Blog

  • India Air Force Day: মহিলা অগ্নিবীরদেরও নিয়োগ করা হবে বায়ুসেনায়, ঘোষণা প্রধান এয়ার চিফ মার্শালের

    India Air Force Day: মহিলা অগ্নিবীরদেরও নিয়োগ করা হবে বায়ুসেনায়, ঘোষণা প্রধান এয়ার চিফ মার্শালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী বছর থেকে মহিলা অগ্নিবীরদের নিয়োগ করা হবে ভারতীয় বায়ুসেনায় (Indian Air Force)। ৯০তম বায়ুসেনা দিবস (India Air Force Day) উপলক্ষে চণ্ডীগড়ে এমনটাই ঘোষণা করলেন বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল বিবেক রাম চৌধুরী (IAF chief Air Chief Marshal Vivek Ram Chaudhari)। তিনি বলেন, “ভারতীয় বায়ুসেনায় অগ্নিবীরের মাধ্যমে যোদ্ধা নিয়োগের বিষয়টি বেশ চ্যালেঞ্জের। তবে ভবিষ্যতের সেনাদের যোগ্যতা বোঝার জন্যে এটা একটা বড় সুযোগ।” তিনি আরও বলেন, “আমরা আমাদের অপারেশনাল ট্রেনিং পদ্ধতিতে বদল। এই বছরের ডিসেম্বরে, আমরা প্রাথমিক প্রশিক্ষণের জন্য তিন হাজার অগ্নিবীর বায়ুকে নিয়োগ করব। আগামী বছরগুলিতে এই সংখ্যা বাড়বে।” 

    আরও পড়ুন: এবার অবসরের পালা! ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে আর উড়বে না শ্রীনগরের মিগ ২১-এর ৫১ নম্বর স্কোয়াড্রন

    প্রসঙ্গত, ২৪ জুন থেকে ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পের মাধ্যমে ভারতীয় বায়ুসেনায় (India Air Force Day) নিয়োগ শুরু হয়। প্রতিটি ব্যাচ থেকে সামরিক বাহিনীর ‘রেগুলার ক্যাডারে’ ২৫ শতাংশ ‘অগ্নিবীর’-কে চাকরিতে বহাল রাখা হবে। বাকি ৭৫ শতাংশ অগ্নিবীরকে চারবছর পর ‘সেবা নিধি প্যাকেজ’-র আওতায় করমুক্ত ১১.৭১ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে।  

    শনিবার এয়ার চিফ মার্শাল বিবেক রাম চৌধুরী আরও জানিয়েছেন, বায়ুসেনা (India Air Force Day) অফিসারদের জন্য একটি অস্ত্র সিস্টেম শাখা তৈরির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। স্বাধীনতার পর এই প্রথম বাহিনীর কোনও নতুন অপারেশনাল শাখা তৈরি করা হল। এই নয়া শাখার দায়িত্বেই থাকবে বায়ুসেনার যাবতীয় অত্যাধুনিক অস্ত্র। এর ফলে ৩৪০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে বলে জানিয়েছেন, এয়ার চিফ মার্শাল। তিনি বলেন, “আমাদের অবশ্যই মেনে নিতে হবে যে ভবিষ্যতের লড়াই আমরা অতীতের মানসিকতা নিয়ে লড়তে পারব না।”    

     

    এদিন বায়ুসেনার (India Air Force Day) নয়া যুদ্ধকালীন পোশাকও প্রকাশ করা হয়। সেখানেই এই নয়া পোশাক প্রকাশ করা হয়। আজকের অনুষ্ঠানে এক মহিলা অফিসার সহ মোট পাঁচজন অফিসার এই নয়া পোশাক পরে মার্চপাস্ট করেন। এই নয়া পোশাকের ডিজাইনে কেমোফ্ল্যাজ রয়েছে। পোশাকটি হাল্কা কাপড় দিয়ে তৈরি। কাশ্মীরের পাহাড় থেকে রাজস্থানের মরুভূমি। সব জায়গায় পরা যাবে এই পোশাক। বায়ুসেনা যোদ্ধাদের জন্য‘কমব্যাট টি-শার্ট’ও প্রকাশ করা হয় এদিন। এই নয়া পোশাক ডিজাইন করেছেস্ট্যান্ডিং ড্রেস কমিটি।     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • POK: পাক অধিকৃত কাশ্মীরে মার্কিন রাষ্ট্রদূত, ‘আজাদ কাশ্মীর’ মন্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের

    POK: পাক অধিকৃত কাশ্মীরে মার্কিন রাষ্ট্রদূত, ‘আজাদ কাশ্মীর’ মন্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (Pak Occupied Kashmir) গিয়েছিলেন পাকিস্তানের (Pakistan) মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডোনাল্ড ব্লোম। সেখানে গিয়ে তিনি বারংবার পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে (POK) আজাদ কাশ্মীর বলে উল্লেখ করেন। এর পরেই খেপে যায় ভারত। শুক্রবার ব্যক্ত করে কড়া প্রতিক্রিয়া। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি জানান, মোদি সরকারের বিরোধিতা উপেক্ষা করেও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে গিয়েছিলেন পাকিস্তানের মার্কিন রাষ্ট্রদূত। সে খবর জানানো হয়েছে ওয়াশিংটনকে।

