Blog

  • Dr. Dilip Mahalanabis: প্রয়াত ওআরএস- এর জনক চিকিৎসক দিলীপ মহলানবিশ

    Dr. Dilip Mahalanabis: প্রয়াত ওআরএস- এর জনক চিকিৎসক দিলীপ মহলানবিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত ওআরএস- এর উদ্ভাবক ডা. দিলীপ মহলানাবিশ (Dr. Dilip Mahalanabis)। শনিবার রাতে ইএম বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই বিশিষ্ট চিকিৎসক। বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। শনিবার রাতে, কলকাতার ইএম বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতেলে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। 

    ১৯৭১ সাল থেকে ভারত-বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে অন্তত ৭ কোটিরও বেশি মানুষের প্রাণ রক্ষা করেছে তাঁর তৈরি ওআরএস। বেশিরভাগই শিশু। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধের সময় শরণার্থী শিবিরে ভয়াবহ কলেরা মহামারি দেখা দেয়। সেই সময় এই রোগের একমাত্র চিকিৎসা ছিল স্যালাইন দেওয়া। কিন্তু স্যালাইনের ভয়ঙ্কর ঘাটতি দেখা যায়। উপায় না দেখে, জনস হপকিন্স ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর মেডিকেল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিংয়ের সহায়তায়, ওরাল রিহাইড্রেশন সলিউশন বা ওআরএস তৈরি করেছিলেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ তথা ক্লিনিক্যাল বিজ্ঞানী ডা. দিলীপ মহলানাবিশ।

    আরও পড়ুন : বলিউডের পর আবার টলিউডেও ‘মি টু’ ঝড়, অভিযুক্ত উঠতি পরিচালক  

    পরে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে ডা. দিলীপ মহলানবিশ বলেছিলেন, “বনগাঁ হাসপাতালের দুটি ঘরের মেঝেতে গুরুতর অসুস্থ কলেরা রোগীরা পড়েছিলেন। এদের ইন্ট্রাভেনাস স্যালাইন দিয়ে চিকিত্সা করার জন্য আক্ষরিক অর্থে তাদের মল, মূত্র এবং বমির মধ্যে হাঁটু গেড়ে বসে থাকতে হয়েছিল। সেখানে পৌঁছানোর ৪৮ ঘন্টার মধ্যে, আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে, আমরা যুদ্ধে হেরে যাচ্ছি। কারণ সেখানে পর্যাপ্ত স্যালাইন ছিল না। আমার দলের মাত্র দুই সদস্যকে আইভি তরল দেওয়ার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল।” 

    ওআরএস ব্যবহারের ফলে দু সপ্তাহের মধ্যে সেই শিবিরগুলিতে মৃত্যুর হার ৩০ শতাংশ থেকে ৩.৬ শতাংশে নেমে আসে। কীভাবে লবণ এবং গ্লুকোজ মিশিয়ে ওআরএস তৈরি করা হয়, তার বর্ণনা একটি গোপন বাংলাদেশী রেডিও স্টেশনে সম্প্রচার করা হয়েছিল। 

    চিকিৎসা শাস্ত্রে তাঁর অবদানের জন্য, ১৯৯৪ সালে, রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সের সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন ডা. মহলানবিশ। ২০০২ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে পোলিন পুরস্কার, ২০০৬ সালে থাইল্যান্ড সরকারের কাছ থেকে প্রিন্স মাহিদোল পুরস্কার পেয়েছিলেন। ২০১৭ সালে, তাঁর উপার্জিত অর্থের একটা বড় অংশ তুলে দেন পার্ক সার্কাসের ইন্সস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথের হাতে। সেখানেই গবেষক-চিকিৎসক হিসাবে তাঁর কর্মজীবন শুরু হয়েছিল তাঁর। গবেষণার বেশিরভাগটাই তিনি করেছিলেন বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের একটি ঘরে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Anubrata Mondal:  চাঁদা দিয়ে কেষ্ট-র কালী আরাধনা বজায় রাখবে বীরভূম জেলা তৃণমূল! জানেন কীভাবে?

    Anubrata Mondal: চাঁদা দিয়ে কেষ্ট-র কালী আরাধনা বজায় রাখবে বীরভূম জেলা তৃণমূল! জানেন কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাড়ম্বরে পার্টি অফিসে কালীপুজো করতেন বীরভূম জেলা তৃণমূল  সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এবছর কালীপুজো ২৪ অক্টোবর। গরু-পাচার মামলায় অনুব্রতকে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে হাজির করানোর কথা ২৯ তারিখ। অতএব দুর্গাপুজোর মতো কালীপুজোও হয়ত জেলেই কাটবে কেষ্টর। তবে অনুব্রত জেলে থাকলেও পুজো হবে, জানিয়েছেন বীরভূম জেলার তৃণমূলের সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়। তবে যে পুজোয় লাখ লাখ টাকা উড়ত, কোটি কোটি টাকার গয়না দেবীকে চড়ানো হতো, সেই পুজো কিনা হবে চাঁদা তুলে!

    আরও পড়ুন: নানারকমের সোনার অলঙ্কারই অনুব্রতের কালী প্রতিমার বৈশিষ্ট্য! জানেন কী কী রয়েছে সেই তালিকায়?

