Blog

  • Lionel Messi Retirement: কাতার বিশ্বকাপের পরেই অবসর নেবেন লিওনেল মেসি! কী বললেন তিনি?

    Lionel Messi Retirement: কাতার বিশ্বকাপের পরেই অবসর নেবেন লিওনেল মেসি! কী বললেন তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেসির অনুরাগীদের জন্য এক দুঃখের খবর নিয়ে এসেছে আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসি (Lionel Messi) নিজেই। তিনি ঘোষণা করে দিলেন, এবারের বিশ্বকাপই তাঁর শেষ বিশ্বকাপ (Lionel Messi Retirement)। ৩৫ বছর বয়সী মেসি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, কাতার বিশ্বকাপই (Qatar World Cup) শেষ হতে চলেছে আর্জেন্টিনার (Argentina) হয়ে তাঁর শেষ বিশ্বকাপ। ফলে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ফুটবল ও মেসি প্রেমীদের উত্তেজনার শেষ নেই।

    সাংবাদিক সেবাস্তিয়ান ভিগনোলোর সঙ্গে এক আলোচনায় মেসি জানিয়েছেন ‘এটাই আমার শেষ বিশ্বকাপ হতে চলেছে (Lionel Messi Retirement)। সেই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি। আমি এখন বিশ্বকাপের দিন গুনছি। সত্যি কথা বলছি, একটু উদ্বেগ রয়েছে। আমি বিশ্বকাপে খেলতে মুখিয়ে রয়েছি। আমরা সবাই এই এক জায়গাতেই রয়েছি। কী হবে সেটা নিয়ে আলাদা করে ভাবছি না।“

    আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় ফুটবল ম্যাচ ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড! পদপিষ্ট হয়ে মৃত কমপক্ষে ১৭৪

    তিনি আরও বলেন, “তবে বিশ্বকাপের জন্য আমি মরিয়া হয়ে রয়েছি। আমরা এই মুহূর্তে খুব ভাল সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। খুব শক্তিশালী একটা গ্রুপে আছি। তবে বিশ্বকাপে যা কিছু ঘটতে পারে। প্রতিটি ম্যাচই কঠিন। এই জন্যই বিশ্বকাপ এত স্পেশ্যাল। যারা ফেভারিট হয়ে টুর্নামেন্টে নামে তারাই যে জেতে এমনটা নয়, বা প্রত্যাশিত কিছু করে না। জানি না, আমরা ফেভারিট কিনা! ইতিহাস আর্জেন্টিনার কথা বলছে। আমরা ফেভারিট নই। আমাদের ওপরেও অনেক দল আছে।”

    প্রসঙ্গত, চলতি মরুশুমে ক্লাব এবং দেশের উভয়ের হয়েই মেসি দারুণ ফর্ম রয়েছেন। ২০১৯ থেকে শুরু করে আর্জেন্টিনা দল এখন পর্যন্ত ৩৫টি ম্যাচে অপরাজিত রয়েছে। গত বছর কোপা আমেরিকার ফাইনালে ব্রাজিলকে পরাজিত করে মেসি জিতেছিলেন। এটি তাঁর সর্বশেষ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা ছিল। তবে এবার তাঁর ভক্তদের প্রত্যাশা আরও বেড়ে গিয়েছে ও তাঁরা আশা করেই রেখেছে যে, দেশকে এবারে বিশ্বকাপ এনে দিয়েই অবসর নেবেন মহাতারকা (Lionel Messi Retirement)। অন্যদিকে মেসিও মরিয়া হয়ে উঠেছে দেশের হয়ে বিশ্ব সেরা হওয়ার জন্য। আগামী ২০ নভেম্বর থেকে শুরু হবে কাতার বিশ্বকাপ (Qatar World Cup)।

  • Thailand Daycare Shooting: বন্দুকবাজ হামলার কবলে থাইল্যান্ড, মৃত ৩৪, পরিবারকে খুন করে আত্মঘাতী আততায়ী

    Thailand Daycare Shooting: বন্দুকবাজ হামলার কবলে থাইল্যান্ড, মৃত ৩৪, পরিবারকে খুন করে আত্মঘাতী আততায়ী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকার পরে এবার থাইল্যান্ডে বন্দুকবাজের হামলা (Thailand Daycare Shooting)। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী এই অবধি হামলায় মৃত্যু হয়েছে ৩৪ জনের। পালিয়েছে হামলাবাজ। তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে থাইল্যান্ড পুলিশ। প্রশাসনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, থাইল্যান্ডের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে ঘটনাটি ঘটেছে।        

    বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডের নং বুয়া লামফু অঞ্চলের একটি চাইল্ড সেন্টারে এই হামলা চলে। বন্দুকবাজের গুলিতে ২২ জন শিশুও প্রাণ হারিয়েছে। প্রশাসনের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, হামলাকারী ব্যাংকক লাইসেন্স প্লেটসহ একটি সাদা পিকআপ গাড়িতে পালিয়ে যায়। গাড়ির নম্বর  ৪৯৯। পুলিশের তরফে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। বাসিন্দাদের জানানো হয়েছে, কেউ যদি ওই নম্বরের পিকআপ ভ্যান দেখেন তাহলে যেন ১৯২ নম্বরে ফোন করে তা জানান। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ৩৪ জনকে হত্যা করার পর অভিযুক্ত তার সন্তান ও স্ত্রীকেও গুলি করে। তারপর নিজেকে গুলি করে আত্মঘাতী হয়েছে আততায়ী। তবে এর পরেও ওই ব্যক্তির খোঁজে তল্লাশি জারি রেখেছে প্রশাসন। 
     
    সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যেই সতর্কতা জারি করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক সবাই রয়েছে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের মতে, আততায়ী একজন প্রাক্তন পুলিশ আধিকারিক। 

    আরও পড়ুন: জাতীয় পতাকায় ‘টক্কর’ পাকিস্তানকে, আটারিতে উড়বে ভারতের উচ্চতম তেরঙা

    থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পুলিশকে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর বার্তা, অপরাধীকে খুঁজে বের করে দ্রুত নিজেদের হেফাজতে নিতে হবে পুলিশকে। সংবাদ সংস্থায় প্রকাশ,থাইল্যান্ডে লাইসেন্সকৃত বন্দুকের সংখ্যা অন্য দেশের তুলনায় বেশি। সরকারী পরিসংখ্যানেও বিপুল সংখ্যক অবৈধ অস্ত্র অন্তর্ভুক্ত নেই। 

    ঠিক কী কারণে বন্দুকবাজের হামলা তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে আক্রোশ থেকেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে ওই ব্যক্তি। কারণ গত কয়েকদিন আগেই চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল তাঁকে। আর এরপরেই এই ঘটনা। ফলে বদলা নিতেই এই ঘটনা বলে মনে করছেন অনেকে।  

    এর আগে ২০২০ সালে থাইল্যান্ডে বন্দুকবাজের হামলার ঘটনা ঘটে। সেবার এক সেনা গুলি করে  ২৯ জনকে হত্যা করেছিল। জখম হয়েছিলেন ৫৭ জন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
  • Cheetah Helicopter: অরুণাচলে ভেঙে পড়ল সেনার চিতা হেলিকপ্টার, মৃত লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদমর্যাদার অফিসার

    Cheetah Helicopter: অরুণাচলে ভেঙে পড়ল সেনার চিতা হেলিকপ্টার, মৃত লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদমর্যাদার অফিসার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ে (Tawang) ভেঙে পড়ল ভারতীয় সেনার চিতা (Cheetah) হেলিকপ্টার। দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন  সেনা এভিয়েশন কোরের এক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (Lieutenant Colonel) পদমর্যাদার অফিসারের। গুরুতর আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি সহকারী পাইলট। তেজপুরের সেনা মুখপাত্র কর্নেল এএস ওয়ালিয়া সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, চিনা (China) সীমান্তের কাছে রুটিন টহলদারির সময় আচমকা ওই হেলিকপ্টারটি ভেঙে পড়ে। এক পাইলটের মৃত্যু হয়েছে। অপরজন চিকিৎসাধীন। সকাল ১০ টা নাগাদ ভেঙে পড়ে চিতা হেলিকপ্টারটি। দ্রুত দুই পাইলটকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী সেনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসার সময়ই একজনের মৃত্যু ঘটে।

    [tw]


    [/tw]

    যদিও সেনাবাহিনীর (army) তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত দুর্ঘটনার সঠিক কারণ জানানো হয়নি। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পরেই বিস্তারিত জানানো হবে। সংবাদ সূত্রে জানা গিয়েছে মৃত লেফটেন্যান্ট কর্নেলের নাম সৌরভ যাদব (Lt. Col Saurabh Yadav)। আরেক জখম পাইলটের সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।

    এই ঘটনার জেরে ফের একবার সেনাবাহিনীর চিতা ও চেতক হেলিকপ্টারের গ্রহনযোগ্যতার উপর প্রশ্ন উঠেছে। ১৯৬০-৭০ সাল থেকে ব্যবহৃত এই হেলিকপ্টারগুলি বর্তমানে বার্ধক্যের ভারে নুইয়ে পড়েছে। এমত পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী দেশের উন্নত প্রযুক্তির হেলিকপ্টারের সামনে ভারতীয় সেনা কিভাবে মোকাবিলা করবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। ভারতের প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী অজয় ভাট রাজ্যসভায় জানিয়েছিলেন যে, গত পাঁচ বছরে বায়ুসেনা বা তার সঙ্গে জড়িত এমন ৪২ জন যুদ্ধবিমান বা সামরিক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: গরবা নাচতে গিয়ে মৃত্যু যুবকের, ছেলের শোকে প্রাণ হারালেন বাবাও

    অরুণাচল প্রদেশে গত কয়েক বছরে একাধিক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার খবর সামনে এসেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে যে খারাপ আবহাওয়ার কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। ২০১০ সাল থেকে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে ৬টি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ৪০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন অরুনাচল প্রদেশের (Arunachal Pradesh)  প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দর্জি খাণ্ডুও (Dorjee Khandu)।

    এর আগে গত মার্চ মাসে জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে সেনাবাহিনীর আরও একটি চিতা হেলিকপ্টার ভেঙে পড়েছিল। সেই দুর্ঘটনায় একজন পাইলটের মৃত্যু হয়েছিল। সহকারি পাইলট গুরুতর আহত হয়েছিলেন। প্রাক্তন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (CDS) জেনারেল বিপিন রাওয়াতের (Bipin Rawat) মৃত্যুও হয়েছিল এই কপ্টার দুর্ঘটনার জেরেই। ২০২১-এর ডিসেম্বরে তামিলনাড়ুতে ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় রাওয়াত, তাঁর স্ত্রী-সহ ১২ সেনা শীর্ষকর্তার মৃত্যু হয়।

    হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা নিয়ে ট্যুইট করেছেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। যিনি নিজেও অরুণাচল প্রদেশের প্রতিনিধি। তিনি বলেছেন, ‘অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং জেলা থেকে মর্মান্তিক খবর আসছে। ভারতীয় সেনার চিতা হেলিকপ্টার ভেঙে পড়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। পাইলটদের জন্য প্রার্থনা করছি।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • West Bengal: প্রতিমা বিসর্জন করতে গিয়ে ফের তিন জায়গায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, জলে ডুবে মৃত মোট ৪

    West Bengal: প্রতিমা বিসর্জন করতে গিয়ে ফের তিন জায়গায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, জলে ডুবে মৃত মোট ৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল মায়ের বিদায়বেলায় জলপাইগুড়ির মালবাজারের ঘটনার পাশাপাশি আরও দুই জায়গায় ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। জলাপাইগুড়ি ছাড়া মুর্শিদাবাদ ও বীরভূমেও ঘটেছে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন করতে গিয়ে মুর্শিদাবাদের সাটুইয়ে জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে মোট দুই জনের। অন্য ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জের ধুলিয়ানে। সেখানে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আবার বীরভূমেও জলের তলায় তলিয়ে যান ৮০ বছরের এক যুবক।

    মুর্শিদাবাদে কী ঘটেছিল?

    প্রথম ঘটনাটি ঘটেছিল মুর্শিদাবাদের সাটুইয়ে। সেখানেও মা দুর্গার প্রতিমা বিসর্জন করতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু হয় দুই জনের। দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদেরই সামসেরগঞ্জের ধুলিয়ানে। ওই এলাকার কাঞ্চনতলা গঙ্গাঘাটে এই ঘটনাটি ঘটেছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সেখানেও প্রতিমা বিসর্জন করতে গিয়ে নৌকা করে যাচ্ছিলেন তাঁরা। তাঁদের মধ্যে এক ব্যক্তি নৌকা থেকে পরে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু হয়। জানা গিয়েছে, মৃত ওই ব্যক্তির নাম অমিত সিংহ, বাড়ি ধুলিয়ান পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের রায়গঞ্জে। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে সামসেরগঞ্জ থানার পুলিশ।

    আরও পড়ুন: জলপাইগুড়িতে দুর্গা বিসর্জনে গিয়ে হড়পা বানে মৃত অন্তত ৮, ঠিক কী ঘটেছিল?

    বীরভূমের দুর্ঘটনা

    প্রতিমা নিরঞ্জনের মধ্যেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটল বীরভূমের ভীমগড়েও। সূত্রের খবর অনুযায়ী,  ইসগড়া গ্ৰাম থেকে বুধবার লোবা কালি মন্দিরে ১২ জন যুবক পুজো দিতে যান। তাঁরা দাবি করেছেন, পুজো দেওয়ার পর তাঁরা অজয় নদে স্নান করতে নামেন। আর সেকানে স্নান করতে গিয়েই জলে তলিয়ে যান ওই ব্যক্তি। ৪০ বছর বয়সী ওই মৃতের নাম কালিচরণ দত্ত। স্থানীয় সূত্রে খবর, করতে পারেনি। কালিচরণ জলেই তলিয়ে যান। পরে দুবরাজপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছান ও মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিউড়ি হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।

    প্রায় প্রতি বছরই দশমীর দিন অনেক রাজ্যেই এমন দুর্ঘটনা দেখা যায়। প্রতিমা বিসর্জন করতে অনেকেই জলে ডুবে প্রাণ হারান। ফলে এবারও এমনই ঘটনা দেখা গেল পুরো রাজ্য জুড়ে। তবে এবারের মালবাজারের ঘটনার ফলে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

  • Mohan Bhagwat: ‘‘জনবিন্যাসের ভারসাম্য নষ্ট হলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়…’’, দশেরা-উৎসবে মন্তব্য মোহন ভাগবতের

    Mohan Bhagwat: ‘‘জনবিন্যাসের ভারসাম্য নষ্ট হলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়…’’, দশেরা-উৎসবে মন্তব্য মোহন ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নীতি নির্ধারণের পক্ষে জোর সওয়াল করলেন মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। নাগপুরে দশেরার অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) প্রধান জানালেন, যখনই কোনও দেশে জনবিন্যাসের ভারসাম্য নষ্ট হয়, তখন সেই দেশের ভৌগোলিক সীমানাও পরিবর্তিত হয়।

    মোহন ভাগবত বলেন, ‘‘এটা সত্য যে আমাদের দেশের জনসংখ্যা বিশাল। জনসংখ্যার বিচার আজকাল দুটি উপায়ে হচ্ছে। এই জনসংখ্যার জন্য উপযুক্ত পরিমাণ সম্পদের প্রয়োজন হবে। যদি এই সংখ্যা ক্রমশঃ বাড়তে থাকে তবে বোঝাও বাড়তে বাড়তে অসহ্য হয়ে উঠবে। সেজন্য জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের দিকটি বিবেচনা করে পরিকল্পনা করা হয়। জনসংখ্যা বিচারের দ্বিতীয় প্রকারটি হল জনসংখ্যাকে একটি সম্পদ – asset– রূপে বিবেচনা করা।’’

     