    জানা গিয়েছে, অক্টোবরের ৩ তারিখে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (POK) গিয়েছিলেন ব্লোম। সেই ছবি তিনি শেয়ার করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। পরে করেন ট্যুইট। জানান, ওই অঞ্চলে ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলিতে গিয়েছিলেন তিনি। আরও জানান, মুজফফরাবাদে কায়েদ-ই-আজম মেমোরিয়াল ডাক বাংলো পরিদর্শনের কথাও। ১৯৪৪ সালে এই ভবনটি পরিদর্শন করেছিলেন মহম্মদ আলি জিন্না স্বয়ং। পাক অধিকৃত কাশ্মীর (POK) পরিদর্শনে গিয়ে এলাকাটিকে তিনি বারবার আজাদ কাশ্মীর বলে উল্লেখ করেন। ট্যুইট বার্তায় তিনি লেখেন, আদাজ কাশ্মীরে প্রথমবার পা রাখতে পেরে আমি সম্মানিত বোধ করছি।

    প্রসঙ্গত, ১৯৯৪ সালে একটি রেজলিউশন পাশ করে ভারত। তাতে বলা হয়, পাক অধিকৃত কাশ্মীর (POK) ভারতেরই অংশ। পাকিস্তানকে অবশ্যই জায়গাটি খালি করে দিতে হবে। ছাড়তে হবে অবৈধ দখলদারি। চলতি বছর জুলাই মাসে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংও জানিয়ে দিয়েছিলেন পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতেই অংশ। তিনি বলেছিলেন, পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতেরই অংশ। এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।

    আরও পড়ুন : নিষিদ্ধ ঘোষিত হওয়ার আগে পিএফআইকে প্রকাশ্যে সমর্থন পাকিস্তান দূতাবাসের

    মার্কিন রাষ্ট্রদূতের পাক অধিকৃত কাশ্মীর (POK) সফর ভাল চোখে দেখেনি ভারত। জানিয়েছে জোরালো প্রতিবাদ। গত ১১ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উন্নত করতে এবং এফ ১৬ যুদ্ধ বিমানকে ঢেলে সাজাতে ৪০০ বিলিয়ন ডলারের প্যাকেজ ঘোষণা করেছিল জো বাইডেনের দেশ। সেবারও তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল ভারত। সেই সময় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছিলেন, এটা সবাই জানে, কোথায় এবং কাদের বিরুদ্ধে এফ ১৬ যুদ্ধ বিমান ব্যবহার করে পাকিস্তান। আপনি এসব বলে কাউকে বোকা বানাতে পারবেন না। সেই ঘটনার রেশ পুরোপুরি মেলানোর আগেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (Pak Occupied Kashmir) গিয়ে ফের বিতর্কের সৃষ্টি করল আমেরিকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Dhamma Chakra Pravartan Din: ক্ষমা চাইতে হবে, হিন্দু দেব-দেবীদের নিয়ে আপ মন্ত্রীর বিতর্কিত মন্তব্যে ক্ষুব্ধ বিজেপি

    Dhamma Chakra Pravartan Din: ক্ষমা চাইতে হবে, হিন্দু দেব-দেবীদের নিয়ে আপ মন্ত্রীর বিতর্কিত মন্তব্যে ক্ষুব্ধ বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বরের উপর কোনও বিশ্বাস নেই। হিন্দু দেব-দেবীদের পুজো নয়। আম আদমি পার্টির দিল্লির মন্ত্রী  রাজেন্দ্র পাল গৌতমের এই শপথের ভিডিও ভাইরাল হতেই দেশজুড়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। আম আদমি পার্টির নেতার বিরুদ্ধে হিন্দু দেবতাদের অপমান করার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। তাঁকে বহিষ্কার করার দাবি জানানো হয়েছে। ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালকেও। আপের তরফে প্রকাশ্যে এই বিষয়ে কিছু বলা না হলেও সূত্রের খবর, গোটা ঘটানায় ক্ষুব্ধ আপ প্রধান কেজরিওয়াল। 

    আরও পড়ুন: মোদির সফল নেতৃত্বের দৌলতেই আজ বিশ্বে ভারতের গুরুত্ব বৃদ্ধি, বললেন জয়শঙ্কর

    গত ৫ অক্টোবর দিল্লির একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন রাজেন্দ্র। এই দিনটিতেই ১৯৫৬ সালে বুদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন ডঃ বি আর আম্বেদকর। সেই দিনটিতেই ধম্মচক্র প্রবর্তন দিবস (Dhamma Chakra Pravartan Din) পালন করা হয়। সেই উপলক্ষে বহু মানুষ হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে বৌদ্ধ ধর্মে দিক্ষিত হন। সেই ঘটনার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। ভাইরাল ভিডিয়ো অনুযায়ী শপথ বাক্য পাঠের সময় আপ মন্ত্রী বলেন, “আমার ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বরের উপর কোনও বিশ্বাস নেই। এই দেবতাদের আমি পুজোও করি না। রাম বা কৃষ্ণের উপরেও আমার কোনও বিশ্বাস নেই। যাঁদেরকে অবতার বলে চালানো হচ্ছে।” 

