Blog

  • Sonali Chakraborty: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নন সোনালি চক্রবর্তী! তাঁর অপসারণেই মান্যতা দিল সুপ্রিম কোর্ট

    Sonali Chakraborty: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নন সোনালি চক্রবর্তী! তাঁর অপসারণেই মান্যতা দিল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (Calcutta University VC) পদে সোনালি চক্রবর্তীর (Sonali Chakraborty) পুনর্নিয়োগ খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।  কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য পদ থেকে তাঁর অপসারণেই মান্যতা দিল শীর্ষ আদালত। একই সঙ্গে রাজ্য সরকারকে ভর্ৎসনা করে আদালত জানায়, রাজ্যপালের এক্তিয়ারে হাত দিতে চেয়েছিল রাজ্য সরকার। যা সংবিধান মান্যতা দেয় না। তাই এটা কখনওই করতে দেওয়া যায় না।

    আরও পড়ুন: মঙ্গলবার ভোর রাতে গ্রেফতার মানিক ভট্টাচার্য! টেট দুর্নীতির তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ ইডির

    উল্লেখ্য, গত ১৩ সেপ্টেম্বর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে সোনালি চক্রবর্তীর পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত খারিজ করে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন সোনালি চক্রবর্তী ও রাজ্য সরকার। রাজ্যের তরফে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেছিলেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। ওই মামলার শুনানির পর গত ১৬ সেপ্টেম্বর রায় দান স্থগিত রাখেন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি হিমা কোহলি। চূড়ান্ত রায়ে তাঁরা বলেন, সরকার বিশ্ববিদ্যালয় আইনের ‘ডিফিকাল্টি ক্লজ’-এর অপব্যবহার করতে পারে না। সরকারের এহেন পদক্ষেপ মেনে নেওয়া মানে আইনবিরুদ্ধ কাজ করা। তাই শীর্ষ আদালত সোনালি চক্রবর্তীর অপসারণকেই মান্যতা দিচ্ছে।

    আরও পড়ুন: উপাচার্য নিয়োগেও বেনিয়ম? শিক্ষার সর্বস্তরের লজ্জা প্রকট আদালতে!

    ২০১৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন অস্থায়ী উপাচার্য সুরঞ্জন দাস যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবে যোগ দেন। ফলে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে শূন্যস্থান তৈরি হয়। সেই শূন্যপদেই রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপিকা সোনালি চক্রবর্তীকে স্থায়ী উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করে রাজ্য। এরপর ২০২১ সালে তাঁকে ফের উপাচার্য পদে পুনর্নিয়োগ করে সরকার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে সোনালি চক্রবর্তীর নিয়োগে আচার্য তথা রাজ্যপালের কোনও সই ছিল না। সেই থেকেই সমস্যার সূত্রপাত। তৎকালীন রাজ্যপাল ও আচার্য জগদীপ ধনকড় কোনওরকম বাছাই ছাড়াই সোনালি চক্রবর্তীর পুনর্নিয়োগকে স্বজনপোষণের অনন্য নজির বলে উল্লেখ করেন। রাজভবনের সিলমোহর ছাড়াই বেআইনি ভাবে ২৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের অভিযোগ তুলে সরব হন ধনকড়।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Swaminarayan Mandir: মৌলবাদী শক্তিগুলি স্বাধীনতার অপব্যবহার করছে, কানাডার খালিস্থান সমর্থকদের প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর

    Swaminarayan Mandir: মৌলবাদী শক্তিগুলি স্বাধীনতার অপব্যবহার করছে, কানাডার খালিস্থান সমর্থকদের প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডা প্রশাসনের সামনে খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী সম্পর্কিত সমস্যাগুলি উত্থাপন করেছে ভারত। সোমবার অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় এমনটাই জানালেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। সংবাদ সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়ার বিদেশমন্ত্রী পেনি ওংয়ের পাশে বসে একথা বলেছেন জয়শঙ্কর। সম্প্রতি কানাডায় ভারত বিরোধী কার্যকলাপ (Swaminarayan Mandir) বেড়েছে। সেই বিষয়ে কথা বলতে গিয়েই এই কথা বলেন বিদেশমন্ত্রী।   

    এই মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়া সফরে আছেন এস জয়শঙ্কর। এটি তাঁর চলতি বছরের অস্ট্রেলিয়ায় দ্বিতীয় সফর। এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসেও গিয়েছিলেন মেলবোর্ন-এ চর্তুদেশীয় অক্ষ বা কোয়াড-এর বৈঠকে যোগ দিতে।

    কিছুদিন আগেই কানাডার টরোন্টোর স্বামীনারায়ণ মন্দিরে (Swaminarayan Mandir) ভাঙচুর চালায় দুষ্কৃতিরা। খালিস্তানের দাবিতে একদল দুষ্কৃতি গ্রাফিটি দিয়ে মন্দিরটিকে বিকৃত করে। মন্দিরে গায়ে নানান জায়গায় ভারত বিরোধী স্লোগান দেখা গিয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এর আগে অন্টারিওর ব্রাম্পটনে খালিস্তানকে কেন্দ্রে করে একটি গণভোটের আয়োজন করা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই কানাডায় অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনের পক্ষ থেকে কানাডা সরকারের কাছে তদন্তের আবেদন করা হয়েছে। ওই ঘটনার একটি ভিডিও সোশ্যাল সাইটে ছড়িয়ে পড়তেই এর নিন্দায় সরব হয় ভারতীয় হাইকমিশন। ভারত সরকারও এই ঘটনাযর তীব্র নিন্দা করেছে ।   