    সরসংঘচালকের মতে, সেই সম্পদকে সঠিক প্রশিক্ষণ এবং তার সর্বাধিক ব্যবহারের কথা ভাবতে হয়। তিনি বলেন, ‘‘সারা বিশ্বের জনসংখ্যার দিকে তাকালে একটা বিষয় মাথায় আসে। কেবল আমাদের দেশের দিকে তাকালে চিন্তাভাবনা হয়ত বদলে যেতে পারে। চিন তার জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের নীতি পরিবর্তন করে তার বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করতে শুরু করেছে। দেশের স্বার্থ জনসংখ্যা সংক্রান্ত বিচারধারাকে প্রভাবিত করে। আজ আমরা সবথেকে তরুণ দেশ বলে পরিগণিত হই।’’

    আরও পড়ুন: ‘‘রোজগার মানে কেবলমাত্র চাকরি নয়…’’, নাগপুরে মোহন ভাগবত

    ভাগবত বলেন, ‘‘আগামী ৫০ বছর পরে, আজকের যুবকরা প্রৌঢ়ে পরিণত হবে, তখন তাদের যত্ন নেওয়ার জন্য কত যুবক লাগবে সেই হিসাবও আমাদের করতে হবে। দেশের জনগণ তাদের প্রচেষ্টায় দেশকে যেমন সমৃদ্ধ করে, তেমনই তাদের নিজেদের ও সমাজের জীবিকা নিরাপদ করে। জনতার যোগক্ষেম এবং জাতীয় পরিচিতি ও নিরাপত্তা ছাড়াও এই কয়েকটি বিষয় স্পর্শ করে।’’

    তিনি আরও বলেন, ‘‘সন্তানের সংখ্যার বিষয়টি মায়েদের স্বাস্থ্য, অর্থনৈতিক সক্ষমতা, শিক্ষা, ইচ্ছার সঙ্গে সম্পর্কিত। প্রতিটি পরিবারের চাহিদার সঙ্গেও সম্পর্কিত। জনসংখ্যা পরিবেশকেও প্রভাবিত করে। মোটকথা, জনসংখ্যা নীতি অনেক কিছুকে সামগ্রিক ও সমন্বিতভাবে বিবেচনা করে প্রণয়ন করতে হবে, সবার জন্য সমানভাবে প্রয়োগ করতে হবে, জনসচেতনতার মাধ্যমের সম্পূর্ণ বাস্তবায়নের মানসিকতা তৈরি করতে হবে। তবেই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের নিয়মকানুন ফলদায়ী হবে।’’

    তাঁর মতে, ‘‘২০০০ সালে, ভারত সরকার সামগ্রিকভাবে বিবেচনা করে জনসংখ্যা নীতি নির্ধারণ করেছিল। সেখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য ছিল ২.১ এর প্রজননের হার (TFR) লাভ করা। এখন ২০২২ সালে, প্রতি পাঁচ বছরে প্রকাশিত NFHS রিপোর্ট এসেছে। যেখানে সমাজের সচেতনতা ও ইতিবাচক অংশগ্রহণ এবং কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের ক্রমাগত সমন্বিত প্রচেষ্টার ফলে ২.১ -এর কম উর্বরতার হার প্রায় ২.০-এ নেমে এসেছে। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে সচেতনতা এবং সেই লক্ষ্য অর্জনের দিকে অগ্রগতির সময়, আরও বিবেচনার জন্য দুটি প্রশ্ন উঠছে।’’

    সংঘ প্রধানের জানান, সমাজ বিজ্ঞানী ও মনোবৈজ্ঞানিকদের অভিমত অনুযায়ী, অতি ক্ষুদ্র পরিবার, ছেলে-মেয়েদের সুস্থ সার্বিক বিকাশ, পরিবারে নিরাপত্তাহীনতা বোধ, সামাজিক চাপ, একাকী জীবন ইত্যাদির কারণে ‘পরিবার ব্যবস্থা’ নিয়েও প্রশ্নবোধক চিহ্ন দেখা দিয়েছে। একই সময়ে, আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হল জনসংখ্যার ভারসাম্যহীনতা।

    আরও পড়ুন: মোহন ভাগবতকে ‘রাষ্ট্রপিতা’ আখ্যা ভারতীয় ইমাম সংগঠনের

    তিনি বলেন, ‘‘৭৫ বছর আগে আমরা আমাদের দেশে এটি অনুভব করেছি। একবিংশ শতাব্দীতে বিশ্বের তিনটি সদ্য স্বাধীন দেশ– পূর্ব তিমোর, দক্ষিণ সুদান এবং কসোভা– ইন্দোনেশিয়া, সুদান এবং সার্বিয়ার একই ভূভাগে জনবিন্যাসের অসন্তুলনের ফল এটা। যখনই কোনও দেশে জনবিন্যাসের ভারসাম্য নষ্ট হয়, তখন সেই দেশের ভৌগোলিক সীমানাও পরিবর্তিত হয়। জন্মহারে বৈষম্যের পাশাপাশি দেশে লোভ-লালসা, জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণ ও অনুপ্রবেশও বড় কারণ। এই সমস্ত বিষয় বিবেচনা করতে হবে। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে জনসংখ্যার ভারসাম্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা উপেক্ষা করা যায় না।’’

