েন্ট শাখায় ওই হুমকি দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকের চেয়ারম্যানকে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার এ খবর জানিয়েছে মুম্বই পুলিশ। জানা গিয়েছে, যে ফোনে হুমকি দিয়েছে, সে তার পরিচয় দিয়েছে মহঃ জিয়াউল আলিম বলে। তার দাবি, সে পাকিস্তান (Pakistan) থেকে ফোনে কথা বলছে। সে ব্যাংকের ওই শাখা থেকে লোন চেয়েছিল। লোন দেওয়া না হলে ব্যাংকের চেয়ারম্যানকে অপহরণ করার হুমকি দিয়েছিল। দিয়েছিল খুনের হুমকিও। ওই ব্যক্তির হুমকি, লোন দেওয়া না হলে উড়িয়ে দেওয়া হবে ব্যাংকও।

    মুম্বই পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি স্টেট ব্যাংকের নরিম্যান পয়েন্ট শাখার ল্যান্ড লাইনে ফোন করে। ১৩ অক্টোবর বেলা এগারোটা নাগাদ ফোনটি আসে। ওই ফোনেই সে হুমকি (Pakistan Threat) দেয়। নিজেকে সে মহঃ জিয়াউল আলিম বলে পরিচয় দেয়। সে বলে, সে পাকিস্তান থেকে কথা বলছে। তাকে লোন দেওয়া না হলে ব্যাংকের চেয়ারম্যানকে অপহরণ করা হবে। করা হবে খুনও। এসবিআইয়ের ওই শাখা উড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেয় সে। অজ্ঞাত পরিচয় ওই ব্যক্তির হুমকি ফোন (Pakistan Threat) পাওয়ার পরেই মেরিন ড্রাইভ থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তির নামে দায়ের হয়েছে অভিযোগ। অভিযোগ দায়ের করেছেন স্টেট ব্যাংকের সহকারী নিরাপত্তা ম্যানেজার অজয়কুমার শ্রীবাস্তব। ৫০৬/২ ধারায় দায়ের হয়েছে অভিযোগ। অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিটি আদপে কে, সে কোনও জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: ভারতে বন্ধ পাকিস্তান সরকারের ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট

    তদন্তে নেমে পুলিশ ফোন নম্বরের কল ডিটেল রেকর্ড খতিয়ে দেখে জানতে পারে, ফোনটি এসেছিল পশ্চিমবঙ্গ থেকে। অভিযুক্তের খোঁজে ইতিমধ্যেই বাংলার দিকে রওনা দিয়েছে মুম্বই পুলিশ। পশ্চিমবঙ্গে নানা সময় জঙ্গি ধরা পড়েছে। ধরা পড়েছে জঙ্গি গোষ্ঠীর এজেন্টও। এই ব্যক্তি নিতান্তই সাধারণ মানুষ নাকি কোনও জঙ্গি গোষ্ঠীর প্রতিনিধি, তাও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

  • Anubrata Mondal: কেষ্টহীন কালী পুজো কেমন হবে বোলপুরে? নজর সিবিআইয়ের

    Anubrata Mondal: কেষ্টহীন কালী পুজো কেমন হবে বোলপুরে? নজর সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) মা কালীর অন্যতম বিশেষত্ব তাঁর রাশি রাশি সোনার গয়না। কালী পুজোর (Kali Pujo) আগের দিন সেই সব গয়না একত্রিত করা হয়। এরপর অনুব্রত মণ্ডলের উপস্থিতিতে সেই গয়না মা কালীর অঙ্গে এক এক করে পরানো হয়। কিন্তু এবার তিনি জেলে। তাহলে কী হবে?  তা নিয়েই এখন আলোচনা চলছে বীরভূম জেলা তৃণমূলের অফিসে (Birbhum TMC)। তবে এই পুজোর দিকে নজর রাখছে সিবিআইও (CBI)।

    আরও পড়ুন: ৮ বছরে আয় বেড়েছে প্রায় ১৭৫ গুণ! অনুব্রত কন্যা সুকন্যার আয়কর রিটার্ন চমকে দেবে আপনাকেও

    গরু-পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পর কালী প্রতিমার গয়নাও রয়েছে সিবিআইয়ের স্ক্যানারে। গত বছর পর্যন্ত যে পরিমাণ গয়নার হিসাব পাওয়া গিয়েছে তার বর্তমান বাজার মূল্য কয়েক কোটি টাকা। এত গয়না কোথা থেকে এল, তা জানতে গয়নার ব্যবসায়ীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। প্রতিবছর বোলপুরে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে ঘটা করে শ্যামাপুজো করতেন অনুব্রত মণ্ডল।  ১৯৮৮ সাল থেকে শুরু হওয়া পুজোয় এত জাঁকজমক আগে ছিল না। তবে, রাজ্যে পালাবদলের সঙ্গে সঙ্গে পুজোর জৌলুস বাড়তে থাকে। পাশাপাশি বাড়তে শুরু করে অনুব্রতের কালী প্রতিমার সোনার অলংকারও।