    জয়শঙ্কর ক্যানবেরায় বলেন, “সব সময় আমরা কানাডিয়ান সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। আমরা গণতান্ত্রিক সমাজে স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছি। যা আসলে সহিংসতা, সহিষ্ণুতার জন্ম দেয়। মৌলবাদী শক্তি যেন এর অপব্যবহার না করে।” তিনি আরও বলেন, “প্রতিটা দেশের এটা বোঝা উচিৎ, নিজের ঘরে গণতন্ত্র বজায় রাখলেই শুধু চলবে না। এক গণতন্ত্রের অন্য গণতন্ত্রের প্রতিও দায়িত্ব থাকে।”

    আরও পড়ুন: ‘সজাগ থাকুন’, কানাডাবাসী ভারতীয়দের সতর্ক করল বিদেশমন্ত্রক

    এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এর আগে ভারতীয় হাইকমিশন বিবৃতি করে জনিয়েছে “আমরা টরন্টোতে অবস্থিত স্বামী নারায়ণ মন্দিরের ক্ষতি এবং মন্দিরের দেওয়ালে ভারতবিরোধী স্লোগান লেখার ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। কানাডা প্রশাসনের কাছে এই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত, কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানাচ্ছি।” 

    কানাডায় বসবাসকারী ভারতীয়দের সজাগ করে বিদেশমন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “এখনও পর্যন্ত এই সব অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোনও আইনি ব্যবস্থা নেয়নি কানাডা। এই ধরণের ঘটনা ক্রমে বাড়ছে। তাই কানাডায় বসবাসকারী ভারতীয় নাগরিক ও শিক্ষার্থী এবং যাঁরা ভ্রমণের জন্যে কানাডা যাচ্ছেন তাঁরা সজাগ থাকুন এবং সতর্কতা অবলম্বন করুন।” 

    বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, “একটি মিত্র দেশে যেভাবে চরমপন্থীদের এমন একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কার্যকলাপ করতে দেওয়া হয়েছে, তা অত্যন্ত আপত্তিজনক।” বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী জানান, ভারত কানাডা কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে। এই বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে কানাডাকে সমানে চাপ দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Bilawal Bhutto Zardari: কাশ্মীরে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ মেনে নেব না, জার্মানিকে স্পষ্টবার্তা ভারতের

    Bilawal Bhutto Zardari: কাশ্মীরে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ মেনে নেব না, জার্মানিকে স্পষ্টবার্তা ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীর (Jammu Kashmir) সমস্যার সমাধানের জন্য রাষ্ট্রসংঘের হস্তক্ষেপ দাবি করেছিল পাক সরকার। তাকে সমর্থন করে জার্মানিও (Germany)। যদিও সীমান্তপার সন্ত্রাস নিয়ে উচ্চবাচ্য করেনি দুই দেশই। এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাল ভারত। কাশ্মীর নিয়ে তৃতীয় পক্ষের অনধিকার চর্চা যে ভারত মেনে নেবে না, এদিন তা আরও একবার স্পষ্ট করে দিয়েছে নয়াদিল্লি।

    সম্প্রতি যৌথভাবে সাংবাদিক বৈঠক করেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি (Bilawal Bhutto Zardari) এবং জার্মানির বিদেশমন্ত্রী অ্যানালেনা ব্যায়েরবক। এই সাংবাদিক বৈঠকটি হয়েছি বার্লিনে। সেখানে জম্মু-কাশ্মীর সমস্যার সমাধানের জন্য রাষ্ট্রসংঘের হস্তক্ষেপ দাবি করেছিল পাক সরকার। তাকে সমর্থন করে জার্মানি। অ্যানালেনা এও বলেন, কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে জার্মানির ভূমিকা ও দায়িত্ব রয়েছে। এর প্রেক্ষিতেই কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত।

    আরও পড়ুন : ফের জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি হামলা, শহিদ তিন জওয়ান, নিকেশ দুই জঙ্গি