    ভাগবত যোগ করেন, ‘‘গণতন্ত্রে জনমানসের সঙ্গে সহযোগিতার গুরুত্ব সর্বজনবিদিত। নিয়ম তৈরি করা হয়, সেটি গৃহীত হয় এবং সেই থেকে প্রত্যাশিত ফলাফল তার থেকেই পাওয়া যায়। যে নিয়মগুলি লাভ দ্রুত চোখে পড়ে, অথবা যে নিয়মগুলির উপকার সময়ের সঙ্গে চোখে পড়ে সেগুলি ব্যাখ্যা করতে হয় না। কিন্তু যখন দেশের স্বার্থে বা দুর্বলদের স্বার্থে মানুষকে নিজের স্বার্থ বিসর্জন দিতে হয়, সেখানে এই আত্মত্যাগের জন্য জনগণকে সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে, তাই সমাজে স্ব-এর বোধ ও গৌরব জাগিয়ে রাখা দরকার।’’

  • Avalanche: উত্তরাখণ্ডে তুষারধসে মৃত অন্তত ১০, আটকে তিন বাঙালি পর্বতারোহী

    Avalanche: উত্তরাখণ্ডে তুষারধসে মৃত অন্তত ১০, আটকে তিন বাঙালি পর্বতারোহী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরাখণ্ডের ভয়াবহ তুষারধসে অন্তত দশজনের মৃত্যু হয়েছে। আটকে রয়েছেন তিন বাঙালি পর্বতারোহী। উত্তরাখণ্ডের পর্বতারোহণ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নেহেরু ইনস্টিটিউট অফ মাউন্টেনিয়ারিংয়ের (NIM ) তরফে জানানো হয়েছে,মঙ্গলবার নবমীর সকালে উত্তরকাশীতে দ্রৌপদী কা ডান্ডা-২ পর্বত শৃঙ্গে তুষারধসে আটকে পড়েছিল ৪১ সদস্যের একটি পর্বতারোহী দল। এদের মধ্যে মঙ্গলবার রাতেই ১২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।  বাকিরা আটকে রয়েছেন। এঁদের মধ্যে তিনজন বাঙালি। ৩ বাঙালি পর্বতারোহীর নাম হল সৌরভ বিশ্বাস,অমিত কুমার সাউ এবং সন্দীপ সরকার।

    এনআইএম-এর অধ্যক্ষ কর্নেল অমিত বিষ্ট বলেন,  তুষারধসের খবর পেয়ে উদ্ধার কাজে নামে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মী ও ভারতীয় সেনার জওয়ানরা। ১০টি মৃতদেহ দেখা গিয়েছে। যার মধ্যে ৪ টি উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে, বলে আশঙ্কা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ট্যুইট করে উত্তরাখণ্ডের তুষার ধস নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছেন যাঁরা মারা গিয়েছেন দুর্ঘটনায় তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। 

    আরও পড়ুন: চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পেলেন সুইডেনের বিজ্ঞানী সভান্তে পাবো

    উদ্ধারকাজে ইতিমধ্যেই আইটিবিপি জওয়ানরা রয়েছেন। রাতে অন্ধকার হয়ে যাওয়ায় উদ্ধারকাজে সমস্যা হয়। এনডিআরএফ এবং রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরাও তল্লাশি চালাচ্ছেন। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি নিজে উদ্ধারকাজের খোঁজ নিয়েছেন। সেই সঙ্গে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, পুস্কর সিং ধামিকে ফোন করে জানিয়েছেন ভারতীয় বায়ুসেনাকে উদ্ধার কাজে লাগানো হয়েছে। ভারতীয় বায়ুসেনার চিতা হেলিকপ্টারে করে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। বায়ুসেনার কপ্টারে করে আহতদের উদ্ধার করে দেরাদুন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েকজনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে খবর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Durga Puja: আজ বিদায়ের পালা! জেনে নিন বিজয়া দশমীর অর্থ 

    Durga Puja: আজ বিদায়ের পালা! জেনে নিন বিজয়া দশমীর অর্থ 

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়: দশমী’ মানেই দুর্গা পুজোর শেষ। বন্ধুদের সাথে রেষ্টুরেন্টে খাওয়া, রাত পর্যন্ত মন্ডপের চেয়ারে বসে আড্ডা, অষ্টমীর সন্ধিক্ষণের উপবাস, মন্ডপে মন্ডপে প্রতিমা দর্শন, নবমীর পুষ্পাঞ্জলি সব কিছুতে ইতি টানে দশমী তিথি‌।  অপেক্ষায় থাকতে হয় আরও একটা বছর। বেশীরভাগ দুর্গাপুজো শেষ হয় দশমীতেই। এই দিনেই মা দুর্গার প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়, কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম থাকে , যেমন বিজয়া দশমী বৃহস্পতিবারে হলে সাধারণত প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয় না। আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষের দশমী তিথিতে পিতৃগৃহ মানে সোজা কথায় বাপের বাড়ি ছেড়ে কৈলাসে স্বামীগৃহে পাড়ি দেন দেবী উমা। সেই কারণেই এই তিথিকে ‘বিজয়া দশমী’ বলা হয়। মা উমা সকলকে কাঁদিয়ে নিজের চার সন্তানকে সঙ্গে করে কৈলাসে ফিরে যান।

    দশমী প্রসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের একটি কাহিনী উল্লেখযোগ্য। রানী রাসমণীর জামাতা মথুরবাবু একসময় আবেগপ্রবন হয়ে দশমীর দিনেও মা দুর্গাকে বিসর্জন দেবেন না বলে জেদ ধরে বসেন। তখন রামকৃষ্ণদেব তাঁকে বোঝান, বিজয়ার অর্থ দেবীমা ও সন্তানের বিচ্ছেদ নয়। তিনি আরও বলেন যে, মা কখনও তার সন্তানের থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকতে পারেন না। এতদিন মা দালানে বসে পুজো নিয়েছেন এরপর মা মনের মন্দিরে বসে পুজো নেবেন। এরপরেই মথুর শান্ত হন এবং বিসর্জন দেওয়া হয় মা দুর্গার প্রতিমা।