    আরও পড়ুন: অনুব্রত ঘনিষ্ঠ প্রমোটার রানা সরকারকে সিবিআইয়ের জেরা! কী জানতে চাইলেন অফিসারেরা

    বিশেষ সূত্রে খবর, ২০১৮ সালে কালী প্রতিমার সোনার গয়নার পরিমাণ ছিল ১৮০ ভরি। ২০১৯ সালে তা বেড়ে হয় ২৬০ ভরি। ২০২০ সালে এই  সোনার গয়নার পরিমাণ ছিল প্রায় ৩৬০ ভরি। ঠিক তার পরের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে সোনার মুকুট, বাউটি, বাজুবন্ধন, চুর, কানের দুল, গলার হার মিলিয়ে প্রায় ৫৭০ ভরি সোনার গয়নায় কালীমূর্তিকে সাজিয়েছেন অনুব্রত নিজে। এবছর কালীপুজো ২৪ অক্টোবর। অনুব্রতকে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে হাজির করানোর কথা ২৯ তারিখ। অতএব দুর্গাপুজোর মতো কালীপুজোও হয়ত জেলেই কাটবে কেষ্টর। যদিও পুজো বন্ধ হবে না, বলে জানিয়ে দিয়েছেন অনুব্রতের ঘনিষ্ঠ, বোলপুরের বিধায়ক ও মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিং। তাঁর কথায়, ‘‘পুজো যেমন হয় তেমনই হবে। দলের কর্মীরাই দায়িত্ব নিয়ে সেই পুজোর আয়োজন করবেন।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Bhubaneswar: সিনেমার চিত্রনাট্যকেও হার মানাবে ওড়িশার লেডি ব্ল্যাকমেলারের কাহিনী! জানেন অর্চনার গল্প?

    Bhubaneswar: সিনেমার চিত্রনাট্যকেও হার মানাবে ওড়িশার লেডি ব্ল্যাকমেলারের কাহিনী! জানেন অর্চনার গল্প?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওড়িশার লেডি ব্ল্যাকমেলারের কাহিনী হার মানাবে সিনেমার চিত্রনাট্যকেও। ওড়িশার কালাহান্ডির গরীব ঘরের মেয়ে অর্চনা নাগ। এখন প্রাসাদের মতো বাড়ি। বাড়ির সাজসজ্জা চোখ ধাঁধাবে। বিদেশি আসবাবপত্র, বিলাসবহুল গাড়ি, চারটি দামি কুকুর এবং একটি সাদা ঘোড়া কী নেই অর্চনার অন্দরে। তবে এখন তার স্থান গারদের পিছনে। তোলাবাজি,মধুচক্র চালানোর অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।  তার জালে ধরা দিয়েছিল প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী থেকে সিনেমার প্রযোজক। অর্চনার বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিয়ো ও ছবি প্রকাশ করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তোলাবাজি চালাত অর্চনা। তোলাবাজির মাধ্যমে তুলত কোটি কোটি টাকা। ২৫ বছরের অর্চনার উত্থান-পতন নিয়ে ওড়িশার এক চলচ্চিত্র পরিচালক একটি সিনেমা তৈরির কথাও ভাবছেন।

    আরও পড়ুন : মুদ্রাস্ফীতির দিকে চোখ রেখে তৈরি হবে আগামী বাজেট, জানালেন সীতারমন

    পুলিশ সূত্রে খবর, কালাহান্ডির লাঞ্জিগড়ে জন্ম অর্চনার। ওই জেলারই কেসিঙ্গা নামে ছোট্ট এক শহরে বড় হয়েছে সে। ২০১৫ সালে অর্চনা ভুবনেশ্বরে চলে আসে। প্রথমে একটি বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থায় কাজ করে। পরে একটি বিউটি পার্লারে কাজ করতে থাকে। সেখানে বালেশ্বরের জগবন্ধু চাঁদের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। জগবন্ধুর একটি পুরনো গাড়ির শোরুম ছিল। সেই সূত্রে তার সঙ্গে রাজ্যের বহু বিত্তশালী লোকেদের পরিচয় ছিল। অর্চনা ও জগবন্ধু বিয়ে করে ২০১৮ সালে। তারপরই শুরু হয় মধুচক্র চালানোর কাজ। অর্চনা প্রভাবশালী ও ধনী লোকেদের সঙ্গে ভাব জমাত এবং তাঁদের নিয়মিত নারীসঙ্গের ব্যবস্থা করে দিত। পুলিশের দাবি, সেই সময় তাঁদের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি তুলত জগবন্ধু। এরপরই শুরু হত ব্ল্যাকমেলের পালা। এইভাবে কোটি কোটি টাকা তুলেছে তারা। 