    ভারতের হয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, তামাম বিশ্বের যেসব দেশ সিরিয়াস ও বিবেক সম্পন্ন তাদের আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ নিয়ে সোচ্চার হেওয়া প্রয়োজন। বিশেষত সীমান্তপার সন্ত্রাস (Cross-border Terrorism ) নিয়ে। ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীরে দশকের পর দশক ধরে চলে আসছে এমন সন্ত্রাস। এখনও চলছে। সন্ত্রাসবাদের শিকার হয়েছেন বহু বিদেশি নাগরিকও। কেবল জম্মু-কাশ্মীরেই নয়, দেশের অন্যত্রও হানা দিচ্ছে সন্ত্রাসবাদীরা। মুম্বইয়ে ২৬/১১ হামলার নেপথ্যে যে পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদীরা তা জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ও এফএটিএফও। পাকিস্তানের নাম উল্লেখ না করেই ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, যখন কোনও রাষ্ট্র নিজের স্বার্থ বা উদাসীনতার কারণে কোনও ব্যবস্থা না নেয়, তখন তারা শান্তি নয়, তার বিরুদ্ধে কাজ করে। এভাবে তারা সন্ত্রাসবাদের শিকার হওয়া মানুষদের প্রতি অবিচার করে। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, জার্মানির বিদেশমন্ত্রী কাশ্মীর নিয়ে যে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির (Bilawal Bhutto Zardari)  মন্তব্যকে সমর্থন করেছে, তা উদ্দেশ্য প্রণোদিত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Solar Power Village: ভবিষ্যতে গুজরাটেই তৈরি হবে বিমান, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    Solar Power Village: ভবিষ্যতে গুজরাটেই তৈরি হবে বিমান, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভবিষ্যতে গুজরাটেই বিমান উৎপাদন করা হবে। রবিবার মোধেরায় এমনই আশার কথা শোনালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। রবিবার গুজরাটের (Gujarat) মেহসানা জেলার (Mehsana District) মোধেরাকে দেশের প্রথম সৌরশক্তি চালিত গ্রাম (Solar Power Village) ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী। মোধেরার সূর্য মন্দিরে একটি লাইট অ্যান্ড সাউন্ডের মাধ্যমে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনদিনের সফরে এই মুহূর্তে নিজের রাজ্য গুজরাটে রয়েছেন মোদি। সেখানেই মোদি বলেন, “ভবিষ্যতে গুজরাটই প্লেন উৎপাদন করবে। ভুলে গেলে চলবে না, আগে এই রাজ্যে সাইকেলও তৈরি হত না। সুজুকি কোম্পানি গুজরাটে গাড়ি তৈরি করছে। তারা যদি জাপানেও গাড়ি চায়, গুজরাট থেকে আমদানি করতে হয়। সাম্প্রতিক অতীতে দেশ গুজরাটকে এভাবেই এগোতে দেখেছে। লিথিয়াম ব্যাটারিও তৈরি হবে এই রাজ্যে।”  

    আরও পড়ুন: দেশের প্রথম সৌরশক্তির গ্রাম হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে গুজরাটের সূর্য মন্দিরের গ্রাম!

    প্রসঙ্গত, মোধেরা সূর্য মন্দির থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে সুজনপুরায় একটি ব্যাটারি এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেম তৈরি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ১,৩০০ সোলার সিস্টেম (Rooftop Solar Systems) গড়ে তোলা হয়েছে এই প্রকল্পে। কেন্দ্র ও রাজ্যের যৌথ উদ্যোগে এই গ্রামে দেশের অন্যতম বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প (Solar Power Project) গড়ে তোলা হয়েছে। সৌরশক্তির সাহায্যে গোটা গ্রামে ২৪ ঘণ্টাই বিদ্যু়ৎ পাওয়া যাবে। এই প্রকল্পে দুই ধাপে রাজ্য এবং কেন্দ্র পঞ্চাশ শতাংশ করে ৮০.৬৬ কোটি টাকা ব্যয় করেছে।    

    এদিন মোদি বলেন, “সূর্য মন্দিরের জন্য পরিচিত মোধেরা এবার সৌরশক্তিতে অগ্রগতির জন্য পরিচিত হবে। মোধেরার জন্য ঐতিহাসিক দিন আজ। কারণ এই দিনে সৌরশক্তি ব্যবহারে বড় পদক্ষেপ করল মোধেরা।” তিনি আরও জানান, এবার থেকে মোধেরার বাসিন্দারা বিদ্যুতের জন্য আর পয়সা দেবে না, বরং বিদ্যুৎ বিক্রি করে তারা উপার্জন করবেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কিছুদিন আগে পর্যন্ত সরকার নাগরিকদের বিদ্যুৎ সরবরাহ করত। এখন নাগরিকরা তাদের নিজস্ব বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম হবেন।”    

    এদিকে জানা গিয়েছে, তিন দিনের গুজরাট সফরে সোমবার ভারুচ, আহমেদাবাদ এবং জামনগর সফর করবেন মোদি। ভারুচে ৮,০০০ কোটি টাকার প্রকল্পের কথা ঘোষণা করবেন। পরদিন আহমেদাবাদের হাসপাতালে নতুন প্রকল্প উদ্বোধন করবেন। এইসঙ্গে গুজরাটের মোধেশ্বরী মাতা মন্দির এবং সূর্য মন্দির পরিদর্শন করবেন। প্রতিবেশী রাজ্য মধ্যপ্রদেশের শ্রী মহাকালেশ্বর মন্দিরও দর্শন করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Indian Navy: এনসিবি, এটিএসের বড় সাফল্য, প্রায় ১৫০০ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার

    Indian Navy: এনসিবি, এটিএসের বড় সাফল্য, প্রায় ১৫০০ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এনসিবি শুক্রবার ভারতীয় নৌবাহিনীর সঙ্গে যৌথ অভিযান চালিয়ে বিরাট সাফল্য পায়। প্রায় ১২০০ কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার করে। একটি ইরানি মাছ ধরার জাহাজ আটক করা হয়েছে. সেখান থেকেই ২০০ কেজি হেরোইন উদ্ধার হয়। সঞ্জয় কুমার সিং আরও জানান, ৬ ইরানি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। হেরোইন-সহ নৌকাটি মাত্তানচেরির ঘাটে আনা হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে কেউ নিষেধ করেনি, সাফ জানালেন হরদীপ সিং পুরী

    তিনি আরও বলেন, এই চক্রকে গ্রেফতার করে তাদের আফগানিস্তান ও পাকিস্তান যোগ পাওয়া গিয়েছে। ড্রাগ কার্টেলের অনন্য চিহ্ন ও প্যাকিং বিশেষত্ব রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানতে পারা গিয়েছে ওই ড্রাগ আফগানিস্তান থেকে আনা হয়েছিল। তা পরিবহন করা হয়েছিল পাকিস্তান গিয়ে। পাকিস্তান উপকূল থেকে শ্রীলঙ্কার একটি জাহাজ ভারতীয় জলসীমায় আসার পর তা বাজেয়াপ্ত করা হয়।

    এনসিবি জানাচ্ছে, ওই আফগান হেরোইনের (Afghan Heroin) বাজারে খুব চাহিদা রয়েছে। তাই দামও আকাশছোঁয়া। মাদকগুলি যাতে নষ্ট হয়ে না যায় সে জন্য ওয়াটারপ্রুফ মোড়কে খুব ভালভাবে প্যাকিং করা হয়েছিল। সাত মোড়কের প্য়াকেটে সেগুলিকে রাখা হয়েছিল। প্রত্যেকটি প্যাকেটের উপর আলাদা চিহ্ন ছিল, যা মূলত পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মাদকচক্রেই ব্যবহৃত হয়। কয়েকটি প্যাকেটের ওপর কাঁকড়া বিছের চিহ্ন আঁকা ছিল, কিছু প্যাকেটে আবার ছিল ড্রাগনের চিহ্ন।

    বিশ্বের সবচেয়ে বড় হেরোইন উৎপাদক দেশ আফগানিস্তান। বিশ্বের মোট উৎপাদনের ৮০-৯০ শতাংশ এই দেশ থেকেই ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন জায়গায়। তালিবান ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আফগানিস্তানে এই মাদকের উৎপাদন বহু গুণ বেড়ে গিয়েছে বলে বিভিন্ন রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: গত ৯ মাসে পাক জেলে মৃত্যু হয়েছে ৬ ভারতীয়ের, ক্ষুব্ধ বিদেশমন্ত্রক 

    এদিকে এটিএসের অভিযানেও বড় সাফল্য এসেছে। আজ, শনিবার আবার গুজরাতের সমুদ্র উপকূল থেকে ৫০ কেজি হেরোইন উদ্ধার করে গুজরাত এটিএস ও উপকূল রক্ষা বাহিনী। যার বাজারমূল্য ৩৫০ কোটি টাকা। জাকুয়া বন্দর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পাকিস্তানের দিক থেকে ছয়জন ব্যক্তি নৌকা করে ভারতে এই বিপুল সংখ্যক হেরোইন নিয়ে প্রবেশ করছিল। তখনই উপকূল রক্ষা বাহিনীর হাতে প্রথমে আটক ও পরে গ্রেপ্তার হন ওই ছয় ব্যক্তি। ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছে গুজরাত পুলিশ।    

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • DU Merit List: দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কলেজ এবং প্রোগ্রামে সবথেকে বেশি পড়ুয়া আবেদন করেছেন, দেখে নিন

    DU Merit List: দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কলেজ এবং প্রোগ্রামে সবথেকে বেশি পড়ুয়া আবেদন করেছেন, দেখে নিন

    মাধ্যমে নিউজ ডেস্ক: এই মুহূর্তে উচ্চ শিক্ষার পড়ুয়া নিজেদের কলেজ, পছন্দের বিষয় বাছতে ব্যস্ত। কলেজ এবং বিষয় ঠিক করে বাছাটা অত্যন্ত জরুরি। তাদের ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়ার এই পছন্দ তালিকার বিষয়টি অত্যন্ত জরুরি। কারণ প্রার্থীদের জন্য আসন বরাদ্দ করা হবে তাদের তালিকাভুক্ত পছন্দের ভিত্তিতে এবং দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় (Delhi University) তাদের কমন ইউনিভার্সিটি এন্ট্রান্স টেস্ট-এর (CUET) ভিত্তিতে যে মেধা তালিকা প্রকাশ করবে তার ভিত্তিতে। মেধা তালিকায় তাদের অবস্থানের ভিত্তিতে, একজন প্রার্থীকে তাদের তালিকায় সর্বোচ্চ সম্ভাব্য পছন্দ বরাদ্দ করা হবে।
     