    দিল্লির আম্বেদকর ভবনে ধর্মান্তকরণের ওই অনুষ্ঠানে প্রায় ১০ হাজারের বেশি মানুষ যোগ দেন। ওই অনুষ্ঠানে গিয়েই আপ মন্ত্রীর শপথ নেওয়ায় শুরু হয়েছে বিতর্ক। আপ মন্ত্রীর ভাইরাল ভিডিয়ো নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে পোস্ট করে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য লেখেন, “অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মন্ত্রী রাজেন্দ্র পাল ভারত বিভাজনের প্রকল্প নিয়েছেন। কোনও ভুল নেই যে হিন্দুদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার চালানোর মূল কারিগর কেজরিওয়ালই।” অমিত মালব্যর পাশাপাশি এই ইস্যুতে সরব হয়েছেন দিল্লির বিজেপি সাংসদ মনোজ তিওয়ারিও। তিনি বলেন, “এভাবে তো হিন্দু এবং বৌদ্ধ দুই ধর্মকেই অপমান করা হল। আপের মন্ত্রীর কার্যকলাপ দেখে মনে হচ্ছে, উনি হিংসাকে আমন্ত্রণ জানাতে চাইছেন।”  পাশাপাশি, আপের মন্ত্রীকে দল থেকে বহিষ্কারেরও দাবি তুলেছেন বিজেপি সাংসদ। যদিও ট্যুইট করে গোটা ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়েছেন রাজেন্দ্র পাল গৌতম। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Kojagari Puja: দুর্গাপুজোর পরে পূর্ণিমা তিথিতে ধন-সম্পদের দেবী  লক্ষ্মীর আরাধনায় মাতে বাঙালি! জানেন কেন “কোজাগরী” পুজো বলে? 

    Kojagari Puja: দুর্গাপুজোর পরে পূর্ণিমা তিথিতে ধন-সম্পদের দেবী লক্ষ্মীর আরাধনায় মাতে বাঙালি! জানেন কেন “কোজাগরী” পুজো বলে? 

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়: “এসো মা লক্ষ্মী বসো ঘরেআমার এ ঘরে থাকো আলো করে “-  এই ছন্দেই বাঙালি ধনদেবীর আরাধনা করে।

    লক্ষ্মী দেবীকে এই রীতিতে আবাহন করার মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর মাহাত্ম্য। শারদীয়া দুর্গাপুজোর অন্তে পূর্ণিমা তিথিতে পুজো হয় দেবী লক্ষ্মীর। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে তিনি ধন, ঐশ্বর্য, সমৃদ্ধি, সুখ, শান্তি প্রদানকারী দেবী। বাংলার গৃহস্থ কত্রী থেকে সমাজের বণিক বা ব্যবসায়ী প্রত্যেকের কাছেই সাদরে পূজিতা হন এই দেবী। প্রতিমা ছাড়া শুধুমাত্র ঘট এবং অন্যান্য প্রতীকের মাধ্যমেও অনেক গৃহে দেবীর উপাসনা হয়। দুর্গাপূজার মন্ডপগুলিতেও কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো নিশ্চয়ই আমাদের দৃষ্টি এড়ায় না। গ্রাম বাংলায় ধানের গোলা সমেত মাটির দেওয়ালের বাড়ি এখন আর সেভাবে দেখা যায় না। লক্ষ্মী পুজো উপলক্ষে গোবরের গোলা এবং আলপনায় এই মাটির বাড়িগুলোই যেন সবথেকে বেশী প্রাণবন্ত হয়ে উঠতো।  

    এবার আসা যাক, “কোজাগরী” শব্দের আক্ষরিক বিশ্লেষণে- কোজাগরী শব্দটির উৎপত্তি সংস্কৃত শব্দ ‘কো জাগতী’ থেকে। এর অর্থ ‘কে জেগে আছো?’ বিশ্বাস মতে, কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিনে ধন-সম্পদ-ঐশ্বর্য এর দেবী লক্ষ্মী স্বর্গ থেকে মর্ত্যে অবতীর্ণ হন এবং প্রতিটি ভক্তের বাড়ি গিয়ে সুখ, সমৃদ্ধি  প্রদান করেন। কথিত আছে, এ ক্ষেত্রে যে বাড়ির দরজা খোলা থাকে একমাত্র সেই বাড়িতেই প্রবেশ করেন দেবী কারও বাড়ির দরজা বন্ধ থাকলে, তাঁর বাড়িতে লক্ষ্মী প্রবেশ করেন না ও সেখান থেকে ফিরে চলে যান। এ কারণে লক্ষ্মীপুজোর রাতে জেগে থাকার রীতি প্রচলিত আছে। সারা রাত জেগে লক্ষ্মী আরাধনাই এই পুজোর বিশেষ বৈশিষ্ট্য। এখানেই কোজাগরী শব্দ এই লক্ষ্মী পুজোর সাথে সম্পর্কিত হয়ে ওঠে। বাংলার প্রতিটি ঘর শঙ্খধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে , প্রদীপের আলোতে সুসজ্জিত থাকে।