    পুজোর খরচ জোগাড় হবে কী ভাবে তাও জানিয়ে মলয় বলেন, ‘জেলায় মোট ১৫০ জন সদস্য আছেন। তাঁরা প্রত্যেকে এক হাজার টাকা করে চাঁদা দেবেন। ফলে মোট দেড় লক্ষ টাকা উঠবে। সেই টাকায় পুজো ও মায়ের ভোগ হবে।’ পুজো জাঁকজমক করে হবে বলেই জানান তিনি। ১৯৮৮ সাল থেকে শুরু হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলের কালীপুজো। এবার সেই পুজো পা দিল ৩৫তম বছরে। পুজোয় দেবীর কাছে কেষ্ট-দার জন্য প্রার্থনা করবেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা। ‘মা তো সব কথাই শোনেন’…। তবে, অনেকের প্রশ্ন বেআইনিভাবে যে কোটি কোটি টাকা নিজের পকেটে  পুড়েছেন অনুব্রত,ভয় দেখিয়ে বা জোড় করে যে দুর্নীতির টাকা আত্মসাৎ করেছেন, তার কী হবে? ‘মা কী তা দেখেননি?’ 

    আরও পড়ুন: ৮ বছরে আয় বেড়েছে প্রায় ১৭৫ গুণ! অনুব্রত কন্যা সুকন্যার আয়কর রিটার্ন চমকে দেবে আপনাকেও

    কালীপুজোর দিন অবাধে পার্টি অফিসে প্রতিমা দর্শনে আসেন সাধারণ মানুষ। রাতে খাওয়ানো হয়। কয়েক হাজার কর্মী সমর্থক এবং সাধারণ মানুষ প্রসাদ গ্রহণ করেন। এলাকায় এই পুজো কেষ্ট-র কালী নামেই পরিচিত। এই পুজোর জৌলুস এবং প্রতিমার গয়না নিয়েও কথা উঠেছিল। বীরভূমে তারাপীঠ, কঙ্কালীতলা-সহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠিত মন্দির রয়েছে। জেলায় সতীপীঠও রয়েছে। তবু কেষ্ট-র কালী প্রতিমাতেই কেন গয়নার সম্ভার চোখে পড়ে তা-নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল বিরোধী শিবির। চাঁদা তুলে তৃণমূলের এই পুজো করা নিয়েও কটাক্ষ করেছেন বিরোধীরা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Sukanya Mondal: এবার কেষ্টকন্যা সুকন্যাকে দিল্লিতে তলব ইডির

    Sukanya Mondal: এবার কেষ্টকন্যা সুকন্যাকে দিল্লিতে তলব ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) মেয়ে সুকন্যাকেও (Sukanya Mondal) দিল্লিতে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এর আগে অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গলকেও দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরা করার চেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। আগামী ২৭ অক্টোবর ইডির সদর দফতরে তলব করা হয়েছে তাঁকে। অনুব্রতর বাড়ি থেকে পাওয়া নথি এবং সায়গলকে জেরা করে অনেক তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা। 

    আরও পড়ুন : দুরন্ত এক্সপ্রেসে ডাকাতি! বিহারে বন্দুকের মুখে সব হারালেন যাত্রীরা

    গোয়েন্দাদের দাবি, গরুপাচার মামলার টাকা থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছিলেন অনুব্রতকন্যাও। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সুকন্যা মণ্ডলের সঙ্গে বোলপুরের বাড়িতে দেখা করতে গেলেও তিনি তদন্তকারী অফিসারদের সহযোগিতা করেননি বলে অভিযোগ ৷ গরুপাচার কাণ্ডে অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষীকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে ইডি। এর মাঝেই সুকন্যাকেও দিল্লিতে তলব করায় জল্পনা বাড়ছে। জানা গিয়েছে, এখন রাজ্যে নেই কেষ্ট-কন্যা। ব্যক্তিগত কাজে অনুব্রতের মেয়ে রাজ্যের বাইরে গিয়েছেন। সূত্রের খবর, তাঁর এক ঘনিষ্ঠ বান্ধবীর চিকিৎসা করাতে চেন্নাই গিয়েছেন সুকন্যা।  

    আরও পড়ুন : নানারকমের সোনার অলঙ্কারই অনুব্রতের কালী প্রতিমার বৈশিষ্ট্য! জানেন কী কী রয়েছে সেই তালিকায়? 

    এই মামলাতেই সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়া অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে হেফাজতে নিয়েছে ইডি। গোয়েন্দারা চেয়েছিলেন, দিল্লি নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে। কিন্তু আদালত অনুমতি দেয়নি। নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে গিয়েছিল ইডি। কিন্তু উচ্চ আদালতও ইডির আর্জি খারিজ করে দিয়ে বলেছে, দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার কী প্রয়োজন? কলকাতায় কি ইডির অফিস নেই?  

    এবার প্রশ্ন সুকন্যা কি আদেও ইডির ডাকে সারা দিয়ে দিল্লি যাবেন? নাকি নিজের বাবার পথে হেঁটেই  গোয়েন্দাদের বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তলবে সাড়া দেবেন না। এখন সবার নজর সেই দিকেই। 

    প্রসঙ্গত, গরুপাচার মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। সুকন্যা মণ্ডলের সম্পত্তিও এখন সিবিআই স্ক্যানারে। সুকন্যার আয়ের সঙ্গে সম্পত্তির কোনও সঙ্গতি নেই বলেও দাবি করেছেন গোয়েন্দারা। তাই তাঁর সঙ্গে কথা বলা জরুরি বলে মনে করছে ইডি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
     
  • Dengue West Bengal: তথ্য গোপনের খেসারত দিচ্ছে রাজ্যবাসী, ছ’বছরে সর্বোচ্চ ডেঙ্গি আক্রান্ত পশ্চিমবঙ্গে