    এই পছন্দ তালিকা তৈরির প্রক্রিয়াটি ১০ ​​অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। কোন কলেজ এবং কোন প্রোগ্রামে সবথেকে বেশি আবেদন করেছেন পড়ুয়ারা এখানে তালিকা রয়েছে। এখানে ৫০টি কলেজ এবং প্রোগ্রামের একটি তালিকা (DU Merit List) রয়েছে যা এখন পর্যন্ত সর্বাধিক সংখ্যক প্রার্থী তাদের পছন্দ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছেন। এই তালিকায় দেখা যাবে, মোট কতবার একটি প্রোগ্রামকে পছন্দ করেছেন পড়ুয়ারা।    

    1 Ramjas College B.Com 35295
    2 Kirori Mal College B.Com 35246
    3 Sri Venketeswara College B.Com 33634
    4 Delhi College of Arts and Commerce B.Com 33044
    5 Shaheed Bhagat Singh College B.Com 31279
    6 Hans Raj College B.Com (Hons.) 31033
    7 Shri Ram College of Commerce B.Com (Hons.) 30928
    8 Hindu College B.Com (Hons.) 30795
    9 Hindu College B.A. (Hons.) English 30630
    10 Atma Ram Sanatan Dharma College B.Com 30625
    11 Hans Raj College B.A. (Hons.) English 30320
    12 Sri Guru Gobind Singh College of Commerce B.Com 29844
    13 Dyal Singh College B.Com 29753
    14 St. Stephen’s College B.A. (Hons.) English 29562
    15 Ramjas College B.Com (Hons.) 29165
    16 Kirori Mal College B.Com (Hons.) 29127
    17 Sri Guru Tegh Bahadur Khalsa College B.Com 29110
    18 Motilal Nehru College B.Com 28908
    19 Aryabhatta College B.Com 28715
    20 Sri Venketeswara College B.Com (Hons.) 28224
    21 Kirori Mal College B.A. (Hons.) English 28220
    22 Hindu College B.A. (Hons.) Political Science 27915
    23 Ramanujan College B.Com 27831
    24 Ramjas College B.A. (Hons.) English 27303
    25 Dr. Bhim Rao Ambedkar College B.Com 26910
    26 Delhi College of Arts and Commerce B.Com (Hons.) 26754
    27 Shivaji College B.Com 26371
    28 Ram Lal Anand College B.Com 26191
    29 Kirori Mal College B.A. (Hons.) Political Science 26178
    30 Ramjas College B.A. (Hons.) Political Science 25806
    31 Sri Venketeswara College B.A. (Hons.) English 25756
    32 Shaheed Bhagat Singh College B.Com (Hons.) 25727
    33 Satyawati College B.Com 25567
    34 Sri Aurobindo College (Day) B.Com 25454
    35 Sri Guru Gobind Singh College of Commerce B.Com (Hons.) 25048
    36 Atma Ram Sanatan Dharma College B.Com (Hons.) 25006
    37 Zakir Husain Delhi College B.Com 24839
    38 P.G.D.A.V. College B.Com 24806
    39 Shyam Lal College B.Com 24672
    40 Sri Guru Nanak Dev Khalsa College B.Com 24430
    41 Sri Venketeswara College B.A. (Hons.) Political Science 24375
    42 Deen Dayal Upadhyaya College B.Com (Hons.) 24053
    43 Delhi College of Arts and Commerce B.A. (Hons.) English 23853
    44 Sri Guru Tegh Bahadur Khalsa College B.Com (Hons.) 23780
    45 Dyal Singh College B.Com (Hons.) 23445
    46 Hindu College B.A. (Hons.) History 23375
    47 Hans Raj College B.A. (Hons.) History 22998
    48 Motilal Nehru College B.Com (Hons.) 22984
    49 Atma Ram Sanatan Dharma College B.A. (Hons.) English 22938
    50 Delhi College of Arts and Commerce B.A. (Hons.) Political Science 22794

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
  • Chinese Communist Party: চিনের কম্যুনিস্ট পার্টি কংগ্রেসের গুরুত্ব

    Chinese Communist Party: চিনের কম্যুনিস্ট পার্টি কংগ্রেসের গুরুত্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই মাসেই ১৬ অক্টোবর চিনের কম্যুনিস্ট পার্টির (Chinese Communist Party) ২০তম (20th CCP Congress) জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। চিনের রাজনীতিতে পার্টি কংগ্রেস প্রতি পাঁচ বছরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বিষয়। এই সম্মেলনেই সিসিপি- র সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করা হয়। এই সম্মেলনে যে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হবেন তিনিই ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের মাধ্যমে দেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হবেন বলে মনে করছেন রাজনীতিবিদরা। চিনে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করে, সে দেশের সংসদ, ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস।

    চিনের বর্তমান রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং (Xi Jinping) এবার আবারও সিসিপির সাধারণ সম্পাদক হলে আগামী বছর তিনিই পিপলস কংগ্রেসে রাষ্ট্রপতি হিসেবে অনুমোদন পাবেন। জিনপিং ইতিমধ্যে দু দফায় ১০ বছর দেশের রাষ্ট্রপতি পদে রয়েছেন। আগে এই পদে দু দফার বেশি থাকা যেত না। ২০১৮ সালে জিনপিং সেই আইন পাল্টে নেন। এ থেকে অনেকে মনে করছেন তৃতীয় দফাতেও রাষ্ট্রপতি পদে থাকতে পারেন তিনি। যদি জিনপিং আরও এক দফা চিনের রাষ্ট্রপতি পদে বহাল থাকেন, তাহলে তিনি হবেন মাও সে তুংয়ের পর দীর্ঘ সময় পদে থাকা সিসিপি প্রধান।