    আরও পড়ুন: ফের আইনি গেরোয় প্রাথমিকে নিয়োগ, বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা 

    সম্প্রতি, নয়াপল্লি থানায় ওড়িয়া সিনেমার প্রজোযক অক্ষর পারিজা অভিযোগ করেন, অশ্লীল ছবি ভাইরাল করে দিয়ে তাঁর থেকে তিন কোটি টাকা দাবি করেছিল অর্চনারা। সূত্রের খবর, শুধু পারিজা নয়, অর্চনাদের নিশানায় ছিল রাজ্যের শাসক দল বিজেডির একাধিক নেতা, ব্যবসায়ীরাও। এরপর একটি মেয়ে অর্চনার বিরুদ্ধে মধুচক্রে কাজ করানোর অভিযোগ জানানোর পরই গ্রেফতার করা হয় তাকে।  ভুবনেশ্বরের ডেপুটি কমিশনার প্রতীক সিং জানিয়েছেন, যে মহিলা অর্চনার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন, তিনি নিজের পরিচয় গোপন রাখতে চেয়েছেন। ওই পুলিশ কর্তা বলেছেন, ‘সংবাদমাধ্যমের কাছে যাতে কোনও তথ্য ফাঁস না হয়ে যায়, সেজন্য উনি আমাদের কাছে আর্জি জানিয়েছেন। তাঁর আশঙ্কা যে পরিচয় ফাঁস হয়ে গেলে তাঁর জীবন বিপন্ন হয়ে পড়বে। তাই এই বিষয়টি নিয়ে আমরা আপাতত বেশি কিছু বলতে পারব না।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • China: বেজিংয়ের রাজপথ ছয়লাপ ‘বিশ্বাসঘাতক একনায়ক’ লেখা ব্যানারে, নিশানায় কে?   

    China: বেজিংয়ের রাজপথ ছয়লাপ ‘বিশ্বাসঘাতক একনায়ক’ লেখা ব্যানারে, নিশানায় কে?   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেজিংয়ের রাজপথ ছয়লাপ ‘বিশ্বাসঘাতক একনায়ক’ লেখা ব্যানারে। ঘটনায় এটা স্পষ্ট যে ২০তম কংগ্রেসে রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে পুননির্মাণের আগে চিনের (China) প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping) যথেষ্ঠ চাপে রয়েছেন। দিন কয়েক আগে শি জিনপিংকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিল বলে খবর ছড়িয়েছিল। পরে অবশ্য তাঁকে প্রকাশ্যে দেখা যায়। চিনের সর্বাধিনায়কের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতক একনায়ক লেখা ব্যানার পড়ায় অস্বস্তিতে পার্টি। যদিও ব্যানারের ছবি প্রকাশ্যে আসতেই তড়িঘড়ি সরিয়ে নেওয়া সেগুলি।

    চিনের রাজধানী বেজিংয়ের এক সাংবাদিকের করা ট্যুইট থেকে জানা গিয়েছে, কোনও কোনও ব্যানারে চিনের জিরো কোভিড পলিসির বিরোধিতা করা হয়েছে। লেখা হয়েছে, আমরা কোভিড পরীক্ষা চাই না, খাবার চাই। লকডাউন চাই না, স্বাধীনতা চাই। আবার কোনও কোনও ব্যানারে লেখা হয়েছে, বিশ্বাসঘাতক একনায়ক (Dictatorial Traitor)। জানা গিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ব্যানারের ছবি ছড়িয়ে পড়তেই দ্রুত খুলে নেওয়া হয় সেগুলি। হেইডিয়ান জেলায় ব্যানারের নীচে রাস্তার ওপর থেকে ধোঁয়া উঠতেও দেখা গিয়েছে। সেখানে জনতা স্লোগান দিতে দেখা গিয়েছে এই বলে যে স্কুলে ধর্মঘট করা যাক, ধর্মঘট করা যাক কাজেও, বিশ্বাসঘাতক একনায়ক শি জিনপিংকে সরানো যাক।

    আরও পড়ুন: ‘আড়াই বছর অত্যন্ত কঠিন ছিল…’ ভারত-চিন সম্পর্কের হাল হকিকত জানালেন জয়শঙ্কর