    Dengue West Bengal: তথ্য গোপনের খেসারত দিচ্ছে রাজ্যবাসী, ছ’বছরে সর্বোচ্চ ডেঙ্গি আক্রান্ত পশ্চিমবঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোগ চিহ্নিত করে দাওয়াই নয়, বরং তথ্য গোপন করে রোগ ধামাচাপা দিতেই বেশি সক্রিয় প্রশাসন। আর প্রশাসনের রোগ লুকোনোর অসুখের জেরে ভোগান্তির শিকার সাধারণ মানুষ। গত ছ’বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ডেঙ্গি (Dengue West Bengal) আক্রান্ত হয়েছে এবছর। স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি সপ্তাহে সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষ নতুন করে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। যা রেকর্ড সংখ্যা বলে মনে করছেন খোদ স্বাস্থ্য কর্তারাই।

    তবে, প্রশাসনের লুকোচুরির জন্য পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হয়েছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গির (Dengue West Bengal) মতো সংক্রামক রোগের ক্ষেত্রে তথ্য গোপন ভয়ঙ্কর। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে রাজ্য সরকার লাগাতার তথ্য গোপন করেছে। এমনকি ডেঙ্গি তথ্য জানানো নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য জটিলতাও হয়েছে। কেন্দ্রকে ঠিকমতো তথ্য না দেওয়ায় কেন্দ্রের ওয়েবসাইটে পশ্চিমবঙ্গের ডেঙ্গি তথ্য আপডেট করা যায়নি। ডেঙ্গি তথ্য জানার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। 

    আরও পড়ুন: হু হু করে বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা, জনগণকে দুষছে প্রশাসন

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তথ্য গোপন করতে গিয়ে পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে, যে রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্তারা নিজেরাও জানেন না কোন জেলার পরিস্থিতি কেমন। এক চিকিৎসক বলেন, “ডেঙ্গি হচ্ছে, এটা জানানোই একটা অপরাধ। প্রশাসনিক বৈঠকে ডেঙ্গি (Dengue West Bengal) প্রসঙ্গ তুললেই সর্বস্তরে অস্বস্তি। কিন্তু কথা না বললে বা তথ্য সামনে না আনলে তো সত্যি বদলে যাবে না। এই আন্ডার রিপোর্টিং প্রবণতা বিপদ আরও বাড়িয়ে দিল।” 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি (Dengue West Bengal) পরিস্থিতি সম্পর্কে বাস্তব তথ্য না থাকলে কাজের প্রয়োজনীয়তা ঠিকমতো বোঝা যায় না। আর এবছরেও তাই হয়েছে। গত বছরে যেমন তথ্য গোপন হয়েছে, এ বছর সেই প্রবণতা আরও বেড়েছে। কিন্তু এই গাফিলতির খেসারত দিচ্ছে সাধারণ মানুষ। এক চিকিৎসক জানান, অনেক জায়গায় ডেঙ্গি রিপোর্ট পজিটিভ হলে রিপোর্ট দেরিতে পাঠানো হচ্ছে। এতে রোগীর ক্ষতি হচ্ছে। চিকিৎসা শুরু করতে দেরি হয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনের এই লুকিয়ে রাখা মানসিকতা থেকে মুক্তি না ঘটলে, ডেঙ্গি থেকে রেহাই নেই।

    স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর চব্বিশ পরগনা, হাওড়া, কলকাতা, হুগলি ও মুর্শিদাবাদ এই পাঁচ জেলার ডেঙ্গি (Dengue West Bengal) আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনক। জেলায় যে ভাবে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা চলতি সপ্তাহে বেড়েছে, তা যথেষ্ট আশঙ্কাজনক। স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, উত্তর চব্বিশ পরগনায় এক সপ্তাহে ১২৩৬ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছে। মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, বীরভূম সর্বত্র ডেঙ্গি ভয়ঙ্কর চেহারা নিচ্ছে। কিন্তু যে তথ্য সামনে আসছে, পরিস্থিতি তার থেকেও ভয়ানক বলে মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। 

    আরও পড়ুন: ডেঙ্গি হানায় চিন্তা বাড়াচ্ছে জেলা, ৪১ তম সপ্তাহে উর্ধ্বমুখী আক্রান্তের পারদ

    গত কয়েক বছরে সপ্তাহে দু থেকে তিন হাজার মানুষ ডেঙ্গি (Dengue West Bengal) আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু এক সপ্তাহে সাড়ে পাঁচ হাজার আক্রান্তের নজির অতীতে ছ’বছরে নেই। ডেঙ্গি পজিটিভিটি রেট গত এক সপ্তাহে ১২ শতাংশ হয়েছে। এই তথ্য স্পষ্ট করছে, পুজোর মরশুমে রাজ্য সরকার কার্যত কোনও কাজ করেনি। ডেঙ্গি মোকাবিলায় একেবারেই হাত গুটিয়ে ছিল প্রশাসন।
     
    জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজ্য সরকারের সদিচ্ছা ও প্রশাসনের সমন্বয়ের অভাব এ বছরের ডেঙ্গি (Dengue West Bengal) পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার নিয়েছে।

  • Digital Banking: স্বাধীনতার অমৃতকালে ৭৫ জেলায় ৭৫ ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং ইউনিটের উদ্বোধন মোদির

