Blog

  • Shehbaz Sharif: বাইডেনের “বিপজ্জনক দেশ” মন্তব্যে কী বলছে পাকিস্তান?

    Shehbaz Sharif: বাইডেনের “বিপজ্জনক দেশ” মন্তব্যে কী বলছে পাকিস্তান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবারই তোপ দেগেছিলেন মর্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)। তার পর চব্বিশ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই তীব্র প্রতিক্রিয়া দিল পাকিস্তান (Pakistan)। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif) রবিবার বাইডেনের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে দাবি করেন, তাঁর মন্তব্য তথ্যগতভাবে ভুল এবং বিভ্রান্তিকর। এদিন সাংবাদ মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে শেহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif) বলেন, গত কয়েক দশক ধরে পাকিস্তান প্রমাণ করেছে যে সে সব চেয়ে দায়িত্বশীল পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র। যাবতীয় পারমাণবিক কর্মসূচি পালিত হয় উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে। পুরো বিষয়টি ওপর আমাদের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। কর্মসূচি পালনের সময় নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার যাবতীয় ব্যবস্থাও করা হয়।

    শেহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif) বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে আমেরিকার বন্ধুত্বের একটা দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। পারস্পরিক সাহায্যের সম্পর্ক রয়েছে। যখন গোটা বিশ্ব নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি তখন অপ্রয়োজনীয় মন্তব্য এড়িয়ে মার্কিন-পাক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করা প্রয়োজন। আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে আমরা চাই আমেরিকা আমাদের সহযোগিতা করুক। শনিবার লস অ্যাঞ্জেলেসে ডেমক্রেটিক কংগ্রেসনার ক্যাম্পেন কমিটির রিসেপশনে ভাষণ দিচ্ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তখন তিনি বলেন, পাকিস্তান বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক দেশ। উপযুক্ত সুরক্ষা ছাড়াই পরমাণু অস্ত্র রেখেছে। এদিন তারই প্রতিক্রিয়া দিল পাকিস্তান।

    আরও পড়ুন: পাকিস্তান বিশ্বের বিপজ্জনক দেশগুলির একটি, মার্কিন তোপে বেকায়দায় ইসলামাবাদ

    বাইডেন বলেন, এই লোকটি (শি জিনপিং) যিনি বোঝেন তিনি কী চান, কিন্তু তাঁর সামনে রয়েছে সমস্যার পাহাড়। আমরা কীভাবে সেটা হ্যান্ডেল করব? রাশিয়ায় বর্তমানে যা চলছে, তাই বা হ্যান্ডেল করব কীভাবে? এর পরেই পাকিস্তানকে নিশানা করেন তিনি। বলেন, আমি মনে করি, বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক একটি দেশ হল পাকিস্তান। যারা সুরক্ষা ছাড়াই রেখেছে পারমাণবিক অস্ত্র। সম্প্রতি পাকিস্তানকে এফ-১৬ যুদ্ধ বিমানের সরঞ্জাম সরবরাহের আশ্বাস দিয়েছিল আমেরিকা। তখন পাকিস্তানের হয়ে সাফাই দিতে গিয়ে মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছিলেন, খুব স্পষ্ট করে বলতে গেলে পাকিস্তানের কাছে দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে এফ-১৬ যুদ্ধ বিমান। এগুলি পুরানো প্লেন এবং সিস্টেম, যা ইতিমধ্যেই তাদের কাছে রয়েছে। আমরা এই বহরের রক্ষণাবেক্ষণ ও টিকিয়ে রাখার জন্য সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করি। তাদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব ও বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এর পর কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছিল ভারত। তার জেরেই শনিবার বাইডেন পাকিস্তানকে নিশানা করেন বলে ধারণা কূটনৈতিক মহলের একাংশের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Hema Malini Birthday: ৭৪-এ  ‘ড্রিম গার্ল’,  জন্মদিনে দেখুন কিছু বিশেষ ছবি

    Hema Malini Birthday: ৭৪-এ ‘ড্রিম গার্ল’, জন্মদিনে দেখুন কিছু বিশেষ ছবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রবীণ অভিনেত্রী, রাজনীতিবিদ, নৃত্যশিল্পী- সর্বোপরি ‘ড্রিম গার্ল’ হেমা মালিনীর আজ জন্মদিন (Hema Malini Birthday)। ৭৪ বছরে পা দিলেন হেমা। তাঁর জন্মদিনে তাঁর অনুরাগীরা ও পুরো বলিউডের তারকারা শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দিয়েছেন। এছাড়াও সাধারণ মানুষের পাশাপাশি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরাও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তবে তিনি এখন আর এই দিনটিতে তেমন জাঁকজমক পছন্দ করেন না, তাই পরিবারের সঙ্গেই ছোট করে নিজের জন্মদিন পালন করেন।