    আরও পড়ুন: চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পেলেন সুইডেনের বিজ্ঞানী সভান্তে পাবো

    দশমী ঘিরে একটি পৌরাণিক কাহিনীও রয়েছে। পুরাণ অনুযায়ী, মা দুর্গা ন’দিন ন’ রাত্রি ব্যাপী প্রবল যুদ্ধ করেন মহিষাসুরের বিরুদ্ধে। অবশেষে দশমী তিথিতে মায়ের হাতে বধ হয় রম্ভা পুত্র মহিষাসুর। মহিষাসুরমর্দিনী হয়ে ওঠেন মা দুর্গা। ঋষি কাত্যায়নের আশ্রমে এই মহিষাসুর বধের জন্যই ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরের তেজ থেকে সৃষ্ট হয়েছিল এক নারী মূর্তি। মহিষাসুরের ওপর ব্রহ্মার বরদান ছিল যে কোন পুরুষ তাকে বধ করতে পারবে না। এই কাহিনী আমরা সকলেই শুনেছি। সমস্ত আসুরিক শক্তির ওপর বিজয় প্রাপ্তি হয়েছিল অত্যাচারী মহিষাসুর বধের মধ্যে দিয়ে। সমস্ত দেবতা কূল বিজয় উৎসবে মেতেছিল। তাই এই একে বিজয়া দশমী বলা হয়।

    অন্য একটি কাহিনী অনুযায়ী, দেবী দুর্গার দক্ষকন্যা সতী হয়ে জন্মগ্রহণ এবং স্বামী নিন্দা সইতে না পেরে মৃত্যুবরণের গল্প আমাদের সকলেরই জানা। এরপর  ৫১টি অংশে সতীর মৃত দেহ ভারতবর্ষের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে দেওয়ার পর শিব যখন তাণ্ডব থামালেন, তখন বিষ্ণু তাঁকে অনুরোধ করেছিলেন দক্ষরাজকে ক্ষমা করে দিতে। শিব সেই অনুরোধ ফেলতে পারেননি। উপরন্তু সন্তানহারা বাবার দুঃখ ঘোচানোর জন্য তিনি বলেন, এর পরের জন্মে সতী জন্ম নেবেন হিমালয়রাজ হিমাবত কন্যা পার্বতী রূপে। তখন প্রতি বছর বিজয়া দশমীর দিন পার্বতী আসবেন দক্ষপুরীতে। সতীর বাবা-মায়ের সঙ্গে একটি দিনের জন্য দেখা করতে! তাই আজ পার্বতীর ঘরে ফেরার দিনও বটে বলে পৌরাণিক মত রয়েছে‌। এছাড়াও আজকের তিথিতেই রাক্ষসরাজ রাবণের উপর ভগবান রামচন্দ্র বিজয় প্রাপ্ত করেছিলেনবলে মনে করা হয়। তাই এটা বিজয়া দশমী। এদিন ছোটরা বড়দের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে, মিষ্টি মুখ করানো হয় মা উমার। মহিলা দের মধ্যে সিঁদুর খেলার রীতি দেখা যায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Draupadi Murmu: দেশবাসীকে ‘দশেরা’ ও ‘বিজয়া দশমী’র শুভেচ্ছা জানালেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

    Draupadi Murmu: দেশবাসীকে ‘দশেরা’ ও ‘বিজয়া দশমী’র শুভেচ্ছা জানালেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই মহাদশমী (MahaDashami)। মায়ের বিদায়বেলা। এই দিনটি উত্তর ভারতে দশেরা (Dussehra) নামে পরিচিত। আর তাই দশেরার প্রাক্কালেই ভারতের জনসাধারণকে দশেরার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি শ্রীমতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। তাঁর বার্তায় তিনি বলেন, “বিজয়াদশমীর শুভ তিথি উপলক্ষ্যে আমি সকল দেশবাসীকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানাই।”

    এদিন অধর্মের প্রতীক রাবণকে বধ করে ধর্ম প্রতিষ্ঠা করেন রাম। আবার এই তিথিতেই অশুভ শক্তিরূপী মহিষাসুরের হাত থেকে সকলকে রক্ষা করে শুভ শক্তিকে জাগ্রত করেন দেবী দুর্গা। এ কারণে দশমী তিথিটি বিজয়া দশমী নামেও পরিচিত। ফলে আজ দ্রৌপদী মুর্মুর বার্তাতেও মন্দের ওপর ভালোর, অসত্যের ওপর সত্যের জয়ের কথা উঠে এসেছে।

    আরও পড়ুন: পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেলেন ফ্রান্স, আমেরিকা, অস্ট্রিয়ার তিন বিজ্ঞানী

    তিনি তাঁর বার্তায় বলেন, মন্দের ওপর ভালোর, অসত্যের ওপর সত্যের, অনৈতিকতার ওপর নৈতিকতার জয়ের প্রতীক হিসেবে সারা ভারতে বিজয়াদশমী পালিত হয়। উত্তর ভারতে এটি ‘দশেরা’ হিসাবে পালিত হয় এবং রাবণের উপর ভগবান রামের বিজয় ‘রাবণ দহন’-এর মাধ্যমে দেখানো হয়। শ্রী রামজির আদর্শ, আচার-আচরণ এবং গুণের বার্তা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের মানুষকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে। পূর্ব ভারতে, এই দিনে ‘দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন’ অনুষ্ঠান উৎসাহের সঙ্গে পালিত হয়। এইভাবে এই উৎসব ভারতের সাংস্কৃতিক ঐক্যের এক উদাহরণ হয়ে উঠেছে।