    Digital Banking: স্বাধীনতার অমৃতকালে ৭৫ জেলায় ৭৫ ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং ইউনিটের উদ্বোধন মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৭৫টি ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং (Digital Banking) ইউনিট পেল দেশ। রবিবার ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এগুলির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। আম জনতার জীবন যাতে সরল হয়, সেই কারণেই ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং ইউনিটের উদ্বোধন, বলছেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, এটা একটি বিশেষ ধরণের ব্যাঙ্কিং সুবিধা। সব চেয়ে কম ডিজিটাল পরিকাঠামো থাকলেও মিলবে সব চেয়ে বেশি পরিষেবা। তিনি জানান, সরকার দুটো কাজ সমান্তরালভাবে করে চলেছে। প্রথমত, ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার উন্নতি ঘটানো হচ্ছে। ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থাকে (Banking System) শক্তপোক্ত করা হচ্ছে। ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় নিয়ে আসা হচ্ছে স্বচ্ছতাও। আর দ্বিতীয়, আমরা আর্থিক অন্তর্ভুক্তি করেছিলাম।

    প্রসঙ্গত, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের বাজেট পেশ করার সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ঘোষণা করেছিলেন, দেশের ৭৫টি জেলায় সম পরিমাণ ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং ইউনিট স্থাপন করা হবে। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে সরকারের তরফে এই ইউনিট স্থাপন করা হবে। সরকারের সেই ঘোষণাই বাস্তবায়িত হল এদিন। এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, আমরা ঠিক করেছিলাম ব্যাঙ্ক নিজেই উজিয়ে যাবে দরিদ্র মানুষের ঘরের দোরগোড়ায়। সেই কারণে আমরা প্রথমেই দরিদ্র মানুষের সঙ্গে ব্যাঙ্কের দূরত্ব ঘোঁচাতে চেয়েছি। আমরা দৈহিক দূরত্বের পাশাপাশি মানসিক দূরত্বও ঘোঁচাতে চেয়েছি। ব্যাঙ্ককে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিয়ে যাওয়ার সব চেয়ে বেশি চেষ্টাও করা হয়েছে। মোদি বলেন, বিশ্বব্যাঙ্ক বলে ডিজিটাইজেশনের মাধ্যমে ভারত সামজিক সুরক্ষা বজায় রাখার ক্ষেত্রে নেতা হয়ে উঠেছে। এমনকি প্রযুক্তির ক্ষেত্রে যিনি সব চেয়ে সফল হয়েছেন, প্রযুক্তির জগতের বিশেষজ্ঞরাও ভারতের এই ব্যবস্থাকে উৎসাহ দিচ্ছেন। এর সাফল্য দেখে তাঁরাও বিস্মিত।

    এদিন যে ৭৫টি ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং (Digital Banking) ইউনিটের উদ্বোধন হয়েছে, তার মধ্যে দুটি জম্মু-কাশ্মীরে। এর মধ্যে একটি শ্রীনগরের লালচকে, অন্যটি জম্মুর ছান্নিরামা এলাকায়। জানা গিয়েছে, ডিজিটাল ব্যাঙ্কিংয়ের এই ইউনিটগুলিতে মিলবে সেভিংস অ্যাকাউন্ট খোলা, ব্যালেন্স চেক করা, প্রিন্ট পাশবই, তহবিল স্থানান্তর, স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ, ঋণের আবেদন, ডেবিট কিংবা ক্রেডিট কার্ডের আবেদন, কর প্রদান সহ নানা পরিষেবা।

    আরও পড়ুন: সকলের বোধগম্য হোক, আঞ্চলিক ভাষায় আইন লেখার পক্ষে সওয়াল প্রধানমন্ত্রীর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Xi Jinping: পার্টি কংগ্রেসে হংকং, তাইওয়ান তাস খেললেন শি জিনপিং, কেন জানেন?

    Xi Jinping: পার্টি কংগ্রেসে হংকং, তাইওয়ান তাস খেললেন শি জিনপিং, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁকে একনায়ক বিশ্বাসঘাতক বলে দেগে দিয়েছেন চিনের (China) বাসিন্দারা। পরিস্থিতি যে বিশেষ সুবিধার নয়, তা বোধহয় আঁচ করতে পেরেছেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping)। তাই পার্টি কংগ্রেসের উদ্বোধনী ভাষণে চিনা প্রেসিডেন্ট বলেন, হংকংয়ের পরিস্থিতির ওপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। তাইওয়ানে বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ এবং তৃতীয় শক্তির হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না।

    প্রতি পাঁচ বছরে একবার বসে চিনা কমিউনিস্ট পার্টি (CCP) কংগ্রেস। এবারের পার্টি কংগ্রেসে উপস্থিত রয়েছেন প্রায় ২৩০০ দলীয় প্রতিনিধি। বেজিংয়ের গ্রেট হলে জড়ো হয়েছেন তাঁরা। এর মধ্যেই যখন ঢুকলেন শি জিনপিং (Xi Jinping), তখন কার্যত হাততালির বন্যা। রবিবার থেকে শুরু হয়েছে চিনের ২০তম পার্টি কংগ্রেস। পর পর দুটো টার্মে চিনের কমিউনিস্ট পার্টি ও প্রেসিডেন্ট পদে রয়েছেন শি জিনপিং। আগামী পাঁচ বছরের জন্যও ফের ওই পদে ফিরতে চলেছেন তিনি।

    এদিন বক্তৃতা দিতে উঠে হংক ও তাইওয়ান তাস খেলে দেন শি জিনপিং (Xi Jinping)। বলেন, হট্টগোলের রাজনীতি থেকে সুশাসনের পথে ফিরেছে হংকং। স্বশাসিত তাইওয়ানে বিচ্ছিন্নতাবাদ ও বিদেশি শক্তির হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে লড়াই চলছে। দেশজুড়ে চলা দুর্নীতির বিরুদ্ধেও এদিন সুর চড়িয়েছেন তিনি। বলেন, দেশজুড়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চলছে। যা মানুষ ও দেশের সেনাবাহিনীকে বিপন্মুক্ত করেছে। তাইওয়ানের দাবি যে চিন ছাড়ছে না, এদিন তা আরও একবার স্পষ্ট করে দিয়েছিন শি জিনপিং। তিনি বলেন, তাইওয়ান সমস্যার সমাধান করা চিনা জনগণের ওপর নির্ভর করে। চিন কখনওই শক্তি প্রয়োগের দাবি পরিত্যাগ করবে না।