    আরও পড়ুন: উইঘুরদের মানবাধিকার লঙ্ঘন, রাষ্ট্রসংঘে চিনের বিরুদ্ধে গেল না ভারত    

    তাঁকে মাওয়ের সম উচ্চতায় দেখানোর চেষ্টাও করতে পারে সিসিপি। শি জিনপিং- এর নামের সঙ্গে ইদানীং ‘দলের মূল নেতা’ কথাটা বার বার বলা হয়। ‘শি জিনপিং- এর চিন্তাধারা’ এমন শব্দও ব্যবহার করা হয়। যা আগে মাও  সেতুং- এর সময়ও বলা হত। জিনপিং- কে নিয়ে পার্টির কী পরিকল্পনা তা জানতে চায় সারা পৃথিবী। 
     
    তাই এই সম্মেলনের দিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা বিশ্ব। কম্যুনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জিনপিং- এর মেয়াদ বাড়বে কি না সেদিকেই লক্ষ্য সবার। জিনপিং- এর ক্ষমতায় থাকা- না থাকা ছাড়াও সিসিপি কীভাবে আগামীতে বিশ্বের দরবারে চিনকে তুলে ধরতে চাইছে, তারও কিছু ইঙ্গিত পাওয়া যাবে কংগ্রেসে। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে চলবে এই সম্মেলন।

    পরবর্তী একশো বছরের জন্য লক্ষ্য স্থির করা হবে এই সম্মেলনে। এই সম্মেলনে থেকেই উঠে আসবে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গ। দেশের প্রধান লক্ষ্য, উন্নয়ন সবটাই। এই সম্মেলনেই বুঝে নেওয়া হবে চিনের উন্নয়নের জন্য কী কী প্রয়োজন, জনগণের চাহিদাই বা ঠিক কী। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

      

  • Defence Production: ডেট লাইনের অনেক আগেই প্রস্তুত ৭২টি সামরিক সরঞ্জাম! মেক ইন ইন্ডিয়ার সাফল্য

    Defence Production: ডেট লাইনের অনেক আগেই প্রস্তুত ৭২টি সামরিক সরঞ্জাম! মেক ইন ইন্ডিয়ার সাফল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আত্মনির্ভর ভারত গড়ার লক্ষ্যে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম কেনায় আরও জোর দিয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক। মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পকে সামনে রেখেই পিআইএল তালিকায় উল্লিখিত ২১৪টি সামরিক সরঞ্জাম তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছিল ২০২৩ থেকে ২০২৪ -এর মধ্যে। এই সামরিক সরঞ্জামগুলি তৈরির জন্য ভারত সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ডিফেন্স পাবলিক সেক্টর আন্ডারটেকিংসকে (ডিপিএসইউস) বরাত দিয়েছিল। কিন্তু ডেট লাইনের অনেক আগেই ৭২টি সরঞ্জাম তৈরি হয়ে গেল। ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি ১৪২টি সরঞ্জামও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে আশাবাদী ডিফেন্স পাবলিক সেক্টর আন্ডারটেকিংস।

    আরও পড়ুন: অরুণাচলে ভেঙে পড়ল সেনার চিতা হেলিকপ্টার, মৃত লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদমর্যাদার অফিসার

    দেশীয় কিছু প্রধান সাব-সিস্টেম/লাইন রিপ্লেসমেন্ট ইউনিট (LRUs) এর মধ্যে রয়েছে জাহাজের জন্য ম্যাগাজিন ফায়ার ফাইটিং সিস্টেম, স্টিয়ারিং গিয়ার সিস্টেম এবং ফ্রিগেটগুলির জন্য নিয়ন্ত্রণ সহ ফিন স্টেবিলাইজার।  আকাশ মিসাইলের জন্য চাপযুক্ত পাত্র, কনকুরস ক্ষেপণাস্ত্র এবং বৈদ্যুতিক মোটরের জন্য KOE চার্জ, ডিকনটামিনেশন সেট এবং ব্যাটল ট্যাঙ্কের জন্য প্রিজম অপটিক্যাল যন্ত্র। এই সরঞ্জামগুলির পাশাপাশি, হেলিকপ্টারের জন্য মধ্যবর্তী কাস্টিং, সাবমেরিনগুলির জন্য পলিক্রোপিন রাবার ব্যান্ড এবং যুদ্ধ জাহাজগুলির জন্য উচ্চ চাপ নিয়ন্ত্রণকারী ভালভ। দেশীয় প্রযুক্ততে তৈরি যাবতীয় সামরিক সরঞ্জাম বিশদ বিবরণ সহকারে “শ্রীজন পোর্টালে (srijandefence.gov.in)” পাওয়া যাবে।  আত্মনির্ভর ভারত গড়ার লক্ষ্যে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আমদানিতে কাটছাঁট করতে কয়েক বছর আগেই সক্রিয় হয়েছিল মোদি সরকার। ‘অস্ত্র আমদানিকারক দেশ’ থেকে ভারতকে ‘অস্ত্র রফতানিকারক দেশ’-এ পরিণত করার উদ্দেশ্যে বিদেশ থেকে অস্ত্র এবং প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আমদানি নিয়ে নতুন করে পর্যালোচনা শুরু হয়। এই সাফল্য তারই ফল।