    প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, দুর্গাপুজোর পরে এই বিশেষ পূর্ণিমার রাতে যে ব্যক্তি জেগে পাশা খেলেন, দেবী লক্ষ্মী তাঁকে ধনসম্পদ দান করেন। মূর্তি ছাড়াও নানান প্রতীকের মাধ্যমে দেবীকে কল্পনা করে পুজো করা হয়, এই বিশেষ পূর্ণিমার রাতে।  গৃহস্থ কত্রীরা এই প্রতীকগুলির ভিন্ন ভিন্ন নামকরণও করেছেন যেমন আড়ি লক্ষ্মী। এ ক্ষেত্রে ধান ভর্তি ঝুড়ির ওপর কাঠের লম্বা দুটি সিঁদুর কৌটো লালচেলিতে মুড়ে লক্ষ্মীর রূপ দেওয়া হয়। “বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মী”- বাণিজ্যের উপর মা লক্ষ্মীর কৃপা দৃষ্টি পেতে আবার কোন বণিক না চায়! তাই  কলার পেটোর তৈরি নৌকা লক্ষ্মী আরাধনার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এগুলিকে সপ্ততরী বলা হয়। বাণিজ্যিক নৌকার প্রতীক এই সপ্ততরী। অনেকেই পুজোর সময় এই সপ্ততরীতে টাকা, শস্য, হরিতকি, কড়ি, হলুদ রাখেন।

    পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় লক্ষ্মীসরা আঁকা হয়। বাংলার বিভিন্ন অঞ্চল ভেদে এই সরায় অঙ্কিত পুতুলের সংখ্যাও বদল হয়ে যায়। কোথাও তিনটি, কোথাও পাঁচটি, কোথাও সাতটি পুতুল আঁকা হয়। এতে থাকে লক্ষ্মী, জয়া ও বিজয়া-সহ লক্ষ্মী, রাধাকৃষ্ণ, সপরিবার দুর্গা ইত্যাদি। সুরেশ্বরী সরা নামক একপ্রকারের সরা দেখা যায় যেখানে মহিষাসুরমর্দিনী অর্থাৎ মা দুর্গা আঁকা থাকে। আর এই সরার নীচের দিকে থাকেন সবাহন লক্ষ্মী। আবার কলার বের ও লক্ষ্মীর মুখ সমন্বিত পোড়া মাটির ঘটকেও লক্ষ্মী রূপে কল্পনা করে পুজো করা হয়। এই ঘটে চাল বা জল ভরে সেটিকে লক্ষ্মী কল্পনা করে পুজো করা হয়। অনেক জায়গায় গৃহস্ত কত্রীরা নিজেরাই এই পুজো করতে পারেন৷ শ্বেতপদ্ম ও শ্বেতচন্দন দ্বারা দেবী  লক্ষ্মীর আরাধনা করা হয়। নৈবেদ্যতে ফলমূল তো রাখতেই হয়, বিশেষ ভাবে থাকে চিড়ে এবং নারকেল। আতপ চাল তো লাগেই।  ঘরে ঘরে আলো জ্বেলে রাখা হয়, ভক্তদের বিশ্বাস রয়েছে যে ঘরে আলো জ্বলে সেখানেই মা লক্ষ্মী পা রাখেন। মা লক্ষ্মীর ঘটের সামনে কড়ি রাখা হয়। প্রতিটি দ্বারে দ্বারে আলপনা দেন গৃহস্থ কত্রীরা। লক্ষ্মী দেবীর ১০৮ নাম জপ করলে এবং কোজাগরী পূর্ণিমার দিন লক্ষ্মী পাঁচালি পড়লে সৌভাগ্যের উদয় হয় , গৃহে সুখ, শান্তি, ধন , সম্পত্তি আসে বলেই ভক্তদের বিশ্বাস রয়েছে।

  • Virat Kohli Restaurant: কিশোর কুমারের বাড়িতে বিরাটের রেস্তোরাঁ! দেখালেন অন্দরমহলের এক ঝলক

    Virat Kohli Restaurant: কিশোর কুমারের বাড়িতে বিরাটের রেস্তোরাঁ! দেখালেন অন্দরমহলের এক ঝলক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের সুপারস্টার ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি (Virat Kohli) তাঁর ব্যাটিংয়ের জন্য বিখ্যাত। তবে আপনি জানেন কি বিরাট কোহলি ক্রিকেটের পাশাপাশি ব্যবসাতেও এগিয়ে রয়েছেন? বেশ কয়েকটি শহরে রয়েছে তাঁর ফুড চেইন ‘One8 Commune’। তবে মুম্বইতে তাঁর এই রেস্তোরাঁ ছিল না, তাই এবার মুম্বইতেও তাঁর রেস্তোরাঁ (Virat Kohli Restaurant) খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাঁর রেস্তোরাঁর জন্য বেছে নিয়েছে কিশোর কুমারের বাংলো ‘গৌরী কুঞ্জ’-কে।

    আরব সাগরের তীরে প্রয়াত কিশোর কুমারের বাংলোতে (Kishore Kumar’s Bunglow) বিরাট খুলে ফেললেন ঝাঁ চকচকে রেস্তোরাঁ (Virat Kohli Restaurant)। আবার এই রেস্তোরাঁর অন্দরমহলের দৃশ্য প্রথমবার সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুরাগীদের ঘুরে দেখালেন কোহলি। এদিন এটি ঘুরে দেখানোর সময় উপস্থিত ছিলেন সঞ্চালক মনীশ পলও। বিখ্যাত গায়ক কিশোর কুমারের জুহুর পুরনো বাংলো একসময় ‘গৌরী কুঞ্জ’ নামে পরিচিত ছিল। জানা গিয়েছে, কোহলি জুহুতে অবস্থিত এই বাংলোর একটা অংশ ৫ বছরের জন্য লিজ নিয়েছেন। সেখানেই গড়ে উঠেছে এই রেস্তোরাঁ।

    আরও পড়ুন: সামনে এবার শুধুই ক্রিকেটের ঈশ্বর! সচিনকে টপকে শীর্ষস্থান দখল করতে পারবেন বিরাট?