    তিনি আরও বলেন, “আমি কামনা করি এই উৎসব আমাদেরকে নৈতিকতা, সত্য ও কল্যাণের শাশ্বত জীবন মূল্যবোধকে ধারণ করতে এবং শান্তি ও সম্প্রীতির সঙ্গে জীবনযাপন করতে অনুপ্রাণিত করুক।”

    আরও পড়ুন: নবরাত্রির নবম দিনে বৈষ্ণোদেবী দর্শনে অমিত শাহ! জম্মু-কাশ্মীরে একাধিক কর্মসূচী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Amit Shah: গুজ্জর, বাকারওয়াল-সহ পার্বত্য জন-জাতিগুলি আসবে সংরক্ষণের আওতায়! কী বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী?

    Amit Shah: গুজ্জর, বাকারওয়াল-সহ পার্বত্য জন-জাতিগুলি আসবে সংরক্ষণের আওতায়! কী বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজ্জর, বাকারওয়াল-সহ পার্বত্য জন-জাতিগুলিকে সংরক্ষণের আওতায় আনা হবে। জম্মু-কাশ্মীর সফরে বড় ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মঙ্গলবার রাজৌরির সভায় তিনি বলেন, “বিচারপতি শর্মা কমিশনের রিপোর্ট জমা পড়ে গিয়েছে। ওই রিপোর্টে গুজ্জর, বাকারওয়াল-সহ পার্বত্য জন-জাতিগুলিকে সংরক্ষণ দেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। এই সুপারিশ মেনে ওই জন-জাতিগুলিকে দ্রুতই সংরক্ষণের আওতায় আনা হবে।”

    আরও পড়ুন: নবরাত্রির নবম দিনে বৈষ্ণোদেবী দর্শনে অমিত শাহ! জম্মু-কাশ্মীরে একাধিক কর্মসূচী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

    নবরাত্রির নবম দিনে বৈষ্ণোদেবীর মন্দিরে পুজো দিয়ে এই সফরের নানা কর্মসূচীর সূচনা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এদিন সকালে প্রথম কাটরার বৈষ্ণোদেবী দর্শনে যান তিনি। এদিন মন্দিরে প্রার্থনা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। করেন মাতার আরতিও। তাঁর সফর ঘিরে কাটরা ও রাজৌরিি বিভিন্ন জায়গায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। এদিন সফরে তাঁর সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং, জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা।

    আরও পড়ুন: লক্ষ্য সন্ত্রাসমুক্ত উপত্যকা, কাশ্মীরের নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করার নির্দেশ অমিত শাহের

    রাজৌরির সভায়  জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে নেওয়ার বিষয়টিও উল্লেখ করেন অমিত শাহ। “সংবিধানের ৩৭০ ও ৩৫ (ক) ধারা বাতিল না করলে উপত্যকার জনজাতিদের কি আদৌ সংরক্ষণের আওতায় আনা যেত?” রাজৌরির সভায় প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তবে কবে থেকে এই সংরক্ষণ দেওয়া হবে, তা অবশ্য স্পষ্ট করেননি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ২০১৯-এ দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে মোদি সরকার। ওই সময় সংবিধানের ৩৭০ ও ৩৫ (ক) ধারা বিলোপ করা হয়। শুধু তাই নয়, জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদাও কেড়ে নেওয়া হয়। জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখকে দু’টি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হয়। মঙ্গলবারের রাজৌরির সভায় বারবার সেই প্রসঙ্গ তোলেন অমিত। তিনি বলেন, “যাঁরা বলতেন ৩৭০ ধারা তুলে দিলে কাশ্মীরে রক্তগঙ্গা বইবে, তাঁরাই এখন মোদি-মোদি চিৎকার শুনতে পাচ্ছেন। সংবিধানের এই ধারা সরিয়ে দেওয়ার ফলে সংখ্যালঘু, দলিত ও পার্বত্য এলাকার জনজাতি ভুক্ত মানুষরা তাঁদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পাবেন।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

  • Durga Puja: মহানবমীর মাহাত্ম্য! জানুন মাতা সিদ্ধিদাত্রীর পৌরাণিক আখ্যান

    Durga Puja: মহানবমীর মাহাত্ম্য! জানুন মাতা সিদ্ধিদাত্রীর পৌরাণিক আখ্যান

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়: নবরাত্রির শেষ দিনে পূজিতা হন মাতা সিদ্ধিদাত্রী। এই দেবী মা দুর্গার নবম রূপ বলে পরিগণিত হন। ভক্তদের বিশ্বাস মতে , মাতা সিদ্ধিদাত্রী  দেবাদিদেব মহাদেবের শরীরের অংশ। তাই তিনি অর্ধনারীশ্বর নামেও প্রসিদ্ধ। ভক্তদের বিশ্বাস, এই মহাবিশ্ব যখন তৈরী হয়নি, চারিদিকে যখন ঘন অন্ধকার ছিল, প্রাণের চিহ্ন যখন কোথাও ছিল না তখন একটি দৈব আলোকরশ্মি নারী মূর্তির আকার ধারণ করতে থাকে। ইনিই দেবী মহামায়া, মহাশক্তি। এই আদিদেবীর থেকেই জন্ম হয়েছিল ত্রি শক্তির ব্রহ্মা, বিষ্ণু ,
    এবং মহেশ্বর। বিশ্ব বা জগত সংসার পরিচালনার জন্য এই আদিমাতা ত্রিদেব কে দায়িত্ব দেন। এরপরে মহাসাগরের তীরে বসে বহু বছর ধরে  মহামায়ার তপস্যায় রত ছিলেন ব্রহ্মা বিষ্ণু মহেশ্বর। তপস্যায় প্রসন্না হয়ে দেবী  তাঁদের সামনে ‘সিদ্ধিদাত্রী’ রূপে প্রকট হন।