    আরও পড়ুন: জাতীয় পতাকায় ‘টক্কর’ পাকিস্তানকে, আটারিতে উড়বে ভারতের উচ্চতম তেরঙা

    প্রতিরক্ষা উত্পাদনে স্বনির্ভরতা অর্জনের জন্য এবং ‘আত্মনির্ভর ভারত অভিযান’-এর অধীনে ডিপিএসইউগুলির আমদানি কমানোর জন্য, প্রতিরক্ষা উত্পাদন বিভাগ (ডিডিপি), প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এলআরইউ/সাব-সিস্টেম/এর তিনটি ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল। প্রথম পিআইএল-এ ৩৫১টি সরঞ্জাম, দ্বিতীয় পিআইএল-এ ১০৭টি আইটেম এবং তৃতীয় পিআইএল-এ দেশীয়করণের জন্য ৭৮০টি আইটেম রয়েছে। পরবর্তীকালে, ডিডিপি ৭২টি দেশীয় আইটেমের সংশোধিত টাইমলাইন (পিআইএল-1:67 এবং পিআইএল-2:5) বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। এখন, এই আইটেমগুলি শুধুমাত্র ভারতীয় শিল্প সংস্থাগুলি থেকে সংগ্রহ করা হবে। যা একদিকে দেশের শিল্পকে অক্সিজেন জোগাবে, একাধারে বৈদেশিক মুদ্রাও সাশ্রয় করবে। এটি সশস্ত্র বাহিনীর চাহিদা মেটাতে আন্তর্জাতিক মানের সামগ্রী সরবরাহের জন্য দেশীয় শিল্পের সক্ষমতার প্রতি সরকারের ক্রমবর্ধমান আস্থাকেও শক্তিশালী করে। এই কর্মকাণ্ডকে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে স্বনির্ভর হওয়ার লক্ষ্যে  ‘বড় পদক্ষেপ’ বলে মনে করা হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Hardeep Singh Puri: রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে কেউ নিষেধ করেনি, সাফ জানালেন হরদীপ সিং পুরী

    Hardeep Singh Puri: রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে কেউ নিষেধ করেনি, সাফ জানালেন হরদীপ সিং পুরী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাগরিকদের জ্বালানি সরবরাহ করার একটি নৈতিক দায় রয়েছে ভারত সরকারের। তাই সরকার যেখান থেকে পারে জ্বালানি কিনবে। শুক্রবার এ কথাই জানালেন কেন্দ্রীয় পেট্রলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী (Hardeep Singh Puri)। একই সঙ্গে তিনি জানান, রাশিয়া (Russia) থেকে তেল কিনতে নিষেধ করেনি কোনও দেশই।

    ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে যুদ্ধ বাঁধে রাশিয়া ও ইউক্রেনের (Ukraine) মধ্যে। এর পর গোটা বিশ্ব কার্যত ভাগ হয়ে যায় দু ভাগে। তামাম বিশ্বের একটি অংশ চলে যায় রাশিয়ার পক্ষে। অন্য অংশ ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের কড়া সমালোচনা করতে থাকে। ঘটনার জেরে রাশিয়া থেকে তেল কিনতে বিভিন্ন দেশকে বারণ করে আমেরিকা ও পশ্চিমের কয়েকটি দেশ। এহেন দ্বন্দ্বের মধ্যেই রাশিয়া থেকে জ্বালানি সংগ্রহ করতে থাকে মোদির (PM Modi) ভারত।

    জানা গিয়েছে, যুদ্ধ শুরুর পর এপ্রিল মাস থেকে এ পর্যন্ত ভারত রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানির পরিমাণ বাড়িয়েছে ৫০ গুণ। ভারত আমদানির পরিমাণ বাড়ালে কী হবে, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হওয়ার পরে মস্কো থেকে জ্বালানি কেনার পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে পশ্চিমের বিভিন্ন দেশ। এদিন হরদীপ সিং পুরী (Hardeep Singh Puri) বলেন, ভারত যে কোনও দেশ থেকে জ্বালানি সংগ্রহ করবে। তিনি বলেন, আমাদের নীতি স্পষ্ট। জ্বালানির নিশ্চয়তা ও সাশ্রয়কে অগ্রাধিকার দিতে আমরা যেখানে থেকে কিনলে সুবিধা হবে, সেখান থেকেই কিনব। এই জাতীয় আলোচনা যেন সাধারণ মানুষকে প্রভাবিত না করে। এক প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে ভারতকে কেউ নিষেধ করেনি।

    আরও পড়ুন : আলোচনার মাধ্যমেই রাশিয়া-ইউক্রেন সমস্যার সমাধান সম্ভব! জানেন রাষ্ট্রসংঘে কী বলল ভারত?