    হেমা মালিনী (Hema Malini Birthday) বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে সবচেয়ে বিখ্যাত ও সফল অভিনেত্রীর মধ্যে অন্যতম একজন। সিনেমা জগতে তাঁর অবদান অপরিসীম। বড় পর্দার পাশাপাশি তিনি রাজনীতিবিদ হিসেবেও বেশ সক্রিয় ছিলেন। একসময় বিজেপির সক্রিয় নেত্রী ছিলেন। হেমা মালিনী ১৯৬৩ সালে তামিল ছবি ‘ইধু সাথিয়াম’-এর মাধ্যমে অভিনয় জগতে পা রাখেন। ১৯৬৮ সালের বিখ্যাত অভিনেতা রাজ কাপুরের বিপরীতে ‘স্বপ্নকা সওদাগর’ সিনেমার মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করেন বলিউডে। সেই ছবির পর আর পেছনে তাকাতে হয়নি তাঁকে। এরপর ‘সীতা গীতা’ ‘নসিব’, ‘জনি মেরা নাম’, ‘সত্তে পে সাত্তা’, ‘ক্রান্তি’ ‘প্রেম নগর’-এর ছবিতে কাজ করেছেন।

    হেমা মালিনীর শুধুমাত্র সৌন্দর্য ও অভিনয় নয়, তাঁর নাচ নিয়েও সবাই পাগল। হেমা মালিনী তাঁর ক্যারিয়ারে অনেক বড় তারকাদের সঙ্গে কাজ করেছেন তবে যে জুটি বেশ হিট ছিল তাঁর মধ্যে একজন হলেন রাজেশ খান্না। সুপারস্টার রাজেশ খান্নার সঙ্গে হিমা দশটি হিট ছবি দিয়েছিলেন। আবার ধর্মেন্দ্রের সঙ্গে তিনি ৩৫টি ছবি অভিনয় করেছিলেন।

    হেমা মালিনীর জন্মদিন (Hema Malini Birthday) উপলক্ষে ইনস্টাগ্রামে সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন তাঁর মেয়ে এষা দেওল (Esha Deol)। নিজের ও মায়ের দু’টি ছবি শেয়ার করেছেন তিনি। ছবিগুলির সঙ্গে এষা লিখেছেন, “শুভ জন্মদিন মা। ঈশ্বর তোমার শরীরের খেয়াল রাখুক। খুব সুখি থাকো। আমি সবসময় তোমার পাশে আছি। আই লভ ইউ।”

    [insta]https://www.instagram.com/p/Cjwng3IIYgI/?utm_source=ig_web_copy_link[/insta]

    এছাড়াও হেমা মালিনীর তাঁর স্বামী ধর্মেন্দ্র ও তাঁদের দুই মেয়ের সঙ্গে সময় কাটানোর কিছু মুহুর্ত একনজরে দেখে নিন।

    [insta]https://www.instagram.com/p/CdC3Tkevocn/?utm_source=ig_web_copy_link[/insta]

    [insta]https://www.instagram.com/p/CZGT4ErPB5e/?utm_source=ig_web_copy_link[/insta]

    [insta]https://www.instagram.com/p/BcbjZ1-h80f/?utm_source=ig_web_copy_link[/insta]

    [insta]https://www.instagram.com/p/Ce0N__zri6p/?utm_source=ig_web_copy_link[/insta]

    [insta]https://www.instagram.com/p/CVE7ocJNkUc/?utm_source=ig_web_copy_link[/insta]

    [insta]https://www.instagram.com/p/BpCUQv4B3Jh/?utm_source=ig_web_copy_link[/insta]

  • Anubrata Mondal: কেষ্টর বিপুল সম্পত্তির রহস্য কী? উত্তর মিলবে ব্যাংক কর্মীদের বয়ানে

    Anubrata Mondal: কেষ্টর বিপুল সম্পত্তির রহস্য কী? উত্তর মিলবে ব্যাংক কর্মীদের বয়ানে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনার কারণে গোটা বিশ্বের অর্থনীতি টালমাটাল হলেও, ফুলে ফেঁপে উঠেছে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) কোষাগার। বীরভূমের তৃণমূলের সভাপতির ব্যবসাপত্রে এত লেনদেন বাড়ল কী করে, সেই প্রশ্ন ভাবাচ্ছে সিবিআই (CBI) গোয়েন্দাদের। এর উত্তর একমাত্র দিতে পারেন সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের কর্মীরা। এমনটাই মনে করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা।

    আরও পড়ুন: কেষ্টহীন কালী পুজো কেমন হবে বোলপুরে? নজর সিবিআইয়ের 

    অনুব্রতের বিরুদ্ধে চার্জশিটে যে ৯৫ জন সাক্ষীর কথা জানানো হয়েছে, তার একটি বড় অংশ বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি ব্যাংকের কর্মী-আধিকারিকেরা। সিবিআই সূত্রে খবর, মেয়ে সুকন্যা (Sukanya Mondal), প্রয়াত স্ত্রী ছবি-সহ অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের নামে সরকারি ও বেসরকারি ব্যাঙ্কের সিউড়ি, বোলপুর, কলকাতার সল্টলেক এবং বাগমারি শাখায় মোট ১৩টি অ্যাকাউন্টের হদিস মিলেছে। ১৩টি অ্যাকাউন্টের মধ্যে রয়েছে ওই চালকল এবং সংস্থাগুলির অ্যাকাউন্টও। ১১ অগাস্ট অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পরেই অ্যাকাউন্টগুলিতে সমস্ত লেনদেন বন্ধ করে দেওয়া হয়। 