    আরও পড়ুন: মুখ থুবড়ে পড়েছে চিনের ‘জিরো কোভিড নীতি’, ফের লকডাউনে জিনপিং- এর দেশ

    চিনা প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা আন্তরিকতার সঙ্গে একটি শান্তিপূর্ণ পুনর্মিলনের চেষ্টা চালিয়ে যাব। তবে প্রয়োজনে শক্তির ব্যবহার করব না, এমন প্রতিশ্রুতি দেব না। চিনা নাগরিকদের সুরক্ষার জন্যই যে কড়া কোভিড নীতি লাগু করা হয়েছে, তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন চিনের সর্বাধিনায়ক। সরকারের কোভিড নীতিতে আমজনতার হাঁসফাঁস দশা হলেও, শি জিনপিং (Xi Jinping) বলেন, নাগরিকদের সুরক্ষা দিতে এবং তাঁদের সুস্বাস্থ্য যাতে বজায় থাকে তাই এই নীতি নেওয়া হয়েছে। এতে ফলও মিলেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। মহামারি আপাতত নিয়ন্ত্রণেও বলে জানান তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Iran: ভয়াবহ কাণ্ড ইরানে! হিজাব বিতর্কের মধ্যেই এভিন কারাগারে গোলাগুলি ও বিস্ফোরণ

    Iran: ভয়াবহ কাণ্ড ইরানে! হিজাব বিতর্কের মধ্যেই এভিন কারাগারে গোলাগুলি ও বিস্ফোরণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিজাব বিরোধী আন্দোলনে একেতেই উত্তাল হয়ে রয়েছে ইরান। তারইমধ্যে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড তেহরানের এভিন জেলে, সঙ্গে চলল গুলিও। হিজাব না পরায় নীতি পুলিশের হেফাজতে বাইশ বছরের যুবতী মাহশা আমিনীর মৃত্যুর পর প্রতিবাদে (Protest Against Death Of Masha Amini) অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে গোটা ইরান। এরই মাঝে ইরানের এই ঘটনা নিয়ে ফের উত্তাল হয়ে পড়েছে গোটা বিশ্ব। শনিবার রাতে নতুন করে উত্তেজনা ছড়াল ইরানে। তেহরানের এভিন কারাগারে শনিবার রাতে অগ্নিকাণ্ড ও সংঘর্ষের খবর পাওয়া গিয়েছে।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, শনিবার রাতে আচমকা তেহরানের কুখ্যাত এভিন জেল থেকে কালো ধোঁয়ার পাশাপাশি  আগুনের লেলিহান শিখা বের হতে দেখা যায়। ইরান (Iran) হিউম্যান রাইটস-এর ট্যুইটারে শেয়ার করা ভিডিও-তে গুলির শব্দও শোনা যায়। আর শোনা যায়, সরকার বিরোধী স্লোগান। হিজাব বিরোধী আন্দোলনের স্লোগানও শোনা যায় জেলের অন্দর থেকে। এভিন জেলের অন্দরের এই অবস্থা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    আরও পড়ুন: হিজাব বিতর্কের জের,সাইবার হামলা ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেলে

    উল্লেখ্য, তেহরানের এভিন জেলে সাধারণত রাজনৈতিক বন্দিদের রাখা হয়। হিজাব বিরোধী বহু বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে অনেককেই ওই কারাগারে রাখা হয়েছে বলে খবর। এই আবহে কারাগারের মধ্যে গোলাগুলির শব্দ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ইরানের পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়েছে। আর এই ঘটনার জেরে আতঙ্কে আতঙ্কের পরিবারও। কুখ্যাত এই জেলে ফরাসি-ইরানি শিক্ষাবিদ ফারিবা আদেলখাহ, মার্কিন নাগরিক সাইমাক নামাজি-সহ বন্দি রয়েছেন একাধিক বিদেশিও। সাইমাকের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন জানিয়েছেন তাঁকে কিছুদিনের জন্য ছাড়া হলেও ফের জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এদিনও হিজাব বিরোধী প্রতিবাদ আন্দোলনে পথে নামেন ইরানের মহিলারা।

    স্থানীয় সংবাদসংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২২ বছরের মাহশা আমিনীর মৃত্যু ঘিরেই এভিন কারাগারে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। সেখান থেকেই নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বন্দিদের সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে কমপক্ষে ৮ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। কারাগারের ভিতর থেকে ইরানের সুপ্রিম নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামিনির বিরুদ্ধে স্লোগান দিতেও শোনা গিয়েছে বলে দাবি। তবে এখনও ইরান (Iran)  প্রশাসনের তরফেও কোনও মন্তব্য করা হয়নি এই বিষয়ে।

    প্রসঙ্গত, গত মাসে মাহশা আমিনীকে হিজাব ঠিকমতো না পরায় আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। এর পরই হেফাজতে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয় তাঁর। পুলিশি অত্যাচারেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এরপরেই প্রতিবাদে সামিল হয় ইরানের মহিলারা। নিজেদের চুল কেটে, হিজাব পুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা। বিক্ষোভ পরিস্থিতিতে কমপক্ষে ১০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। এর মধ্যেই জেলে এই ধরণের ঘটনায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়াল ইরানে (Iran)।