    হরদীপ সিং পুরী (Hardeep Singh Puri) বলেন, গত অর্থবর্ষে আমরা মাত্র ০.২ শতাংশ তেল আমদানি করেছি। তবে ২৪ ফেব্রুয়ারির (রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর দিন) পর রাশিয়া থেকে আমদানির পরিমাণ বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে। তিনি বলেন, আমেরিকা থেকে জ্বালানি আমদানির পরিমাণ বাড়ছে। সম্প্রতি ওই দেশ থেকে ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের জ্বালানি কিনেছি। আরও তেল কেনার ব্যাপারে আলোচনা চলছে বলেও জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Arindam Bagchi: গত ৯ মাসে পাক জেলে মৃত্যু হয়েছে ৬ ভারতীয়ের, ক্ষুব্ধ বিদেশমন্ত্রক

    Arindam Bagchi: গত ৯ মাসে পাক জেলে মৃত্যু হয়েছে ৬ ভারতীয়ের, ক্ষুব্ধ বিদেশমন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত নয় মাসে পাকিস্তানের জেলে থাকতে থাকতে মৃত্যু হয়েছে ৬ ভারতীয় বন্দির। তাঁদের মধ্যে পাঁচজন মৎস্যজীবী। তাঁদেরকে অবৈধভাবে পক জেলে আটকে রাখা হয়েছিল, বলে দাবি ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের। শুক্রবার নয়াদিল্লিতে বিদেশমন্ত্রকের তরফে সাপ্তাহিক সাংবাদিক বৈঠকে পাকিস্তানের (Pakistan) জেলগুলিতে বন্দি ভারতীয়দের (Indian Prisoners) মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমকে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন, ‘‘সম্প্রতি মৎস্যজীবীদের মৃত্যু বেড়েছে। পাক হেফাজতে ছ’জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে পাঁচ জনই মৎস্যজীবী। সাজা শেষ হওয়ার পরেও তাঁদের বেআইনি ভাবে আটক করে রেখেছিল পাকিস্তান।’’ তাঁর কথায়,‘‘এই ঘটনা উদ্বেগজনক। ইসলামাবাদে আমাদের হাইকমিশন এই বিষয়টি তুলেছে। ভারতীয় বন্দিদের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা বজায় রাখতে বাধ্য পাকিস্তান।’’

    আরও পড়ুন: মোদির সফল নেতৃত্বের দৌলতেই আজ বিশ্বে ভারতের গুরুত্ব বৃদ্ধি, বললেন জয়শঙ্কর

    প্রসঙ্গত, এর আগে সদ্য পাকিস্তান কয়েকজন ভারতীয় মৎস্যজীবীকে ডুবে যাওয়া থেকে বাঁচানোর কথা জানায়। তারা জানিয়েছে, ভারত পাকিস্তানের সীমান্তের মাঝে জলপথে কয়েকজন ভারতীয় মৎস্যজীবী ডুবে যাচ্ছিলেন, তাঁদের রক্ষা করেন পাকিস্তানের সেনা জাওয়ানরা। এরপরই দিল্লি,পাকিস্তানের জেলে বন্দি ভারতীয়দের প্রসঙ্গে মুখ খোলে। কার্যত সেদেশে ভারতীয় বন্দিদের নিয়ে কী ঘটছে তা নিয়েই মুখ খুলেছে দিল্লি।

    আরও পড়ুন: ‘হু’-র সতর্কবার্তার জের! দেশে তৈরি ৪ কাশির সিরাপ নিয়ে তদন্তে কেন্দ্র

    মৎস্যজীবীদের আটক করা নিয়ে প্রায়ই একে অপরের দিকে আঙুল তোলে প্রতিবেশী দুই দেশ। সীমান্ত পেরিয়ে আসার কারণেই আটক করা হয় মৎস্যজীবীদের, এমন যুক্তিও দেয় দুই পক্ষ।  গত জানুয়ারি মাসে গুজরাতের ৫০ বছরের এক মৎস্যজীবীর পাকিস্তানের জেলে মৃত্যু হয়। তাঁর নাম জয়ন্তী সোলাঙ্কি। মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। গত জুলাইয়ে গির সোমনাথ জেলার আর এক মৎস্যজীবী কালু সিয়ালের মৃত্যু হয় পাকিস্তানের জেলে। ২০১৮ সালের জুনে আন্তর্জাতিক জলসীমা লঙ্ঘনের জন্য আটক করা হয়েছিল তাঁকে। সাজার মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পরও মুক্তি মেলেনি। এরকম আরও বহু নজির রয়েছে, বলে বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়।  উল্লেখ্য, গত ২০ জুন আটারি ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে ২০ জন ভারতীয় মৎস্যজীবীকে (Indian Fishermen) মুক্ত করেছিল পাকিস্তান তা-ও অনেক চাপের পর। এবার নানান তথ্যপ্রমাণ দিয়ে  যে সকল বন্দিদের  সাজার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে, তাঁদের দ্রুত ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে ভারত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share