    এই রেস্তোরাঁ (Virat Kohli Restaurant) খোলার আগেই প্রথম ঝলক কোহলি তাঁর অনুরাগী সহ সকলকে দেখালেন। এদিন One8Commune-এর ইউটিউব ভিডিওতে, মণীশ পলকে সঙ্গে নিয়ে এই ট্যুর করেছেন। নিজেদের সাক্ষাৎকার পর্বে রেস্তোরাঁ সম্পর্কে বিরাট নিজের মনে কথা বলছেন। তিনি এদিন এই বাংলোর ব্যাপরে বলতে গিয়ে উল্লেখ করেন যে, তিনি কতটা বড় ভক্ত কিশোর কুমারের। বিরাট এদিন কিশোর কুমারের ‘মেরে মেহবুব কেয়ামত হোগি’ গানের কিছু লাইনও গেয়েছিলেন। এছাড়াও বিরাট বলেন, “তাঁর গানগুলো সত্যিই আমাকে স্পর্শ করে। যখনই কেউ আমাকে জিজ্ঞেস করতো, তুমি কার সঙ্গে দেখা করতে চাও, আমি সবসময় কিশোর দা-র নাম উল্লেখ করতাম। কারণ তিনি ক্যারিশম্যাটিক ছিলেন।”

    [insta]https://www.instagram.com/reel/CjU0G_yAPsK/?utm_source=ig_web_copy_link[/insta]

    এই রেস্তোরাঁ প্রথম নয়, কলকাতা, দিল্লি ও পুনে- তেও রয়েছে ফুড চেইন ‘One8 Commune’। এবারে তাই মুম্বইতেও খুলতে চলেছে এই রেস্তোরাঁ (Virat Kohli Restaurant)। এই নয়া রেস্তোরাঁটির উদ্বোধন হবে ৮ অক্টোবর।

  • Dengue: ডেঙ্গি থেকে মুক্তি পেতে এই খাবারগুলো খাওয়া উচিত

    Dengue: ডেঙ্গি থেকে মুক্তি পেতে এই খাবারগুলো খাওয়া উচিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডেঙ্গি (Dengue) জ্বর এডিস ইজিপ্টাই নামক মশাবাহিত রোগ। এই জ্বর সাধারণত পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় (Pacific ocean) দ্বীপপুঞ্জ, দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় অঞ্চলের গ্রীষ্মমন্ডলীয় এবং উপক্রান্তীয় দেশগুলিতে দেখা যায়। মূলত বর্ষাকালে জমা জলে বংশ বিস্তার করে ডেঙ্গির জীবাণুবাহী মশা। ডেঙ্গি জীবাণুবাহী এডিস প্রজাতির স্ত্রী মশা কামড়ালে, আক্রান্ত ব্যক্তি ৪ থেকে ৭ দিনের মধ্যে জ্বরে আক্রান্ত হন। অনেক সময় ডেঙ্গি জ্বরে আক্রান্ত কোনও ব্যক্তিকে এডিস মশা (Aedes Mosquito) কামড়ালে, সেই মশাটিও ডেঙ্গি জ্বরের জীবাণুবাহী মশায় পরিণত হয়। চিকিৎসকদের মতে, সুস্থ ব্যক্তির শরীরে সাধারণত ১.৫ লাখ থেকে ৪ লাখ পর্যন্ত প্লেটলেট থাকে। কিন্তু ডেঙ্গি আক্রান্ত ব্যক্তির প্লেটলেট নেমে যায় ৫০ হাজারের নীচে। তাই ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীর জীবনে ঝুঁকির সম্ভাবনা থাকে। করোনার মতো মহামারির সময় ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ায় ডাক্তারদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।

    ডেঙ্গি থেকে মুক্তি পেতে নিম্নে এই খাবারগুলো খাওয়া উচিত।

    পেঁপে

    যারা ডেঙ্গি জ্বরে আক্রান্ত তাদের জন্য পেঁপে পাতা সবচেয়ে ভালো বিকল্প। পেঁপে পাতা গুঁড়ো করে ছেঁকে রস বের করে নিন। পেঁপে পাতার নির্যাস উল্লেখযোগ্যভাবে প্লেটলেটের সংখ্যা বাড়ায়। এছাড়াও আপনি পেঁপে পাতা জলে সিদ্ধ করে এর ছেঁকে রস বের পান করতে পারেন। এটি সম্ভবত ডেঙ্গি জ্বরের চিকিৎসার সেরা ঘরোয়া প্রতিকার।

    ডাবের জল

    ডাবের জল প্লেটলেট সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। এই পানীয়টি রিহাইড্রেটিং এবং ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য, সিস্টেমের ডিটক্সিফিকেশন এবং শক্তিশালী ইমিউন সিস্টেমের বিকাশে সহায়তা করে।

    বেদানা/ডালিম

    এতে প্রচুর পরিমাণে প্রয়োজনীয় পুষ্টি এবং খনিজ রয়েছে, যা শরীরকে প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করে। বেদানা খেলে ক্লান্তির অনুভূতি দূর হয়। প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকায় এটি রক্তের জন্য বিশেষ উপকারী। এটি স্বাভাবিকভাবে রক্তের প্লেটলেট গণনা রক্ষণাবেক্ষণে সহায়তা করে, যা ডেঙ্গি থেকে দ্রুত নিরাময় করে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Xi Jinping: গদি বাঁচাতে হংকং, তাইওয়ানের পর এবার গলওয়ান তাস খেললেন শি জিনপিং!