  • Swasthya Bhawan: স্বাস্থ্য ভবনের পরিকল্পনার অভাবে জেলার হাসপাতালে নেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, হয়রানি সাধারণ মানুষের

    Swasthya Bhawan: স্বাস্থ্য ভবনের পরিকল্পনার অভাবে জেলার হাসপাতালে নেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, হয়রানি সাধারণ মানুষের

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল: বাড়িতেই পড়ে গিয়ে হাত ভেঙে গিয়েছে বছর পঞ্চান্নের জয়ন্তী ভট্টাচার্যের। রানাঘাটের বাসিন্দা জয়ন্তী দেবীর হাতের অস্ত্রোপচার জরুরি। কিন্তু কৃষ্ণনগর থেকে কল্যাণী একাধিক সরকারি হাসপাতালে গিয়েও পরিষেবা পাওয়া যায়নি। হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছে, অস্ত্রোপচার করার জন্য বিশেষজ্ঞ অস্থি-শল্য চিকিৎসক নেই। তাই তাকে কলকাতার হাসপাতালে রেফার করা হয়। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, হাজার দশেক টাকা গাড়ি ভাড়া খরচ করে কলকাতায় জয়ন্তী দেবীকে আনা হয়। তারপরে একাধিক সরকারি হাসপাতালের লাইনে অপেক্ষা করে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের দিন পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু কল্যাণীতেই রয়েছে রাজ্য সরকারের জেএনএম মেডিক্যাল কলেজ। কিন্তু তারপরও সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাব (Inavailability of Doctors) হাসপাতালের পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।

    আরও পড়ুন: মানিকের RK-DD ধাঁধা ঘাম ঝরাচ্ছে গোয়েন্দাদের, রহস্যভেদে ময়দানে ‘ফেলুদা’ শুভেন্দু

    পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা অসীম রায়ের মেরুদণ্ডের সমস্যা। স্নায়ুর অস্ত্রোপচার করতে হবে। চিকিৎসক জানান, অস্থি ও স্নায়ু শল্য চিকিৎসকের সমন্বয়ে অস্ত্রোপচার সম্ভব। কিন্তু জেলার সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে এই সমন্বয় সম্ভব নয়। কারণ, অস্থি ও স্নায়ু শল্য চিকিৎসক নেই। এমনকি পাশের জেলার মেডিক্যাল কলেজেও সেই পরিকাঠামো নেই। তাই তাকে পাঠানো হয় কলকাতায়। কয়েক মাস অপেক্ষা করে অবশেষে বাঙ্গুর ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেসে অস্ত্রোপচারের সুযোগ পেয়েছেন অসীম রায়।

    রাজ্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা (Health Department) উন্নত করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলায় জেলায় মেডিক্যাল কলেজ তৈরি করছেন। একাধিক সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল ও তৈরি হয়েছে। কিন্তু তারপরেও জেলার মানুষদের হয়রানির শেষ নেই। পশ্চিম মেদিনীপুরের অসীম রায় কিংবা রানা ঘাটের জয়ন্তী ভট্টাচার্যের হয়রানি কোনও ব্যতিক্রম নয়। কলকাতার মেডিক্যাল কলেজগুলোতে রোগী অপেক্ষার যে দীর্ঘ লাইন, তাতে জেলার মানুষের সংখ্যাই বেশি। দূর থেকে কলকাতায় রোগীকে নিয়ে এসে দিনের পর দিন চিকিৎসার জন্য অপেক্ষা করতে হয়। অনেক সময় চিকিৎসার নূন্যতম সুযোগ ও পান না অনেকেই।

    স্বাস্থ্য দফতরের একাংশের অবশ্য দাবি, রোগী হয়রানির জন্য অনেকাংশেই দায়ী স্বাস্থ্য ভবনের পরিকল্পনার অভাব। হেলথ সার্ভিসের চাকরিরত একাধিক চিকিৎসক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক (এমডি, এমএস) পড়া শুরু করেন। ২০১৮ সাল থেকে যে সব চিকিৎসক এই স্নাতকোত্তর পড়াশোনা শুরু করেছিলেন ২০২১ সালে, তাদের কোর্স শেষ হয়ে যায়। কিন্তু স্বাস্থ্য দফতর তাদের প্রয়োজন মতো নিয়োগ করতে পারেননি। স্বাস্থ্য ভবনের এক কর্তা বলেন, “রাজ্যের প্রায় সাড়ে ছ’শো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে ঠিকমতো নিয়োগ করা হয়নি। জেলার যেসব হাসপাতালে এমডি, এমএস চিকিৎসক জরুরি, সেখানে নিয়োগ করা হচ্ছে না। ওই চিকিৎসকদের অধিকাংশ কলকাতার যেসব মেডিক্যাল কলেজে স্নাতকোত্তর পড়তে এসেছিলেন, সেখানেই কাজ করছেন। অথচ তাদের বেতন দেওয়া হচ্ছে অন্য হাসপাতাল কর্মরত এটা দেখিয়ে। কোথাও অতিরিক্ত চিকিৎসক, আবার কোথাও চিকিৎসক নেই। প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা না থাকলে ভালো পরিষেবা সম্ভব নয়।”