    প্রসঙ্গত, বেজিংয়ের জিরো কোভিড পলিসির কারণে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, কোয়ারেন্টাইন এবং পরপর লকডাউনের ওপর ব্যাংক করে সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে জিন পিং সরকার। যদিও চিনা সরকারের দাবি, কোভিড প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে এটি দারুণ কার্যকর হয়েছে। প্রসঙ্গত, চিনা নাগরিকরা আশা করেছিলেন যে ২০ তম কংগ্রেসের পরে জিরো কোভিড নীতি শেষ হবে। প্রসঙ্গত, চিনের রাষ্ট্রীয় মিডিয়ার একটি সম্পাদকীয়তে ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে একটি লেখা প্রকাশিত হতেই  তাঁদের নিরাশ হতে হয়। চিনের কড়া কোভিড নীতির কারণে থমকে গিয়েছে অর্থনৈতিক উন্নতি। জিনপিংয়ের আমলে মার খেয়েছে রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা। এই ব্যানার-আন্দোলনের পর জিন পিংয়ের পদ থাকে কিনা, এখন সেটাই দেখার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Scam: এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডের সঙ্গে গরুপাচারের যোগ? এবার প্রসন্নর স্ত্রী-ভাইকে তলব সিবিআইয়ের

    SSC Scam: এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডের সঙ্গে গরুপাচারের যোগ? এবার প্রসন্নর স্ত্রী-ভাইকে তলব সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুই দুর্নীতি নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। এর মাঝে সামনে এল আরও এক বিস্ফোরক তথ্য। এসএসসি দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় গ্রেফতার হওয়া প্রসন্ন রায়ের (Prasanna Roy) ভাই ও স্ত্রীকে গরুপাচার (Cattle Smuggling Case) মামলায় তলব করল সিবিআই। আগামী সপ্তাহে প্রসন্নর ভাই ও স্ত্রীকে ডেকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি। আর এতেই দুয়ে দুয়ে চার করে ফেলেছেন অনেকেই। অনেকেই মনে করছেন, এসএসি দুর্নীতি ও গরু পাচারের নিবিড় যোগ রয়েছে। 

    সিবিআই জানিয়েছে, প্রসন্নকে গ্রেফতার করার পর বেশ কিছু শেল কোম্পানির হদিশ মিলেছে। যেগুলির অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে এসএসসির টাকা এদিক-ওদিক হয়েছে। আবার গরু পাচার মামলাতেও এমন বেশ কিছু শেল কোম্পানি সিবিআই- এর নজরে এসেছে। দেখা যাচ্ছে, একাধিক শেল কোম্পানির ডিরেক্টর পদে রয়েছেন প্রসন্নর স্ত্রী ও ভাই। সিবিআই গোয়েন্দাদের অনুমান, প্রসন্নর কাজটাই ছিল প্রভাবশালীদের টাকা শেল কোম্পানির মাধ্যমে ঘুরিয়ে এদিক ওদিক করা। গরুপাচার, এসএসসি দুর্নীতি সব টাকাই প্রসন্নগর পরিবারের ঘাতে কোনও না কোনও সময় এসেছে।   

    আরও পড়ুন : শিক্ষক বদলিতে রয়েছে মানিকের হাত, সম্পত্তি নিয়েও ভুল তথ্য পেশ, বিস্ফোরক দাবি ইডির 

    প্রসন্নকে ২ মাস আগে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার করা হয়েছে চাকরি বিক্রির দালাল প্রসন্ন রায় ও তার সহযোগী প্রদীপ সিং- কে। একদা রঙের ছোট ঠিকাদার প্রসন্ন যে ভাবে গত সাত-আট বছরে ধন কুবের হয়ে উঠেছে তাতে অবাক হয়েছেন অনেকেই। নিউটাউন সল্টলেকে একাধিক সম্পত্তি, লাটাগুড়িতে রিসর্ট। প্রসন্ন হঠাতই রাজা হয়ে উঠেছিলেন। এসএসসি দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া প্রসন্নর ভাই ও স্ত্রীকে এবার গরু পাচার মামলায় ডাকল সিবিআই।   

    গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, বিধাননগরে একটি ছোট্ট অফিস থেকে গাড়ি ভাড়া দেওয়ার ব্যবসা করতেন প্রসন্ন। সেই অফিসেই চাকরিও বিক্রি করা হত। উত্তর ২৪ পরগনার প্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ ও টাকা আদায়ের দায়িত্ব ছিল প্রসন্নর ওপর। নিজের অফিসে বসেই ভুয়ো প্রার্থীদের তালিকা বানাত সে। তার পর তা প্রদীপ সিংয়ের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিত শান্তিপ্রসাদ সিনহার কাছে। মূলত প্রদীপকে সামনে রেখেই নথিপত্র এবং টাকার লেনদেন করত প্রসন্ন। এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডের যাবতীয় মেল প্রসন্নর সল্টলেকের কার রেন্টাল অফিসের কম্পিউটার থেকে করা হত। এমনটাই জানিয়েছেন গোয়েন্দারা।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Naihati: নৈহাটি স্টেশনে উদ্ধার ৬০ লক্ষ টাকা, যুবক গ্রেফতার, সঙ্গে ছেঁড়া নোট কেন?