    মাতা সিদ্ধিদাত্রী ভগবান ব্রহ্মাকে বিশ্বস্রষ্টার স্রষ্টা, ভগবান বিষ্ণু কে সৃষ্টি ও জগৎ রক্ষার ভূমিকা এবং দেবাদিদেব মহাদেব কে প্রয়োজন হলে জগৎ ধ্বংস করার ভূমিকা প্রদান করেন। ভক্তদের আরো বিশ্বাস , দেবী সিদ্ধিদাত্রী পরবর্তীতে সরস্বতী,লক্ষী, এবং মাতা পার্বতী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। সিদ্ধিদাত্রী মাতা সর্বদাই ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরের সাথে শক্তি হিসেবে আছেন , এটা বোঝাতেই তিনি এই ত্রিদেবের পত্নী রূপে অবস্থান করেন‌। পৌরাণিক আখ্যান অনুযায়ী , দেবী সিদ্ধিদাত্রী জগৎ পরিচালনা, পালন এবং সংহারের জন্য অলৌকিক ক্ষমতা প্রদান করেছিলেন এই ত্রিদেবকে। অতিপ্রাকৃত এই আটটি শক্তিকে মার্কণ্ডেয় পুরাণে অষ্টসিদ্ধি  বলা হয়েছে যা দেবী সিদ্ধিদাত্রী দেন।

    সিদ্ধি আট প্রকারের- 

    অণিমা : এই শক্তির দ্বারা দেহ কে আকারে ছোট করা যায়। 

    মহিমা: এই শক্তির দ্বারা দেহকে অসীম প্রসারিত করা যায় ।

    গরিমা : এই শক্তির দ্বারা দেহকে অকল্পনীয় ভারী করা যায়।

    লঘিমা: এই শক্তির দ্বারা দেহ ভারহীন হয়ে যায়।

    প্রাপ্তি: এই শক্তির দ্বারা সর্বভূতে বিরাজ করা যায়।

    প্রাকাম্য: এই শক্তির দ্বারা সমস্ত মনের কামনা পূর্ণ করা যায়।

    ঈশিত্ব : এই শক্তির দ্বারা প্রভুত্ব স্থাপন করা যায়।

    বশিত্ব: এই শক্তির দ্বারা সকলকে পরাধীন রাখা যায়।

    ভক্তদের বিশ্বাস, মার্কন্ডেয় পুরাণ অনুসারে যে ৮ প্রকার সিদ্ধি ,মাতা সিদ্ধিদাত্রী ব্রহ্মা-বিষ্ণু মহেশ্বর কে প্রদান করেছিলেন,মহানবমীর দিন মাতা সিদ্ধিদাত্রীর আরাধনা করলে ভক্তদের মধ্যে এই সকল শক্তির প্রবেশ ঘটে।

    অন্য একটি পৌরাণিক আখ্যান অনুযায়ী, শিব মাতা অম্বিকার সাধনা করেছিলেন এবং মাতা তখন সিদ্ধিদাত্রী হয়ে দেবাদিদেব মহাদেব কে বরপ্রদান করেছিলেন। সর্ব সিদ্ধির অধীশ্বর হওয়ার বর, দেবাদিদেব মহাদেব পেয়েছিলেন, মাতা অম্বিকার কাছ থেকে । তাই ভগবান শিবকে সিদ্ধিনাথ বা সিদ্ধেশ্বর বলা হয়।

    অষ্টমীর সন্ধিপূজার সময়ই  দুর্গা মাতা মহিষাসুরকে  বধ করেছিলেন বলে অনেক পন্ডিতের মত রয়েছে।  আবার সন্ধিপুজোর সময়ই দেবী দুর্গার অন্য রূপ চামুন্ডা মাতা চন্ড ও মুন্ড কে বধ করেছিলেন বলে অনেক ভক্তের ধারণা রয়েছে।  অসুরবধের আনন্দে নবমী তিথিতে কাত্যায়ন ঋষির আশ্রমে দেবীর বন্দনায় মেতে উঠেছিলেন দেবতারা। এখানেই নবমী পুজোর মাহাত্ম্য বা গুরুত্ব বলে পন্ডিত দের ধারণা রয়েছে। হিন্দু শাস্ত্র মতে, এদিন তাই দেবীর সম্পূর্ণ পুজো সম্পন্ন হয়। এই তিথিতেই  বলি, হোম, কুমারী পূজা এবং ষোড়শ উপাচারের বিধান আছে। দেবীকে প্রসন্ন করতে নৈবেদ্য তে তিল নিবেদন করার রীতি দেখা যায় । ভক্তদের বিশ্বাস ,মাতা সিদ্ধিদাত্রীর কৃপায় জীবনের সমস্ত কুপ্রভাব বিনষ্ট হয় এবং সফলতা আসে জীবনে‌।

LinkedIn
Share