    জেলার একাধিক সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্নায়ু, স্নায়ু-শল্য, পেডিয়াট্রিক-সার্জারি, কার্ডিওভাসকুলার সার্জারির মতো বিভাগগুলো বন্ধ হয়ে থাকে। কারণ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাব। এদিকে কলকাতার হাসপাতালগুলোতে স্নাতকোত্তর পাশ করে সিনিয়র রেসিডেন্স হয়ে কাজ করছেন একাধিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। দফতরের ঠিকমতো সমন্বয়ের অভাবের জেরেই রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা তলানিতে গিয়ে ঠেকছে। আর ভুক্তভোগী হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

    জেলা থেকে কলকাতায় আনার পথে রোগী মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে। কিন্তু তারপরেও হুশ ফেরেনা স্বাস্থ্য দফতরের। যদিও স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি দফতরের থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আগামি ১৮ অক্টোবরের মধ্যে যথাযথভাবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নিয়োগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যে হাসপাতালে কর্মরত দেখিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের বেতন হচ্ছে, সেখানেই তাদের নিয়োগ পত্র দিতে হবে। দ্রুত এই কাজ শেষ করতেই সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে বলে জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য কর্তারা। কিন্তু তারপরেও বিজ্ঞপ্তি কতখানি কার্যকর হবে সে নিয়ে অবশ্য সংশয়ে স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Dengue Update: স্বাস্থ্য দফতরের পুজো পরিকল্পনা মুখ থুবড়ে পড়ল, শারদোৎসবে ডেঙ্গি আক্রান্তরা হয়রানির শিকার

    Dengue Update: স্বাস্থ্য দফতরের পুজো পরিকল্পনা মুখ থুবড়ে পড়ল, শারদোৎসবে ডেঙ্গি আক্রান্তরা হয়রানির শিকার

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল: তৃতীয়া থেকেই জ্বরে আক্রান্ত গিরিশ পার্কের বাসিন্দা কৌশিক রায়। সপ্তমীর সকালে রক্ত পরীক্ষা করে জানা যায়, বছর তিরিশের কৌশিক ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্ত। জ্বরের সঙ্গে শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ থাকায় চিকিৎসক পরামর্শ দেন, হাসপাতালে ভর্তি জরুরি। কিন্তু কোনও সরকারি হাসপাতালেই তিনি ভর্তি হতে পারেননি। পরিবারের অভিযোগ, উৎসবের সময় অ্যাম্বুল্যান্স জোগাড় করতেই হিমশিম খেতে হয়েছে। তারপরে একের পর এক হাসপাতাল ঘুরলেও বলা হয়েছে, বেড নেই। স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া হেল্পলাইনে ফোন (Helpline phone no) করেও কোনও সুবিধা হয়নি। শেষ পর্যন্ত শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন কৌশিক বাবু। কয়েক লাখ টাকা খরচ করে ডেঙ্গি চিকিৎসা করিয়ে তিনি মঙ্গলবার রাতে বাড়ি ফিরেছেন।

    বাঘাযতীনের বছর চল্লিশের তৃপ্তি সাহা ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছিলেন এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতালে। পরিবারের তরফে জানানো হয়, প্লেটলেট জরুরি। এদিকে সরকারি ব্লাড ব্যাংকে গেলেই জানানো হচ্ছে, প্লেটলেট নেই। পরিবারের অভিযোগ, কলকাতার একাধিক সরকারি হাসপাতালে রক্তের জন্য ঘুরেছেন। কিন্তু সর্বত্রই জানানো হয়েছে, পুজোর ছুটিতে কর্মী নেই। রক্তদান কর্মসূচিও নেই। জোগান নেই। অথচ চাহিদা মারাত্মক। তাই রক্তের অভাব। রোগীর চিকিৎসার জন্য প্রতি ইউনিট সাড়ে চার হাজার টাকায় রক্ত কিনতে হয়েছে। গিরিশ পার্ক বা বাঘা যতীনের ঘটনা কোনও ব্যতিক্রম নয়। কলকাতা শহরের পাশপাশি জেলার পরিস্থিতিও উদ্বেগজনক। দূর্গাপুজোর আলোয় উৎকন্ঠাকেই সঙ্গী করে কাটাতে হয়েছে ডেঙ্গি আক্রান্ত ও তার পরিজনদের। পুজোতে ডেঙ্গি সামলাতে কার্যত ব্যর্থ রাজ্য সরকার।

    সেপ্টেম্বর মাস থেকেই রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতি ছিল উদ্বেগজনক। অক্টোবরে পুজোর মরশুমে ডেঙ্গি আরও ভয়ানক চেহারা নেয়। আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়ে যায়। কিন্তু পুজোর সময় রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতি আরও আশঙ্কাজনক হয়। মুখ থুবড়ে পড়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের সমস্ত পরিকল্পনা। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি দিন গড়ে পাঁচ থেকে ছ’শো মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। কিন্তু এত মানুষকে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে সরকারি হাসপাতাল ও ব্লাড ব্যাঙ্ক। ফলে ভোগান্তি বাড়ছে সাধারণ মানুষের।

    আরও পড়ুন: বাংলায় শাসকের আইন চলে! মমতা-সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন উপরাষ্ট্রপতি ধনখড়

    পুজোর আগে স্বাস্থ্য ভবনের এক অধিকর্তা জানিয়েছিলেন, পুজোর সময় স্বাস্থ্য ভবনে আলাদা ডেঙ্গি কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে। চব্বিশ ঘণ্টা কাজ হবে। সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গি আক্রান্তের ভর্তি, রক্তের প্রয়োজন, কোথাও ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু হলে সেই এলাকার দিকে বিশেষ নজরদারির মতো বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করবে এই বিশেষ কন্ট্রোল রুম। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অভিযোগ, স্বাস্থ্য ভবনের সঙ্গে যোগাযোগ করে কোনও সুবিধা পাওয়া যায়নি। এমনকি কোনও ব্লাড ব্যাঙ্কে গেলে রক্ত পাওয়া যাবে, সেই তথ্যও পাওয়া যায়নি। পজিটিভ গ্রুপের রক্ত পেতেও হয়রানি সহ্য করতে হয়েছে রোগীর পরিজনদের।