    Naihati: নৈহাটি স্টেশনে উদ্ধার ৬০ লক্ষ টাকা, যুবক গ্রেফতার, সঙ্গে ছেঁড়া নোট কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ফের মিলল বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা (Cash Recovery)। উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটি (Naihati) রেল স্টেশনে এক যুবকের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে নগদ ৬০ লক্ষ টাকা। তার সঙ্গে মিলেছে একটি ছেঁড়া ১০ টাকার নোট। ওই বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়ে যুবকটি কোথায় যাচ্ছিল, তার কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি সে।টাকার উৎস সন্ধানে ওই যুবককে জেরা করছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে ওই যুবককে।

    সূত্রের খবর, মঙ্গলবার দুপুরে নৈহাটি (Naihati) রেল স্টেশনে রুটিন তল্লাশি চালাচ্ছিল জিআরপি থানার পুলিশ। ওই সময় আপ কল্যাণী লোকাল থেকে ব্যাগ হাতে নামে দেখা যায় এক যুবককে। ব্যাগে তল্লাশি চালাতেই সন্ধান মেলে রাশি রাশি টাকার। রেল পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে আসেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। নিয়ে আসা হয় টাকা গোণার মেশিন। দেখা যায়, ওই যুবকের ব্যাগে রয়েছে ৬০ লক্ষ টাকা। ১০ টাকার একটি ছেঁড়া নোটও ছিল ওই যুবকের সঙ্গে। ওই যুবকের নাম অভিষেক সোনকর।বছর চব্বিশের অভিষেকের দাবি, তার বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার টিটাগড়ে। তবে বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়ে সে কোথায় যাচ্ছিল, তার কোনও যথাযথ উত্তর সে দিতে পারেনি। পুলিশের অনুমান, লেনদেনের সংকেতের জন্য ওই ছেঁড়া দশ টাকার নোট ব্যবহার করা হচ্ছিল। সম্ভবত, যাকে টাকা দেওয়ার কথা ছিল তার কাছে ওই ১০ টাকার নোটের বাকি অংশটি রয়েছে। এদিন রাতে জেরা করা হলেও ওই যুবক মুখ খোলেনি। সে সত্যিই টিটাগড়ের বাসিন্দা কিনা, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন : পার্থ-অর্পিতার ১০৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত! এসএসসি মামলায় চার্জশিট পেশ ইডি-র

    দিন কয়েক আগেও একবার বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার হয়েছিল। হাওড়া (Howrah) স্টেশনের ওল্ড কমপ্লেক্সের চার ও পাঁচ নম্বর গেটের কাছে দুই যুবককে কালো ব্যাগ নিয়ে ঘোরাঘুরি করতে দেখে সন্দেহ হয় কর্তব্যরত আরপিএফ জওয়ানদের। ব্যাগ পরীক্ষা করতেই বেরিয়ে আসে নগদ ৩৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। এরই কিছু দিন আগে হাওড়া স্টেশনেই রাজকুমার সোনি নামে এক ব্যক্তির ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয়েছিল ৩৫ লক্ষ টাকা। তার আগে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। উদ্ধার হয়েছিল কোটি কোটি টাকা। তার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে হানা দিয়েও কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Dharam Sansad: ঘৃণাভাষণ বন্ধ হওয়া প্রয়োজন, পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের

    Dharam Sansad: ঘৃণাভাষণ বন্ধ হওয়া প্রয়োজন, পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘৃণাভাষণ (Hate Speech) বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। এক পর্যবেক্ষণে সোমবার এমনই জানাল সুপ্রিম কোর্ট। দেশে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ঘণাভাষণ চলছে বলে আবেদন জমা পড়েছে শীর্ষ আদালতে। এরই শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) পর্যবেক্ষণ, প্রকাশ্যে ঘৃণাভাষণের জেরে পরিবেশ বিষিয়ে উঠছে। তাই ঘৃণাভাষণ বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। এদিকে, পৃথক একটি মামলায় গত বছর ধর্ম সংসদ (Dharam Sansad) এবং দিল্লিতে ঘৃণা ভাষণের জেরে পুলিশ কী ব্যবস্থা নিয়েছে উত্তরাখণ্ড ও দিল্লির সরকারের কাছে তাও জানতে চাইল দেশের শীর্ষ আদালত।