    Xi Jinping: গদি বাঁচাতে হংকং, তাইওয়ানের পর এবার গলওয়ান তাস খেললেন শি জিনপিং!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গদি বাঁচাতে খেলেছিলেন হংকং তাস। প্লে করেছিলেন তাইওয়ান তাসও। এবার চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping) সরাসরি খেলে দিলেন ইন্দো-চিন বর্ডারের গলওয়ান (galwan) সংঘর্ষ তাস! রবিবার চিনা কমিউনিস্ট পার্টি কংগ্রেসে (CPC) গলওয়ান কার্ড প্লে করেন চিনের সর্বাধিনায়ক শি জিনপিং। এদিন তিনি বলেন, চিনা সেনা সব সময় ট্রেনিংয়ের মধ্যে থাকে। প্রস্তুত থাকে যুদ্ধের জন্য। জয়ের খিদেও তাদের রয়েছে। প্রসঙ্গত, সাতদিন ধরে চলবে এই পার্টি কংগ্রেস। প্রতি পাঁচ বছরে একবার বসে কংগ্রেসের এই অধিবেশন।

    শি জিনপিং (Xi Jinping) সে দেশের মিলিটারিকে একটি স্পেশাল সেকশন উৎসর্গ করেছেন। নাম অ্যাচিভিং দ্য সেন্ট্রাল গোল অফ দ্য পিএলএ অ্যান্ড ফার্দার মর্ডানাইজেশন ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যান্ড মিলিটারি। ৬৩ পাতার রিপোর্টে বলা হয়েছে, চিনা পিপলস লিবারেশন আর্মির (PLA) আক্রমণাত্মক কর্মকাণ্ডের জেরে ২০২০ সালের মে মাস থেকে চিন-ভারত (India) সীমান্তে বিশেষ করে পূর্ব লাদাখে দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনার ছাপ পড়ছিল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে। দুই দেশের মধ্যে ১৬ দফা বৈঠক হয়। অমীমাংসিত বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনার জন্য সম্মত হয় দুই দেশই। এদিন অবশ্য বিশেষ কোনও দেশের নাম করেননি শি জিনপিং। তবে এদিন পার্টি কংগ্রেসে উপস্থিত ছিলেন চিনা মিলিটারির কমান্ডার কুই ফাবাও। গলওয়ান উপত্যকা সংঘর্ষের সময় জখম হয়েছিলেন তিনি। চিনের সর্বাধিনায়ক বলেন, আমাদের জনগণের সশস্ত্র বাহিনী যাতে যুদ্ধ করতে পারে এবং জয়ী হতে পারে, তা দেখার জন্য আমরা সৈন্যদের প্রশিক্ষণ আরও জোরদার করব। বাড়াব যুদ্ধের প্রস্তুতিও।

    আরও পড়ুন: পার্টি কংগ্রেসে হংকং, তাইওয়ান তাস খেললেন শি জিনপিং, কেন জানেন?

    মনে রাখতে হবে, শি জিনপিং কেবল দেশের প্রেসিডেন্টই নন, তিনি সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের সামগ্রিক হাইকমান্ডেরও প্রধান। তিনি বলেন, কৌশলগত প্রতিরোধের একটি শক্তিশালী ব্যবস্থা আমরা গড়ে তুলব। বাড়াব কমব্যাট ক্ষমতা, মানুষ ছাড়া, বুদ্ধিমান কমব্যাট ক্ষমতাও বাড়াব। নেটওয়ার্ক ইনফর্মেশন সিস্টেমকেও আরও উন্নত করব। প্রসঙ্গত, চিনা প্রেসিডেন্টের ওপর বেজায় ক্ষিপ্ত দেশবাসীর একটা বড় অংশ। পার্টি কংগ্রেসের আগে তাঁকে বিশ্বাসঘাতক একনায়কতন্ত্র দেগে দিয়ে ব্যানার পড়েছিল দেশের বিভিন্ন অংশে। কূটনৈতিক মহলের মতে, জনরোষের সেই আগুনে জল ঢালতেই হংকং, তাইওয়ানের পর এবং গলওয়ান তাস খেললেন শি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • RSS: শাখার সংখ্যা নিয়ে যেতে হবে লাখে, কার্যকরী মণ্ডলের বৈঠকে পথ খুঁজছেন আরএসএস কর্তারা  

    RSS: শাখার সংখ্যা নিয়ে যেতে হবে লাখে, কার্যকরী মণ্ডলের বৈঠকে পথ খুঁজছেন আরএসএস কর্তারা  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার শুরু হয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের (RSS) চারদিন ব্যাপী কার্যকরী মণ্ডলের বৈঠক। উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে (prayagraj) হচ্ছে ওই বৈঠক। সংঘের কাজকর্মের বিস্তার এবং কারেন্ট ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবেন বৈঠকে অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধিরা। এই বৈঠকে ইতিমধ্যেই উপস্থিত হয়েছেন সরসংঘ চালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) ও সাধারণ সম্পাদক দত্তাত্রেয় হোসেবল। অনুষ্ঠানের উদ্বোধনও করেছেন তাঁরাই।