    চার্জশিটে বলা হয়েছে, এক বেসরকারি ব্যাঙ্কের বোলপুরের শাখায় কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ এক জনের অ্যাকাউন্টে ২০১১ থেকে ২০২২-এর মধ্যে ১০৫ বারে এক কোটিরও বেশি টাকা জমা পড়েছে। একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের সিউড়ির শাখায় একটি চালকলের অ্যাকাউন্টে ৬৬ বারে প্রায় এক কোটি ৬৯ লক্ষ টাকা, ওই ব্যাঙ্কের বোলপুর শাখায় ওই চালকলেরই অ্যাকাউন্টে ২৪ বারে প্রায় এক কোটি ৫৮ লক্ষ টাকা, আবার একটি ‘ভুয়ো’ সংস্থার অ্যাকাউন্টে ৭৮ বারে প্রায় এক কোটি ২৫ লক্ষ টাকা জমা পড়েছে।  গত কয়েক বছরে অনুব্রত ও তাঁর মেয়ে সুকন্যার অ্যাকাউন্টে ফিক্সড ডিপোজিট বাবদ জমা পড়েছে প্রায় ১০ কোটি টাকা। বোলপুরে ব্যাঙ্ক অফ বরোদাতেই ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে বেশি। ওই শাখায় দুজনেরই অ্যাকাউন্ট রয়েছে। ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ থেকে ব্যাঙ্ক অফ বরোদায় অনুব্রত ও তাঁর মেয়ের নামে মোট ৫ কোটি ২৭ লক্ষ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট করা হয়েছে। কখনও একলপ্তে জমা করা হয়েছে ৫০ লক্ষ টাকা। কখনও বা ৬০ লক্ষ টাকা। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে এক ধাক্কায় ১ কোটি ৪০ টাকা স্থায়ী আমানত তথা ফিক্সড ডিপোজিট (Fixed Deposit) করা হয় সেখানে। এছাড়াও সুকন্যা ও অনুব্রতর অ্যাকাউন্ট ছিল সল্টলেকের স্টেট ব্যাঙ্কের একটি শাখায়। সেখানে পাঁচ দফায় ফিক্সড ডিপোজিট করা হয়েছে। তার মধ্যে চারটিতে সুকন্যার নামে রয়েছে। একটি ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে অনুব্রতর নামে। এক একবারে সেখানে ১ কোটি টাকার বেশি করে ফিক্সড ডিপোজিট করা হয়েছে। সেখানে বাবা ও মেয়ে মিলিয়ে দুটি ফিক্সড ডিপোজিট অ্যাকাউন্টে রয়েছে ৪ কোটি ৫৭ লক্ষ ৬৬ হাজার ২৬৪ টাকা।   
     
    চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, গরু পাচারের মূল কাণ্ডারি এনামুল হকের থেকে নেওয়া টাকাই মূলত এই অ্যাকাউন্টগুলিতে জমা পড়েছে। কিছু ব্যাংক কর্মীই এই কাজে অনুব্রতকে সাহায্য করতেন বলেও জানতে পেরেছেন সিবিআই গোয়েন্দারা। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ নেতার বাড়ি বয়ে এসেও টাকা নিয়ে যেতেন। এই কর্মীদের সাক্ষী মামলায় নতুন মোড় আনবে বলে বিশ্বাস গোয়েন্দাদের। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Dengue: ডেঙ্গি হানায় চিন্তা বাড়াচ্ছে জেলা, ৪১ তম সপ্তাহে উর্ধ্বমুখী আক্রান্তের পারদ

    Dengue: ডেঙ্গি হানায় চিন্তা বাড়াচ্ছে জেলা, ৪১ তম সপ্তাহে উর্ধ্বমুখী আক্রান্তের পারদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাস দুয়েক আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিল কলকাতা। কিন্তু টনক নড়েনি প্রশাসনের। পরিস্থিতি এখন বিপদসীমা পেরিয়ে গিয়েছে। ডেঙ্গির (Dengue) ভয়াবহতার পারদ কলকাতার থেকেও বেশি জেলায়। জেলার হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গি আক্রান্তের ভর্তির ভিড় দেখে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন খোদ রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা। তিনি নিজেই জানান, গ্রামে যে হারে ডেঙ্গি প্রকোপ ছড়াচ্ছে, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে।