    জানা গিয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট এমন সময় এই পর্যবেক্ষণের কথা জানাল যখন দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে যে দিল্লির ঘটনায়  তারা বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও অন্য উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে। দিল্লির এক অনুষ্ঠানে কয়েকজন বক্তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ঘৃণাভাষণ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, যেদিন দিল্লি পুলিশ ঘৃণাভাষণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানাল, সেদিনই সুপ্রিম কোর্টের এই পর্যবেক্ষণ যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূ্র্ণ।

    দেশের প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত ও বিচারপতি এসআর ভাট মামলাকারী এইচ মনসুখানিকে ঘৃণাভাষণ এবং তদন্ত করার পর কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তার পুঙ্খানুপুঙ্খ জানানোর নির্দেশ দেয়। ইউইউ ললিত এবং ভাটের বেঞ্চ বলে, আবেদনে বলা হয়েছে, প্রকাশ্যে ঘৃণাভাষণের জেরে বিষিয়ে উঠছে সামাজিক পরিমণ্ডল। এবং আপনি যথার্থভাবেই বলতে পারেন ঘৃণাভাষণ বন্ধ হোক। অতিরিক্ত হলফনামা জমা দেওয়ার জন্য মামলাকারীকে সময় দিয়েছে বেঞ্চ। এবং তদন্ত চলাকালীন সময়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হল, মামলাকারীকে তাও জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মামলাকারীকেও জানাতে হবে অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছে কিনা। সন্দেহভাজন দোষী কারা, তাও জানাতে হবে। বেঞ্চ এও জানিয়েছে, ৩১ অক্টোবরের মধ্যে দাখিল করতে হবে তথ্য সম্বলিত হলফনামা। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১ নভেম্বর।

    আরও পড়ুন : কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নন সোনালি চক্রবর্তী! তাঁর অপসারণেই মান্যতা দিল সুপ্রিম কোর্ট

    এদিন শুনানি চলাকালীন মামলাকারী ঘৃণামূলক কাজকর্ম এবং ঘৃণাভাষণে যে সংখ্যালঘুদের টার্গেট করা হচ্ছে, তা তুলে ধরেন। তাঁর মতে, ইদানিং ঘৃণাভাষণ ‘লাভজনক ব্যবসা’ হয়ে উঠছে। মামলাকারী এদিন ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলসে’র প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ঘৃণাভাষণ জ্যা-মুক্ত তিরের মতো, যা কখনও ফেরানো যায় না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Scam: সুবীরেশের কথাতেই চাকরিপ্রার্থীদের নম্বর বদল! ফের জেল হেফাজত এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যানের

    SSC Scam: সুবীরেশের কথাতেই চাকরিপ্রার্থীদের নম্বর বদল! ফের জেল হেফাজত এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) ধৃত উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে আরও এক অভিযোগ উঠে আসল। এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যের কথাতেই চাকরিপ্রার্থীদের মার্কশিটের নম্বর বদল করা হয়েছে, সোমবার এই অভিযোগ তোলা হয়েছে সিবিআই-এর তরফে।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে ভার্চুয়ালি আলিপুর আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। গতকাল মেয়াদ শেষে আলিপুর আদালতে ভার্চুয়ালি শুনানি হয়। সেখানেই এই অভিযোগ তোলেন সিবিআই-এর আইনজীবী। শুধু তাই নয়, অভিযোগের পাশাপাশি তাঁর হেফাজতের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদনও করছিলেন তিনি। অন্যদিকে সুবীরেশের জামিনের জন্য আবেদন করা হয়েছিল আদালতে। কিন্তু তাঁর জামিনের আর্জি খারিজ করা হয় ও তাঁকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আলিপুরের আদালতের বিচারক।

    আদালত সূত্রে খবর, সুবীরেশ ভট্টাচার্যের আইনজীবী তমাল মুখোপাধ্যায়ের তরফে সুবীরেশের জামিনের আবেদন করা হয়েছিল। মূলত তাঁর শারীরিক অসুস্থতার কথাকেই তুলে ধরেন তাঁর আইনজীবী। বলা হয়, সুবীরেশের ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, সুবীরেশ জেলের খাবার খেতে পারছেন না- এ সব দিক বিচার করে তাঁকে জামিন দেওয়া হোক। একইসঙ্গে তাঁর আইনজীবী বলেন, জেলের খাবার খেতে না পারায় তাঁকে ডায়েট চার্ট মেনে খাবার দেওয়া হোক।

    আরও পড়ুন: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নন সোনালি চক্রবর্তী! তাঁর অপসারণেই মান্যতা দিল সুপ্রিম কোর্ট