    পুজোর আগে স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা ফি-বছরের হয়রানি মেনে নিয়ে বলেছিলেন, পুজোর সময় সরকারি হাসপাতালগুলো পরিষেবা নিয়ে সমস্যা হয়। চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মী, নার্স ছুটি নেন। সরকারি হাসপাতাল পরিষেবা থমকে যায়। কিন্তু যে হারে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে সরকারি হাসপাতালের পরিষেবা স্বাভাবিক না থাকলে, পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হবে। তাই সরকারি হাসপাতালগুলোতেও উৎসব স্পেশাল ডিউটি রোস্টার তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ব্লাড ব্যাংকে যাতে রক্তের জোগান ঠিক থাকে, সেদিকেও বাড়তি নজর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ডেঙ্গি চিকিৎসায় প্লেটলেট খুব জরুরি। রক্তের জোগান ঠিক মতো না হলে, রোগী মৃত্যুর ঘটনাও ঘটতে পারে। তাই ব্লাড ব্যাঙ্কের দিকে বিশেষ নজর। কিন্তু অন্য বছরের মতো এ বছরেও পুজোর দিনগুলোতে সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হলেন।

    প্রশাসনিক বৈঠকে জানানো হয়েছিলো, স্বাস্থ্য দফতরের পাশপাশি পুর দফতর ডেঙ্গি মোকাবিলায় বিশেষ ভূমিকা নেবে। ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে রাজ্যের সমস্ত পুর এলাকায় ডেঙ্গি মোকাবিলায় বিশেষ নজরদারি দেওয়া শুরু হবে। স্বাস্থ্য কর্তাদের মতোই পুর কর্তারাও উৎসবের মরশুমে এলাকা পরিদর্শন করবেন। কোথাও ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লে, সেই এলাকায় বিশেষ নজরদারি দেওয়া হবে। কিন্তু বাস্তবের ছবি সম্পূর্ণ আলাদা। যে সব পরিকল্পনার কথা জানানো হয়েছিলো, তার অধিকাংশ সরকারি নথিতেই আটকে থেকেছে। বাস্তবে উৎসবের দিনগুলোতে সাধারণ মানুষকে ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে।

  • Kolkata Dengue: আশঙ্কা বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি, আক্রান্তের সংখ্যা ২৫ হাজার ছাড়াল

    Kolkata Dengue: আশঙ্কা বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি, আক্রান্তের সংখ্যা ২৫ হাজার ছাড়াল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2022) আগে থেকেই ভয় ধরাচ্ছে ডেঙ্গি (Dengue Situation)! পুজোর পর আরও উদবেগজনক চেহারা নিয়েছে পরিস্থিতি। চলতি মরশুমে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ৩০ জনের বেশি ডেঙ্গি (Kolkata Dengue) আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। ২৫ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা! মঙ্গলবার কলকাতা পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত বেলগাছিয়ার সরকারি আবাসনের বাসিন্দা এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে আরজি কর হাসপাতালে।  

    সোমবার সন্ধেয় ৪০ বছর বয়সী ওই মহিলাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভোর রাতে মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুর কারণ হিসেবে ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গির উল্লেখ রয়েছে। 

    এদিকে উত্তরবঙ্গেও চিন্তা বাড়াচ্ছে এই রোগ। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত শিলিগুড়ির পুর কমিশনার সোনম ওয়াংদি ভুটিয়া। শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে আপাতত চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। 

    আরও পড়ুন: বাংলায় শাসকের আইন চলে! মমতা-সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন উপরাষ্ট্রপতি ধনখড়

    ডেঙ্গি নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের উদাসীনতার অভিযোগে মশারি নিয়ে মিছিল করল বিজেপি যুব মোর্চা। সিএমওএইচ দফতরে বিক্ষোভ দেখায় তারা। আজ উত্তরকন্যায় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক শেষে স্বাস্থ্য দফতরের  ওএসডি ডাঃ সুশান্ত রায় বলেন, “ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে শিলিগুড়ি পুরসভার কিছু গাফিলতি রয়েছে, তা দ্রুত কাটিয়ে তুলতে হবে। সেইসঙ্গে সার্ভের জন্যে ভেক্টর কন্ট্রোল টিমে অতিরিক্ত ৫০০ জন নিয়োগ করতে হবে।” 

    ডেঙ্গির সঙ্গে লাফিয়ে বাড়ছে ম্যালেরিয়াও। গত ৪-৫ দিনে কলকাতা পুরসভার শুধু ৩ নম্বর বরোতেই ১০-১২ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ থেকে ৩৫! এই পরিস্থিতিতে বুধবার এলাকায় ডেঙ্গি দমন অভিযানে নামে কলকাতা পুরসভা। ইতিমধ্যেই তা ২৫ হাজার পার করেছে। গত সোমবার রাজ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিলেন ৬৬২ জন। এবার কি ডেঙ্গির সঙ্গে রয়েছে ম্যালেরিয়া। কলকাতার বেশ কিছু ওয়ার্ডে ম্যালেরিয়া দেখা গিয়েছে। পুজোর পর শুধুমাত্র ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে রোজ গড়ে ৩ জন করে ডেঙ্গি ও ৩ জন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন।      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share