    স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, বছরের ৪০ সপ্তাহ থেকে ৪১ তম সপ্তাহে কয়েক গুণ ডেঙ্গি বেড়ে গিয়েছে। পজিটিভিটি রেট ও অনেক বেশি। অক্টোবরের শুরুতেও রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের মূল চিন্তা ছিল কলকাতাকে নিয়েই। কিন্তু গত এক সপ্তাহের পরিসংখ্যান বলছে কলকাতার পাশপাশি চিন্তা জেলাকে নিয়েও। বিশেষত, উত্তর চব্বিশ পরগনা, হাওড়া, হুগলি ও মুর্শিদাবাদ, এই কয়েকটি জেলায় ডেঙ্গি পরিস্থিতি উদ্বেগজনক।

    আরও পড়ুন: ভোট বাক্সের রাজনীতি! মোমিনপুরের ঘটনায় চুপ কেন অভিষেক? প্রশ্ন অমিত মালব্যর

    স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ডেঙ্গি আক্রান্তের নিরিখে প্রথমেই আছে উত্তর চব্বিশ পরগনা। বছরের ৪১ তম সপ্তাহে এই জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ১২৫৩ জন। যেখানে আগের সপ্তাহে অর্থাৎ, ৪০তম সপ্তাহে সংখ্যা ছিল ৯৯২ জন। তালিকায় এরপরেই রয়েছে হাওড়া। বছরের শুরু থেকেই কিন্তু হাওড়ার পরিস্থিতি উদ্বেগজনক ছিল। ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে একাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। পুরসভার কাজ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। যদিও অভিযোগ, তারপরেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। আর সেই অভিযোগেই কার্যত সিলমোহর দিল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট। স্বাস্থ্য ভবনের তথ্য বলছে, হাওড়ায় বছরের ৪১ তম সপ্তাহে অর্থাৎ, অক্টোবরের ১০-১৫ তারিখের মধ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৬৩৬ জন। এরপরে তালিকায় আছে কলকাতা। কলকাতায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬০৬ জন। হুগলির পরিস্থিতিও বেশ ভয়াবহ। সেখানে এই সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০৮ জন। মুর্শিদাবাদে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ৪৫২ জন।

     স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি সপ্তাহে ২৪৫৪ জনকে ডেঙ্গি আক্রান্ত হাসপাতাল ভর্তি হয়েছেন। এরমধ্যে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ৯৬ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত শুধুমাত্র মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়েছে। মেডিক্যাল কলেজ ও জেলা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের পাশপাশি ব্লক স্তরে ও ডেঙ্গি আক্রান্তের ভর্তির সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। গত এক সপ্তাহে ৩৭৫ জন গ্রামীণ বা ব্লক স্তরের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। মহকুমা বা স্টেট জেনারেল স্তরের হাসপাতালে ১০১৪ জন ভর্তি হয়েছেন। অর্থাৎ, শহরের পাশপাশি জেলা ও চিন্তা বাড়াচ্ছে।

    দক্ষিণবঙ্গের পাশপাশি উত্তরবঙ্গের ডেঙ্গি পরিস্থিতিও বেশ ভয়াবহ। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে ১৯০ জন শেষ সাত দিনে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন। জেলা হাসপাতালগুলোর মধ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগী ভর্তির নিরিখে শিলিগুড়িই প্রথমে রয়েছে। এই তথ্য স্পষ্ট করে দেয় উত্তরবঙ্গের ডেঙ্গি পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। 

    স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি রিপোর্ট দেরিতে আসার কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে। রোগীর চিকিৎসা শুরু করার ক্ষেত্রে ও দেরি হচ্ছে। ফলে, পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। শুক্রবার স্বাস্থ্য দফতরের বৈঠকে স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী বলেন, গ্রামাঞ্চলে কতখানি ডেঙ্গি মোকাবিলার কাজ হয়েছে, সে নিয়ে সংশয় হচ্ছে। কারণ, জ্বরে তিন-চারদিন ভুগলেও অনেকে ডেঙ্গি পরীক্ষা করছেন না। ওষুধের দোকান থেকে প্যারাসিটামল কিনে খাচ্ছেন। প্লেটলেট কমছে কিনা, তা বোঝাও যাচ্ছে না। শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তারপরে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। তাই অনেকটাই সময় অপচয় হচ্ছে।

    ডেঙ্গি মোকাবিলায় যে রাজ্য সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ এই বছর তা আরও আরেকবার প্রমাণিত হলো। অথচ, গত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সময় মতো সমস্ত বিভাগ একযোগে কাজ করলে, পরিস্থিতি এমন জায়গায় হয়তো পৌছতো না বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ডেঙ্গিতে প্রত্যেক বছর লোক মারা যায়। প্লেটলেট পাওয়া যায় না। তারপরেও সরকারের হুঁশ ফেরে না। শীত পড়লেই প্রশাসন ও শীত ঘুমে চলে যায়। বছর ভর সমস্ত বিভাগ একযোগে ডেঙ্গি মোকাবিলার কাজ চালিয়ে যাবে, এই সদিচ্ছার বড় অভাব। আর তার জন্য রাজ্যবাসীকে ভুগতে হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Mominpur clash: ভোট বাক্সের রাজনীতি! মোমিনপুরের ঘটনায় চুপ কেন অভিষেক? প্রশ্ন অমিত মালব্যর