    অন্যদিকে, সিবিআই-এর আইনজীবী এই শুনানি চলাকালীন অভিযোগ করেন যে, এসএসসি পরীক্ষায় চাকরীপ্রার্থীদের মার্কশিটের নম্বর তাঁর নির্দেশেই পরিবর্তন করা হয়েছে। ফলে এই ঘটনার পেছনে তিনিই মূল ষড়যন্ত্রকারী। বিভিন্ন ‘ডকুমেন্ট’ পরীক্ষা করাও বাকি আছে। তাই এই পর্যায়ে জামিন সম্ভব না বলে জানিয়েছেন সিবিআই।

    এছাড়াও সিবিআইয়ের আইনজীবী সাফ দাবি করেছেন, এই এসএসসি কেলেঙ্কারির ব্যাপারে পুরোপুরি জানতেন সুবীরেশ ভট্টাচার্য। তাঁর কথাতেই সবকিছু করা হত। ফলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী সুবীরেশের জামিনের বিরোধিতা করে সুবীরেশের জেল হেফাজত বাড়ানোর আবেদন করেছেন। কারণ তাঁদের মতে, সুবীরেশ বৃহত্তর ষড়যন্ত্রকারী। তিনি প্রভাবশালী। জামিনের আবেদন খারিজ করে জেল হেফাজতে পাঠানো হোক তাঁকে। বিভিন্ন তথ্য যাচাই করা বাকি আছে। তাই এই পর্যায়ে জামিন সম্ভব না। এরপর দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর কেস ডায়েরি খতিয়ে দেখেন বিচারক ও সিদ্ধান্ত নেন যে, এখনই জামিন দেওয়া হবে না এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যানকে। তাই আগামী ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন আলিপুর আদালতের বিচারক আমান সিংহাল।

    প্রসঙ্গত, গত ১৯ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার হন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য (Subirtesh Bhattacharya)। ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮-র মাঝামাঝি পর্যন্ত তিনি স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন।

  • SSC Scam: মঙ্গলবার ভোর রাতে গ্রেফতার মানিক ভট্টাচার্য! টেট দুর্নীতির তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ ইডির

    SSC Scam: মঙ্গলবার ভোর রাতে গ্রেফতার মানিক ভট্টাচার্য! টেট দুর্নীতির তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  টেট দুর্নীতি মামলায় (TET Scam) রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের পর মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya) গ্রেফতার করল ইডি। আজ, মঙ্গলবারই আদালতে পেশ করার কথা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতিকে। পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে বয়ানে অসঙ্গতি ও তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছে ইডি।

    আরও পড়ুন: একদিনের সুপ্রিম ‘রক্ষাকবচ’ মানিক ভট্টাচার্যের,কাল কি হবে?

    টেট দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam) মানিকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।  নিয়োগের ক্ষেত্রে যে বিপুল পরিমাণ টাকার লেনদেন হয়েছিল, তার যাবতীয় তথ্য  প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতির কাছে রয়েছে বলে দাবি ইডি আধিকারিকদের। মানিককে আগে বারবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছিল।  নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একাধিক নথি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডির আধিকারিকরা। সেই সময় বাজেয়াপ্ত নথি পরীক্ষা করার জন্যই মানিক ভট্টাচার্যকে তলব করা হয়। ইডি চায় দ্রুত নিয়োগ দুর্নীতির শিকড়ে পৌঁছতে। পাশাপাশি কিভাবে আর কোন পথে নিয়োগ পত্র দেওয়া হয়েছিল তা খতিয়ে দেখতে। যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর পেতেই ইডি তলব করেছিল মানিক ভট্টাচার্যকে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচ দেখিয়ে তিনি হাজিরা এড়িয়ে যান। এবার তা খাটল না। ইডি কর্তাদের দাবি, সুপ্রিম কোর্ট সিবিআই মামলায় মানিককে রক্ষাকবচ দিয়েছে। ইডি-র গ্রেফতারির ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই।

    আরও পড়ুন: ‘মানিক ইজ টেকিং মানি…’, অভিযোগ পেয়েও চেপে গিয়েছিলেন পার্থ! দাবি ইডির

    সোমবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মানিককে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। গতকাল দুপুরে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দফতরে হাজিরা দেন তিনি। ইডি সূত্রে খবর, বয়ানে অসঙ্গতি ও সহযোগিতা না করার অভিযোগেই মঙ্গলবার ভোররাতে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি হিসাবে নিজের ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করে চাকরি পাইয়ে দেওয়া, তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগসাজশ, তাঁকে সুপারিশ পাঠানোর কাজ মানিক করতেন বলে অভিযোগ। ইডির দাবি, ঘুষের টাকা নিয়ে তা পার্থ-অর্পিতার কাছে পাঠাতেন মানিক। বার্ক কমিটির রিপোর্টেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে মানিক ভট্টাচার্যের ভূমিকা নিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 
     