    জানা গিয়েছে, ৪৫টি প্রদেশ ও ১১টি জোনের প্রবীণ আধিকারিকরা যোগ দিয়েছেন প্রয়াগরাজের ওই বার্ষিক বৈঠকে। যোগ দিয়েছেন তাঁদের ডেপুটিরাও। সব মিলিয়ে উপস্থিত থাকার কথা ৩৭৭ জন প্রতিনিধির। বৈঠকে স্বাগত ভাষণ দেন হোসেবল। শ্রদ্ধা জানানো হয় প্রয়াত বিখ্যাত ব্যক্তিত্বদের। এঁদের মধ্যে ছিলেন দ্বারকাপীঠের জগৎ গুরু শঙ্করাচার্য স্বামী স্বরূপানন্দ মহারাজ, পাঁচপীঠাধীশ্বর আচার্য ধর্মেন্দ্র, দেশের ভূতপূর্ব প্রধান বিচারপতি আরসি লাহোটি, কমেডিয়ান রাজু শ্রীবাস্তব, শিল্পপতি সাইরাস মিস্ত্রি, আর্কিওলজিস্ট বিবি লাল এবং সমাজবাদী পার্টি প্রধান মুলায়ম সিং যাদব।  

    প্রথম দিনের আলোচনায় আরএসএসের (RSS) শাখা বিস্তারের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। ২০২৫ সালে আরএসএসের শতবর্ষপূর্তি। তার মধ্যে গোটা দেশে শাখা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বর্তমানে আরএসএসের ৫৫ হাজার শাখা রয়েছে। ২০২৪ সালের মার্চ মাসের মধ্যে এই সংখ্যাটা বাড়িয়ে এক লাখে নিয়ে যেতে চাইছেন সংঘের কর্তাব্যক্তিরা।

    আরও পড়ুন: বর্ণ ও জাতিভেদ প্রথা লুপ্ত হোক, চান আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত

    এর আগে চলতি বছরের মার্চ মাসের ১১-১৩ তারিখে গুজরাটের পিরানায় প্রেরণা পীঠে অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভার বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে সংগঠনের বাৎসরিক ওয়ার্কি প্ল্যান তৈরি হয়েছিল। তখনই বলা হয়েছিল, ২০২২ সালে আরএসএসের (RSS) শাখার সংখ্যা বাড়িয়ে করতে হবে ৬০ হাজার ৯২৯। ২০২১ সালে এর সংখ্যা ছিল ৫৫ হাজার ৫৬২টি। এ থেকে এটা স্পষ্ট যে মাত্র এক বছরে আরএসএসের শাখার সংখ্যা বেড়েছে ৫ হাজার ২৭৭টি। ওই বৈঠকে পরবর্তী ছ মাসে আরএসএসের শাখার সংখ্যা ৪ হাজারের বেশি বাড়াতে বলা হয়েছিল। সব মিলিয়ে পরিকল্পনা রয়েছে ৬৫ হাজার করার।২০২৪ এর মধ্যে এক লক্ষ করতে হলে প্রয়োজন এই সময় সীমার মধ্যে আরও ৩৫ হাজার শাখা তৈরি। কীভাবে তা করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছিল ওই বৈঠকে। আরএসএসের (RSS) অখিল ভারতীয় প্রচার প্রমুখ সুনীল আম্বেকর জানান, সংঘের বিভিন্ন বৈঠকে দেশজুড়ে শাখার সংখ্যা কীভাবে আরও বাড়ানো যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • PM Modi: হিন্দিতে ডাক্তারি পড়তে পারা দেশে ইতিবাচক বদল আনবে, আত্মবিশ্বাসী প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: হিন্দিতে ডাক্তারি পড়তে পারা দেশে ইতিবাচক বদল আনবে, আত্মবিশ্বাসী প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দিতে ডাক্তারি পড়তে পারা দেশে ইতিবাচক বদল আনবে। রবিবার এক ট্যুইট বার্তায় একথা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন মধ্যপ্রদেশ সরকারের উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করে ওই কথা বলেন মোদি। রবিবারই হিন্দিতে অনূদিত চিকিৎসা বিজ্ঞানের (Hindi mbbs textbooks) তিনটি বিষয়ের বই প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)।

    মধ্যপ্রদেশ সরকারের উদ্যোগেই হয়েছে ওই কাজ। দিনটিকে ঐতিহাসিক আখ্যা দিয়েছিলেন শাহ। বলেছিলেন, দেশের মধ্যে মধ্যপ্রদেশ সরকারই প্রথম রাজ্য যারা এমবিবিএসের ছাত্রছাত্রীদের হিন্দিতে বই পড়ার সুযোগ করে দিয়েছে। এদিন শাহের ট্যুইট উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) ট্যুইট বার্তায় লেখেন, চিকিৎসাবিজ্ঞান শিক্ষা ক্ষেত্রে এই উদ্যোগ দেশে বড় ইতিবাচক বদল আনবে। এর ফলে লক্ষ লক্ষ পড়ুয়া নিজেদের ভাষায় পড়াশোনা করতে পারবেন। তাঁদের জন্য অনেক সুযোগের দরজা খুলে যাবে। ভোপালের ওই বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে শাহ জানিয়েছিলেন, চিকিৎসা বিজ্ঞানের হিন্দি ভাষায় (Hindi mbbs textbooks) অনূদিত বই প্রকাশ করে মধ্যপ্রদেশের ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্ন পূরণ করেছে। তিনি বলেন, এই মুহূর্তটা দেশে শিক্ষা ক্ষেত্রে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে। এজন্য আমি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। তবে কেবল হিন্দি নয়, বাংলা, তামিল সহ আরও ছটি ভাষায় চিকিৎসা বিজ্ঞান ও ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে সরকার উদ্যোগী হয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: দোরগোড়ায় গুজরাট ভোট, রণকৌশল স্থির করতে বৈঠকে মোদি-শাহ