    Mominpur clash: ভোট বাক্সের রাজনীতি! মোমিনপুরের ঘটনায় চুপ কেন অভিষেক? প্রশ্ন অমিত মালব্যর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোমিনপুর হিংসায় (Mominpur clash) ভোট বাক্সের রাজনীতি করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনই অভিযোগ বিরোধীদের। বিজেপি (BJP) আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য ট্যুইট করে এ নিয়ে খোঁচা দিয়েছন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ তথা সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন এত বড় ঘটনা যেখানে তিন জন আইপিএস অফিসার আক্রান্ত, আহত একাধিক পুলিশ কর্মী সেখানে কেন চুপ রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর ভাইপো?  ভোটব্যাঙ্ক সুরক্ষিত রাখতে তাঁরা কোনও গোষ্ঠীকে আড়াল করছেন? 

    প্রসঙ্গত, গত ১৩ই সেপ্টেম্বর বিজেপির নবান্ন অভিযানের দিন আক্রান্ত হয়েছিলেন এক পুলিশকর্তা। সেই সময় তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসএসকেএমে গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি, তাঁর সঙ্গে দেখা করার পর এসএসকেএম চত্বরে দাঁড়িয়ে তিনি বলেছিলেন যে পুলিশ অনেক সংযত থেকেছে। তিনি থাকলে বিজেপি কর্মীদের মাথায় গুলি করতেন। তাহলে এখন প্রকৃত দোষীদের মাথায় গুলি করার কথা বলছেন না কেন অভিষেক ? প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। এমনকি ওই ঘটনায় আক্রান্ত  সিএমআরআই-তে চিকিৎসাধীন অফিসারদের সঙ্গে দেখাও করতে যাননি কেউ। তবে কী নিজের গা বাঁচিয়ে চলছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়? 

    আরও পড়ুন: একবালপুর-মোমিনপুর কাণ্ডের জেরে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি, জনস্বার্থ মামলা কলকাতা হাইকোর্টে

    উল্লেখ্য, আদালতের নির্দেশে রাজ্যের পাঠানো রিপোর্ট বিশ্লেষণের পর মোমিনপুর হিংসায় NIA-তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।  শুক্রবার রাতে ট্যুইট করে একথা জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী। মোমিনপুরে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হওয়া মামলার শুনানিতে বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য পুলিশের ডিজি ও কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে নেতৃত্বে রেখে সিট গঠন করে। কারা এই হামলায় যুক্ত তা খুঁজে বার করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে বলে আদালত। রাজ্যের তরফে জানানো হয়, এই ঘটনার রিপোর্ট নিয়ম মেনে কেন্দ্রকে পাঠিয়েছে তারা। সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে মোমিনপুরে NIA তদন্ত প্রয়োজন কি না তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রের তরফে জানানো হল, NIA তদন্ত হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Women’s Asia Cup: শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন ভারতের মেয়েরা

    Women’s Asia Cup: শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন ভারতের মেয়েরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছেলেরা পারেনি, মেয়েরা পারল। রোহিত-কোহলিদের আক্ষেপ মেটালেন হরমনপ্রীত-স্মৃতি মান্ধানারা। একপেশে ফাইনালে প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কাকে (India vs Sri Lanka) আট উইকেটে হারিয়ে এশিয়া কাপ  (Women’s Asia Cup) চ্যাম্পিয়ন হল ভারতের মেয়েরা।  প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৬৫/‌৯ তোলে শ্রীলঙ্কা। জবাবে ৮.‌৩ ওভারে ২ উইকেটে ৭১ রান তুলে ম্যাচ জিতে নেয় ভারত। 

    শনিবার বাংলাদেশের শিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপ ফাইনালে শ্রীলঙ্কার মুখোমখি হয় ভারত। প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে মাত্র ৬৫ রান তোলে শ্রীলঙ্কা। জবাবে ৮.‌৩ ওভারে ২ উইকেটে ৭১ রান তুলে ম্যাচ জিতে নেয় ভারত। এদিন দুরন্ত বোলিং করলেন রেনুকা সিং, রাজেশ্বরী গায়কোয়াড়, স্নেহ রানারা। টস জিতে এদিন প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন চামিরা আতাপাত্তু। কিন্তু ভারতের বোলারদের সামনে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেননি শ্রীলঙ্কার ব্যাটাররা। ভারতের সামনে জয়ের জন্য মাত্র ৬৬ রানের লক্ষ্য খাড়া করতে সমর্থ হয়।

    আরও পড়ুন: সাইবাবার জীবন জুড়ে রয়েছে নানান অলৌকিক কাহিনী! তাঁর তিরোধান দিবসে জানুন সেই গল্প

    ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করে ভারত। ৩ ওভারে ৩০ রান ওঠে। তখনই প্রায় জয় নিশ্চিত হয়ে যায়। চতুর্থ ওভারে রণবীরার বলে স্টাম্পড হন শেফালি ভার্মা (‌৫)‌। পরের ওভারেই কভিশা দিলহারির বলে বোল্ড হন জেমিমা রডরিগেজ (‌২)‌। দারুণ ব্যাটিং করে ভারতকে জয় এনে দেন স্মৃতি মান্ধানা। ২৫ বলে ৫১ রান করে তিনি অপরাজিত থাকেন। মারেন ৬টি ৪, ৩টি ৬। রনসিংঘেকে ৬ মেরে দলকে কাঙ্খিত জয় এনে দেন স্মৃতি। হরমনপ্রীত ১১ রান করে অপরাজিত থাকেন। প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পেলেন ভারতের রেনুকা সিং। প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্টের পুরস্কার পেলেন দীপ্তি শর্মা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Gujarat Election: দোরগোড়ায় গুজরাট ভোট, রণকৌশল স্থির করতে বৈঠকে মোদি-শাহ

    Gujarat Election: দোরগোড়ায় গুজরাট ভোট, রণকৌশল স্থির করতে বৈঠকে মোদি-শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় গুজরাট বিধানসভার নির্বাচন (Gujarat Election)। রণকৌশল স্থির করতে শুক্রবার রাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সঙ্গে বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তাঁর সঙ্গে ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেন্দ্র প্যাটেল এবং দলের রাজ্য ইউনিটের প্রধান সিআর পাটিল। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দিল্লির বাসভবনে ঘণ্টা পাঁচেক ধরে চলেছে ওই বৈঠক। গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে কীভাবে বিরোধীদের মাত দেওয়া যায়, মূলত তা নিয়েই আলোচনা হয়েছে বিজেপির এই তিন নেতার।

    রাজনৈতিক মহলের মতে, এই বৈঠকের গুরুত্ব কম নয়। কারণ বৈঠকটি এমন একটি সময় অনুষ্ঠিত হয়েছে, যার ঠিক আগে আগেই হিমাচল প্রদেশ বিধানসভার নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। নভেম্বরের ১২ তারিখে হবে হিমাচল প্রদেশ বিধানসভার নির্বাচন। আশা করা যায়, এ মাসেরই পরের দিকে ঘোষণা হয়ে যাবে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের (Gujarat Election) নির্ঘণ্ট। প্রসঙ্গত, এর আগে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচন হয়েছিল ২০১৭ সালের ডিসেম্বরের প্রথম দিকে। এবারও তেমনই হওয়ার সম্ভাবনা। 

    আরও পড়ুন: ভোটের মুখে জোর ধাক্কা গুজরাট কংগ্রেসে, ৬ মাসের কারাদণ্ডের সাজা জিগনেশ মেবানির

    গুজরাটে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে বিজেপি (BJP)। এই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি জিতেছে ছ বার। সব মিলিয়ে ক্ষমতায় ছিল ২৭ বছর। এ রাজ্যে পদ্ম শিবিরের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী এতদিন ছিল কংগ্রেস। এবার লড়াইয়ের ময়দানে হাজির অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল আম আদমি পার্টি। দিল্লি দখলের পর ইতিমধ্যেই এই দল কংগ্রেসের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে পাঞ্জাবের রশি। এবার তারা হানা দিতে চাইছে মোদির রাজ্যে। দ্রুত গতিতে চলছে সংগঠন গড়ার কাজ। বিজেপির হাত থেকে রাজ্যের রশি কেড়ে নিয়ে গুজরাটের তখতে বসতে চাইছে কেজরিওয়ালের দল। তবে সেটা যে সহজ নয়, তা বলছেন গুজরাটের রাজনীতির কারবারিরাই। এদিন হিমাচল প্রদেশের সঙ্গে সঙ্গে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের (Gujarat Election)  নির্ঘণ্টও নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করবে বলে আশাবাদী ছিলেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। শেষমেশ ঘোষণা হয় কেবল হিমাচল প্রদেশে বিধানসভার ভোটের দিনক্ষণ। এখন দেখার, মোদির রাজ্যে কবে বাজে বিধানসভা ভোটের ঘণ্টা!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Religious Conversion: হিন্দু যুবককে গোমাংস খাইয়ে, সুন্নত করিয়ে ইসলামে দীক্ষা, কাঠগড়ায় কং নেতা সহ ১১

    Religious Conversion: হিন্দু যুবককে গোমাংস খাইয়ে, সুন্নত করিয়ে ইসলামে দীক্ষা, কাঠগড়ায় কং নেতা সহ ১১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের জোর করে ধর্মান্তকরণের (Religious Conversion) অভিযোগ। এক হিন্দু (Hindu) যুবককে জোর করে ইসলাম (Islam) ধর্মে দীক্ষিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ। কর্নাটকের ওই ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বেঙ্গালুরুর  কংগ্রেসের প্রাক্তন কর্পোরেটর আনসার পাশা, তাঁর ভাই নয়জ পাশা, জনৈক হাজি সাব, আতাউর রহমান এবং সোয়েব। এঁদের মধ্যে দুজনকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করা হয় বাকি তিনজনকে। নয়জ পাশাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তামিলনাড়ু থেকে।

    পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, কর্নাটকের মান্ড্য এলাকার বাসিন্দা দলিত যুবক জনৈক শ্রীধর গঙ্গাধর প্রথমে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত (Religious Conversion) হতে চেয়েছিলেন। কারণ তাঁকে মোটা অঙ্কের টাকার লোভ দেখানো হয়েছিল। পরে মুসলমান করতে শ্রীধরের সুন্নতও করানো হয়। তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয় নগদ ৫০ হাজার টাকাও। পুলিশের দাবি, এর পর আর ইসলামের দিকে ঝুঁকতে চাননি শ্রীধর। যদিও অভিযুক্তরা তাঁকে বাধ্য করেছিল বলে অভিযোগ। এর পরেই বছর পঁচিশের শ্রীধর পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর দাবি, অভিযুক্তরা তাঁর সম্মতি ছাড়াই তাঁর নাম বদলে করে দেন মহঃ সালমান। শ্রীধরের অভিযোগের ভিত্তিতে ১২ জনের নামে দায়ের হয় মামলা। যার মধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে পাঁচজনকে। এর মধ্যেই রয়েছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন কর্পোরেটর আনসার পাশা। তিনি স্থানীয় বিধায়কের ঘনিষ্ঠও।

    আরও পড়ুন: হিজাব-বিতর্ক বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অঙ্গ! সুপ্রিম কোর্টে কী বলল কর্নাটক সরকার?

    শ্রীধরের দাবি, অভিযুক্তরা নব মুসলিম নামে একটি গোষ্ঠী তৈরি করেছিলেন। এই গ্রুপের সদস্যদের দেখিয়ে ইরাক-ইরান থেকে অর্থ সংগ্রহ করতেন। ভারতকে মুসলিম রাষ্ট্র বানানোর চেষ্টাও চালাচ্ছিল এই গোষ্ঠী। শ্রীধর বলেন, অভিযুক্তরা আমাকে অচৈতন্য করতে কালো রংয়ের কোনও তরল খাইয়ে দেন। পরে করা হয় সুন্নত। জোর করে গো-মাংসও খাওয়ানো হয় আমাকে। শ্রীধরের আরও অভিযোগ, অভিযুক্তরা তাঁকে একটি রিভলভার দেখিয়ে ভয় দেখান। তাঁর হাতে একটি আগ্নেয়াস্ত্রও তুলে দেওয়া হয়। সেই ছবি মোবাইল বন্দি করে অভিযুক্তরা ভয় দেখান, ঘটনার কথা কাউকে বললে তাঁর ছবি ভাইরাল করে দেওয়া হবে। দেগে দেওয়া হবে সন্ত্রাসবাদী বলে। ভয়ে প্রথমে থানায় অভিযোগ দায়ের না করলেও, পরে অবশ্য করেন। তার পরেই গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তদের কয়েকজনকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Manik Bhattacharya: মানিক ঘনিষ্ঠের টিচার্স ট্রেনিং সেন্টারে ইডি! ভাঙা হল তালা, জানেন কী মিলল?

    Manik Bhattacharya: মানিক ঘনিষ্ঠের টিচার্স ট্রেনিং সেন্টারে ইডি! ভাঙা হল তালা, জানেন কী মিলল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মহিষবাথানে মানিক (Manik Bhattacharya) ঘনিষ্ঠের টিচার্স ট্রেনিং সেন্টারে (Teachers Training Center) তল্লাশি চালাল ইডি। শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার ওই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে তালা ভেঙে ঢোকেন ইডির অফিসারেরা। ইডি (ED) সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের যোগ রয়েছে। সেই কারণেই অভিযান। 

    এদিন সকালে এক মহিলা অফিসার-সহ ইডির ছ-জন আধিকারিক মহিষবাথানের মিনার্ভা এডুকেশেন অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার সোসাইটিতে তদন্তে আসে। ওই ট্রেনিং সেন্টার চালাতেন মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি। ইডি যখন এদিন এখানে আসে তখন সেন্টারটি তালা বন্ধ ছিল। স্থানীয়দের কাছ থেকে ওই সেন্টারের একটি মোবাইল নম্বর নিয়ে ফোন করা হয়। কিন্তু কেউ ফোন তোলেননি। তখন স্থানীয় এক চাবিওয়ালাকে ডেকে এনে তালা ভাঙেন তদন্তকারীরা। প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এরপর তল্লাশি চালায় ইডি।

    আরও পড়ুন: শুধু চাকরি নয়, অর্থের বিনিময়ে বিএড ডিগ্রিও বিক্রি করেছেন মানিক! অভিযোগ ইডির