  • Bihar Liquor Ban: এই রাজ্যে মদ্যপ ভিআইপিদের জন্য রয়েছে বিশেষ শাস্তি, যা জানলে অবাক হবেন আপনিও

    Bihar Liquor Ban: এই রাজ্যে মদ্যপ ভিআইপিদের জন্য রয়েছে বিশেষ শাস্তি, যা জানলে অবাক হবেন আপনিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারে দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ মদ। তবুও আড়ালে রমরমিয়ে চলছে মদের ব্যবসা, আর এই খবর আগেই শোনা গিয়েছিল। আর সেই জন্যই বিহার সরকারের তরফে এক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষদের মদ খাওয়ার দৃশ্য প্রায়ই সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, শাস্তি দেওয়ার জন্য বিহারের নেশাগ্রস্ত ভিআইপি-দের জন্য বিশেষ সেলের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। জনসমক্ষে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ধরা পড়লে এইসব ভিআইপিদের জন্য শাস্তি হিসেবে একটি ঘরে ২৪ ঘণ্টার জন্য রাখা হবে। আর এই ব্যবস্থা করা হয়েছে বিহারের আবগারি দফতরে।

    অর্থাৎ কোনও ভিআইপি যদি মদ্যপ অবস্থায় ধরা পড়েন, তাঁর জন্য রয়েছে ঘরে বন্দি থাকার শাস্তি। বিহারের সমস্তিপুরে যে আবগারি দফতর রয়েছে সেখানে করা হয়েছে এই ব্যবস্থা। এখানে রয়েছে একটি বিছানা, সোফা সেট। রয়েছে এসির ব্যবস্থাও। এই ভিআইপি সেলে মদ্যপ অবস্থায় ধরা পড়া ভিআইপিকে ২৪ ঘণ্টা রাখা যাবে। আবগারি সুপারিনটেনডেন্ট, এসকে চৌধুরী, বলেছেন যে সরকারী কর্মচারী, জনপ্রতিনিধি এবং সমাজের উচ্চবিত্ত মানুষ যারা মদ সেবন করে ধরা পড়ে তাদের রাখার জন্য ভিআইপি সেল তৈরি করা হয়। তাদের নিরাপত্তার জন্য একটি প্রশিক্ষিত কুকুরও রাখা হবে বলে জানান তিনি।

    প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের এপ্রিল থেকে বিহারে মদ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মদ পরিবহন, বিক্রি, ব্যবহার এবং উৎপাদনকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলা হয়েছে। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার পরে, বিপুল সংখ্যক লোককে কেবল মদ সেবনের জন্য জেলে রাখা হয়েছিল। যে রাজ্যে মদ নিষিদ্ধ, সেখানে নেশাগ্রস্ত ভিআইপিদের জন্য এমন আয়োজনের বিরুদ্ধে আবার সরব হয়েছেন অনেক নেটিজেনরা। তারা বলেছেন যে, সাধারণ মানুষ ও ভিআপিদের মধ্যে ভেদাভেদ কেন করা হবে? 

    প্রসঙ্গত, এনভি রামানা সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি থাকার সময় মদের ওপরে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বিহার সরকারের সমালোচনা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ২০১৬ সালে বিহারে মদের ওপরে নিষেধাজ্ঞা আদালতের ওপরে চাপ বাড়িয়ে দিয়েছে। তারপরেই সেখানে লিকার অ্যামেন্ডমেন্ট বিল আনা হয়। এই বছরের মার্চে তা বিধানসভায় পাশও হয়ে যায়। পয়লা এপ্রিল থেকে যা লাগু হয়েছে। মদ নিষেধাজ্ঞা বিল, ২০২২-এর সংশোধনীতে বলা হয়, প্রথমবারের অপরাধীরা জরিমানা জমা দেওয়ার পরে ডিউটি ​​ম্যাজিস্ট্রেটের কাছ থেকে জামিন পাবেন। এই জরিমানার পরিমাণ ২ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। অপরাধী জরিমানা জমা দিতে না পারলে তাকে এক মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। এছাড়াও এই সংশোধনীতে বলা হয়েছে যে, নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের জন্য পুলিশ যখন কোনও অপরাধীকে গ্রেফতার করবে, তখন অভিযুক্তকে সেই ব্যক্তির নাম প্রকাশ করতে হবে যেখান থেকে সে মদ পেয়েছে। ফলে বিহার সরকার বিহারকে মদহীন করতে একাধিক কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে।

LinkedIn
Share