    ওই অনুষ্ঠানে হিন্দি ও আঞ্চলিক ভাষার প্রচারের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi) দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্ক বলতে গিয়ে অমিত শাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদি হিন্দি, মারাঠি, তামিল, তেলগু, গুজরাটি, মালয়ালি থেকে বাংলা পর্যন্ত সব ভাষায় চিকিৎসা বিজ্ঞান ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষা প্রদানের মিশন শুরু করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী আমাদের ভাষাকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে এবং ১২টি ভাষায় প্রবেশিকা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ওই অনুষ্ঠানে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান বলেছিলেন, দরিদ্র সন্তানদের জন্য নতুন ভোরের সূচনা করলেন অমিত শাহ। অনেকেই মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হতেন। ইংরেজির ফাঁদে পড়ে পরীক্ষায় পাশ করতে না পেরে তাঁদের অনেকেই পড়াশোনা ছেড়ে দিতে বাধ্য হতেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Anubrata Mondal: নানারকমের সোনার অলঙ্কারই অনুব্রতর কালী প্রতিমার বৈশিষ্ট্য! জানেন কী কী রয়েছে সেই তালিকায়?

    Anubrata Mondal: নানারকমের সোনার অলঙ্কারই অনুব্রতর কালী প্রতিমার বৈশিষ্ট্য! জানেন কী কী রয়েছে সেই তালিকায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) মা কালীর অন্যতম বিশেষত্বই হল তাঁর হালকা-ভারি সোনার গয়না। কালী পুজোর (Kali Pujo) আগের দিন সেই সব গয়না একত্রিত করা হয়। এরপর অনুব্রত মণ্ডলের উপস্থিতিতে সেই গয়না মা কালীর অঙ্গে এক এক করে পরানো হয়। কী নেই সেই তালিকায়? সীতাহার থেকে চিক, বাজুবন্ধ থেকে মান্তাসা।

    আরও পড়ুন: ৮ বছরে আয় বেড়েছে প্রায় ১৭৫ গুণ! অনুব্রত কন্যা সুকন্যার আয়কর রিটার্ন চমকে দেবে আপনাকেও

    বীরভূম তৃণমূল সূত্রে খবর, কালী প্রতিমার জন্য রয়েছে সোনার মুকুট। রয়েছে নানা রকমের হার। এ ছাড়া, সীতাহার, চেন, গলার চিক, টায়রা-টিকলিও রয়েছে প্রতিমা সাজানোর জন্য। সাজসজ্জার জন্য রয়েছে চূড়, রতনচূড়, মান্তাসা এবং বেশ কয়েকটি আংটিও। রয়েছে, বালা, বাউটি, বাজুবন্ধ ইত্যাদিও। কালীপুজোর সময় ওই সব গয়না বার করে সাজানো হয় প্রতিমাকে। তৃণমূলের বীরভূম জেলার সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, অনুব্রতর অনুপস্থিতিতে এ বছর জেলা কমিটির নেতারাই গয়নায় সাজিয়ে দেবেন প্রতিমাকে। কেষ্ট নিজে হাতে এই গয়না পরিয়ে দিতেন মা কালীকে। কিন্তু বিধি বাম! এবার পুজোর সময় দেবীকে গয়না পরাবেন পুরোহিত রেবতীরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার সহকারী পুরোহিত।

    আরও পড়ুন: অনুব্রত ঘনিষ্ঠ প্রমোটার রানা সরকারকে সিবিআইয়ের জেরা! কী জানতে চাইলেন অফিসারেরা

    সূত্রের খবর, যে পরিমাণ অলঙ্কার প্রতিবছর দেবীকে পরানো হত এ বছর তা পরানো হবে না। শুধুমাত্র মাথার মুকুট, গলার হার, কানের দুল আর পায়ের নূপুরই পরানো হবে এবার। দলীয় সূত্রে খবর, ২০১৮ সালে কালী প্রতিমার সোনার গয়নার পরিমাণ ছিল ১৮০ ভরি। ২০১৯ সালে তা বেড়ে হয় ২৬০ ভরি। ২০২০ সালে এই  সোনার গয়নার পরিমাণ ছিল প্রায় ৩৬০ ভরি। ঠিক তার পরের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে সোনার মুকুট, বাউটি, বাজুবন্ধন, চুর, কানের দুল, গলার হার মিলিয়ে প্রায় ৫৭০ ভরি সোনার গয়নায় কালীমূর্তিকে সাজিয়েছিলেন অনুব্রত নিজে। কিন্তু গরু পাচার মামলায় এবার তিনি জেলে। সিবিআইয়ের নজর রয়েছে কালী প্ররতিমার গয়নার উপরেও। কোন কোন জায়গা থেকে সেই গয়না এনে জড়ো করা হবে তা-ও দেখবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। তাই সবাই একটু সতর্ক।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

LinkedIn
Share