    ইডি আধিকারিকরা জানতে পারেন যে সময়ে রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে উত্তাল ছিল, সেই সময় অর্থাৎ ২ মাস আগে আচমকাই এই সেন্টারের সামনের সাইনবোর্ড খুলে ফেলা হয়। কেন হঠাৎ করেই বন্ধ করে দেওয়া হল? তা নিয়ে বাড়ছে দ্বন্দ্ব। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডি তৎপরতা বাড়তেই এই ট্রেনিং সেন্টার বন্ধ করা হয় বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান। আলিমারি থেকে যেমন নথি বের করে দেখা হচ্ছে, তেমনই সব ছবি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রচুর নথি মিলেছে। তা খতিয়ে দেখছে ইডি। এদিকে, এই ভাড়া নেওয়া সেন্টারের বাড়িওয়ালার দাবি প্রায় পাঁচ মাস ভাড়া বাকি রয়েছে। বাড়ির মালিকের কাছ থেকে এই সেন্টারের বিষয়ে সবরকম তথ্য সংগ্রহেরও চেষ্টা করে চলেছেন ইডির আধিকারিকরা। সেন্টারের মধ্যে সিসিটিভি ক্যামেরার দিকেও নজর রেখেছেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন: মামলার পথে ১৪০০ চাকরি প্রার্থী! প্রাথমিক নিয়োগে অতীতে এত আবেদন জমা পড়েনি

    প্রসঙ্গত, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁর এই ঘনিষ্ঠের খোঁজ পায় ইডি। তিনি যে টিচার্স ট্রেনিং সেন্টার চালাতেন মহিষবাথানে, তা জানতে পেরেই হানা দেওয়া হয় এখানে। যে সমস্ত অযোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ হয়েছে, তাঁদের এখানেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে? এখান থেকেই কি নকল ওএমআর সিট তৈরি হয়েছে? এইসব প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছে ইডি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Primary Teacher Recruitment: মামলার পথে ১৪০০ চাকরি প্রার্থী! প্রাথমিক নিয়োগে অতীতে এত আবেদন জমা পড়েনি

    Primary Teacher Recruitment: মামলার পথে ১৪০০ চাকরি প্রার্থী! প্রাথমিক নিয়োগে অতীতে এত আবেদন জমা পড়েনি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি চাই, চাকরি! পশ্চিমবঙ্গের বেকার যুবক-যুবতীদের এটাই যেন এখন একমাত্র স্লোগান। টেট পাস করে মেরিট লিস্টে নাম থাকা সত্ত্বেও অনেকে চাকরি থেকে বঞ্চিত। আবার পাস না করেও চাকরি করছেন অনেকে। যোগ্য চাকরি প্রার্থীরা দিনের পর দিন ধর্না দিয়েছেন। আবেদন জানিয়েছেন রাজ্য সরকারের কাছে। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। এবার তাই মামলার পথ বেছে নিলেন ১৪০০ চাকরি প্রার্থী। আরও ২০০০ চাকরি প্রার্থী কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছেন। প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় একদিনে কলকাতা হাইকোর্টে এক সঙ্গে এত আবেদন অতীতে জমা পড়েনি। তাই এটা এক নজিরবিহীন ঘটনা।

    আরও পড়ুন: ফের আইনি গেরোয় প্রাথমিকে নিয়োগ, বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা

    যাঁরা নতুন করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেকেই ২০১৪ সালে প্রাইমারি টেট (Primary TET) পরীক্ষা দিয়েছিলেন। ইতিমধ্যেই এই পরীক্ষায় যাঁরা বসেছিলেন, তাঁদের দু’বার নিয়োগও হয়েছে। ২০১৬ সালের পরীক্ষায় নিয়োগ হয়েছে চার বছর পর পর অর্থাৎ ২০২০ সালে। তবে মজার ব্যাপার হল, ২০২২ শেষ হতে চলল, কিন্তু ২০২০ প্রাইমারি টেট পরীক্ষার্থীরা এখনও চাকরি পাননি। আর সেই কারণেই এত সংখ্যক চাকরি প্রার্থী একসঙ্গে সুবিচারের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয়েছেন।

    সব কিছু ঠিক থাকলে মঙ্গলবার অনিরুদ্ধ রায়ের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হতে পারে। তবে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ২০২০ সালে প্রাথমিকে ১৬৫০০ পদ নিয়োগের পর শূন্য থাকা ৩৯২৯টি আসনও দ্রুত পূরণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, বিচারপতি স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, মেধা ও যোগ্যতার বিচারেই চাকরি দিতে হবে ৭ নভেম্বরের মধ্যে। ১১ নভেম্বর বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে হবে আদালতকে।

    আরও পড়ুন: টেট নিয়োগ ঘিরে ফের মামলা কলকাতা হাইকোর্টে, আইনি জটিলতায় থেমে যাবে না তো প্রক্রিয়া?

    এই রায়ের পরেই শ’য়ে শ’য়ে মামলা হচেছ কলকাতা হাইকোর্টে। চাকরি প্রার্থীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, ‘আমার কাছে প্রায় হাজার তিনেক আবেদন এসেছে। ইতিমধ্যে ১৪০০ মামলা দায়ের হয়েছে। আদলত অনুমতি দিলে বাকি মামলাও দায়ের করা হবে।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share